এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • টিম হান্টিং?

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৬ জুলাই ২০১৫ | ৯৮৫ বার পঠিত
  • সম্প্রতি নোবেল জয়ী বৃটিশ বিজ্ঞানী স্যর টিম হান্ট সিওলের একটি সেমিনারে একটি ছোট বক্তব্য রেখেছিলেন। তার মধ্যে একটা বিশেষ অংশ ছিল যেটাকে মূলতঃ লিঙ্গ পক্ষপাতদুষ্ট বলা যায় – যদিও পরে বিভিন্ন বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি থেকে উঠে এসেছে যে স্যর হান্ট ওই অংশটা ঠাট্টা করে (আয়রনিকালি) বলেছেন সম্ভবতঃ এবং তার উল্টোটা বোঝানোই তার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু উদ্দেশ্য যা-ই হোক দিনের শেষে সেটি অবশ্যই একটি লিঙ্গবৈষম্যমূলক ঠাট্টা এবং তা সততই বর্জনীয়। স্যর হান্ট ওইদিন ওই সভায় যা বলেছেন, ঠাট্টা হিসাবে নিলেও তা আপত্তিকর এবং প্রতিবাদযোগ্য। সারা বিশ্ব জুড়ে সেই প্রতিবাদ হয়েছে – সঙ্গত কারণেই হয়েছে। - "It was just really shocking. It was culturally insensitive and it was very sexist. I just thought, 'Where in the world do you think you are that you can be making these kind of comments in 2015?'" Dr Jennifer Rohn, a cell biologist at University College London, added: "I think it was clear he was trying to be funny. But people will interpret his comments as having a kernel of truth underneath. And as a Nobel laureate, I know he's a human being, but he does have some sort of responsibility as a role model and as an ambassador for the profession." ( http://www.bbc.com/news/uk-33077107 )

    কিন্তু এই প্রসঙ্গে আরো কয়েকটি কথা উঠে এসেছে যেগুলি আলোচিত হওয়া জরুরী। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈজ্ঞানিক তাঁর কর্মস্থল, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (UCL) থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন এবং তারপরে ইউরোপীয়ান রিসার্চ কাউন্সিল (ERC) এর বিজ্ঞান বিষয়ক কমিটি থেকেও – যার তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য । প্রশ্ন উঠেছে – এটা লঘু পাপে গুরুদন্ড কি না। স্যর হান্টের সমর্থকেরা বলেছেন সামান্য একটা ঠাট্টার জন্য একজন বৈজ্ঞানিকের এত বছরের কাজকে এভাবে ধ্বংস করে দেওয়া যায় কি না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই অতি সক্রিয়তা এবং অতি প্রতিক্রিয়া আসলে পূর্ব পরিকল্পিত বা নির্মিত কি না – কারণ পুরো ঘটনাক্রম দেখে সেরকম সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ পাওয়া যায়। যাই হোক প্রশ্নগুলো নিয়ে একে একে আলোচনা করা যেতে পারে। করা জরুরী – কারণ বিজ্ঞান সাধনা এবং নারীর (তথা সমস্ত মানুষের) সমান অধিকার – দুটোই আধুনিক পৃথিবীর যাত্রাপথের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এদের পারস্পরিক শত্রুতা বা তিক্ততা আমাদের উপকৃত করবে না।

    প্রথম প্রশ্ন – লঘু পাপে গুরুদন্ড কি না। পরবর্তী প্রশ্নগুলোর আলোচনার সময়ে এ প্রসঙ্গটা আবার উঠবেই তাই আপাততঃ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা মূলতুবী রাখা যাক। শুধু এটুকুই বলার যে ‘পাপ’টা কোনমতেই লঘু নয় – তবে দন্ডটি গুরুতর হতে পারে।

    পরবর্তী প্রশ্ন – একটা সামান্য ঠাট্টা আর একজন বৈজ্ঞানিকের (নোবেল জয়ী) এত বছরের সাধনা – তুল্যমূল্য হয় কি করে! উত্তরে আবার ওই কথা দিয়েই শুরু – ঠাট্টাটা কোনমতেই “সামান্য” নয়, বরং স্যর হান্টের মত একজন বিদগ্ধ বৈজ্ঞানিকের মুখনিঃসৃত হলে তা প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচিত হবার কথা। হ্যাঁ, তাঁর সারা জীবনের বিজ্ঞান সাধনার সঙ্গে তুল্য হবার মতই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে আরো একটু কথা বাকি থেকে যায় – তুল্য হলেও, যেহেতু তাঁর মূল বক্তব্য ঐ ঠাট্টাটি বা তার সমর্থনে ছিল না, এবং তিনি ওটাকে একটা বাজে ঠাট্টা হিসাবেই বলেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে, তাই শেষ বিচারে বৈজ্ঞানিকের আরব্ধ সাফল্যই কিছুটা বেশি ভারি বলে গণ্য হওয়া উচিৎ। অর্থাৎ, দন্ড প্রাপ্য, কিন্তু তা এতটা গুরুতর না হওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল। ঠিক কি দন্ড হতে পারত, কতটা হলে ঠিক ঠিক সুবিচার হত – এমন সূক্ষ্ম বিচার এতদূর থেকে আমাদের জন্য অবশ্যই অনধিকার – তা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই, কিন্তু যা হয়েছে তা যে দৃষ্টিকটু রকমের বাড়াবাড়ি তা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    আর এই মনে হওয়া থেকেই তৃতীয় প্রশ্নটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেটা হল – এই পুরো প্রক্রিয়াটা কি একটু অতি সক্রিয়তার আভাষ দিচ্ছে না? এত দ্রুত এতটা দক্ষতার সঙ্গে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিচার, সিদ্ধান্ত, তার প্রয়োগ এবং প্রতিক্রিয়া – সব কিছু ঘটে যাওয়া দেখলে মনে হয় যেন পুরো ব্যপারটাই সযত্নে নির্মিত। শাস্তি যেন নির্ধারিত হয়েই ছিল – শুধু অপরাধটুকু ঘটার অপেক্ষা – যে কোন অপরাধ।

    এই পর্যন্ত পড়ে পাঠক বলতেই পারেন যে এ-ও আমাদের অনধিকার চর্চা। এই সব অভিযোগ প্রমাণ করার কোন উপায় যখন নেই তখন তা তোলা অর্থহীন। প্রমাণ – না, আমাদের সীমিত তথ্যে কিছু প্রমাণ করা অবশ্যই সম্ভব নয়। কিন্তু ঘটনাপরম্পরার দিকে লক্ষ্য রেখে কিছু যুক্তিসঙ্গত অনুমান করা যেতে পারে বই কি। এবং সেটাকে আমরা অনধিকার চর্চা বলে মনে করিনা – কারণ অধিকারের সীমা অনেক আগেই উভয়তঃ অনেকবার লঙ্ঘিত হয়েছে – সেটা এখন আর মূল প্রশ্নও নেই। মূল কথাটা এখন বৃহত্তর সমাজের চিন্তার দিশার প্রশ্ন, নীতি নির্ধারণের এবং সেই নীতিকে প্রশ্ন করার প্রশ্ন।

    এখন কথা হচ্ছে ‘যুক্তিসঙ্গত অনুমান’ করতে হলে যুক্তির কিছু পরম্পরা থাকা দরকার – যার ওপরে ভিত্তি করে অনুমান করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সেই যুক্তির পরম্পরাগুলি কি হতে পারে? প্রথমতঃ আমরা দেখবো, এই ধরণের ঠাট্টাকে ‘যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং অযাচিত’ বলে মেনে নেওয়া সত্ত্বেও প্রদত্ত শাস্তিকে দৃষ্টিকটূ বা প্রয়োজনের তুলনার বেশি বলছি কেন? দ্বিতীয়তঃ শাস্তির প্রক্রিয়াটিকে পূর্বপরিকল্পিত বা নির্মিত বলছি কেন? এবং তৃতীয়তঃ পুরো ঘটনাক্রমকে ‘অতিসক্রিয়তা’ বলছি কেন?

    প্রথম এবং তৃতীয় প্রশ্নটি আসলে মূলতঃ এক – জবাবটাও তাই একসাথেই দেব। ইংল্যান্ডে, এবং দেখতে গেলে সারা পৃথিবীতেই বিজ্ঞানচর্চা, অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতই মূলতঃ পুরুষ নিয়ন্ত্রিত। পিতৃতান্ত্রিক মন্তব্য এবং মনোভাব, অযাচিত হলেও তাই অপ্রত্যাশিত নয় মোটেই – অভূতপূর্ব তো নয়ই। আজ হঠাৎ করে স্যর হান্টের একটা বাজে ঠাট্টা মহিলা বিজ্ঞানীদের বিশেষ করে আহত করল বা নৈতিকভাবে পিছিয়ে দিল, এমন ভাবাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। প্রসঙ্গতঃ ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানচর্চায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বিষয়ে এই প্রবন্ধটি পড়া যেতে পারে - http://www.theguardian.com/commentisfree/2015/jun/13/observer-editorial-britain-needs-more-female-scientists

    যদিও এখানে মূলতঃ বৃটেনের কথাই বলা হয়েছে, সারা পৃথিবীর অবস্থা (আমেরিকা সহ) এর থেকে খুব আলাদা ভাবার কোন কারণ নেই। এই প্রেক্ষিতে এই ধরণের বাজে পিতৃতান্ত্রিক ঠাট্টা যে কোন বৈজ্ঞানিকের কাছ থেকে একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়, এটা মনে রাখা ভালো। হ্যাঁ তার মানে অবশ্যই এটা নয় যে তার প্রতিবাদ করা হবে না – মেনে নিতে হবে চুপচাপ কারণ ‘এমনটা তো হয়েই থাকে’। কিন্তু তার মানে এ-ও নয় যে স্রেফ ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তড়িঘড়ি সমাজ থেকে ‘একঘরে’ করে বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা সংস্থা তাদের দায়িত্ব সেরে ফেলবে। বস্তুতঃ এই ঘটনাক্রমে যারা টিম হান্টের পক্ষে সামান্য কথাও বলেছেন তাদের এমন চোখে দেখা হচ্ছে যেন তারা পিতৃতন্ত্রকে কোনভাবে সমর্থন করেছেন। চোর ধরা পড়লে তাকে সবাই মিলে মারতে যাওয়ার মধ্যে যেমন একটা আদিম উল্লাস আছে, এ-ও অনেকটা সেইরকম। কেউ যদি সেই চোরকে বাঁচাতে যান, তবে তাকে চুরির পৃষ্ঠপোষক বলে দেগে দেওয়াটাও একটা সাধারণ প্রবণতা। এবং বিপজ্জনক প্রবণতা। দুঃখের (এবং আতঙ্কেরও) বিষয়, UCL, ERC বা Royal Societyর মত সম্মানিত সংস্থাগুলিও সেই সহজ পথটাই বেছে নিলেন, সমস্যার গভীরে না ঢুকে। একে বৈজ্ঞানিকসুলভ মনোভাব বলা চলে না অবশ্যই।

    দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটা অপেক্ষাকৃত জটিল। আগেই বলেছি – প্রমাণ কিছু নেই – থাকা সম্ভবই নয় – শুধু ঘটনা পরম্পরার বিশ্লেষণ ছাড়া। বিশ্লেষণ প্রত্যেকের ব্যক্তিগত – তাই আমি শুধু এখানে ঘটনাগুলি পরপর রাখবো এবং আমার চিন্তানুযায়ী কিছু প্রশ্ন রাখব।

    1.9 জুন 2015 – সিওলে ওই সেমিনারে টিম হান্ট কিছু আপত্তিজনক কথা বললেন – এবং তারপর ‘নাউ সিরিয়াসলি’ যোগ করে সেই ঠাট্টাটিকে ‘আয়রনিক’ হিসাবে পেশ করারও চেষ্টা করলেন। তাঁর বক্তব্যটা ছিল – “Let me tell you about my trouble with girls … three things happen when they are in the lab … You fall in love with them, they fall in love with you and when you criticise them, they cry. Perhaps we should make separate labs for boys and girls? Now seriously, I’m impressed by the economic development of Korea. And women scientists played, without doubt an important role in it. Science needs women and you should do science despite all the obstacles, and despite monsters like me”

    2.ওই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ ‘বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক’ কণি সেন্ট লুইস – যদিও এই বিশেষ ‘এসাইনমেন্টটির পূর্বে তার শেষ রিপোর্ট “দ্য গার্জিয়ান”এ বেরিয়েছিল 2013 সালে।  এই বিশেষ সংবাদটির জন্য কণি কোন শর্টহ্যান্ড নেননি বলে শোনা গেল – সংবাদটি প্রাথমিকভাবে পাঠানোও হল রিপোর্টের আকারে নয় – ট্যুইটের মাধ্যমে। (তথ্যসূত্রঃ - http://www.dailymail.co.uk/news/article-3141158/A-flawed-accuser-Investigation-academic-hounded-Nobel-Prize-winning-scientist-job-reveals-troubling-questions-testimony.html) 

    3.কণি ওই বক্তৃতার ‘বিশেষ অংশটি টুইট করলেন – “নাউ সিরিয়াসলি” থেকে বাকি অংশটুকু তার টুইটে স্থান পেল না (পরে কণি বলেছেন স্যর হান্ট নাকি ওই অংশটুকু আদৌ বলেন নি – এটা নিয়ে এত চর্চার পরেও কণির এই দাবীকে কেউ সমর্থন করেন নি এখনো)

    “Why the British so embarassing abroad? At #WCSJ2015 President lunch today sponsored by powerful role model Korean female scientists and engineers. Utterly ruined by sexist speaker Tim Hunt FRS @royalsociety who stood up on invitation and says he has a reputation as male chauvinist.. He continued, “Let me tell you about my trouble with girls..”3 things happen when they are in the lab; you fall in love with them, they fall in love with you and when you criticise them, they cry” not happy with the big hole he has already dug, he continues digging .. “I am in favour of single sex labs” BUT he “doesn’t want to stand in the way of women. Oh yeah! Sounds like it? let me tell you about my trouble with girls. Three things happen in the lab: you fall in love with them, they fall in love with you and when you criticise them, they cry! So as a result, he’s in favor of single sex lab but he doesn’t want anything to stand in the way of women. Really does this Nobel Laureate think we are still in Victorian times?” – Tweet by Connie St Louis on 09-06-2015

    4.ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে টুইটটি ভাইরাল হয়ে গেল – প্রায় আর্ধেক পৃথিবী জেনে গেল স্যর হান্টের এই “কুকীর্তি”র কথা।

    5.পরদিন ভোরে (10-06-2015- টাইম জোনের হিসাবে লন্ডনে তখনো 09-06-2015)  বিবিসি রেডিও 4 স্যর হান্টের ‘বিবৃতি’ নিল এই বিষয়ে (http://www.bbc.co.uk/programmes/p02tc22c) এবং তা প্রচারিত হল। স্যর হান্টের নিজের বক্তব্য অনুযায়ী – ““It wasn’t an interview. It was 1am British time and I was just asked to record a message. It was a mistake to do that as well. It just sounded wrong.”

    6.ঘটনার 24 ঘন্টার মধ্যে, হান্ট যখন ফেরার বিমানে, UCL তাঁর স্ত্রী মেরি কলিন্সকে ডেকে পাঠায় এবং হান্টকে পদত্যাগ করার কথা বলা হয়। কর্তৃপক্ষ কলিন্সকে জানিয়েছিলেন এটা নিয়ে কোনরকম হইচই হবে না । - ““I was told by a senior that Tim had to resign immediately or be sacked – though I was told it would be treated as a low-key affair. Tim duly emailed his resignation when he got home. The university promptly announced his resignation on its website and started tweeting that they had got rid of him. Essentially, they had hung both of us out to dry. They certainly did not treat it as a low-key affair. I got no warning about the announcement and no offer of help, even though I have worked there for nearly 20 years. It has done me lasting damage. What they did was unacceptable.” – Mary Collins

    7.হান্টের পদত্যাগের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তা ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে তোলা হল এবং কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে এই সম্পর্কচ্ছেদের কথা গোটা দুনিয়াকে জানান দিলেন। “বেশি হইচই না চাওয়া”র নমুনা। হান্ট ও মেরি কার্যত “একঘরে” হলেন। বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় যে হইচই হচ্ছিল, তা 

    ঝড়ে পরিণত হল – হান্ট কত বড় “দুষ্ট লোক” তা গোটা দুনিয়া জানল। সাংবাদিকরা হান্টের এবং মেরীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করার ‘অধিকার’ পেয়ে গেল। - At the same time, their house was doorstepped by reporters, says Collins. “One of them said that his paper had found my ex-husband. He said it was all very juicy and I needed to get a response in. I didn’t, but I still had a sleepless night. In fact, it wasn’t that juicy. It was a story of a woman, me, who divorced one man and then married another, Tim. But it was still horrible.” – Mary Colins.

    8.UCL এর এই ঘটনার জেরে ERCও হান্টকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করলেন। রয়াল সোসাইটির তরফ থেকে তাঁকে আবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হল। - In addition, bodies such as the Royal Society – of which Hunt is a fellow – were pressing for him to make a fuller apology for his remarks in Korea. Within two days, the pressure had become desperate for both scientists.

    এবারে পাঠককে বিশেষ করে 1 থেকে 7 অবধি ঘটনাপ্রবাহে আরেকবার নজর দিতে অনুরোধ করব। আবারো বলছি কোন প্রমাণ নেই, কিন্তু একটা ঘটনাকে আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করতে খুব কষ্টকল্পনার প্রয়োজন আছে কি? পাঠকের নিজস্ব যুক্তিপরম্পরা ও বোধের ওপর বিষয়টি ছাড়া গেল।

    বিজ্ঞানের জগতে রাজনীতির অস্তিত্ত্ব কতটা তীব্র ও হিংস্র তা অভিজ্ঞ ব্যক্তিমাত্রেই জানেন। পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার – এসব যে বিজ্ঞানমহলেও কোন অংশে কম নয় তা-ও এখন আর কোন খবর নয়। কিন্তু আবার ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাই – একজনকে ‘চুরি’র দায়ে গণধোলাই দিয়ে চুরি বন্ধ করা যায় কি? টিম হান্টের সঙ্গে যা যা হয়েছে, তার অন্যায় মন্তব্য সত্ত্বেও বলতেই হচ্ছে যে সেটা মূলতঃ ‘মব লিঞ্চিং’ – একটা সহজ টার্গেট খুঁজে নিয়ে সস্তার বিপ্লব। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন উদ্দেশ্য, পূর্ব পরিকল্পনা বা নির্মিতি ছিল কি না তা নিশ্চিত জানা না থাকলেও এই সস্তায় বাজিমাতের প্রবণতাকে অবশ্যই ধিক্কার জানানো উচিৎ। দিস ইজ নট সায়েন্স।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৬ জুলাই ২০১৫ | ৯৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhijit Majumder | ***:*** | ০৭ জুলাই ২০১৫ ০১:০২87245
  • 'নাউ সিরিয়াসলি' এটা উড়িয়ে দিলে আমাদের অনেকের অনেক কথার মানে পাল্টে যাবে।
  • দেব | ***:*** | ০৭ জুলাই ২০১৫ ০৪:৫৭87243
  • আমি একটু দোনামনা হয়ে আছি এই ব্যাপারটাতে। ঠাট্টাকে ঠাট্টার মতই দেখা উচিত কিন্তু যেখানে মার্কেটে সিচুয়েশনটা এতই বাজে রিগার্ডিং মিসোজিনি সেখানে পাবলিক ফোরামে কি বলছি সাবধান থাকা উচিত।
  • সিকি | ***:*** | ০৭ জুলাই ২০১৫ ০৫:২৮87244
  • ফেসবুকেও লিখেছিলাম, এখানেও লিখে দিই -

    আস্তে আস্তে আমরা একটা তুমুল পলিটিকাল কারেক্ট পৃথিবীর বাসিন্দা হয়ে উঠব, দিকে দিকে গুপ্তসমিতি গড়ে উঠবে জোকস শেয়ার করার জন্য - কারণ, জোকস এখন আর পাবলিক ডোমেনে শেয়ার করা যায় না, কারণ কে না জানে, জোক মাত্রেই পঃইঃ, মিসোজিনিস্ট, সেক্সিস্ট, আরো কী কী সব। পাবলিক ডোমেনে মানুষ খালি রিসার্চের কথা কইবে, গুগুলের লিংক দেবে, ভানুর সমস্ত জোকসের রেকর্ডিং দোকান এবং ইউটিউব থেকে তুলে নেওয়া হবে।

    আমরা ম্যাচিওরড হবো, পলিটিকালি কারেক্ট হবো। সর্দারদের সবাই ঘেন্নার চোখে দেখবে, কারণ ওরা এসবের ধার ধারবে না, খুল্লমখুল্লা নোংরা নোংরা জোক ছড়াবে বাজারে। সর্দারদের মুখ বন্ধ করার জন্য পার্লামেন্টে বিশেষ বিল আনা হবে।
  • anirban | ***:*** | ০৮ জুলাই ২০১৫ ০৫:৩৯87249
  • de-র সঙ্গে একমত। এই লেখাটায় বেশ কিছু সমস্যা আছে। বুলবুলভাজায় না এসে ব্লগে এলেই ভালো হত বলে আমার মনে হয়।

    যদি ধরে নিই যে টিম হান্ট কথাগুলো জোক হিসেবে বলেছেন তাহলেও সমস্যা রয়েছে। একজন স্ট্যান্ড আপ কমিক যদি কমেডি শো-তে এই ধরনের জোক বলেন তাহলে একরকম মেসেজ যায়, আরেকজন নোবেল লরিয়েট বলেন তাহলে আরেকরকম। সেক্ষেত্রে দে যা বলেছেন - ধরুন রেপ ভিকটিমকে নিয়ে জোক বলা বা আফ্রিকান অ্যামেরিকানদের নিয়ে রেসিস্ট জোক বলা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। বিশেষ করে সায়েন্সে যেখানে সাংঘাতিক জেন্ডার গ্যাপ ও জেন্ডার বায়াস কেউই অস্বীকার করেন না (কেউই বললে ভুল হবে - নিচে দেখুন)।

    প্রথমত, এই লেখাটির লেখক বারবার বলেছেন কোনোদিকেই কোন প্রমাণ নেই। সেক্ষেত্রে একনম্বর থেকে আট নম্বর পয়েন্ট গুলি আবার দেখা দরকার। পয়েন্ট দুই, তিন চারে সমস্যা আছে - ডেলি মেইলের লেখাটি উইচহান্ট - সেখানে কনির ইন্কম্পিটেন্স প্রমান করাই উদ্দেশ্য ফলে যেখানে ডেবোরা ব্লুম - যিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন সেখানে এবং সরাসরি কনিকে সমর্থন করেছেন , সেকথা বলাই হয়নি। ডেবোর ব্লুমের লেখা এই আর্টিকলটি পড়ে দেখুন - https://storify.com/deborahblum/tim-hunt-and-his-jokes-about-women-scientists
    ডেলিমেইল - যা ফক্সনিউজের সমতুল্য একটি ট্যাবলয়েড এবং নিয়মিত সাংঘাতিক রকমের বাজে সায়েন্স রিপোর্টিং করে থাকে তাদের উইচ-হান্টিং আর্টিকলে বেশি গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। আর যেভাবেই দেখুন না কেন এই ধরণের কথা বলা - কুকীর্তি-ই। কোটেশন মার্ক-দিয়ে তা লঘু করা যাবে না।

    "নাউ সিরিয়াসলি" - বলার একবছর আগে টিম হান্ট সায়েন্সে জেন্ডার গ্যাপ নিয়ে সিরিয়াসলি যা বলেন তা নিচে রইল -

    In your opinion, why are women still under-represented in senior positions in academia and funding bodies?

    Hunt: I'm not sure there is really a problem, actually. People just look at the statistics. I dare, myself, think there is any discrimination, either for or against men or women. I think people are really good at selecting good scientists but I must admit the inequalities in the outcomes, especially at the higher end, are quite staggering. And I have no idea what the reasons are. One should start asking why women being under-represented in senior positions is such a big problem. Is this actually a bad thing? It is not immediately obvious for me... is this bad for women? Or bad for science? Or bad for society? I don't know, it clearly upsets people a lot.

    সিরিয়াসলি?
  • SS | ***:*** | ০৮ জুলাই ২০১৫ ০৬:২১87250
  • টিম হান্টের সয়েন্স চর্চায় কি কেউ বাধা দিয়েছে? ইচ্ছে করলেই তিনি সায়েন্সের চর্চা করতে পারেন। টিম হান্ট UCL এবং ERC তে যুক্ত ছিলেন বিজ্ঞানচর্চার প্রসারের কাজে। বিশেষ করে মাইনরিটি গ্রুপের মধ্যে কিভাবে বিজ্ঞানের প্রচার বাড়ানো যায়, সেই কাজে। সেই কাজ করতে কি গিয়ে তিনি কি করলেন ? জনসংখ্যার ৫০% কে নিয়ে "রসিকতা" করলেন। এখন চাপে পড়ে বলছেন মন্তব্যটি ছিল মজা করে বলা কিন্তু এরকম মন্তব্য আগে উনি অনেক বার করেছেন। আর যারা ইউনিভার্সিটির অতিসক্রিয়তা নিয়ে চিন্তিত, তাদের জানাতে চাই যেহেতু ইউনিভার্সিটি একটি পাবলিক ইন্সটিটিউশন, তাদের অনেক রকম বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয়। পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার দায়টা ব্যাক্তির চাইতে ইউনিভার্সিটির অনেক বেশি।
    ব্যাক্তিগত ভাবে, টিম হান্টের অন্য একটি মন্তব্যের জন্যে বেশি বিরক্ত হয়েছি। উনি ছেলেদের আর মেয়েদের ল্যাব আলাদা করার দাবী তুলেছেন। সোজা কথায় সেগ্রিগেটেড আর হোস্টাইল ওয়ার্কপ্লেসের দাবী করেছেন। তো এই রকম একজনের চাকরী যাওয়া কি "অতিসক্রিয়তা"? এর পরেও চাকরি না গেলে UCL কে সিরিয়াস লস্যুট ফেস করতে হত।
  • অমৃতা পাল | ***:*** | ০৮ জুলাই ২০১৫ ০৬:৪০87251
  • হান্ট ও মেরীর এই পরিণতিকে সমর্থন করিনা সস্তার বিপ্লব ই বটে।
  • অমৃতা পাল | ***:*** | ০৮ জুলাই ২০১৫ ০৬:৪৬87252
  • স্বতস্ফুর্ত মতামতকে সতর্ক করাই যেত ।কিন্তু এই পরিণতিকে সমর্থন কখনই করি না
  • অনিকেত পথিক | ***:*** | ০৮ জুলাই ২০১৫ ০৭:৪২87246
  • টিম হান্টের বিষয়ে অতিসক্রিয়তার কথটা ঠিক। সত্যিই টিম হান্ট মানে তো শুধুই একজন শভেনিস্ট নন, একজন বিরাট মাপের সায়েন্টিস্টও বটে ! এই পরিণতি তাঁর নিশ্চই প্রাপ্য ছিল না। এর পেছনে নানাধরণের রাজনীতি থাকাই স্বাভাবিক। ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যেভাবে হান্ট ও মেরীকে বিতাড়িত করা হয়েছে তা অত্যন্ত অন্যায় ও অনৈতীক।

    কিন্তু (এটা ফেসবুকেও লিখেছি, এখানেও লিখছি) 'নাউ সিরিয়াসলি' থেকে বাকী কথাটুকু জুড়ে নিলেও হান্টের বক্তব্যের খুব যে একট বিরাট পরিবর্তন হচ্ছে তা নয়। এটা শুধু 'পলিটিক্যালি ইনকারক্ট' কথাই নয়, টোট্যালিই ইনকারেক্ট এবং ক্ষতিকরও বটে। যে কেউ গর্বিতভাবেই নিজেকে শভেনিস্ট ঘোষণা করবেন আর তাঁর কথাকে 'ঠাট্টা' বলে দাগিয়ে দিলেই সবাই লজেন্স পেয়ে খুশি হয়ে যাবে এইরকম সব সময় আশা করা যায় না। এই ধরণের ঠাট্টা করার নির্দিষ্ট পরিমন্ডল থাকে, যেখানে সেখানে এই রকম কথা বলে তাকে ঠাট্টা বলে লঘু করে দেওয়া যায় না। বোঝাই যাচ্ছে যে হান্ট নিজের পজিশনের সুবিধে নিয়ে এইরকম কথা দীর্ঘদিন ধরে বলে এসেছেন এবং হয়তো অনেকের বিরাগভাজনও হয়েছেন কিন্তু কোনোদিন কোনো অসুবিধেয় পড়েননি। কিন্তু সব পজিশনের যেমন সুবিধে আচে তেমনি দায়িত্বও তো আছে, একটা সময় সেটা বুঝতেই হয়। মেয়েদের বিষয়ে এইরকম মানসিকতার মানুষ খুবই সুলভ কিন্তু সত্যি সত্যিই তাঁদের ভুলটাকে ঠাট্টা বলে উড়িয়ে দেওয়াটা মেয়েদের পক্ষে ক্ষতিকর। হান্টের চাকরী যাবার সিদ্ধান্ত অন্যায় কিন্তু তাঁর মন্তব্যে প্রতিবাদের যে ঝড় উঠেছিল বা তাঁর তরফ থেকে দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমা চাওয়ার যে দাবী উঠেছিল (সেটাই তো দাবী ছিল, নাকি !) তাতে অন্যায় কিছু দেখি না।
    তাই নারীবাদীদের সকলের রসবোধকে ছোট করে দেখার (সিকি উবাচ) কোনো কারণ নেই। কোনো মন্তব্য যদি একটা বিরাট সংখ্যক মানুষের আপত্তির কারণ ঘটায় তাহলে তাদের রসবোধকে প্রশ্ন না করে মন্তব্যের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত।
  • de | ***:*** | ০৮ জুলাই ২০১৫ ০৭:৫৪87247
  • এরকম কথা ঠাট্টা করেও যদি সংখ্যালঘু কোন রিলিজিয়াস গ্রুপকে বলা হয়, ঠাট্টা করছিলাম বলে পার পাওয়া যাবে তো? কিম্বা ধরুন, এলজিবিটি গ্রুপ নিয়ে এরকমই ক্যাজুয়ালি, ঠাট্টা করে কিছু বল্লাম - প্রচুর লোকে তেড়ে মারতে আসবে তো!

    যে ঠাট্টায় কিছু মানুষ মানসিকভাবে আহত হন, পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের দোহাই দিয়ে তাকে ইগনোর করা যায় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, অনেক সায়েন্টিস্ট এতে আহত হয়েছেন, খুবই খারাপ লেগেছে তাঁদের। তাহলে টিম হান্ট কেন শাস্তি পাবেন না?

    এতোই ক্যাজুয়ালি মানুষের আত্মসম্মানে আঘাত করা যায় তবে? - নোবেল লরিয়েট হলেই তো আর যা খুশী তাই বলার অধিকার জন্মে যায় না। তারপর ওনাদের মাপের মানুষের কথার ইম্প্যাক্টও অনেক বেশী হয়।
  • রৌহিন | ***:*** | ১১ জুলাই ২০১৫ ০৯:১৯87253
  • অনিকেত পথিকের দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফ এর সঙ্গে বর্তমান লেখক সম্পূর্ণ সহমত। Deর বক্তব্য নিয়েও বিশেষ দ্বিমত নেই - শুধু শাস্তির মাত্রা এবং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি - প্রশ্ন আছে।
    অনির্বাণ এর কথাগুলি একে একে আলোচনা করা যাক। প্রথমতঃ লেখাটি বুলবুলভাজায় না এসে ব্লগে যাওয়া উচিৎ ছিল কি না এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই, থাকতে পারে না - সম্পাদকের সিদ্ধান্ত। প্রথম প্যারায় যা বলেছেন, ওপরেও লিখেছি, আমার বক্তব্য তার থেকে খুব ভিন্ন কিছু নয়।
    এবারে দ্বিতীয় প্যারায় আসি - "পয়েন্ট দুই, তিন চারে সমস্যা আছে - ডেলি মেইলের লেখাটি উইচহান্ট - সেখানে কনির ইন্কম্পিটেন্স প্রমান করাই উদ্দেশ্য ফলে যেখানে ডেবোরা ব্লুম - যিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন সেখানে এবং সরাসরি কনিকে সমর্থন করেছেন , সেকথা বলাই হয়নি।" - পয়েন্ট 2 - কণি সেন্ট লুইস খবর পাঠিয়েছেন, টুইটের মাধ্যমে - রিপোর্ট এসেছে পরে, এবং তিনি কোন শর্টহ্যান্ড নেন নি - এর মধ্যে কোনটায় সমস্যা? কোনটা মিথ্যা? আমার জানা নেই - আপনার জানা থাকলে আলোকপাত করবেন? পয়েন্ট 3 - কণির বক্তব্যে "নাউ সিরিয়াসলি" অংশ (যত অকিঞ্চিৎকরই হোক) স্থান পায়নি - কণির অরিজিনাল টুইটটি আমি উদ্ধৃত করেছি - ওটি "অরিজিনাল" নয় বলছেন নাকি আমি ওই অংশটি মিস করে গেছি বলছেন? এবং বলেছি কণি পরে বলেছেন যে ওই অংশটি স্যর হান্ট নাকি আদৌ বলেননি - এবং তাকে কেউ সমর্থন করেননি। আপনার দেওয়া ডেবোরা ব্লুমের লেখাটি আরেকবার পড়লাম - কণির ওই বক্তব্যের সমর্থনে (বা বিরোধিতায়) কিছু পেলাম না কিন্তু। পয়েন্ট 4এ কি সমস্যা সত্যি বুঝে উঠতে পারিনি। এবং এক বছর আগে টিম হান্ট যা বলেছেন, সে ধরণের কথাকে সমর্থন কোথাও করেছি কি? বরং এ কথাটাই বলেছি একাধিকবার যে এই মুহুর্তে বিজ্ঞান জগতে এই ধরণের শভিনিস্ট বক্তব্য অযাচিত হলেও অপ্রত্যাশিত নয়। এক বছর আগের ওই বক্তব্যও আপত্তিকর ছিল - এই সক্রিয়তা UCL বা ERCর তরফে চোখে পড়েনি কিন্তু।
    SS - শাস্তি যা হয়েছে ততটা না হলে ইউনিভার্সিটি ল স্যুটের সামনে পড়তো কি না সেটা অবশ্যই ইউনিভার্সিটির ল সেল ভাববেন - কিন্তু আমরা প্রশ্ন তুলেছি প্রথমতঃ শাস্তিদানের পদ্ধতি নিয়ে - সেখানে ইউনিভার্সিটির ল সেলের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে এমন পরিচয় কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। অপরাধীকে আত্মপক্ষ সমর্থন টুকুও করার সুযোগ না দিয়ে বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে তা যে ল স্যুটের সামনে পড়তে পারে সেটাও ভেবে দেখা দরকার কিন্তু।
  • anirban | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৫ ০১:১৮87254
  • রৌহিনকে -
    প্রথমে সমস্যাগুলোর কথা বলে নি। ডেইলিমেলের লেখাটা নিয়েই আমার মূল সমস্যা।
    পয়েন্ট ২ঃ "ওই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ ‘বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক’ কণি সেন্ট লুইস – যদিও এই বিশেষ ‘এসাইনমেন্টটির পূর্বে তার শেষ রিপোর্ট “দ্য গার্জিয়ান”এ বেরিয়েছিল ২০১৩ সালে। ।।। - তথ্যসুত্র ডেইলিমেল" - ডেইলি মেলের রিপোর্টের এই জায়গাটা পুরোপুরিই ক্যার‌্যাক্টার অ্যাসাসিনেশনের জন্যে লেখা। রিপোর্টারের CV ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রতিবাদ হয়েছে। প্রথমত যোগ্যতা নিয়ে কনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তাঁরা যা বলছেন তা হল -
    A spokesperson for City University London said:

    "We have spoken to Connie and are satisfied that her academic qualifications are correct. We will be working with her to update her profile page to include more recent publications and professional activities."
    http://www.city.ac.uk/news/city-statements/_nocache

    দ্বিতীয়তঃ - কনির যোগ্যতার সমর্থনে ইকনমিস্টের সাংবাদিক যা লিখেছেন "On the upside, The Mail seems to have got its knickers in a twist over something easily understood. which is that her university uploaded an outdated CV into its information system when they were running a pilot. None of this has any bearing on the fact that a Nobel winning scientist put his foot in his mouth.

    Connie has the strongest moral fibre of any journalist I know. I worked with her as Chair of the Association of British Science Writers, and I was thrilled that she took over, and then was elected, to head the organisation after I stood down. She was an excellent leader, and garnered great respect for her work at that organisation. She is kind, overly generous with her time and a truly great lecturer and teacher. City is lucky to have her on staff.

    Over the years, I've been a bit cynical about science journalism degrees. I used to wonder if academic courses were truly necessary to teach young journalists. I was proved wrong by Connie, particularly as technology has advanced so rapidly, her skills as a leader, journalist and human being have convinced me that she has something really important to teach the science journalism students of tomorrow. Now, more than ever, she has a critical message. It is this: speaking the truth to authority is a hard. It is also a hard and personally difficult journey for any journalist.

    http://natashaloder.blogspot.co.uk/2015/06/now-seriously-in-praise-of-connie-st.html?m=1

    "এই বিশেষ সংবাদটির জন্য কণি কোন শর্টহ্যান্ড নেননি বলে শোনা গেল – সংবাদটি প্রাথমিকভাবে পাঠানোও হল রিপোর্টের আকারে নয় – ট্যুইটের মাধ্যমে।"
    শর্টহ্যান্ড নিয়েছেন কি নেননি - অবান্তর। আজকাল স্মার্টফোনের যুগে শর্টহ্যান্ড? তাছাড়া ডেইলিমেলের রিপোর্টার কিভাবে জানলো এটা? আনসাব্স্ট্যানশিয়েটেড ক্লেম। আর প্রায় সমস্ত সংবাদপত্র/সাংবাদিক আজকাল টুইটারের মাধ্যমেই প্রথমে নিউজ ব্রেক করেন।

    পয়েন্ট ৩ঃ "কণি ওই বক্তৃতার ‘বিশেষ অংশটি টুইট করলেন – “নাউ সিরিয়াসলি” থেকে বাকি অংশটুকু তার টুইটে স্থান পেল না (পরে কণি বলেছেন স্যর হান্ট নাকি ওই অংশটুকু আদৌ বলেন নি – এটা নিয়ে এত চর্চার পরেও কণির এই দাবীকে কেউ সমর্থন করেন নি এখনো)"

    ডেবোরা ব্লুম কনিকে সমর্থন করেছেন। আমি কোথাও দেখলাম না ডেবোরা ব্লুম বলেছেন যে কনি অসত্য বলছেন। এছাড়াও আরও একজন যিনি ঐ টকে উপস্থিত ছিলেন - নিউ ইয়র্ক ইউনির প্রফেসর (https://en.wikipedia.org/wiki/Charles_Seife) - বলছেন - Dead horse beating: Tim Hunt is lying. There was no "my" trouble w/girls, nor "now, seriously." I was in the room.
    https://twitter.com/cgseife/status/612421292877328384

    ডেবোরার পোস্ট আগেই দিয়েছি। Charles Seife আরো বলছেন - "I completely agree with Blum and St. Louis (and Oransky). He wasn't joking." এ ছাড়াও আরো একটি ডেবোরার আরো একটি লেখা থেকে -
    Hunt belatedly called his remarks an attempt at humor, he had earlier defended them as “trying to be honest.” (That was certainly what he said to me among others.)" তাহলে কী দাঁড়ালো? জোক? না পরে কনফার্ম করা - "Trying to be honest"।

    পয়েন্ট ৪ঃ ছোট সমস্যা - "কুকীর্তি" - কোটেশন মার্ক কেন? এটা কুকীর্তি নয়?

    এই সব কিছু নিয়ে স্লেটের এই আর্টিকলটি পড়ে দেখুন - http://www.slate.com/blogs/bad_astronomy/2015/07/01/tim_hunt_nobel_laureate_s_comments_about_girls_and_science.html। খুব ভালো লেখা।

    - এগুলো আমার মনে হয়েছে সমস্যা। বাকী কিছু বিষয়ে রৌহিনের সঙ্গে একমত। সায়েন্সে জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন সর্বাত্নক ও সিস্টেমিক। এই নিয়ে অনেকা কাজ হয়েছে। এর শুধু একটার উল্লেখ করব, "Inequality quantified: Mind the gender gap" (doi:10.1038/495022a)। আরেকটি কাজও খুব ইন্টারেস্টিং যাতে বলা হচ্ছে - Stereotypes that suggest men have certain natural talents that most women do not might be partly responsible for the distribution of gender across various fields of academia, researchers say in a new study।http://www.aaas.org/news/opinions-about-raw-talent-may-steer-women-toward-certain-academic-fields
    সময় পেলে পড়ে দেখবেন। প্রসঙ্গত - উনি ইউ সি এলে সাম্মানিক পদে ছিলেন ফলে ওনার চাকরি যায় নি। কিন্তু আমি মনে করি যে - এই ধরণের মানুষের যিনি সায়েন্সে এক্সিটিং জেন্ডার গ্যাপ আছে বলে মানতেই চান না - এবং এই ধরণের কথা প্রকাশ্যে বলেন তাঁদের ERC র উপদেষ্টার পদে না থাকাই ভালো - এই রকম লোকের ইনফ্লুয়েন্স অনেক দুর অবধি যায়। এর প্রভাব সমস্ত ফিল্ডের ওপর পড়ে। তবে তাঁদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে উত্যক্ত করা অন্যায় হয়েছে।

    আপডেট হিশেবে এই খবরগুলো-ও থাকুক -
    http://www.nature.com/news/universities-highlight-gender-equality-policies-after-sexism-row-1.17956
    https://www.ucl.ac.uk/news/news-articles/0715/090715-ucl-council-statement
  • pi | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৫ ০৪:২৫87262
  • আর এই দুটো ব্লগ একটু ভাল করে দেখিস। আরো অনেক অ্যাকাউণ্ট আছে। তোর প্রশ্নের উত্তরও পেতে পারিস। এই ব্লগ লেখকেরা কেমন কী লেখেন সেই প্রসঙ্গে ঢুকতে চাইনা, ওঁদের বক্তব্য বা ইন্টারপ্রিটেশনও দেখতে বলছিনা, কিন্তু অনেক কথাই কোটেশন মার্ক দিয়ে আছে। সেগুলো দেখ। এগুলো মিথ্যা না হলে অন্য কিছু মিথ্যা হয়ে যায় কিন্তু ও ভাইসিভার্সা। এবং সেটা কোনটা জানাটা দরকার।

    http://unfashionista.com/2015/07/07/the-tim-hunt-reporting-was-false-royal-society-please-give-him-due-process/

    http://cruwys.blogspot.in/

    এটাও পড়িস।
    http://occamstypewriter.org/athenedonald/2015/06/15/what-next-after-tim-hunt-just1action4wis/
  • pi | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৫ ০৮:১৬87256
  • এটাতে লিখব লিখব করে সময় হয়ে ওঠেনি। তারপর একটা বড় পোস্ট উড়ে গেল। যাহোক, আপাতত ছোট করেই বলি।
    এনিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরে ফেবুতে প্রচুর তর্ক হচ্ছে, আর সেই সুবাদে তথ্যপত্তর ঘাঁটতে গিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আমার কাছে অন্তত কে সত্যি বলেছে সেটা আরো বড় ইস্যু। কারণ অন্য রিপোর্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকেই এত পরস্পরবিরোধী মন্তব্য আসছে, যার একটা সত্যি হলে অন্যটা মিথ্যে হতেই হয়, অর্থাৎ হয় টিম নয় কোনি মিথ্যে বলছেন। আর , আমার কাছে, সেটা টিমের 'সেক্সিস্ট' মন্তব্যের থেকে আরো বেশি আপত্তিকর।

    এই যেমন এটি,
    A leaked European Commission report has supported Sir Tim Smith’s claims that apparently sexist comments about the “trouble with girls in science” were meant as a joke...A European Commission official who was at the lunch for women journalists and scientists offered a differing transcript from the account compiled by three reporters present.

    The official included previously unreported comments that came directly after Sir Tim’s controversial remarks, the Times reported.

    He allegedly continued: “Now seriously, I’m impressed by the economic development of Korea.

    “And women scientists played, without doubt an important role in it. Science needs women and you should do science despite all the obstacles, and despite monsters like me.”

    http://www.independent.co.uk/news/science/sir-tim-hunts-claims-that-remarks-on-girls-in-science-not-sexist-backed-by-leaked-eu-report-10341309.html

    --
    এবং ফিলিপিনো ও রাশিয়ান প্রত্যক্ষদর্শীঃ

    But this picture appears to show a female conference delegate chuckling at Sir Tim’s humorous speech.

    Filippino science journalist Timothy Dimacali posted it on Facebook saying: “Nobel Laureate Sir Tim Hunt at the exact moment he gave his now-infamous ‘Let me tell you about my trouble with girls’ comment.

    “I had no idea when I was taking this photo that I would be capturing such a controversial event.”

    Mr Dimacali added: “As I keep telling people, he said it in a very lighthearted manner with no outward hint of malice, condescension, or derision.

    “I’m not defending him, mind you; what he said was wrong and definitely deserved to be called out. But it was, more than anything else, a joke gone horribly wrong.”

    Meanwhile a Russian journalist insisted many of those present “smiled and applauded” without taking offence.

    Natalia Demina said “everybody who heard” Sir Tim “understood he was joking”.

    She wrote online: “For me Tim Hunt’s speech was a joke. I remember that many of my colleagues smiled and applauded . . . I was completely shocked to see the accusations against him.”

    http://www.thesun.co.uk/sol/homepage/news/6522063/Sexist-Sir-Tim-WAS-joking-photo-shows.html

    রাশিয়ান সায়েন্স জার্নালিস্টের টুইট টা পুরোটা এখানে পাওয়া যাবেঃ
    https://twitter.com/CathyYoung63/status/614937040904454144/photo/1

    এদিকে টাইমসে অনেকগুলো আর্টিকল বেরিয়েছে, কোনোটাই পুরো পড়তে পারছি না। কেউ পাঠালে ভাল হয়।

    যেটুকু যা পড়তে পেরেছি,
    A Russian journalist present at his speech in South Korea insisted that many of those present “smiled and applauded” without taking offence.
    http://www.thetimes.co.uk/tto/science/article4482533.ece

    ..

    The ruling council of University College London will meet today to discuss the Tim Hunt affair as more witnesses came forward to claim that his infamous “trouble with girls” speech was misreported.
    http://www.thetimes.co.uk/tto/science/article4491896.ece

    ...

    The sorry saga at UCL wasn’t really about Tim Hunt, or sexism in science. It was about fear of the chattering class
    I doubt we’ll ever really know what happened at Sir Tim Hunt’s now notorious lunch in South Korea when he might have been a bit sexist. There are disparate accounts from those present, and they can’t all be true. Some say he was joking, cleverly, and everybody laughed. Others say he was joking badly, and nobody did. Others still — and my God, haven’t we all sat next to them at weddings — maintain..

    http://www.thetimes.co.uk/tto/opinion/columnists/article4494622.ece
  • pi | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৫ ০৮:১৯87257
  • আর তার সাথে এগুলোও থাক।
    Mr Oransky and Ms Blum said they could not recall enough to confirm of deny the additional quotes from Sir Tim, according to The Times.

    And Ms St Louis denied that he said "now seriously" and stood by her claim that he thanked the women for making lunch.

    She added: "He definitely didn't say [now seriously], it would have changed the whole context."

    European Commission sources have reportedly confirmed the existence of "internal minutes" from the event but have been asked not to publish or release them.

    কে মিথ্যে বলছেন, বের হওয়া দরকার।
  • pi | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৫ ০৮:২৮87258
  • এবার ব্লাম ও বিবিসিতে দেওয়া ইন্টারভ্যু প্রসঙ্গে এটা পড়লাম।

    ..Dr. Hunt’s detractors argue that he himself confirmed he meant what he said, both to Ms. Blum and to BBC Radio. But in the radio interview, he was clearly talking about his own romantic feelings and “emotional entanglements.” Did he say something similar to Ms. Blum, and did she misconstrue it as meaning that (in her words) “he did think it was hard to collaborate with women because they are too emotional”? Ms. Blum did not respond to my request for comment, but such a misunderstanding seems entirely plausible.

    What’s far less plausible is that Dr. Hunt is an inveterate chauvinist who really wants “separate labs.” Women he has supervised as Ph.D. students and postdoctoral fellows have testified that he was unfailingly supportive and never treated them differently because of their gender. Maria Leptin, the first female director of the European Molecular Biology Organization, has disclosed that he played a key role in her appointment. Several leading British female scientists have spoken glowingly of his mentorship of young women. Even one of his harsh critics, Guardian science blogger Helen Cahill, noted during the initial outcry than in his past speeches Dr. Hunt had credited female researchers, including a longtime collaborator, with helping make his discoveries possible. This, Ms. Cahill wrote, made it especially “astounding” that “he thinks working with women is a waste of his time.” Yet somehow, most people did not consider the obvious answer: he doesn’t actually think so...

    http://observer.com/2015/07/lab-rats-how-the-misogyny-police-and-sloppy-journalists-smeared-a-top-scientist/#ixzz3ffDMBQFi

    অবজার্ভার, ইন্ডিপেন্ণ্ডেন্ট, টাইমস .. এগুলো নিয়ে আশা করি অনির্বাণের অত আপত্তি নেই ঃ)
  • apps | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৫ ০৯:৩০87259
  • মাঝে মাঝে বুলবুলভাজা বিষয়ভিত্তিক হওয়াই শ্রেয়. তাতে আলোচনার পরিসর প্রশস্ত হয়. নাইলে কিরম মনে হয় প্রো-প্রকাশক মতামত ছিল বলেই ছাপা হলো. টিম হান্ট ও রসিকতার রাজনীতি জাতীয় গ্লোবাল ইস্যু নিয়ে তিনটে আলাদা আলাদা লেখা প্রকাশ করা যেতেই পারত. তাতে ভিন্নমতগুলোও সমান গুরুত্ব পেত. আমরা তো আর কেথ্রীজি এর অমিত্তাবচ্চন নই যে 'কেহ দিয়া না, ব্যস, কেহ দিয়া' বলে জুতো মশমশ করতে করতে চলে যাব!
  • anirban | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৫ ০৯:৩৯87260
  • Leaked European Commission এর রিপোর্টের কোন ভার্সান পাওয়া যাবে? আননেমড সোর্স, আননেমড রিপোর্ট, যদি লিকই হয়ে থাকে পাওয়া যাওয়া উচিত। এই সব টকে ইউরোপিয়ান কমিশনের লোক গিয়ে প্রতিটি বক্তৃতা ট্রান্স্ক্রাইব করে কমিশনকে রিপোর্ট দেয়? অনেকেই রিপোর্টের কথা বলছে কিন্তু সেই গোপন রিপোর্ট পাওয়া গেলে ভালো হত।

    ফিলিপিনো আর রাশিয়ান প্রত্যক্ষদর্শীর কথাতেও তো টিম ঠিক কী কথা বলেছিলেন তা পেলাম না। খানিকটা ইন্টারপ্রিটেশন, আর প্রচুর অ্যাপ্লডের বর্ণনা আবার Korea Federation of Women’s Science and Technology Associations এর চিঠির বক্তব্যের সঙ্গে মিলছে না -
    "As women scientists we were deeply shocked and saddened by these remarks, but we are comforted by the widespread angered response from international social and news media: we are not alone in seeing these comments as sexist and damaging to science. Although Dr. Hunt is a senior and highly accomplished scientist in his field who has closely collaborated with Korean scientists in the past, his comments have caused great concern and regret in Korea.” ইন্টারন্যাল মিনিটের কথা তাহলে এঁরা জানেন না। আর এই সব টকের ঐ রকম মিনিট হয় নাকি?
    আর বাকিগুলো তো ওপিনিয়ন - কার কী মনে হচ্ছে। টাইমসের রিপোর্টগুলো পাওয়া গেলে ভালো হত। তবে আমি এটার সঙ্গে একমত যে কে মিথ্যে বলছেন সেটা বার হওয়া দরকার।
  • pi | ***:*** | ১২ জুলাই ২০১৫ ১১:৪০87261
  • অনির্বাণ, এইটা দেখিস। এক্জায়গায় পেলাম।

    'An internal report by an EU Observer (it is standard practice to write these up at such events, President Bourguinon told me) then leaked to the Times. It contained this ‘rough transcript, as best as I can remember.’ and a reaction in the room totally different from Connie St. Louis description:

    ‘It’s strange that such a chauvinist monster like me has been asked to speak to women scientists. Let me tell you about my trouble with girls. Three things happen when they are in the lab: you fall in love with them, they fall in love with you, and when you criticise them they cry. Perhaps we should make separate labs for boys and girls?’ Now seriously, I’m impressed by the economic development of Korea. And women scientists played, without doubt an important role in it. Science needs women and you should do science despite all the obstacles, and despite monsters like me.”
    The official added: “Sir Tim didn’t ‘thank women for making lunch. I didn’t notice any uncomfortable silence or any awkwardness in the room as reported on social and then mainstream media.”
    The official added that his neighbour, a woman from the Korean National Research Council of Science and Technology and an organiser of the conference, responded positively. “Without being asked, she said she was impressed that Sir Tim could improvise such a warm and funny speech (her words). Later she told me that all other Korean lunch participants she talked to didn’t notice or hear anything peculiar in Sir Tim’s speech.”

    ---

    তারপর এখানে ডেবোরা ব্লামের কোটটা দ্যাখ।


    ইউরোপিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্তের স্টেটমেন্টটাও দেখিস।

    http://erc.europa.eu/sites/default/files/press_release/files/ERC_President_Statement_on_Tim_Hunt's_comment.pdf

    Sir Tim Hunt has already apologised and explained that his impromptu comments were meant to be “light-hearted” and “ironic”, and that it was not his intention to demean women. In his main speech he was very supportive towards women in science and he said that he hoped there was nothing that barred women from science. I can also add that during the time I have worked with him on the ERC Scientific Council he has only ever been a supporter of gender balance.
  • pi | ***:*** | ১৮ জুলাই ২০১৫ ০৭:৩৮87263
  • এই যে, বলছে এবার ভিডিও বেরিয়ে গেছে। টাইমসের সাবস্ক্রিপশন কি কারি কাছেই নাই ?
    Claims that Sir Tim Hunt’s infamous remarks about his “trouble with girls” in science were a joke have been bolstered by a recording that shows his toast was received with appreciative laughter.
    The British Nobel prize-winner was swiftly caught up in a social media row over alleged sexism in his speech at a lunch event in Seoul last month and within 24 hours was asked to resign his honorary professorship at University College London (UCL).

    http://www.thetimes.co.uk/tto/science/article4501733.ece

    দেখতে যখন পাচ্ছিনা, তখন টাইমসের কথা সত্যি ধরে নিলে তো কনি পুরো মিথ্যেবাদী হয়ে যান !
  • pi | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৫ ০২:১৯87267
  • অভিজিত, কনির একটা জোরদার বক্তব্য ছিল এটা যে ওখানে কেউই এটা ভালোভাবে নেয়নি। এটা বলার পরে ওখানে স্তব্ধতা নেমে আসে ইঃ।
    দাঁড়া, বক্তব্যটা খুঁজে পেয়েছি, দিয়েই দি।
    "Nobody was laughing, everybody was stony-faced," she told the BBC News Channel.
    "The Korean female scientists who hosted us looked aghast and he just ploughed on for about five to seven minutes.

    এটা নিয়েই একটা তর্ক বাঁধে , কারণ আরো বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান আর ঐ ই আর সি র রিপোর্টে এ এর উল্টোটা বলা হয়েছিল। সেখান থেকে কোনির অন্য বক্তব্য , যে হান্ট নাই সিরিয়াসলি বলে কিছু বলেননি , সেটার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। উপরে আমার আর অনির্বাণের পোস্টগুলো দ্যাখ।

    আবারো বলছি, এধরণের মিথ্যে কেউ বলে থাকলে, সে টিম হান্ট হোক বা কনি, সেটা আমার কাছে আরো বড় অপরাধ।

    দেদি, তাপস পালের বক্তৃতায় হাততালি পড়ে কি পড়ে না সেটা এখানে পয়েন্ট না। কেন, সেটা উপরে লেখা আছে। তাও আরেকবার বলার চেষ্টা করি।

    অনেকেই মনে করেন, নাউ সিরিয়াসলি বলার পরেও টিমের যা বক্তব্য সেটাও সমান আপত্তিকর। মনে করতেই পারেন, সেটা নিয়ে মতপার্থক্য থাকলে আলাদা তর্ক হয় কিন্তু এখানে প্রশ্নটা তার ও আগে, কোনটা সঠিক স্টেটমেন্ট তাই নিয়ে। কনি যদি বলতেন, নাউ সিরিয়াসলি বলে যা বলেছেন , তা সত্ত্বেও এটি আপত্তিকর আ র পুরো স্টেটমেন্টটা ট্যুইট করে আপত্তির কথা তুলতেন, তো তাই নিয়ে আপত্তিও উঠতো না। সেটা কতটা সেক্সিস্ট কে কীভাবে কী মনে করবে, তাই নিয়ে বড়জোর তর্ক হত। সেই তর্কে আমি হয়তো কোন পক্ষ নিতে পারি, কিন্তু তবু সেটা তর্কযোগ্য বিষয় মনে করি।
    কিন্তু এখানে তো একদম, কোনটা ঠিক স্টেটমেন্ট, আদতে কী ঘটেছিল, তাই নিয়েই পুরো পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ! সেটার ফয়সালা তো আগে হওয়া দরকার।
    ঐ পোস্ট নাউ সিরিয়াসলি বক্তব্য, যা টিম হান্ট বলেছেন যে তিনি বলেছেন এবং অনেকে সেটা সমর্থন করেছেন, আর এটাও বলা হয়েছে, উপস্থিত মহিলারা এটাকে জোক হিসেবেই নিয়েছিল, সেটা নিয়ে কনির বক্তব্য, এরকম কোন স্টেটমেন্ট ছিলই না, আর উপস্থিত লোকজন মোটেও জোক হিসেবে নেয়নি ইত্যাদি। “The words ‘now seriously’ make it very clear that I was making a joke, albeit a very bad one, but they were not mentioned in the first reports and I was deluged with hate mail,” Hunt said. He did not say this, nor did he praise the role of women in science and in Korean society. I wish he had; things would have been so much better.

    তো, এখানে একজনেরটা সত্য প্রমাণিত হলে অন্যজনকে মিথ্যেবাদীই হতে হয়। ইন্টারপ্রিটেশনের ধোঁয়াশা টোঁয়াশা ও না, সোজা সাপ্টা ভাবে কোনো একটি স্টেটমেন্ট করা হয়েছে বা হয়নি। সেখানে একটা দুধ কা দুধ, পানি কা পানি বিচার করার দরকার আছে। এটুকুই।
  • Abhijit Majumder | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৫ ১১:৪৭87265
  • "that shows his toast was received with appreciative laughter. "
    এই টুকু দেখতে পেলাম। তাই দিয়ে কি করে কনি মিথ্যেবাদী প্রমান হয়? টিমের রসিকতায় উপস্থিত মেজরিটি হেসেছে। তো ?
  • de | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৫ ১২:১০87266
  • সে তো পাপোস তালের থ্রেট-বক্তিমে তেও হাত্তালি পড়ে!
  • Abhijit Majumder | ***:*** | ২১ জুলাই ২০১৫ ১১:১১87268
  • একমত।
    আমার মতে নাউ সিরিয়াসলি বলে থাকলে বক্তব্য অনেক লঘু হয়ে যায়। এমন কি শুরুর বক্তব্যটা রসিকতা না বলে আমি তাকে একটা কন্ট্রাস্ট দেখানোর চেস্টা বলেও মনে করতে পারি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন