এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রাবন্দা ও পুজো ২০০৯

    তীর্থঙ্কর দাশগুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৮৯৪ বার পঠিত
  • রাবন্দার খবর-টবর বহুকাল পাই না; অবিশ্যি মন্দার বাজারে ঘন ঘন লং ডিসট্যান্স কল আশা করাটাও অন্যায়। তাই এতদিন পর পুজোর সময়ে ফোন পেয়ে একটু অবাকই হলুম; বললুম, "রাবন্দা হঠাৎ কী মনে করে? লঙ্কায় সব কুশল তো?" রাবন্দা দশ নাকে ফোঁস করে দশখানা নি:শ্বাস ফেলে বললেন, "আর কুশল! ভাবছি এই উইকেন্ডে কোথাও একটা পালিয়ে যাব, মানে দিন দুয়েকের অজ্ঞাতবাস আর কি। তাই ভাবছিলাম তোমার ওখানে দিন দুয়েকের জন্য একটু ব্যবস্থা হয় কিনা!" ভারী খুশি হয়ে যেই বলেছি, "বা: সে তো ভারী ভাল খবর - চলে আসুন, "বাংলা ও বিশ্ব" আয়োজিত দুর্গাপুজোতে একসাথে যাওয়া যাবে, "অমনি রাবন্দা ভয়ানক খেঁকিয়ে উঠে বললেন, "ইয়ার্কি হচ্ছে? উইক-এন্ড পুজো থেকে পালিয়ে তোমার ওখানে যাব সেই একই গাড্ডায় পড়তে? তার চেয়ে বরং ইজরায়েল বা সুদানের দিকে চেষ্টা করে দেখি।"

    ভারী অবাক হয়ে বললুম, "সে কি দাদা! লঙ্কাতেও আজকাল উইক-এন্ড পুজো হচ্ছে আর আপনি সেই পুজো থেকে পালাচ্ছেন?" রাবন্দা ভারী করুণ গলায় বললেন, "আর বলো কেন! এই উইক-এন্ড পুজো যে জীবন এমন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে তা কি আর আগে জানতুম ভায়া?" খুবই কৌতূহল হল, জিজ্ঞেস না করে আর থাকা গেল না, "মানে রাবন্দা, অসুবিধাটা ঠিক কোথায় যদি একটু খুলে বলেন ..."।

    "অসুবিধা কোথায় মানে? পুরোটাই অসুবিধা। ডিজাস্টার। স্টার্টিং ফ্রম স্যাটার্ডে মর্নিং পাক্কা ছত্রিশ ঘন্টার ক্যাটাস্ট্রফি। শনিবার আর্লি মর্নিং থেকে মান্দুর সাজগোজ শুরু হয়। সে খুবই ইলাবোরেট ব্যাপার, বুইলে? তোমাদের মধুকবি যদি রাবণের রণসজ্জার মত আন-ইম্পর্ট্যান্ট একখান টপিক নিয়ে ফালতু না হেজিয়ে মন্দোদরীর রূপসজ্জা অমিত্রাক্ষর ছন্দে বর্ণনা কত্তেন, তবে আজ তা প্রকৃতই বিকল্প লেখা বলে গণ্য হত। মান্দুর র‌্যালা আর রাবণের ল্যালা - এই কন্ট্রাস্ট ছাপা গুরুচণ্ডালীর প্রতিটি ইস্যু আলো করে থাকত। কিন্তু সে যাকগে, যে যেমন অদেষ্ট করেছে। হ্যাঁ, তা যা বলছিলাম - মান্দুর সাজসজ্জার ব্যাপারটা খুবই এক্সাইটিং, কিন্তু তার মধ্যে আমাকে ইনভল্‌ভ করে একেবারে ন্যাজেগোবরে করে দেওয়া হয়।"

    "হ্যাঁগো, শুনছ, এই তাঁতের শাড়ীটা পরলে ভালো লাগবে না এই সাউথ ইন্ডিয়ান সিল্কটা?" প্রশ্নটা আপাতনিরীহ, কিন্তু ডোরাস। তুমি যদি বলো তাঁত, প্রশ্ন আসবে, "কিন্তু তাঁতটা আজকের পক্ষে একটু সিম্প্‌ল হয়ে যাবে না?" তখন যদি মাথা চুলকে বলো, "তা বটে, তাহলে সিল্কটাই বরং ...", পরবর্তী প্রশ্ন : "কিন্তু সিল্কটার রঙটা একটু বেশি চড়া হয়ে যাবে না?" এবার তুমি কী করবে? "তুমি যা পরবে তাতেই অপরূপা লাগবে" গোছের ছেঁদো স্টেটমেন্ট চলবে না। খুবই নাজুখ পরিস্থিতি। সুতরাং এ সব ব্যাপারে আমি পাক্কা নাসিরুদ্দিন মোল্লা। আফটার অল, শাড়ীর মোসাহেবি করে আর কে কবে বড়লোক হয়েছে!

    - লোকে যে কী করে এই ধুমসো শাড়ীগুলো সারাদিন পরে থাকে!
    - পরে থাকে বুঝি? কোন সেন্স নেই বলতে হবে তো!

    - কিন্তু পুজোয় না পরলে পরবেই বা কখন?
    - তা বটে, এখানে এসব পরার সুযোগই বা কোথায়?

    - এইরকম সব কথাতে সায় দিলে আমার ভয়ানক বিশ্রী লাগে!
    - হ্যাঁ, এরকম সায় দেওয়াটা মোটেই কাজের কথা নয়। কেন যে আমার কোন নিজস্ব মতামত নেই!

    তাঁত-সিল্ক-ব্যোমকাইয়ের গাঁট পার হয়ে অবশেষে শাড়ী নির্বাচন শেষ হয়। টেম্পোরারি রিলিফ। হেঁ হেঁ, কিন্তু না, এবারের প্রশ্ন আরও কঠিন। বিছানার ওপর মেলে দেওয়া শাড়ীর ওপর ফ্যাত ফ্যাত করে এসে পড়ল তিনটে মেরুন রঙের ব্লাউজ। "বসে বসে আনন্দবাজার পড়ে সময় নষ্ট না করে একটু কনস্ট্রাকটিভ কাজ করো তো! বলো তো তিনটের মধ্যে কোন মেরুন শেডটা শাড়ির মেরুনের সবচেয়ে কাছাকাছি?" বোঝো ঠ্যালা! তিনটেই, আমার চালশে ধরা চোখে, যাকে বলে উনিশ-বিশ।

    - বাঁদিকেরটাই যেন মনে হচ্ছে ...
    - তোমার মুণ্ডু! দশ জোড়া চোখের মধ্যে ছটাতে বাইফোক্যাল জানতাম, কিন্তু রং কানা কবে থেকে হলে?

    - তাহলে ডানদিকেরটা?
    - উফ্‌ফ্‌ফ্‌, ঐ শেডটা আর শাড়ীর মেরুন এক হল? তোমাকে নিয়ে আমি যে কী করি ...

    ব্লাউজের পর গয়না। সোনা না মুক্তো? মুক্তো না জাঙ্ক জুয়েলারি? চ্যাপ্টা না সরু? সব বিষয়েই সুচিন্তিত মতামত দিতে হয়। বলা বাহুল্য, কোনোটাই শেষ পর্যন্ত গ্রাহ্য হয়না, উল্টে ধাতানি খেতে হয় প্রচুর। গয়নার পর চটি। তারপর শাড়ীর কুঁচি। তারপর আমার পাঞ্জাবী। নিজে বেছে পরলে তো অবধারিতভাবে পাল্টাতেই হবে, তাই দশমুণ্ডুতে গেঞ্জি গলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। "দেখেছ, সাদা পাঞ্জাবীটায় ঠিক মাংসের ঝোল ফেলেছ! দেব এবার থেকে পার্টিতে যাবার আগে গলায় একটা বিপ বেঁধে!" ইত্যাদি নানারকম তর্জনগর্জনের মধ্যে দিয়ে অবশেষে রাবণের সাজসজ্জা শেষ হয়।

    অত:পর পুজো। গোটা ব্যাপারটাই যে রক্ষোজাতির কাছে ভয়ানক হিউমিলিয়েটিং, সেটা আজকের ইয়াং জেনারেশনকে কে বোঝাবে! এদের না আছে কোন জাত্যাভিমান, না আছে সনাতন ঐতিহ্যের প্রতি অনুরাগ। যাই হোক, এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটাই যা একটু ইন্টারেস্টিং, তাই অঞ্জলি-টঞ্জলির পাট তাড়াতাড়ি চুকিয়ে খিচুড়ির লাইনে ঠেলেঠুলে ঢুকে পড়ি। দীর্ঘ সে লাইন সর্পিল আকার ধারণ করে এঁকেবেঁকে করিডর দিয়ে চলে গেছে। এবার শর্টকাটের দল একে একে জুটতে থাকে : "আরে রাবন্দা ভাল তো! দাদা, বড্ড লম্বা লাইন, আপনার তো বিশটা হাত - আমার ফ্যামিলির চারটে প্লেট একটু কাইন্ডলি নিয়ে নেবেন।" "রাবন্দা, আমার দুটো প্লেট যদি একটু ..."। "রাবণ আঙ্ক্‌ল, রাবণ আঙ্ক্‌ল, আমার আর আমার বে-এ-স্ট ফ্রেন্ড বুঁচির প্লেটদুটো একটু প্লি-ই-ই-ই-জ নিয়ে নিও - সো-ও-ও-ও সুইট অফ ইউ," আবদার চলতেই থাকে, একসময় খেয়াল হয় বিশটার বেশি অর্ডার নিয়ে ফেলেছি, নিজের জন্য আবার লাইনে দাঁড়াতে হবে। অনেক পরিশ্রমের শেষে কাগজের থালায় একনাদা খিচুড়ি, বাঁধাকপির ঘ্যাঁট, ম্রিয়মাণ বেগুনী, নেতিয়ে থাকা একটুকরো অভিমানী পাঁপড়, চাটনি। প্লাস্টিকের কাঁটাচামচ, ন্যাপকিন। এদিকে বসার জায়গা নেই। ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসের মত সব চেয়ারে ছাতা, হ্যান্ডব্যাগ, রুমাল রাখা। অতএব তক্কে তক্কে থাকতে হয়। কোন টেবিলে কার খাওয়া হয়ে এসেছে। কে উঠব উঠব করছে। কাউকে চেয়ার থেকে পশ্চাদ্দেশ সামান্য ওঠাতে দেখলেই সেদিকে ধেয়ে যাওয়া।

    সবশেষে বিচিত্রানুষ্ঠান। জি টিভি ২০০৫ এর সারেগামাপা চ্যাম্প, জিবাংলা ২০০১ এর কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট, স্টার টিভির সাগাপাধানি ধানিপাধানি-র ফার্স্ট রাউন্ডে পারফর্ম করা শিল্পী। কয়েকজন বেশ ভালোই গায়, দিব্যি গায়, কিন্তু দুটো গান হবার পরেই পাবলিক চেঁচিয়ে বলতে থাকে "নাচের গান! নাচের গান!" ব্যস্‌, অমনি সবাই একটাই গান ধরে, "দেখা যো তুঝে ইয়ার, দিলমে বাজে গীটা-আ-আ-আ-র! প্যাঁকপ্যাঁকাপ্যাঁক প্যাঁকপ্যাঁকাপ্যাঁক প্যাঁকপ্যাঁকাপ্যাঁক প্যাঁপ্যাঁক প্যাঁপ্যাঁক!" আর অমনি অসংখ্য নবীন ও প্রবীণ, নবীনা ও প্রবীণা, ধিতিং ধিতিং করে নাচতে নাচতে মঞ্চের সামনে গড়াগড়ি দিতে থাকেন। আমার মানসচক্ষে ফুটে ওঠে ত্রেতা যুগে সোনার লঙ্কা ছারখার হয়ে যাওয়ার কালান্তক সব দৃশ্য - ন্যাজে আগুন নিয়ে হনুমান ভল্ট খাচ্ছে আর গাইছে "ছা রহা ক্যায়সা ইয়ে নশা রে, আ রহা জিনে কা মজা রে"; আমাকে সিংহাসনচ্যুত করে সব "মিস লঙ্কা" চেড়ীদের সাথে নল, নীল, গবাক্ষ, শরভ, ঋষভ, শরভ, গন্ধমাদন, দ্বিবিদ, অঙ্গদ, সুগ্রীব, আর অসংখ্য নাম না জানা বানরসেনার সেই উদ্দাম নৃত্য "আরে রে রে ম্যায় তো গয়া রে, দিল ভি গয়া রে!"

    তবে মিথ্যা বলব না, গোটা ব্যাপারটার মধ্যে প্রেমরসে ভেসে শ্রীচৈতন্য হয়ে যাওয়ার মত একটা মাদকতা আছে। খানিক পরে, মাইরি বলছি, আমারও প্রচণ্ড নাচ পেয়ে যায়। "ঝুমু ঝুমু তেরি বাহোঁ মে ঝুমু" ধিনতাকতাক ধিনতাকতাক ধিনতাকতাক ধিতাক ধিতাক। আহা! কিন্তু নাচবার যো নেই। যেই একটু উসখুস করেছি, অমনি "খবর্দার উঠবে না!" পাশ থেকে কড়া গলায় শাসন, "এই ধুমসো চেহারা নিয়ে লাফালে অডিটোরিয়ামের মেঝেতে ফাটল ধরে যাবে। একদম চুপচাপ বসে থাকো!"

    অগত্যা বসেই থাকি। গান শুনি - না না, নাচ দেখি। পাবলিকের নাচ। জনগণের নাচ। বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও, ভা-আ-আ-আ-আ-আ-ঙো। রাত্রিবেলা ঘরে ফিরে পোষাক ছাড়ার অছিলায় ঘরের দরজা বন্ধ করে আয়নার সামনে টুক করে কয়েকটা স্টেপ প্র্যাকটিস করে নিই -"চাহত কি সুন পুকার দিল মে বাজি সিতার, ধিনতাকতাক ধিনতাকতাক ধিনতাকতাক ধিতাক ধিতাক।"

    রাবন্দা থামলেন। একটা এতক্ষণ কথা বালার পর একটু যেন হাঁপাচ্ছেন। একটু বোধহয় ইমোশনালও হয়ে পড়েছেন। বললাম, "চিয়ার আপ দাদা, আপনাকে একটা ভালো খবর দিই, আমাদের দীপ্তেন্দাও এ ব্যাপারে আপনার কিছু কিছু ফিলিং শেয়ার করেন - তা আপনি একবার ওনার সঙ্গে পরামর্শ করে পুজোর সময়ে একটা অল্টারনেটিভ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে পারেন।" রাবন্দা ভারী আপ্লুত হলেন, "দীপ্তেন্দা? মানে ডিডিদা? আরে আমরা তো বাড়ীসুদ্ধ ওঁর বিশাল ভক্ত - দেখি তাহলে একবার ওনাকেই ফোন করে।"

    যাক, বাকিটা আশা করি ডিডিদা সামলে নেবেন।


    উপসংহার : এবার পুজোর ভোগে খিচুড়ির পাশে একনাদা টেস্টলেস বাঁধাকপির ঘ্যাঁটের উপস্থিতি রাবন্দাকে খুবই আহত করে। তাই অতীতের সেই পাঁচমিশেলী লাবড়া নিয়ে তিনি একটি নস্ট্যালজিক পদ্য রচনা করেন। রাবন্দার কথায়, পদ্যটি (বিশেষত: সম্বোধনে আ-কারের এ-কার হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা) বৈকুন্ঠ মল্লিক দ্বারা অনুপ্রাণিত।

    অয়ি পাঁচমিশে লাবড়ে!
    ফুটো শালপাতে খিচুড়ির সাথে তোমারে চেটেছি হাবড়ে
    কোথা সে বেগুন, টাটকা সে ঝিঙে -
    যাহার প্রভাবে বক্সিং রিঙে
    দশরথের ঐ পোলা টিঙটিঙে
    রামরে দিয়াছি ঘাবড়ে?

    অয়ি ভুলে যাওয়া লাবড়ে -
    গিয়াছ রাখিয়া নস্টালজিয়া সেই তেজীয়ান ভাব রে
    অতি ম্রিয়মাণ বাঁধাকপি ঘ্যাঁট
    রাবণচরিত নিউ ফরম্যাট
    পুঁচকে মূষিক যারে বিগ ক্যাট
    মান্দু রাখিছে দাবড়ে।

    ২৭শে ডিসেম্বর, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৮৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন