হ্যাঁ হ্যাঁ মেয়েরাও স্বপনকুমার পড়ত বৈকী। বিলক্ষণ পড়ত। তবে সেসব সাধারণত সিপাহী বিদ্রোহের সময়কার রুটি চালানের মত অতি গোপনীয়ভাবে। :-)
জ্জিও!!
পঞ্চাশ-ষাটের দশকে বাঙালীর নায়িকার ইলাস্ট্রেশনে কোথায় যেন রবি বর্মার থেকে সরে এসে ময়মনসিংহের বাঘা পোট্রেট শিল্পী হেমেনবাবুর প্রভাব। স্বপনকুমারের বইয়ের উৎসর্গপত্রের দিকে একটি লাইন ড্রইং থাকতো।
পুষ্পস্তবক, বেশ দীর্ঘাঙ্গী নায়িকা কুঁচি দিয়ে পড়া শাড়ি, আর আমাকে আকৃষ্ট করত উন্মুক্ত সুডৌল পেলব বাহু। নাঃ, বেশি বলব না।
ছেলেবলার স্মৃতি ফিরিয়ে দিলেন, ধন্যযোগ শিবাংশু।
কালনাগিনী আর ড্রাগন (ইনি কি কোন চীনা দস্যু ছিলেন ? ) সিরিজ বিশেষ প্রিয় ছিল
আর বাজপাখি সিরিজ? "নীল সমুদ্রে বাজপাখী" ইত্যাদি?
মেয়েদের স্বপনকুমার প্রসঙ্গে, সুকন্যা ছোটবেলায় টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে স্বপনকুমার কিনতো, সেসব আবার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না, পাড়ায় অন্য এক সহপাঠিনীর বাড়ি থাকতো।
ওদিকে আমি ছোটবেলায় খুব নাকউঁচু ছিলাম, দুয়েকটি বই পড়ে সেসব নিয়ে খুবই ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতাম। আমা(দে)র বিদ্রুপের তালিকায় আরেকটি জনপ্রিয় ছোটদের সাময়িকী ছিল - চাঁদমামা।
পরে অবশ্য স্বপনকুমার পড়েছি, এই কয়েক বছর আগে।
বোঝাই যাচ্ছে , একটা বিশেষ যুগের বাঙালি মানসিকতার ধরনটি বুঝতে 'স্বপনকুমার'কে ল্যাক্টোমিটার হিসেবে ব্যবহার করা যায় :-))