ফ্যাসিস্ট শক্তির ষড়যন্ত্রের মাত্রাটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। বা বুঝেও বুঝছেন না। গতকাল টুইটারে সংগঠিতভাবে ট্রেন্ড করা হয়েছে প্রেসিডেন্টস রুল ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল। সম্বিত পাত্র সরল সমীকরণ নামিয়েছেন, বেঙ্গল = কাশ্মীর। কঙ্গনা রানাউত মোদীর কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন জানিয়েছেন। রাস্তায় আর্মি নামিয়ে দেবার কথা বলা হয়েছে টুইটারে। দেশ জুড়ে ধর্ণায় বসছে বিজেপি। নাড্ডা, যিনি জনসভায় শখানেক লোকও জোগাড় করতে পারেননি, এই উপলক্ষে আসছেন বাংলায়।
এসব কিসের ভিত্তিতে? পশ্চিমবঙ্গে নাকি জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। গতকাল থেকেই চলছে তার তুমুল প্রচার। একটি ভিডিও ছড়িয়ে বলা হচ্ছে প্রতিক-উর-রহমানের বাড়ি আক্রান্ত। ভিডিও ছড়িয়ে গেছে বিদ্যুত গতিতে। বলাবাহুল্য, প্রতিকুরের বাড়িতে আক্রমণ কিছুই ঘটেনি। জানিয়েছেন প্রতিকুরের বাবা। একটি জ্বলন্ত বাড়ির ভয়াবহ ছবি শেয়ার করে বামমনস্ক অভিনেত্রী লিখেছেন, চোপরায় সিপিএমের পার্টি অফিস জ্বলছে। সেটাও ফেক নিউজ। শোনা যাচ্ছিল শ্রমজীবী ক্যান্টিন ভেঙে দেওয়া হয়েছে, রেড ভলান্টিয়ার্সরা আক্রান্ত। কিন্তু শ্রমজীবী ক্যান্টিন এখনও অক্ষত। সিপিএমের তরুণ নেত্রী ঐশী ঘোষ যথাযথভাবেই জানিয়েছেন, যে, ফেক নিউজ কারখানা চালাচ্ছে বিজেপি, এসব তারই উৎপাদন। কিন্তু তাতেও এসব হুহু করে ছড়াচ্ছে। বাড়ছে তথাকথিত "হিংসা"র সংখ্যা। একই ছবি দিয়ে মালদা মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় আক্রমনের ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে মুহুর্মুহু।
এই লেখা যখন লেখা হচ্ছে, তখনও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়াচ্ছে এইসব। উদ্দেশ্য একটাই। ভোটে গোহারান হার ওরা মেনে নিতে পারছেনা। এবার কেন্দ্রীয় শক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করতে হবে। তাতে বাংলা শ্মশান হলে হবে। দিল্লিতেও রাজ্য সরকারকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে যেন তেন প্রকারে ক্ষমতা দখল করেছে, এখানেও করতে পিছপা হবেনা। দরকারে বাংলাকে কাশ্মীর বানিয়ে দেবে, সেনায় মুড়ে দেবে, তাও এটা চাই। সেই জন্যই এই ভুয়ো খবরের কারখানা। এবং এই প্রতিটি ভুয়ো খবরেরই একটি সাম্প্রদায়িক অভিমুখ আছে। সোজা করে বললে, মমতাজ বেগমের দলবল আক্রমণ করছে এবং হিন্দু খতরে মে। এটা একবার ছড়িয়ে দিতে পারলে, উত্তেজনা একবার তৈরি করতে পারলে, সত্যিই দাঙ্গাপরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এবং সত্যিই জঙ্গলের রাজত্ব তৈরি হতে পারে। কোভিড এবং দাঙ্গার যুগপৎ আক্রমণে বাংলা উত্তরপ্রদেশে পরিণত হবে।
যাঁরা এতদিন "বিজেপিকে আমরাই রুখতে পারি" বলে গলা ফাটাচ্ছিলেন, এবার সত্যিই সময় এসে গেছে। রুখে দেখান। তাঁদের ইউটোপিয়া অনুযায়ী লড়াইটা অবশ্য দা-কাটারি হাতে রাস্তায় হচ্ছেনা, হচ্ছে হোয়াটস্যাপ ফেসবুকে। কিছু হিংসা তো অবশ্যই হচ্ছে, তার প্রতিবাদ তো করতেই হবে। কিন্তু বিপুল স্কেলে নাটকীয় কিছু খবর বাজারে ছেড়ে দেবার আগে নিজেরা যাচাই করুন। কর্মী সমর্থকদের যাচাই করতে বলুন। যদি কোনো বিজেপির লোক বা গোষ্ঠী আইটি-সেলে ঢুকে থাকে চিহ্নিত করুন। এবং ফেক খবরগুলি যে ফেক, সেটা সজোরে জানান।
আর যাঁরা ভোটে জিতেছেন, অবিলম্বে সমস্ত হিংসা বন্ধ করুন। কোনো রাজনীতিকেই ঠেঙিয়ে আটকানো যায়না। অনুচিতও। এক্ষেত্রে বলপ্রয়োগে তো হিতে বিপরীত হবে। বিজেপির হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। দাঙ্গার অজুহাত। বাংলার মানুষ বিজেপিকে ঝাঁটাপেটা করে তাড়িয়েছে। বাকিটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতেই হবে। অনুগ্রহ করে দাঙ্গার অজুহাত তাদের হাতে তুলে দেবেন না।
হেহে এতো কিছু না জেনেও পিটি দিব্যি একে তাকে জিগ্যেস করে বেড়ায় সে কি করেছে আর সে কেন ক্ষমা চাইছে না। হায় হারামি, হায় চুতিয়া! ভেসেলিন লাগবে পিটিদা? :d
কে কাকে ভোট দিয়েছে তাও জিগাস করে।
সত্যি, বিজেপিটিদার মতো ক্লোজেট দাঙ্গাবাজরা সত্যই যেকোন মূল্যে ক্ষমতা চায়। ছি ছি
পণ্ডিতরা নিজেদের মূল্য বুঝতে না পেরে "মুলো" হয়ে গেলে খারাপ লাগে।
সেকি সিএস,
চুতিয়া বলাটাই গাল, হিন্দি বলয়েও। তায় চুতিয়ার বাচ্চা? সোজা বাপমাকে গাল নয়? সেভাবে দেখলে তো যে কোন গালির মধ্যে ইডিয়ম, চিত্রময়তা, নান্দনিকতা ইত্যাদি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
পিটির পলিটিক্যাল বিতর্ক নিয়ে @বিজেপিটির সঙ্গে অনেকটাই একমত।
যেমন , প্রত্যেক ইস্যুতে একবার করে শুনতে হবে তাপসী মালিকের হত্যাকারী কে? যদিও এ নিয়ে বাম আমলেই সেশন কোর্ট সাজা শুনিয়েছে। আসামী উচ্চ আদালতে আপীল করে বয়সের কারণে জামিনে বেরিয়েছে, আদৌ কোন আদালত ওনাকে নির্দোষ ঘোষণা করেনি। সেটা বললে শুনতে হবে-- আপনি কী করে জানলেন আদালতের রায় সঠিক?
লে হালুয়া! (গালি নয়)। আগে দশ পাতা ভাটালেন এই বলে যে আপনি কি কোর্টের চেয়েও বেশি জানেন? যবে থেকে এক্সপার্টদের ছেড়ে এই সব হচ্ছে তখন থেকে রোগীর আত্মীয়ের হাতে ডাক্তাররা মার খাচ্ছে। আমি আপনার মতামতের জায়গায় কোর্টের কথা শুনব।
বেশ তো , তাহলে প্রধানসেবক, মোটাভাইকে গুজরাত দাঙ্গার জন্যে গাল দেবেন না । কোন আদালত ওদের দোষী ঠাওরায় নি। ঠিক আছে, যদি সুপ্রীম কোর্ট ওদের নির্দোষ বলে তাহলে মেনে নেব ওরা সংবিধান মেনেই কাজ করেছেন।
উত্তম; তাহলে তাপসী মালিক কেসে আদালতে মুক্ত না হওয়া পর্য্যন্ত তাপসী মালিকের হত্যাকারী প্রশ্নে প্যাচাল পাড়েন ক্যান? আসলে আপনি তাপসী মালিকের ন্যায় পাওয়া নিয়ে চিন্তিত নন, দাবি কবে সিপিএম নেতাটি নির্দোষ ঘোষিত হবে?
আরে, কমঃ দত্ত জানিয়েছেন ওদের উকিল আদালতে লাগাতার গরহাজির থাকছে।
ধৈর্য ধরুন; আমাদের দেশে আদালতী প্রক্রিয়া জটিল এবং লম্বা। কিন্তু এর জন্যে নিয়ম আছে। আদালতে এক্স-পার্টি একতরফা শুনানির আবেদন করা যায়।
এবার শুনতে হলঃ আপনাদের এইসব কুযুক্তির ফলে ভারভারা রাও স্টা্ন স্বামী বিনা বিচারে জেলে পচছেন।
সামলাও ঠ্যালা! গোলপোস্ট একেবারে মাঠের বাইরে!!
সেকি সিএস,
চুতিয়া বলাটাই গাল, হিন্দি বলয়েও। তায় চুতিয়ার বাচ্চা? সোজা বাপমাকে গাল নয়? সেভাবে দেখলে তো যে কোন গালির মধ্যে ইডিয়ম, চিত্রময়তা, নান্দনিকতা ইত্যাদি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। কাজেই ----!
পিটির পলিটিক্যাল বিতর্ক নিয়ে @বিজেপিটির সঙ্গে অনেকটাই একমত।
যেমন , প্রত্যেক ইস্যুতে একবার করে শুনতে হবে তাপসী মালিকের হত্যাকারী কে? যদিও এ নিয়ে বাম আমলেই সেশন কোর্ট সাজা শুনিয়েছে। আসামী উচ্চ আদালতে আপীল করে বয়সের কারণে জামিনে বেরিয়েছে, আদৌ কোন আদালত ওনাকে নির্দোষ ঘোষণা করেনি। সেটা বললে শুনতে হবে-- আপনি কী করে জানলেন আদালতের রায় সঠিক?
লে হালুয়া! (গালি নয়)। আগে দশ পাতা ভাটালেন এই বলে যে আপনি কি কোর্টের চেয়েও বেশি জানেন? যবে থেকে এক্সপার্টদের ছেড়ে এই সব হচ্ছে তখন থেকে রোগীর আত্মীয়ের হাতে ডাক্তাররা মার খাচ্ছে। আমি আপনার মতামতের জায়গায় কোর্টের কথা শুনব।
বেশ তো , তাহলে প্রধানসেবক, মোটাভাইকে গুজরাত দাঙ্গার জন্যে গাল দেবেন না । কোন আদালত ওদের দোষী ঠাওরায় নি। ঠিক আছে, যদি সুপ্রীম কোর্ট ওদের নির্দোষ বলে তাহলে মেনে নেব ওরা সংবিধান মেনেই কাজ করেছেন।
উত্তম; তাহলে তাপসী মালিক কেসে আদালতে মুক্ত না হওয়া পর্য্যন্ত তাপসী মালিকের হত্যাকারী প্রশ্নে প্যাচাল পাড়েন ক্যান? আসলে আপনি তাপসী মালিকের ন্যায় পাওয়া নিয়ে চিন্তিত নন, দাবি কবে সিপিএম নেতাটি নির্দোষ ঘোষিত হবে?
আরে, কমঃ দত্ত জানিয়েছেন ওদের উকিল আদালতে লাগাতার গরহাজির থাকছে।
ধৈর্য ধরুন; আমাদের দেশে আদালতী প্রক্রিয়া জটিল এবং লম্বা। কিন্তু এর জন্যে নিয়ম আছে। আদালতে এক্স-পার্টি একতরফা শুনানির আবেদন করা যায়।
এবার শুনতে হলঃ আপনাদের এইসব কুযুক্তির ফলে ভারভারা রাও স্টা্ন স্বামী বিনা বিচারে জেলে পচছেন।
সামলাও ঠ্যালা! গোলপোস্ট একেবারে মাঠের বাইরে!!
রঞ্জনদা, আপনি যে উদাহরণগুলো দিয়েছেন তর্কের ধরণ হিসেবে, সেটাকে ভদ্রভাবে বলা যায় - পিটিবাবু তর্ক আর কথা ঘুরিয়ে লোকজনকে ইরিটেট করেন।
ডিসি সেটাকেই বলেছেন - পিটিবাবু ঘোমটার তলায় খ্যামটা নাচেন অথবা অন্যের পোঁদে লাগেন।
বক্তব্য তো একই দাঁড়াচ্ছে। আমি তো এরকমই বুঝি।
এও বুঝি যে তর্ক করা উদ্দেশ্যই নয়, যুক্তি দেওয়া উদ্দেশ্যই নয়, ডিসি ওনার এক্সপ্রেশন দিয়ে যা বুঝিয়েছেন, সেটাই উদ্দেশ্য।
RR
আপনার এত সময় ব্যয় করানোর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আবার লিখলে অন্ততঃ এইটুকে লিখে দেবেন যে আমি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু লিখতে বলিনি। নাহলে অনেকের ভুল ধারণা হতে পারে।
তাপসী-মোটাভাই-মামলা ইত্যাদি আপনি আপনার মত করে বুঝেছেন, সংযোগ স্থাপন করেছেন ও ব্যাখ্যা করেছেন। তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আপনার।
"আদৌ কোন আদালত ওনাকে নির্দোষ ঘোষণা করেনি"-জানি। দোষীও ফাইনালি সাব্যস্ত করেনি। তিনি এখনো অভিযুক্ত। তাহলে তাবড় তাবড় বিরোধীরা "সিপিএম" তাপসী মালিকের হত্যার জন্য দায়ী বলে ভোটে লড়ে কেন? তার দায় যদিও আপনার নয় কিন্তু এই ঘটনায় আপনি রাষ্ট্রের কোর্টের ব্যাপারে দারুণ ক্ষমাশীল কিন্তু ধনঞ্জয়ের ব্যাপারে নন। কেননা কোন কোন মাস্টারমাশাই যেন মামলার রায় কাটা-ছেঁড়া করে সে মামলার ভুল ধরে দিয়েছেন। তাহলে আপনার অবস্থান কি কোর্টের রায় নিয়ে?
আমাকে নাহয় সিপিএম বলে গাল দিন, কিন্তু যারা তাপসীর পোড়া দেহের ছবি ব্যবহার করে ভোটে জিতেছিল (আর যারা চুপ করে থেকে সেটাকে সমর্থন করেছিল) তারাও কি তাপসীর "ন্যায় পাওয়া নিয়ে চিন্তিত"? এ প্রসঙ্গে তাপসীর বাবার মন্তব্য পড়ে নেবেন ইউটিউবে।
আপনাকে একটু সংশোধন করে দিই। আমি কস্মিন কালেও কোন মোটাভাই বা রোগাভাইকে গুজরাতের দাঙ্গার জন্য দায়ী করিনি। তাহলে বুদ্ধবাবুকে যারা নন্দীগ্রামের হত্যার জন্য দায়ী করে তাদের অবস্থানও মেনে নিতে হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেছিঃ 'The Supreme Court also lambasted the Gujarat government as "modern day Neros".... ইত্যাদি।
ভারাভারা রাও প্রসঙ্গেও আপনি ঘেঁটে ফেলেছেন। জানতে চেয়েছিলাম যে যারা অম্বিকেশের ব্যাপারে আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে চুপ করে থাকে বা নির্দয় খিল্লি করে তারা কি ভারভারা রাওয়ের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদ করার মত মেরুদণ্ড রাখে?
কাজেই আমার বিচারে কোন গোলপোস্ট বাইরে যায়নি। দয়া করে একবার চশমার পাওয়ারটা চেক করিয়ে নেবেন।
আপনি আমার সম্পর্কে অনেক ভাল ভাল কথা লিখেছেন। আমি অতটা ভাল নই। রাগলে লাল হইনা-বেগুণী হই। কিন্তু খিস্তি খেলে অপমানিত হইনা একেবারেই। শুধু কলকাতার বাম আমলের আগের খোলা ড্রেনের সঙ্গে খিস্তিকারীর মুখের সাযুজ্য পাই। আর ভাবি যে যিনি বলছেন বা লিখছেন তাঁর সন্তান যদি ঐ কথা গুলো তাঁরই মুখ থেকে শোনে তাহলে সে কি ভাববে তার পিতৃদেব সম্পর্কে?
তাছাড়া খুব ছোট বেলায় ইস্কুলে মাস্টারমশাইরা কানে ধরে "পাগলে কিনা বলে, আর ছাগলে কিনা খায়" বাক্যের ভাবসম্প্রসারণ করিয়ে করিয়ে এমন তৈরি করে দিয়েছেন যে এখন আমার অবস্থা খানিকটা "হংসপাখায় পাঁক লাগে কি, সরস্বতীর আসন যেথা"-র মত। নাহলে হাজার হাজার ভদ্র, অভদ্র, বুদ্ধিমান, বোকা, শালীন, অশালীন, ছাত্র- ছাত্রী সামলে বেঁচে আছি কি করে?
তবে কিনা অর্বাচীনদের (আপনি নন)সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়লে কল্লোলদাকে খুব মিস করি। কল্লোলদাই আমাকে প্রথম "বিজেপিটি" বলে দেগে দিয়েছিল। আমিও ছাড়িনি। তীব্র ভাষা ব্যবহার করে তর্ক করেছি, কিন্তু কোনোকালে কেউ কারুর প্রতি অপভাষা ব্যবহার করেছি বলে মনে করতে পারিনা।
এই অপভাষা প্রয়োগ না করাকে ঘোমটা বলে। আর সেটা না করেও কল্লোলদার সঙ্গে, গুরুর সঙ্গে (অ্যাকিউজিং অ্যাজ আ সোস্যাল মিডিয়া ফর অ্যান্টি সিপিএম প্রোপাগান্ডা মেশিনারি), যে নোংরামোটা করে গিয়েছেন দিনের পর দিন, গুরুর সবাই সাক্ষী, তাকেই খ্যামটা নাচ বলে।
পিটি
একটা ভুল। সেশন কোর্ট অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। উনি আপিল করেছেন। কিন্তু আপিলের ফয়সালা না হওয়া অবধি উনি আইনের চোখে দোষীই। উনি ততদিনই অভিযুক্ত যতক্ষণ প্রাথমিক আদালতে মানে সেশন কোর্টে মামলা চলছে, রায় বেরোয়নি, এখন নয়।
২ আমার অবস্থান কনসিস্টেন্ট। আমি আমার জ্ঞানবুদ্ধিমত কোন রায়কে ঠিক মনে করি, কোনটাকে করি না। যেমন বাবরি মসজিদ রায়কে ভুল মনে করি। কোর্টেরও ভুল হয়, নইলে ভবিষ্যতে আগের রায়, এমনকি সুপ্রীম কোর্টের রায়ও পালটে যেত না। ধারা ৩৭৭, জেসিকা লাল কেস, পার্লামেন্ট হামলায় প্রফেসর গিলানীর মুক্তি তার অন্যতম উদাহরণ।
আর ইউটিউব দেখে নয়, মূল রায়--নেটে পাওয়া যায় পড়ে নিজের অভিমত তৈরি করি। এবং আপাত দৃষ্টিতে তাপসী মালিক মামলায় রায় পড়ে আমার কোন বিরোধাভস মনে হয়নি। কাজেই উচ্চতম আদালতে যদি বর্তমান অপরাধী নির্দোষ প্রমাণিত হন তখন আমার ভুল মেনে নেব, এখন নয়।
৩ আপনি একটি অ্যাবসলুটিস্ট পজিশন নিয়েছেন। একসময় বলবেন আদালতের কথা মানব নাকি আপনার? আমার বক্তব্য দু'পক্ষের যুক্তি শুনে যেটা ঠিক মনে হবে সেটা মানবেন। যেমন বাবব্রি রায় পড়ে আমার লিগ্যালি ডিফেক্টিভ মনে হয়েছে, কোন আবেগ থেকে নয়। দেশের নাগরিক হিসেবে কোর্টের আদেশ পালন এক কথা, আর মন থেকে মেনে নেওয়া আরেক। এটা আপনার আমার দুজনার পক্ষেই প্রযোজ্য। মুশকিল হল, আপনি চান সবাই আপনার হিসেবে চলবে। ইস্যু নিয়ে বক্তব্য রাখুন। আপনি সেটা ছেড়ে বক্তাকে নিয়ে পড়েন। সিপিএমের সমালোচনা করলেই দেগে দেবেন মমতার লোক, মাথায় করে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, অতিবদ অতিবাম ইত্যাদি। এটাই গোলপোস্ট সরানো, বক্তব্যের বিরোধিতা ছেড়ে বক্তার মোটিভ, সে কোন দলের, কাকে ভোট দিয়েছে এইসব--এগুলো আপনার এক্তিয়ারে পড়েনা।
৪ আর অমুক মামলায় (ধরুন অম্বিকেশ প্রকরণে) আমরা বা কেউ কেন সরব নই, কেন মোমবাতি মিছিল হলনা-- এ নিয়ে বারে বারে চেঁচান কেন? যার যে মামলায় মনে ঘা লাগবে যতটুকু লাগবে সে ততটুকু প্রতিক্রিয়া দেবে। সেটা কী আপনার হিসেবে হবে? কোন মানুষই সব ব্যাপারে সমান সংবেদনশীল হতে পারেনা। আমিও না, আপনিও না।, আপনি অন্যের পছন্দ কন্ট্রোল করতে চান কেন? বর্তমানে কে কী বলল সেটা নিয়ে কথা না বলে অমুক সময়ে কেন বলেনি বলে হোয়াট অ্যাবাউট্রি করেন কেন? আমি এক্স কেসে প্রতিবাদ করিনি বলে আমার ওয়াই কেসে বলার অধিকার নেই? এই অদ্ভুত মর্যাল হাইগ্রাউন্ড নেয়া কেন?
যদি জিগ্যেস করি-- অনীতা দেওয়ান কেসে বিচার চেয়েছেন? বরানগর গণহত্যায়? সাঁইবাড়ি কান্ডে? আনন্দমার্গী পুড়িয়ে মারায়? নেতাই কান্ডে? আমি এসব করব না। এই মায়াপাতা কোন বিচারসভা নয়। ইস্যু অনুযায়ী বক্তব্যেই সীমিত থাকব।
আর হ্যাজাব না। এ নিয়ে একটিও কথা বলব না। ঢের হয়েছে। ক্লান্ত লাগছে ।
যা বুঝছি, পিটিদা হয় বাপ-মা নাতো সন্তান না টেনে পোস্ট করতে পারেনা। কি অসুস্থ পাবলিক মাইরি! বিজেপির পোষা মালগুলো এরকমই হয় অবশ্য।
"বক্তব্য... ছেড়ে বক্তাকে নিয়ে পড়েন। সিপিএমের সমালোচনা করলেই দেগে দেবেন মমতার লোক, মাথায় করে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, অতিবদ অতিবাম ইত্যাদি।" -- একেই বলে "লোকের পোঁদে লাগা" হ্যাঁ অপভাষা ব্যবহার না করেই, মানে ঘোমটা রেখেই।
RR
সব বক্তব্যই এড়িয়ে গেলেন।
সাঁইবাড়ি নিয়ে দীর্ঘ তক্ক হয়েছে। পুরনো গুরু খুঁজে বের করলে তাতে কোর্টের অনেক কাগজ পত্রের লিং-ও দেওয়া আছে।
তবে সব হত্যার তদন্ত হোক না। আমার কিসের ভয়? কিন্তু এই সরকার কিছুতেই তদন্ত করবে না। কেননা তারা নিথ্যের পাহাড়ে চড়ে ক্ষমতারোহন করেছিল ২০১১ তে।
এক দেড় মাস আগে সুহৃদ দত্তর সাক্ষাৎকার শুনে আমার এটাই ধারণা হয়েছে যে ঐ মামলা নিয়ে সিবিআই কিংবা পব-র সরকার কেউই interseted নয়। বাকিটা আইনি ব্যাপার ওটা আপনি আমার থেকে ভাল বোঝেন।
অম্বিকেশ নিয়ে ভালই ড্রিবল করলেন। তবে কিনা কর্ণার হয়ে গেল। রাজ্যে আইনের অপপ্রয়োগ ইস্যু ছিল। তাতে এত খিল্লি কেন? নাকি রাজ্যের সরকারের আইন ভাঙা জায়েজ যেহেতু দিল্লির সরকার আইন ভাঙছে?
আজকাল দায় এড়ানোর জন্য "হোয়াটএবাউটারি" বেশ চলছে। এক কবিও জানিয়েছেন যে তিনি মাত্র একরকমের রোলের দোকানই খুলেছেন।
বক্তার মোটিভ তো অবশ্যই জানা জরুরী। কেউ যদি বাচ্চার পা চিড়ে পুঁতে দেওয়ার গুজবে আগুনে হাওয়া দেয় তাহলে অব্শ্যই বক্তার রাজনৈতিক অবস্থান বিচার করতে হবে।
আমি তক্ক চালিয়ে যেতে এক্কেবারেই ক্লান্ত হইনা। যেদিন হব সেদিন থেকে কোন তক্কেই আর যোগ দেব না।
সাবধানে ও ভাল থাকবেন।
DC কে একটাই কথা বলার বাড়িতে,পরিচিত, ভদ্র মহলে যে ভাবে কথা বলে থাকেন এখানেও সেইভাবে কথা বলুন। কমেন্ট টাইপ করার সময় ভাবুন যে বাড়ির লোকেরাও পড়ছে, যে কথা ওখানে বলতে পারবেন না, এখানেও বলবেন না।
PTস্যার কে একটাই কথা বলব অতীতে কি হয়েছিল ভুলে যান, ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলুন। মানুষ ক্লিয়ারলি বলে দিয়েছে এই করাপশন, স্ক্যাম, তোলা, কাটমানি এসবের থেকেও উৎখাত ও সাম্প্রদায়িকতার বিপদ নিয়ে বেশি চিন্তিত। এইসব সত্ত্বেও tmc কে ক্ষমতায় এনেছে। সিপিএম কে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে, নতুুুন করে জনভিত্তি তৈরি করতে হবে। ব্ল্যাংক স্লেট ডিসএডভানটেজ যেমন তেমন এডভানটেজ ও বটে। এর পরের বিধানসভা ভোটে হয়তো এমন অনেক প্রথম ভোটার ভোট দেবে যারা 34 বছর ও দেখেনি, তাপসীী মালিক এর নামও শোনেনি। তাই অতীত নিয়ে পরে আর লাভ নেই।
এই যে নানা জায়গায় অভিযোগ দেখছি শ্রমজীবী ক্যান্টিনের উপর হামলা নিয়ে এবং তার প্রতিবাদ কেন করছিনা তাই নিয়ে। তাই এটি রইল। যে জিনিস ঘটেনি বলে উদ্যোক্তারাই জানাচ্ছেন, তার প্রতিবাদ কেন এবং কীভাবে করতে হবে ঠিক বুঝিনি।
আর হ্যাঁ, হানাহানি, সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করেছি। নীচে কমেন্টে লিনক দেওয়া রইল। মৃত্যু তালিকা। আক্রমণের কিছু ঘটনা। বিজেপির আইটিসেলের ছড়ানো অজস্র ফেক ছবি ঘটনা আর দেশব্যাপী এই নিয়ে ক্যাম্পেন করে দাঙ্গা বাঁধানো, মিলিটারি শাসন চালু করার আজেন্ডার মধ্য থেকে ছেঁকে বার করা সত্যিকারের কিছু ঘটনা।
প্রতিটা মৃত্যু আর আক্রমণ নিয়েই খারাপ লাগা আর আপত্তি রইল। যাঁরা ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন অমুক মৃত্যু আর তমুক আক্রমণের নিন্দা কেন করা হল না, অমুকের চটিচাটা তমুকের পোষা কুকুর বলে করিনা বলে আক্রমণ, তাঁরা নিজেরা কি এই সবকটি মৃত্যু নিয়েই প্রতিবাদ করেছেন? সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল - সবার?
ভাল কথা, যাদবপুরের ক্যান্টিন ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনাও ওই ফেক নিউজের লিস্টিতেই ঢুকছে তো? বিজেপির আইটি সেলের ফাঁদে পা দেবেন না, সেকথাও নাকি বলা যাবেনা, যে বলবে সেই ওই ওই ওই... এই ট্রাডিশনও চলতে থাকবে তো?
গুজবের প্রতিবাদ তো হতেই হবে। ঢপেরও হোক। ডিসট্রিক্ট টাউনগুলোতে কতগুলো ৫ টাকার ডিম্ভাতের কাউন্টার দেখা যাচ্ছে তার খবরও দেওয়া হোক।
π এর ইয়েতে লাগার চেষ্টা করছে। এই হচ্ছে ঘোমটা টেনে খ্যামটা। নিজে বেরিয়ে ঘুরে খবর দেবে না। π কে বলছে দিতে। এরপরে শুরু করবে মিথ্যে কথার চাষ। অমুকে দেয় নি তুসুকে দেয় নি। তুই মাল কী করেছিস রে?
তুড়ুক করে এ ডাল থেকে ও ডালে লাফ। হচ্ছে পোস্ট-পোল গুজবের কথা, লিয়ে এল মা ক্যান্টিন। আর সোর্স অফ ইনফরমেশন কি? "আমার রাঁধুনিদিদি..." - হয়ে গেল গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বদর্শন।
কাল থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ। অতএব কাজের জোগান নেই। অতএব ৫ টাকার ডিম্ভাতের প্রয়োজন এখন অনেক বেশী। পিটিকে অপছন্দ করেন বলে অমানবিক হবেন না।
লোকাল ট্রেন বন্ধ বলে গোলপোস্ট কাঁধে নিয়ে খড়্গপুর থেকে দার্জিলিং দৌড়তে হবে? গাছঢ্যামনা আবার মানবিকতা মারাচ্ছে!
আপনি ডিম্ভাত স্ক্যাম নিয়ে অথেনটিক পোস্ট করুন না, তথ্য প্রমাণ সহ, কে বারণ করেছে? করলে খুব কাজের কাজ হবে, প্লিজ করুন।
ডিম্ভাত স্ক্যামের বদলে ডিম্ভাত কেলো নাম দিতে চাই।
হ্যাঁ, কেলোদাদা, আপত্তি নাই তো?
স্ক্যাম না কেলো কোনটা সঠিক নামকরণ হবে সেটা নিয়ে আমার উৎসাহ নেই। কিন্তু এই সময়েই ৫ টাকার ডিম্ভাতের প্রয়োজন খুব বেশী। এখানে প্রশ্নটা রেখেছি এই কারণে যে অনেকেই কলকাতার বাইরের খবর রাখেন। সেখানে ডিম্ভাতের কাউনটার খোলা হয়েছে (আদৌ ছিল কিনা কখনো) কিনা জানাতে পারবেন।
@Ramit Chatterjee | ০৫ মে ২০২১ ২২:৪০
ধন্যবাদ। না, অতীত ঘাঁটার বিশেষ উৎসাহ আমার নেই। কিন্তু ভোট এলেই কারা অতীত ঘাঁটে খেয়াল করবেন।
বর্তমানের প্রশ্ন করলেও রেহাই পাবেন না। ৫ টাকার ডিম্ভাতের প্রশ্ন তোলায় খোলা নর্দমাদের প্রতিক্রিয়া দেখুন।
ওলে আমাল ছোত্তসোনাটা আবাল কাঁদুনি গায়। হ্যাঁ মানিক, কলকাতার বাইরেও জেলায় জেলায় ক্যান্টিন খোলা হয়েছে। খুশি তো বাবু?
ডিম্ভাত কি ভিক্ষান্ন ক্যাটেগরি থেকে প্রোমোশন পেয়ে গেছে?
আমার জেলাটা কি ইচ্ছে করেই বাদ রাখল তিনোরা?
দিদিকে বলোতে ফোন করে জেনে নিন।
ওখানে ফোন করে লাভ নেই। মোদির চ্যালাকে দিদি পাত্তা দেবে না