এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • স্বপনে তাহারে…

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ মার্চ ২০২১ | ২৬১৪ বার পঠিত
  • গতশতকের ​​​​​​​তেষট্টি-চৌষট্টি ​​​​​​​সাল ​​​​​​​নাগাদ ​​​​​​​আমাদের​​​​​​​ ইশকুল ​​​​​​​যাওয়া ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​আমি ​​​​​​​তখন ​​​​​​​তিন​​​​​​​কেলাশ। ​​​​​​​পঁয়ষট্টির মধ্যেই আমাদের ইশকুল যাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যান একজন রহস্যময় লেখক। নাম, শ্রীস্বপনকুমার। তাঁর আসল নাম যে কী ছিলো, তখনও তা জানা যায়নি। পরে জানা গেছে তাঁর পৈতৃক নাম শ্রী সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডে। রাজশাহী থেকে কলকাতায়, এক আগন্তুক বঙ্গসন্তান। তিনি পৃথিবীর তাবৎ বিষয়ে ভূরি ভূরি জ্ঞান রাখতেন। ডাঃ এস এন পাণ্ডে নামে বটতলা থেকে প্রচুর 'ডাক্তারি' বইও বেরোতো তাঁর। অন্যদিকে 'শ্রীভৃগু' নাম নিয়ে জ্যোতিষের বই। ক্ষণজন্মা মানুষ ছিলেন তিনি। বিবিধ বিষয়ে দুহাতে লিখে বটতলার 'বাজার' আলো করে রাখতেন তিনি। পরবর্তীকালে এও জানা গেছে, যেমনই হোক, এই পরিমাণ বিপুল সংখ্যার গ্রন্থরাজির প্রণেতা নিজে দারিদ্র্যপ্রপীড়িত জীবন কাটিয়েছেন। শেয়ালদা ইশটিশনের ওয়েটিং রুমে নিখরচায় আলো-পাখার সুবিধে পেতে সেখানে বসেই সারা রাত ধরে একেকটি চটি রচনা করতেন। 'গল্প' হিসেবে এই ঘটনার মাহাত্ম্যও কম নয়।

    শোনা যেতো, জেমস হ্যাডলি চেজ সাহেব ( আট-নয় কেলাশে যাবার পর তিনি শ্রীস্বপনকুমারকে হটিয়ে আমাদের অধিকার করে নেন ) এবং সিডনি শেলডন সাহেব ছিলেন নাকি দুটি ‘নৈর্ব্যক্তিক’ ব্র্যান্ড। ব্যক্তিবিশেষ নন। এক দল অক্ষর কারিগর মিলেমিশে দিস্তে দিস্তে রোমাঞ্চকর সাহেবি দাস্তান ​​​​​​​ছাড়তেন বাজারে। আমাদের মতো বালকরা গোগ্রাসে গিলতো সে সব। 'আমাদের জীবনে 'নো অর্কিড ফর মিস ব্ল্যান্ডিশ' আবির্ভূত হবার আগে পর্যন্ত শ্রী স্বপনকুমারই ছিলেন দ্য কিং অফ ডিটেক্টিভ থ্রিলার। কিছুদিন আগে এক ​​​​​​​বন্ধুর ​​​​​​​সঙ্গে শ্রীস্বপনকুমারকে নিয়ে ফোনে আড্ডা হচ্ছিলো। 'ল্যাখাপড়া' চুলোয় যাক, কে কতোগুলো স্বপন-সিরিজ 'শেষ' করতে পেরেছে তাই নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলতো অবিরাম। ন-দশ বছর বয়েসে প্রথম শ্রীস্বপনকুমার শুরু করি। তখন ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​বারো-তেরো ​​​​​​​পর্যন্ত ​​​​​​​সিরিজের ​​​​​​​পর ​​​​​​​সিরিজ ​​​​​​​চৌষট্টি ​​​​​​​পাতার ​​​​​​​বহাদুর ​​​​​​​কা ​​​​​​​খেল​​​​​​​ আমাদের ​​​​​​​তৃষ্ণা ​​​​​​​মেটাতো।

    যখন থেকে আমাদের হরমোন জাগতে শুরু করে, তখন থেকে একটা জিজ্ঞাসা বাজারে বেশ চালু ছিলো। মেয়েরা কি শ্রীস্বপনকুমার পড়ে? মনে হয় পড়তো না। কারণ সে বিষয়ে তাদের থেকে কিছু শোনা যায়নি। সে কালে মেয়েদের ফ্রেমটাই ছিলো অন্য রকম। বাঁধা গতের বাইরে সব কিছুই 'অসভ্য'। এই বিশেষণটির এগজ্যাক্টলি যে কী তাৎপর্য ছিলো সেটা বুঝতে বুঝতে আমাদের 'বিয়ের বয়স' হয়ে যায়। যাঁরা 'ভূতপ্রেত' বা অলৌকিকের চর্চা করেন, তাঁরা বলেন সব কিছু নাকি 'বোঝা' যায় না। 'না বোঝার' মধ্যে যে 'বোঝা' সেটাই নাকি প্রকৃত জ্ঞান। শুধু ভৌতিক প্রপঞ্চ নয়, কাব্যিক সন্দর্ভেও এই কথাটাই চলে। সেকালে মেয়েদের সাইকিতে 'অসভ্য' বিশেষণটিও সে রকমই কিছু একটা ব্যাপার ছিলো হয়তো। কিন্তু শ্রীস্বপনকুমারের কী ভূমিকা ছিলো তাতে, সেটা পোয়েস্কার হয়নি কখনও।

    রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলে পড়তুম ​​​​​​​তখন। ​​​​​​​সেখানে​​​​​​​একটা ​​​​​​​বিষয় '​​​​​​​পড়ানো' হতো। তার ​​​​​​​সরকারি ​​​​​​​নাম ​​​​​​​ছিলো ​​​​​​​'মরাল ইন্স্ট্রাকশনস'। আমরা বলতুম ধর্মক্লাস। প্রতি সপ্তাহেই একটা -দুটো করে 'ধর্মক্লাস' থাকতো। দিনের ​​​​​​​শেষ ​​​​​​​পিরিয়ড। সেই সময়ে যে শিক্ষকমশায়ের আসার কথা তিনি একবার এসে বলে দিতেন, তোরা ক্লাসের দরজা বন্ধ করে গল্প কর। কিন্তু খবরদার কোনও হল্লা যেন না হয়। গোলমাল হলে এসে চাবকাবো। আমরাও সুবোধ বালক, শিক্ষকের কথা শিরোধার্য। শংকর নামে আমাদের এক সহপাঠী, তার কাছে ছিলো সীমাহীন স্বপনসমগ্র। ধর্মক্লাসের ​​​​​​​পবিত্র ​​​​​​​পরিবেশে সে পড়ে শোনাতো দীপক চ্যাটার্জি এবং রতনলালের রোমাঞ্চকর কীর্তিকলাপ। তারা ছিলো দেশি হোমস আর ওয়াটসন জুড়ি। ফর্ম্যাট বিচার করতে গেলে মোটামুটি দস্যু মোহন এবং কিরীটি রায়ের গরিব আত্মীয় বলা যেতে পারে। আমরা এক কথায় পুলকিত। রোমাঞ্চিত হয়ে শুনতাম। যেহেতু 'বিশ্বচক্র' সিরিজের বইগুলো ছিলো 'কঠোর ভাবে' 'কলেজ স্টুডেন্ট’দের জন্য, তাই সেখানে ডিটেক্টিভ ছাড়াও অনেক সুন্দরীদের আনাগোনা থাকতো। থাকতো সুচিত্রার মতো পিয়ানোতে বসা নায়িকা আর কমল মিত্রের মতো পাইপ ও ড্রেসিংগাউন ওয়ালা বাবারা। অধিকন্তু থাকতো যত্রতত্র রবীন্দ্রসঙ্গীতের উদ্ধৃতি (বাঙালির বাজার এতো সুন্দর আর কে বুঝতে পেরেছে?) । গপ্পোগুলো ছিলো মোটামুটি ভাবে শহর কলকাতার সীমারেখার মধ্যে। শ্যামবাজার থেকে বালিগঞ্জের বর্ডার। অবশ্য আফ্রিকার জঙ্গল বা চিনের মরুভূমি, আফঘানিস্তানের পাহাড় বা ব্রাজিলের ক্রাইম সিন্ডিকেট থেকে বিচিত্র লোকজনের আনাগোনাও চলতো সমানে। কিন্তু আমাদের লেভেলের পাঠকদের বাদ দিলে এই সব চরিত্রের ব্যাপার-স্যাপার খতিয়ে দেখার চেষ্টা ছিলো ভালো রকম 'ইনজুরিয়াস টু হেলথ'। পুলিশের চরিত্রগুলি ছিলো গবেট 'সুন্দরবাবু'র ছাঁচে। এই সিরিজগুলির প্রকাশনা ইত্যাদির অকুস্থল ছিলো বটতলা। সম্ভবত ঝামাপুকুর থেকেও বেরোতো।

    মলাট ও ছবি আঁকতেন প্রধানত তুষার চ্যাটার্জি (তুকাচ) । কখনও প্রতুলচন্দ্রের ছবিও থাকতো ( আহা, প্রতুলচন্দ্র বন্দ্যো , ওঁর মতো ইলাস্ট্রেটর বাংলায় আর আসেননি। হ্যাঁ, আমি সুধীর মৈত্র, পূর্ণ চক্রবর্তী বা নারায়ণ দেবনাথকে স্মরণে রেখেই বলছি)। পরের দিকে আঁকতেন নারায়ণ দেবনাথ। নায়িকাদের যে সব চেহারা বইয়ের মলাটে দেখা যেতো সেগুলি বেশ মনোহরণ। সবারই মুখের ডৌল সুচিত্রা সেনের মতো। তন্বী, পাফ দেওয়া কেশবিন্যাস, লবঙ্গলতা গোছের। চম্পাকলির মতো আঙুল (কেন এরকম বলা হয়, সিম্পলি জানিনা) দিয়ে পিয়ানো বাজাতেন তাঁরা। সচ্চরিত্র নায়করাই তাঁদের বিবাহ করতে পারতেন। সব মিলিয়ে দশ-পনেরো বছর বয়সের উৎসুক বালকদের জন্য সে সব ছিলো খুব উপাদেয় বস্তু। বিশ্বচক্র ছাড়া যে সিরিজগুলো মনে পড়ছে, যেমন, রক্তচক্র সিরিজ, কালনাগিনী সিরিজ, বাজপাখি সিরিজ ইত্যাদি। এই সিরিজগুলোতে নারায়ণ দেবনাথ এঁকেছেন। একটি ডার্ক চরিত্র ছিলো পাগল বৈজ্ঞানিক। যার কীর্তিকলাপ ছিলো টিপিক্যাল জিঘাংসু টাইপের। আর দাড়িটা থাকতো আমার মতো।

    শ্রীস্বপনকুমার​​​​​​​ অবশ্য ​​​​​​​সেকালে ​​​​​​​নীহার ​​​​​​​গুপ্তের ​​​​​​​সামনে ​​​​​​​ম্লান​​​​​​​ হয়ে ​​​​​​​যেতেন। নীহার গুপ্তকে বেনামে বই লিখতে হতোনা। নিজের নামে তাঁর একটি বিপুল ও স্থায়ী বাজার ছিলো।‘বাংলা ​​​​​​​সাহিত্যের ​​​​​​​জনপ্রিয়তম’ ​​​​​​​পত্রিকা​​​​​​​' নবকল্লোলে' তাঁর ​​​​​​​লেখা ​​​​​​​বাঁধা ​​​​​​​থাকতো। আমার ​​​​​​​এক​​​​​​​বন্ধুর ​​​​​​​মতে ​​​​​​​ঐ ​​​​​​​কাগজটি ​​​​​​​রেশন ​​​​​​​কার্ডের​​​​​​​থেকেও ​​​​​​​বেশি ​​​​​​​সংখ্যায় ​​​​​​​ছাপা ​​​​​​​হতো। ​​​​​​​অন্য আর​​​​​​​ এক ​​​​​​​জনের ​​​​​​​মতে ​​​​​​​বাঙালির ​​​​​​​সফ্ট ​​​​​​​পর্নো ​​​​​​​পড়ার​​​​​​​ আহ্লাদকে ​​​​​​​বৈঠকখানায় সাজিয়ে ​​​​​​​রাখার ​​​​​​​সুযোগ ​​​​​​​করে​​​​​​​ দিয়েছিলো ​​​​​​​এই ​​​​​​​পত্রিকাটি। গদ্য শৈলীর কথা যদি আসে, তাহলে বাংলা হলুদ মলাট বইয়ের ভাষার ​​​​​​​উৎস আসলে কে ​​​​​​​ছিলেন, স্বপনকুমার​​​​​​​ না নীহার গুপ্ত, ​​​​​​​তা ​​​​​​​নিয়ে অনেক ​​​​​​​মেধাবী ​​​​​​​আলাপও​​​​​​​ চলতো ​​​​​​​সেকালে।

    মোদ্দা কথা, যাত্রায় স্বপনকুমার আর গোয়েন্দা চটির স্বপনকুমার আমাদের বাল্যকাল ভরিয়ে রেখেছিলেন। আমাদের না ছিলো টিভি, মোবাইল, ইন্টারনেট, ফ্ল্যাট বাড়ি, এসি বা বাইকের বিলাসিতা। ভোর ছটা থেকে ইশকুল। বিকেল চারটে থেকে মাঠে ফুটবল আর সন্ধে ছটা থেকে ন'টা দুলে দুলে 'পড়া করা'। উপরি বোনাস, ইশকুল থেকে বাড়ি, সর্বত্র প্রত্যহ মনে করিয়ে দেওয়া যে আমরা সবেগে 'উচ্ছন্নে'র পথে যাচ্ছি। আজ বুঝছি, পিতামাতা ও শিক্ষকদের ভবিষ্যদবাণী 'সত্য' প্রমাণ হয়েছে। নয়তো ধর্মক্লাসের সরকারি টেক্স্ট বই স্বামীজীর 'প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে'র আলোচনা না করে এই বয়সে শ্রীস্বপনকুমারকে নিয়ে এহেন স্মৃতিমেদুরতা? এ কি 'দেশদ্রোহ' নয়? হয়তো এই বিচ্যুতির জন্যই আমাদের না ​​​​​​​হলো ​​​​​​​'দীপক ​​​​​​​চ্যাটার্জি'​​​​​​​হওয়া। ​​​​​​​না সেই কালজয়ী লেখকের চৌষট্টি পাতা চটির মলাটে আঁকা নায়িকারা আমাদের নসিব হলেন । যাঁরা যোধপুর পার্ক বা নিউ আলিপুর নামক নির্জন পাড়াগুলির বাগান ঘেরা প্রাসাদ আলো করে থাকতেন। আর অর্গান বাজিয়ে গাইতেন, 'আমি স্বপনে তাহারে কুড়ায়ে পেয়েছি....'
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ মার্চ ২০২১ | ২৬১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২১ মার্চ ২০২১ ১৭:২৭103943
  • হ্যাঁ হ্যাঁ মেয়েরাও স্বপনকুমার পড়ত বৈকী। বিলক্ষণ পড়ত। তবে সেসব সাধারণত সিপাহী বিদ্রোহের সময়কার রুটি চালানের মত অতি গোপনীয়ভাবে।  :-)

  • Ranjan Roy | ২১ মার্চ ২০২১ ১৮:২০103946
  • জ্জিও!!


    পঞ্চাশ-ষাটের দশকে বাঙালীর নায়িকার ইলাস্ট্রেশনে কোথায় যেন রবি বর্মার থেকে সরে এসে ময়মনসিংহের বাঘা পোট্রেট শিল্পী হেমেনবাবুর প্রভাব। স্বপনকুমারের বইয়ের উৎসর্গপত্রের দিকে একটি লাইন ড্রইং থাকতো। 


    পুষ্পস্তবক, বেশ দীর্ঘাঙ্গী নায়িকা কুঁচি দিয়ে পড়া শাড়ি,  আর  আমাকে আকৃষ্ট করত উন্মুক্ত সুডৌল পেলব বাহু। নাঃ, বেশি বলব না।

  • aranya | 2601:84:4600:5410:513d:230d:3152:***:*** | ২২ মার্চ ২০২১ ০৩:৫৭103953
  • ছেলেবলার  স্মৃতি ফিরিয়ে দিলেন, ধন্যযোগ শিবাংশু। 


    কালনাগিনী আর ড্রাগন (ইনি কি কোন চীনা দস্যু ছিলেন ? ) সিরিজ বিশেষ প্রিয় ছিল 

  • Ranjan Roy | ২২ মার্চ ২০২১ ০৬:১১103954
  • আর বাজপাখি সিরিজ? "নীল সমুদ্রে বাজপাখী" ইত্যাদি?

  • র২হ | 2401:4900:376a:6ae1:1c9c:5351:b5fb:***:*** | ২২ মার্চ ২০২১ ১০:৩৬103957
  • মেয়েদের স্বপনকুমার প্রসঙ্গে, সুকন্যা ছোটবেলায় টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে স্বপনকুমার কিনতো, সেসব আবার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না, পাড়ায় অন্য এক সহপাঠিনীর বাড়ি থাকতো।


    ওদিকে আমি ছোটবেলায় খুব নাকউঁচু ছিলাম, দুয়েকটি বই পড়ে সেসব নিয়ে খুবই ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতাম। আমা(দে)র বিদ্রুপের তালিকায় আরেকটি জনপ্রিয় ছোটদের সাময়িকী ছিল - চাঁদমামা।


    পরে অবশ্য স্বপনকুমার পড়েছি, এই কয়েক বছর আগে।

  • শিবাংশু | ২৫ মার্চ ২০২১ ১০:১৬104035
  • বোঝাই যাচ্ছে , একটা বিশেষ যুগের বাঙালি মানসিকতার ধরনটি বুঝতে 'স্বপনকুমার'কে ল্যাক্টোমিটার হিসেবে ব্যবহার করা যায়  :-))

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন