এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সিনেমা

  • হীরালাল : ছায়াছবির পিতৃপরিচয় প্রতিষ্ঠায় একটি প্রায়শ্চিত্ত-প্রয়াস

    কৌশিক লাহিড়ী
    আলোচনা | সিনেমা | ২৩ মার্চ ২০২২ | ২২৪০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)


  • ২৪শে অক্টোবর ১৯১৭, দুর্গা পুজোর মহানবমীর দিন আগুন লেগেছিল রায়বাগানের মতিলাল সেনের বাড়িতে। সেখানেই থাকত রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানির সমস্ত ছবির ফিল্ম। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ভারতের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেনের সারাজীবনের পরিশ্রমের যাবতীয় ফসল। বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছিল এক অবিশ্বাস্য ইতিহাস! পরের এক শতাব্দী জুড়ে মান্যতা এবং প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এক ঐতিহাসিক ভুল তথ্য!

    না! দাদাসাহেব ফালকে নন!
    ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রকৃত পথিকৃৎ ছিলেন এক বঙ্গসন্তান। তাঁর নাম হীরালাল সেন।

    চাঁদের মাটিতে অনেক নভশ্চরই পা রেখেছেন কিন্তু বিশ্ব মনে রেখেছে নীল আর্মস্ট্রংকেই! এভারেস্টে উঠেছেন অনেক পর্বতারোহীই কিন্তু প্রথমে মনে ভেসে আসে তেনজিং নোরগে আর এডমন্ড হিলারীর ছবিটাই! টেস্ট ক্রিকেটে আরো এক ডজন ব্যাটসম্যান ১০,০০০ রান করলেও গাভাসকারের রেকর্ড থেকে যাবে চিরদিন অমলিন!

    কিন্ত দুৰ্ভাগ্যবশত উপমহাদেশের চলচ্চিত্র চর্চার ইতিহাসে আমরা ভুলে থেকেছি প্রকৃত পিতৃপরিচয়! অবহেলায় মুছে ফেলেছি হীরালাল সেনের নাম!

    না! ১৯১৩ সালে তৈরি ফালকের রাজা হরিশচন্দ্র নয়, উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রেরনাম, "আলিবাবা ও চল্লিশ চোর"। ১৯০৩ সালে হীরালাল সেন সেই ছবিটি বানান। এমনকি তারও বছর পাঁচেক আগে ১৮৯৮ সালে তৈরি করেছিলেন প্রথম এদেশের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্ছবি ফ্লাওয়ার্স অফ পার্শিয়া।

    হীরালালের ছবির কথায় আসার আগে চলচ্চিত্র চর্চার সেই আদিযুগের সময়সারণিটা একটু বুঝে নেওয়া যাক। সে যুগে বোর্ন অ্যান্ড শেফার্ড কোম্পানির একটি ফোটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা হত। তথ্য বলছে, ১৮৮৭ সালে হীরালাল সেন নামে এক সদ্যতরুণ সেই প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। কোনো নেটিভের পক্ষে এই কৃতিত্ব সেযুগে কম কথা নয়! আর শুধু একবার নয়! পরের দশ বছরে এই তরুণটি সাত বার এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন - এই তথ্যটা মনে রাখলে বুঝতে পারব আলোকচিত্রী হিসেবে তাঁর প্রতিভার মাপ। সময় থেকে অনেকখানি এগিয়ে ভাই মতিলাল এবং দেবকীলালকে নিয়ে ঢাকা মানিকগঞ্জের আদিবাড়িতে ফটোগ্রাফির স্টুডিয়ো খুলেছিলেন যুবক হীরালাল ।
    এই সময়েই সাগর পারে ঘটে যাচ্ছে আর এক যুগান্তর!

    ১৮৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমেরিকার ব্রডওয়েতে বিখ্যাত উদ্ভাবক, আবিষ্কারক বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন তাঁরই আবিষ্কৃত যন্ত্র ‘কিনেটোস্কোপ’ দিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র দেখিয়ে মানুষকে তাক লাগিয়ে দেন। এর পর এলো নতুন যন্ত্র ‘ভিটাস্কোপ’। ফলে, একসঙ্গে অনেকে মিলে ছবি দেখার নতুন দিগন্ত খুলেগেল। তারপর প্যারিসের লুমিয়ের ব্রাদার্সের সিনেম্যাটোগ্রাফ শুরু হল চলচ্চিত্রের বিশ্বজয়।

    বিশ্বের নানা দেশে, আমেরিকা থেকে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এমনকি পরাধীন ভারতেও আছড়ে পড়লো চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসাহের ঢেউ! ১৮৯৬ সালের ৭ই জুলাই বম্বের এসপ্ল্যানেড ম্যানসনের ওয়াটসন হোটেলে চলচ্চিত্র দেখাবার ব্যবস্থা হল। ১৮৯৭ সালে, কলকাতার স্টার থিয়েটারে একটি স্টেজ শো তে প্রফেসর স্টিভেনসনের সৌজন্যে প্রথম চলচ্চিত্র দেখতে পেল বঙ্গবাসী। সেই চলমান ছায়াছবি দেখে ফটোগ্রাফি অন্তপ্রাণ হীরালালের যেন ঘোর লেগে গেল।

    প্রতিভাবান ফটোগ্রাফার হীরালাল সেন, স্টিভেনসনের ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে তৈরি করে ফেললেন কোনো ভারতীয়ের বানানো প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলছবি 'দ্য ফ্লাওয়ার অফ পারসিয়া'। ১৮৯৮ এর ১০ই ডিসেম্বর, স্টার থিয়েটারে ‘সতী কি কলঙ্কিনী’ নাটকের সঙ্গে দেখান হল হীরালালের তোলা চলচ্চিত্র।

    বিজ্ঞাপনের ছবি তোলার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই পথিকৃৎ। সি.কে সেনের ‘জবাকুসুম কেশতৈল’, বটকৃষ্ণ পালের ‘এডওয়ার্ডস এন্টিম্যালেরিয়া স্পেসিফিক’, ডব্লিউ মেজর অ্যান্ড কোম্পানির ‘সার্সাপেরিয়া’র বিজ্ঞাপন করেন। এদেশে তো বটেই বিদেশেও এর আগে বিজ্ঞাপনের ছবি তোলা হয়েছে বলে শোনা যায় না ! প্রায় ৪০টি সিনেমা বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। বেশিরভাগ ছবিতেই তিনি ক্যামেরাবন্দি করেন সুহৃদ অমরেন্দ্রনাথ দত্তের কলকাতার ক্লাসিক থিয়েটারে মঞ্চস্থ বিভিন্ন থিয়েটারের দৃশ্যগুলি। ১৯০১ আর ১৯০৪ - এর মধ্যে ক্লাসিক থিয়েটারের পক্ষে তিনি অনেকগুলি ছবি নির্মাণ করেন। যার মধ্যেরয়েছে ভ্রমর, হরিরাজ, বুদ্ধদেব সহ আরও বেশকিছু ছবি।

    আর দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি বানিয়েছিলেন ১৯০৩-এ। নাম আলিবাবা ও চল্লিশ চোর। ওই ছবিটি বানানো হয়েছিল ক্লাসিক থিয়েটারে অভিনীত ক্ষিরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদের মঞ্চসফল থিয়েটারের ওপর ভিত্তি করে। শুধু তাই নয় ! ভারতের প্রথম রাজনৈতিক চলচ্চিত্রটিও।

    ২২ সেপ্টেম্বর ১৯০৫।

    চলছে বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল। মহামিছিল, জনসমুদ্র। বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি। হীরালাল সেন তাঁর ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে বসালেন ট্রেজারি বিল্ডিং-এর মাথায় যাতে ছবি তুললেও ভিড়ের পেছনে প্রধান বক্তা সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জিকে তাঁর ক্যামেরাতে ধরা যায়। ড্রোনফটোগ্রাফির একশো বছরেরও আগে এরিয়াল শটের কথা যিনি ভাবতে পারেন তাঁকে ক্ষণজন্মা বলতেই হয়! এটাই ছিল ভারতের সর্বপ্রথম পলিটিক্যাল ডক্যুমেন্ট্রি ফিল্ম। ১৯০৫-এ ছবির বিজ্ঞাপনে বলাহয়েছিল "আমাদের নিজেদের স্বার্থে খাঁটি স্বদেশী সিনেমা"। ছবির শেষে গাওয়া হয়েছিল "বন্দে মাতরম"। এর আগে পৃথিবীর অন্যও কোন প্রান্তে রাজনৈতিক তথ্যচিত্র কি আর কেউ তোলা কথা ভেবেছিলেন? জানা নেই।

    হীরালাল ছিলেন প্রকৃত অর্থেই শিল্পী। তাঁর বাণিজ্যিক বুদ্ধির অভাবে ১৯১৩ সালেই বন্ধ হয়ে যায় তাঁর স্বপ্নের 'রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি'। ১৯১৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যু হয় হীরালাল সেনের। তার ঠিক দু'দিন আগে ভাই মতিলালের বাড়ি সংলগ্ন ওয়্যার হাউসে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যায় তাঁর সারা জীবনের কাজ।

    পরিচালক অরুণ রায়ের হীরালাল নামের এই বায়োপিকটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ভুলে যাওয়া এই প্রথম পুরুষটির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করার একটি আন্তরিক প্রচেষ্টা। সমগ্র বাঙ্গালি জাতির পক্ষ থেকে একটা প্রায়শ্চিত্তের প্রয়াসও বলা যায়! আত্মবিস্মৃত বাঙালি হীরালাল সেনের নামই মনে রাখে নি ! তাঁর জীবন নিয়ে খুব বেশি তথ্য যে হাতের কাছে ছিল না সেটা বলাই বাহুল্য। অরুণ রায়ের কৃতিত্বটা সেখানেই ! বিস্মৃতির নিথর সমুদ্র ছেঁচে তিনি শুধু অতি উজ্জ্বল এই রত্নটিকে শুধু তুলেই আনেন নি দিয়েছেন প্রাপ্যমর্যাদা!

    অভিনয় এ ছবির সম্পদ।

    বৃদ্ধ অসহায় গিরীশ ঘোষের ভূমিকায় খরাজ মুখোপাধ্যায়ের পরিণত অভিনয় মনে থাকবে অনেকদিন। জবাকুসুম তেলের মালিক সি কে সেনের ভূমিকায় শঙ্কর চক্রবর্তী সেযুগের সফল ব্যবসায়ীর ভূমিকায় চমৎকার। হেমাঙ্গিনীর ভূমিকায় অনুষ্কা চক্রবর্তী আর কুসুমকুমারী ভূমিকায় তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস যথাযথ এবং বিশ্বাসযোগ্য। জামশেদজী ফ্রামজী ম্যাডানের চরিত্রচিত্রণে হয়ত আর একটু ভাবনা চিন্তার পরিসর ছিল। এই চরিত্রটিতে ছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় এবং অত্যন্ত গুণী অভিনেতা শাশ্বত। কিন্তু ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাণের পথপ্রদর্শক, পরিবেশক এবং প্রযোজক এই দূরদর্শী এবং জীবৎকালেই প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠা এই ঐতিহাসিক মানুষটি কি ঐরকম সত্যিই ওই রকম কমেডিয়ান আর ভিলেনি মেশানো মানুষ ছিলেন!

    নায়ক হীরালালের ভূমিকায় অবিস্মরণীয় অভিনয় করেছেন তরুণ ডাঃ কিঞ্জল নন্দ। প্রথম থেকে শেষ অবধি প্রতিটি নিঃশ্বাসে, চাহনিতে,পদক্ষেপে, উচ্চারণে তাঁকে হীরালাল সেনই মনে হয়েছে। ক্যান্সার রোগাক্রান্ত রোগীর ভূমিকায় শরীরের ওজন কমিয়ে রুগ্ন শয্যাশায়ী হীরালালের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় সর্বোচ্চমানের।

    ছবিটা হয়ত আরো খানিকটা ছোট হতে পারত, আরো সিনেম্যাটিক হতে পারত, পিরিয়ড পিস হিসেবেহয়ত বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের উত্তাল জনসমুদ্র না হোক সে সময়ের কলকাতাকে আরো একটু বিশ্বাসযোগ্যভাবে দেখানো যেত কম্পিউটারের করিকুরিতে, কিন্তু সেসব কথা থাক!

    অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঠিক আগে মুক্তি পাওয়া এই একটি স্বল্প বাজেটের ছবি র কৃতিত্ব হলোএতদিনের বহুপ্রচারের ঢক্কানিনাদিত মিথ্যা ন্যারেটিভের গ্যাসবেলুনটিকে এই ছবিটি আলপিনের একখোঁচায় ফুটো করে ভারতীয় ছায়াছবির প্রকৃত জনক কে তুলে ধরেছে বিশ্বের সামনে, সসম্মানে প্রতিষ্ঠিতকরেছে তার বিস্মৃত পিতৃপরিচয়!

    সেটা কিন্তু কম কথা নয়।

    তথ্যসূত্র ::


    1. https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hiralal_(film)
    2. https://www.google.com/amp/s/bangla.hindustantimes.com/entertainment/countrys-first-filmmaker-hiralal-sen-s-biopic-will-be-released-on-march-5/amp-31613886280968.html
    3. https://www.bongodorshon.com/home/story_detail/hiralal-sen-the-pioneer-of-bengali-cinema
    4. http://www.bongblogger.com/hiralal-sen-biography-latest-research/
    5. হীরালাল সেন – ভারতীয় চলচ্চিত্রের জন্মদাতা রানা চক্রবর্তী
    6. হীরালাল সেন : উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, কালি ও কলম, নভেম্বর ২২, ২০১৮


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৩ মার্চ ২০২২ | ২২৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৫৯505248
  • "ছবিটা হয়ত আরো খানিকটা ছোট হতে পারত, আরো সিনেম্যাটিক হতে পারত, পিরিয়ড পিস হিসেবেহয়ত বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের উত্তাল জনসমুদ্র না হোক সে সময়ের কলকাতাকে আরো একটু বিশ্বাসযোগ্যভাবে দেখানো যেত কম্পিউটারের করিকুরিতে" 
     
    ঠিক এ কথাই ছবিটি দেখার সময় বার বার মনে হয়েছে। তবু ইতিহাসের এ এক আশ্চর্য পাঠ! 
  • গবু | 223.223.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৩০506142
  • মে ২০২১শে রিলিজ বলছে নীচে দেওয়া লিংকে। এখন কি কোথাও স্ট্রীম হচ্ছে?
  • ইন্দ্রাণী | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৪৮506144
  • লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
    সিনেমা হিসেবে ভালো লেগেছিল, তা বলব না। যদিও টাইটল কার্ডের সঙ্গে ছায়াবাজির খেলা আশা জাগিয়েছিল শুরুতে। কোনো কোনো অভিনেতার অভিনয়ও খুব খারাপ লেগেছিল।
    যা আমাকে অবাক করেছিল তা হীরালালের অসুস্থ চেহারা। হিন্দি , ইংরিজি ছবিতে সিনেমার প্রয়োজনে কে প্রচণ্ড মোটা হলেন/ রোগা হলেন/ সে সব খবর পড়ি। কিন্তু এই ছবিতে সুস্থ আর অসুস্থ চেহারার যে বদল, তা নিয়ে কোনো লেখা দেখি নি। উচিত ছিল।
    আর অবশ্যই, হীরালাল সেনের জীবন নিয়ে ছবি করার জন্য পরিচালক শ্রী অরুণ রায়ের বিশাল ধন্যবাদ প্রাপ্য হয়।

    গবু,
    গত বছর দেখেছিলাম এইখানেঃ
    https://einthusan.tv/movie/watch/2ouS/?lang=bengali
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন