শিল্পীঃ চন্দনা হোড়
সতীন
পদ্মপাতায় জল -
জল, তুমি কার?ওর না আমার?
কলহে ব্যাপৃত হয়ে পড়ি।
কাঁচা ইলিশের ঝোল পুড়ে যায়।
চোখের নাগাল ছুঁয়ে নীলকন্ঠপাখি ঘুরে যায়।
ফুলের আঘ্রাণ উড়ে যায়।
কালো চাদরের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে জগৎসংসার।
অজ্ঞান। দেখতে পাই না।আর,
সেই অবসরে
পদ্মপাতার থেকে জল খসে পড়ে
শিল্পীঃ চন্দনা হোড়
উইমেন্স লিব্
মাঝরাতে আলো জ্বেলে রাখতে ভালোই লাগে।
আলমারি খুলি।
কাপড়ের ভাঁজ ভেঙে ডানাদুটো বের করে এনে
মেঝেয় বিছোই।
মোমের পালিশ ঘষি।
ফের তুলে রাখি।
একদিন উড়ে যাব বলে
আফটার ইমেজ
ফাঁকা-ফাঁকা ঘর। কাঁপা-কাঁপা ছবি।
ধোঁয়া -ধোঁয়া স্বর।
আমার জীবন ছিল না এমন!
লোকালয়ে, গায়ে শরতশেষের হালকা চাদর জড়িয়ে নিতাম।
চুল থেকে নখ, মানুষের মতো গন্ধ উঠত।
সব ছিল। শুধু শূন্যতা এসে সবই খেয়ে নিল।
জঙ্গল ভেঙে কারা যে জাগল। মিথ্যে বলি না,
অন্যরকম স্বপ্ন দেখাল।
তারপর,ঘোর। বোমা, বন্দুক...আর মনে নেই!
এই তো এখানে,
চাপ-চাপ লাল, পোড়া-পোড়া গাছ,
প্রেতের গল্প।
প্রশাসন, বল আমি কী করব
হেমন্তের কবিতা
মনখারাপের পাড়া থেকে,
বিকেল কমিয়ে রেখে-রেখে
কারা তারা জ্বালে একে-একে ,
মেয়েপাচারের দেশ থেকে!
নদীতে কাঠাম ভেসে যায়,
আকাশ হেমন্ত ছড়ায়,
ছাতিম ফুটিয়ে সন্ধ্যায় !
ফুর্তি ,সে -সব চেপে রাখে!
রেখেঢেকে কী পেয়েছ তুমি?
মাল্টিপ্লেক্স ,স্বভূমি-
শুধু বেচে ,শুধু কেনে কেউ,
মাংস ও মাংসের ঢেউ!
তবে যে মায়ের ব্রতকথা ,
নুনহীন প্রসাদের পাতা,
'আরেকটু রাবড়ি দেবে, মা?'
স্বপ্ন! স্বপ্ন -ই হবে বা!
কেননা 'নাইন ইলেভেন' ,
এখন পর্দা ফাটাবেন!
কান্না ও শবসহকারে
কমিটি জলখাবার সারে,
মানুষ না ভূত, ওই ওরা?
মরামাস! মৃত্যুর গোড়া!
চিলছাদে উঠেছি যখন,
শীত- শীত লেগেছে তখন,
লাঠির ডগায় আলো গেঁথে
স্মৃতি নেমে আসে দলবেঁধে !
চুপ! ওটা আকাশপ্রদীপ
ইংলিশমিডিয়াম জিভ
বল ,হৈমন্তিক, হিম...
প্লিজ, বল অগ্রহায়ণ ,
ধান্যে ভরুক শিল্পায়ন
৪৯৮এ ধারার অপপ্রয়োগ প্রসঙ্গ উঠল যখন
চোখেমুখে রক্ত উঠে-আসা নিয়ে, আগুন প্রত্যক্ষ করলাম কই!
হাতও পোড়ালাম না!
সময় যথেষ্ট নান্দনিক,
বুকের তলায় আশাপূর্ণা দেবী নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে,
অপমানগুলো ঘষা খেয়ে খেয়ে ধার কমে গেছে,
সোনা অঙ্গে শোনার শিকল!
আমি প্রাতঃভ্রমণ বাদ রেখে মেয়েদের লেখাপত্র পড়ি।
সারাদিন শুয়েবসে,চা ও কফি শুঁকে দেখি
বারুদের গন্ধ পাই কি!
ছাড়া কাপড়ের ভাঁজে,ভাবি, অসুখবিসুখ কিছু লুকিয়ে রাখলে বেশ হয়!
তাই খুব সহজেই মুক্তির কথা লিখতে পারি।
বিপ্লবও লিখি।
প্রকৃত বিপন্ন কিনা না জেনেই, মেয়েটিকে মহিলা কমিশনের পাকা সড়ক দেখাই,
নিজে, সঙ্গে যাই না।
শরীরে ও মনে এত বছরের এত বদজল
নিতে নিতে
এইটুকু প্রমাদ হবে না?
অতি ব্যক্তিগত
আর সে মেয়েটিও ভিড়ের চেয়ে ভিড়ে একলা জেগেছিল দেড়বছর
ফরসা রোগামুখ ছেলেটি তাকে খুব কুয়াশা দিয়েছিল দেয়নি ঘর
কী হল তারপর? মেয়েটি ধীরে ধীরে শামুক হয়ে গেল, ভিজে মাটির
গন্ধে স্মৃতি পেত মাটিতে মুখ রেখে বৃষ্টি খুঁটে খেত অতঃপর
এবার সীমারেখা তোমরা টেনে দাও তোমরা সাজো তবে সমালোচক
বলো এ-লেখা নয় আর্থসামাজিক,রাজনীতিরও নয় পরিপূরক
খুব কি ব্যবধান পার্টিজান আর জন্ম-ভূতে-পাওয়া মানুষটির
সঙঘ গড়ে ওঠে রক্তপাত শেষে বিজলি জ্বলে ওঠা ঘরগুলির?
এবং সারারাত বৃষ্টিপতনের ধ্বনিতে মুছে গেলে অপরিচয়
যে একা জল ছোঁয় আর যে আলো দেয় অন্ধ প্রাণে,
তারা বন্ধু হয়
আকাশচারিণী
আশশেওড়ার গাছে যে-মহিলা উঠে যাচ্ছেন,
শরীর নেই তাঁর, আমার পিতামহী ছিলেন।
খালবিল ছেড়ে, আমরা তো কবেই লেক-ভিউ
ফ্ল্যাটে উঠে এসেছি।
উনি রয়ে গেলেন, গ্রামেই।
পদ্মকাটা দুধের বাটি। বিপ্লবীদের আনাগোনা।
পিসির উন্মাদনা।শোনা হয়ে গেলে,
আমি জানতে চাইতাম, চণ্ডীপাঠের মুখে
কীভাবে চাঁদমালা দুলে ওঠে! সেই গল্পকথা।
দেড়শো বছরেও মাটি একই আছে।
আজ শুধু কেঁপে-কেঁপে ধরিয়ে দিচ্ছে ভয়,
ভুলিয়ে দিচ্ছে সব আত্মীয়স্বজন, লৌকিকতা...
#
ওরা প্রমাণ চাইল যখন -
কার্তিক মাস। আকাশ প্রদীপ জ্বলছে।
হালকা, শীত-বসা গলায়,ভাবি,
গ্রাম থেকে তুলে-আনা শেকড়বাকড়,
ওই আলোটার নীচে রেখে যেতে বলব,
তোমাকে, মাম্মাম