এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভোটবাক্স  বিধানসভা-২০২১

  •  অন্য আঙুলগুলোও তুলুন, কমরেড ! 

    Bagchi P লেখকের গ্রাহক হোন
    ভোটবাক্স | বিধানসভা-২০২১ | ১৭ মে ২০২১ | ২৮৭৩ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • অন্য আঙুলগুলোও তুলুন, কমরেড!  : প্রবুদ্ধ বাগচী

    মে মাসের দুই তারিখে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন সন্ধ্যে বেলা থেকেই বামফ্রন্টের এক সদ্য পরাজিত বিধায়ক টিভি চ্যানেলে তার ক্ষোভ বিক্ষোভ উগরে দিতে আরম্ভ করেছেন। ইনি টিভি চ্যানেলের সূত্রে পরিচিত মুখ, সুবক্তা হিসেবে নাম আছে। বক্তব্য শুনে বোঝা যায় তিনি রীতিমতো পড়াশোনাও করেন। ২০১১ সালে বামফ্রন্টের বিপর্যয়ের পরে এমনই আরেক কৃষক নেতা ও বিধায়ক তোপ দেগেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ---- হেলে ধরার মুরোদ নেই কেউটে ধরতে গেছে! আজকের পরাজিত বিধায়কের এই বিস্ফোরণ আপাতত বিভিন্ন মিডিয়ার খোরাক। ইতিমধ্যেই অন্তত তিনটি চ্যানেলে তিনি দীর্ঘ বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর দলের রীতি অনুযায়ী এটা সঠিক নয়, তাঁরা এঁকে রাখবেন না ছাড়বেন সে তাদের নিজেদের ব্যাপার। কিন্তু কথাগুলো নিয়ে ভাবনার আছে। ভাবনা দুদিক দিয়ে। ইনি যা বললেন তাঁর সবটাই কি ঠিক? আর দ্বিতীয়ত, তিনি প্রায় অবলুপ্ত একটা দলের ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে যে নিদান দিচ্ছেন তার সবই কি নেওয়ার মতো?

    তিনি বলেছেন, ভোটের রাজনীতিতে যে দল নাম লিখিয়েছে তাকে সংসদীয় রাজনীতির শর্ত মেনেই ভোটের মাঠে খেলতে হবে। সেখানে জলে নেমে চুল না ভিজোনোর চেষ্টা না করাই ভাল। কথাটা যে খুব নতুন তা তো নয়। ১৯৭৭ সালে যখন বামফ্রন্ট সরকার তৈরি হয়েছিল তাদের মূল ভাবনাই ছিল সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যে মানুষের স্বার্থে যতটা কাজ করা যায় সেই অভিমুখেই সরকারকে চালানো। একটা সময় অবধি তাই চলেছিল। কিন্তু তারপরে যখন দেখা গেল এই কাজটা করতে গেলে আগে সরকারে টিকে থাকা জরুরি তখন কিছু সমস্যা দেখা দিল। সংসদীয় ব্যবস্থায় একদলীয় গণতন্ত্রের কোনও সুযোগ নেই, তাই বিরোধী দল থাকবে, থাকবে তাদের সরকার বিরোধী অবস্থান এবং ভোটেও তাঁরা লড়বেন। সুতরাং সরকার টিকিয়ে রাখতে চাই একটা ভোটের সংগঠন ও ভোটের আঞ্চলিক ম্যানেজার, যারা দলকে ভোটে জিতিয়ে সরকারে থাকতে সাহায্য করবেন। বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের ইতিহাস আসলে ক্রমাগত মানুষের পাশ থেকে সরে গিয়ে সেই ভোট ম্যানেজার ও ভোট মেশিনারি তৈরির ইতিবৃত্ত। বিরোধী দলের ভোটারদের ভোটের আঙিনায় না ঢুকতে দেওয়ার কর্মসূচি মেনেই একসময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটের এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হত অভিযান। বিরোধীদের ভোটার কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হত, তাদের পাড়াছাড়া করে দেওয়া হত। কোথাও কোথাও তাদের পরিবারের মহিলাদের পাঠানো হত সাদা থান। সারা রাজ্যের মানচিত্রে উঠে আসা কয়েকটি নাম এখনই এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলা যায়। জগদীশ দাস (বীজপুর), মজিদ মাস্টার (শাসন), সুশান্ত ঘোষ (গড়বেতা), লক্ষণ শেঠ (হলদিয়া), হিমাংশু দাস (খেজুরি) ইত্যাদি ইত্যাদি। এরা কিন্তু সেই সংসদীয় রাজনীতির সীমানা মেনেই দলকে জিতিয়ে আনার ব্রতে অবিচল ছিলেন। নন্দরাণী ডল এর কথা মনে পড়ে যিনি বিধানসভায় দুলাখের বেশি ভোটে জিতেছিলেন, আরামবাগের অনিল বসু লোকসভায় জিতেছিলেন পাঁচ লাখের বেশি ভোটে । এর সবটাই কি অকুণ্ঠ জনসমর্থন ছিল? একেকটা বুথে দেখা যেত বিরোধী দলের ভোট দুই সংখ্যা ছাড়ায়নি। পরে নির্বাচন কমিশন একটা নিয়ম করেন, কোনো বুথে যদি একটি দলের অস্বাভাবিক ভোট পাওয়া যায় তাহলে কমিশনের পর্যবেক্ষকের অনুমতি ছাড়া সেই বুথের ফল প্রকাশ করা যাবে না। এখন আর সেই নিয়ম চালু আছে কি না জানি না। ফলে জলে নেমে চুল ভিজাব না এমন নীতি কোনোকালেই দলের ছিল না। রীতিমতো তাঁরা চুল কেন সর্বাঙ্গ ভিজিয়েছেন। এখন ভেজাতে পারছেন না কারণ সেইসব ভোট ম্যানেজারদের দাপট আর নেই, হয় তাঁরা অন্য দলে সেই কাজ পেয়ে গেছেন নয়তো বসে গেছেন।

    কংগ্রেস দলের সঙ্গে জোট ধারাবাহিক ও মসৃণ না হওয়াতেও তার প্রবল উষ্মা। যতদূর জানি এই নেতাটির উত্থান ও বিকাশ বামফ্রন্টের আমলেই। ফলে কংগ্রেস আমলের সন্ত্রাস কী জিনিস তিনি শুনে থাকলেও নিজের অভিজ্ঞতায় হয়তো অর্জন করেননি। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হওয়ার আগে অবধি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে ঘরে বাইরে বাহাত্তর থেকে সাতাত্তরের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের খলনায়ক চিহ্নিত করেছিল তারই দল। অভিযোগটা তো মিথ্যে নয়। আর ১৯৯২ এ দেশে খোলাবাজারি অর্থনীতি চালু করার সময়কাল থেকে বামপন্থীদের সমস্ত সমালোচনার অভিমুখ ছিল কংগ্রেসের দিকে। বেসরকারিকরণ, ব্যাঙ্ক বীমায় সংস্কার, বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নির্ভরতা, সরকারি সংস্থার বিক্রি, শ্রম আইন সংস্কার --- এর প্রতিটি বিষয়ে লোকসভায় ভিতরে বাইরে সোচ্চার থেকেছেন বামপন্থীরা। এমনকি ২০০৮ সালে ইউ পি এ ২ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তোলার ক্ষেত্রেও ইসু ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের মার্কিন প্রীতি। এইসব ভুলে গিয়ে আচমকা কংগ্রেস কেমন করে আজ বামপন্থীদের সাথী হয়ে উঠতে পারে এই জটিল সমীকরণ বোঝা অনেকের পক্ষেই মুস্কিল। সেই কংগ্রেসকে কেন নির্ভরযোগ্য সাথী হিসেবে বিবেচনা করা হল না প্রাক্তন বাম বিধায়ক হিসেবে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বিষয়টাকে আরো ঘুলিয়ে দিলেন না তো?

    প্রশ্ন আরো আছে। তিনি অনেক বিষয়ে তার দলকে সমালোচনা করেছেন। তার ধারণা এগুলো বিষয়ে সচেতন থাকলে দলের এই হাল হত না। কী হত না হত সেই বিষয়ে আমরা যেতে চাই না। কিন্তু আমাদের চোখে লেগেছে, দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের কিছু কিছু জনমুখী কাজকে তার দল যেভাবে শুধুমাত্র ‘কাটমানি’ ইস্যুতে নাকচ করে দিয়েছে। এটা বিজেপির হুঁকোতে তামাক খাওয়া ছাড়া আর কিছু বলতে পারা যাচ্ছে না। বিজেপি স্পষ্টত একটি জন বিরোধী দল, যারা কর্পোরেটের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া আর কিছু জানে না। কিন্তু যে বামপন্থীরা বারবার ন্যায্যমূল্যে খাদ্য শস্য গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দাবি করতেন এখন সেই কাজটা একটা সরকার করবার চেষ্টা করলে সেটাকে শুধু ‘কাটমানি’ আর দুর্নীতি-র মোড়কে অস্বীকার করা আদপে গরিব মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। দুর্নীতি হয়নি এমন কথা কেউ বলছে না, বাম আমলেও ‘রেশন কেলেঙ্কারি’ হয়েছিল, কিন্তু শুধুই দুর্নীতি হয়েছে আর গরিব মানুষরা কিছু পাননি এই প্রচার ছিল সম্পূর্ণ ভুল। গ্রামের গরিব মানুষেরা অনেক দিন আগেই লাল পার্টির পাশ থেকে সরে এসেছেন সেই পার্টির অবিবেচনা প্রসূত কর্মসূচির জন্য, এইবারেও বাম দলের এই প্রচার তাঁদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মেলেনি, তাঁরা নিজেদের অপমানিত বোধ করেছেন। যদি স্মৃতি খুব প্রতারণা না করে তাহলে এই রাতারাতি হিরো বনে যাওয়া বাম নেতা কয়েকমাসে টিভি চ্যানেলে ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া কর্মসূচিকে তফসিলী জাতি-উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ অর্থের নয়ছয় বলে অভিযোগ করেছিলেন। শুধু নয়ছয় দেখলেন? দরিদ্র পড়ুয়াদের উপকারের দিকটা দেখলেন না? তিনিও দেখেননি, তার দলও দেখেননি। তাই এটা তাঁর সমালোচনার অংশ হতে পারল না।

    শেষ কথা হল বিকল্প ভাবনা। সংযুক্ত মোরচা নামক যে জোটে তাঁর দল ছিল তাঁরা রাজ্যে বিকল্প উন্নয়নের কী ডিস্কোর্স রাখলেন? ইস্তাহারে ছিল কর্ম সংস্থানের কথা। ছিল শিল্পস্থাপনের রূপকথা। এটা এখন দুঃস্বপ্নের ইতিহাস হয়ে গেছে যে ২০০৬সালের পরে কর্পোরেটের হাত ধরে যে শিল্পায়নের পথে বাম দল এগিয়েছিল তা আদপে ছিল জনবিরোধী। যে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের ফলে দেশের জমি অধিগ্রহণ আইন পালটে গিয়েছিল এবং আজও প্রবল পরাক্রান্ত মোদি সরকার তাকে সংস্কারের সাহস করেনি সেই সিঙ্গুর নন্দিগ্রামকে এত বছর পরেও তাঁরা সামনে আনলেন শিল্পায়নের মডেল হিসেবে। মাস তিনেক আগে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমিত ভাদুড়ি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সম্ভবত কর্পোরেটের হাত ধরে শিল্পায়নের মডেলে আজও দেশের দুটি দল আস্থা রাখে, তার একটি বিজেপি অন্যটি সিপিএম । তাঁর এই কথার হাতেগরম উদাহরণ আমরা পেয়ে গেলাম এই ভোটে। সত্যি বলতে কি, দেশের বৃহত্তম বাম দলের এই কর্পোরেট প্রীতিতে পনেরো বছর আগেও আমরা যেমন বিস্মিত হয়েছিলাম, আজ ততোধিক অবাক হলাম আজও তাঁরা তাঁদের অবস্থান বদলাননি। রাজ্যের গরিব কৃষিজীবী মানুষ আর সেই দুঃস্বপ্নের শরিক হতে রাজি হননি, তাই এইসব প্রচারকদের তাঁরা ফিরিয়ে দিয়েছেন শূন্য হাতে। সদ্য-পরাজিত বাম বিধায়ক, টিভি-চ্যানেল সূত্রে পরিচিত সুবক্তা বামনেতা, রাজ্যের বিধানসভায় শূন্য-হয়ে-যাওয়া দলের কর্মী, তাঁর আত্মসমালোচনায় এর কোনো প্রসঙ্গই তোলেননি। মিডিয়ার খাদ্য হলেও আসলে এর সবটাকেই ‘কসমেটিক’ ছাড়া আর কোনও বিশেষণ দেওয়া যাচ্ছে কি?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভোটবাক্স | ১৭ মে ২০২১ | ২৮৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হুম | 162.218.***.*** | ১৭ মে ২০২১ ১৬:০৮106145
  • সিপিএমের আত্মসমালোচনা প্রয়োজন।

  • Ranjan Roy | ১৭ মে ২০২১ ১৮:২৩106149
  • কীসের আত্মসমালোচনা? দলটি ভুগছে আত্মম্ভরিতায় ও চিন্তার দৈন্যে।


    ২০১১ থেকে ভোট প্রতিশত ৪০% থেকে  কমে আজ ৫% এ দাঁড়িয়েছে। এই নিয়মিত ধ্বসের কোনদিন কোন সত্যিকারের আত্মসমালোচনা হয়েছে? ভুল লাইনের জন্যে কেউ কোন নৈতিক দায়িত্ব নিয়েছেন? শুধু 'তুমিও ভাল, আমিও ভাল' গোছের দায়সারা কথাবার্তা। প্রবুদ্ধ বাবুর প্রত্যেকটি লাইনের সঙ্গে একমত। পাঁচবছরে একবার জেগে উঠে ব্রিগ্রেডএ জনসভা করে আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন এবং আশানুরূপ ফল না পেলে জনগনকে ছাগল বলবেন।


    উন্নয়নের প্রশ্নে এঁরা ছাপাবইয়ের কৃষি থেকে উত্তরণকেই বোঝেন। এই মডেলের ফলে ইউরোপ আমেরিকায় কৃষকের হাল কী হয়েছে সেটা ভাবেন না। এঁদের চিন্তায় ভারতে জাতিভিত্তিক কৌমীচেতনার কোন গুরুত্ব নেই। মার্কসীয় শ্রেণী বিস্লেষণই যথেষ্ট। তাই পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষক আন্দোলনের সম্রর্থনে এরা আছেন কিন্তু তার সঙ্গে বাংলার কৃষকের সমস্বার্থ দেখতে পান না। কৃষক সমস্যার ক্ষেত্রে এঁরা অনেক গাছ দেখেন কিন্তু অরণ্য নয়।


     আর তন্ময়বাবু যেসব প্রশ্ন তুলেছেন সেগুলো তো ২০১৬ সালেও ভ্যালিড ছিল। তখন এগুলো নিয়ে দলের মধ্যে এবং সমর্থক জনতার সঙ্গে ডায়লগ জরুরি মনে হয়নি? কেন/ সেবার উনি জিতেছিলেন বলে?

  • Abhijit Roy | 14.14.***.*** | ২৯ মে ২০২১ ১২:৪১106565
  • খুব ভালো লাগলো লেখা টি পড়ে।খুবই সুন্দর বিশ্লেষণ।

  • Ashis | ২৩ জুন ২০২২ ১৪:১৩509301
  • বামপন্থীদের সার্বিক সততাই প্রশ্নযোগ্য এখন ! তাছাড়া দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে গায়ে-গতরে-চিন্তায় এমন মরচে পড়েছে , সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে না সাজালে, যেসমস্ত তরুণেরা এখনো দিনবদলের স্বপ্ন দেখে তারা শুধু ফেসবুক বিপ্লবই করে যাবে!  এখনো এই মাজাভাঙ্গা বুড়োগুলো ভাবছে 'ক্ষমতা হাতে পেলেই আবার আগের মত শুরু করে দেব !' হতভাগার দল এ হিসেবটাই এখনো ঠিকমত করে উঠতে পারেনি , কি করে জনগণের প্রকৃত সমর্থন পাওয়া যাবে , শুধু ভোটব্যাংকের ধান্দা !!! ধ্যুর ধ্যুর !!!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন