নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রতন টাটার পরেই এক বিশেষ টুইট ঘোষণায় জেএনইউয়ের ছাত্রদের নিয়োগ করতে অস্বীকার করেন অ্যাপল আবিষ্কর্তা স্টিভ জোবস। জোবসের এই ঘোষণার পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁকে বিরাট হিন্দু বলে দাবী করেন আদিত্যনাথ এবং (বিজয়)বর্গী। এইসময় জোবসের বায়োলজিক্যাল পিতা মধ্যপ্রাচ্যের লোক এই তথ্য উপস্থিত সাংবাদিকরা জানানোয় বর্গীরা উদাসীন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটিতে যত্রতত্র ফ্রি সেক্সের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে দেখা যায়।
মার্ক জুকারবার্গ ঘোষণা করেন দেশভক্তিহীনদের ফেসবুক প্রোফাইল গায়েব করে দেওয়া হবে। পরীক্ষামূলকভাবে শুরুতেই উমর খালেদ এবং ধ্রুপদী ঘোষের প্রোফাইল গায়েব করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তাঁর এই উষ্মার কারণ ফ্রী বেসিকসের ট্রাইতে পরাজিত হওয়া কিনা তা জানতে চাইলে জুকারবার্গ হাত তুলে বলেন, “থাক, আর গভীরে যাওয়ার দরকার নেই”।
মানবসম্পদোন্নয়নমন্ত্রী একটি প্রেস রিলিজে জানিয়েছেন আলোচ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের পাঠ্য তালিকায় ‘তারাপীঠের বামাবতার’ এবং সাহিত্য বিভাগে দেশের প্রথম এবং একমাত্র সচিত্র ইন্দ্রজাল কমিক্স ‘বাল নরেন্দ্র’ বইদুটি যোগ করা হবে।
ওয়েটলিস্টেড মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী থেকে আরএসি (রিজার্ভেশন এগেনস্ট ক্যানসেলেশন) মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী পদে প্রোমোশনপ্রাপ্ত মধু কিশওয়ার তাঁর আকস্মিক পদোন্নতির জন্য বর্তমান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। বর্তমান মন্ত্রী তাঁর পদের উপযুক্ত কিনা জানতে চাওয়া হলে দৃশ্যত উত্তেজিত মধু বলেন “কালে কালে কত হল কাল কাল রাতি/মোগল পাঠান হদ্দ হল ফার্সি পড়ে তাঁতি”।
আবিশ্ব বিভিন্ন নেতা দিল্লির সংগ্রামী উকিল, পুলিশ এবং এবিভিপিকে অভিনন্দন জানান। এক তারবার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এদের চলমান আন্দোলনকে সমর্থন জানান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ আইভি লীগ ইউনিভার্সিটি উকিল-পুলিশের বিরুদ্ধে গিয়ে জেএনইউকে সমর্থন করেছে জানায় উত্তেজিত ট্রাম্প বলেন তিনি ক্ষমতায় এসে কলাম্বিয়া, শিকাগো সহ এইসব ইউনিভার্সিটি বন্ধ করে দেবেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে (বিজয়)বর্গী বলেন ইউনিভার্সিটি ভাল নহে, সেখানে সকলে সেক্স করে, ইউনিভার্সিটি না থাকিলে জোবস এবং তাহার আপেল কেহই থাকিত না।
অ্যান্টার্কটিকা সফররত প্রধানমন্ত্রী স্বল্পকালীন ভারত সফরে এলে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে সাংবাদিকরা তাঁকে ছেঁকে ধরলেও তিনি তাঁর পূর্বসূরির মত মৌনব্রত অবলম্বন করেন। তাঁর সঙ্গে দফায় দফায় অন্য মন্ত্রীদের বৈঠক হয়। পরে এক প্রকাশ্য জনসভায় প্রধানমন্ত্রী জানান জরুরি অবস্থার স্মৃতিবিজড়িত ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্ট থাকুক এটা তিনি চান না। যেহেতু জরুরি অবস্থার আরেক স্মৃতি বাজপেয়ীজির স্মৃতি লোপ পেয়েছে তাই এয়ারপোর্টের নাম বদলালেই জরুরি অবস্থা স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন ২০১৯ এর নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফিরলেই ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের নাম বদলে দেওয়া হবে।
২০১৯ এ তাঁরা ক্ষমতায় ফিরবেন কিনা এই প্রশ্ন তোলায় প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরব থাকেন। এইসময় দৃশ্যতই ঘর্মাক্ত প্রধানমন্ত্রীকে গলায় জড়ানো জাতীয় পতাকায় ঘাম মুছতে দেখা যায়। এরপর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য ইশারা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আবেগঘন কণ্ঠে ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ গানটি পরিবেশন করেন।
যোগগুরু রামদেব জানিয়েছেন সমকামিতার মতই সোশ্যাল সায়েন্স এবং সামগ্রিকভাবে ইউনিভার্সিটি একটি রোগ। এই রোগের উপশম কিভাবে হতে পারে জানতে চাওয়া হলে তিনি সর্বসমক্ষে তাঁর বিখ্যাত গেরুয়া লুঙ্গিটি পরে শীর্ষাসন করেন।
*** এখানে বর্ণিত সব কিছুই কাল্পনিক।