এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নামাবলী

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ আগস্ট ২০০৭ | ৭৯৮ বার পঠিত
  • ব্যাপার সামান্যই। জাভেদ ইকবাল নামের ছেলেটির বাড়ি ল্যাঙ্কাশায়ারে। ব্ল্যাকবার্ন এলাকায়। কুইন এলিজাবেথ গ্রামার স্কুলের পরীক্ষা পাশ করার পুরষ্কার হিসাবে বাবা-মার সঙ্গে সে বেড়াতে গিয়েছিল ফ্লোরিডায়। গরমের ছুটিতে। সঙ্গে ছিলেন তার মা, ৩৫ বছর বয়সী নৌশাব নাদিম, এবং তিন ভাইবোন, সানা, ফারিহা এবং ইফতিকার। যাওয়া এবং ফেরার পথে, ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার একাধিক এয়ারপোর্টে,সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে তাকে এবং তার পরিবারকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। ম্যাঞ্চেস্টার এয়ারপোর্টে আটকে রাখা হয় ঘন্টাতিনেক, আপাদমস্তক তল্লাশির পর মেলে বিমানে ওঠার ছাড়পত্র। এরপর ওর্ল্যান্ডো এয়ারপোর্টে তাদের আটকে রাখা হয় দেড় ঘন্টা। আর ফেরার পথে ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয় দুঘন্টার জন্য। এ যাত্রায় সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স মেলার আগেই তাদের টিকিট ক্যানসেল করে দেওয়া হয়। ফলে ফ্লাইট মিস এবং অশেষ ভোগান্তি।

    যদ্দুর জানা যাচ্ছে, এই ভোগান্তির মূল কারণ হল জাভেদের নাম। জানা যাচ্ছে, ইতিপূর্বে জাভেদ ইকবাল নামক জনৈক ব্যক্তি ৯/১১ পরবর্তী আমেরিকায় চিহ্নিত হয়েছিলেন সম্ভাব্য একজন সন্ত্রাসবাদী হিসাবে। সেই ব্যক্তিটিকে দীর্ঘমেয়াদে গ্রেপ্তার করা হয়নি, বিচারও হয়নি, শুধু আমেরিকা থেকে ডিপোর্ট করা হয়েছিল। এর পরে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অঙ্গ হিসাবে একটি আমেরিকান সিকিউরিটি এজেন্সি বিভিন্ন এয়ারপোর্টে একটি সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরি করেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই সিস্টেমের ডেটাবেসে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের নামের তালিকায় জাভেদ ইকবাল নামটিও আছে। ফলে ল্যাঙ্কাশায়ারের স্কুলছাত্র জাভেদ ইকবাল চেক-ইন করা মাত্র ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন এয়ারপোর্টে সেই কম্পিউটার সিস্টেম নামের ভিত্তিতে তাকে চিহ্নিত করে একটি সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী বিপদ হিসাবে। অত:পর, আটক, তল্লাশি, ভোগান্তি এবং ছুটির দফারফা।

    এসব জিনিস আখছারই হচ্ছে, বিশেষ করে মহম্মদ হানিফের ঘটনার পরে এই একটি ঘটনা নিয়ে অত্যধিক কচলানোর কোনো দরকার ছিলনা। চেহারাও নয়, নাম, স্রেফ নামই কিভাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে দিচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তর লেখালিখি তর্কাতর্কি হবার পর, এখন মিডিয়াও এসবে আগ্রহ হারিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মহান যুদ্ধের অংশ হিসাবে এসব খুচরো কোল্যাটারাল ড্যামেজের এই বাজারে তেমন কোনো নিউজ ভ্যালুও নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও, এই বিশেষ খবরটি যে মহাশুন্যে চিরতরে বিলীন হয়ে যাবার আগে কিঞ্চিৎ আগ্রহের বুদবুদ তৈরি করতে পেরেছে, তার কারণ হল জাভেদের বয়স। সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হিসাবে এয়ারপোর্টে আটক করার সময় জাভেদের বয়স ছিল সাত বছর কিছু মাস। বড়ো বড়ো ব্যাপারগুলোকে বাদ দিলেও, স্রেফ এই কারণেই জিনিসটা নজরে পড়ে। যে, কি নির্বোধ, কি যান্ত্রিক, কি মাছিমারা-কেরানিসদৃশ এই তথাকথিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা, স্রেফ নাম মিলে যায় বলেই একটি সাত বছরের শিশুকে চিহ্নিত করে সম্ভাব্য বিপদ হিসাবে, সন্ত্রাসের উৎস হিসাবে। হায় অমোঘ পশ্‌চিমী শক্তিমত্তার আস্ফালন, নিজেদের "আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা' সুনিশ্‌চিত করতে প্রতিদিনই আমেরিকান বোমারু বিমান উড়িয়ে দিচ্ছে দূর প্রাচ্যের এমন একেকটি অজানা জনপদ, যাদের নামও মার্কিন নাগরিকরা উচ্চারণ করতে পারেনা। কিন্তু তার পরেও, কি ভয়, কি আতঙ্কে আসলে বাঁচছে বিপুল বোমারু বিমান আর নিউক্লিয়ার অস্ত্রের পাহাড়ে বসে থাকা ব্রিটেন-আমেরিকা, একটি সাতবছরের শিশুর ভয়েই সে কাতর -- কে যেন এদের কাগজের বাঘ বলেছিলেন?

    সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে সাত বছরের একটি শিশুকে হয়রানির গল্পটা জানাজানি হবার পর, এ বিষয়ে হিউম্যানিটরিয়ান গ্রাউন্ডে বিভিন্ন মুনি বিভিন্ন জ্ঞানগর্ভ মতপ্রকাশ করছেন। কেউ বলছেন সিকিউরিটি ডেটাবেসে শুধু নাম নয়, সঙ্গে বয়সও ঢোকানো উচিত। তাতে করে নিরাপত্তাব্যবস্থার মাছিমারাদশা ঘোচানো যাবে। মানে এই আরকি, যে, পঁয়ত্রিশ বছরের জাভেদ ইকবালের বদলে ছত্রিশ বছরের জাভেদকে ধরে হ্যারাস করলে কোনো সমস্যা নেই, শুধু সাত বছরের শিশুকে ধরে টানাটানি করলে বড্ডো বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। বাড়াবাড়ি, মানুষ খুন, এসব করার জন্য গোটা প্রাচ্য পড়ে আছে, পশ্‌চিমের সাদা গায়ে যেন সেই কালো বিচ্ছিরি দাগটা না পড়ে। অতএব, অল্পবিস্তর হ্যারাস করেই চলুন, করেই চলুন, বিশেষ করে রিসিভিং এন্ডে যারা আছে, তারা যখন "আমাদের' লোক নয়, শুধু চোখে পড়ার মতো বাড়াবাড়ি না হলেই হল।

    কেউকেউ আবার ডেটাবেসে বয়সের সঙ্গে ছবি ঢোকানোর কথাও বলেছেন। তাতেও গুলিয়ে যাবার সম্ভাবনা বিস্তর, কারণ চেহারা পাল্টায়, প্রচন্ড বেশি রকমের পাল্টায়। ফলে একমাত্র অপশন যা দেখা যাচ্ছে, যে, সব সন্দেহভাজনের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য কম্পিউটার সিস্টেমের নখদর্পণে রাখলে তবেই কনফিউশন এড়ানো সম্ভব। ফলে লক্ষ্য একটাই। একটি দুনিয়াজোড়া ডেটাবেস বানানো, যেখানে সমস্ত "সন্দেহভাজন' মানুষ সম্পর্কে যাবতীয় ডেটা লিপিবদ্ধ এবং আপটুডেট থাকবে। অর্থাৎ, নিকেশ করতে বা জেলে পুরতে পারলেন তো শান্তিকল্যাণ, নয়তো আজীবন নজরবন্দী। ব্যক্তির অধিকার, রাইট-ফাইট সব চুলোর দোরে যাক, সন্দেহভাজন স্রেফ সন্দেহভাজন বলেই তার যাবতীয় গতিবিধি যেন রেকর্ডেড থাকে। মুখের চেহারা এখন ঠিক কেমন, কোন সেলুনে চুল ছেঁটেছে, অ্যাপেন্ডিক্সের সাইজ কতো থেকে শুরু করে, গত পরশু বান্ধবীর কামড়ে গালে একটা দাগ হয়েছে কিনা পর্যন্ত সব যেন ডেটাবেসে ঢোকানো থাকে। -- আশা করা যাচ্ছে এই পরামর্শও কেউ একদিন দিয়ে দেবেন।

    শুধু সমস্যা একটাই, যে সন্দেহভাজনের এরকম একটি সম্পূর্ণ লিস্টি বানাবে কে? কোন বাপ কা বেটা বা মাঈ কা লাল? কি করে জানা যাবে, লিস্টির বাইরে কোনো সন্দেহভাজন নেই? বা ভুল করে কোনো নাম লিস্টিতে ঢোকানো হয়নি? ভুল করে ঢোকানো হলে লিস্ট থেকে নাম কাটানোই বা যাবে কিকরে?

    এই ব্যাপারে গুণীজনরা দ্বিতীয় পরামর্শটি দিচ্ছেন, যে, নাম নিয়েই যখন গোলমাল, নামের কারণেই যখন জাভেদের নাম ভুল করে ঢুকে পড়েছিল তালিকায়, তখন সেই তালিকা থেকে বাদ যাবার পদ্ধতিটিও সিম্পল। স্রেফ নামটা বদলে ফেললেই হয়। রসিকতা নয়, জাভেদের মা বলেছেন, তিনি এবং তাঁর স্বামী ছেলের নাম পাল্টানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন। নেহাৎই নামটা পাকিস্তাননিবাসী জাভেদের মৃতা ঠাকুমার দেওয়া, তাই ওটা বদল করা সম্ভব নয়। এটা জাভেদের বাবা বলেছেন। কিন্তু তিনি যা বলেননি, তা হল, নাম পাল্টে কিইবা নাম রাখা যেতে পারত জাভেদের। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত কোন নাম আজ সন্দেহভাজন নয়? আগেই জানা ছিল, কিন্তু মহম্মদ হানিফের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের দেখিয়েছে, সন্দেহজনক কিনা তা বিচারের পদ্ধতিটি মূলত: তুই জল ঘোলা করিসনিতো কি তোর বাবা তো করেছে,সূত্রানুসারী। এখানে ভাই বোম বানালে ধরা হয় দাদাকে, ছেলেকে না পেয়ে বাপকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ, নামে মিলে গেলেই হাতে হাতকড়া। সন্দেভাজনের পুরো লিস্টিটাই তো গোষ্ঠীগত। আপনার নাম কি হানিফ কিংবা জাভেদ কিংবা ইমরান? তার উপরে গায়ে কি মধ্য/পশ্‌চিম এশিয়ার রক্ত? থুতনিতে দাড়ি আছে? তাহলে আর সন্দেহজনক হতে বাকি কি রইল? আপনি বোম মারেননি তো কি, আপনার মাসতুতো ভাই তো হোয়াইট হাউসের দিকে থুথু ছুঁড়েছিল। আর, কে না জানে, মাসতুতো ভাই সম্পর্কটি মূলত: চোরে চোরেই হয়ে থাকে।

    অতএব এই গোটা গল্পের নীতিশিক্ষা একটিই। সভ্য দুনিয়া সন্দেহভাজনের একটি তালিকা বানিয়েছে, যা মোটামুটি সম্পূর্ণ -- যারা "আমাদের' মতো নয়, তারাই সন্দেহজনক। অতএব দুনিয়াজোড়া বিশ্বমানবের কাছে পশ্‌চিমের কাতর প্রার্থনা, একটু জানু পেতে প্লিজ পশ্‌চিমের দিকে তাকিয়ে বসুন , একটু আমাদের মতো হোন। একটু এফর্ট দিতে হতে পারে ঠিকই, কিন্তু আল্টিমেটলি কষ্টের শেষে দেখবেন দাঁড়িয়ে আছে বাঁশি হাতে কেষ্ট। আর তা যদি না করেন, যদি সন্দেহজনকই থাকতে চান? বেশ তো, তাহলেও আপনার স্বাধীনতায় কেউ হাত দেবেনা -- বেশি কিছু না, জাস্ট ট্রামে বাসে এয়ারপোর্টে থাকুন আজীবন নজরদারির মধ্যে। একটু সন্দেহ হলেই আপাদমস্তক তল্লাশি হবে, জেলে পোরা হবে, সে আর বেশি কি, প্রমাণিত না হলে কক্ষণো কোনো শাস্তি দেওয়া হবেনা।

    তবে বলি কি, এইসব ঝামেলায় গিয়ে লাভ কি,একটু "আমাদের" মতো হোনই না। চুলের রঙ করে ফেলুন বাদামী। চোখে পরুন কনট্যাক্ট। ইংরিজি ফরাসী বা জার্মানে কথা বলুন, উচ্চারণে আনুন ঠিকঠাক অ্যাকসেন্ট। চামড়ার রঙ নিয়ে কি করবেন শিওর না, তবে "সন্দেহজনক" নাম একদম রাখবেন না। মধ্যপ্রাচ্যে থাকবেন না। পারলে মুসলিম হবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় বোম মেরে প্রিএম্পটিভ মেজার হিসাবে গোটা মধ্যপ্রাচ্যটাই উড়িয়ে দিতে পারলে। চেষ্টা চলছে, তবে সেটা যতদিন না হচ্ছে, একটু কষ্টে কাটান। প্লিজ বেয়ার উইথ আস।

    আগস্ট ২৬, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৬ আগস্ট ২০০৭ | ৭৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন