এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আরজি কর - শীর্ষ আদালতের শুনানি - চতুর্থ দিন - অক্টোবর ১৫ 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৯৬ বার পঠিত
  • আগের দিনের শুনানিঃ https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=31189
     
    মূল বিষয়গুলিঃ 
    মূল চারটি বিষয় আলোচিত হয় শুনানিতে। 
    ১। সিবিআই তদন্ত, চার্জশিট এবং স্টেটাস রিপোর্ট। বিচারপতি কোনো অসন্তোষ প্রকাশ করেননি। ডাক্তারদের আইনজীবীরাও না। 
    ২। সর্বভারতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের অগ্রগতি। বিচারপতি অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নির্দেশেও লিপিবদ্ধ করেন। 
    ৩। রাজ্যসরকারের নিরাপত্তাব্যবস্থা সংক্রান্ত আপডেট। সিসিটিভি, বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস, রেফারাল সিস্টেম, এই নিয়ে কথা হয়। রাজ্য স্টেটাস রিপোর্ট দাখিল করে। বিচারপতি কোনো অসন্তোষ প্রকাশ করেননি। ডাক্তারদের প্রতিনিধি অগ্রগতি নিয়ে আপত্তি করেন। মনিটারিং কমিটিতে ছাত্রদের যোগ করার কথা বলেন। বিচারপতি রাজি হননি। রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেন। এবং ডাক্তারদের আইনজীবীকে বলেন, এসবের আগে ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। 
    ৪। নিরাপত্তা রক্ষী, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং রাত্রিসাথী। এই নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু নির্দেশে কিছু দেননি। অগ্রগতি নিয়ে একটি হলফনামা চান। নন্দী এবং জয়সিং এর সওয়াল অনুযায়ী তারপর নির্দেশে যোগ করেন যে হলফনামায় উল্লেখ করা উচিত যে এমন সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাসপাতাল, থানা, বা অপরাধ তদন্তের কাজে নিয়োগ না করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
    ৫। নির্বাচির ছাত্র সংসদ বা প্রতিনিধি। জয়সিং অত্যন্ত জোর দিয়ে বিষয়টা তোলেন, যে, নির্বাচন হচ্ছেনা, এটাই সব সমস্যার মূল। এই নিয়ে বিচারপতি শুনতেই রাজি হননি, কারণ বিষয়টা এই প্রক্রিয়ার বাইরের। 
     
     
    শুনানির সংক্ষিপ্তসার।
    যে আইনজীবীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা কোন পক্ষেরঃ 
    এসজিঃ সিবিআই এবং কেন্দ্রের  আইনজীবী
    দ্বিবেদী এবং সিব্বালঃ রাজ্যসরকারের আইনজীবী
    ইন্দিরা জয়সিংঃ ডাক্তারদের আইনজীবী
    করুণা নন্দীঃ ডাক্তারদের আইনজীবী


    --------------------  

    সিবিআই তদন্ত, চার্জশিট এবং স্টেটাস রিপোর্ট।
     
    বেঞ্চ সিবিআই এর আপডেটেড স্ট্যাটাস রিপোর্ট পর্যালোচনা করে। 

    এসজি (SG): চার্জশিটের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২৪। 

    সিজেআই (CJI): (নির্দেশ দেন) সিবিআই কর্তৃক জমা দেওয়া ১৫ অক্টোবরের ৫ম স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এ পর্যন্ত হওয়া তদন্তের ভিত্তিতে ৭ অক্টোবর তারিখে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে বি.এন.এস এর ধারা ৬৪, ৬৬ অনুযায়ী অপরাধের জন্য একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ.সি.জি.এম. শিয়ালদাহের একটি আদেশ অনুযায়ী মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিচার বিবেচনার শুনানির তারিখ ৪ নভেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। 

    সিজেআই: সিবিআই এর রিপোর্টে বলা হয়েছে অন্যান্য অভিযুক্তদের ভূমিকা সংক্রান্ত চার্জশিট এখনও তদন্তের বিষয়। সিবিআই কিছু পক্ষ থেকে সংযোগও পেয়েছে, সেগুলোও সিবিআই পর্যালোচনা করছে। 

    সিজেআই: সিবিআই আর.জি. কর হাসপাতালের আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কিত অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেছে... ৯ আগস্টের ঘটনার এবং অভিযোগকৃত আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে আরও তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে... স্ট্যাটাস রিপোর্ট ৩ সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। 

    সিজেআই: আমরা দেখতে চাই যে টাস্ক ফোর্স কতটা অগ্রগতি করেছে। 

    এসজি: এবং সিবিআই কর্মকর্তারা মৃত ব্যক্তির পিতামাতার সাথে সরাসরি যোগাযোগে রয়েছেন। 

    সিজেআই: সিবিআই মৃত ব্যক্তির পিতামাতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছে এবং এ পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদের জানানো হয়েছে... এমইআইটিওয়াই (MEITY) মৃত ব্যক্তির পিতামাতার সাথে যোগাযোগ করেছে যাতে কোনো ইন্টারমিডিয়ারি প্ল্যাটফর্মে মৃত ব্যক্তির কোনো তথ্য থাকলে তা সরিয়ে নেওয়া হয়।
     
     
    সর্বভারতীয় টাস্কফোর্সের অগ্রগতি  

    সিজেআই: মিস্টার এসজি, টাস্ক ফোর্সের অবস্থা কী?

    এসজি: তাদের কিছু সুপারিশ রয়েছে আসলে - প্রায় ৭৮০০ হাসপাতাল তথ্য জমা দিয়েছে।

    সিজেআই: ৫ই সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত কী হয়েছে?

    এসজি: শেষ মিটিং ছিল ৯ই সেপ্টেম্বর। 

    সিজেআই: তারপরে কোনো মিটিং হয়নি কেন? 

    এসজি: মাই লর্ডস, আমি সচিবকে অনুরোধ করতে পারি। 

    এসজি: আমি মনে করি টাস্ক ফোর্স যা কিছু করছে সেটা দীর্ঘমেয়াদী হবে, এ কারণেই তারা সময় নিচ্ছে। 

    সিজেআই: প্রথম এনটিএফ (NTF) মিটিংয়ে, স্টেকহোল্ডারদের সাথে যোগাযোগ করার এবং নিম্নলিখিত বিষয়ে সুপারিশ প্রস্তুত করার জন্য ৪টি উপ-দল গঠন করা হয়েছিল... ২২ আগস্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে, ইনপুট সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েবলিংক তৈরি করা হয়েছিল, প্রায় ১৭০০ ইনপুট পাওয়া গেছে... ২০ আগস্টের রায় অনুযায়ী নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে... পরিবার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের প্রশ্নমালা শেয়ার করেছে।

    সিজেআই: ৭৮৮০টি হাসপাতাল তাদের উত্তর জমা দিয়েছে... বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে এনটিএফ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি... এসজি স্বীকার করেছেন যে ৯ সেপ্টেম্বরের পর কোনো মিটিং হয়নি, আমরা মনে করি যে ইউনিয়নকে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এনটিএফের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়।

    সিজেআই: এনটিএফের মিটিং নিয়মিত হওয়া উচিত, সমস্ত উপ-দলগুলোকে নিয়মিত মিটিং করতে হবে, এই কার্যক্রম ৩ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে।
     
     
    রাজ্যসরকারের নিরাপত্তাব্যবস্থা সংক্রান্ত আপডেট 

    সিনিয়র অ্যাডভোকেট দ্বিবেদী: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য একটি হলফনামা দাখিল করেছে। (পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দ্বারা ডাক্তারদের জন্য পূর্ববর্তী সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে)

    দ্বিবেদী: আপনি হয়তো লক্ষ্য করতে পারেন যে আর.জি. কর হাসপাতালের কাজে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে, আমরা এর জন্য সবে  অনুমোদন পেয়েছি, অন্যান্য সমস্ত হাসপাতালের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

    দ্বিবেদী: আমার কাছে নির্দেশনা রয়েছে, আর.জি. কর কলেজের কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

    দ্বিবেদী: প্যারা ৭-এ আমরা উল্লেখ করেছি যে বিভিন্ন স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে, জরুরি এলার্মও স্থাপন করা হয়েছে।

    সিজেআই: বায়োমেট্রিক সুবিধা কি স্থাপন করা হয়েছে?

    দ্বিবেদী: হ্যাঁ, আমরা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এটি আপডেট করব, বিশ্রামকক্ষ এবং অন্যান্য এলাকায় এটি স্থাপন করা হবে।

    সিজেআই: হলফনামাটি আমাদের বিশ্রামকক্ষ, ডিউটিরুম এবং সিসিটিভি কাজের বিভাজন দিয়েছে, ৯০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আর.জি. করের কাজ বাকি আছে।

    সিনিয়র অ্যাডভোকেট করুণা নন্দী: আমাদের ডাক্তাররা সেখানে কাজ করছেন, তারা বলছেন কোনো কাজ হয়নি।

    সিজেআই: বাজেট বরাদ্দ ছাড়াও তারা(সরকার) সঙ্গে ছবিও দিয়েছে।

    করুণা নন্দী বলেন, যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাত্র ১ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আসল টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে পরবর্তী আর্থিক বছরে। সেটাই মূল সমস্যা। জবাবে একজন রাজ্য কর্মকর্তা (স্বাস্থ্যসচিব? ) ব্যাখ্যা করেন, যে কাজের চুক্তির বাজেটগুলি পর্যায়ক্রমে পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। বছর শেষ হয়ে আসায় সফটওয়্যারে এ বছরের বরাদ্দ ১ টাকা রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি নিজের ক্ষমতাবলে অন্য খাত থেকে টাকা আনতে পারেন। আনবেনও। এবং কাজ হচ্ছে। 

    সিজেআই শুনে বলেন, রাজ্যের এক্তিয়ারে তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেননা। বড়জোর কিছু রূপরেখা তৈরি করে দিতে পারেন। 

    সিজেআই: খুব বেশি  আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি এ বিষয়ে।

    সিজেআই: আর.জি. করের কাজের অবস্থা সম্পর্কে হলফনামায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে... মি. দ্বিবেদী আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন যে ২২৮টি মেডিক্যাল কলেজে চলমান সমস্ত ঘাটতির কাজ ২১ অক্টোবরের মধ্যে এবং আর.জি. করের কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

    সিজেআই: রাজ্যের কমিটিগুলি (১) অভিযোগ নিষ্পত্তি; (২) রাজ্য ও জেলা স্তরে নিরাপত্তা নিরীক্ষা... হাসপাতালগুলোতে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীদের যাচাইকরণও সম্পন্ন হয়েছে।

    সিজেআই: রাজ্য একটি সমন্বিত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা চালু করেছে... (রেফারাল সিস্টেম) 

    আদালত পর্যবেক্ষণ করে যে এই ব্যবস্থা অনলাইন ডিসচার্জ, অনলাইন ওষুধের প্রেসক্রিপশন ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে। অনলাইন রিয়েলটাইম শয্যা খালি হওয়ার মনিটরও থাকবে।

    জয়সিং: সমন্বিত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে যে হাসপাতালের জন্য রেফারাল যথেষ্ট ডাক্তার ও সুবিধাসহ হওয়া উচিত, রোগীরা বলছেন যে ভুল হাসপাতালগুলোতে রেফার করা হয় এবং তারপর তারা তাদের রাগ ডাক্তারদের ওপর প্রকাশ করেন।

    জয়সিং ব্যাখ্যা করেন যে প্রায়ই সেইসব হাসপাতালগুলোতে রেফার করা হয় যেখানে শয্যা পাওয়া যায় না, এবং তারপর রোগীরা সেখানে ডাক্তারদের ওপর রাগ প্রকাশ করেন।

    সিজেআই আদেশে যোগ করেন: আইএইচএমএস (IHMS) নিশ্চিত করবে যে রেফার করা হাসপাতালে (১) শয্যা পাওয়া যাবে; (চিকিৎসা সুবিধা এবং ওষুধ ইত্যাদি)।

    অ্যাডভোকেট: কলকাতার এক হাসপাতালে আরেকটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একজন মেয়েকে হাসপাতালের লিফটে কোচ কর্মী দ্বারা যৌন হয়রানি করা হয়েছে - এই পরামর্শে বলা হয়েছে যে হাসপাতালে লিফটে সিসিটিভি থাকা উচিত।

    নন্দী নিরাপত্তা নিরীক্ষার জন্য কমিটিতে ডাক্তারদের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।

    সিজেআই: এর জন্য তাদের তো কর্মস্থানে থাকতে হবে।

    নন্দী: তারা কর্মরত আছেন, মাই লর্ডস।
     
    সিজেআই: মি. দ্বিবেদী তো আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন যে রাজ্যের প্রতিনিধিরা নিরাপত্তা নিরীক্ষার জন্য নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। (সিজেআই ডাক্তারদের কমিটিতে রাখার ব্যাপারটা নির্দেশে যোগ করেননি) 

    সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিবাল: কলকাতা পুলিশের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।

    নিরাপত্তা রক্ষী, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং রাত্রিসাথী

     এর পরের কথা হয় রাত্রি সাথি নিয়ে। নন্দী উল্লেখ করেন যে নিরাপত্তার জন্য সিভিক নিয়োগ দ্বিগুণ  (ডাবল ডাউন) করা হয়েছে।

    নন্দী: এই আদালত একটি রায়ে বলেছিল যে এসপিও (SPOs) অবশ্যই বিলুপ্ত করতে হবে।

    দ্বিবেদী ব্যাখ্যা করেন যে নিয়োগগুলি প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সিস রেগুলেশন অ্যাক্ট ২০০৫ এর অধীনে করা হয়েছে।

    সিজেআই: আমাদের মহারাষ্ট্রেও এটি ছিল,  বেসরকারি নিরাপত্তার জন্য।

    সিজেআই নন্দীকে: এরপর কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান, আপনি আগেই একটি আবেদন দায়ের করতে পারেন।

    নন্দী: আমরা ২ দিন আগেই দায়ের করেছি।

    দ্বিবেদী ব্যাখ্যা করেন যে অভিযুক্ত ২০০৫ সালের আইনের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল না, বরং পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল।

    সিজেআই: আপনার পশ্চিমবঙ্গে কতজন সিভিক ভলান্টিয়ার আছে?

    নন্দী: ১৫১৪ জন।

    সিজেআই: এই অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন, তাকে কীভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল?

    অ্যাডভোকেট: একটি রাজ্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, যা উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।

    অ্যাডভোকেট: ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ করে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা ছিল।

    সিজেআই: মি. দ্বিবেদী, পরবর্তী সময়ে আমরা চাই (১) সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের জন্য আইনি উৎস; (২) তাদের যোগ্যতা; (৩) কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তারা দায়িত্ব পালন করে; (৪) দৈনিক ও মাসিক ভিত্তিতে তাদের বেতন এবং এর জন্য নির্ধারিত বাজেট।

    নন্দী এবং জয়সিং এর সওয়াল অনুযায়ী সিজেআই যোগ করেন যে হলফনামায় এটি উল্লেখ করা উচিত যে এমন সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাসপাতাল, থানা, বা অপরাধ তদন্তের কাজে নিয়োগ না করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্বিবেদী একটি হলফনামা দিতে রাজি হন। 

    অ্যাডভোকেট: অভিযুক্ত একজন পুলিশ ব্যারাকে থাকতেন, তার একটি পুলিশ গাড়িও ছিল, ইত্যাদি।

    জয়সিং: কিছু সমস্যার সমাধান এখনও বাকি, ডাক্তাররা কাজে ফিরে গেছেন, মাত্র কয়েকজন অনশন ধর্মঘটে আছেন - আমার বক্তব্য সেই বিষয়ে।

    জয়সিং: মাত্র ৮ জন ডাক্তার অনশন ধর্মঘটে আছেন।

    জয়সিং: ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা এখনও অনশন ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই চাই যে এই ধর্মঘট বন্ধ হোক, কারণ আমরা তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত।
     
     
    নির্বাচিত প্রতিনিধি 

    জয়সিং বলেন, এই সমস্যার মূল কী। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আর.জি. কর-এ ২০২২ সাল থেকে কোনো ছাত্র নির্বাচন হয়নি, ফলে রাজনৈতিক পটভূমির মনোনীত ব্যক্তিরা উঠে আসেন, যা পক্ষপাতিত্বকে উৎসাহিত করে। এটাই সমস্যার মূল। 

    সিজেআই: এর জন্য আপনি কোনো প্রতিকার চাইতে পারেন, উচ্চ আদালতের ২২৬ ধারার অধীনে যেতে পারেন, আমরা এতে ঢুকতে পারব না... আপনি আপনার আবেদন প্রত্যাহার করুন এবং প্রতিকার অনুসরণ করুন।

    সিজেআই: মিস জয়সিং, আমরা এই বিষয়ে প্রবেশ করব না, এটি বর্তমান মামলার আওতায় পড়ে না।

    সিনিয়র অ্যাডভোকেট মহেশ জেঠমালানি ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশের বিষয়ে উচ্চ আদালতের স্পষ্টীকরণ চাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।

    সিজেআই: আমরা এই বিষয়টি এখন দিওয়ালি বিরতির পর নেব।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:1546:89be:cfce:***:*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১১538553
  • সবপক্ষই তো মোটামুটি সন্তুষ্ট মনে হচ্ছে। আর এই যে অনলাইন রেফারাল সিস্টেম নামে কি একটা হচ্ছে, এটা বেশ ভালো পদক্ষেপ। সিস্টেমটা আরেকটু ট্রান্সপারেন্ট হবে। এটা কি অন্যান্য রাজ্যে চালু আছে কিন্তু পবতে প্রথম হচ্ছে? সেরকম হলে পব সরকার অন্য রাজ্যের মডেল ফলো করতে পারে। 
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৭538554
  • সুপ্রীম কোর্টে এই কেস নিয়ে শুনানি মনে হয় শেষের দিকে। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে কারোর আপত্তি নেই, মূল ঘটনা তো ট্রায়াল কোর্টে চলবে, সিবিআই যদি কিছু পায়, হাইকোর্ট বা সুপ্রীম কোর্টে জানাবে আর রাজ্য - কেন্দ্রর করণীয় নিয়ে তারিখ ইত্যাদির গ্যাপ হয়ত বাড়বে। চন্দ্রচূড় রিটায়ার করলে তো নতুন bench তৈরী হওয়ার কথা। গভঃ, দল, ডাক্তার সবারই এবার বিবিধ agenda চলবে, সামনের মাসে তো ভোটও আসছে।

    রেফারাল সিস্টেমের পাইলট নিয়ে এখানে খবর আছে, সেই সিস্টেমে কী থাকা উচিত, ব্যাপারটা শুধুই একটা application লিখে দেওয়ার মত ব্যাপার নয়, জিনিসটা বেশ জটিল।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন