"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৩০… দেখা হোলো দুটি আকর্ষণীয় সেতু। আলাপ হোলো দুটি আকর্ষণীয় মানুষের সাথে। একাকী ভ্রমণ তো করেই থাকি তবে ঐ ভ্রমণের সূত্রে পরবর্তীতে হয়েছে কয়েকটি দলগত ভ্রমণ। তার আনন্দ আবার অন্যরকম ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২৯…।করোনাকালে দুরে না হোক, কাছেপিঠে কোথাও, ঘর হতে শুধু তিন পা ফেলিয়া মোডে মৃদুমন্দ ভ্রমণ তো হতেই পারে। ২০২১ এর মার্চে কর্ণাটকের মনিপাল থেকে কলকাতায় আসার আগে তেমন একটা ব্যবস্থা করে এসেছিলাম। এটা ঠিক একাকী ভ্রমণ বৃত্তান্ত নয়, ফোনালাপ ও হোয়াচ্যাটের মাধ্যমে অদেখা কিন্তু বিশেষ পরিচিত সুজনবাবুর সুবাদে সম্পূর্ণ অচেনা কিছু মানুষের সাথে বাস্তবে আলাপ, আশপাশে টুকুন ঘোরাফেরা, এই সবের আলুনী পাঁচালী। তবু, কলকাতায় এসে যেহেতু ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম একাই, আলাপ যা তা হয়েছিল পথে, তাই এটাও রাখলাম এই সিরিজে ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২৮ … দুবার একই ভুল করে একটি জনশ্রুতির মর্মার্থ উপলব্ধি করেছি কাঁপতে কাঁপতে - ছাগল দিয়ে লাঙ্গল দেওয়া গেলে চাষা বলদ কিনতো না। সেবার উত্তরাখণ্ড ভ্রমণে পঞ্চকেদারের দুটি কেদারে গেছিলাম। একাকী যোশিমঠ থেকে কল্পেশ্বর। ছ জনের দলে তুঙ্গনাথ। দলটি হয়েছিল গুপ্তকাশীতে আলাপ পাঁচটি উত্তরপ্রদেশের তরুণের সাথে। তুঙ্গনাথ, দেওরিয়া তালে দুটি রাত কাটিয়ে উখিমঠ থেকে ওরা হরিদ্বার চলে যেতে আবার আমি একা ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২৭ … পরিচিত সঙ্গীর সাথে হপ্তা দুয়েক অবধি ভ্রমণ ঠিক আছে। তার বেশী হলে নানা কারণে ছানা কাটতে শুরু করে। কিন্তু দু মাসের একাকী ভ্রমণেও কখনো সঙ্গীহীনতার চাপ অনুভব করিনি। সেলফ ড্রাইভ করে বেড়াতে গেলে বাস্তবিক কারণে সাথে একজন থাকলে সুবিধা হয়। কারণ পথে গাড়ি খারাপ হতেই পারে। জনবাহনে গেলে সে প্রয়োজন নেই। একাকী ভ্রমণে সঙ্গীর অভাব বোধ না করলেও চলার পথে স্থানীয় মানুষের সাথে গল্পগুজব করতে ভালোই লাগে। যাদের সাথে আর কখনো দেখা হবেনা তাদের সাথে ক্ষণিকের আলাপ স্মৃতিতে রয়ে যায় বহুদিন ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২৬ … এই সিরিজের ৪নং পর্বে জনৈক নীল ২১.১০.২৩ লিখেছিলেন - “অনসূয়া দেবী যাত্রার কথা লিখবেন না?” বলেছিলাম - “লিখবো। সেও বেশ আনন্দময় অভিজ্ঞতা”। আরো নানা বিষয়ে লিখতে গিয়ে সময় হয়নি। এতোদিনে নীলের অনুরোধ রাখতে পারলাম। তবে আমার ছড়িয়ে ফেলা স্বভাব অনুযায়ী এই যাত্রা পথেও আসবে কিছু পার্শ্বপ্রসঙ্গ ... ...
অষ্টম পর্ব: বুডাপেস্ট ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২২. পরদিন সকালে শৈলেশকে পয়সাকড়ি মিটিয়ে দিয়ে বলি, ইচ্ছে তো করছে এখানেই থেকে যাই আরো দিন দুয়েক। এমন নির্জনতা বহুদিন পাইনি কোথাও। কিন্তু আরো কিছু জায়গা দেখার বাসনা নিয়ে বেরিয়েছি বাড়ি থেকে, তাই আজ এগারোটা নাগাদ বেরিয়ে পড়বো। শৈলেশ বলে, তিনদিন থাকলেন এখানে, একদিনও খেলেন না আমাদের কাছে। আমার বৌয়ের মাথার গণ্ডগোল হলেও রান্নাটা কিন্তু খারাপ করে না। আপনি বুজুর্গ ব্রাহ্মণ, একটু অতিথি সেবার সুযোগ অন্ততঃ দিন। এতে গৃহস্থের মঙ্গল হয়। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২১. বুকটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে। আহা রে - মরে গেছে নাকি! তার শুয়ে থাকার ভঙ্গি - পিছনে ঘুরঘুর করা কুকুর দেখে আচমকা মনে পড়ে যায় সুদানের দুর্ভিক্ষের ওপর তোলা, দক্ষিণ আফ্রিকার ফটো-জার্নালিস্ট কেভিনের ছবিটির কথা - The Struggling Girl. ছবিটি ১৯৯৪ সালের মার্চে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিল। কেভিনের জন্ম আমার দশদিন আগে কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সে স্বেচ্ছায় চলে গেছে এই ধরাধাম ছেড়ে। পুরস্কৃত হওয়ার চারমাস পরেই সে আত্মহত্যা করে। ব্যক্তিগত দারিদ্র্যর সাথে সুদানের মর্মান্তিক দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ্য করার মর্মপীড়া হয়তো তাকে ঠেলে দিয়েছিল জীবনের কিনারায়। ছবিটি দেখলে আমার একটাই ক্যাপশন মাথায় আসে - The waiting vulture. তবে কেভিনের ছবিটির মতো ধৈর্য্যসহকারে অপেক্ষারত মরা মাসখেকো হুডেড ভালচার নয় - সমাজে চতুর্দিকে ছড়িয়ে আছে নানা পোষাক পরা শকুন, তাদের তীক্ষ্ম নির্মম ঠোঁটে বহুকিছু ছিঁড়ে খেতে - জীবিকা - জীবন - সম্মান। তাদের কেউ কেউ দৃশ্য - অনেকেই অদৃশ্য ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২০. পরিচিত ভ্রমণের জায়গা হিসেবে - উত্তরে কালিঞ্জর কেল্লা, পূবে পূণ্যতীর্থ মৈহার, দক্ষিণে কাটনী এবং পশ্চিমে খাজুরাহো আর পান্না জাতীয় উদ্যান। এসবের মাঝে রয়েছে, মধ্যপ্রদেশের এক অখ্যাত প্রান্তিক গ্ৰাম কছগাঁও। এরই কাছে রয়েছে একাদশ তীর্থংকর শ্রেয়াংসনাথজীর নামানুসারে জৈনতীর্থ শ্রেয়াংসগিরি। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছেও স্থানটির বিশেষ গুরুত্ব আছে সপ্তম খ্রীস্টাব্দের প্রাচীন চৌমুখনাথ মহাদেব মন্দিরের জন্য - যেটি ASI এর অধীনে থাকলেও আজও নিয়মিত সেখানে পূজার্চনা হয়। সেবার পথে নামার আগে ঘরে বসে গুগল ম্যাপ ঘাঁটাঘাঁটি করছিলুম। আচমকা পেয়ে গেলুম সন্ধান - মায়াবী নির্জন নাচনার। বেঁচে থাক গুগল ম্যাপ। এর দৌলতে খুঁজে পেয়েছি প্রচলিত ট্যূরিস্ট সার্কিটের বাইরে এমন বেশ কিছু অখ্যাত খাজানা যা ভরিয়ে দিয়েছে আমার একাকী ভ্রমণের আনন্দের ডালি - যেমন এই নাচনা ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৯. এ লেখাটি ‘রিয়াবুতু’ নামক ত্রিপুরার একটি ওয়েবজিন প্রকাশ করেছিল ২৪.১.২৪. তবে সেখানে লেখাটি পাঠিয়েছিলাম সংক্ষিপ্ত আকারে। এখানে রইলো বিশদে। বেতয়া নদীর তীরে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর জেলার একটি প্রান্তিক গ্ৰাম দেবগড়। স্থানটি জৈন ও হিন্দু ধর্মের প্রেক্ষিতে পুরাতাত্ত্বিকদের কাছে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ওখানকার পুরাকীর্তিগুলি আছে ASI এর তত্ত্বাবধানে। দেবগড় পাহাড়ে রয়েছে ভগবান মহাবীর বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ২০১৯ এর ৭ ও ৮ই মার্চ পর্যটকবিরল নির্জন সুন্দর সেই স্থানে দুটি রাত ছিলাম। সেখানে কয়েকজন স্থানীয় মানুষের সাথে আলাপচারিতার অভিজ্ঞতা, ধর্মশালার ম্যানেজার ও এক কর্মী পরিবারের সহৃদয়তা এবং সর্বোপরি এক নির্লোভ অটোচালক রামুর আচরণ আমায় অভিভূত করেছিল। তাই পাঁচবছর পরেও স্মৃতিতে তা অমলিন। এ লেখার প্রোটাগনিস্ট - রামু ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৮. এ লেখাটি “ভ্রমণ আড্ডা” বার্ষিক সংখ্যা ২০২০ তে প্রকাশিত হয়েছিল। ওটা এক অন্য গোত্রের পত্রিকা। বিগত ২৫ বছর ধরে ভদ্রেশ্বর থেকে বছরে একবার বেরোয়। বইয়ের মতো আকার। ১৭০-৮০ পাতার পরিসর। ছবিছবা থাকে না। তবে এখানে ছবি রাখায় বাধা নেই - তাই কয়েকটি ছবি রইলো পুনশ্চের পরে ... ...
সপ্তম পর্ব : বুডাপেস্টের পথে ... ...
গ্যোর......হাঙ্গেরিয়ান রাপসডি ... ...
ট্রেন থেকে কিছুই মরুভূমি দেখা গেল না। স্টেশন থেকে বেরোতেই যেটা সহজেই বোঝা গেল - জায়গাটা বেশ নোংরা। অথচ জয়পুর উদয়পুরের মত এখানেও প্রচুর জার্মান আর অন্যন্য ইউরোপীয় পর্যটকদের ভিড়। সকালবেলা রাস্তাঘাট সরু , নোংরা এবং ঘিঞ্জি। কিছুদূর হেঁটে গেলে যোধপুরের বিখ্যাত ঘন্টাঘর। তাকে ঘিরে যোধপুরের প্রধান বাজার। সকালবেলা পেঁয়াজ কচুরি আর দুধের চা। কচুরির পুরের ভেতর পেঁয়াজ ছড়ানো থাকে বলে এরকম নাম। ... ...
হাঙ্গেরিতে নো হুল্লোড় ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৭ …তৃতীয় শতাব্দীতে গুপ্ত রাজবংশ থেকে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশ গ্যারিসন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ইস্তক - সুদীর্ঘ ১৫০০ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে নানা শাসনের দখলে থেকেছে কালিঞ্জর কেল্লা। দুর্গটি কবে নির্মিত হয়েছিল সঠিক জানা যায় না। তবে আগ্রা এবং অউধের ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারে উল্লেখ আছে গুপ্ত রাজবংশের সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত ৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে কালিঞ্জার দুর্গ জয় করেছিলেন। ASIএর প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার কানিংহ্যাম কালিঞ্জর কেল্লার প্রাচীনত্ব ও গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর মতে এই কেল্লার নির্মাণ হয় ২৪৯ খ্রিস্টাব্দে। শিবের আর এক নাম কালিঞ্জর (কাল = সময়, জর = ক্ষয়) অর্থাৎ 'সময় ক্ষয়কারী' বা কালজয়ী। কথিত আছে সমূদ্রমন্থনে ওঠা হলাহল পান করে কন্ঠ নীল হয়ে যেতে শিব এখানে এসে সময়কে পরাস্ত করে মৃত্যুকে জয় করেছিলেন। তাই কালিঞ্জর কেল্লা বলতে কালজয়ী কেল্লাও বোঝায়। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৬ … বিলুর সাথে ঘুরতে ঘুরতে যা দেখেছিলাম চিটপ্যাডে শর্টে রানিং নোট নিয়েছিলাম। অনেক জায়গাতেই কিছু লেখা নেই, দিক নির্দেশও নেই। ও না থাকলে বাঁশবনে ডোম কানা হয়ে ঘুরে মরতাম। সন্ধ্যায় লজে এসে শর্টহ্যান্ড নোট থেকে একটু গুছিয়ে লিখে বুঝলাম ও আমায় গোটা তিরিশেক দ্রষ্টব্যস্থানে নিয়ে গেছিল। বিলু না থাকলে বেশ চকমা খেতাম। বিরাট এলাকা, কত কী রয়েছে, ভুলভুলাইয়া টাইপের ব্যাপার। ওর বদান্যতায় মোটামুটি দেখা হোলো। শেষ দ্রষ্টব্য ছিপ মহলে এসে ওকে বলেছিলাম, এবার তুমি গেটে গিয়ে বসতে পারো, এখান থেকে আমি ঠিক চলে যাবো। ওকে কিছু বখশিশ দিই। ও নমস্কার করে চলে যায়। কিছুক্ষণ বসে থাকি বৃষ্টিভেজা নির্জন কেল্লায়। পাঁচটা নাগাদ নামতে শুরু করি নীচে। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৪ …দুপুরে বাস থেকে নেমে আশ্রয়ের সন্ধানে প্রাচীন নগরীর সরু রাস্তা ধরে এসেছিলাম। এখন শহরের বাইরে দিয়ে চওড়া কংক্রিটের বাইপাস ধরে হাঁটতে থাকি। বাঁদিকে শহরের সীমানায় পাঁচশো ফুট পাহাড়ের মাথায় উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত বিশাল কেল্লা। রীতিমতো সমীহ জাগানো সাইজ। লোকবিশ্বাসে অতীতে নরোয়র ছিল মহাভারতে বর্ণিত নিষধরাজ নলের রাজ্য। তখন তা নলপুরা নামে পরিচিত ছিল। আর এক মতে নরোয়র কেল্লা ও জনপদের প্রতিষ্ঠাতা কুশওয়াহা রাজপুত বংশ। সে গড়ের অতীত গৌরব বর্তমানে ম্রিয়মাণ। কিছু অংশ ভগ্নপ্রায়। অনেকাংশেই জঙ্গলাকীর্ণ। তবু মূলতঃ সেই কেল্লার আকর্ষণেই আমার সেখানে যাওয়া। আয়তনে এ কেল্লা গোয়ালিয়র কেল্লার পরে মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম। কিন্তু প্রচারের অভাবে পর্যটকদের কাছে ব্রাত্য। তাতে অবশ্য ভালোই হয়েছে। নির্জনে মনের আনন্দে ঘুরেছি। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৩ … আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়, তাহলে তো খুব অনিশ্চিত ব্যাপার! উনি নির্মল হেসে দুটো হাত মুখের সামনে তুলে বলেন, বাবুজী, লেনে কে লিয়ে তো হ্যায় স্রিফ দো হাত - লেকিন দেনে কে লিয়ে হ্যায় হাজারো হাত। কুছ না কুছ মিল হি যাতা। কথাটা যে বিরাট ভাবগম্ভীর, তা নয়। তবে কিছু কথা কেতাবে পড়ে অলস ভাবনায় নাড়াচাড়া করা আর কাউকে সেটা গভীর বিশ্বাসে আঁকড়ে জীবন কাটাতে দেখার অভিঘাত আলাদা। দু হাত পেতে আশায় থাকা মানুষের সংখ্যাও তো কম নয়। তাই নিত্য অনিশ্চিয়তা এহেন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাও এতো বিনদাস ভাব! বলার ভঙ্গিতে এমন সহজ কথাও অন্তরাত্মা অবধি নাড়িয়ে দিল। তাই একযুগ বাদেও ভিন্ন জায়গার এই ভ্রমণবৃত্তান্ত লিখতে বসে তাঁর সেই অমল হাস্যময় মুখ মনশ্চক্ষে পরিস্কার ভেসে উঠলো। ... ...