সম্প্রতি নোবেল জয়ী বৃটিশ বিজ্ঞানী স্যর টিম হান্ট সিওলের একটি সেমিনারে একটি ছোট বক্তব্য রেখেছিলেন। তার মধ্যে একটা বিশেষ অংশ ছিল যেটাকে মূলতঃ লিঙ্গ পক্ষপাতদুষ্ট বলা যায় – যদিও পরে বিভিন্ন বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি থেকে উঠে এসেছে যে স্যর হান্ট ওই অংশটা ঠাট্টা করে (আয়রনিকালি) বলেছেন সম্ভবতঃ এবং তার উল্টোটা বোঝানোই তার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু উদ্দেশ্য যা-ই হোক দিনের শেষে সেটি অবশ্যই একটি লিঙ্গবৈষম্যমূলক ঠাট্টা এবং তা সততই বর্জনীয়। স্যর হান্ট ওইদিন ওই সভায় যা বলেছেন, ঠাট্টা হিসাবে নিলেও তা আপত্তিকর এবং প্রতিবাদযোগ্য। সারা বিশ্ব জুড়ে সেই প্রতিবাদ হয়েছে – সঙ্গত কারণেই হয়েছে। - "It was just really shocking. It was culturally insensitive and it was very sexist. I just thought, 'Where in the world do you think you are that you can be making these kind of comments in 2015?'" Dr Jennifer Rohn, a cell biologist at University College London, added: "I think it was clear he was trying to be funny. But people will interpret his comments as having a kernel of truth underneath. And as a Nobel laureate, I know he's a human being, but he does have some sort of responsibility as a role model and as an ambassador for the profession." ( http://www.bbc.com/news/uk-33077107 )
কিন্তু এই প্রসঙ্গে আরো কয়েকটি কথা উঠে এসেছে যেগুলি আলোচিত হওয়া জরুরী। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈজ্ঞানিক তাঁর কর্মস্থল, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (UCL) থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন এবং তারপরে ইউরোপীয়ান রিসার্চ কাউন্সিল (ERC) এর বিজ্ঞান বিষয়ক কমিটি থেকেও – যার তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য । প্রশ্ন উঠেছে – এটা লঘু পাপে গুরুদন্ড কি না। স্যর হান্টের সমর্থকেরা বলেছেন সামান্য একটা ঠাট্টার জন্য একজন বৈজ্ঞানিকের এত বছরের কাজকে এভাবে ধ্বংস করে দেওয়া যায় কি না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই অতি সক্রিয়তা এবং অতি প্রতিক্রিয়া আসলে পূর্ব পরিকল্পিত বা নির্মিত কি না – কারণ পুরো ঘটনাক্রম দেখে সেরকম সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ পাওয়া যায়। যাই হোক প্রশ্নগুলো নিয়ে একে একে আলোচনা করা যেতে পারে। করা জরুরী – কারণ বিজ্ঞান সাধনা এবং নারীর (তথা সমস্ত মানুষের) সমান অধিকার – দুটোই আধুনিক পৃথিবীর যাত্রাপথের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এদের পারস্পরিক শত্রুতা বা তিক্ততা আমাদের উপকৃত করবে না।
প্রথম প্রশ্ন – লঘু পাপে গুরুদন্ড কি না। পরবর্তী প্রশ্নগুলোর আলোচনার সময়ে এ প্রসঙ্গটা আবার উঠবেই তাই আপাততঃ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা মূলতুবী রাখা যাক। শুধু এটুকুই বলার যে ‘পাপ’টা কোনমতেই লঘু নয় – তবে দন্ডটি গুরুতর হতে পারে।
পরবর্তী প্রশ্ন – একটা সামান্য ঠাট্টা আর একজন বৈজ্ঞানিকের (নোবেল জয়ী) এত বছরের সাধনা – তুল্যমূল্য হয় কি করে! উত্তরে আবার ওই কথা দিয়েই শুরু – ঠাট্টাটা কোনমতেই “সামান্য” নয়, বরং স্যর হান্টের মত একজন বিদগ্ধ বৈজ্ঞানিকের মুখনিঃসৃত হলে তা প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচিত হবার কথা। হ্যাঁ, তাঁর সারা জীবনের বিজ্ঞান সাধনার সঙ্গে তুল্য হবার মতই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে আরো একটু কথা বাকি থেকে যায় – তুল্য হলেও, যেহেতু তাঁর মূল বক্তব্য ঐ ঠাট্টাটি বা তার সমর্থনে ছিল না, এবং তিনি ওটাকে একটা বাজে ঠাট্টা হিসাবেই বলেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে, তাই শেষ বিচারে বৈজ্ঞানিকের আরব্ধ সাফল্যই কিছুটা বেশি ভারি বলে গণ্য হওয়া উচিৎ। অর্থাৎ, দন্ড প্রাপ্য, কিন্তু তা এতটা গুরুতর না হওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল। ঠিক কি দন্ড হতে পারত, কতটা হলে ঠিক ঠিক সুবিচার হত – এমন সূক্ষ্ম বিচার এতদূর থেকে আমাদের জন্য অবশ্যই অনধিকার – তা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই, কিন্তু যা হয়েছে তা যে দৃষ্টিকটু রকমের বাড়াবাড়ি তা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
আর এই মনে হওয়া থেকেই তৃতীয় প্রশ্নটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেটা হল – এই পুরো প্রক্রিয়াটা কি একটু অতি সক্রিয়তার আভাষ দিচ্ছে না? এত দ্রুত এতটা দক্ষতার সঙ্গে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিচার, সিদ্ধান্ত, তার প্রয়োগ এবং প্রতিক্রিয়া – সব কিছু ঘটে যাওয়া দেখলে মনে হয় যেন পুরো ব্যপারটাই সযত্নে নির্মিত। শাস্তি যেন নির্ধারিত হয়েই ছিল – শুধু অপরাধটুকু ঘটার অপেক্ষা – যে কোন অপরাধ।
এই পর্যন্ত পড়ে পাঠক বলতেই পারেন যে এ-ও আমাদের অনধিকার চর্চা। এই সব অভিযোগ প্রমাণ করার কোন উপায় যখন নেই তখন তা তোলা অর্থহীন। প্রমাণ – না, আমাদের সীমিত তথ্যে কিছু প্রমাণ করা অবশ্যই সম্ভব নয়। কিন্তু ঘটনাপরম্পরার দিকে লক্ষ্য রেখে কিছু যুক্তিসঙ্গত অনুমান করা যেতে পারে বই কি। এবং সেটাকে আমরা অনধিকার চর্চা বলে মনে করিনা – কারণ অধিকারের সীমা অনেক আগেই উভয়তঃ অনেকবার লঙ্ঘিত হয়েছে – সেটা এখন আর মূল প্রশ্নও নেই। মূল কথাটা এখন বৃহত্তর সমাজের চিন্তার দিশার প্রশ্ন, নীতি নির্ধারণের এবং সেই নীতিকে প্রশ্ন করার প্রশ্ন।
এখন কথা হচ্ছে ‘যুক্তিসঙ্গত অনুমান’ করতে হলে যুক্তির কিছু পরম্পরা থাকা দরকার – যার ওপরে ভিত্তি করে অনুমান করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সেই যুক্তির পরম্পরাগুলি কি হতে পারে? প্রথমতঃ আমরা দেখবো, এই ধরণের ঠাট্টাকে ‘যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং অযাচিত’ বলে মেনে নেওয়া সত্ত্বেও প্রদত্ত শাস্তিকে দৃষ্টিকটূ বা প্রয়োজনের তুলনার বেশি বলছি কেন? দ্বিতীয়তঃ শাস্তির প্রক্রিয়াটিকে পূর্বপরিকল্পিত বা নির্মিত বলছি কেন? এবং তৃতীয়তঃ পুরো ঘটনাক্রমকে ‘অতিসক্রিয়তা’ বলছি কেন?
প্রথম এবং তৃতীয় প্রশ্নটি আসলে মূলতঃ এক – জবাবটাও তাই একসাথেই দেব। ইংল্যান্ডে, এবং দেখতে গেলে সারা পৃথিবীতেই বিজ্ঞানচর্চা, অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতই মূলতঃ পুরুষ নিয়ন্ত্রিত। পিতৃতান্ত্রিক মন্তব্য এবং মনোভাব, অযাচিত হলেও তাই অপ্রত্যাশিত নয় মোটেই – অভূতপূর্ব তো নয়ই। আজ হঠাৎ করে স্যর হান্টের একটা বাজে ঠাট্টা মহিলা বিজ্ঞানীদের বিশেষ করে আহত করল বা নৈতিকভাবে পিছিয়ে দিল, এমন ভাবাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। প্রসঙ্গতঃ ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানচর্চায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বিষয়ে এই প্রবন্ধটি পড়া যেতে পারে - http://www.theguardian.com/commentisfree/2015/jun/13/observer-editorial-britain-needs-more-female-scientists
যদিও এখানে মূলতঃ বৃটেনের কথাই বলা হয়েছে, সারা পৃথিবীর অবস্থা (আমেরিকা সহ) এর থেকে খুব আলাদা ভাবার কোন কারণ নেই। এই প্রেক্ষিতে এই ধরণের বাজে পিতৃতান্ত্রিক ঠাট্টা যে কোন বৈজ্ঞানিকের কাছ থেকে একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়, এটা মনে রাখা ভালো। হ্যাঁ তার মানে অবশ্যই এটা নয় যে তার প্রতিবাদ করা হবে না – মেনে নিতে হবে চুপচাপ কারণ ‘এমনটা তো হয়েই থাকে’। কিন্তু তার মানে এ-ও নয় যে স্রেফ ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তড়িঘড়ি সমাজ থেকে ‘একঘরে’ করে বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা সংস্থা তাদের দায়িত্ব সেরে ফেলবে। বস্তুতঃ এই ঘটনাক্রমে যারা টিম হান্টের পক্ষে সামান্য কথাও বলেছেন তাদের এমন চোখে দেখা হচ্ছে যেন তারা পিতৃতন্ত্রকে কোনভাবে সমর্থন করেছেন। চোর ধরা পড়লে তাকে সবাই মিলে মারতে যাওয়ার মধ্যে যেমন একটা আদিম উল্লাস আছে, এ-ও অনেকটা সেইরকম। কেউ যদি সেই চোরকে বাঁচাতে যান, তবে তাকে চুরির পৃষ্ঠপোষক বলে দেগে দেওয়াটাও একটা সাধারণ প্রবণতা। এবং বিপজ্জনক প্রবণতা। দুঃখের (এবং আতঙ্কেরও) বিষয়, UCL, ERC বা Royal Societyর মত সম্মানিত সংস্থাগুলিও সেই সহজ পথটাই বেছে নিলেন, সমস্যার গভীরে না ঢুকে। একে বৈজ্ঞানিকসুলভ মনোভাব বলা চলে না অবশ্যই।
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটা অপেক্ষাকৃত জটিল। আগেই বলেছি – প্রমাণ কিছু নেই – থাকা সম্ভবই নয় – শুধু ঘটনা পরম্পরার বিশ্লেষণ ছাড়া। বিশ্লেষণ প্রত্যেকের ব্যক্তিগত – তাই আমি শুধু এখানে ঘটনাগুলি পরপর রাখবো এবং আমার চিন্তানুযায়ী কিছু প্রশ্ন রাখব।
1.9 জুন 2015 – সিওলে ওই সেমিনারে টিম হান্ট কিছু আপত্তিজনক কথা বললেন – এবং তারপর ‘নাউ সিরিয়াসলি’ যোগ করে সেই ঠাট্টাটিকে ‘আয়রনিক’ হিসাবে পেশ করারও চেষ্টা করলেন। তাঁর বক্তব্যটা ছিল – “Let me tell you about my trouble with girls … three things happen when they are in the lab … You fall in love with them, they fall in love with you and when you criticise them, they cry. Perhaps we should make separate labs for boys and girls? Now seriously, I’m impressed by the economic development of Korea. And women scientists played, without doubt an important role in it. Science needs women and you should do science despite all the obstacles, and despite monsters like me”
2.ওই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ ‘বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক’ কণি সেন্ট লুইস – যদিও এই বিশেষ ‘এসাইনমেন্টটির পূর্বে তার শেষ রিপোর্ট “দ্য গার্জিয়ান”এ বেরিয়েছিল 2013 সালে। এই বিশেষ সংবাদটির জন্য কণি কোন শর্টহ্যান্ড নেননি বলে শোনা গেল – সংবাদটি প্রাথমিকভাবে পাঠানোও হল রিপোর্টের আকারে নয় – ট্যুইটের মাধ্যমে। (তথ্যসূত্রঃ - http://www.dailymail.co.uk/news/article-3141158/A-flawed-accuser-Investigation-academic-hounded-Nobel-Prize-winning-scientist-job-reveals-troubling-questions-testimony.html)
3.কণি ওই বক্তৃতার ‘বিশেষ অংশটি টুইট করলেন – “নাউ সিরিয়াসলি” থেকে বাকি অংশটুকু তার টুইটে স্থান পেল না (পরে কণি বলেছেন স্যর হান্ট নাকি ওই অংশটুকু আদৌ বলেন নি – এটা নিয়ে এত চর্চার পরেও কণির এই দাবীকে কেউ সমর্থন করেন নি এখনো)
“Why the British so embarassing abroad? At #WCSJ2015 President lunch today sponsored by powerful role model Korean female scientists and engineers. Utterly ruined by sexist speaker Tim Hunt FRS @royalsociety who stood up on invitation and says he has a reputation as male chauvinist.. He continued, “Let me tell you about my trouble with girls..”3 things happen when they are in the lab; you fall in love with them, they fall in love with you and when you criticise them, they cry” not happy with the big hole he has already dug, he continues digging .. “I am in favour of single sex labs” BUT he “doesn’t want to stand in the way of women. Oh yeah! Sounds like it? let me tell you about my trouble with girls. Three things happen in the lab: you fall in love with them, they fall in love with you and when you criticise them, they cry! So as a result, he’s in favor of single sex lab but he doesn’t want anything to stand in the way of women. Really does this Nobel Laureate think we are still in Victorian times?” – Tweet by Connie St Louis on 09-06-2015
4.ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে টুইটটি ভাইরাল হয়ে গেল – প্রায় আর্ধেক পৃথিবী জেনে গেল স্যর হান্টের এই “কুকীর্তি”র কথা।
5.পরদিন ভোরে (10-06-2015- টাইম জোনের হিসাবে লন্ডনে তখনো 09-06-2015) বিবিসি রেডিও 4 স্যর হান্টের ‘বিবৃতি’ নিল এই বিষয়ে (http://www.bbc.co.uk/programmes/p02tc22c) এবং তা প্রচারিত হল। স্যর হান্টের নিজের বক্তব্য অনুযায়ী – ““It wasn’t an interview. It was 1am British time and I was just asked to record a message. It was a mistake to do that as well. It just sounded wrong.”
6.ঘটনার 24 ঘন্টার মধ্যে, হান্ট যখন ফেরার বিমানে, UCL তাঁর স্ত্রী মেরি কলিন্সকে ডেকে পাঠায় এবং হান্টকে পদত্যাগ করার কথা বলা হয়। কর্তৃপক্ষ কলিন্সকে জানিয়েছিলেন এটা নিয়ে কোনরকম হইচই হবে না । - ““I was told by a senior that Tim had to resign immediately or be sacked – though I was told it would be treated as a low-key affair. Tim duly emailed his resignation when he got home. The university promptly announced his resignation on its website and started tweeting that they had got rid of him. Essentially, they had hung both of us out to dry. They certainly did not treat it as a low-key affair. I got no warning about the announcement and no offer of help, even though I have worked there for nearly 20 years. It has done me lasting damage. What they did was unacceptable.” – Mary Collins
7.হান্টের পদত্যাগের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তা ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে তোলা হল এবং কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে এই সম্পর্কচ্ছেদের কথা গোটা দুনিয়াকে জানান দিলেন। “বেশি হইচই না চাওয়া”র নমুনা। হান্ট ও মেরি কার্যত “একঘরে” হলেন। বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় যে হইচই হচ্ছিল, তা
ঝড়ে পরিণত হল – হান্ট কত বড় “দুষ্ট লোক” তা গোটা দুনিয়া জানল। সাংবাদিকরা হান্টের এবং মেরীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করার ‘অধিকার’ পেয়ে গেল। - At the same time, their house was doorstepped by reporters, says Collins. “One of them said that his paper had found my ex-husband. He said it was all very juicy and I needed to get a response in. I didn’t, but I still had a sleepless night. In fact, it wasn’t that juicy. It was a story of a woman, me, who divorced one man and then married another, Tim. But it was still horrible.” – Mary Colins.
8.UCL এর এই ঘটনার জেরে ERCও হান্টকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করলেন। রয়াল সোসাইটির তরফ থেকে তাঁকে আবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হল। - In addition, bodies such as the Royal Society – of which Hunt is a fellow – were pressing for him to make a fuller apology for his remarks in Korea. Within two days, the pressure had become desperate for both scientists.
এবারে পাঠককে বিশেষ করে 1 থেকে 7 অবধি ঘটনাপ্রবাহে আরেকবার নজর দিতে অনুরোধ করব। আবারো বলছি কোন প্রমাণ নেই, কিন্তু একটা ঘটনাকে আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করতে খুব কষ্টকল্পনার প্রয়োজন আছে কি? পাঠকের নিজস্ব যুক্তিপরম্পরা ও বোধের ওপর বিষয়টি ছাড়া গেল।
বিজ্ঞানের জগতে রাজনীতির অস্তিত্ত্ব কতটা তীব্র ও হিংস্র তা অভিজ্ঞ ব্যক্তিমাত্রেই জানেন। পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার – এসব যে বিজ্ঞানমহলেও কোন অংশে কম নয় তা-ও এখন আর কোন খবর নয়। কিন্তু আবার ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাই – একজনকে ‘চুরি’র দায়ে গণধোলাই দিয়ে চুরি বন্ধ করা যায় কি? টিম হান্টের সঙ্গে যা যা হয়েছে, তার অন্যায় মন্তব্য সত্ত্বেও বলতেই হচ্ছে যে সেটা মূলতঃ ‘মব লিঞ্চিং’ – একটা সহজ টার্গেট খুঁজে নিয়ে সস্তার বিপ্লব। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন উদ্দেশ্য, পূর্ব পরিকল্পনা বা নির্মিতি ছিল কি না তা নিশ্চিত জানা না থাকলেও এই সস্তায় বাজিমাতের প্রবণতাকে অবশ্যই ধিক্কার জানানো উচিৎ। দিস ইজ নট সায়েন্স।