Kishore Ghosal লেখকের গ্রাহক হোননাটক | ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯১২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
নিচের লিংকে ক্লিক করলে আমার লেখা একটি গল্পের নাট্যরূপ শোনা যাবে -
মূল গল্পটি এখানে ঃ-
পায়রা
ভোর সাড়ে ছটায় মোবাইলের আওয়াজে স্বপনের ঘুম ভেঙে গেল। একটা খবর কভার করে, কাল রাত দেড়টায় ফিরে দুটো নাগাদ শুয়েছিল। সাড়ে ছটায় এই ফোনটা আসাতে বেশ বিরক্ত হল স্বপন। একবার ভাবল, ওঠাবে না। আবার কী ভেবে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখল বিশ্বজিৎদা কলিং। বিশ্বজিৎদা স্বপনের টপ বস্, “এই বঙ্গ সেই বঙ্গ” পত্রিকার চিফ এডিটার। কানেক্ট করে স্বপন বলল, ‘হ্যালো, বিশ্বজিদ্দা, গুড মর্নিং’ ‘গুড মর্নিং। কতবার রিং হল বলতো? এত বেলা অব্দি ঘুমোচ্ছিলি নাকি? শোন, পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে পড়। হাতের কাছে পেন বা পেন্সিল কিছু আছে? লিখে নে, প্রফেসর নীলমাধব দেবনাথ..” ‘এক মিনিট বিশ্বজিদ্দা’ ফোনটা কানে নিয়ে টেবিলে একটা ডায়রি পেল, পেন...পেন...এ ড্রয়ার...সে ড্রয়ার... পেল না...দরকারের সময় কোথায় যে ঢোকে? নাঃ পাওয়া যাচ্ছে না। আশা ছেড়ে দিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ, বলুন বিশ্বজিদ্দা’। ‘ওফ একটা পেন খুঁজতে এত সময় লাগে? লেখ, প্রফেসার নীলমাধব দেবনাথ, বিদ্যা ভিলা। রাজবাড়ি পাড়া’ স্বপন মনে মনে দু তিনবার আউড়ে নিল ঠিকানাটা, তারপর বলল, ‘কোনো ল্যাণ্ডমার্ক’? ‘প্রফেসার নীলমাধব, নিজেই ল্যাণ্ডমার্ক। এত জায়গায় নিউজ কভার করে বেড়াচ্ছিস, নীলমাধবস্যারকে চিনিস না? না চিনলে, খবর বানানো ছেড়ে, স্টেশনে গিয়ে ঘুগ্নিমুড়ি বানা। যে কোন লোককে জিগ্যেস করলে, নীলমাধবস্যারের বাড়ি চিনিয়ে দেবে। জরুরি ঘটনা। ভদ্রলোক পায়রার ঠোক্করে সাংঘাতিক ইনজিয়োর্ড। ফিজিক্যালি খুব একটা না হলেও, মেন্টালি। সময় নষ্ট না করে বেরিয়ে পড়’। ফোনটা কেটে দিলে বিশ্বজিদ্দা, আর সকাল সকাল মেজাজটাও খিঁচড়ে দিল। নীলমাধবস্যারকে সে চেনে না, তা নয়, ভালই চেনে। এ শহরের বিদ্বজ্জনদের মধ্যে তিনি প্রথম সারিতে। রিটায়ার্ড প্রফেসর, এনবিইউ। এখনও খুব অ্যাক্টিভ এবং অ্যাক্টিভিস্ট। গত চারদিন ধরে শহরে যে প্রতিবাদী মিছিল এবং ধর্না চলছে সেখানে তিনি নিজেও পার্টিসিপেট করছেন। তাঁকে পায়রা ঠুকরেছে! পায়রা? স্বপন ঠিক শুনল তো? বিশ্বজিদ্দাকে ফোন করে আরেকবার জিগ্যেস করতে ভরসা হল না। অলরেডি ঘুগ্নিমুড়িতে নামিয়ে এনেছে, এর পর হয়তো...। পাঁচমিনিট বললেই কী আর পাঁচমিনিটে হয়? এর মধ্যে সুমন্তকে ফোন করল, রেডি হবার জন্যে। যাবার সময় ওকেও তুলে নিতে হবে। সুমন্ত ফটোগ্রাফার। সুমন্ত কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। স্বপন বলল, ‘পাঁচমিনিটের মধ্যে যদি বেরোতে না পারিস, তবে স্টেশনে গিয়ে ঝালমুড়ি বেচা শুরু কর। এত আলসে হলে নিউজ লাইনে আসা তোর কম্মো নয়’। ঘুগ্নিমুড়ির পাশে ঝালমুড়ি, জমবে ভালো। আটমিনিটের মাথায় কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্বপন যখন বাইক বের করল, স্বপনের বউ মিতালি জানালায় দাঁড়িয়ে প্যাঁচার মতো মুখ করে, বলল, ‘রাত দেড়টায় বাড়ি ঢুকে, আবার এই সাড়ে ছটায় বেরোচ্ছো? কখন ফিরবে শুনি?’ স্বপন বাইকে আওয়াজ তুলে বেরিয়ে গেল। কাঁধ ঝাঁকিয়ে কোন ইঙ্গিত দিল, নাকি অ্যাক্সিলেটারে চাপ দিল বুঝতে পারল না, মিতালি। সুমন্ত রেডিই ছিল, কাঁধে ক্যামেরার ব্যাগ নিয়ে বাইকের পেছনে বসতেই, স্বপন উড়তে লাগল ভোরের শান্ত নিরিবিলি ডিবিসি রোড ধরে। কিছুটা যাওয়ার পর সুমন্ত জিগ্যেস করল, ‘কেসটা কী? এত এমারজেন্সি? নীলমাধব স্যারের শরীর খারাপ?’
‘শরীর নয় মন খারাপ। কিন্তু সেটা খবর নয়। খবর হচ্ছে পায়রা। পায়রা যে একটা হিংস্র পাখি সে বিষয়ে তোর কোন ধারণা আছে?’ ‘পায়রা? হিংস্র পাখি? সকাল সকাল কী হেঁয়ালি করছিস, মাইরি’? ‘তোর কী মনে হয়, আমাকেও পাগলা পায়রা কামড়েছে? ভোরবেলা বাইকে চাপিয়ে তোর সঙ্গে হেঁয়ালি করছি?’ সুমন্ত আর কোন কথা বলল না, স্বপনের পিছনে চুপ করে বসে রইল।
পাড়ার লোকের হাঁড়ির খবর যারা রাখে, সেই সব পানের দোকান, মুদির দোকান এখনো বন্ধ। নীলমাধবস্যারের বাড়ির হদিশ পেতে তাই একটু বেগ পেতে হল। তিনজন মর্নিং ওয়াকার বৃদ্ধ ভদ্রলোককে জিগ্যেস করেও তেমন সুবিধে হল না। একজন ভদ্রলোক বললেন, ‘আরে এ পাড়ায়, সবাই তো স্যার। এই যে দেখছো, সার সার বাড়িতে সকলেই স্যার। তা তোমরা কোন নীলমাধবের কথা বলছ? অ্যাডভোকেট, ডাক্তার না সাহিত্যিক নীলমাধব?’ স্বপন বলল, ‘প্রফেসার নীলমাধব দেবনাথ’। ‘প্রফেসার? প্রফেসার তো আছে সমরজ্যোতি পোদ্দার। সমর ছাড়া আরে কে প্রফেসার, জানা নেই ভাই’। ভদ্রলোক ঘাড় নাড়লেন। স্বপন থ্যাংকিউ বলে, আরো এগিয়ে গেল। চার রাস্তার মোড়ে ছোট্ট একটা চায়ের স্টল, দেখে দাঁড়াল। সকালে উঠে চা খাওয়া হয়নি, চা খেতে ইচ্ছে হচ্ছিল, তার ওপর যদি নীলমাধবস্যারের বাড়ির হদিশটাও পাওয়া যায়। বাইক থামিয়ে, দুজনেই নেমে গিয়ে চা নিল, তারপর চা খেতে খেতে জিগ্যেস করল, নীলমাধব স্যারের বাড়ির ঠিকানা। চায়ের দোকান থেকে সঠিক হদিশ নিয়ে, তারা যখন নীলমাধবস্যারের বাড়ি পৌঁছলো তখন বাজে সাতটা পাঁচ। কলিং বেল টিপতেই দোতলার বারান্দায় এক ভদ্রমহিলা এসে ঝুঁকে জিগ্যেস করলেন, ‘কাকে চাই?’ ‘নীলমাধবস্যার আছেন? ওঁনার সঙ্গে একটু দেখা করতে চাই’। ‘কোথা থেকে আসছেন?’ ‘ “এই বঙ্গ সেই বঙ্গ” পত্রিকা থেকে, বিশ্বজিৎ সান্যাল পাঠিয়েছেন’। ভদ্রমহিলা কোন উত্তর না দিয়ে, বারান্দা থেকে ঘরের ভেতরে ঢুকে গেলেন। প্রায় মিনিট পাঁচেক পর তাদের সামনের দরজায় ছিটকিনি খোলার আওয়াজ পাওয়া গেল ‘খুট’। অন্য এক মহিলা দরজা খুললেন, দেখে মনে হল, কাজের দিদি। বাইক লক করে ওরা দুজনে ভেতরে ঢুকতে, মহিলা দরজাটা আবার বন্ধ করলেন, তারপর সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে বললেন, ‘আসুন’। ওরা মহিলার পিছনে সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলায় গেল। সামনেই বেশ বড়ো একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে, ওদের বসতে বলে, পাখা চালিয়ে দিলেন মহিলা। তারপর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। ঘাড় ঘুরিয়ে ঘরের চারদিক দেখতে দেখতে ওরা অপেক্ষা করতে লাগল। ঘরের তিন দেওয়ালে বুক শেলফ, তাতে ভর্তি শুধু বই আর বই। সোফা, বেতের মোড়া, চা গাছের ডাল দিয়ে বানানো সেন্টার টেবিল। দেওয়ালে টিভি। তার নিচেয় একটা বড়ো ক্যাবিনেট। তার ওপরে সেটটপ বক্স। সাউণ্ড সিস্টেম। ক্যাবিনেটের ভেতরে বেশ কিছু শোপিস। নীলমাধবস্যার কিছুক্ষণ পরে ঘরে ঢুকলেন, তাঁর পিছনে সেই ভদ্রমহিলা, যিনি বারান্দায় এসেছিলেন। এই গরমের মধ্যেও স্যারের পোষাক দেখে খুব অবাক হল স্বপন আর সুমন্ত। ভদ্রলোকের মাথা ঠিক আছে তো? প্রফেসর ঘরে ঢুকেই বললেন, ‘গুড মর্নিং। তোমরা দুজন কী স্বপন আর সুমন্ত?’ ‘আজ্ঞে হ্যাঁ, স্যার’। ‘সকালে আমি যখন ফোন করেছিলাম, বিশ্বজিৎ বলল, তোমাদের ইমিডিয়েটলি পাঠাচ্ছে। স্বপন কে? তুমি? বিশ্বজিৎ বলল, ইউ আর ভেরি স্মার্ট এণ্ড ইন্টেলিজেন্ট ওয়ান টু হ্যান্ডল দা সিচুয়েশন’। ঘুগ্নিমুড়ি শোনার পর বিশ্বজিদ্দার এমন কমপ্লিমেন্ট, মোটেই কম নয়, বেশ বেশিপ্লিমেন্ট! স্বপন কিছু বলল না, একটু লজ্জা পাওয়ার ভাব করে মাথাটা চুলকে নিল। প্রফেসর নীলমাধব আবার বললেন, ‘তোমরা দুজনেই রেডি তো? তোমাদের নিয়ে আমি ছাদে যাবো’। ‘আমিও যাবো, বাবা’। ‘জিদ করিস না, মা। সকালে যা হয়েছে, তারপরে আমি মোটেই স্বস্তি পাচ্ছি না। তোকে তো আগেই বলেছি, যেতে হলে, আমার মতো প্রোটেকসন নিতে হবে। আমার কথাটা তোর বিশ্বাস হচ্ছে না, বুঝছি। না হবারই কথা। অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়’! তারপর স্বপনদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘পরিচয় করিয়ে দিই। সম্পর্কে আমার বৌমা, কিন্তু আমার মেয়েই বলতে পারো। আমার ছেলের থেকেও নির্ভরযোগ্য। তোমাদের দুজনেরই নিশ্চয়ই হেলমেট আছে?’ দুজনেই ভদ্রমহিলাকে নমস্কার করে, স্বপন বলল, ‘আছে’। ‘ফাইন, তাহলে অতটা ভয়ের ব্যাপার হবে বলে মনে হয় না’। ‘পায়রা?’ ‘হুঁ পায়রা। বিশ্বজিৎ বলেছে বুঝি? কী বলেছে?’ ‘ফেরোসাস, মানে ইয়ে হিংস্র হয়ে উঠেছে’। ‘ঠিক। এত শান্ত সুন্দর নিরীহ একটা পাখির আচরণ, এভাবে হঠাৎ বদলে যেতে পারে, ভাবা যায় না। এই খবরটা করতে হবে। ছবি, ভিডিও, রিপোর্ট। আমি চাই যত শিগ্গির সম্ভব মিডিয়াতে ছড়িয়ে যাক খবরটা। তোমাদের অনলাইন এডিসন রয়েছে না, সেখানেও ব্রেকিং নিউজ টেলিকাস্ট করো’। স্বপন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আমরা তৈরি স্যার’। নীলমাধব স্যারের কথা শুনে স্বপন ভেতরে একটা উত্তেজনা অনুভব করছে। ‘ভেরি গুড। বাট আবার বলছি, ডোন্ট আণ্ডার এস্টিমেট দেম। বি কশাস’। ‘উই উইল বি, স্যার’।
নিজেও মাথায় একটা হেলমেট পরে, ঘর থেকে বেরিয়ে ছাদের সিঁড়ি দিয়ে স্যার উঠতে লাগলেন। পিছনে স্বপন আর সুমন্ত। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতেই সুমন্ত ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করে রেডি করতে লাগল। নীলমাধবস্যার বললেন, ‘ভোরের রাস্তায় আধাঘন্টা মতো হাঁটাহাঁটি করে এসে, ছাদে ওঠা আমার অনেকদিনের অভ্যেস। কয়েকটা টবে ফুল গাছ আছে, জলটল দিই। শুকনো পাতা-টাতা থাকলে তুলে দিই। আর পাখিদের জন্যে দানা দিই, চাল দিই, গম দিই। আমি ছাদে উঠলেই ওরা আমাকে চিনতে পারে। বুঝতে পারে। আকাশ থেকে ওরা দল বেঁধে যখন নেমে আসে কী যে অপূর্ব অনুভূতি হয় সে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আজও উঠেছিলাম’। বলতে বলতে সিঁড়ি শেষ, নীলমাধবস্যার ছাদের দরজার ছিটকিনি খুললেন, খুট। দরজার পাল্লা খুলতেই সামনে ছাদ। নীলমাধবস্যার ছাদে গেলেন। পিছনে পিছনে স্বপন আর সুমন্ত। সুমন্তর ক্যামেরা রেডি। স্যারকে দেখে সত্যিই পায়রার ঝাঁক নেমে আসছে। তাদের ডানায় আওয়াজ উঠছে ফটফট করে। সত্যিই অপূর্ব দৃশ্য। মানুষের সঙ্গে পাখির এই গড়ে ওঠা সম্পর্ক দেখলে মনে সত্যিই স্বর্গীয় এক আনন্দের অনুভব হয়। এখনও হচ্ছে। ওদের আচরণে কোন হিংস্র ভাব বোঝা যাচ্ছে না তো! ছাদের মেঝেয় ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে অনেক চাল ও গমের দানা। অন্যদিন পাখির ঝাঁক সেগুলি খুঁটে খুঁটে খায়। ঘুরে ঘুরে নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করে। মিনিট ছয় সাতের মধ্যে সাফ করে ফেলে সমস্ত শস্য দানা। আজ খায়নি। কিছু পাখি এসে বসল ছাদের আলসেতে। কিছু জলের ট্যাংকের ছাদে। দু চারটে কাপড় শুকোতে দেওয়ার দড়িতে বসে দোল খেতে লাগল। আর কিছু পাখি এসে নীলমাধব স্যারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। ঠোকরাতে লাগল স্যারের হেলমেটে। হাতে পায়ে। লাল টুকটুকে পায়ের আঙুল দিয়ে খিমচে দিতে লাগল, স্যারের পিঠ, কাঁধ। পাখিদের ঠোঁটে তেমন ধার নেই, কিন্ত তাদের হিংস্রতার ধার তীক্ষ্ণ। স্যার হাতে গ্লাভস, গায়ে ফুল হাতা জ্যাকেট পরেছিলেন। তেমন ক্ষতি হচ্ছে না, কিন্তু গোটা ব্যাপারটা ভয়ংকর, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। ‘সকালে এসে রোজ যেমন দিই, আজও চাল আর গমের দানা দিয়েছিলাম – একটাও মুখে তোলেনি। দেখেছো?’ নীলমাধবস্যার বললেন। আলসে আর জলের ট্যাংকে বসে থাকা পাখিরাও এবার নেমে এসে ছেঁকে ধরল স্যারকে। ‘ওরা কিন্তু ক্ষুধার্ত। খাবার চাইছে। কিন্তু সে খাবার শস্যদানা নয়, অন্য কিছু। ’ ‘বাবা, তুমি চলে এসো’। স্যারের বৌমা নিঃশব্দে কখন ছাদে এসেছে খেয়াল করেনি কেউ। ‘তুই আসিস না, মা। তোকেও ওরা চেনে। আমার মতো তোকেও ছেঁকে ধরবে। আমি জানি ওরা কী চাইছে!’ স্বপন আতংকের গলায় জিগ্যেস করল, ‘কী চাইছে স্যার’?
নীলমাধবস্যার পকেট থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগ বের করলেন। ব্যাগের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে, একদলা মাংসের কিমা বের করে, ছড়িয়ে দিলেন সামনে। স্যারকে ছেড়ে পায়রার ঝাঁক ঝাঁপিয়ে পড়ল ওই টুকরোগুলোর ওপর। স্যার আরও ছড়ালেন, সমস্ত পায়রা নেমে এল মেঝেয় ছড়িয়ে থাকা মাংসের টুকরোর লোভে। তারা নিজেদের মধ্যেও মারামারি করছে। পায়ের নখে তুলে নিছে অন্যের পালক। ঠুকরে আহত করছে অন্য পায়রাকে। স্যারের বৌমা হাত ধরে টেনে আনলেন স্যারকে। স্বপন এবং সুমন্তও আস্তে আস্তে সরে এল। স্যারের বৌমা, ছাদের দরজা বন্ধ করে দিলেন। সুমন্ত ক্যামেরা অফ করল।
নিচের বৈঠকখানা ঘরে এসে, নীলমাধবস্যার সামনের সোফায় বসলেন, তিনি বিধ্বস্ত। শরীরে নয় মনে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘ওদের আচরণে কী বীভৎস পরিবর্তন, চিন্তা করতে পারছো?’ ‘এভাবে কী সবাই বদলে যাবে? আমরাও? হিংস্র হয়ে ওঠাই কী আমাদের শেষ পরিণতি?’ ‘জানি না, স্বপন। জানি না। আমাদের দিন তো প্রায় শেষ হয়ে এল। কিন্তু তোমাদের, বৌমার? এবং তোমাদেরও পরের প্রজন্মের কী হবে? শান্ত, স্নিগ্ধ, সুন্দর বলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না! সভ্যতা আর টেকনোলজির বিকিরণ, রণক্ষেত্র করে তুলেছে আমাদের চারদিক। কেউ কী পরিত্রাণ পাব? এখন আমাদের বেশ কিছু মানুষ চাই, যারা হবে সত্যিকারের অসভ্য, আর ইয়ে, হ্যাঁ আদিম’। খুব নাটকীয় ভাবে বললেন নীলমাধব স্যার।
..০০..
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
হিমাদ্রি শেখর দত্ত, বরানগর | 2405:201:801b:e0d2:bc1c:20d7:3b95:***:*** | ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৭526892
কিশোরের গল্প পড়তেই হয়। টেকনলজির দৌলতে আজ শুণলাম। যদিও ২০৭৫ আমি বা লেখক কেউই দেখব না, তবে একটা অন্য রকম রূপ শুণতে পেলাম। সম্ভব হলেও হতে পারে।
বাচিক শিল্পীরা বেশ ভাল। তবে পাখীর ডাকে, পায়রার ডাক ব্যবহার করা যেত। যদিও পায়রা লাগাতার ডাকে না। অলস দুপুর আর নিভে আসা সন্ধ্যায় একা একা ডাকে কার্ণিশে বসে ডাকে। আর এক সাথে মিলে মিশে খাবার সময় ডাকে।
শুনবার সময়ে যেটা মনে হয়েছিল, সেটা লাস্ট পোস্টে লিখতে ভুলে গেছ্লাম - এটা হিচককের বার্ডস এবং সত্যজিতের সেপ্টোপাসের খিদে থেকে বেশ অনুপ্রাণিত মনে হলো। আমি ভুল হলে খুশি হবো।
হ্যাঁ হিচককের | 2405:8100:8000:5ca1::1a:***:*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯526916
বার্দস দিয়ে খুব বেশী অনুপ্রাণিত মনে হল। তবে যে পাঠ করেছে সে বেশ খারাপ পাঠ করে।
বার্ডস তো ক্লাসিক সিনেমা। সর্বযুগে দুনিয়ার সব দেশেরই ছেলে বুড়ো জানে সিনেমাটার কথা। আগে ভিডিও বা ডিভিডির যুগে দেখেছে মানুষ যারা হলে গিয়ে দেখে নি। ইদানীং তো ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে এবং অ্যামাজন প্রাইম বা নেটফ্লিক্সে হেন ক্লাসিক নেই যা পাওয়া যায় না। হিচকক সর্বকালের বিখ্যাত। রেয়ার উইন্ডো টাইপের সামান্য দুর্বল কয়েকটা মুভি ছাড়া বাকি সবকটাই সারা দুনিয়ায় জনপ্রিয়।
একটা সত্যঘটনা বলি। ডেথ অফ আ সেলসম্যানের বাংলা নাটক করেছিল নান্দীকার। আশির দশকের শেষে বা হয়ত নব্বইয়ের একদম গোড়ায়। ইউনিভারসিটির গরমের ছুটিতে কোলকাতায় এসেছি, মা নিয়ে গেল অ্যাকাডেমিতে ফেরিওয়ালার মৃত্যু দেখাতে। দেখে তাজ্জব হয়ে গেলাম। মূল গল্পটা/নাটক পড়া ছিল না। হলের আর সব দর্শকের মত আমিও অভিভূত। উহ কী জিনিস বানিয়েছে। কী অভিনয় সক্কলের! ওয়ার্ডরোব, সেট, কোরিওগ্রাফি! মাথা ভোঁ ভোঁ করছিল।
ছুটির শেষে ইউনিভারসিটিতে ফিরে গেলাম। কাকতালীয়ভাবে মূল ইংরিজি সিনেমাটার ভিডিও হাতে এল। কয়েকজন বন্ধু মিলে সেই ভিডিও দেখে আবার মাথা ভোঁ ভোঁ। সীন টু সীন কপি পেস্ট। সেট, পোশাক, সমস্ত।
কোলকাতার লোকের হাতে ঐ ভিডিও তখনও পৌঁছয় নি। কিন্তু বাংলা নাটকটির ডিরেক্টর অ্যামেরিকা থেকে ওটি জোগাড় করেন। তারপরে ঐ ভিডিও চালিয়ে রিহার্সাল হতো। এখবর জেনেছিলাম ঐ নাটকেই গৌন রোলে অভিনয় করা এক অভিনেত্রীর কাছ থেকে আরও দশ বছর পরে। তিনি অবশ্য এই চুরিটাকে চুরি বলে মানতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু তাতে ঘটনাটা বদলায় না।
প্রায় প্রত্যেকদিন ছাদে উঠে আমি সত্যি সত্যিই পায়রা এবং কাকপক্ষীদের কিছু চাল-গম খাওয়াই। এবং এটাও সত্যি আমি ছাদে উঠলেই ওরা পায়রারা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে। কৃতজ্ঞ এবং মুগ্ধ চোখে আমি ওদের নেমে আসতে দেখি আমার চারপাশে। এরকমই একদিন গল্পটা মাথায় এসেছিল। মনে হয়েছিল প্রকৃতিকে আমরা দূরে ঠেলে দিচ্ছি, বাড়িয়ে তুলছি পরিবেশের দূষণ - কোনদিন যদি এই পাখিগুলি হিংস্র হয়ে ওঠে। সে সময় বা লেখার সময় "দা বার্ডস" -এর কথা মনে আসেনি।
বরং যেটা মনে এসেছিল, সত্যজিতের "কাঞ্চনজঙ্ঘা" সিনেমাতে পাহাড়ি সান্যালের কয়েকটি কথা। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে এই যে পরিযায়ী পাখিরা প্রত্যেক বছর সঠিক সময়ে, সঠিক দিকে সঠিক স্থানে উড়ে আসে,..এবং পরে আবার ঠিক সময় মতো ফিরে যায়... যদি এমন কোনদিন হয় - পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়ায় ওদের ছোট্ট ছোট্ট মস্তিষ্কগুলি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল - হয়তো ওরা সঠিক দিক ভুলে গেল... ভুল জায়গায় চলে গেল... হয়রান হয়ে যাওয়া সেই পাখিগুলি হয়তো বৃষ্টির ফোঁটার মত ঝরে পড়ে মারা যেতে লাগল মাটিতে পড়ে..*। এই কথাগুলি আমাকে ভীষণ নাড়া দিয়েছিল। . কাঞ্চনজঙ্ঘা যতবার দেখি ততবারই এই কথাগুলি নাড়া দিয়ে যায়।
(* এক্স্যাক্ট ডায়ালগ এরকম নয় - আমি বক্তব্যটা উল্লেখ করলাম)
আমার গল্পের অনুপ্রেরণা আছে সত্যজিতের ওই সিনেমায়।
হিচককের বইটি বহুদিন আগে দেখেছিলাম, তাতে পাখিগুলির খেপে ওঠার কারণ কি ছিল সেটা ঠিক বুঝিনি। সিনেমাটি ক্লাসিক হলেও, আমি বিস্মিত হয়েছিলাম - এতগুলি পাখিকে নিয়ে এমন একটা সিনেমা করার দুঃসাহসে। কিন্তু, না - নাড়া দিতে পারেনি।
এবার আসি বিদেশী নাটকের অনুসরণে বা অনুকরণে নান্দীকারের নাটক প্রসঙ্গে। নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র - অভিনয় দেখার সুযোগ পাইনি - কিন্তু নাটকটি পড়ে খুব বোর হয়েছিলাম। যদিচ ওদের আন্তিগোনে, ফুটবল বেশ ভালো লেগেছিল।
যাই হোক আপনার লেখায় আন্তরিকতার স্পর্শে আমিও অনেক কথা লিখে ফেললাম। হয়তো ধৃষ্টতাই হল।
"ফেরিওয়ালার মৃত্যু" নিয়ে কোন মন্তব্য তো আমি করিনি।
নান্দীকারের খুব বেশী প্রযোজনা আমার দেখা হয়ে ওঠেনি - ওই আন্তিগোনে আর ফুটবল ছাড়া মনে পড়ছে না।
বহুরূপীর প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ব বেশিই ছিল - কারণ সৌভাগ্যক্রমে শম্ভু ও তৃপ্তি মিত্রর "চার অধ্যায়" ও "রাজা অউদিপাউস" চাক্ষুষ করেছিলাম। তারপরে "যদি আরেকবার", "মিঃ কাকাতুয়া", "অপরাজিতা" এবং আরো অনেক।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ :
পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন
গুরুচন্ডা৯ বার্তা
গুরুতে নতুন?
এত নামধাম দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে? আসলে আপনি এতদিন ইংরিজিতে সামাজিক মাধ্যম দেখে এসেছেন। এবার টুক করে বাংলায়ও সড়গড় হয়ে নিন। কটা তো মাত্র নাম।
গুরুর বিভাগ সমূহ, যা মাথার উপরে অথবা বাঁদিকের ভোজনতালিকায় পাবেনঃ
হরিদাসের বুলবুলভাজা : গুরুর সম্পাদিত বিভাগ। টাটকা তাজা হাতেগরম প্রবন্ধ, লেখালিখি, সম্ভব ও অসম্ভব সকল বিষয় এবং বস্তু নিয়ে। এর ভিতরে আছে অনেক কিছু। তার মধ্যে কয়েকটি বিভাগ নিচে।
শনিবারের বারবেলা : চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিক, যাদের টানে আপনাকে চলে আসতে হবে গুরুর পাতায়, ঠিক শনিবারের বারবেলায়।
রবিবারের পড়াবই : পড়া বই নিয়ে কাটাছেঁড়া সমালোচনা, পাঠপ্রতিক্রিয়া, খবরাখবর, বই নিয়ে হইচই,বই আমরা পড়াবই।
বুধবারের সিরিয়াস৯ : নির্দিষ্ট বিষয় ধরে সাপ্তাহিক বিভাগ। ততটা সিরিয়াসও নয় বলে শেষে রয়ে গেছে ৯।
কূটকচা৯ : গুরু কিন্তু গম্ভীর নয়, তাই গুরুগম্ভীর বিষয়াশয় নিয়ে ইয়ার্কি ফুক্কুড়ি ভরা লেখাপত্তর নিয়েই যতরাজ্যের কূটকচা৯। কবে কখন বেরোয় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
হরিদাস পাল : চলতি কথায় যাদের বলে ব্লগার, আমরা বলি হরিদাস পাল। অসম্পাদিত ব্লগের লেখালিখি।
খেরোর খাতা : গুরুর সমস্ত ব্যবহারকারী, হরিদাস পাল দের নিজের দেয়াল। আঁকিবুঁকি, লেখালিখির জায়গা।
টইপত্তর : বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। বাংলায় যাকে বলে মেসেজবোর্ড।
ভাটিয়া৯ : নিখাদ ভাট। নিষ্পাপ ও নিখাদ গলা ছাড়ার জায়গা। কথার পিঠে কথা চালাচালির জায়গা। সুতো খুঁজে পাওয়ার দায়িত্ব, যিনি যাচ্ছেন তাঁর। কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।
লগিন করে থাকলে ডানদিকের ভোজনতালিকায় যা পাবেনঃ
আমার গুরুঃ আপনার নিজস্ব গুরুর পাতা। কোথায় কী ঘটছে, কে কী লিখছে, তার মোটামুটি বিবরণ পেয়ে যাবেন এখানেই।
খাতা বা খেরোর খাতাঃ আপনার নিজস্ব খেরোর খাতা। আঁকিবুকি ও লেখালিখির জায়গা।
এটা-সেটাঃ এদিক সেদিক যা মন্তব্য করেছেন, সেসব গুরুতে হারিয়ে যায়না। সব পাবেন এই পাতায়।
গ্রাহকরাঃ আপনার গ্রাহক তালিকা। আপনি লিখলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন নোটিফিকেশন।
নোটিঃ আপনার নোটিফিকেশন পাবার জায়গা। আপনাকে কেউ উল্লেখ করুক, আপনি যাদের গ্রাহক, তাঁরা কিছু লিখুন, বা উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটুক, জলদি পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন।
বুকমার্কঃ আপনার জমিয়ে রাখা লেখা। যা আপনি ফিরে এসে বারবার পড়বেন।
প্রিয় লেখকঃ আপনি যাদের গ্রাহক হয়েছেন, তাদের তালিকা।