এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • ডাক্তাররা আদৌ সুবিচার চাইছেন তো? 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৯০৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বড় ডাক্তারদের মুখপত্র ডক্টর্স ডায়লগে অবশেষে সিবিআই চার্জশিট নিয়ে একটি লেখা বেরিয়েছে। লিখেছেন বন্ধুবর বিষাণ বসু। লম্বা লেখা। তিনি লিখেছেন, তদন্তকারী সংস্থার উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। লম্বা মতানৈক্যের পর, এই একটি কথায় আমি সম্পূর্ণ একমত। একমত শুধু না, গোড়া থেকে এইটাই বলে আসছি। এজেন্সির ট্র‌্যাক রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ, বহু ক্ষেত্রেই অপদার্থ, অনেক সময়ই রাজনৈতিক পক্ষপাতে দুষ্ট বলে অভিযোগ আসে। এখানেও তারা প্রচুর ঢিলেমি দেখিয়েছে। সঞ্জয় রায় আরেকটু হলে জামিন পেয়ে যাচ্ছিল. তদন্ত বলতে বস্তুত পুলিশের ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করা কাজকে বহু বিশেষজ্ঞ দিয়ে ক্রসচেক করিয়ে পঞ্চাশ দিন পরে ওই একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। অসম্পূর্ণ চার্জশিটে নতুন কিছু নেই। এর উপরে আছে সূত্র দিয়ে বহু কিছু ফাঁস, যেটা মূলত গ্যালারি শো মনে হয়। ফলে এদের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখা অসম্ভব। 

    ভেবে আশ্চর্য লাগছে, অভিজ্ঞ ডাক্তাররা এটা এতদিনে টের পেলেন। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য যখন সিবিআইকে এক কথায় তদন্তভার দিয়ে দেবার আবেদন করলেন, তাঁরা আপত্তি করেননি। সিবিআইয়ের কাছে আপডেটের দাবীটুকুও করেননি। বরং  'সূত্র'   বলে যে আজগুবি জিনিসগুলো ছড়ানো হয়েছে, সেগুলোকে ব্যবহার করেছেন (এমনকি এই লেখাতে বিষাণ নিজেও  সম্পূর্ণ অসমর্থিত গুজবকে  নিজের সন্দেহের কারণ বলে দাবী করেছেন)। এবং সিবিআইকে বস্তুত কোনো চাপ কখনও দেননি। যতগুলি মিটিং-মিছিল বড় ডাক্তাররা করেছেন   , তার মধ্যে কেবল একটি সিবিআইয়ের কাছে কিছু পেশ করেছেন। তাতে আদৌ কিছু দাবী আছে কিনা জানা নেই, কারণ, লাইভ ইত্যাদি ছেড়েই দিন, দাবীপত্রটুকুও তাঁরা জনসমক্ষে আনেননি। ছোটো ডাক্তাররা একবার সিজিআই এর সামনে কিছু বক্তব্য রেখেছেন। কোনো ডেপুটেশন দেননি, এমনকি বক্তব্যেও কার্যত সিবিআইয়ের নামোল্লেখ করা হয়নি। এখনও যে অনশন চলছে, তার দাবীতে যদিও সুবিচার, দাবী করা হয়েছে, কিন্তু সেটা সিবিআইকে আদৌ জানানো হয়েছে বলে জানা নেই, পুরোটাই চলছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে। 

    এই পুরোটাই সিবিআইয়ের উপর চূড়ান্ত আস্থা রাখার নিদর্শন হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এতদিন পরে যে চৈতন্যোদয় হয়েছে, এবং তাঁরা বুঝতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর আস্থা রাখা যায়না, সেটা সত্যিই সুখবর। কিন্তু আলগোছে 'আস্থা রাখতে পারছিনা' বলে দিলে কিছুই হয়না। সুনির্দিষ্ট কিছু দাবী থাকা দরকার। আমার মতে, ১। সিবিআই নিয়মিত আপডেট দিক। ২। তার জন্য প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুমতি চাক। ৩। সূত্র মারফত আজগুবি 'খবর' লিক করা বন্ধ করুক। ৪। তদন্ত বাঁচিয়ে কী কী রাস্তা দিয়ে তারা এগোচ্ছে, এবং কী কী সম্ভাবনা বাদ দিয়েছে, কীসের ভিত্তিতে দিয়েছে, পুরোটা জানাক। 

    এই পুরোটা দাবী আকারে পেশ করা হোক। আমরা মনিটার করি। ফাঁকফোকর আছে কিনা দেখি। থাকলেই চেপে ধরা হোক। ছোটো ডাক্তারদের দাবীতেও এগুলো যুক্ত করা হোক। 'সুবিচার চাই' বলতে নিশ্চয়ই তাঁরা তাঁদের পছন্দসই লোককে বিনা প্রমাণে ফাঁসি দিতে বলছেন না। সেটা হলে, কেউই মেনে নেবনা, আমিও না, না হলে সিবিআইকেও এগুলো, কিংবা নিজেদের পছন্দসই সুনির্দিষ্ট কিছু দাবী পেশ করুন। সেটা না করলে যেটা দাঁড়াচ্ছে, যে, আমার খুশি মতো সময়ে বলছি সিবিআই ভালো, নইলে খারাপ, কোনো যৌক্তিক পদ্ধতির তোয়াক্কা করছিনা। অবশ্য গত কিছু বছর ধরে বৌদ্ধিক আলোচনা মূলত গিয়ে ঠেকেছে চটিচাটা, চোর, দালাল, ময়না, ছোটোলোক, এই জাতীয় কিছু শব্দে। নিশ্চয়ই এইগুলোই চালিয়ে যাবার মতো ইচ্ছা বিষাণ বা অন্য ডাক্তাররা পোষণ করেন না। 

    এই প্রসঙ্গে বিষাণ নন্দীগ্রামের কথা তুলেছেন। বলেছেন, সেখানেও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। অবশ্যই। কিন্তু আরজি কর বা নন্দীগ্রামের পুরোটাই গুজব না। নন্দীগ্রামে চোদ্দজন রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে খুন হওয়াটা গুজব না। আরজিকরে খুন টা যেমন না, এবং সেটা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নয়। নন্দীগ্রামের চেয়ে আরজিকরে বহুগুণ গুজব সংবাদমাধ্যমের সক্রিয় পৃষ্টপোষকতায় ছড়াচ্ছে, সেটাও ভুল না। নন্দীগ্রামে ছড়িয়েছিল কাউকে ঢুকতে না দেওয়ায়, এখানে অতিরিক্ত উপস্থিতিতে। কিন্তু তার পরেও অতি অবশ্যই গুজব ছড়িয়েছিল। যেসব লেখক বা কথক লিখেছিলেন, কবীর সুমন থেকে সৌমিত্র বসু অবধি, নাম করে প্রশ্ন তুলুন, সূত্র কী। যে লেখায় সূত্র আছে, তার সূত্রদের নাম করে প্রশ্ন তুলুন। লিস্টি চাইলে আমিই লিস্টি বানিয়ে দিতে পারি। সরকারকে প্রশ্ন করুন, নন্দীগ্রামের তদন্তের কী হয়েছিল। সবটাতেই সমর্থন থাকবে। আমরাও জানতে চাই, কী হয়েছিল। খালি ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত স্বার্থের বা সমীকরণের জন্য কাউকে বাদ দেবেন না। কথাটা বললাম, কারণ অনেকেই শুনেছি ডাক্তারদের আন্দোলনের রীতিমতো সংগঠক।

    এগুলো সবই করুন, কিন্তু নন্দীগ্রামে গুজব ছড়িয়েছিল, অতএব এখানে প্রশ্ন করা যাবেনা, এটা অতি হাস্যকর কথা। ডাক্তারদের অন্যতম নেতা সুবর্ণ গোস্বামী অন ক্যামেরা কেন সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা গুজব ছড়ালেন? নাম করেই প্রশ্ন করছি। শুধু ছড়ালেন না, এখনও ছড়িয়েই চলেছেন, আপনারা তাঁকে মাথায় বসিয়ে রেখেছেন, এর ব্যাখ্যা কী? সিবিআই যে সম্পূর্ণ আস্থাভাজন নয়, এটা বুঝতে আপনাদের এত সময় লাগল কেন? বুঝলেনই যদি, তো সিবিআইয়ের কাছে কোনো দাবীর চিহ্নমাত্র নেই কেন? 

