এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • যাদবপুর - আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি

    অভিষেক তুঙ্গা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৫৮৪৪ বার পঠিত
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংসদের থেকে আমরা একটি চিঠি পাই। সেটি খোলা চিঠি হিসেবে প্রকাশ করা হল। বলা বাহুল্য, লেখার বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গি লেখকের নিজস্ব।


    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ঠিক কী ঘটেছিল ?


      ঘটনার সূত্রপাত চতুর্থ বর্ষের ছাত্র PRINTING DEPT. এর মানিক হালদার এবং CONSTRUCTION DEPT. এর অনুপম ঘোষ ও IT DEPT. এর দ্বিতীয় বর্ষের একটি ছাত্রকে দিয়ে। সকলেই থাকত JADAVPUR UNIVERSITY-এর SALTLAKE CAMPUS-এর হস্টেলে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি এসেছিল দার্জিলিং থেকে, স্বাভাবিকভাবেই রয়ে গিয়েছিল ভাষা ও সংস্কৃতিগত ভিন্নতা। যদিও দার্জিলিং থেকে আসা বহু ছাত্র-ছাত্রীই ক্রমশ মিশে যায় যাদবপুরের সংস্কৃতির সাথে, এক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রথম বর্ষেই যে কারণে ছাত্রটি কথা কাটাকাটির মধ্যে চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের নাকে ঘুষি চালায়। তবে তখনকার মতো ঝামেলাটি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাপ্রবাহে ছাত্রটি নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে থাকে।


                         দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি অবৈধভাবে হস্টেলে নিজের রুমে দুজন প্রথম বর্ষের ছাত্রকে রাখতে শুরু করে। গত ২২এ অগাস্ট চতুর্থ বর্ষের প্রিন্টিং টেকনোলজির ছাত্র তথা হস্টেলের anti-ragging squad এর প্রাক্তন সদস্য মানিক হালদার তা হস্টেল সুপারের নজরে আনে, এতে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে কেউ বা কারা দ্বিতীয় বর্ষের ছেলেটির ঘরের কাঁচ ভেঙ্গে দিয়ে যায়। কে বা কারা ঘটনাটি কেন ঘটাল নাকি ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২৩শে অগাস্ট ঘটনাটি নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নিতে হস্টেলে একটি মিটিং বসে যেখানে মানিক, অনুপম ও অন্যান্য ছাত্ররাও উপস্থিত ছিল। মিটিং-এ দু-তরফেই উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি চলে, ২য় বর্ষের ছাত্রটি সাহস থাকলে one to one লড়াই-এর চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকে। এরই মধ্যে অনুপম মেজাজ হারিয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রটিকে চড় মেরে বসে। যদিও মিটিংটি শেষ হয় সবাই-সবাই কে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে। এমনকি অনুপম ও সেই ছাত্রটি পরস্পরকে কোলাকুলিও করে।


                        পরের দিন কেউ ২য় বর্ষের ছাত্রটির দরজার বাইরে মলত্যাগ করে যায়। এরকম পশুচিত কাজ কোন জানোয়ার করে গেল কে জানে, কিন্তু ২য় বর্ষের ছাত্রটি UGC –এর ওয়েবসাইটে অভিযোগ দায়ের করে। (অভিযোগটি র‍্যাগিং এর অভিযোগ হিসেবে দায়ের করেনি)



    এর পরের ঘটনাপ্রবাহঃ


    ১) VC ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন সদস্যের একটি FACT FINDING COMMITTEE তৈরি করে। যদিও কোন ছাত্র কোনোভাবেই এই তদন্ত কমিটির বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব টের পায়নি।


    ২)এই কমিটি অনুপম ও মানিককে ডেকে পাঠায় ও সেদিনের চড় মারার ঘটনার স্বীকারোক্তি নানা ছলা-কৌশলে লিখিয়ে নেয়। যদিও এরা জানতই না এই কমিটি আসলে তথাকথিত র্যামগিং-এর তদন্ত কমিটি। এমনকি এই কমিটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইকে জেরা করেনি।


    ৩) গত ১০ই  সেপ্টেম্বর anti-ragging committee-এর মিটিং ডাকা হয়, কোন agenda ছাড়াই। যেখানে on table agenda –য় এই প্রসঙ্গটির উত্থাপন করা হয়। যেহেতু প্রায় সব ছাত্রছাত্রীরাই র‍্যাগিং–এর বিরোধী, তাই ছাত্র-সদস্যরা ঘটনাটি র‍্যাগিং ধরে নিয়ে শাস্তির পক্ষে সম্মতি দিয়ে আসে, একমাত্র সল্টলেক ক্যাম্পাসের সদস্য মিঠুন ও সাধারণ সম্পাদক সৌভিক ছাড়া। এরা অল্পবিস্তর ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহল ছিল। শাস্তির পূর্বে নিয়ম অনুযায়ী অনুপম ও মানিককে শোকজ করা হয়।


    ৪) show-cause –এর জবাব পাওয়ার আগেই registrar মিডিয়াতে শাস্তির ঘোষণা করে দেয়।



    আমাদের বক্তব্য কী?


    ১) যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে তাকে র‍্যাগিং করা হয়েছে,কিন্তু প্রকৃতই র‍্যাগিং হয়েছে কিনা,তার সঠিক অনুসন্ধান হওয়া উচিত।


    ২) গোটা ঘটনায় মানিক এর দোষ অবৈধভাবে রুম-এ ছাত্র রাখার ঘটনা সুপার-এর নজরে আনা! অনুপমের দোষ উত্যক্ত কথাকাটাকাটি মধ্যে চড় মেরে বসা,যেটা আবার নিজে মিটিয়েও ফেলে। বাকি ঘটনাগুলো কারা করেছে প্রমাণিত নয়, তাহলে কি করে এই দুজনকে র‍্যাগিং এর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?


    ৩) Fact Finding Committee এভাবে লুকিয়ে অনুসন্ধান চালানো কেন? এমনকি Anti Ragging Committee-এর মেম্বারও জানতে পারলো না!


    ৪) Anti Ragging Committee Meeting-এর আগেও agenda তে কেন সদস্যদের Ragging-এর অভিযোগ বা মিটিং এর বিষয়ে কিছু জানাল হল না?


    ৫) একটি বচসার ভিত্তিতে যদি Ragging-এর শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে কাল football মাঠে offside নিয়ে বচসা বা প্রেম নিয়ে senior-junior-এর মধ্যে গণ্ডগোলকেও Ragging বলে চালানো হবে।


    ৬) তবে চড় মারার ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও অপ্রীতিকর,তাই Hostel-এর Code of Conduct-এর নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের শাস্তি পাওয়া উচিত।


    ৭) কাচ ভাঙ্গা ও মলত্যাগ এর ঘটনা কঠোরভাবে নিন্দনীয়,অভিযুক্তদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত।



    আমাদের দাবী কী?


    ১) এত অবিচার ও অস্বছত্তার জন্য  Anti Ragging Committee Meeting পুনরায় ডেকে পুরো ঘটনাটির পুনরালোচনা করা হোক।


    ২) যতক্ষণ না পুরো ঘটনাটির পুনারালোচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ শাস্তি লাগু করা যাবে না।



    আরো কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ


    ১) ভিসি (উপাচার্য) কি আইনবিরোধী কিছু করেছেন?


    - র‍্যাগিং-এর শাস্তির আইন তো রয়েছেই, কিন্তু কর্তৃপক্ষ মিথ্যে অভিযোগে ব্যবস্থা নেবেন এরকম কোনও আইন নিশ্চয়ই নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাই তো হয়েছে।


    ২) আমরা কেন আচার্য (রাজ্যপাল)-এর কাছে যাচ্ছি না?


    - ভিসি নিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তিনি যদি এখানকার ছাত্রদের রুচি এবং মূল্যবোধ গুলিকে মাথায় না রেখে শুধুমাত্র মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে আমরা বাইরের কাউকে কীভাবে ভরসা করবো? আর, আচার্যের কাছে যাওয়া মানে তো পক্ষান্তরে মেনেই নেওয়া যে ভিসির ক্ষমতার আওতায় বিষয়টা মেটানো যাচ্ছে না।


    ৩) কর্তৃপক্ষ কি র‍্যাগিং-এর অভিযোগকে পুনর্মূল্যায়ণ করতে পারেন?


    - পারেন না এরকম কোনও আইন কিন্তু নেই। তার মানে নতুন করে তদন্ত ও বিচার করাই যায়।


    ৪) আমরা কেন আলোচনার বদলে আন্দোলনের (শান্তিপূর্ণ হলেও) রাস্তা বেছে নিলাম?


    -আমরা ভিসির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তিনি বললেন যে ইউজিসিকে রিপোর্ট পাঠানো হয়ে গেছে, ফলে সিদ্ধান্তগুলো আর পুনর্বিবেচনা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আলোচনার কোনও রাসতা তিনি খুলে রাখতে দিলেন না। ফলে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতে হল।


    ৫) আমাদের আন্দোলনে কেন ভিসি, প্রোভিসি ও রেজিস্ট্রারকে অমানবিক ভাবে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল?


    - আমরা কাউকেই ঘেরাও করিনি। তাঁরা চাইলেই বেরিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই থেকে গেছিলেন। তাঁদের কাছে খাবার জল বা ওষুধ ও পৌঁছোচ্ছিল। কিন্তু বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাহত হচ্ছিল। সে নিয়ে তাঁদের খুব হেলদোল দেখা যায় নি।


    ৬) প্রো ভিসি অসুস্থ জানা স্বত্ত্বেও তাঁকে কেন আটকে রাখা হল?


    - আগেই বলা হল কাউকে আটকে রাখা হয় নি। মিডিয়ায় প্রো ভিসি-র অসুস্থতার খবর পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আমরা দেখা করি। তিনি জানান যে ঠিক আছেন, কিন্তু আমরা তাঁকে আবারও বলি তিনি চাইলেই চলে যেতে পারেন। পুরো কথোপকথনটাই ভিডিও রেকর্ড করা আছে। মিডিয়া অন্যভাবে প্রচার করছে, কিন্তু মিডিয়া যেটা দেখাচ্ছে না যে তিনজন ছাত্র গুরুতর ভাবে অসুস্থ, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


    ৭) ফেটসুর জিএস অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির মিটিং-এ গিয়ে কেন ছাত্রদের শাস্তির পক্ষে মত দিয়েছিল?


    - ভুল তথ্য। অ্যান্টির‍্যাগিং কমিটির মিটিং-এর মিনিট দেখলেই সেটা পরিস্কার হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রার নিজেও তা স্বীকার করেছেন?


    ৮) আমাদের আন্দোলনের কী কোনও রাজনৈতিক রং আছে?


    আমাদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ও পদক্ষেপগুলি জেনারেল বডির মিটিং-এ ঠিক করা হয়। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক ব্যানারের পার্টি যুক্ত নেই।


     ৯) আমরা কি র‍্যাগিং এর সমর্থক?


    - কখনোই না। আমরা মনে করি র‍্যাগিং একটি সামাজিক ব্যাধি। আর সিনিয়র জুনিয়র হিসেবের বাইরেও সমাজের সর্বত্র র‍্যাগিং হয়ে আসে। কোথাও অফিসার অধস্তন কর্মচারীকে র‍্যাগিং করে, কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অথরিটি ছাত্রদের র‍্যাগ করে। তাই র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সচেতনতা এবং র‍্যাগিং করবো না এই আত্মসচেতনতাও দরকার। শুধুমাত্র শাস্তি দিয়ে র‍্যাগিং নির্মূল করা যাবেনা।



    ছাত্রছাত্রী ও বৃহত্তর সমাজের কাছে আমাদের আবেদন-


    টানা ৫২ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভের পর আমাদের রিলে অনশন প্রায় ৯০ ঘণ্টা অতিক্রম হতে চলল। এখন অব্দি পিতৃসম কর্তৃপক্ষ একবার জানারও প্রয়োজন মনে করল না, ছাত্রছাত্রীরা কেমন আছে! এর মধেই আমরা পাচ্ছি বিশাল সমর্থন- দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা তাদের fest- U-Turn স্থগিত রেখেছে, Electronics-এর দুই ছাত্র VC-র হাত থেকে switzerland-এর একটি নামী scholarship নিতে অস্বীকার কারেছে, Production ও Computer Science-এর বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিজেদের ক্লাস বয়কট এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এছাড়াও চলছে বিক্ষিপ্ত ক্লাস বয়কট। রয়েছে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদেরও বিশাল সমর্থন- Virginia Tech থেকে Sector-V, IIT থেকে IIM চিঠি পাঠাচ্ছেন তারাও। JNU থেকে Presidency, আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন কলেজের সমর্থন। আসলে সমর্থন ছাড়া আমাদের এই আন্দোলন কখনই টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এই আন্দোলন আর শুধু ইঞ্জিনিয়ারীং ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে আটকে নেই, Arts থেকে Science, সমস্ত Faculty-র ছাত্রছাত্রীরা এতে যোগদান করেছে। আগামী বুধবার বিকেল ৩টায় (সময় পরিবর্তিত হতে পারে) Union Room-এর সামনে থেকে একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হচ্ছে- যেকোনো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নির্বিশেষে ,যেকোনো বয়স ও পেশার মানুষ এতে যোগদান করতে পারেন, অবশ্যই কোনোরকম রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়া। উন্নততর ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে পাশে চাই সবাইকে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৫৮৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ~ | 146.59.***.*** | ১১ আগস্ট ২০২৩ ২০:২০522342
  • তুললাম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন