এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • যাঁরা লিখলেন না

    admin লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ আগস্ট ২০১৬ | ১৬০১ বার পঠিত
  • যাঁরা নানা কারণে লিখতে পারলেন না নবারুণারী তে, ফেসবুক ও গুরুচন্ডা৯ সাইটে তাদের নতুন-পুরোনো পোস্ট থেকে কিছু মতামত, কিছু আলাপ-আলোচনার নির্যাস রাখা রইল এই অংশে। এর অনেকগুলোই ভাটিয়া৯ অংশে অনেকের সাথে আলোচনার অংশ হিসেবে লেখা বলে এখানে একত্রে একটি লেখা হিসেবে পড়তে খানিক অদ্ভুত লাগতে পারে। সামান্য কিছু এডিটও করতে হল কথোপকথন থেকে বক্তব্য ও সময়কালের সাযুজ্য বজায় রেখে লেখাগুলো আলাদা করতে, তবু, যাঁরা লিখেছেন, তাঁদের মনোভাব আর বক্তব্যের সারবত্তা ধরে রাখা জরুরি মনে হাওয়ায় এবং অন্য কোন উপায় না থাকায় এগুলি এভাবেই রইল। আশা রাখি পরবর্তীতে এঁরা অন্যত্র কখনো নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তারিত লিখবেন। 


     


    আত্রেয়ী


    (আগস্ট, ২০১৪)


    নবারুণ ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর আশা করছিলাম কোনো ক্রিটিকাল অবিচুয়ারি কোথাও পড়ব। দোষে গুণে তৈরি একজনের চিন্তা/লেখা এগুলোর মধ্যেও যে দ্বন্দ্ব, সেগুলো নিয়ে। বিশেষ করে এমন একজন যিনি নিজে স্পষ্ট কথা থেকে পিছিয়ে যাননি কখনও। পেলাম না।


    হারবার্টকে ফ্রডস্টার বলে ঠিক ডেপিক্ট করতে চেয়েছেন বলে তো কখনো মনে হয়নি - মানে, পুরো চরিত্রর গড়ে ওঠা, ব্যাকগ্রাউন্ড, বিভিন্ন ইনফ্লুয়েন্স সব কিছু মিলিয়ে দেখলে। একটা অল্টার্নেট রিয়ালিটি তে বিশ্বাস করে এমন কেউ। তার সাথে যুক্তিবাদী সমিতিকে কিঞ্চিৎ খিল্লি, রিয়ালিটি কী - তা নিয়ে প্রশ্ন এবং অ্যাট দ্য এন্ড উত্তরাধুনিক ভাবধারায় সব রিয়ালিটিকেই গ্রাহ্য করা ও একই সাথে ক্রিটিসাইজ করার পরম্পরা।


    (সেপ্টেম্বর ২০০৬)


    হারবার্ট সিনেমাটার আমি একটু নিন্দে করি।


    প্রথম প্রশ্ন, আমার খুব জানার ইচ্ছে যাঁরা বইটা পড়ে সিনেমা দেখেছেন ভার্সাস যাঁরা বইটা পড়েন নি (যেমন আমি) তাঁদের এই সিনেমা সম্বন্ধে বক্তব্য।


    দ্বিতীয় কোশ্চেন - আধা স্বপ্ন, আধা জাগরণের ঐ সিকোয়েন্স গুলোতে ইউরোপিয়ান ইনফ্লুয়েন্স নিয়ে কোনো বক্তব্য?


    তৃতীয়, এবং ক্যাঁইমাই করে উঠোনা, শুভাশিসের অভিনয় কোথাও কোথাও অতিনাটকীয়, ইন ফ্যক্ট excessive বলে মনে হয়নি? এবং এই প্রসঙ্গে, সুমনের নিজের ব্যাকগ্রাউন্ড কতটা দায়ী? স্টেজের ভাষা আর সিনেমার ভাষার তফাৎ কি মানবো আমরা?


    চতুর্থ, ঐ র‍্যাশনালিটি বনাম স্কিজোফ্রেনিয়া, ঐটা যদি খেতেই হয়, তাহলে লাস্ট সিন'এ ডিরেক্টর একটি obvious ঘটনা, অর্থাৎ, গ্রেনেড কোত্থেকে তোষকে আমদানি হয়েছে, সেটা explain করা খুব কি জরুরী ছিল? ঐ পুরো সিকোয়েন্স, সাথে সব্যসাচীর গম্ভীর মুখ করে বলা, কখন কোথায় কি ফেটে যেতে পারে তা বোঝা মুশকিল, এই দুটো সিন সিনেমাটাকে আমার মতে অনেকটাই খেলো করেছে।


    এবার সবচেয়ে petty কিন্তু বেশ বিরক্তিকর, কিছু ডায়লগ, ফ্যান তোলার সময় জোর করে উ: আ: আওয়াজ, তোষক টানার সময়, "হ্যাঁ এদিকটা ধর, টান" আবার "উ: আ:" বড্ড অ্যামেচারিস।


    কিন্তু হক কথা, অনেকদিন পর কোনো বাংলা সিনেমা দেখে মনে হল, অন্যরকম কিছু হল একটা, প্রথম সুমনের গান শোনার পর যেমন হয়েছিল।


    আরো দুইখান কথা কত্তা! একেবারেই নন-ন্যারেটিভ কোনো এলিমেন্ট সেরকম ভাবে এই সিনেমাতে আছে বলে মনে হয়নি আমার। আর কলকাতা? কলকাতার কথা বল্লেনা? যেভাবে ওতোপ্রোত ভাবে সারা সিনেমা জুড়ে লেপের মত?


     


    মিঠু


    (আগস্ট, ২০১৪)


    আমার কখনোই হারবার্ট কে আতাক্যালানে মনে হয় না। মনে হয় একজন চলমান রহস্যময় লোক। যার অন্ধকার আর আলো দুটোতেই লুকিয়ে যাতায়াত।


     


    সায়নী সিনহা রায়


    (জুলাই, ২০১৬)


    আমার মনে পড়ে যদ্দুর, নবারুণদা বলতেন - "বুঝলে ভাল, না বুঝলে আরও ভাল, কষ্ট কম হবে" আমি চেষ্টা করি না, বোঝার, আত্মঃস্থ করাতেই সুখ।


     


    সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়


    (জুলাই, ২০১৬)


    আমি নবারুণ খুব অল্প পড়েছি। কেন অল্প পড়েছি তার কারণ এটাই যে বেশি পড়ার তাগিদ পাইনি। আমি জানি এটা লিখলে অনেকেই আমাকে ব্রাত্য করতে পারেন, তবু এটাই সত্যি তাই এটাই লিখতে পারলাম। আমি শুধু ছোট গল্প পড়েছি ওঁর কিছু।


    এবারেও ওঁকে নিয়ে লিখব ভেবেও লিখিনি। কারন লিখতে পারিনি। লিখতে পারিনি, কারণ পড়তে পারিনি বেশিক্ষণ। নেটে পাওয়া লিঙ্ক খুলে পড়তে বসেছিলাম কিন্তু প্রত্যেকবারই কয়েক পাতা পড়ার পর খেই হারিয়ে ফেলেছি। প্রচন্ড বিবমিষা বা প্রচন্ড বিরক্তি / ফ্রাস্টেশনের যে ছবি তার দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা আমার কম্ম না বুঝলাম।


    নিজের মধ্যে অনেক ক্ষোভ নেই এমন না, বিরক্তি বা রাগ নেই তাও না। কিন্তু প্রতি লাইনে প্রতি পাতায় তার এমন রক্তাক্ত প্রকাশভংগীর সাথে আমি রিলেট করতে পারিনি। আর তাই তেমন কিছু লিখিনি। আমি জানি যদি এই কথা গুলো লিখি তো লোকে আমার টুঁটি টিপে ধরে বলবে কই অমুক লেখাটা পড়ে বলছ কি? কই তমুক লেখায় তো এত ঘৃণা নেই, তুমি কি সেটা পড়েছ? 


    আমি নির্ঘাত সেগুলো পড়িই নি, তাই জবাবও দিতে পারব না। কারন একাধিক পড়ার ইচ্ছা নবারুনের লেখনী আমার মধ্যে তৈরি করেন নি। হয়ত সে আমারই অক্ষমতা। কারন অমন প্রথিতযশা মানুষ আমার মধ্যে তাঁর লেখার প্রতি আকর্ষন তৈরি করতে পারেন নি একথা ভাবার সাহস আমার হয় না।


    এক কথায় বলতে গেলে, নবারুনের লেখা আমার কাছে স্যামনের মত বা অ্যাভোক্যাডোর মত। সারা দুনিয়া এই দুইয়ের পুষ্টি ও গুণের গান গায় কিন্তু আমি বাজারে গেলে এ দুইয়ের কোনটাই কিনিনা। কারন দুইয়ের স্বাদই বোধহয় খানিক হ্যাবিট ফর্মিং। আর হ্যাবিট ফর্ম করতে গেলে কম্ফর্ট ভাবার কথাই না।


    নবারুণ, সম্ভবতঃ হ্যাবিট ফর্মিং। তবে তিনি আমার কম্ফর্ট জোন নন।


     


    সুচেতা মিশ্র


    (জুলাই, ২০১৬)


    প্রথমেই বলি যে, আমি নবারুণের লেখা খুব কম পড়েছি। পড়ার চেষ্টা করেছি, তারেকের জন্যই। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারিনি। কখনও হয়তো একটা প্যারাই বেশ কয়েকবার পড়েছি, আবার তারপর হয়তো এক লাইন ও এগোয়নি। শেষ করতে পারিনি। গদ্য ও কবিতা দুই। আর কোনও একজন লেখকের একটাও লেখা নিয়ে লিখতে হলে, তার বেশ কিছু লেখা না পড়লে ভাল করে বলা যায় না সেই লেখকের লেখা সম্পর্কে, এরকমই মনে করি আমি। রচনা লেখা তো নয় এসব। আর নবারুণের যা একটা বড়সড় সেক্ট, "ফ্যাতারু সেক্ট" তৈরী হয়ে গেছে, সেখানে আমার মতো কারোও লেখাও ঠিক হবে না - বাপস তারপরে সব ফ্যাতারুরা রাতের অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ুক এককাট্টা হয়ে আর কী! তবে, বাংলা সাহিত্যের ঐখানে বসে, যেখানে বেশির ভাগ লেখক/সাহিত্যিকদের নিজের একহাত দূরের জিনিষ চোখে পড়ে না, সেখানে ওরকম লেখাও লিখে যাওয়ার গাটস এর জন্যই হয়তো কখনও নবারুণ পড়ার চেষ্টা করবো ভালভাবে। তবে, ওনার ইন্টারভিউগুলো খুব ভালভাবে পড়েছি, আর মনে হয়েছে ওনার সাথে কখনও কথা বলার সুযোগ পেলে খুব ভাল লাগতো।


    আর একটা কথাও না বলে পারছি না, লেখক/পাঠককে "মহিলা" লেখক/পাঠক হিসেবে দাগিয়ে দেওয়াতেও আমার আপত্তি আছে।


    পাঠক/লেখক হিসেবে মেয়েরা এখনও সংখ্যায় অনেক কম। এই নিয়ে কোন রিসার্চ হয়েছে কি? নবারুণেরও মহিলা পাঠক কম থাকবে, এটা কিছু আশ্চর্যের নয়। একটা বিশেষ age group এর পাঠক হয়তো কম পড়ছেন। পাঠক/লেখক কে একটা বলয়ের মধ্যে রাখতে আপত্তির কথা বলেছি। 


     


    শুচিস্মিতা সরকার


    (জুলাই, ২০১৬)


    হ্যাঁ, মেয়েদের নবারুণ পাঠ কোথায় আটকে যাচ্ছে সেটা খোঁজাটা গুরুত্বপূর্ণ। হারবার্ট ভালো লেগেছিল। ফ্যাতাড়ু সিরিজের কিছু পড়েছি। বা বলা ভালো অন্যেরা পড়েছে, আমি শুনেছি। "বাংলার পরে আছে উৎকল দেশ, রোজ রাতে যায় তথা পুরী এক্সপ্রেস" বা "সবাই জাঙ্গিয়া পরে, তুমি একা পরে আলখাল্লা" জাতীয় বিক্ষিপ্ত লাইন ছাড়া বিশেষ কিছু মনে নেই। খুব যে চেষ্টা করেছি নবারুণের পাঠক হয়ে ওঠার এমনটা নয়। কৌতুহলে নেড়েচেড়ে দেখেছি। তারপর আমার জিনিস নয় দেখে দূরে সরে গেছি। হারবার্ট আর ফ্যাতাড়ুর বাইরেও নবারুণ অনেক লিখেছেন এটা জানি। কিন্তু খুব একটা আগ্রহ হয়নি। সুচেতনা-দি যে কথাটা বলল সেটা গুরুত্বপূর্ণ। নবারুণ মনে হয় acquired taste। 


    ভাষা না। ফ্যাতাড়ু সিরিজের অ্যানার্কি আমার ফিলোসফির সাথে মেলেনি। তাই আর এগোনোর ইচ্ছা হয়নি। এই কারণটা হয়তো সাহিত্য আলোচনার ক্ষেত্রে যথাযথ হল না। কিন্তু এটা আগ্রহ হারানোর বড় কারণ।


     


    মীনাক্ষী মন্ডল


    (জুলাই, ২০১৬)


    নবারুণ সেভাবে কোন দিন আকর্ষণ করেননি৷ গুটি কয়েক লেখা just পড়ার আগ্রহে পড়েছি কিন্তু ঐটুকুই৷আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি এক তো লেখার ভাষা আমাকে আকর্ষণ করেনি আর তাছাড়া তখন পড়াশুনোর সূত্রে ইংরেজী সাহিত্যের বিভিন্ন দিকপালের লেখা পড়া শুরু করি যা আগে আমার কাছে অধরা ছিল৷ এরপর আর নবারুণের কাছে ফিরতে ইচ্ছে হয় নি৷


     


    পারমিতা দাস


    (মে, ২০০৬)


    মসোলিয়মে ফাইনালি পয়েন্টটা মেক করতে পারলেন কি? পারলে সেটা কি? আগের ফ্যাতাড়ুতে পেরেছিলেন। লেখক বন্দী হচ্ছেন নিজের ভাষার ঊর্ণণাভ জালে, এমন না তো! নাকি এই মেসেজ মেসেজ করেই দেশ উচ্ছন্নে গেল!


    ফ্যতাড়ুর মরাল? বাঙালীর করুণ অবস্থাটা তো ওনার সেই ওয়ান লাইনারেই ধরা আছে। বাঙালি শুধুই ড্যাশ ড্যাশ নয় তদুপরি অসহায়। সত্যের জয় আর মিথ্যার নাই তাই অধিকার। এইরকম অক্ষয় সত্যি কথা না থাকলে আমার বই পড়তে ভালো লাগেনা, আর আমাদের সমাজের কন্ডিশানিং নিশ্চয়ই অবগত আছেন, মেয়েরা স্ল্যাং ততটা আত্মস্থ করেনা যতটা ইয়ে আপনারা করেন (বিরাট জেনারালিজেশান জানি তবু) - কাজেই শুধু নুয়্যান্সের চমকে লাফিয়ে উঠতে ভালো লাগে না। একান্তই আমার মত।


    হঠাৎ সুযোগ মিলে গেছে এ পরবাসে হারবার্ট দেখার, দেখলাম।


    হারবার্ট। ছবিটা সম্পর্কে ভালোলাগা কোথা থেকে শুরু করবো ভাবতে পারছি না, ঠিক যেমন ছবিটা এক জায়গা থেকে শুরু হয়ে অনায়াসে অন্য জায়গায় চলে আয়, সময়ের মধ্যে এবং সময়কে অতিক্রম করে কোন পূর্বাভাষ বা ব্যাখ্যা ছাড়াই এবং সমস্ত কথাই বলে এক মায়াবী ভিজুয়াল ভাষায়, আলো আঁধারি আর রঙের ব্যবহার বইটাকে সযত্নে সিনেমা মাধ্যমে উঠিয়ে নিয়ে আসে।


    ছবিটা নাকি ভালো ব্যবসা করেছে, সুখের কথা। কি করে জানি না। তবে ইদানীংকালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবির ধারা থেকে এ সম্পূর্ণ আলাদা।


    গল্প একটা আছে কিন্তু নিটোল গল্প বলা নেই। ক্রোনোলজি মানার দায় নেই। শুরুটা হাই পিচে। হারবার্ট-এর আত্মহত্যার ঠিক আগে থেকে। প্রতিটা মৃত্যুদৃশ্য অত্যন্ত ভারী আর গ্রাফিক এই ছবির। বইএর চেয়ে একটু আলাদা, হারবার্ট হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করে আর তারপর পরেই ঘটে যায় সেই ঘটনা যাকে মিডিয়া আর পুলিশ "টেররিজম" আখ্যা দেয়। ঘটনাটা কি, তা অনেকক্ষণ না বলে দিয়ে (পুরোটা অ্যাকচুয়ালি একদম শেষে ক্লাইম্যাক্সে) সাসপেন্স তৈরী করা হয়েছে। এরপর ফ্ল্যাশব্যাকে হারবার্টের ছোটবেলা, একে একে বাবা-মাকে হারানো, যারাই তার কাছে আসে সবাই হয় চলে যায় নয় মরে যায়। সবাই এমনকি নকশাল বিনু পর্যন্ত হারবার্টকে ব্যবহার করে। একমাত্র ব্যতিক্রম বোধহয় জ্যাঠাইমার চরিত্রটি। হারবার্ট মৃতের সহিত কথোপকথনের বেওসা খুলে বসে কিন্তু এক অদৃশ্য কারণে লেখক, পরিচালক, পাঠক আর দর্শক এই দুনম্বরীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। নইলে পশ্চিমবঙ্গ যুক্তিবাদী সমিতিকে এমন ভিলেন করে আঁকা হয়?


    হারবার্ট দুনম্বরী করছে তাও তার ওপর রাগ করা যায় না, করুণার পাত্রই হয় সে, আর শেষে তো শহিদ।


    কিছু শট চোখে লেগে থাকার মতো, জ্যাঠাইমার সঙ্গে গানের দৃশ্যটি (ও রাগাশ্রয়ী গানটির সুর সুমনের নিজের দেওয়া), বিভিন্ন জায়গায় দোকানে ভাস্কর্য দেখে অপুর বিষ্ময়ে দাঁড়িয়ে পড়া, হারবার্টের একাকিত্ব, অসহায়তা আর তার সারল্য, তার ইডিওসিনক্রেসি সব ছাপিয়ে একটা রাগ ছবির সর্বাঙ্গ দিয়ে চুঁইয়ে পড়ে।


    যেটা দেখলাম আনএডিটেড ভার্শান। স্ল্যাং-এর আধিক্য সেরম দেখিনি। শুনলাম নাকি সুমনের দুটো অপশান ছিলো গালগুলোকে সাইলেন্স করে দেওয়া অথবা রিপ্লেস করা, সুমন প্রথমটা বেছেছিলেন। ঐ শব্দগুলোয় শুধু ঠোঁট নাড়া দেখা যাবে কথা শোনা যাবে না। রিডিকুলাস।


    হারবার্টের সুইসাইড নোট, যা মর্মোদ্ধারে পুলিশকে বিস্তর নাজেহাল হতে হয়েছিল সেটি এইরকম:


    চৌবাচ্চার তেলাপিয়া সাগরে চলল।


    দোবেড়ের চ্যাং দেকবি? দোবেড়ের চ্যাং


    দেকাব? ক্যাট ব্যাট ওয়াটার ডগ ফিশ


    আর এই গল্পের মরাল পুলিস অফিসার সব্যসাচীকে দিয়ে পরিচালক বলিয়েছেন :


    কখন, কোথায়, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং কে তা ঘটাবে সে সম্বন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনও বাকি আছে। পরিচালক যেভাবে সব্যসাচীকে রাষ্ট্রযন্ত্রের রিপ্রেজেন্টিভস্বরূপ রিপোর্ট করিয়েছেন তাতে অথার ব্যাকড ভাষ্য এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক। আমার মতে, সকল ফ্যতাড়ু গপ্পের মূল উপপাদ্যও তাই। নবারুণ এই কথাই তাঁর সব লেখাগুলোর মধ্যে দিয়ে কি একের পর বলে চলেছেন না? বই খুলে দেখে নিলাম, এটা বইতে লেখকের শেষ প্রতিপাদ্য, এইটি বলে হারবার্ট নয়, কোন চরিত্র নয়, স্বয়ং লেখক নবারুণ বিদায় নেন।


    হারবার্টের রক্তহীন মৃতদেহ দাহ করার সময় যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছিল তা অবধারিতভাবে এই ইঙ্গিতই দিয়ে চলে যে কখন, কোথায়, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং তা কে ঘটাবে সে সমন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনও বাকি আছে।


    (এর পর একটু ছোট পোস্টলগ আছে তবে মোটামুটিভাবে এই কথা বলে যান তিনি চলে)


    তবে ওয়াচ আউট সুমন! শক্ত শক্ত উপন্যাসগুলো কি অবলীলায় ট্রান্সলেট করে ফেলছেন ছবি ও নাটকের ভাষায়। জয় হোক ওনার।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ আগস্ট ২০১৬ | ১৬০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sadharan Lok | ***:*** | ০৫ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৩৫81256
  • আত্রেয়ী, মিঠু, পারমিতা-র লেখাগুলো আগে সাইটে ছিল, হারবার্ট আর মসোলিয়ম টইতে। সায়নী, সঙ্গীতা, শুচিস্মিতা আর মীনাক্ষীর লেখা /বক্তব্য নতুন। ফেসবুক থেকে।

    সুচেতার লেখা "ফ্যাতারু সেক্ট" এর এককাট্টা হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই বাস্তব। ফেসবুক-এ নানা সময়েই এটা দেখা যায়। বা সঙ্গীতার "লোকে আমার টুঁটি টিপে ধরে বলবে" - এই ভয়ও। নবারুণের যে পাঠকেরা ক্রমশ ভক্ত ও ধীরে ধীরে অন্ধ ভক্ত হয়ে উঠছেন, আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছেন, তাঁদের জানা দরকার কীভাবে তাঁদের আচরণ বিতৃষ্ণা বিকর্ষনের পাশাপাশি খোলামনে অলোচনার পরিবেশ ও নষ্ট করছে।

    সঙ্গীতার বক্তব্য খুবই সৎ এবং ফ্র্যঙ্ক। মীনাক্ষীর ও। পারমিতা স্ল্যাং সম্পর্কে যা বলেন, মীনাক্ষী লেখার ভাষা সম্পর্কে যা বলেন, শুচিস্মিতা লেখার অ্যানার্কিস্ট ফিলোসফি সম্পর্কে যা বলেন, সঙ্গীতা লেখার মধ্যের ঘৃনা, বিরক্তি, ফ্রাস্ট্রেশনের যে রক্তাক্ত প্রকাশভঙ্গির কথা বলেন, অন্য লেখা পড়ার আগ্রহ না-তৈরি হওয়ার কথা বলেন - এগুলো শুধু বিচ্ছিন্ন দু-একজনের বা সুচেতা যেমন বলেন, একটা এজ-গ্রুপের মতামত বলে ভেবে এড়িয়ে গেলে সেটা সচেতন অন্ধত্বই হবে।

    হ্যাঁ, নবারুণের লেখা বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে, আর তাকে অলঙ্ঘনসম্ভব করে তুলছেন তাঁর আক্রমণোদ্যত অন্ধভক্ত পাঠকবৃন্দ।
  • Noname | ***:*** | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৪:৪৮81257
  • সঙ্গীতা মীনাক্ষী শুচিস্মিতা র পর্যবেক্ষণ আরো অনেক নারীরই। তবে তারা লেখেন না। শুধু দূরে সরে থাকেন এই উচ্ছ্বাসের কার্নিভাল থেকে।
  • উৎসুক | ***:*** | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৪৭81258
  • আত্রেয়ীর বক্তব্য তো প্রধানত হারবার্ট সিনেমা সম্পর্কে। নবারুণ নয় বরং সুমনের কাজ সম্পর্কে প্রযোজ্য।
  • উৎসুক | ***:*** | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৪৮81259
  • মীনক্ষির বক্তব্য খুবই উচিৎ লেগেছে। সত্যিই বিশ্বসাহিত্যের কাজকর্ম সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হলে নবারুণে ফেরত আসার আগ্রহ না থাকাই স্বাভাবিক। ভক্তকুল যাই বলুক না কেন।

    গুরুর আরো কয়টি শক্তিশালী কলম কুমু পাই দ সোসেন ব্যাং এঁদের বক্তব্য জানতে পারলেও ভাল লাগত।
  • h | ***:*** | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৩১81260
  • আমার ও মীনাক্ষীর বক্তব্য ভালো লেগেছে, এই ক্যান্ডিড কথা গুলো খুব ই ইম্পর্টান্ট। তবে সামান্য বদলে আমার বক্তব্য এই যে, বিশ্ব এবং সাহিত্যের স্বাদ বাংলা সাহিত্যের স্বাদ এক সঙ্গেই প্র্যাকটিকালি পেতে আরম্ভ করি। এবং এটা বাইলিঙ্গুআল বা মাল্টিলিংগুআল পরিবেশে বড় হওয়া যে কোনো বাঙালী ছেলে মেয়ের ই অভিজ্ঞতা হবে। আনা কারেনিনা আমি ব্যক্তিগত ভাবে মহাশ্বেতার বড়দের গল্প পড়ার আগে পড়েছি, যেহেতু স্কুল জীবনেই পড়েছি। ভেবে দেখলে মান, টলস্টয়, বা চেকভ এর গল্প/নাটক আমি ভালো করে তারাশংকর বিভূতি মাণিক পড়ার আগে পড়েছি। কিন্তু এটা বলতে পারি, বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে আগ্রহ ফিরিয়ে আনতে নবারুণ, ইলিয়াস, শহিদুল জহির, শওকত আলি, অভিজিত সেন এরা সাহায্য করেন। যদিও মনে হয়, দেবেশ রায় ইজ দ্য গ্র্যান্ডেস্ট ফেলিওর অ্যামোং লেফটিজ ইন জেনেরাল, তবুও তাঁর লেখা বা সন্দীপনের লেখা আমাকে বড় করে বাংলা সাহিত্য কে নিয়ে ভাবতে বা পড়তে আগ্রহ করেনি, যেটা নবারুণের লেখা করেছে, বাংলাদেশের ৮০স-৯০স এর লেখক রা করেছেন। বলতে পারি, বিশ্ব সাহিত্যের বা ভারতীয় অন্য ভাষার সাহিত্যের স্বাদ পেতে শুরু করার পরে, ক্লাসিক বিশাল সাহিত্যিক রা ছাড়া এবং বাংলাদেশের কয়েকজন লেখক ছাড়া একমাত্র নবারুণ এর লেখা র পেছনেই সময় নষ্ট করতে ইচ্ছে করতো। হতে পারে, এখন বাংলায় সেই ব্যারেন সময়্টা আর নেই, কিংবা আছে, খবর রাখি না,বেশি, সেই তো বছরে একবার বাংলা পড়া, বইমেলার সময়ে। দেশ বা আনন্দ বা অনলাইনে প্রকাশিত বেশির ভাগ লেখাই রাবিশ লাগতো। বাংলাদেশের লেখকেরা কয়েকজন এই পজ্জন্ত। এমনকি ভাষাবন্ধনে নবারুণ যে অনেক বাংলা ফিকশন ছাপতেন, সেগুলো ও বোগাস লাগতো। সইকত এই পত্রিকা আরম্ভ করার পরে, অল্প কিছু ভালো লেখা আমরা পেয়েছি, ইপ্সিতা দায়িত্ত্ব নেওয়ার পরের রিভিলেশন কুলদা রায়। আদার ওয়াইজ ভারতীয় বা বিশ্বা সাহিত্যে, বা বাংলাদেশে জন্মানো বাংলা সাহিত্যে অনেক ইন্টারেস্টিং কাজ হচ্ছে, প্রচুর ট্র্যাশ ওভারহাইপ্ড বোগাস কাজ ও হচ্ছে, তবে ইন্টারেস্টিং কাজ ও হচ্ছে। যেমন বলছি, গ্রান্টা র গত ফেব্রুয়ারি তে কেনা একটা সংখ্যা কি ডিসাপয়েন্টিং কল্পনা করা যায় না, প্যারিস রিভিউ ও তথইবচ। কিন্তু তার ই মধ্যে লন্ডন রিভিউ অফ বুক্স এ বেরোনো কয়েকটি কবিতা চমকে দেওয়ার মত। এই আর কি। বিশ্ব সাহিত্যের বা ভারতীয় সাহিত্যের স্বাদ পাওয়ার পরে, হাতে গোণা যে কয়েকজন বাংলা পড়াতে আগ্রহ এনেছিলেন, তার মধ্যে নবারুণ ছিলেন, ব্যক্তিগত ভাবে।
  • h | ***:*** | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৩৫81261
  • কিন্তু এই পরিসরে, স্রেফ পাঠ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, না-লেখা সহ, এই উদ্যোগ খুব ই মজার ও স্বাদু হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা বেশ হনেস্ট ও ক্যান্ডিড লেখা , একটা ছোটো পত্রিকা এন্ড অফ দ্য ডে, মানুষের ভালোবাসা দিয়ে গড়া, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো পত্রিকায় আর কি চাই। ফ্যান্টাস্টিক।
  • h | ***:*** | ০৮ আগস্ট ২০১৬ ০৬:০৩81262
  • বাই দ্য ওয়ে, একটা কথা বলা হয় নি, পশ্চিম বঙ্গের দুজন লেখক কে নিয়ে আমি আপাতত এক্সাইটেড। এক উত্তম পুরকাইত। দুই অসীম চট্টরাজ। আর এটাও বলা হায় নি, ভাষাবন্ধনের পুরষ্কার পাওয়া শামিম বাবুর লেখা আমার ভালো লাগে নি, তাঁকে যদিও ভবিষ্যতের বড় লেখক হিসেবে অনেকে চিন্হিত করেছেন। তবে শামিম যেহেতু প্রচন্ড পন্ডিত লোক, তাই তাঁর লেখা আরো না পড়ে জাজমেন্ট দেওয়া ঠিক হবে না।
  • skt | ***:*** | ০৮ আগস্ট ২০১৬ ০৬:২৫81263
  • হনু কী শামিম আহমেদ-এর উপন্যাসটাও পড়েছে - সাত আসমান ? আমার পড়া হয়নি যদিও। ব্লার্ব পড়ে মনে হয়েছিল, ভাল কিছু হবে।
  • h | ***:*** | ০৮ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৫৫81264
  • সৈকত, না গুরু পড়িনি। আমি টুক টাক গল্প গুলো পড়েছি। কিন্তু এই উপন্যাস টা শুনেছি ভালো। পড়ার যদি সুযোগ হয়, আমি তোমারে জানাচ্ছি। বাই দ্য ওয়ে, আমি এনরিক ভিলা-মাতাস এর 'আ হিস্টরি অফ পোর্টেবল লিটেরেচার' পড়লাম, চটি মত, একটু বেশি আঁতেল ইন ফ্যাক্ট পোঙাপাকা, কিন্তু মজার, মানে কয়েকটা জায়গা হো হো করে হাসার মত। ভালো লেগেছে। তুমি পারলে পোড়ো, যদি অলরেডি না পড়ে থাকো।
  • AP | ***:*** | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১০:০৫81265
  • মীনাক্ষীর কথা খুব আশ্চর্য লাগল। নবারুণ ভালো লাগেনি তো লাগেনি। কিন্তু 'বিশ্বসাহিত্য'এর সঙ্গে নবারুণ (বা অন্য বাঙালী) লেখকের এমন বিরোধ আছে নাকি যে বিশ্বসাহিত্য পড়লে আর নবারুণ পড়া যায় না ? ঠিক বুঝলাম না। অন্য বাঙালী লেখক (যেমন মহশ্বেতা দেবী) দের কাছেও কি ফেরা হয়নি ?
  • r2h | 49.37.***.*** | ২৩ জুন ২০২০ ১৮:১৭94552
  • এটা একটা খুব ইন্টারেস্টিং আলোচনা হতে পারতো। তেমন তেমন অডিয়েন্স পেলে এই টইয়ের পোটেনশিয়াল তৃপবুভ'র থেকে কম না।
  • বিপ্লব রহমান | ২৪ জুন ২০২০ ০১:৫৪94571
  • আমার পিঠাপিঠি আপন বোন পারমিতা দি লিখলেন না কেন??

    কইলকেতা বইমেলায় দুই বচ্ছর আগে পরথম  দেখা,  ভাই, ভাই বইলা কি ভীষণ মায়ায় না জড়াইলেন!  এই কী গুরু ভগ্নীর কাজ?  এতো দিনেও  এক্কখান লেখা নামাইতে পারলা না দিদি!!  

    রৌহিন, মারিয়া -- তোরা স্বাক্ষী, কথা কস না কেরে? আঁ!! : পি  

  • বিপ্লব রহমান | ২৪ জুন ২০২০ ০৮:১৩94578
  • "কখন, কোথায়, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং কে তা ঘটাবে সে সম্বন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনও বাকি আছে। পরিচালক যেভাবে সব্যসাচীকে রাষ্ট্রযন্ত্রের রিপ্রেজেন্টিভস্বরূপ রিপোর্ট করিয়েছেন তাতে অথার ব্যাকড ভাষ্য এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক। আমার মতে, সকল ফ্যতাড়ু গপ্পের মূল উপপাদ্যও তাই। নবারুণ এই কথাই তাঁর সব লেখাগুলোর মধ্যে দিয়ে কি একের পর বলে চলেছেন না? বই খুলে দেখে নিলাম, এটা বইতে লেখকের শেষ প্রতিপাদ্য, এইটি বলে হারবার্ট নয়, কোন চরিত্র নয়, স্বয়ং লেখক নবারুণ বিদায় নেন।"

    পুনশ্চঃ দিদি, তোমার এই কথাগুলো নবারুণ (ভট্টাচার্য?)  এর মূল লেখাটি সম্পর্কে আগ্রহ জাগাচ্ছে। এই নিয়ে আরেকটু আলোকপাত করতে পারো?         

  • বিপ্লব রহমান | ২৪ জুন ২০২০ ০৮:৩০94579
  • "হারবার্ট " সিনেমাটি দেখেছি,  খুবই বিক্ষিপ্ত ছবি, তবু গল্প, অভিনয় আর নির্মাণগুনে শেষ পর্যন্ত দর্শক ধরে রাখে। যদি ভুল বলে না থাকি,  নকশাল বাড়ি আন্দোলনকে পুরো ছবিতে আরোপিত মনে হয়েছে, বিশেষ করে চিতায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ! 

    অবশ্য চণ্ডালের প্রয়াত বাবা নকশাল নেতা ছিলেন, কারণটি ব্যক্তিগত হলেও হতে পারে। কাফি                

  • উফফ | 2a0b:f4c2:2::***:*** | ২৪ জুন ২০২০ ০৮:৩৯94580
  • পারমিতা দাস গুরুর বহু পুরোনো লেখক। বিপ্লব রহমানের ছ্যাবলামি শুরু হবার আগের মানুষ। বইমেলায় থাকেন না। অন্য লোকের সাথে গোলাচ্ছে আর ছ্যাবলামি করছে।
  • বিপ্লব রহমান | ২৪ জুন ২০২০ ০৮:৪৩94582
  • আপনি ঠিক বলেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ      

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন