১৫ অগস্ট ২০২১ কাবুল অধিকারের মধ্যে দিয়ে সম্পূর্ণ আফগানিস্তানের দখল নিল তালিবানরা। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হবার মাত্র একশো দিনের মধ্যেই মার্কিন ও ন্যাটো মদতপুষ্ট আসরাফ গনি সরকারের পতন ঘটল। এর আগেও তালিবান সরকার দেখেছে আফগানিস্তান। তখন সেই সরকারের প্রধান ছিলেন মোল্লা ওমর। আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে ওসামা বিন লাদেন ও তার সহযোগীরা মার্কিন ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালায়। আল কায়দার সেই আক্রমণের সবচেয়ে আলোচিত দিক ছিল টুইন টাওয়ার ধ্বংস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পার্ল হারবার আক্রমণের পর আর কোনও শক্তি কখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতে আক্রমণ শানাতে পারে নি। মার্কিনিরাই গোটা বিশ্বকে শাসন করে এসেছে একছত্রভাবে। ভিয়েতনাম সহ পৃথিবীর নানা জায়গায় প্রত্যক্ষ পরোক্ষ হামলা চালিয়েছে, একের পর এক দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে নিজেদের পুতুল সরকার বসিয়েছে। সেই কারণেই এই উলটপুরাণের অভিঘাত হয়েছিল যথেষ্ট। মার্কিনি সেনেট ও রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ এর তরফে ঘোষিত হয়েছিল ওয়ার অন টেরর এর কথা। আফগানিস্তান আক্রমণ করেছিল মার্কিন সামরিক বাহিনী। সঙ্গে ছিল ন্যাটো। এরপর, মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন কয়েকটি সরকার আফগানিস্তানে বহাল থাকে দু দশক ধরে।
মোল্লা ওমর এবং তারপর ওসামা বিন লাদেনকে আমেরিকা হত্যা করে। তালিবানের সঙ্গে মার্কিনিদের চুক্তি হয় যে তারা আল কায়দাকে কোনওরকম জায়গা দেবে না। একসময়ে সোভিয়েত প্রভাবকে অপসারণের জন্যই যে আল কায়দা ও মুজাহিদিনদের তৈরি করেছিল মার্কিন রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা দপ্তর সি আই এ – সে কথা আজ সবারই জানা। আফগানিস্তানের সোভিয়েত সমাজবাদী ভাবনায় প্রভাবিত প্রগতিশীল সরকার, যাদের আমলে আফগানিস্তানে নারী অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সহ নানা কিছুর চমকপ্রদ উন্নতি হয়েছিল, আল কায়দা ও মুজাহিদিনদের হাতে অস্ত্র তুলে দেবার মধ্যে দিয়ে তার বিনাশে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল সি আই এ তথা মার্কিন রাষ্ট্র। টুইন টাওয়ার ও অন্যান্য কিছু ঘটনার পর একসময়ের মানসপুত্র সেই আল কায়দাই হয়ে দাঁড়াল মার্কিন রাষ্ট্রের অন্যতম নিশানা। ততদিনে সোভিয়েত ভেঙে গেছে, আল কায়দার প্রয়োজনও ফুরিয়েছে তাদের কাছে। মূলত ইরাক ও সিরিয়া ভিত্তিক সংগঠন আল বাগদাদির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ইসলামিক স্টেট এর সঙ্গেও তাদের যুদ্ধ ও মদতের এরকম ইতিহাস আছে।
তালিবানের সঙ্গে মার্কিনিদের লড়াই চলেছে আফগানিস্তান দখলের পরেও। সেই লড়াইয়ের মধ্যেই উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়ারও চেষ্টা চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি থাকার সময় বিপুল বৈদেশিক খরচ কমানোর জন্য বাইরে থাকা মার্কিনি সেনা ও পরিকাঠামোকে খানিকটা গুটিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। এরই সূত্র ধরে ঘোষণা করা হয় যে আফগানিস্তান থেকে সরে আসবে মার্কিন সেনা। নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের পরাজয়ের পর বাইডেন নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রাট সরকার ক্ষমতায় এসেও আগের সরকারের এই নীতি বজায় রাখে।
মে মাসের প্রথম থেকে ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান থেকে ধাপে ধাপে সরে আসতে শুরু করে। ২৫০০ মার্কিন সেনা সহ ৯৬০০ ন্যাটো সেনাকে প্রথমে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর পরেই আফগানিস্তানের দক্ষিণে হেলমন্দ প্রদেশে সরকারী আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালিবানদের সশস্ত্র লড়াই এর খবর সামনে আসে। তালিবানদের মহিলা নীতির কথা সবাই জানেন। তারা মেয়েদের পড়াশুনো বাইরে বেরনোকে মোটেই ভালো চোখে দেখে না। মালালাকে গুলি করার আইকনিক ঘটনাটি গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, এরকম আরো অনেক ছোট বড় ঘটনাই নানা সময়ে ঘটেছে। তালিবানের উত্থানের এই পর্বের প্রথম দিকেই এরকম এক নারকীয় ঘটনার মধ্যে দিয়ে তারা তাদের পুরনো অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় নতুন করে। ৮ মে ২০২১ এ কাবুলে এক মেয়েদের স্কুলে ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণ হয় এবং তাতে মারা যান প্রায় পঁচাশি জন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন স্কুলের ছোট ছাত্রী।
কিন্তু এই ঘটনার পরেও মার্কিন বা ন্যাটোর নীতির কোনও পরিবর্তন হয় নি। মে মাসের মাঝামাঝি মার্কিন ও ন্যাটো শক্তি আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারের বিমানঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপরেই তালিবানরা কাবুল ও কান্দাহারের সংযোগকারী শহর গজনী আক্রমণ করে।
জুন মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানের উত্তরের শহরগুলির অধিকাংশ চলে আসে তালিবানদের দখলে। সেন্ট্রাল এশিয়ার সঙ্গে আফগানিস্তানের যোগাযোগের পথ তালিবানদের দখলে চলে আসার পর আফগান সংলগ্ন তাজাকিস্তান এলাকার সীমান্তে তাজিক সরকার সেনা মোতায়েন করে।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সেনাঘাঁটি বাগরাম থেকে ২ জুলাই ন্যাটো বাহিনী সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে। এর দুদিন পরেই কান্দাহারের পাঞ্জোয়াই দখল করে নিতে সক্ষম হয় তালিবানেরা। এই পাঞ্জোয়াই ছিল প্রথম পর্বে তালিবানদের উত্থানের মূল ঘাঁটি।
ইরানের সঙ্গে পশ্চিম আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকার মূল শহর ইসলাম কোয়ালা তালিবানরা দখল করে নেয় ৯ জুলাই। এর পাঁচদিন পরে ১৪ জুলাই আফগানিস্তানের পূর্ব সীমান্তের পাকিস্তান সংলগ্ন শহর স্পিন বোল্ডাক দখল করে নেয় তালিবানরা। সেখানে অসামারিক ব্যক্তিবর্গকে নির্বিচারে খুন করে তালিবানরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন সহ বিশ্বের পরাশক্তিগুলি মূলত নিন্দাসূচক বিবৃতি দিয়েই দায় সারে। তালিবানদের কার্যধারা অব্যাহত থাকে। এরপর জুলাই মাসেই লস্কর গহ, কান্দাহার ও হিরাট সহ একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহরে তালিবানদের আক্রমণ শুরু হয়।
অগস্টের গোড়া থেকেই ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যায় যে আসরাফ গনির সরকার কাবুলের মধ্যেই ক্রমশ সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অগস্টের প্রথম থেকেই কাবুলে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলায় হত্যালীলা চালাতে থাকে তালিবানরা। অন্যদিকে তালিবান বাহিনীর হাতে একের পর শহর জনপদের দখল চলে আসতে থাকে। জারাঞ্জ, কুন্দুস, সের ই পাল, তালোকান, ফারাহ, আইবাক অগস্টের প্রথম সপ্তাহে তালিবানরা দখল করে নেয়। আইবাক দখলের সময় তালিবানদের কোনওরকম বাধারও সম্মুখীন হতে হয় নি। তখনি বোঝা যায় আফগান গনি সরকারের থেকে দেশের নিয়ন্ত্রণ কার্যত তালিবানদের হাতেই চলে গেছে।
১২ অগস্ট গজনী ও হিরাট তালিবানদের দখলে আসে, ১৩ অগস্ট তারা কান্দাহারের দখল নেয়। ১৪ অগস্ট মাজার শরিফ দখলের পর ১৫ অগস্ট সকালেই তারা কাবুলে ঢুকে পড়ে। গনি সরকারের কাছে তারা বার্তা পাঠায় আলোচনার মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের। গনি সরকার তা মেনে নিতে বাধ্য হন। মার্কিন ও অন্যান্য পরাশক্তির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চলা ৪৫ মিনিট বৈঠকের পর আফগানিস্তানের সরকার তালিবানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আসরাফ গনি পদত্যাগ করে সঙ্গীসাথীদের নিয়ে দেশত্যাগ করেন। তালিবানরা কাবুলের প্রাসাদের দখল নেয়। কুড়ি বছর ধরে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে চলা আফগান সরকারের পতন হয় মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারপর্ব শুরু হওয়ার মাত্র একশো দিনের মধ্যেই। এত দ্রুত তালিবানি বিজয় দেখিয়ে দেয় আসরাফ গনি সরকার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় এলেও সেই নির্বাচন অনেকটাই ছিল আরোপিত। এই সরকারের সঙ্গে আফগান জনগণের বৃহত্তর অংশের নাড়ির বন্ধন ছিল না। তারা মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর দখলদারদের বসানো পুতুল সরকার হিসেবেই একে দেখেছিল। তালিবানদের লড়াইকে আফগান ভূখণ্ডের ওপর মার্কিন, ন্যাটোবাহিনী তথা বিদেশি শক্তির দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে দেশের জনগণের বড় অংশ না দেখলে তালিবানের বিজয় এত দ্রুত ও এত সহজে হতে পারত না।
তালিবান শাসনের এই নয়া রূপটি কেমন হবে তা আগামীদিনে ক্রমশ স্পষ্ট হবে। এজন্য আমাদের অবশ্যই আরো অপেক্ষা করতে হবে। তালিবানরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছে যে আফগানিস্তানের মাটিকে তারা সন্ত্রাসের জমি হিসেবে ব্যবহার করতে দেবে না। আল কায়দার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদই শুধু নয়, তাদের বিরোধিতার কথাও তারা বলেছে। কিন্তু তালিবান জমানা আবার শুরু হতেই সবচেয়ে আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন সেখানকার নারীরা। রাস্তাঘাটে মেয়েদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, স্কুল কলেজে মেয়েদের শিক্ষা সহ নানা সাধারণ নারী অধিকারও কতটা রক্ষিত হবে – সেই নিয়ে ঘোরতর আশঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের প্রত্যাবর্তনের পর দুটি ছবি মূলত সামনে আসছে। প্রথম ছবিটি ভয়ার্ত মানুষের কাতারে কাতারে দেশ ছাড়ার মরীয়া প্রচেষ্টা। সে প্রচেষ্টা আক্ষরিক অর্থেই প্রাণ বাজি রাখছে। বিমানের ভেতরে জায়গা না পেয়ে বিমানের চাকায় চড়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছে অনেকে এবং আকাশ থেকে পড়ে জীবনের করুণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে তাদের। প্রতিদিন নানা খবরের কাগজ ও নিউজ চ্যানেল দেখাচ্ছে কাবুল এয়ারপোর্টে ও তার বাইরে দেশ ছাড়তে চাওয়া অগুনতি মানুষের স্রোতের ছবি। আফগানিস্থানের ভেতর থেকে বাঙালি সহ নানা ভারতীয়দের দেশ ছাড়ার আকুতি নিয়ে লেখা প্রতিবেদনও আমরা সংবাদপত্রের পাতায় দেখছি। নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার তীব্র আতঙ্ক সেগুলিতে ধরা পড়ছে।
এ ছাড়া আরেকটি ছবিও উঠে আসছে আফগানিস্তানের ভেতর থেকে। সেই ছবিটি লড়াইয়ের, প্রতিরোধের। আফগানিস্তানের মহিলারা দাবি তুলতে শুরু করেছেন তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। আফগানিস্তানের নাম বদল বা পতাকা বদলের বিরুদ্ধেও মানুষের প্রতিবাদের ছবি সামনে আসছে। এইসব প্রতিবাদের ওপর তালিবানদের নৃশংস গুলিচালনার খবরও প্রকাশিত হয়েছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে বাঘলান প্রদেশের তিনটি জেলায় তালিবান বিরোধীরা এলাকার নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে পেরেছে। বেশ কিছু তালিবান আক্রমণকারী তাদের সঙ্গে যুদ্ধে মারা গেছে, কয়েকজন বন্দিও হয়েছে। তবে এইসব লড়াই কতটা প্রসারিত হবার অবকাশ পাবে তা নিয়ে সংশয় আছে।
আফগানিস্তানের ভেতরের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নারী স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রশ্নে যেমন আওয়াজ তুলতে হবে, তেমনি বিশ্ব জনমতকেও আফগানিস্তানে নারী ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য নতুন সরকারের ওপর নিরন্তর চাপ রেখে যেতে হবে। একদিকে আমেরিকা, অন্যদিকে রাশিয়া বা চিনের মতো পরাশক্তির সঙ্গে তালিবানদের বোঝাপড়া হয়েছে, কিন্তু তারা তালিবানকে যা খুশি করার ছাড়পত্র দিয়ে দিলে তা গোটা দক্ষিণ এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিকে সঙ্কটগ্রস্থ করতে পারে। রাষ্ট্রপুঞ্জ ও বিশ্বের অন্যান্য শক্তিশালী দেশগুলোর আফগান সমস্যা নিরসনে কূটনৈতিক স্তরে সক্রিয় হওয়া দরকার।
ভারত সরকারের প্রাথমিক কর্তব্য এদেশের সমস্ত নাগরিককে সন্ত্রাস বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে সুষ্ঠভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা। সেইসঙ্গে ভারতের সরকার ও বর্তমান শাসক দলের উচিত এই পরিপ্রেক্ষিতে সি এ এ আইনটিকে গভীরভাবে পুনর্বিবেচনা করা। এই আইন যখন মুসলিমদের শরণার্থী হিসেবে নাগরিকত্ব প্রার্থীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল, তখনই এর প্রতিবাদ হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আফগানিস্তানের মুসলিমদের ভারত সহ বিভিন্ন দেশে তালিবানি সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে আশ্রয় ও পুনর্বাসন কতটা প্রয়োজন। তালিবানকে দেখিয়ে সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে নিশানা করার ঘৃণ্য অপচেষ্টাও কোনও কোনও শিবির থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে। যদিও বাস্তবে যে বিশ্ব জনমত তালিবানি বর্বরতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে, তার মধ্যে মুসলিম সমাজের মানুষজন রয়েছেন বিরাট সংখ্যায়। এই ঘৃণা বিদ্বেষের রাজনীতিকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করা দরকার।
তালিবানি শাসনের প্রত্যাবর্তন দেখিয়ে দিচ্ছে রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক তৈরির চরম ক্ষতিকর চেহারাটি কেমন হতে পারে। বিশ্বের যেখানেই আধুনিককালে রাষ্ট্র ও ধর্মের নৈকট্য সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে, সেখানেই গণতন্ত্র ও আধুনিকতা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। ধর্ম ও বিশ্বাসকে ব্যক্তিগত পরিসরে আবদ্ধ রেখে রাষ্ট্রকে ধর্মমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা কতটা দরকারি – বর্তমান আফগানিস্তান তা আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দিচ্ছে।