    এবং সবশেষ। বিষাণের লেখা থেকেই উদ্ধৃতি দিই। "এদিকে মেয়েটির শরীরে অজস্র ক্ষতচিহ্ন, খুনের আগে বেধড়ক মারধরের প্রমাণ বা কলেজ প্রশাসন ও দলীয় দাদাদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসা তার মতবিরোধ এবং সেই সুবাদে ‘দেখে নেওয়া’ তথা ‘উপযুক্ত শিক্ষা দেবার’ সম্ভাবনা – সবমিলিয়ে সম্পূর্ণ ঘটনাটি একজনের পক্ষে ঘটাতে পারা মুশকিল বলেই আমাদের কারও কারও সন্দেহ।"  এই যে গুলো লিখেছেন, তার সূত্র কী? সংবাদপত্র? যাদের সূত্র সিবিআই সূত্র? সেই সিবিআই সূত্র, যাদের কথা নিজেদের চার্জশিটেই ভুল প্রমাণিত? এই চাইনিজ হুইস্পারের খেলা খেলবেন না প্লিজ। এতদিন বাদে হয়তো একটু একটু বুঝেছেন, যে, এজেন্সি পুরো বিশ্বাসযোগ্য না।  সংবাদপত্রের চাটনি প্রতিবেদনও যে বিশ্বাসযোগ্য না সেটা বুঝতে আরও ৫০ দিন লেগে গেলে মুশকিল। 

    পুঃ একটা জিনিস বাদ পড়ে গেল। একটা উদ্ধৃতি। "আসলে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তর পড়াশোনা করলেও, এই কথাটুকু এঁদের চোখ এড়িয়ে গেছে, যে – প্রমাণের অনুপস্থিতির অর্থ অনুপস্থিতির প্রমাণ নয়।" ঠিকই, প্রমাণাভাবে ছাড়া পাওয়া মানেই নিরপরাধ নয়। কিন্তু বিচারের প্রাথমিক কথাই হল, প্রমাণাভাবে একজন দোষী ছাড়া পেয়ে গেলে যাক, কিন্তু কোনো নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। এইটা নিয়ে তো কোনো বিতর্ক নেই।  এর উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে আছে খাপ পঞ্চায়েত। সেদিকে যাবারও কোনো অপশন নেই। অতএব, কথার জাগলারি ছেড়ে সিবিআই যাতে প্রমাণ জোগাড়ের কাজটা করে, সেদিকে চাপ দেবার জন্য কিছু করুন। নইলে সত্যিই, বোঝা যাচ্ছেনা, আপনারা আদৌ যথাযথ বিচার চান তো? নাকি, ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে, "দেখো সুবিচার হলনা" এরকম একটা আবহ তৈরি করতে চাইছেন। যদি নাই চান, তো সিবিআই এর উপর আস্থা রাখতে পারছেন না, কিন্তু তাদের প্রতি একটিও, দাবী নেই কেন? একটিও? দাবীটা করুন, পক্ষ নিতে বলছেন, অবশ্যই নেব। 
     
    যে লেখার পরিপ্রেক্ষিতে এটা লেখাঃ https://thedoctorsdialogue.com/taking-sides-2/

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৯০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১০538377
  • বিষাণবাবুর মূল দাবিটা ঠিক হৃদয়ঙ্গম হল না। উনি একরকম মেনে নিয়েছেন যে আইনত পুলিশ যা করেছে তার বেশি করা চলেনা, তাই গুজবে ভর করে জনতা কে rioting করতে বলছেন?
     
    এছাড়া দু-একটা প্রশ্ন - ১) এই বিষাণ বাবুরা এত বছর কি করছিলেন? ২) যে ডাক্তার দের বিরুদ্ধে আজ ব্যবস্থা নেওয়া হল - তারা সকলেই সত্যি দোষী তো? নাকি, শুধু বিরোধী লবির লোক বলেই কেউ কেউ শাস্তি পাবেন?
    ৩) এই শাস্তি প্রাপ্ত ডাক্তার দের বক্তব্য কি শোনা হয়েছে না  শুধু অভিযোগের ভিত্তিতেই শাস্তি হয়েছে?
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 2603:8000:a403:4186:9088:c95f:de9f:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১০:০৫538380
  • সৈকত দা  প্রচন্ড ভদ্রলোক তাই রয়ে সয়ে বলছে। বিষাণ বাবুর এই এজেন্সি তে আস্থা রাখা বা না রাখা আসলে মিডিয়ার বা নিজের তৈরী পারসেপশন এর সাথে ( যেটা আসলে আমারও  বন্ধুবৃত্তের  অনেকেরই পারসেপশন ) মেলা বা না মেলার উপর নির্ভরশীল । এতদিন আশা ছিল  যে সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এবং যেখানে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক আদায় কাঁচাকলায় তাই প্রার্থিত ফলাফল মিললেও মিলতে পারে। তা না আসায় হতাশ এবং তা থেকেই বিলম্বিত 'বোধোদয়' হয়েছে।আশা রাখি দু একটা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীট আসলে ওনার মত বদল হতেও পারে। 
  • dc | 2401:4900:4e40:6571:1ca0:c2ef:42eb:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১০:১৫538381
  • সাপ্লিতে আর কারুর নাম আসা মুশকিল, কারন সিবিআই প্রথম থেকেই লিক করছে যে একজনই ব্যাপারটা করেছে। স্যারও বোধায় আর কোন সম্ভাবনা দেখতে পায়নি। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:49ff:7640:9d9f:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৩৪538382
  • ডিসক্লেমার দিয়ে দি বাবাঃ সাপ্লিতে প্রমান লোপাট, দুর্নীতি ইত্যাদিতে জড়িত অন্যদের নাম থাকতে পারে। কিন্তু ধর্ষন আর খুন কান্ডে জড়িত হিসেবে আর কারুর নাম আসার সম্ভাবনা কম। (আমার অনুমান, কোনান ডয়েল আর আগাথা ক্রিস্টি গোটা দশেক বার পড়ে ফেলার ভিত্তিতে অনুমান)। 
  • হিজি-বিজ-বিজ | 2603:8000:a403:4186:9088:c95f:de9f:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৪৩538383
  • @ডিসি দা, স্বপ্নকুমার না পড়লে সে ইমাজিনেশন আপনার আসবে নাকো।  
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:68c7:54b6:aaa8:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২৮538386
  • সিবিআই দপ্তরে মিছিল হবে এরকম একটা খবর চোখে পড়েছিল। কিন্তু এখন তো দেখছি আবার লালবাজার অভিযান চলছে, হবে নিশ্চয় কোন দিন।

    মোটামুটি ঘটনাটা নিয়ে সব পক্ষ খেলেছে। গভঃ - এর দায় তো সবথেকে বেশী, নিরপেক্ষ প্রশাসন হলে হাসপাতালের মাথাদের প্রথমেই সরিয়ে দিত, সিনিয়র অফিসারদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করত ইত্যাদি। যাতে অবিশ্বাস কাটানো যায় বা তারা যে চেপে দিচ্ছে লোকের সেই আন্দাজ বন্ধ করা যায়, কিন্তু সেসব তো হয়নি।

    হয়নি বা হবে না বলেই উল্টোপক্ষ, দল - ডাক্তাররা গভঃ এর মিথ্যে বলাকে চাপা দেওয়ার জন্য যেন আরো বেশী খবর ছড়িয়েছে, যেন মিথ্যে বলা সরকারকে চেপে ধরতে আরো মিথ্যে বলতে হবে বা বাড়িয়ে বলতে হবে।

    এখন টানাটানি চলছে, পুরোটাই 'পোলিটিক্স' হয়েছে, অনশন করে ডাক্তারদের অবস্থা খারাপ হলে পুলিশ এসে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে, তখন ঝামেলা হবে ইত্যাদি। এইসব চলবে মনে হচ্ছে, কে জেতে কে হারে। মূল ঘটনাটা, মূল ঘটনাটা, ওটা বুড়ি ছোঁয়া হয়ে থাকবে।
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০৫538388
  • সিএস , কালকে কারা মন্ডপে মন্ডপে কলরব করছিল বলে তাদের লালবাজার নিয়ে গেছে , লালবাজার অভিযান সেজন্য। 
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:68c7:54b6:aaa8:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:২১538389
  • পাপাঙ্গুল, হ্যাঁ, সে জানি, কেন লালবাজার। আজ হয়ত অন্য কোথাও স্লোগান দেওয়া হবে, পুলিশ আবার ধরবে ইত্যাদি। সরকারপক্ষ যদি চায় লোকে পুজো দেখে ব্যাপারটা ভুলে যাক, অন্যপক্ষ চাইছে প্যাণ্ডেলে গিয়ে গিয়ে মানুষকে ব্যাপারটা মনে করিয়ে রাখতএ। তো, এটাই দড়ি টানাটানি, এখন যা চলছে, চলবে। এতে অসুবিধে কিছু নেই, ডাক্তারদের দাবীর দিক থেকে দেখলে except মূল ব্যাপারটা, ওটা মনে হয় হারিয়ে গেছে। যদি না কোর্টে কথা হয়।
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:68c7:54b6:aaa8:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:০৪538390
  • দু'দিন আগে পড়েছিলাম, মেয়েটির বাবা - মা - আত্মীয়রা তাদের বাড়ির সামনে একটি ধর্ণা মঞ্চ করেছেন, পুজোর ক'দিনের জন্য। যে কেউ সেখানে যেতে পারে, দলের নেতারাও কিন্তু মঞ্চে তারা উঠতে পারবে না। এখন, এই ধর্ণার বিশেষ খবর নেই, ফোকাস ডাক্তারদের দিকেই কারণ পরিবারের লোকেদের থেকে ডাক্তারদের 'জোর' বেশী। তাদের জনবল বেশী, স্লোগান দেওয়ার লোক বেশী, লেখালেখির লোক বেশী। পরিবারের লোকেরা নিশ্চয় সিবিআই রিপোর্ট জানেন, তাদের ভরসা এখন তাদের উকিল আর কোর্টের ওপর, সিবিআইয়ের ওপর ভরসা আছে এও তাঁরা নাকি বলেছিলেন।

    কিন্তু যাদের ভরসা নেই, যেমন বিষাণ বসুদের, তাদের তাহলে উচিত ছিল সিবিআইকে আরো সরাসরি জানানো যে কেন সেই ভরসা নেই। একটা ক্ষমাহীন ঘটনা থেকে তৈরী হওয়া পরিস্থিতি ডাক্তাররা এবং অন্য বিবিধ গোষ্ঠী ব্যবহার করছে সিস্টেমের শুদ্ধিকরণ বা গভঃ কে চাবকানোর জন্য যাতে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে। মেয়েটির হত্যা আমাদের জাগিয়ে দিয়ে গেল, এইটা মনে হয় লাইন, কিন্তু প্রশ্ন হল কোনটা বড়, যা ঘটেছে তার নিশ্ছিদ্র সুবিচার হওয়া না ভবিষ্যতের জন্য নোংরা পরিষ্কার করা ? দ্বিতীয়টিও কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে, কিছু বদল হলেও সেগুলোর দিকেও নজর রেখে যেতে হবে, সরকার দাবী মেনে নিলেই সব ঠিক হয়ে গেল সেরকম তো নয়। প্রথমটি থেকে হয়ত দ্বিতীয়টিতে আসা যেত কিন্তু সেরকম হচ্ছে না।
     
     
  • দীপ | 2402:3a80:196c:d10b:778:5634:1232:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:১৩538391
  • আর জি করে ঘটনাস্থলে সর্বক্ষণ ডাক্তাররা আসেন, বিশ্রাম নেন, খাওয়াদাওয়া করেন। সেখানে বাইরে থেকে এসে একজন অস্থায়ী কর্মচারী আধঘন্টার মধ্যে খুন করে, প্রমাণ লোপাট করে চলে গেলো; কেউ কিছুই বুঝতে পারলো না! 
    অথচ ভোর থেকে অধ্যক্ষ ও আরো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সেদিন উপস্থিত ছিলেন! এমনকি মৃত্যুর সময় নিয়েও বিভিন্ন মত পাওয়া যাচ্ছে! 
    ধরা যাক, একজন লোক ডাক্তারকে আক্রমণ করেছিলো! সেক্ষেত্রে চিৎকার-চেঁচামেচি, ধস্তাধস্তি হ‌ওয়া খুব স্বাভাবিক! অথচ অথচ সহকর্মী চিকিৎসকরা কেউ কোনো শব্দ পেলেন না!
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন