এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • শাকান্ন কথা

    পার্থসারথি গিরি লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ | ১৭৩১ বার পঠিত
  • 'শাকান্ন' শব্দটা মধুময় ধূলিমাখা নিপাট পার্থিব শব্দ। একটু ছাপোষা যেন, অথবা সহজিয়া।

    শাক-ভাত আমার প্রিয় আহার এবং আক্ষরিক অর্থে আমি শুধু শাক দিয়ে পরিতৃপ্ত থাকতে পারি ভোজনে।
    চোদ্দশাকের দিনটি স্বভাবতই আমার কাছে একটি পার্বণ। এইদিন শুধু শাক নামভূমিকায় থাকে না হয়ত, তবু বাঙালির শাক-ভাতের আনুষ্ঠানিক দিন।

    আমি পুঁইশাকের প্রতি অবেসসড্। আমাদের বাড়ির চারতলার ছাদ থেকে লম্বিত ঝুলন্ত পুঁইলতা দেখে আমার ভারি পুলক জাগে। আমি পুঁইমাচার স্বপ্ন পৌনঃপুনিকভাবে দেখি, দেখি যে কচি সবুজ পুঁইব্যাপ্ত মাঠে আমি শুয়ে আছি, আমার বুকে পেটে মুখে পুঁইলতা দুলে দুলে সোহাগ করছে। আর যেহেতু ব্যাপ্ত সবুজের প্রান্তর, তাই সবুজ যেন ভেজা কাগজে জলরঙের মতো বাধাহীন। এই স্বপ্ন আমি আগে দেখেছি, এখনও দেখি।

    কুচো চিংড়ি সহযোগে পুঁইশাক আর মিঠে চালের ভাত, এই যুগলবন্দি অমৃতস্য পুত্রাঃ। পুঁইডাঁটার ঝোল খেয়েছেন কি? তেলাপিয়া মাছ দিয়ে কচুমুখী দিয়ে সে এক দিব্য স্বাদের ঝোল হয়। পুঁইডাঁটার আচার হয়, খেয়ে দেখতে পারেন।

    যারা একটু ঝাল পছন্দ করেন তাদের জন্য আমার নিজস্ব একটি রেসিপি দিই। এর সঙ্গে উড়িষ্যার কিছু যোগ রয়েছে। বাকিটা আমার ইম্প্রোভাইজেশন।

    পুঁইডাঁটা কেটে নিন। চালতা কেটে নিন। সর্ষে কাঁচালংকা বেটে নিন। তেল গরম হলে সব কিছু একসঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সাঁতলে, চিনি দিয়ে জল দিয়ে সেদ্ধ করুন। সঙ্গে কুচো চিংড়ি হলে সোনায় সোহাগা। গরম ভাতে খান।

    রবীন্দ্রনাথের রামকানাইয়ের সারল্য মনে আছে তো? তার দাদা গুরুচরণের মৃত্যুকালে তার স্ত্রী এক পায়ের ওপর বসে দ্বিতীয় পায়ের হাঁটু চিবুক পর্যন্ত উঁচু করে কাঁচা তেঁতুলের ডাঁটা চচ্চড়ি দিয়ে মনোযোগ সহকারে দুপুরের পান্তাভাতের আহার সারছিল। এতে ওইরকম স্বাদ পেতে পারেন।

    শ্যামবাংলা ছেয়ে আছে কত কত রকম শাকে। বাঙালি অধিকাংশই পাতে তুলে নিয়েছে এবং তাদের বাহারি আদুরে নামও দিয়েছে। নটে, ঘেঁটু, হাতি, কালকাসুন্দা এসব রয়েছে। রয়েছে মুলো, কচু, পালং, বেথো, মেথি, লাল নটে, হিংচে, গিমে, সর্ষে, ছোলা, মটর, খারকোল ইত্যাদি। আলুর গাছটি শাক হিসেবে খাই। পাট গাছের পাতা পাট শাক হিসেবে খাই।

    আমি অধিকাংশই খেয়েছি। শাক ছাড়া ভাত যেন সিঁদুরহীন এয়োতিবিলাস লাগে। যে বাড়িতে যারা শুরুর পাতে আমাকে শাক দিয়ে আপ্যায়ন করেছেন, তাদের আমি মনে মনে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছি। বেঁচে থাকুন সুখে থাকুন আবাদী থাকুন তারা।

    বিভূতিভূষণের পুঁইমাচা চিরকালীন একটি গল্প, যেখানে গরীবের লোভী কিশোরী মেয়ে পুঁইশাক পেলে চাট্টি বেশি ভাত খেত। সেই কিশোরী বিয়ের পরে আতুঁড়ে অকালে মারা যায়। তার মৃতসংবাদ পেয়ে মা দেখছেন বৃষ্টির নবধারাজলে কচি পুঁইয়ের ডগা মাচায় ঝিলমিল করে উঠেছে। সেই কিশোরীর সব নোলা নিয়ে অনন্তকাল ঐ সব পুঁইডগারা দুলবে কোনো না কোনো মাচায়।

    তো,শাকান্নের গল্প বলি কিছু মিছু। শাক হিসেবে বিবেচিত হয় না, অথচ শাকের মতো রেঁধে খাওয়া হয়, এমনও তো হয়।

    যেমন ধরা যাক, পেঁপে গাছের নরম ডগা। পাতা সমেত কেবল নুন হলুদে সেদ্ধ করে খেতে দেখেছি। খুব উপাদেয়। বা ধরুন, তেঁতুল গাছের কচি ফুলপাতার চচ্চড়ি, অল্প সর্ষে দিয়ে। সে তো অমৃততুল্য। অমৃততুল্য তো বললাম। অমৃতের স্বাদ কি কেউ জানি? আসলে স্বাদ একটা মানসিক ঘরানা। সেই ঘরানা অনেকটা লম্বা ছোট ছোট পুঁতির মতো স্মৃতির গাঁথা মালার মতো গলায় দোলে। অনুষঙ্গ, উপাদান, স্মৃতি মিলে তার কারিগরি।

    তাই গল্পগাছা হোক।

    কালবোশেখি হয়ে গিয়েছিল গত বিকেলে। তছনছ হয়ে গিয়েছে গাছপালা আনাজের ক্ষেত কলাবাগান পুকুরপাড় ঘরবাড়ি গেরস্থি । ঘরবাড়ি বলতে অধিকাংশই খড়ের চালা, মাঝে সাঝে টালির চাল। সেগুলো কোনোটিই যথাযথ নেই। আর ছিল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অট্টালিকা। বিগতকালের জমিদারবাবুদের। আর সেটিই ছিল আমার জন্মদেহলি।

    তখনও সামন্ততন্ত্রের ঘন ছায়া, যেটি এখন ছদ্মবেশী চোরাবালি, তখন প্রকট প্রকাশ্য। ব্রিটিশ-উত্তর ঔপনিবেশিকতার ঝুটা কড়ির সাজের জ্যালজেলে চিকনাই।
    তখন বামফ্রন্টের অজস্র ভুলভ্রান্তির মাঝে একটিই কাজের কাজ শুরু হচ্ছে। আমাদের মত কিছু জরদ্গব রাঘব বোয়াল ভূস্বামীদের ভূমি কেড়ে পাট্টা বর্গা বিলির শুরুর দশক। আমার শৈশবের সকালবেলা। আমার সেই সকালগুলোতে ক্ষুদ্র চাষিটি তার নিজের আপ্রাণ আবাদির ওপর ধীরে ধীরে নিজের পা রাখার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে।

    এমন দিনের ঝড়ে এলোমেলো একটি সকাল। ঝকঝকে রোদ্দুরে লোকজন ঘরের চালা মেরামতির কাজে নেমেছে। হৈ চৈ আয়োজন।

    দড়িটা বাতায় কষে বাঁধবি বরেন, খুলে না যেন।
    আর এক কিলো বাবুই লাগবে ছোড়দা।
    এইবার ঝড় আসতে দে, বট গাছ উড়ি যাবে, চালা যাবেনি।

    আমার এক অতি দরিদ্র দোসর ছিল। নাম রঞ্জন পরামাণিক। তার বাবা নাচিন্দা বাজারের ফুটপাথে ইঁট পেতে ক্ষৌরকর্ম করতেন। আর আমাদেরই এক চিলতে জমিতে ভাগচাষ করে সারাবছরের চাল কোনোক্রমে জোগাড় করতেন। তাঁদের ভরা-ঘর অনটন। রঞ্জনের হাসিটি শুধু কোটি টাকার।

    আমার মা আমাকে বলেছিলেন, বাবাকে ভেবো দেউলিয়া। বাপের একটি কানাকড়ির দিকে তাকিও না, তোমার বাপের মতো। নিজে যা পার করে দেখাও। নিজেকে মনে করবে অনাথ।

    ফলত আমি রাস্তার মানুষ। আমার গর্ভধারিণীর ওপর আমার প্রগাঢ় মায়া এ কারণে যে, আমাকে ঠিক সময়ে ঘরের বাইরে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন। নইলে এ জীবন এ ধরিত্রী এ জার্নি বেরঙ হয়ে থাকত। এই যে আমার ভুবন এত বিচিত্রিত রসে রভসে পথের হর্ষ অশ্রুতে টই টই টম্বুর টম্বুর, সে কেবল আমার জননীর দান।

    কালবোশেখির পরের দিনের কথা হচ্ছে।

    ঠাকুমা আমাকে ডেকে বললেন, একবার দেখ তো রঞ্জনদের কী অবস্থা। এক ছড়া কলা দিলেন আমাকে। এটা দিয়ে দেখে আয় ওদের। পাশের গ্রামে রঞ্জনদের খড়ের চালার ঘর। গৃহমুখে মাথা অনেকখানি নিচু করে ঢুকতে হয়। নইলে কপালে আলু!
    আমি বাবুর বাড়ির ছেলে। তটব্যস্ত রঞ্জনের শীর্ণকায় অপুষ্টির মা। আমার হাতের চাঁপাকলার ছড়াটি দিলাম। অতি ক্ষুদ্র উঠোনময় প্যাচপেচে কাদা ভাঙা গাছের ডাল পাতাপুতা নারকোল ডোকলায় দাঁড়াবার জায়গা নেই। ঘরের চালার অর্ধেক হাঁ।

    ঘরে কিছুই নেই বাবুর বাড়ির ছেলেকে দেবার মত। কিছু নেই মানে কিছু নেই। জলের ঘড়াও নেই।

    রঞ্জন আর রঞ্জনের বাবা নাকি এ দুর্যোগে একমাত্র একজনের কাছেই যেতে পারে।
    তারা আমার বাবার কাছে গেছে ঘর সারাবার রসদ জোগাড় করতে।

    জীবনের একটি একটি পাঠশালার দিন আসে আর যায়।

    রঞ্জনরা ফিরে আসার পর বাবুর বাড়ির ছেলে দুপুরে খেতে বসেছে। হ্যাঁ ঠিক, এ একেবারে ধ্রুব যে, জীবনের শেষ সুখাদ্যটি আমি সেদিন রঞ্জনের জননীর হাতে খেয়েছিলাম। অথচ গৃহস্বামীর কী কুণ্ঠা!
    "এ মানুষে খায় নাকি? এ তো আমরা খাই। এ তুমি কী করিকি খাব গো?"

    কাদা কাদা ভেজা মাটির ওপর পেতে দেওয়া রঞ্জনের মায়ের পরণের শাড়ির ওপর খেতে বসেছে তিনটি মানুষ। সামনে গালে হাত রঞ্জনের মা।

    লাল আকাঁড়া ডুমোচালের ফেনাভাত। ঝড়ে ভেঙে পড়া পেঁপেগাছের ডগার কোঁড়ের তরকারি। তেঁতুলফুল পাতার চচ্চড়ি আর ডোবা-ভাসা ধেনো চিংড়ির টক। এই মাত্র খাদ্যতালিকা। চিরজাগরুক অমৃতের জিহ্বাস্নান।

    স্বাদ কী বস্তু? রন্ধনশৈলী কেমন হলে স্বাদকে জাপটে ধরা যায়? রন্ধন কাকেই বা বলে?

    আমি শাকান্ন রন্ধনে আনন্দ পাই। যে-শিল্পের দোষে আজও বাবুর বাড়ির ছেলে হতদরিদ্র বন্ধুজননীকে মনে রেখেছে, তাতে আমি মজে গেছি এ জীবনের মতো। যে মুখ কেলিয়ে বলে, খেতে ভাললাগে অথচ রান্না করাটা বোগাস ব্যাপার, তার প্রতি করুণা করা উচিত। তাকে ডেকে পিঁড়ি পেতে বলি, দুদণ্ড বসো, পাতের চারদিকে মিছিমিছি জলের ছড়া দাও। জিহ্বা সেইক্ষণে রসস্থ হোক। এই যে জুঁইফুলের মতো সিদ্ধ শস্যদানার পাশে সবুজ ব্যঞ্জনটি, এই হল আদিঅন্তহীন ঘরানা, মাইহার বাজের মতো। এর গায়ে অনেক শিশিরের আলাপ, অজস্র রোদের রাগ।

    সেদিনের সেই একটি কালবোশেখি শিখিয়েছে, নিজেকে ভাল রাখতে গেলে যদি কিছু না পারো, কাউকে অন্তত দু'পদ রেঁধে খাইয়ে সুখ দিও। সে সুখে শাকান্নে প্রাণ শান্তি পেতে পারে।

    (অনেক পরে জেনেছি রঞ্জন বিহারের মাফিয়া বেল্টে ফেরার। কেউ তার খোঁজ জানে না।)

    যাই হোক, শাক ততদিন থাকবে, যতদিন মানুষ নিঃশেষে না মাংসাশী হয়ে যাবে। ততদিন শাক বাঙালির পাত আলো করে থাকুক, আর এই চোদ্দটি শাকের পার্বণ বাঙালির মর্মে ফোড়নের গন্ধে ম ম করুক। হেমন্তের দূর আকাশদীপে শ্যামাপোকারা জড়ো হবে, মৃত পূর্বজদের ছায়া ছায়া কুয়াশার অবয়বে কুট কুট করে দংশন করবে। এ কি সুখের দংশন? নাকি ফিরে ফিরে আসার না-আসার ব্যথার দাঁত? কে জানে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ | ১৭৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মধুবন্তী | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৫৩83931
  • আমি মাংস খাই না। শাকভাত আমার অন্যতম প্রিয় ভোজ্য। এই লেখাটি পড়ে এই মুহূর্তে পুঁইশাক ক্রেভিং বোধ করছি।

    শাক ঠিক নয়, তাও এইখানে বলতে ইচ্ছে করছে, শেষ শীতের দুপুরে আমার বাড়িতে সজনে ফুলের তরকারি হয় সিম, কড়াইশুঁটি সহযোগে। ওই সবুজ তরকারি দিয়ে এক থালা ভাত খাওয়া যায়।
  • প্রতিভা | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৩৬83932
  • কি চমৎকার লেখা !
    পুঁই শাক রন্ধন প্রণালীতে একটি দেখলাম না কেবল, সে হলো গে পুঁই মেটুলি চচ্চড়ি। পুঁই ডগার দানা গুলো পাকলে সেগুলোতে মাছের মাথা বা কুচো চিংড়ি দিয়ে চচ্চড়ি। দেবভোগ্য।
    যেমন এই লেখাটা। রসনা উসকানো, মন ভরানো ।
  • সিকি | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৪৫83933
  • বড় মায়া, বড় মায়া।
  • স্বস্তি শোভন চৌধুরী | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০২83934
  • আহা!! শাক বড় প্রিয়। এই লেখা পড়ে বিভিন্ন লকলকে শাকের জন্য প্রাণ একেবারে উথাল পাথাল হয়ে গেল, রসনায় রসের প্রবল উচ্ছ্বাস।

    আজই ধনে পাতা (ধনে শাক) রসুন আর লঙ্কা সহযোগে বেটে একথালা ভাত খেয়েছি।
  • জি | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০৪83935
  • বড় সুস্বাদু লেখা!!!

    মনে পড়ল, লাল শাক ছাড়া ছোটবেলায় আর কোন শাক ই খেতাম না বলে মায়ের ফাঁদা একেকদিন একেক রকমের গল্পগুলো। তবে, এখন যদিও বাকিদের দিকে মুখ তুলে চাই।

    কৌতূহলী জাস্ট, হাতি শাকটা কী? খাইনি কখনও।
  • পার্থসারথি | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:২৫83936
  • সজনে ফুলের তরকারির সোয়াদ! আহা! পুঁই মেটুলি চচ্চড়ি তো সদাবাহার পদ! উফঃ! নোলা সড়সড় করে। আর, হাতি শাকের আরো কিছু নাম রয়েছে। উত্তরবঙ্গে বেশি মেলে।
    সবাইকে শাকান্ত শুভেচ্ছা।
  • b | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:২৬83926
  • খুব ভালো লাগলো। চর্য্যাপদের সেই "মইলি মচ্ছা/নালিচ গচ্ছা" মৌরলা মাছ (নিশ্চয় সর্ষের ঝাল) আর নালতে (পাট)শাক খাওয়া বাঙালী পুণ্যবানের কথা মনে পড়ে গেলো।

    পার্থবাবু কি ইলশার মুড়া দিয়া কচুর শাক খাইসেন?
  • পার্থসারথি | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:৪৫83927
  • সে আর বলতে! অমন স্বাদু পদ না খেলে জীবন বৃথা। আর তাছাড়া আমি ওটা ভালো রাঁধতেও পারি।
  • de | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:৪৭83928
  • ইলিশের মাথা দিয়ে বা কুচো চিংড়ি দিয়ে কচুর শাক, পুঁই শাক দুইই ভালো লাগে। এছাড়াও কুচো চিংড়ি পড়ে লাল-শাক ভাজায়, কচুর লতিতে। বাদাম ভেজে দেওয়া হয় নটে শাক ভাজা, পাট পাতার লড়া, নালতে শাক আর গিমে শাক ভাজায়। কলাইয়ের শাক মিহি করে কেটে ভাজলে তাই দিয়েই পুরো ভাত খাওয়া যায়। হিঞ্চে বা থানকুনি পাতা, শিউলির পাতা আর পলতা পাতা দিয়ে শুক্তো হয় বা মটর ডাল বেটে বড়া। পালং শাকের ঘন্ট হবে সিম, মুলো, নতুন আলু, বড়ি দিয়ে। মৌড়ি শাক, মেথি-শাক, মটর শাক, সরষে শাক - অন্নের সাথে তাদের খুবই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান -

    শাকান্ন কি কম কথা!!
  • b | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১১:০৩83929
  • এর সাথে জুড়ে দেই
    দিবসস্যাষ্টমে শাকং পচতি যো নরঃ
    অঋণী অপ্রবাসী চ, স বারিচর! মোদতে

    "অপ্রবাসে অঋণে যাহার কাল যায়
    যদ্যপি পরাহ্ণ কালে শাক অন্ন খায়
    তথাপি সে জন সুখী সংসার ভিতর
    বারিচর শুন চার প্রশ্নের উত্তর"
  • পার্থসারথি | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৪৩83930
  • আহা ! শাকের এমন রেসিপি পড়তেও অমৃতসমান। আপনাকে অশেষ প্রীতি জানাই।
  • ¥ | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৮83937
  • যথারীতি এখানেও পিড়িং শাকের কথা নাই। সহজপাঠের বাইরে সে কি কোথাও নাই?
  • Prativa Sarker | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০৬83938
  • হাতিশাক বোধহয় ঢেঁকি শাক। শাককুলের মহারাণী। হাতির শুঁড়ের মতো বাঁকানো ডগাটুকু নিয়ে রাঁধতে হয়। কাসুন্দি ফেললেই এক থালা ভাত।
  • পার্থসারথি | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৪২83939
  • হ্যাঁ ঢেঁকি শাক বলে। ঠিক। অনবদ্য ফ্লেভারের শাক। ঠিক। কাসুন্দি দিয়ে সটান এক থালা।
  • b | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৪৮83940
  • ঢেঁকিশাক সায়েবরাও খায়। ফিডলহেড শাগ বোলকে।
  • পার্থসারথি | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৫২83941
  • এটা আমার বিস্ময় যে, পিড়িং শাক কেন আমরা ভুলে যাচ্ছি। পিড়িং শাকের স্বাদ-গন্ধের সঙ্গে মিথি শাকের কিছুটা মিল রয়েছে। তা সত্বেও বলব, পিড়িং শাক অনবদ্য। সহজ পাঠে নন্দলাল বসুর আঁকা সেই আনাজের ঝুড়িটার বাইরেও পিড়িং শাক থাকুক, সত্যিই চাই।

    আরেকটি শাকের সঙ্গে আপনাদের আলাপ পরিচয় পরে করিয়ে দেব, যেটি কিনা স্বাদে গন্ধে একেবারে স্বতন্ত্র। নাম চিকনি শাক। এটি দক্ষিণের জেলায় মেলে। ধান উঠে যাওয়ার পর নাড়ার ফাঁকে ফাঁকে শিশির খেয়ে জন্মায়। কলকাতার নানা বাজারে যে সব শাকউলিরা ক্যানিং গোসাবা নামখানা পাথরপ্রতিমা থেকে আসে, তাদের বলেছি, দোহাই তোমাদের, অমন শাকটিকে দয়া করে প্রচলিত করো কলকাতায়, নিজেরাই সব খেয়ো না।

    এই শাকটিকে খুব অল্প কিছুজন চেনেন, খেয়েছেন। কেউ খেয়ে থাকলে, তথ্য দিতে পারেন। না পারলে আমি পরে ছবি সহ বিস্তারিত বলে দেব।
    নামটি হল চিকনি শাক।
  • | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:৫৪83942
  • চিকনি শাকের নাম শুনিনি, ছবিসোহ চেনান প্লীজ। পিড়িংও চোখে দেখিনি।

    আমার প্রিয় বেথুয়া (বেথো), সরষে, কলমী, পালং। আমি যদিও প্রায় কার্নিভোরাস টাইপের্ত, তবু শাক খাবার চেয়েও ফলাতে খুব ভালোবাসি, মানে বাসতাম। সবুজের ঐ হঠাৎ উচ্ছাস, পুরো এক টুকরো জমি হথাৎ এক সকালে একেবারে গুঁড়ি গুঁড়ি স্বুজ মাথায় ভর্তি, আর তারপরে লকলকিয়ে বাড়া - অপূর্ব
  • de | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:২৬83943
  • সজনে শাকও খুব ভালো - ফুলের মতোই -

    আর ছোটবেলায় যুক্তিফুল নামে একটা ফুল বেগুন দিয়ে ভাজা খেয়েছি -

    আর শাকের লিস্টে যোগ করলাম খারকোল পাতা আর মানকচুর খুব কচি মাঝের পাতা - দুটোই রসুন -কাঁচালঙ্কা সহযোগে বেটে - কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে তেলে নেড়েচেড়ে নিতে হয় -
  • de | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৩০83944
  • লাউশাক আর কুমড়োশাক - তাদের দিয়ে তো বহু সুস্বাদু জিনিস হয় -

    লাউডগা পোস্ত, পাতায় মুড়ে চিংড়ি দিয়ে পাতুড়ি - এছাড়া সাধারণ ঘন্ট তো আছেই

    ছোটবেলা খুব ঘি তে ভেজে ব্রাহ্মী শাকও খাওয়াতো -
  • Atoz | ***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১০:৪৮83945
  • আহ, পুনর্নবা ।
  • শক্তি | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৫২83946
  • কি মনোরম, স্বাদু লেখা । গ্রামীণ গৃহিণীর রান্নার মতো সামান্যকে অসামান্য করে তুলেছেন
  • dc | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৫৯83947
  • আমার শাক খেতে এক্কেবারে ভাল্লাগে না, শুধু আমার মা বাদাম দিয়ে লালশাক বানায় সেটা খাই। আর কোন শাকই ভাল্লাগে না। যেখানে মাছ-মাংস অপেক্ষা করছে সেখানে শাক ভাত খেয়ে পেট ভরিয়ে ফেলাটা কেমন যেন খাদ্যের অপচয় মনে হয়।
  • Titir | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০২:০৭83950
  • বর্ণিত বেশিরভাগ শাককে রূপে রসে গন্ধে চিনি। তাই লেখনীর হাত ধরে পিছিযে যেতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয় না। জন্মসূত্রে এমন এক পরিবেশ থেকে বড় হয়েছি ।এখন মনেমনে সেই স্বাদের রসনা উদযাপন করছি।
    এর আগে চিকনি শাকের প্রসঙ্গ এসেছে আপনার অন্য এক লেখায়। সেও হত বাড়িতে। খেসারি শাকের গোড়ায়। সেই সময় খেসারি ডাল গ্রাম বাংলায় খুব প্রচলিত ছিল। সেই খেসারির শাক ও খুব সুস্বাদু। খেসারির গাছ যখন যখন তরতরিয়ে বেড়ে চলছে তার গোড়ার কাছে জন্মাচ্ছে ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া চিকনি শাক। সেই শাক তুলতে বহুজন ভিড় জমাত আমাদের বাগানে। খেসারি পড়ত কেৎরে। তবে কদিন পারে আবার সোজা হয়ে উঠত।
    কচি তেঁতুল পাতা আর ফুল রান্না করা খাই নি। খেয়েছি অন্য উপায়ে । কলাপাতায় নিয়ে নুন, কাঁচা লঙ্কা আর অল্প সর্ষের তেল দিয়ে মেখে।
    পুঁই মেটুলি সবচেয়ে প্রিয়। সেই মেটুলি খাওয়ার আশায় এই বিদেশ বিভুঁয়েই তার চাষ করি, কিন্তু পোড়া কপাল আমার। মেটুলি ধরার আগেই পশ্চিমের সূর্য তাপ এতটাই কমিয়ে দেয় যে তাদের আর সেই সাধ পূর্ণ হয় না। তবুও দু একবার ঘরে এনে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেও খুব কষ্টের হয় তাদের কাছে।
  • আয়নামতি | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৮83948
  • শাক নিয়ে কী চমৎকার একটা লেখা! পেন্নাম হই শাকপ্রীতির প্রতি। আপনার চমৎকার একটা গল্প পড়েছি কিছুদিন আগে। আজকে এটা পড়ে আপনার পিছু ছাড়া বোকামি হবে ভাবছি। মন দিয়ে শাক খেয়ে আরো এমন সুস্বাদু লেখাজোকা করুন ভ্রাত। শুভকামনা।
  • পার্থসারথি | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৪83951
  • শাক নিয়ে এই যে এত পাঠকের অনুভূতিমালা, এ এক অসামান্য প্রাপ্তি। সামান্য সবুজ, লালচে পাতা যে এমন পরম্পরাগত নিজস্বতা পেয়ে গেছে, জেনে যারপরনাই ভালোলাগছে।
  • Atoz | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৫৩83952
  • শাকের কথা বলতে গেলে কচুর শাকের বহু রকমের ভ্যারাইটিকে সরিয়ে রাখা যায় না। উফ, সে যে কতরকমের! দুধকচু, ছড়িকচু, কান্দাকচু, মানকচু ইত্যাদি সবকিছুর নামও জানি না। ওরে বাবা, কোনো কোনো কচুরশাকে গলা চুলকায়! কিন্তু আমার গলা চুলকালে কী হবে, দেখি অন্য রসিকেরা দিব্য খাচ্ছেন আর বলছেন, "কই গলায় তো কিছু হয় না! গলা তো ভালোই আছে! "
    কুচোচিংড়ি দিয়ে কচুরশাক ভালোবাসেন অনেকেই। কিন্তু ছোলা/বাদাম দিয়েও ভালো হয় কচুশাক। চমৎকার চমৎকার কাঁচালঙ্কা থাকলে আরো ভালো। নারকোল কুচিও দ্যান অনেকে।
    তবে আমার কাছে সর্বকালের ফেভারিট খাবার খারকোন ডাঁটার ভর্তা। শুধুমাত্র ওই ভর্তা আর গরম ভাত পেলে ব্যস, আর কিছু লাগবে না, ওতেই অমৃত হয়ে যাবে মধ্যাহ্নভোজ না নৈশাহার। ওর নিজস্ব স্বাদ আর ফ্লেভারই এমন যে সঙ্গে আর কিছু লাগে না।
  • প্রভাস চন্দ্র রায়। | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ১০:৫৮83949
  • শাকভাত আমার প্রিয়, ভীষণই প্রিয়। তবে পুঁইশাক নয়। এই শাকটি আমার পছন্দের একেবারে শেষ দিকে থাকবে।
    আমার প্রিয়তম শাক, যা উত্তরবঙ্গের যত্রতত্র পাওয়া যায়, দক্ষিণে যা প্রায় দূর্লভ, ফার্ণ জাতীয় একটি শাক, ঢেঁকি শাক। কালোজিরে লঙ্কা দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করে নামিয়ে, একটু কাসুন্দি দিয়ে ভাতের সঙ্গে, আহা অমৃত।
    চমৎকার গল্পের সঙ্গে কিছু স্মৃতিরোমান্থন, কিছুক্ষণ পিছন ফিরে চাওয়া। স্মৃতি সততই সুখের(আমার কথা নয়)। অতীতের ছোট্ট ছোট্ট দুঃখের মুহূর্ত, এখন আর তেমন ভাবে দুঃখ নিয়ে আসে না। মনে হয় সে যেন গত জন্মের কথা।
  • পার্থসারথি | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:০৩83953
  • আহা !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন