এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • মাননীয় শিরদাঁড়া ও মগজেসু

    মালবিকা মিত্র
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৬২ বার পঠিত | রেটিং ৩.৩ (৩ জন)
  • ∆ টিভি নিউজে দেখলাম ডাঃ অনিকেত মাহাতো অনেকটা সুস্থ হয়েছে। আজতো অনশন ১৩ দিনে গড়ালো।

    -- ওভাবে বলবেন না। বলুন ৩১২ ঘন্টা হলো। আপনার বলাটার মধ্যে কেমন যেন একটু উদাসীনতা, অবজ্ঞার ভাব আছে। ভাবুন দেখি ৩১২ ঘন্টা !

    ∆ তাহলে আপনি বরং মিনিটে বা সেকেন্ডে বলুন। তাহলে সংখ্যাটা আরেকটু বড় দেখাবে। আর, একটুও তাচ্ছিল্য ভাব বা উদাসীনতা থাকবে না। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনেও তো দিন হিসেবে লেখা থাকে। তাই বলেছিলাম। ঘন্টা হিসেবে কি লেখা থাকে? লেখা হয় ওডি, বিডি, টিডি, Once daily, Bi daily, Thrice daily এইরকম। কখনো কি বলা হয় ২৪ ঘন্টায় একবার, ১২ ঘণ্টায় একবার বা আট ঘণ্টায় একবার, এমন তো বলা হয় না। প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়, রিপোর্ট আফটার টু উইকস। কেন তাহলে ঘন্টা হিসেব করে বলেন না?

    -- আপনার সাথে কথা বলাই ভুল। আপনি আসলে একজন চটি চাটা। ডাক্তারদের আন্দোলনকে বাঁকা চোখে দেখেন, তাই আপনি এমন উদ্ভট যুক্তি হাজির করছেন। আপনার কথার মধ্যে শ্রদ্ধা ভাবটাই নেই। জানেন তো, আমাদের যারা অনশন করছে, তারা পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনী। তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটা দিতে শিখুন। কতোটা মেধা আর ব্যক্তিত্ব থাকলে তবে .....।

    ∆ রাখুন আপনার মেধা আর পার্সোনালিটি। সেই ছোটবেলা থেকে ইংরেজি "পাস্ট পারফেক্ট টেনস" শিখতে গিয়ে উদাহরণ হিসেবে জেনে এসেছি, "ডাক্তারবাবু আসিবার পূর্বেই রোগী মারা গেল" এবং "পুলিশ আসিবার পূর্বেই চোর পালাইয়া গেল"। এখানে দুজনের শিরদাঁড়া, মেধা, ব্যক্তিত্ব একাকার।

    -- একটা কথা মনে রাখবেন, অপরকে সম্মান প্রদর্শন করলে নিজে সম্মান ফেরত পাওয়া যায়।

    ∆ এই সেরেছে, আমি অসম্মান করলাম কোথায়? বলতে একটু ভুল করেছি, এইমাত্র। অনশন করছেন ডাক্তারবাবুরা, ভুলে গেছিলাম আপনাদের পেশায় ছোট একক নিয়ে কাজ। ১০০ এমজি, ফিফটি এমএল, এরকম মিলিলিটার, মিলিগ্রাম হিসেবে আপনাদের অভ্যাস। সে দিক থেকে ঘন্টা একটু বেশি হয়ে গেল। তাই বললাম, ওটাকে মিনিট, সেকেন্ডে বললে ভাল দেখায়। দেখবেন প্যারাসিটামল ০.৬৫ গ্রাম বললেই চলে। কিন্তু বলা হয় ৬৫০ এমজি। ফ্লুইড, দেওয়া হয় এমএল হিসেবে, ইঞ্জেকশন এমএল হিসেবে। ডাক্তারবাবুরা এই ছোট ছোট এককের সাথে অভ্যস্ত। সেইটাই বলেছি এটাকে এত অ্যাডভারস নেবেন না। ভাবুন একজন পথচারী তাকিয়ে দেখবে, ১৩ দিন অনশন। তার কাছে ওটা তেমন হয়তো গুরুত্ব পেল না। সে ব্যক্তি হয়তো নিজেই লকডাউনের সময় তিন চার পাঁচ দিন না খেয়ে থেকেছে। কিন্তু সে যখন দেখবে ৩১২ ঘন্টা। মাথাটা একটু বিগড়ে যাবে। কারণ সবার কাছে তো আর ক্যালকুলেটর থাকে না। তাই বলছি, যদি ওটাকে ১৮৭২০ মিনিট বলা হয়, পথচারী মাথা ঘুরে পড়েও যেতে পারে।

    -- দেখুন আপনি শুরু থেকেই বাজে কথা বলছেন। ডাক্তারবাবুরা অযথা সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর চেষ্টা করেননি। সে চেষ্টা করার কোন ইচ্ছেও নেই। যেটা সত্য সেটাই তুলে ধরছি আমরা।

    ∆ বেশতো তাহলে আমায় বলুন, মোট ডাক্তারের সংখ্যার হিসেব দিতে গিয়ে সরকারি, বেসরকারি, মহকুমা হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতাল, মৃত, অবসর নেওয়া, সব মিলিয়ে ডাক্তারের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ৯৩ হাজার। তুলনায় জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা ৭ হাজার ৪০০, তাহলে কিভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হয়? এটা ছিল ডাক্তারবাবুদের যুক্তি। মোট ডাক্তারের সংখ্যা যত বাড়ানো যাবে, শতাংশের অনুপাতে জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা তত কম দেখানো যাবে। এবার বলি জুনিয়ার ডাক্তার বাবুরা আছেন প্রধানত ২৬ টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই ২৬ টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারবাবুর সংখ্যা খুব বেশি হলে সাড়ে ছয় সাত হাজার। আর এর মধ্যে শূন্য পদ আছে প্রায় ২০০০ এর মতো। তার মানে ডাক্তারবাবু আছেন প্রায় ৫০০০ এর মতো। আর জুনিয়র ডাক্তার আছেন প্রায় ৭৪০০ । কি এবার বোঝা যাচ্ছে কেন জুনিয়র ডাক্তাররা সিনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়েছিল। কারণ তখন বাড়িয়ে দেখালে বোঝানো যাবে হাসপাতাল স্বাভাবিক চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কোন অসুবিধা সৃষ্টি করেন নি। দরকার মতো বাড়িয়ে দেখায় তো। দেখলেন না ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী মৃতার শরীরে ১৫০ গ্রাম বীর্যের তথ্য দিলেন। যেটা নাকি ৩০ জন ধর্ষণ করলে তবেই সম্ভব। দরকার মত ডাক্তার বাবুরা বাড়িয়ে দেখান। আবার দরকার মতো কমিয়ে দেখান। ২৬ টি মেডিকেল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা প্রায় ষাট শতাংশ যেটা তারা দেখাতে চেয়েছিলেন ১০ শতাংশের কম।

    -- না আপনার এখানে বসাই যাবে না আমি বরং উঠি।

    ∆ রাগ করেন কেন। কথাবার্তা বললেই তো অনেক কথা জানা যায়। আর আপনারা হলেন পন্ডিত, আপনাদের কাছে অনেক কিছু জানার আছে। নিন একবার চা খান।
    শুধু কি অনশনের ঘন্টা? আর সিনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি? ধরুন একটা আন্দোলন শুরু হল তিন দফা দাবিতে তারপর সেটা বেড়ে হল ৫ দফা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে হলো ৮ দফা। আলোচনা হল। আলোচনা থেকে ফিরে ডাঃ দেবাশীষ বক্তৃতায় কি বললেন? এটাও আমাদের জয় .... এটাও আমাদের জয় ..... এটাও আমাদের জয় .......। বলতে পারেন আমাদের চারটি দাবী আদায় হয়েছে। আচ্ছা! দাবি যদি আদায় হয় বা পূরণ হয়, আন্দোলনের জয় হয়, তাহলে দাবির সংখ্যা কমে, না বাড়ে? আমরা তো দেখলাম আন্দোলনের জয়ের ফলে কত ঝাক্কাস নাচ গান হলো স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। তারপর দাবীর সংখ্যা বেড়ে গেল, কেন? এত ছোটবেলায় শোনা সেই ধাঁধা, বলুন দেখি, কোন জিনিস টানলে ছোট হয়? মানে উত্তরটা হতো - সিগারেট।

    -- তা কেন হবে ধরুন ১৪ তারিখে আরজি করে রাতে যে হামলাটা, সেটা হলো বলেই তো বিনীত গোয়েলের অপসারণ দাবিটা যুক্ত হল। না হলে হতো না।

    ∆ ওও আচ্ছা। আর ছাত্র সংসদ নির্বাচনটা হয় না কত বছর ধরে?

    -- সে তো এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, প্রায় ২০১১ থেকেই কোনো নির্বাচন করেনি।

    ∆ তাহলে সেই দাবিটা প্রথমেই কেন যুক্ত হয়নি? নতুন করে কেন হল?

    -- নতুন করে নয়, মেডিকেল কাউন্সিল নির্বাচন, থ্রেট কালচার বিলোপ, এসবের প্রশ্নে ছাত্র সংসদ প্রসঙ্গটা এসে গেছে।

    ∆ তার মানে, আগে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। পরে এগুলো গুরুত্ব পেল। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হল। তখনো এসব কথা উঠল না। তারপর ফিরে এসে জিবি মিটিং করার পরে এগুলো যুক্ত হলো দফা হিসেবে, তাইতো? এখন তো মনে হচ্ছে এগুলোই প্রধান দাবি হয়ে গেছে। মুখ্য সচিবের সাথে আলোচনার পর ছাত্র সংসদ, মেডিকেল কাউন্সিল, এগুলোই দেখছি প্রধান দফা।

    -- তা নয়, আগেই দাবি পত্র ছিল। কিছু দাবির ক্লারিফিকেশন সূত্রে এই দাবিগুলো এসেছে। এগুলো হঠাৎ করে আসেনি। ঠিকমত দেখতে গেলে এই দশ দফা দাবি আমাদের প্রধান দাবি।

    ∆ সেটা তো বুঝতেই পারছি। কিন্তু সমস্যা হল ১০ দফায় তো থেমে নেই। এখন তো দফা ১১, সিবিআই এর তদন্তে আমাদের কোন আস্থা নেই। এটা নতুন দাবি। এমনকি জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তৃণমূলের সাথে সেটিং করে ফেলেছে। এ নতুন দাবিটা কোত্থেকে এলো? আপনাদের সম্মতিতে, নির্যাতিতার মা-বাবার আবেদনক্রমে, আপনাদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তদন্তের ভার সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন করলেন। এখন বলছেন সিবিআই মানি না। এটা কিভাবে হলো বুঝলাম না !

    -- হ্যাঁ বুঝিয়ে বলছি, আমাদের প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশের উপর কোন আস্থা ছিল না। কারণ তারা তদন্তকে নিরপেক্ষ করবে না। তাই সিবিআই তদন্তের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সিবিআই দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের তদন্তেই মান্যতা দিয়ে দিল। তাহলে আর নিরপেক্ষতা কোথায় রইল? যথার্থ বিচার কি করে পাওয়া যাবে?

    ∆ আচ্ছা বেশ, তার মানে আপনাদের ডাক্তারের ভাষাতেই বুঝিয়ে বলি, একজন ডাক্তারবাবু একটা রোগ নির্ণয় করলেন ও অ্যাডভাইস করলেন। পেশেন্ট হিসেবে আমার ওই নির্ণয় ও এডভাইস মনঃপুত হলো না। তখন আমি সন্দেহ দূর করতে আরো বড় ডাক্তারের কাছে একটা ওপিনিয়ন নিতে গেলাম। বলা যায় ক্রস চেকিং। সেই ডাক্তারবাবু যদি আগের ডাক্তারের নির্ণয় ও অ্যাডভাইস বহাল রাখেন, তাহলে আমি দুটো মত ই বাতিল করব? কারণ আমি যা শুনতে চাইছি সেটা শোনা যাচ্ছে না? তাই তো? ক্রস চেকিং করা হয় নির্ভুল ফলাফল লাভ করার জন্য, তাই নয়কি? পেশেন্ট পার্টির যদি মনে হয় চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মৃত্যু, তাহলে সেটাই সত্য। আর তার সুবিচার তো এই পুলিশ প্রশাসন দেবেনা, তাদের প্রতি আস্থা নেই। অতএব পাবলিক পেটানি। কি, এটা আপনি সমর্থন করেন তো? আপনাদের পূর্বসিদ্ধান্ত হল হাসপাতালে একটি দুষ্টচক্র আছে। সেই দুষ্টচক্রের পান্ডা সন্দীপ ঘোষ। তাদের হাতেই গণধর্ষণ ও হত্যা। সেই কারণেই ১৫০ গ্রাম বীর্যের তথ্য। এই পূর্ব নির্দিষ্ট গল্পটা কলকাতা পুলিশ মান্যতা দেয়নি। সিবিআইও দিল না। অথচ সিবিআই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট ৩-৪ জায়গায় ক্রস চেকিং করিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তাতে সম্পূর্ণ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এবার আপনারাই বলুন কে আপনাদের সুবিচার দেবে।

    -- দেখুন, সঞ্জয় রায় ছিল কলকাতা পুলিশের বলির পাঁঠা। এই ধর্ষণ আর হত্যা ও একা করেনি, করতে পারে না। আর সেটাকেই কিনা সিবিআই মেনে নিল।

    ∆ ঠিক কথা। তাহলে আপনারাই জানেন কে আসল অপরাধী। তাকে ডোরিনা ক্রসিংয়ে হাজির করুন। বিচার করে রায় ঘোষণা করুন, তিন মাসের ফাঁসি। আর তা না হলে তো বলতে হয়, ডাক্তারবাবু, ডাক্তারবাবু সঞ্জয় তোমার কে হয়?

    -- আশ্চর্য ! একটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে যদি আমার অসন্তোষ থাকে, তা আমি বলতে পারব না? সেটা বলা অন্যায়? রাজ্য পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট আর সিবিআই এর তদন্ত রিপোর্ট মিলে গেল, মানে সব ঠিক আছে? এটা কোথায় ঠিক হলো? দুজনেই ভুল, দুজনেই দুর্নীতিগ্রস্ত, এমন তো হতেই পারে।

    ∆ নিশ্চয়ই হতে পারে। কিন্তু কথা হল সিবিআই তদন্তটা আপনারাই চেয়েছিলেন, নিরপেক্ষ মনে করে। আর সিবিআইকে রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। তাহলে আপনাদের একটিও প্রতিবাদ সিবিআই দপ্তরে নেই কেন? ওই একদিনের নামমাত্র প্রতিবাদ ছাড়া, সিবিআই দপ্তরে সামনে অনশন করছেন না কেন? সিবিআই কে পরিচালনা করে যে কেন্দ্রীয় সরকার, তারই প্রতিনিধির কাছে করজোড়ে অভিযোগ জানাতে গেলেন কেন? আর সিবিআই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্যের হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ ডেকে আনছেন কেন?

    -- আপনি নিশ্চয়ই রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা বলছেন। উনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ওনার কাছে যাইনি। উনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তাই গিয়েছি। আর করজোড়ে গেছি এ কথা কে বলল? দাবি পত্র নিয়ে গেছি।

    ∆ বেশ তো, তাই যদি হয়, আপনাদের জানা আছে এই সাংবিধানিক প্রধানের হাতেই সমস্ত পুলিশকর্তাদের নিয়োগ হয় এবং অপসারণ হয়। আবার এটাও জানা আছে এই সাংবিধানিক প্রধান সংবিধানের রক্ষা কবচ নিয়েই নারীর শ্লীলতাহানির মত গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েও নিরাপদে আছেন। শুধু রক্ষাকবচের কারণে তার তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। আপনারা অভিযোগ জানানোর জন্য বাছলেন একেই। আর এই সাংবিধানিক প্রধান নিয়মিতভাবে মোদী অমিত শাহর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন এই রাজ্যকে কিভাবে ব্যতিব্যস্ত করা যায়, তার ছক কষেন। সেইখানে গিয়ে অভিযোগ জানানোটা সুবিচারের জন্য, নাকি সরকারকে আরেকটু উত্যক্ত করার প্রচেষ্টা? আর দ্বিতীয় যেটা বললেন করজোড়ে যাননি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার সময় ১৫ জন হবে না ৩০ জনই যাব, ৩০ বেড়ে হয়ে যায় ৩৫ জন। লাইভ স্ট্রিমিং চাই, ভিডিওগ্রাফি চাই, মিনিটস চাই, কত বাহানা। এখানে প্রধান ফটক দিয়ে যদিও বা ১১ জন ঢুকলেন, রাজ্যপালের কাছে পাঁচ জনের বেশি ঢুকতে দেওয়া হলো না। কি, তাই তো? আপনারা একটুও অপমানিত হলেন না। সত্যিই আপনাদের শিরদাঁড়া আর মগজকে বাহবা দিতে হয়। আপনাদের বিপ্লবীয়ানা বোঝা গেছে। এখানে সিবিআই এর বিরুদ্ধে ধর্মতলার মাচা গরম করছেন, আর সুপ্রিম কোর্টে আপনাদের আইনজীবী সিবিআই এর তদন্তের বিষয়ে কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করছেন না। বাইরে মাচা গরম করা, আর বাজার গরম করা, এটাই উদ্দেশ্য হয়ে গেছে।

    -- বিষয় তা না। আমরা আস্থা রাখার মত কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান আইন আদালত পাচ্ছিনা। এদের প্রতি আস্থা রাখা যায় না। আদালতে দাঁড়িয়ে তো অনাস্থা জানানো যায় না। মানুষের মাঝে গণ আদালতেই সেই সত্যি কথা সোচ্চার ভাবে বলা যায়।

    ∆ তাহলে ৭০ দশকের বিপ্লবীদের মতো এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান মানিনা বলে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। প্রতিষ্ঠানের পয়সায় পড়াশোনা করব, প্রতিষ্ঠানের হাসপাতালে চাকরি করব, বেতন নেব, আর বলবো আমার আস্থা নেই, তাই আমি কর্ম বিরতি করব, গরিব মানুষের চিকিৎসা করব না। আমি প্রতিবাদী। এটা দুধে ও তামাকে সমান আসক্তি নয় কি? এই ব্যবস্থার সেরা সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলিতে আস্থা বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা নেই। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করা হলো। ভোটের ফলাফল পছন্দ হলো না। অতএব কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠুঁটো জগন্নাথ, একে দিয়ে হবেনা। আপনারা যারা আন্দোলন করছেন সেই নেতাদের পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস আছে? দেবাশীষ রাজভবন থেকে বেরিয়ে জানালেন রাজ্যপালের সাথে কথা হয়নি, তিনি স্মারকলিপি জমা নিয়েছেন। আর কিঞ্জল নন্দ বললেন, রাজ্যপালের সাথে দেখা হয়নি, কর্মচারীর হাতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। কাকে বিশ্বাস করবো? আপনারা ন্যূনতম, রাজ্যপাল কে প্রদত্ত স্মারকলিপির একটা ফটোকপিও গণমাধ্যমে প্রকাশ করলেন না। অথচ আপনারা সব কিছুতেই স্বচ্ছতা চান। কথায় কথায় বলেন জিবিতে সিদ্ধান্ত হবে। আমি ভাবতাম জিবি অর্থাৎ জেনারেল বডি, এটাই তো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তনী জানালেন, জিবি মানে থিয়োরিটিক্যালি জেনারেল বডি হলেও, ওটা আসলে গভর্নিং বডি, মানে যার নেপথ্যে থাকে গ্রান্ড ব্রাদার্স বলতে পারেন। সেই দাদাদের সম্মতি অনুমতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হয়। অতএব সরকারপক্ষ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল কারোরই আপনাদের সাথে আলোচনা করে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। কারণ ফাইনাল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে গ্র্যান্ড ব্রাদার্স মিটিং। অর্থাৎ আপনারা এখন দাবার বোড়ে। বোড়ে দিয়ে আর যাই হোক, সিস্টেম পাল্টানো যায় না। আপনারা পথভ্রষ্ট দিশেহারা। ইচ্ছে হলেও অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, আপনাদের হাতে নেই। কারণ গ্র্যান্ড ব্রাদার্সদের হাতে আছে আপনার পরীক্ষার নম্বর, আপনার ভবিষ্যৎ । অতএব চলতে থাকুন, চলতে থাকুন। গ্র্যান্ড ব্রাদার্স মিটিং নিত্যনতুন দাবির কাঠখড় গুঁজতে থাকুক। চিতার আগুন টা ২০২৬ পর্যন্ত জ্বালিয়ে রাখতে হবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৯538664
  • ছাব্বিশ!! ;)
    অলরেডি খবরের কাগজে তলার দিকের খবরে স্থান হয়েছে। বর্তমানের মতো কাগজগুলিতে তো কবেই খুচরো খবর মোডে চলে গেসলো। তাও আবাপ এতদিন টেনেছে। আজ দেখছি সেখানেও তলার দিকের খবর। কাগজ তথা জনমানস থেকে উধাও হওয়া আর দিন কয়েকের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।
  • আহাগো | 2405:8100:8000:5ca1::27e:***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০৩538665
  • ভবি কিছুতেই ভুলে না, না?
    আজ আবার স্বাস্থ্যসচিব দৌড়েছেন ওখানে। কতটা তাচ্ছিল্যের অনশন হলে সরকার এত চাপে পড়ে, তাই না?
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩৫538666
  • @১৬ঃ০১ - এই প্রশ্নগুলো উঠবে এটাই স্বাভাবিক- ডাক্তার নেতাদের বা যারা আন্দোলন এর সমর্থক তাদের উচিত এর সৎ উত্তর দেয়া বা খোঁজাএর সাথে সরকারের বা কোন দলের সংযোগ নেই -আর প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নে হয় না।
  • hehe | 185.145.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩৭538667
  • ইনি চটিচাটায় সম্পাদককেও ছাড়িয়ে গেছেন। এনাকে গুরুচন্ডালির পক্ষ থেকে কুমিরশ্রী দেওয়া হোক।
  • hehe. | 2405:8100:8000:5ca1::6c:***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৪538668
  • বুধবারেও তিনি ছিলেন ‘কমরেড’। ছিলেন ‘নেতা’। ছিলেন ‘আমাদের লোক’। কিন্তু বৃহস্পতিবার এক ঘণ্টার একটি বৈঠকের পরের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ‘কমরেড’ হয়ে গিয়েছেন ‘চটিচাটা’। ‘আমাদের লোক’ হয়ে উঠেছেন ‘কুণাল ঘোষের চামচা’! যাঁকে নিয়ে এই আকস্মিক ‘বোধিজ্ঞান’ লাভ, তিনি চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি বামেদের যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ‘ক্যাপ্টেন’ বলে সম্বোধন করেন। যিনি গত লোকসভা নির্বাচনেও দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রচার করেছেন। ‘সুজনসখা’ হয়ে জনগণের উদ্দেশে হাত নেড়েছেন হুডখোলা জিপে চড়ে।
     
  • এজ্ঞে চটিচাটা | 2402:3a80:197e:340e:50fb:c742:a96c:***:*** | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৩৪538704
  • আমি বলি ওরে কথা শোন ক্ষ্যাপা 
    দিব্বি আছিস খোশ হালে 
    প্রায় হাফ নেতা হয়ে উঠেছিস 
    এবার এ দাঁও ফসকালে 
    ফিরবে না হাওয়া আর পালে 
    আমও হারাবি ছালাও যাবে 
    পাশে পাবি না কোন সুবর্ণ পূণ্য 
    পুনর্মুষিক ভব শুন্য .... শুন্য .... মহাশূন্য। 
  • হিজীবীজবীজ | 2402:3a80:196f:b8d5:34eb:acff:fe31:***:*** | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৪৩538719
  • তখন জরুরি অবস্থা চলছে, উত্তরপাড়া কলেজে ছাত্র পরিষদের দাপাদাপি। তাদের সঙ্গী তখন সিপিআইের ছাত্রসংগঠন এআইএসএফ। ছাত্র পরিষদ নেতা একজন এসএফআই নেতা কে ডেকে নিয়ে আড়ালে থ্রেট করছে এবং মারবে বলে ঘুষি পাকিয়েছে। তার সঙ্গে ছিল এআইএসএফের একজন নেতা। এসএফআইয়ের ছেলেটি মুখে খুব হম্বিতম্বি তড়পানি শুরু করল এমন, যে মুষ্টিবদ্ধ ছাত্র পরিষদ নেতাটি একটু থমকে গেল। তারপর মুঠোটা সজোরে চালালো পাশে দাঁড়ানো এআইএসএফের কর্মী টির মুখে। সে তো অবাক , আরে এটা কি হচ্ছে? আমি তো তোদের সঙ্গে আছি। ছাত্র পরিষদের সেই নেতাটি আরেকটি ঘুসি কষালো। তুইও তো শালা কমিউনিস্ট, শালা রাশিয়া , লেনিনের দালাল।
    যুক্তি পাচ্ছেন না তো? তাতে কি , গায়ের ঝাল তো জুড়ালো।
  • শ্রমণ দত্তরায় | 117.227.***.*** | ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৪৭538739
  • সামগ্রিক পোস্ট এবং তদুপরি কমেন্ট গুলো পড়ে বুঝলাম বাঙালির আর কোনো উন্নতি সম্ভব নয়। এরকম malice পূর্ণ জাতির অস্তিত্ব না থাকাই ভালো। নিজের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে আনলার্ন করা যায়না, উপায় থাকলে তাই করতাম।
  • :|: | 174.25.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:৩৬538748
  • বলছেন? "বাঙালির আর কোনো উন্নতি সম্ভব নয়" -- তাই "আনলার্ন" করতে পারলেই "উন্নতি" করতে পারতেন? শুধুমাত্র "আনলার্ন" করতে পারলেননা বলেই জীবনে সফল হতে পারলেননা? খারাপ লাগছে নিজের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন দেখে। 
  • রঞ্জন | 2402:e280:3d02:20a:7962:ae4d:4ae:***:*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২৪538761
  • :)))
  • শ্রমণ দত্তরায় | 103.249.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ২১:১৬538829
  • নিজেকে কোথাও ব্যর্থ বলেছি তো মনে হয় না। মনে করিও না। ব্যক্তিজীবনে সফল হওয়ার কোনো প্রসঙ্গও তুলিনি, যে চে এই কথাগুলো তুলে যে ফ্রয়েডীয়ান স্লিপের আদর্শ প্রমাণ দিয়ে ফেললেন দেখছি
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:০১538840
  • অ! "নিজের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি ..." ইত্যাদি পড়ে ভাবলুম নিজের কথাই বলছেন। 
    যাগ্গে শুনে ভরসা পেলুম যে বাঙ্গালী হয়েও যখন আপনি ব্যক্তিগত ভাবে সফল হয়েছেন তখন সমষ্টিগত ভাবে বাঙ্গালী নিশ্চয়ই উন্নতি করছে এবং করবে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন