বলপূর্বক টীকাকরণ সহ বলপূর্বক যে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়ার "রাষ্ট্রীয় ইচ্ছা"টির সর্বৈব বিরোধিতা হওয়া প্রয়োজন; তা টীকা হোক কিংবা ভাষা অথবা মতাদর্শ। ... ...
সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল- এই সবকিছুর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তি মানুষ হিসাবে এদের কারও হয়েই ভোট চাওয়ার প্রবৃত্তি হয় না। বাংলায় কংগ্রেস আমলের কথা ছেড়েই দেওয়া যাক। কেন্দ্রেও ইউপিএ সরকার থাকাকালীন এমন বহু কাজ হয়েছে যা সমর্থনযোগ্য নয়। বাংলায় বাম আমলে বহু নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। মরিচঝাঁপি, বানতলা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে গণআন্দোলনে শুধু গুলি চালনা নয়; "শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান"-র যে মডেল সিপিএম সমর্থকরা এখনও দিয়ে থাকেন; তার সঙ্গেও বিন্দুমাত্র একমত নই। তৃণমূল সরকারের আমলেও লাগামছাড়া দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গণআন্দোলনের কর্মীদের ওপরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়েছে। তাই এদের কারও হয়েই ভোট চাওয়ার প্রবৃত্তি নেই। কিন্তু বিজেপিকে ভোটের ময়দানে আটকানোর প্রবৃত্তি আছে। কারণ যাই হয়ে যাক না কেন; সিপিএম, কংগ্রেস বা তৃণমূল- এরা কেউ ফ্যাসিস্ট নয়। ... ...
"....আরটিআই একটি সামাজিক আন্দোলন হিসাবে গড়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। সেই পথেই আমাদের এগোতে হবে। আরটিআই করুন, অন্যকে আরটিআই করতে বলুন। তথ্যের অধিকার আপনার নাগরিক অধিকার। সেই অধিকারকে ব্যবহার করুন, সেই অধিকারকে রক্ষা করুন।" ... ...
".... মানবাধিকার কর্মীরা যখন বারবার পুলিশি নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কিংবা পুলিশকে নিয়ম মেনে চলতে বলেন; তখন যাঁরা এই ভেবে নিশ্চুপ থাকেন যে- পুলিশ যাদের ওপর অত্যাচার করেছে তারা সব ঘৃণ্য অপরাধী; তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করেছেন। কোনদিন হয়তো দেখলেন আপনি নিজেই এরকম কোনও ঘটনার সম্মুখীন। যে কোনও অবস্থায়; পুলিশি নির্যাতনের বিরোধিতা করুন। জেনে রাখবেন; আইনত সেটাই সঠিক।" ... ...
".... সামান্য তলিয়ে ভাবলেই বোঝা যাবে যে দেশের মানুষরা যে কর্মসূচিগুলি পালন করলেন; পরোক্ষে তা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পালনীয় ধর্মীয় উৎসবের কিঞ্চিৎ রূপান্তর মাত্র। সর্বোপরি রামনবমীর ঠিক পরেই রাত "নটায়", "নয় মিনিট" আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালানোর প্রসঙ্গ এলে দুর্জনে তো একটু নিন্দেমন্দ করবেই।...." ... ...
"....মাথায় এক ছটাক ঘিলু থাকলেই এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর নামে কী ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় নজরদারি নেমে আসতে পারে। সরকার এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছে থাকা প্রত্যেক ভারতবাসীর তথ্য নিয়ে আধার যোগ করে ন্যাশনাল সোশ্যাল রেজিস্ট্রি বানানোর কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে; যা ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় নজরদারির প্রচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। এই অ্যাপ থেকে সংগৃহীত তথ্য ন্যাশনাল সোশ্যাল রেজিস্ট্রি তৈরিতে ব্যবহৃত হবে না তো?...." ... ...
"....হায়দ্রাবাদ হোক বা অন্য কোথাও; জনগণ যখন পাগলের মতো কারও মৃত্যু চায়; সেও আদতে মানসিক ভাবে ভয়াবহ একজন অপরাধী হয়ে উঠেছে। যে অপরাধের জন্য সে শাস্তি চাইছে; সেইরকমই একটা ঘৃণা, হিংসাত্মক মানসিকতা সে নিজের মধ্যে বহন করছে।...." ... ...