এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • অমার্জিতের অধিকার

    শুচিস্মিতা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ মার্চ ২০১৮ | ১৭১৩ বার পঠিত
  • আজ থেকে বছর পঁচিশ আগেও মফস্বল শহরগুলো অন্যরকম ছিল। তখন সাজগোজ বলতে চোখের তলায় কাজল, হাল্কা লিপস্টিক আর কপালে টিপ। প্রায় সব কিশোরীরই তখনও লম্বা ঢালা চুল থাকত। ভেজা চুলের নিচের দিকে আলগোছে বিনুনী বেঁধে তারা ইশকুলে যেত। মায়ের অত্যাচারে অথবা কারো কারো ক্ষেত্রে নিজের শখেই মুসুরডাল বাটা কি দুধের সরের প্রলেপ পড়ত মুখে মাঝেসাঝে। এর চেয়ে বেশি কেউ করতও না। যারা করার কথা ভাবত তাদের যেন একটু দূরেই সরিয়ে রাখা হত। যে রূপচর্চা করে তার লেখাপড়ায় মন নেই এমন নিদান দেওয়া একেবারেই বিরল ছিল না। আমার জীবনও এভাবেই চলছিল। পরিবারের সদ্য বিয়ে হয়ে আসা যুবতীটির নিখুঁত ভ্রূযুগল দেখে কখনও হয়ত ইচ্ছে জাগত নিজেরটিও অমন হোক। কিন্তু সে ইচ্ছা আর বাস্তবের মাঝে "সাজগোজে মন চলে গেছে, এর আর লেখাপড়া হবে না" জাতীয় মন্তব্যের উঁচু দেওয়াল থাকত। তখন ভাবতাম, শুধু মফস্বলের বাংলা মিডিয়ামেরই বুঝি এমন কপাল পোড়া। কলকাতার কলেজে পড়তে এসে বেশির ভাগ সহপাঠিনীর অসংস্কৃত ভুরু দেখে সে ব্যাথার খানিক উপশম হল। লম্বা বিনুনী, তেলতেলে মুখ, এবড়োখেবড়ো ভুরু আর লোমশ হাত-পা নিয়েই কলেজ জীবন পেরিয়ে গেল। এমনকি প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রেও এই অমার্জিত রূপ বিশেষ বাধার সৃষ্টি করেছিল সেরকম খবর নেই।



    অবস্থা বদলালো মুম্বইতে এসে। যোগেশ্বরীতে ফাইজারের অফিসে যাচ্ছিলাম মাস্টার্স থিসিসের কো-অ্যাডভাইসারের সাথে দেখা করতে। লেডিস কম্পার্টমেন্টে সাঙ্ঘাতিক ভীড়। কোনমতে একটি ঝুলন্ত হ্যান্ডেলের অংশবিশেষ পাকড়াতে পেরেছি। আমার হাতের পাশে হ্যান্ডেলের ভাগীদার আরো গোটা পাঁচেক হাত। প্রতিটি হাত নির্লোম, মসৃণ। তাদের পাশে আমার হাতটি রোঁয়া ওঠা খসখসে কম্বলের মত বিসদৃশ। খুব ইচ্ছে করে হাতখানা সরিয়ে নিতে। নিজেকে জোরে ধমকাই। চেপে ধরি হ্যান্ডেল। মাথার ভিতরে দুই দৈত্যের লড়াই শুরু হয়। একজন বোঝাতে চায় মানুষের গায়ের লোম কোন অস্বাভাবিক জিনিস না, বরং তার অনুপস্থিতিই কৃত্রিম। অন্যজন ঝগড়া করে, হোক কৃত্রিম, তবু তা সুন্দর। সে যুধিষ্ঠিরের মুখে দ্রৌপদীর রূপবর্ণনার উদাহরণ দেয়। মেয়েদের নির্লোম শরীরের প্রশস্তি কোন নব্যযুগের বৈশিষ্ট্য না, এ হয়ে আসছে চিরকাল। প্রতিপক্ষ পাল্টা যুক্তি সাজায়। সে বলে মহাকালের নিরিখে দুতিনহাজার বছর নেহাতই ছেলেমানুষী। নির্লোম নারী যদি প্রকৃতির বিধান হত, তাহলে বিবর্তনের নিয়মেই তার শরীর থেকে ঝরে যেত সব অতিরিক্ত চুল। যাকে বলে সে নিয়ম বোঝে না। সে জানে নারীর নির্লোম ত্বক আকাঙ্খিত। এই আকাঙ্খাও বিবর্তনের সহকারী নয় কি? কূটতত্ত্বে কাল কাটে। স্টেশন এসে যায়। ঘরে ফিরি।



    ফোর্থ সেমেস্টারে পরপর ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ হতে থাকে। শুধু সাবজেক্ট জানলে চলবে না, গুছিয়ে কথা বলতে হবে। আরো একটা কথা শিখলাম "প্রেজেন্টেবল"। নিজেকে প্রেজেন্টেবল করতে হবে। মফস্বলের স্কুলে, কলকাতার কলেজে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলে সবাই মাথায় তুলে নেচেছে। পরীক্ষার নম্বরটুকু যে কর্পোরেট স্কিলসেটের পঞ্চাশ শতাংশও নয় তা তো কেউ বলে নি। যাঁরা বলার জন্য ছিলেন, তাঁরা নিজেরাও জানতেন না এমনও হতে পারে। প্রেজেন্টেবল হওয়ার আশায় প্রথমবারের মত ফেসিয়াল আর ওয়াক্সিং করিয়ে এলাম। চাকরী হল। মেধার জন্য হল, এমনটাই ভাবতে ভালো লাগে। সেদিনের মসৃণ হাতটির বদলে লোমশ অনারীসুলভ হাতখানি থাকলে বিচারকের সিদ্ধান্তের বদল হত না, এমনটাই হয়ত আমরা সকলেই আশা করি। কিন্তু পরীক্ষা করার সাহস হয় না। কাজে যোগ দেয়ার পর একটাও পরিচর্যাহীন মহিলা হাত দেখি নি, তাই কি?

    তারপর তো কত দেশ দেখলাম। কত শহর ঘুরলাম। বুকে পুষে রাখা মফস্বল আমায় কিছুতেই শর্টস পরতে দিল না। কিন্তু শর্টস পরা সাদা, কালো, হলুদ, বাদামী মেয়েও কিছু কম দেখলাম না তা বলে! যেটা দেখলাম না, তা হল শর্টস পরা অনাদৃত পা। জাতি-বর্নভেদে মানুষের শরীরে লোমবাহুল্য বা লোমহীনতা হয় জানি। তবু প্রতিটি শর্টস পরা নারীই প্রাকৃতিকভাবে নির্লোম এমনটা তো হওয়া অসম্ভব। অথচ এই অসম্ভবকেই পেতে দেখি স্বাভাবিকতার তকমা। ইতিহাস খুঁড়ে দেখা যাচ্ছে একসময় ঝিনুকের খোলা, ঝামা পাথর, লেবু মেশানো গাঢ় চিনির রস ব্যবহার হত অবাঞ্ছিত লোমমুক্তির জন্য। তবে এর ব্যবহার ছিল অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে সীমিত। মেয়েদের প্রথম রেজার যদিও বিংশ শতকের প্রথম ভাগেই এসে গেছে, নির্লোম পায়ের প্রবণতা ব্যাপক হারে জন্ম নিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। যুদ্ধের কারণে প্রচুর পরিমানে নাইলনের প্রয়োজন পড়ল দড়ি বানানোর জন্য। সেই নাইলনের জোগান দিতে গিয়ে হাত পড়ল মেয়েদের স্টকিংসে। উন্মুক্ত পায়ে মসৃণ স্টকিংসের এফেক্ট আনতে মেয়েরা সেসময় পায়ে মেকআপ করত। চল্লিশের দশকেই এসে গেল মেয়েদের ইলেকট্রিক রেজার। ষাটের দশকে জনপ্রিয় হল ওয়াক্সিং। তারপর সারাজীবনের মত মসৃণ ত্বকের প্রতিশ্রুতি নিয়ে চলে এল লেজার টেকনোলজি। প্রতিটি পদ্ধতিই সময়, খরচ ও যন্ত্রণা সাপেক্ষ। মেয়েলী আড্ডায় উঠে আসে এইসব নির্লোম হাত, পা, বাহুমূলের যন্ত্রণার গল্প। কখনও নারী ভালোবেসে নিজেকে নির্লোম দেখতে চায়, নিজের ভ্রূজোড়া নিখুঁত বাঁকা করতে চায়। কখনও করে দায়ে পড়ে। পাঁচটি হাতের চারটিই একটি বিশেষ সৌন্দর্যের সংজ্ঞায় বিশ্বাসী হলে পঞ্চম হাতটির সামনে খোলা থাকে দুটি পথ। সে নিজের ইচ্ছায় চলতে পারে বাধাবন্ধহীন, বন্ধুমহলের ফিসফাস, টীকা-টিপ্পনি উপেক্ষা করে। অথবা তাকে নিজেকে বদলাতে হয়, অন্যের ঠিক করে দেওয়া মাপকাঠি অনুযায়ী সমাজ স্বীকৃত স্বাভাবিক হয়ে উঠতে হয়। আমেরিকান লেজার সেন্টারসের একটি সার্ভে অনুযায়ী একজন আমেরিকান মহিলা অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্তির জন্য মাসে $১৫.৮৭ খরচ করে। নির্লোম ত্বকের সামাজিক চাপ থাকলেও মেয়েরা কিন্তু অতিরিক্ত বেতন পায় না এই চাপ সামাল দিতে।

    আমার সেই পুরোনো মফস্বল শহরে প্রথম যখন পা ওয়াক্সিং করাতে চেয়েছিলাম, বিউটি পার্লারের দিদি বলেছিল, পা করাচ্ছো কেন? তুমি কি স্কার্ট পর? জীবন গিয়েছে চলে দেড় দশকের পার। সেই মফস্বলে ফুল বডি ওয়াক্সিং এখন কোন নতুন কথা না। ভ্রূ পরিচর্যা করতে ছাত্রীরা আর ভয় পায় না। কাজল আর লিপস্টিক দিয়েই মেকাপ সারা শুনলে এখন সবাই হাসবে। মেয়েরা নিজের খুশিতে সাজে, নিজের যা ইচ্ছে পরে এসব ভালো ভালো জিনিসের মধ্যে একটা কাঁটা খচখচ করে আমার মনে। মুম্বইয়ের ট্রেনের সেই দুই দৈত্য এখনও একই মাথায় সহাবস্থান করে। একজন বলে, দেখেছ মেয়েটা কেমন পিতৃতন্ত্রের চোখ রাঙানীর তোয়াক্কা না করে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে! ওর জামার ঝুল হাঁটুর ওপরে থেমেছে, বাহুমূল অনাবৃত। ওর শরীরের ওপর একা ওরই অধিকার। অন্যজন বিষন্ন হয়। এলোমেলো, বেপরোয়া ভাবের নিচে সযত্ন পরিকল্পনা তার নজর এড়ায় না। এর একান্ত অধিকারের শরীরটা সেজে উঠেছে কার ইচ্ছায়? কার তুষ্টিতে? কার ঠিক করে দেওয়া মাপে? গরম মোমলাগানো কাপড় চেপে ধরে তার ত্বক থেকে যখন অনাকাঙ্খিত চুল উপড়ে ফেলা হয় সেই যন্ত্রণা সে কি হাসিমুখে সয়? সকলেই কি হাসিমুখে সয়?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ মার্চ ২০১৮ | ১৭১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৯85097
  • বাহ। এখন বিষয় সম্পর্কে পছন্দ জানিয়ে গেলাম, পরে আরো দুকথা বলব।
  • I | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:৩৬85098
  • দিব্য।
  • de | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৯85099
  • খুবি ভালো টপিক-

    আমি এখনো ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং করাই না - কিন্তু সাধারণ রূপচর্চায় আপত্তি করি না। আমি আমার শুঁয়োপোকা ভ্রূ নিয়েই যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ। সব মেয়েদের একই রকম টানা ভ্রূ থাকলে বড্ড একঘেয়ে দেখতে লাগে। অতীব রূপচর্চায় সৌন্দর্য্য তার বৈশিষ্ট হারায়। প্রতিটি মেয়ে আলাদা করে সুন্দর,নিজের মতো করে সুন্দর -

    আজকাল না কামানো বাহুমূল নিয়ে প্রচুর মেয়ে স্লিভলেস পরে - ইন ফ্যাক্ট হলিউডি ফিল্ম অ্যাক্ট্রেসদের মধ্যে অনেকেই এটা করেছেন -
  • ভীমরতি | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১০:৪৬85100
  • দারুণ লাগলো লেখাটা। আমাদের যৌবনে নারীবাদী হওয়ার একরকমের প্রিকন্ডিশন ছিল এই পিতৃতন্ত্রের ছক মিলিয়ে নিজেকে মেল গেজের জন্য প্রস্তুত না করা। মানে সেটাকে প্রত্যাখ্যান করা একটাভাবে। কাজল, লিপস্টিক, অন্যান্য প্রসাধন, ফেসিয়াল প্রায় বর্জ্জন করা হত। ভুরু প্লাক বা হাত-পায়ের লোম তোলার তো প্রশ্নই ছিল না। সাজগোজ বলতে ছিল টুকটাক চুড়ি, দুল, বড়জোর একটা টিপ। এর চেয়ে বেশী সাজগোজ যারা করত, মানে কাজল পরা বা ভুরু প্লাক, তাদের সিরিয়াস নারীবাদী বলে কেউ পাত্তা টাত্তা দিত না। পরে বয়েস হলে দেখলাম এখনকার নারীবাদীরা সকলেই এগুলো করেন। ব্যক্তি তার শরীর নিয়ে যা ইচ্ছে করবে - এটা ব্যক্তির জন্য অধিকারের প্রশ্ন, স্বাধীনতার প্রশ্ন। ঠিকই। কিন্তু ব্যক্তির বাইরে বেরিয়ে সামাজিক প্রেক্ষিতে প্রশ্নটাকে প্লেস করলে যে মেল গেজ নিয়ে এত কথা, তাকেই রিইনফোর্স করা হচ্ছে কিনা - সে প্রশ্নও তো ঠিক উড়িয়ে দেওয়ার নয়। আপনি আপনার দ্বিধাকে যেমনভাবে সততার সাথে রাখলেন, প্রচলিত নারীবাদী আলোচনায় এই দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশ্যে অন্ততঃ কোনও সৎ আলোচনা বা বিতর্ক পড়িনি। যাঁরা এগুলো করেন অথচ এনিয়ে দ্বিধা পোষণ করেন না, বা নারীবাদের মূল লক্ষ্যের সাথে কোনও দ্বন্দ্ব আছে বলে মনে করেন না, তাঁদের দিককার মতামত জানার ইচ্ছে রইল।
  • aranya | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১১:২৬85101
  • 'আজকাল না কামানো বাহুমূল নিয়ে প্রচুর মেয়ে স্লিভলেস পরে - ইন ফ্যাক্ট হলিউডি ফিল্ম অ্যাক্ট্রেসদের মধ্যে অনেকেই এটা করেছেন'

    - না কামানো, লোমশ হাত আর পা-ও কি প্রচুর দেখা যায়? সাধারণ মানুষ বা হলিউডি ফিল্ম অ্যাক্ট্রেসদের মধ্যে?
  • aranya | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১১:২৭85102
  • * সাধারণ মেয়ে
  • aranya | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০১:১৪85107
  • 'গরম মোমলাগানো কাপড় চেপে ধরে তার ত্বক থেকে যখন অনাকাঙ্খিত চুল উপড়ে ফেলা হয় সেই যন্ত্রণা সে কি হাসিমুখে সয়? সকলেই কি হাসিমুখে সয়?'
    - এই যন্ত্রণা-র ব্যাপার-টাই সবচেয়ে খারাপ লাগে, কেন যন্ত্রণা সহ্য করেও 'সুন্দর' হতে হবে ..
  • Du | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৫85108
  • মেয়েদের সাজ মানে এই ভুরু তোলা বা লিপস্টিক এই দুটো অন্তত ছেলেদের দেখতে ভালো লাগে কি বিশেষ করে? ছেলেরা বলুন। আমার তো খুবই মনে হয় এগুলো মেয়েদের সৌন্দর্য্যবোধেরই অংশ। তবে এইবাধ্যতা মূলক প্রসাধনী যা কিনা পশ্চাত্য সাজপোষাকের অবশ্যম্ভাবী দাবী এর চেয়ে গা মাথা ঢেকে ঘুরে বেড়ানো অনেক কম্ফর্টেবল।
  • pi | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:২১85109
  • কয়েকটা কূট প্রশ্ন। নিজের কাচেও প্রশ্ন বলা চলে।

    'আমার হাতের পাশে হ্যান্ডেলের ভাগীদার আরো গোটা পাঁচেক হাত। প্রতিটি হাত নির্লোম, মসৃণ। তাদের পাশে আমার হাতটি রোঁয়া ওঠা খসখসে কম্বলের মত বিসদৃশ। খুব ইচ্ছে করে হাতখানা সরিয়ে নিতে।'
    'সে জানে নারীর নির্লোম ত্বক আকাঙ্খিত'

    আচ্ছা, এই নির্লোম ,মসৃণকে সুন্দর লাগা কি সবই পুরুষের প্রশংসার জন্য ? নিজেরও সুন্দর লাগতে পারে কি ? মানে আমি এ বলছিনা যে সবারই সুন্দর লাগতে হবে, হলে সেটা হয়তো বড়মাত্রায় সোশ্যাল কন্ডিশনিং , কিন্তু কারুর তো নিজেরো লাগতে পারে ?
    এই 'আকাঙ্খিত' টা কার কাছে ? কারুর নিজের কাছেও হতে পারেকি ? এবার জানি, সেভাবে দেখলে বিশুদ্ধ নিজের ইচ্ছা বলেও হয়তো কিছু হয়না, সবই কোন না কোন ভাবে নির্মিত হয়তো, কিন্তু সব নির্মাণই কি খারাপ ? আর একেবারেই বিশুদ্ধ ইচ্ছাও কি নেই ? আবসলিউট ভাবে কিছু সুন্দর মনে হতে পারেনা ? আবসলিউট স্কেলে সুন্দর হয় কি ? এখানে আবার কালচার ভেদে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলে যাওয়া আসতে পারে। তবে ইউনিভার্সালিও কিছু জিনিস বোধহয় সবারই সুন্দর লাগে।

    এবার কোনকিছু সুন্দর লাগলেই সেরকম সুন্দর নিজেরই হয়ে ওঠা আদৌ প্রয়োজনীয় বা গুরুত্বপূর্ণ কিনা, সে প্রশ্ন অবশ্যই আসবে। সবাইকে একই সৌন্দর্যের চাঁে পড়তে হবে কিনা অবশ্যই না বলে মনে করি, এটা অন্ততঃ জোর দিয়ে বলতে পারি। কিন্তু সেরকম সুন্দরকে আপ্রিশিয়েট করা নিয়ে যে কুণ্ঠা বা দ্বন্দ্ব , সেটা নিয়ে বলছি। এই স্পেসিফিক উদাঃ সেরকম কোন ইউনিভার্সাল সৌন্দর্যের উদাঃ এরকম অবশ্যই বলছিনা।

    আর ঐ প্রকৃতি কেন লোম ঝরিয়ে দেয়নি শুনে মনে পড়ল, সেভাবে দেখলে, প্রকৃতি যা দেয়, তার থেকে অনেক অদলবদলই করি আমরা।
    লোক্জনএর ভ্রূ কি গা হাতের লোম কাটা নিয়ে প্রশ্ন তুললে কি চুল কাটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে ? আবারো বলছি, কূটপ্রশ্ন। লজিক এক্স্ট্রাপ্রোলেট করলে এই প্রশ্নগুলোও উঠতে পারে কিনা ভাবছি।

    কিম্বা ধরো পোশাক। সেটা এমনিতেই একটা অপ্রাকৃতিক ব্যাপার। এবার সেই পোশাকএর সাথেও তো সৌন্দর্যের ব্যাপার জড়িয়ে আছে। নেই ? আমরা সুন্দর শাড়ি বেছে পছন্দ করে কিনে পরি না, সুন্দর লাগবে বলে পরিনা ? প্রায় সব পোশাকই তাই। শুধুই লজ্জা কি শীত নিবারণ তো নয়। সেইরকম ক্ষেত্রগুলোতেও এই প্রশ্ন উঠতে পারে কি ? এরকম উদাঃ আরো বেশ কিছু মনে আসছে, সবেতেই গিয়ে একটু হোঁচট খাচ্ছি। থিংকিং লাউডলি বলতে পারো আর কি ।

    এবার এসবের পরে আরো মোক্ষম একটা প্রশ্ন আসছে। অসুন্দরের অধিকার। মানে কোন কিছু সুন্দর মনে হলেও সুন্দর না হবার, সুন্দর হয়ে না থাকার। এবার সেখানে সৌন্দর্য আপ্রিশিয়েটেড হলে কেন হবে, এই কূট প্রশনও আসতে পারে।
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:৩৯85110
  • ইয়ে মানে দেহগত সৌন্দর্য কি সত্যিই একটু বাড়াবাড়ি রকমের বেশি আপ্রিশিয়েটেড হচ্ছে না , আমাদের চারপাশে? সেটার কি কোথাও অল্প হলেও বদল আসা দরকার না? সুন্দর শাড়ি বেছে পছন্দ করাটা আমাদের ভোগবাদী সভ্যতা শিখিয়েছে। এবং সেটা গত কয়েকটা জেনেরাসনের মধ্যেই। তার আগে বেশ একটা - দুটো ভালো শাড়ীতেই জীবন কেটে যেত।

    লেখাটা লাভলি ! লাভলি!
  • modi | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১২:১৭85103
  • একটা আন্দোলনের অংশ হয়েও কি ব্যক্তিস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে যা খুশি করা যায়? কেউ কি নিজেকে মুক্তবুদ্ধির আন্দোলনের অংশ বলে দাবী করে হাতে মাদুলি, গলায় পৈতে, আঙুলে গ্রহরত্ন ধারণ করতে পারেন?

    তাহলে নারীবাদের বেলাতে ব্যক্তিস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে যা খুশি করা চলে কেন?
  • i | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১২:২৩85104
  • খরচের অ্যাঙ্গেলটা ভালো লাগল। আরো তথ্য পাওয়া গেলে ভালো হত এই নিয়ে।
  • i | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১২:২৬85105
  • এই নিয়ে আরো তথ্য পাওয়া গেলে-বলতে চেয়েছিলাম,শব্দগুলো উল্টে পাল্টে গেল।
  • Shuchismita | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১২:৪৯85106
  • নিজেকে সুন্দর দেখতে চাওয়ার প্রবণতা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই থাকে। এর সাথে নারীবাদী আন্দোলনের কোন সরাসরি সংঘাত আছে বলে মনে করিনা। এক্ষেত্রে সমস্যা হল সৌন্দর্যের সামাজিক সংজ্ঞাটি পুরুষতান্ত্রিক। এই সামাজিক নির্মাণ থেকে বেরিয়ে আসা রীতিমত কঠিন। এটা শুধু যুক্তিবুদ্ধির ব্যাপার না। যেরকম দেখতে আমরা বহুবছর ধরে অভ্যস্ত তার থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে ট্রেইন করতে হবে। এবং এই ট্রেইন করার পথে বিস্তর বাধা আসবে কারণ সৌন্দর্যের এই বিশেষ সংজ্ঞা ব্যবসায়িক ভাবে বেশ লাভজনক।
  • রুকু | ***:*** | ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩৬85111
  • লেখাটা ছুঁয়ে গেল। কিন্তু প্রশ্ন এল। আমার দাড়ি আছে, বেশ শক্তপোক্ত হেয়ার গ্রোথ। আমাকে প্রতি উইকে থ্রেডিং করাতে হয়। সেটা আমি আমার জন্য করি। কারণ থুতনির তলায় দাড়িতে হাত বোলাতে ভালো লাগেনা।
    আমার চোখ সুন্দর আমি জানি। সেটাকে মেক আপ করে সুপারলেটিভে নিয়ে যাওয়া আমি পছন্দ করি।
    ঠোঁটের কোনে পিয়ার্সিং করাবো কারণ আমার ভালো লাগবে নিজের ঠোঁটের আর্চে একটা ছোট্ট স্টাড দেখতে।
    সৌন্দর্যর মাপকাঠি পুরুষতান্ত্রিক বা বাজারকেন্দ্রিক, এটা যেমন সত্যি এটাও কিন্তু সত্যি আমি নিজের শরীর সাজাতে ভালোবাসি। সেটা শুধুই পুরুষ আকর্ষণী হয়ে ওঠার জন্য নয়। এই ফাইন লাইনওয়ালা দ্বিমত কীভাবে ডিফাইনড হবে?
  • tag CEO | ***:*** | ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৬:২৫85112
  • এ ব্যপারে সানি সম্পর্কে ব্ল্যাকবেল্ট সিইও বলবেন। নিজের ভালো লাগা না লাগা ও পছন্দ করা না করা ব্যপারটা আদৌ কতটা "নিজের" রয়েছে। স্যোশাল কন্ডিশনিং কতখানি "নিজের" পছন্দ অপছন্দ কে নিয়ন্ত্রন করে অধিকাংশের পছন্দ অপছন্দের ধাঁচে ঢালিয়ে নেয়, ব্যতিক্রম হওয়ার ইচ্ছের মধ্যে কিভাবে অধিকাংশের প্রাকটিশের কাউন্টার তথা প্রভাব থেকে যায় ইত্যাদি।
  • tag CEO | ***:*** | ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৬:২৫85113
  • এ ব্যপারে সানি সম্পর্কে ব্ল্যাকবেল্ট সিইও বলবেন। নিজের ভালো লাগা না লাগা ও পছন্দ করা না করা ব্যপারটা আদৌ কতটা "নিজের" রয়েছে। স্যোশাল কন্ডিশনিং কতখানি "নিজের" পছন্দ অপছন্দ কে নিয়ন্ত্রন করে অধিকাংশের পছন্দ অপছন্দের ধাঁচে ঢালিয়ে নেয়, ব্যতিক্রম হওয়ার ইচ্ছের মধ্যে কিভাবে অধিকাংশের প্রাকটিশের কাউন্টার তথা প্রভাব থেকে যায় ইত্যাদি।
  • রুকু | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:২৫85114
  • সিইও কে? :-o
  • dc | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:৩২85115
  • কোন সানিতে ব্ল্যাকবেল্ট? দেওল না লিওন?
  • S | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:৪২85116
  • আরে ধুর। আপনাদের প্রিয় অভিনেত্রিরা সব মেকাপ করে সুন্দরী হয়ে গেলো? আর আপনি বলছেন যে মাছ খাবোনা। বহুজাতিকগুলো এমনি এমনি এতো পয়সা দিয়ে দিপিকা, প্রিয়ান্কা, সোনাম কাপুর, রাই ম্যাডামকে পুষছে? জানে একটা বিশাল দল ওতেই মুগ্ধ হয়ে কনজিউমার বনে যাবে। তার সাথে আজকাল শুরু হয়েছে জিম আর য়োগা ক্লাস।

    এখন বলতে পারেন যে আমি যদি ভিন্ন রকমের সাজতে চাই তাইলে তো কোনও উপায়ই নেই। অতো প্রোডাক্ট বার করা সম্ভব নয়। তার থেকে চুলের ঐ একটাই স্টাইল করে দেও - স্ট্রেইট। সবাইকে বলো ঐটাই এখন সবাই করছে। দেখবেন সবাই ঐটাই করবে।

    সৌন্দর্য্যকে স্ট্যান্ডার্ডাইজড করে দেও। এই বিশটা জিনিস করলেই তুমি সুন্দরী। মডেল-অ্যাকট্রেসদের দিয়ে সেইটাই রটিয়ে দাও। সবাইকে তোমার প্রোডাক্ট গছিয়ে দাও।

    দেখুন না এইবারে প্লাস্টিক সার্জারি শুরু হলো বলে। ওটা আরো হাই ভ্যালু মার্কেট।
  • র২হ | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:৪৬85117
  • সেতো সলমন খানেরাও না খেয়ে ছয় প্যাক আট প্যাক বানাচ্ছে।
    কই তাদের আমার মত ন্যাচারাল ভুঁড়ি।
  • S | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:৪৭85118
  • কে বলেছে? খোঁজ নিয়ে দেখুন কত্ত লোকেরা এখন অফিস শেষ হলেই জিমে ছোটে। ওটা এখন কর্পোরেট কালচারের অঙ্গ হয়ে গেছে। ঐ কি যেন বলে, নিজেকে প্রেজেন্টেবল করে তোলা।
  • r2h | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:৫৭85119
  • সেই তো বলছি। আমার মত অরিজিনাল ক'জন আছে। স্রোতের বিরুদ্ধে এক একাকী বীর রাঘব বোয়াল।
  • S | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৬:০০85120
  • আপনার জন্য তাইলে এই গানটা রইলোঃ
  • Shuchismita | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৬:৪৬85121
  • পাই যে কূট্প্রশ্নগুলো করেছে, রুকু করেছে - সেইগুলো নিয়ে আমিও দ্বিধায় আছি। এই লেখাটা কোন জাজমেন্টাল দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লিখিনি। নিজের মনে যে দ্বিধাগুলো আছে, সেগুলো লিখে রেখেছি এবং অন্যদের সামনে এনেছি বলা যায়। দেখতে পাচ্ছি আমি একা নই। অনেকের মনেই এই দ্বিধাগুলো আছে। আমি একজন মেয়ে হিসেবে অভিজ্ঞতাগুলো লিখেছিলাম। হুতোদা একদম সঠিক ভাবেই পয়েন্ট আউট করেছে যে পুরুষের ওপরেও এই সমাজনির্মিত সুন্দরের ছাঁচে নিজেকে গড়ে তোলার একটা চাপ আছে। আমার মনে হয়না এটা নতুন কোন ট্রেন্ড। সুন্দর মুখ, সুগঠিত শরীর এগুলো চিরকালই কদর পেয়ে এসেছে। বহু প্রাচীন কাল থেকে নারী-পুরুষ উভয়েই মেকাপ ব্যবহার করেছে। এই সুন্দর হওয়ার ঝোঁক নিজের জন্য নাকি অন্যের জন্য সেটার চুলচেরা হিসেব করা শুধু কঠিনই নয়, কার্যত অসম্ভব। কিন্তু তাও যখন দেখি সৌন্দর্যের একটা বিশেষ টাইপের জন্য বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে তখন স্বভাবতই এই টাইপের প্রতি আকর্যণটা মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা নাকি সানি - এই নিয়ে প্রশ্ন জাগে। যারা এই সানিতে সাবস্ক্রাইব করতে চাইছেন না, তাঁরা কোনভাবে ডিসক্রিমিনেটেড হচ্ছেন কিনা সেটা দেখারও প্রয়োজন আছে মনে হয়। এক্ষেত্রে ডিসক্রিমিনেশন মনিটর করার কাজটা খুব সোজা নয়, কারন আগেই আমরা দেখেছি সৌন্দর্যের বিশেষ টাইপের প্রতি এই ঝোঁক স্বাধীন ইচ্ছা কিনা সেটা আইডেন্টিফাই করা কার্যত অসম্ভব। তবে যদি পাবলিক স্পেসে এই নিয়ে আরো বেশি করে আলোচনা হয় যে এই টাইপটার বাইরেও অন্য টাইপ থাকতে পারে এবং আমরা নিজেদের ব্রেইনকে ট্রেইন করতে পারি সেই অন্য টাইপকেও স্বাভাবিক ভাবে অ্যাকসেপ্ট করার জন্য তাহলে হয়ত এই ডিসিক্রিমিনেশনের আশঙ্কা কিছুটা কমে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এটা লেখা।
  • Atoz | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ১০:২৪85122
  • পদ্মপাতায় গরম ভাত খেলেই পদ্মকাঁটা সেরে যায় শুনেছি। থুতনিতে পদ্মকাঁটা যাদের আছে, তারা ট্রাই করতে পারেন। ঃ-)
  • paps | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:০০85123
  • পদ্মকাঁটা নতুন টার্ম। এটা কি দাড়ির euphemism না অন্য় কিছু?
  • | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১২85124
  • না না দাড়ি পদ্মকাঁটা নয়। goosebumps যদি পার্মানেন্ট হয়ে যায় তাহলে যেমন হবে সেরকম ব্যপার ত্বকে হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায়ই হতেপারে। নানার কারণ থাকে হওয়ার, চিকিৎসা করলে সেরেও যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন