এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • জানতো যদি হাছন রাজায়: একটি স্থির চিত্র

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ জুলাই ২০১৯ | ১৪২২ বার পঠিত
  • বারো-তেরো বছর বয়স হবে তখন। বাবার সঙ্গে শরৎকালে যাচ্ছিলুম আমাদের দ্যাশের বাড়ি। থার্টি আপ নামক ট্রেনটি, এখন যার নাম কুর্লা এক্সপ্রেস, টাটানগর থেকে হাওড়া যেতে সব স্টেশনে দাঁড়াতো।প্যাসেঞ্জারের অধম। তখনও গীতাঞ্জলিই শুরু হয়নি। জ্ঞানেশ্বরী, আজাদ হিন্দ, দুরন্ত সব তখন স্বপ্নে। বম্বে যেতে আসতে টোয়েন্টি নাইন ডাউন বা রাতে বম্বে মেল। আমরা দিনের বেলা খড়গপুর যেতে গেলে থার্টি আপ ধরতুম টাটানগর থেকে। সকালবেলা 'ভাতেভাত' খেয়ে সেই যাত্রা। খড়গপুরে নেমে ধরতে হতো গোমো প্যাসেঞ্জার। বিকেল বিকেল পৌঁছে দিতো আমাদের দ্যাশের ইশটিশন। যাকগে.....
    ------------------------
    ঠিক পুজোর আগে যাওয়া একবার। প্রতিবারের মতো। দাদু-দিদার সঙ্গে দিনদুয়েক দেখা করে আসা। মহালয়া থেকে ষষ্ঠীর মধ্যে। হলুদ রঙের কাঠের বেঞ্চি, পাটা পাতা। রেলকামরায় গদিটদি লোকে দেখেনি তখনও। সিংভূমের শাল-কেঁদ-বহড়ার বন ফুরোলেই খোলা জানালা দিয়ে নীল আকাশ, শাদা মেঘ, সবুজ থেকে সবুজে ভেসে যাওয়া দিকচক্রবালের অনিঃশেষ ধানের কচি ছোটোবেলা,, কাশবনের অনন্ত সফেদ, টেলিগ্রাফে তারে ফিঙে আর অসম্ভব হাওয়ার দাপট। আশ্বিনের চরাচর উড়ে যেতো, যেন শিমুলের তুলো। মাঝে মাঝে ভাসা ভাসা চোখে তারা তাকিয়ে আছে। অপু আর দুর্গা। ধানখেত, কাশঝোপের আড়াল থেকে রেলগাড়ির ঝমঝম ছাড়িয়ে, তারা তাকিয়ে রয়েছে। বাতাসে অশ্রুত ঢাকের বাদ্যি আর লুকোনো ধুনোর গন্ধ। কাকভোরে চন্দ্রকোণা বাসস্ট্যান্ডে একজন আলাভোলা লোক হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাইছে, " কেমন করে হরের ঘরে, ছিলি উমা বল মা তাই..." শেষ শরতের হিম আলোয় মাথায় গামছা বাঁধা গ্রামীণ মানুষের ক্যারাভান শুনছে, শুনছে। বাসের খালাসি হুইসল বাজাতে ভুলে গেছে। তাকেও টানছে বাড়ি। উমার বাড়ি, আমার বাড়ি। রাঢ়বাংলার সজল নিমন্ত্রণ। কিছু টান। মিছু কি না জানিনা। কারণ বাড়ির পথটিই তো চিনিনি কখনও।
    -------------------------
    ঝাড়গ্রাম ইশটিশনে গাড়ি দাঁড়াতেই হুড়মুড় ভিড়। অবশ্য সব ইশটিশনেই তাই। হঠাৎ একজন সুদর্শন ভদ্রলোক দেখি বাবার নাম ধরে ডাকছেন। "কেমন আছেন সত্যেনবাবু?" বাবা বলেন, আরে আসুন, আসুন.... কোথায় চললেন? ভদ্রলোক চারজনের বেঞ্চিতে সপ্তমজন হয়ে বসলেন। "যাচ্ছি একটু কোলকাতা।" কথাবাত্তায় বুঝতে পারলুম তিনি আমার বড়ো পিসেমশায়ের ভাই। পেশায় শিক্ষক।তিনি দেশের বাড়িতে থাকেন। তাঁর ছেলেমেয়েরা কলকাতায় পড়াশোনা করে। সে সূত্রেই তাঁকে যেতে হয়। একথা-সেকথার পর তিনি বাবা'র কাছে আমাদের গন্তব্য জানতে চাইলেন। উত্তর শুনে খুব সংক্ষেপে বললেন, " ওহ, বাড়ি যাচ্ছেন।"
    ----------------------------
    শুনে আমার প্রতিক্রিয়াটি একটু ধন্দে। আমাদের বাড়ি তো জামশেদপুর। কেন তিনি বললেন, আমরা বাড়ি যাচ্ছি? সেখানে তো প্রাসাদের মতো বাড়ি আছে একটা । শুধু দাদু-দিদা থাকেন । বাবা'রা দশ ভাইবোন কেউই থাকেন না সেই বাড়িতে। দাদু'র সঙ্গে গল্প শুরু হলেই তিনি তাঁর জ্যেষ্ঠ পৌত্রকে বলেন, এটা তোমাদের বাড়ি। তোমরা এখানে এসে থাকবে যখন আমরা থাকবো না। তিনি জানতেন তাঁর ছেলেরা হয়তো এই মফস্সলে এসে থাকবেন না কখনও। তাঁরা সবাই খুব শহুরে লোক। মাঝেমধ্যে বেড়াতে নিশ্চয় আসবেন। ঐ বিশাল দোমহলা প্রাসাদের মতো বাড়ি। সামনে পিছনে ছড়ানো বাগান। ঘরের সিলিং ষোলো ফুট উঁচু। দোতলার বারান্দা থেকে একটু দূরে সোজা দেখা যায় রেলট্র্যাক। খড়গপুর-আসানসোল লাইনের কতো ট্রেন ধোঁয়া উড়িয়ে, সিটি বাজিয়ে, সেখানে সারাদিন। চারদিকে খড়ের দোচালা, টিনছাদের পাশাপাশি দরমার বাড়ি। বাঁশবাগান আর আমকাঁঠালের অ্যাভেন্যু। সামনের কাঁচা পথটি চলে গেছে সোজা হাটতলা। বিশাল সব্জির হাট সেখানে। কাকাজ্যাঠারা যখন আসেন, স্রেফ সেই সবুজের সমারোহ দেখার জন্য বারবার একটা থলি হাতে যান সেই হাটে। একবার বেগুন, পরেরবার করলা। ওখানে লোকে বলে কল্লা। আশেপাশের পুকুর থেকে সদ্যো ধরা ছটপটে চুনো মাছ। সারি সারি জোয়াল নামানো গাড়ির পাশে বসে বলদেরা জাবর কাটছে। পাইকার আর চাষীদের ঝুড়ি নিয়ে দরাদরি। কোনোটাই বিরল ছবি নয় মফস্সলি বাংলায়। কিন্তু আমরা এসব ছবি দেখতে পাইনা জামশেদপুর বা কলকাতায়। দাদু তো ছিলেন বনেদি কলকাত্তাই। বিডন স্ট্রিট, নতুনবাজারের লোক পুরুষানুক্রমে। ওরিয়েন্টাল সেমিনারির ধুলো পা বালক। জামশেদপুরে ছিলেন কোম্পানির বড়ো সাহেব। তাঁদের থেকে উপহার পেয়েছিলেন বাড়ি বানানোর একটুকরো বসতজমি, শহরের কেন্দ্রে। কিন্তু সেই জমি দিয়ে দিয়েছিলেন এক বন্ধুকে। একটাই জেদ। সারাজীবন বেহারে থাকলুম। এবার বাড়ি ফিরে যাবো। তিনি তো ফিরে গিয়েছিলেন। নাহ, কলকাতায় ফিরে যাননি। তাঁর বাড়ি তো সেই আধো গাঁ, আধো মফস্সল সজল, সবুজ দুই বিঘা জমি। শেষ বয়সে চিকিৎসার জন্য প্রায়ই আসতে হতো জামশেদপুর। কিন্তু মৃত্যু এসেছিলো তাঁর 'নিজের বাড়ি'তেই।
    ----------------------
    তাঁর বড়ো পৌত্রের টাটার চাকরি পছন্দ ছিলোনা কোনোদিন। তাকে করতেও হলোনা সেই চাকরি। সরকারি মুলাজিম হয়ে ঊনচল্লিশ বছরে মোট সতেরোটা পোস্টিং সারা দেশে। দারাকন্যা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে সর্বদা। কখনও অন্য সহকর্মীদের মতো 'ফ্যামিলি'কে একজায়গায় 'স্টেশন' করে নিজে " আমি রবো বঞ্চিতের, হতাশের দলে" হয়ে জীবন কাটায়নি। আমাদের দেশে বলে "কল কিসনে দেখা?" অর্থাৎ, আজই আমার শেষদিন হতে পারে। তাই নো রিস্ক।এতো অস্থিতির মধ্যেও মেয়েরা পড়াশোনা করেছে। বৃত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ঘুরে ঘুরে বেড়ানোর চাপ তাদের বোধকে দিয়েছে নতুন মাত্রা । সাতঘাটের জল খেয়ে মানসিকভাবে হয়তো আরো পরিণতই হয়েছে। বাবা'র মতো'ই তাদেরও কোনও একটা বাড়ি নেই। সারা দেশই বাড়ি। তাদের বাবার যেমন কোনো জায়গায় বড়োজোর বছর তিনেক হয়ে গেলেই আর থাকতে ভালো লাগেনা। ততোদিনে সে জায়গার সব রহস্য ফুরিয়ে গেছে। পুরানো জানিয়া তখন শুধু আধেক আঁখির কোণ। কোনও টান নেই আর। এবার যেতে হবে নতুন কোথাও। নতুন দেশ, নতুন মানুষ, নতুন নিসর্গ, নতুন ঐতিহ্য। একজায়গায় থিতু হয়ে যাওয়া বন্ধুরা বুঝতে পারেনা। ভাবতেই হাঁপিয়ে যায়। তারা চারদেওয়ালের চেনা স্বস্তিকেই হয়তো 'বাড়ি' ভেবে ফেলেছে। জানতেই পারলো না, এই দেশ, হাছনরাজার এই দালানকোঠা কতো রঙ্গিন, কেমন অন্তহীন।'সব ঠাঁই মোর ঘর আছে', গুরু'র এই কথাটা নিজের জীবনে অজান্তেই রূপ নিয়েছে এতোদিন ধরে।
    ------------------------
    ভালা কইর‌্যা ঘর কোথায় বান্ধা যায়? তার দ্যাশের বাড়ি আর 'নিজের' নেই। তার জামশেদপুরের বাড়িও তাই। অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে ভাবতে ভাবতে আবার পূর্বপুরুষের শহরে ডেরা বাঁধতে আসা। কখনও থাকেনি সেখানে সে। হায়দরাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, পনাজি, লিস্টের প্রথম তিনটে জায়গা, সবই বাদ গেলো। কেউ বলে, হোয়াই কলকাতা? আ ড্যাম প্লেস। কেউ বলে, বাহ, বেশ করেছো। হিসেব করে নয়, ইচ্ছে করেই এই ঠাঁইবদল। ইচ্ছে হয়েছে, সেটাই বড়ো কথা। নতুন করে শুরু করার রোমাঞ্চসুখ তো কখনও পুরোনো হয়না। দেখা যাক, তিলোত্তমার কল্লোল কতোদিন শিহরিত করে।নতুন বাড়িকে 'আইন্যা দিয়া সাইয়া দেখি' না হয় একবার। নিরাশ না হলে, এখানেই আছি। নয়তো ভারতবর্ষ নামক বোধিবৃক্ষের নীচে ছায়ার অভাব তো হয়না কখনও। হাছনরাজা, তোমারে যে গুরু মানসি সেই কোনকালে .....হেইডা তো হাচা কতা...
    -------------------
    " গাছ আর
    গাছের ছায়ার নিচে দড়ির খাটিয়া
    আমাদের তৃতীয় পৃথিবী "

    (স্থিরচিত্রঃ ভাস্কর চক্রবর্তী)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৮ জুলাই ২০১৯ | ১৪২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | ***:*** | ০৯ জুলাই ২০১৯ ০৯:০৩50646
  • গানটাও থাক,

  • Du | ***:*** | ০৯ জুলাই ২০১৯ ১১:৫৪50647
  • বাহ কলকাতায় এলেন নিশ্চয় ভালো থাকবেন।
  • Nina | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৯ ০৪:২২50648
  • বাড়িঘরের পরিভাষাই ক্রমশ বদলে যাচ্ছে --- হারিয়ে যাচছে কতকিছু। বডড ভাল লাগল শিবাজি তোমার ট্রেন যাত্রা য় সঙ্গী হয়ে-
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন