এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অর্ধেক আকাশ, তোমাদেরকে.....

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৭৪ বার পঠিত
  • আজ আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবস। দুনিয়ার সমস্ত কন্যার উদ্দেশ্য লাখো লাখো কুর্ণিশ জানাই। এই লেখাটি তাদের উদ্দেশ্য উৎসর্গীকৃত। ভালো থেকো তোমরা সকলেই। বিকশিত হোক তোমাদের স্বপ্ন।

    আজ সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখ ,আজ আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবস। এক মনখারাপি সময়ের আবহে এবারে আমরা উদযাপন করতে চলেছি এই বিশেষ দিনটিকে। এক অন্তহীন হাহাকারের প্রেক্ষাপটে, এ বছর এই দিনটিকে পালন করতে চলেছি আমরা। আমাদের সংসারে কন্যা সন্তানের স্থানটি যে খুব পাকাপোক্ত তা বোধহয় নয়। নানান ঘটনার ঘনঘটা নিয়ত একথাই মনে করিয়ে দেয়। আসলে আমাদের একান্ত পারিবারিক আবহেই শুরু হয় কন্যাদের প্রতি অবজ্ঞা আর অনাদর। বৃহত্তর সমাজের আঙিনায় তার‌ই পুনরাভিনয় চলতে থাকে নানান রূপে, বিচিত্র ভঙ্গিমায়। পদে পদে তাঁদের বিকাশের পথে জড়দ্গব পাথরের মত বাধা হয়ে দাঁড়ায় তথাকথিত সমাজ শাসন। ঘরের মেয়েটি যে আমার ঘরের‌ই, সে কথা মনখুলে ভাবতে পারি কয় জনা, হে কয় জনা ? পারিনা বলেই হয়তো সংসারের প্রতিদিনের ‘অভ্যাসের অন্ধকারে’ তাঁদের আড়াল করে রাখি আমরা।

    ঘরের মেয়ে যে শয়নে স্বপনে জাগরণে আমাদেরই অংশ সেই কথাটাকেই নতুন করে মনে করিয়ে দেবার জন্যই হয়তো প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের এই চতুর্থ রবিবারকে ঘিরে এমন আয়োজন করা হয় দুনিয়া জুড়ে। কন্যাদের প্রতি আমাদের গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিতেই এমন বিশেষ অনুষ্ঠান তা বোধহয় বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখেনা । ভারতের মত একটি দেশে যেখানে স্বাধীনতার এত বছর পরও সংখ্যাগরিষ্ঠ কন্যাদের একমাত্র প্রাপ্তি অবজ্ঞা, অবহেলা, লাঞ্ছনা আর নিরাপত্তাহীন শৃঙ্খলিত যাপন সেখানে এই দিনটি, একদিনের জন্য হলেও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই দিনটির স্বতন্ত্র উদযাপন তাই কেবল পরিবারের সদস্যদের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয় বৃহত্তর সমাজের পরিসীমায় দিনটিকে অর্থবহ করাটাও সমানভাবে জরুরি।

    আজ সকালেই খবরের কাগজ পাতিপাতি করে খুঁজে পেলাম একটা ছোট্ট খবর। এমন খবরে আজকাল আর খুব বিচলিত হ‌ইনা। দেখতে দেখতে, পড়তে পড়তে সব কেমন মন স‌ওয়া হয়ে গিয়েছে। খবরটায় ফিরি । সুদূর উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার অধিবাসী জনৈক বাবলু দিবাকরকে পুলিশ অপ্রকৃতিস্থ অবস্হায় গ্রেফতার করেছে। কী তার অপরাধ? সে তার মাত্র দেড় মাসের কন্যা সন্তানটিকে আছড়ে মেরে ফেলেছে। পরপর চারটি কন্যা সন্তানের পিতা হতে সে চায়নি। এমন ঘটনা কি কেবল উত্তরপ্রদেশীয় বলে নীরব উদাসীন হয়ে থাকবো আমরা ? এহেন ঘটনা প্রতিদিন ঘটে চলেছে আমাদের পুরুষালি সমাজে। মেয়ে মানেই উপেক্ষার বস্তু, মেয়ে মানেই বর্জনীয় – এই ধারণাটিকে একটু একটু করে গেঁথে দেওয়া হয়েছে আমাদের মনে। একটি কন্যা সন্তানের জন্ম যে আকস্মিক নয়, তার পেছনে পুরুষ ও নারীর সমান দায় রয়েছে সে কথা বুঝে উঠতে চাইনা অনেকেই। আর হয়তো তাই সমাজের অর্ধেক আকাশ বারবার ঘনকালো হয়ে ওঠে অমানুষী দম্ভের আস্ফালনে।

    আজকের কাগজে যেমন বাবলুর কথা পড়েছি তেমনি পড়েছি প্রতিমা দেবীর কথা। হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের পটুয়াপাড়া লেনের স্টুডিওতে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন ষাটোর্ধ্ব প্রতিমা দেবী। নিবিড় মমতায় গড়ে চলেছেন মৃন্ময়ী মায়ের মূর্তি। বাবা যতীন্দ্রনাথ চিত্রকর তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে মেজ , প্রতিমাকে হাতে ধরে শিখিয়েছেন মূর্তি গড়ার কৃৎ কৌশল। বাবার কাছে শেখা সেই বিদ্যার পুঁজিকে কাজে লাগিয়েই প্রতিমা দে আজ শ্রীরামপুর,রিষড়া,হরিপালে এক পরিচিত নাম। কে বলে পুত্ররাই যথার্থ উত্তরাধিকারী ? ভুল, ভুল, ভুল। মহাভুল। এই মনু বাদী দর্শন আমাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে এত কাল। আর হয়তো তাই ঘরের মেয়েকে এমন নারকীয় নির্যাতনের শিকার হতে হয় , সম্মান রক্ষার জন্য উদ্বেলিত হয়ে উঠতে হয়ে সকলকে।

    এমন‌ই এক প্রেক্ষাপটে আহ্বান আসে কন্যা সন্তান দিবস পালনের,এমন এক আহ্বানের আলোয় নিজেদের নতুন বোধ ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে স্থাপন করার। সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রবিবারকে এমন এক দিবস পালনের জন্য বেছে নেওয়ার পেছনেও কাজ করেছে এক বিশেষ ভাবনা – রবিবার, সকলের ছুটি। পরিবারের সদস্যরা চেনা ঠাঁইয়ে একজোট, দিনভর হৈচৈ করে একটু আলাদা ভাবে দিনযাপন। এমন দিনে ঘরের মেয়েটি বা মেয়েদের ঘিরে দিনটির বিশেষ তাৎপর্যকে সবাই মিলে গভীরভাবে অনুভব করা। কন্যা তো সম্পদ এই বোধে নতুন করে উত্তীর্ণ হবার চেষ্টা করা।

    বিটিয়া, কহা গয়ী তু। আ বেটি মেরা পাস আ জরা।
    আঈ বাপু, আঈ। বোলো বাপু! সুবা সুবা ইতনি হল্লা মচাকে রাখা হ্যায় কিউ?
    দেখ বিটিয়া, তেরি লিয়ে কেয়া লাই হু ।
    কেয়া বাপু ? মেরি পড়াইকি লিয়ে কলেজকি কাগজাত! বাপুউউউউ। আম্মু ইধার আও। দেখো বাপুনে মেরি লিয়ে কেয়া খাস তোফা লায়ে হ্যায়।

    ‌একরাশ খুশি, বিশ্বাস আর পারস্পরিক নির্ভরতার সুর ঝরে পড়ে সবার কন্ঠে। এই সুর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এটাই দিনটিকে পালনের মূল উদ্দেশ্য।

    পরিবারের সদস্যদের সকলকেই অনুভব করতে হবে কন্যারাও আমাদের পারিবারিক গরিমার ধারক, বাহক, সংবর্ধক। পরিবারের পরিসরেই যদি কন্যাদের আলাদা করে রাখা হয় তাহলে সমাজের অন্যান্যরা আমাদের মেয়েদের সম্মানের সঙ্গে আগলে রাখবে কেন? কেবল রাত নয়, আমাদের মেয়েরা যাতে গোটা জীবনটাকেই নিজেদের দখলে রাখতে পারে আপন আপন কর্মসূত্রে সেই প্রয়াস‌ই শুরু হোক সর্বতোভাবে।

    জাতীয় কন্যা দিবস পালন করার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কন্যাদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা প্রকাশ করতে চাই। কোন লোকদেখানো আয়োজন নয় সবটাই উৎসারিত হোক গভীর আত্যন্তিক অনুভব থেকে। আমাদের দেশের সমস্যা এখানেই, উদযাপনের আয়োজনে আমরা যে পরিমাণ জাক দেখাই, কর্তব্য পালনে তার সামান্যতম নিষ্ঠা দেখাই না। এই ফাঁকিটাই ফাঁক হয়ে গ্রাস করে আমাদের কন্যাদের। তাই বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও শুধু ঘোষণা হয়েই থেকে যায় । আমাদের দেশের কন্যাদের দুর্দশা আর ঘোচেনা। আজ‌ও ডাইনি অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারা হয় আমাদের কন্যা, ভগিনী বা বধূদের, দহেজ বা পণের দাবিতে আমাদের মেয়েরা নিগৃহীত হয়, নাবালিকা কন্যাদের পাচার করা হয় নিকৃষ্ট পণ্যের মত কোন্ অজানা ঠিকানায়, জগতের অপার বিস্ময়ের সঙ্গে পরিচিত হবার আগেই বিবাহ দেওয়া হয় তাদের, জন্মের আগেই সন্তানের লিঙ্গ চিহ্নিত করে কন্যাভ্রুণ হত্যা করা হয় নির্বিচারে, কর্পোরেট কোম্পানিতে কর্মরতা আমাদের ঘরের মেয়ে কাজের চাপে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। কত বলবো! যুগ যুগ ধরে এমনটাই হয়ে চলেছে আমাদের কন্যা সন্তানদের সঙ্গে। পুত্র সন্তানের প্রতি বিশেষ নজর দেবার যে রীতি এতকাল ধরে চলছে তার মধ্যেই নিহিত রয়েছে কন্যাদের দুর্দশাগ্রস্ত করে রাখার কুসংস্কার। সচেতনতার অভাবে এই অনিয়মগুলোই নিয়মের চেহারা নিয়েছে একটু একটু করে। জাতীয় কন্যা দিবস এগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে আহ্বান জানায় সকলকে।

    এই বিশেষ দিনটিতে শুধু শুকনো শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে, আসুন কিছু ইতিবাচক কর্মভাবনায় নিজেদের উদ্বুদ্ধ করি। মনে রাখবেন, আমার আপনার ঘর থেকেই শুরু করতে হবে এই শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ। মেয়েদের কাছে শুধু এই চাই, ওই চাইয়ের ফিরিস্তি তুলে ধরা নয়, তাদের সামনে রেখে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেওয়া নয়, নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে কন্যাদের গৌরবী ভূমিকার। এই বিশেষ মুহূর্তে আমাদের দাবি হোক –

    ১. পরিবারে কন্যাদের ভূমিকার উদযাপন করা হোক – আবহমানকাল ধরে পরিবারের ভেতরে চলে আসা কন্যাদের ভূমিকাকে নতুন করে স্বীকৃতি জানানো হোক। কন্যাদের ঘিরে তৈরি করা হোক সুদৃঢ় পারিবারিক আবেগ। তাদের প্রতিটি কাজের ইতিবাচক, সদর্থক, প্রশংসিত মূল্যায়ন করা হোক। শুধু এই বিশেষ দিনে নয় উৎসবকাল দীর্ঘায়িত হোক প্রতিদিনের কালসীমায়। মেয়েদের ভালোবাসা, কর্তব্যবোধ, দায়িত্বশীলতা প্রতিদিনের পারিবারিক জীবনে যে নতুন প্রাণ প্রবাহের সঞ্চালন করে তাকে স্বীকৃতি দিতে হবে দ্ব্যর্থহীনভাবে। পুত্র ও কন্যার মধ্যে কোনোরকম ভেদাভেদ করা চলবে না।

    ২. লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান – পরিবার পটভূমিতে পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানের মধ্যে কোনরকম পার্থক্য তৈরি করা বন্ধ করতে হবে। লিঙ্গ সাম্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের দেশে এই ক্ষেত্রে বড় অসাম্য রয়েছে। পুত্র সন্তানের প্রতি বিশেষ পক্ষপাত কন্যাদের পরিপূর্ণতা অর্জনে বাধা দেয়। বৃহত্তর সমাজজীবনে তার‌ই পুনরাভিনয় চলতে থাকে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের মেয়েরা আজ অগ্রণী, অনেক বিষয়েই তারা ছেলেদের ছাপিয়ে গেছে। যে দেশে, যে সমাজে লিঙ্গ সাম্যতা নেই সেই দেশ বা সমাজ সবদিক থেকেই পশ্চাৎপদ। লিঙ্গ নিরপেক্ষতার সঙ্গে পরিবারের প্রতিটি সন্তানের প্রতিপালনের অঙ্গীকার করার দিন আজ।

    ৩. দূরে সরিয়ে রাখতে হবে আবহমানকাল থেকে চলে আসা ধারণাগুলো – যা চকচক করে তাই যেমন সোনা নয়, ঠিক তেমনি যা সনাতনী তাই পালনীয়, অনুসরণীয় এমনটাও ঠিক নয়। সনাতনী তাই আঁকড়ে ধরতে হবে এমন ভাবনা মুক্ত ভাবনার প্রসারে পদে পদে বাধা দেয়। শুধু বাবলু দিবাকরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের রক্ষণশীল পরিবারে, রক্ষণশীল সমাজে অমন বাবলু হাজারে- হাজারে, লাখে-লাখে রয়েছে যারা এখনও পুত্র সন্তানকে পারিবারিক গরিমা আর উত্তরাধিকারের একমাত্র তল্পিবাহক বলে মনে করে। এই মোহ ত্যাগ করতে হবে। আজকের দিনটা এই ভাবনাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার ডাক দেয়। সন্তানদের পক্ষপাতহীন প্রতিপালন অনেক সম্ভাবনাময় সমাজের ক্ষেত্র তৈরি করে একথা ভুললে চলবে না।

    ৪. কন্যাদের ক্ষমতায়ন চাই
    আপনি আপনার মেয়েটির পাশে দাঁড়ান মুক্তমনে। ও ঠিক রাস্তা কেটে এগিয়ে যাবে। মেয়েরা দুর্বল নয়। পরিবার,সমাজ তাদের দুর্বল করে রাখে । পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এই অবিচার বজায় রাখতে চায় নিজেদের স্বার্থেই। আজকের দিনে আমাদের কন্যাদের জোরের সঙ্গে বলতে হবে তোমরা দুর্বল ন‌ও তোমরা সবল, সক্ষম। তোমরা এগিয়ে যাও পরিবার তোমাদের সাথে আছে,পাশে আছে। সমস্ত বাধাকে জয় করে তোমরা এগিয়ে চলো ।এক উজ্জ্বল আগামী তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তোমরা নিজেদের ওপর বিশ্বস্ত থাকো আরও বেশি বেশি করে ।

    ৫. বাবা মায়ের সঙ্গে দৃঢ়তর হোক কন্যার বন্ধন
    আজকের দিনে বাবা মায়ের সঙ্গে এক দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হোক আমাদের মেয়েরা। এই বাঁধন বেঁধে বেঁধে রাখুক আমাদের মেয়েদের। ওদের বুঝতে দেওয়া হোক যে তারা ফেলনা নয়,তারা আমাদের ভালোবাসার স্মারক, আমাদের চোখের মণি। আজকের দিন এমন ভাবনাকে পালনের কথা বলে।

    এই ভাবনাগুলোকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেবার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই একথা যেন ভুলে না যাই। এই কর্মসূচির রূপায়ণে আমরা সকলেই আজ প্রতিজ্ঞ হ‌ই।

    ভাবনাগুলো ডানা মেলে দিক অনেক অনেক মানুষের মন আকাশে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ritabrata Gupta | 103.68.***.*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৬537901
  • অসাধারণ লেখা !  প্রার্থনা  করি  আপনার  লেখা  যেন  ইশ্বর এর  আশীর্বাদ  পায় .  সত্যি  হোক  আমাদের  কামনা .  আমাদের  ইচ্ছে  পূর্ণ  হোক .
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b9d8:5bb6:3b09:***:*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০৭537902
  • এই লেখাটা ভালো লাগলো। আমার মতে মেয়েদের ক্ষমতায়ন বা এমপাওয়ারমেন্টটা খুব জরুরি, আর তার জন্য সবথেকে বড়ো স্টেপ বোধায় মেয়েদের ফাইন্যান্সিয়াল ইনডিপেনডেন্স। মেয়েদের নিজের উপার্জন এনশিওর করা, তাদের নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে টাকা জমানো, নিজের নামে প্রপার্টি বা কোন অ্যাসেট কেনা ইত্যাদি। মেয়েরা যাতে উপার্জন করতে পারে তার জন্য তাদের পড়াশোনা করানো, চাকরি করার জন্য উৎসাহ দেওয়া, সোশ্যাল ইকোসিস্টেম তৈরি করা, এইসব। 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:1075:d160:8000::***:*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৩537905
  • বড় ভালো লাগলো। কন্যারা সব আনন্দে থাক।আকাশ হোক তাদের সীমা।
    পরিস্থিতি অবশ্য পাল্টাচ্ছে।অনেক অনেক বছরের মজ্জাগত ভাবনা পাল্টাতে সময় লাগছে।
    বৈদিক যুগের প্রথমদিকে মেয়েদের অবস্থান অনেক উঁচুতে ছিল।তারপর ধীরে ধীরে খারাপ হয়েছে। এখন উল্টো যাত্রা শুরু হয়েছে। স্কুলগুলোর দিকে দেখলে কিছুটা আভাস পাওয়া যায়।সব রকম কার্যক্রমে মেয়েরা এগিয়ে।
     
  • #:+ | 2405:201:8000:b1a1:21db:9535:c860:***:*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:১৭537909
  • আজকের এই বিশেষ দিনটিকে এভাবে স্মরণ করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানাই। বিধি নিয়মের গণ্ডিতে বাধা পড়ে থাকা মেয়েদের আকাশ কবে কলুষ মুক্ত হবে জানিনা, তবে বিশ্বাস করি একদিন এই মেঘ‌ও কেটে যাবে। পরিবার পরিবেশে কন্যাদের মতামতকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হোক। পাশাপাশি লড়াই চলুক সমাজের সমস্ত ক্ষেত্র থেকে পুরুষালি কর্তৃত্বকে খর্ব করার। 
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b1a1:21db:9535:c860:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১৫537937
  • লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগছে। তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিকে সামনে রেখে পুরুষতান্ত্রিকতার অবসান চাই। পদে পদে বাধা দিয়ে কন্যাদের অগ্রগতি রোখা যাবেনা।
  • RAJIB DAS | 202.142.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯537956
  • লেখা TA খুব সুন্দর হয়েছে দাদা। 
  • শাশ্বতী পাইক | 2401:4900:331c:1fcf:1:2:6cc4:***:*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১৭538040
  • অসাধারণ। আমাদের অনেকেরই মনের কথাগুলো দারুণ সুন্দর করে উপস্থাপিত করেছেন। অনেক ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন