‘বুদ্ধ—এক অনন্ত অডিসি’ ভারততাত্ত্বিক সুসাহিত্যিক শিবাংশু দে-র দেশ-বিদেশে দীর্ঘকালের কষ্টসাধ্য গবেষণার ফলশ্রুতি একটি মূল্যবান গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী দিয়ে তাঁর গ্রন্থ শুরু করেছেন এবং রবিঠাকুরের বাণী দিয়েই তাঁর গ্রন্থ শেষ করেছেন। এতেই বোঝা যায় লেখকের উদ্দেশ্য ও মনোভাব কী ছিল। কবিগুরু বুদ্ধকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ মানব’ বলে প্রণাম নিবেদন করেছেন। লেখকও মনে-প্রাণে এটাই বিশ্বাস করেন যে বুদ্ধই সর্বকালের ‘সর্বশ্রেষ্ঠ মানব’।
কিন্তু লেখকের একটাই জিজ্ঞাসা—“যদি সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বলে কেউ বা কিছু থেকে থাকেন, তার সন্ধানটা মানুষকে নিজের উদ্যোগে করতে হবে। কিন্তু যেসব মানুষকে অন্ধ ভক্তিমার্গ মানসিকভাবে অসুস্থ করে, যাদের পরা-অপরা (১ নং) জ্ঞানমার্গের এলেম নেই, তারা চাইলে কীভাবে করবে এই খোঁজ?” এ এক জটিল সন্ধান। এক অনন্ত অডিসি।
তাই তো শিবাংশুবাবু গতানুগতিক ভাবধারায় অন্ধ না হয়ে যথার্থ সত্যের খোঁজে দেশ-বিদেশে গিয়েছেন এবং সেই সেই অঞ্চলের পণ্ডিতদের সঙ্গে বাদানুবাদ করে এই সত্যে উপনীত হয়েছেন যে, বুদ্ধই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তাই আজ অবধি কোনো পণ্ডিত বা কোনো প্রখ্যাত ধর্মযাজক এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ করে একটি কথাও বলেননি। এজন্য শিবাংশুবাবু যথার্থই মনে করেন যে, তাঁর সত্যানুসন্ধান অমূলক হয়নি। তিনি জয়ী হয়েছেন—তারই অভিব্যক্তি এই—‘বুদ্ধ—এক অনন্ত অডিসি’।
সাঁচি-তে সাধারণাব্দ প্রথম শতকে রাজা অশোক-নির্মিত স্থাপত্যের গাত্রের কারুকার্যে বোধিবৃক্ষ
‘পাঠকের কথা’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে যথার্থই বলা হয়েছে যে “এই গ্রন্থটি সকলের জন্য সহজপাচ্য নয়। হওয়া কাম্যও নয়। এইরকম একটি বিষয়ের উপর এত পরিশ্রম করে লেখা এক বিস্তৃত একটি গ্রন্থ পাঠ ও হৃদয়ঙ্গম করতে পাঠকের পক্ষ থেকেও অনেকখানি মনোনিবেশের দাবি রাখে। যদিও শিবাংশুবাবুর প্রাঞ্জল ভাষা সে কাজকে সহজ করে দিয়েছে, তবু এ বই পড়ার জন্য একাগ্রতা প্রয়োজন। প্রয়োজন সেই মহামানবকে নতুন করে জানার, বোঝার আগ্রহ, যিনি আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এমন এক মানবিক ঔচিত্যবোধের কথা বলেছিলেন, যা সব ধর্ম, সব অনুশাসনের ঊর্ধ্বে।” আমিও ব্যক্তিগতভাবে ‘পাঠকের কথা’কে মনেপ্রাণে সমর্থন করি।
গ্রন্থখানির কুড়িটি অধ্যায় লেখকের অসাধারণ মুনশিয়ানার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পরপর এক-একটি অধ্যায়ের সন্নিবেশ মহত্ত্বপূর্ণ। নতুন নতুন অধ্যায়ে ভাগ করে বিষয়বস্তুর প্রস্তাবনা করা লেখকের যে উদ্দেশ্য ছিল না তা বিষয়বস্তুসমূহের গভীরে প্রবেশ করলেই বোধগম্য হবে। কোনো একটি অধ্যায়ও খাপছাড়া নয়, এক একটি অধ্যায় পরবর্তী অধ্যায়ের পরিপূরক। তাই গ্রন্থখানির পাঠ আরম্ভ করলে শেষ না করা অবধি একে ফেলে রাখা যায় না। বর্ষীয়ান কোনো জাপানি অধ্যাপক হলে বলতেন, “I use this book on Buddha as a handbook and I keep this book always on my reading table.” সমালোচক থাকলে বলতেন, “জাপানি অধ্যাপক বাংলা বইটির পাঠোদ্ধার করলেন কীভাবে?” উত্তর একটাই—জাপানি অধ্যাপকদের অনুসন্ধিৎসা এত বেশি যে, তাঁরা প্রয়োজন হলে বাংলা-জানা জাপানি অধ্যাপককে দিয়ে বইটির পাঠোদ্ধার করে নেন।
যিনি যুক্তি ছাড়া পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়া প্রচলিত কোনো ভাবধারাকে অন্ধবিশ্বাসে গ্রহণ করতে রাজি নন, সেই লব্ধপ্রতিষ্ঠ গবেষক সাহিত্যিক শিবাংশুবাবুর সঙ্গে আমি একমত যখন তিনি লিখছেন যথেষ্ট প্রত্যয় সহকারে যে, “মানবধর্মের যে ঐতিহ্য আমাদের দেশে আবহমান কাল ধরে প্রচলিত ছিল, শাক্যমুনি বুদ্ধ তাকেই নতুন করে চিনিয়েছিলেন আমাদের। তিনি সচেতন ভাবেই মানবধর্মের গুরু ছিলেন। প্রচলিত অর্থে ‘ধর্মগুরু’ ছিলেন না। বিশ্বের প্রথম নীতিবাদী, সামাজিক বাস্তবতাকেন্দ্রিক, বহুজন-সুখায়, বহুজন-হিতায় নতুন মূল্যবোধ স্থাপন করাই তাঁর যাবতীয় প্রয়াসের লক্ষ্য ছিল। ... সব যুক্তি-ভক্তি, সব দর্শনের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষের দুঃখ নিবারণই বুদ্ধের একমাত্র উদ্দেশ্য। তাঁকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ মানব’ স্বীকার করতে গিয়ে আমাদের কবি এইজন্যেই প্রেরিত হয়েছিলেন।”
আরও স্পষ্ট করে শিবাংশুবাবু বলেছেন, “বৌদ্ধমত বা দর্শন কেন্দ্র করে যে অধ্যাত্ম যাত্রাটি ছিল, তার প্রকৃত নাম ‘সদ্ধর্ম’। সেটিকে কোনো অবস্থাতেই ‘Religion’ বলা যায় না।”
শিবাংশুবাবুর গবেষণা থেকে বুদ্ধের জীবন ও পরিবার সম্বন্ধে কয়েকটি নতুন তথ্য উঠে এসেছে। যেমন,
১) শুদ্ধোদন শাক্যদের শাসক ‘রাজা’ ছিলেন না। তিনি কপিলাবস্তুতে বসবাস করতেন না।
২) শুদ্ধোদন লুম্বিনীতেই বসবাস ও কৃষিকাজ করতেন। তিনি স্বহস্তে ও সহায়কদের সঙ্গে শস্যক্ষেত্রে যথাবিধি কর্ম করতেন।
৩) শ্রমণ গৌতমের কপিলাবস্তুতে কোনো বাসস্থান ছিল না। মহাপদান সুত্ত অনুযায়ী তাঁর ‘তিনটি’ প্রাসাদ থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
৪) প্রব্রজ্যাগ্রহণ ছিল বুদ্ধের জীবনের প্রধানতম সিদ্ধান্ত। কিন্তু অন্যান্য কথিত সাধু-সন্ন্যাসীর মতো আজন্ম কৃচ্ছ্রসাধন, সংসারবিস্মৃতি বা নারীজাতির প্রতি তীব্র বিমুখতার পক্ষপাতী ছিলেন না। প্রস্তুতি তাঁর বহুকাল ধরেই ছিল। কিন্তু তার আগে তিনি যথাযথভাবে ক্ষাত্রকর্ম সামাজিক দায়িত্বপালন ও দারপরিগ্রহ করতে দ্বিধা করেননি। অথচ শেষ পর্যন্ত প্রব্রজ্যা নেওয়াটা তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ বিকল্প হয়ে কেন দাঁড়িয়েছিল? কারণগুলি সম্বন্ধে পণ্ডিতদের মত এরকম—
ক) হিংস্র আত্মীয়বিরোধের অভিজ্ঞতা,
খ) গৃহস্থজীবনের অবশ্যম্ভাবী স্ববিরোধ ও মূর্খতার সঙ্গে আপস করায় আপত্তি,
গ) জন্ম, ব্যাধি, জরা বা মরণ ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে প্রকৃত মনুষ্যত্বের সাধনার প্রতি আকর্ষণ।
শিবাংশুবাবুর সঙ্গে আমিও একমত যেহেতু তিনি বলেছেন, “পালিভাষা বুদ্ধ ব্যবহার করতেন না। তিনি যে ভাষা ব্যবহার করতেন, তা রাজগৃহ, বৈশালী, কপিলাবস্তু, শ্রাবন্তী, কোসাম্বী প্রভৃতি প্রদেশের লোক ভালোভাবে বুঝতে পারতেন। সেক্ষত্রে মনে করা যেতে পারে, আজকের উত্তর বিহারে ও উত্তরপ্রদেশে প্রচলিত ভোজপুরী ও মগহি ভাষার পূর্বসূরি কোনো ভাষা বুদ্ধের ‘নিজের’ ভাষা ছিল। মহাসাঙ্ঘিকদের মতে বুদ্ধ মিশ্র সংস্কৃত, মহাযানীদের মতে শুদ্ধ সংস্কৃত এবং থেয়বাদীদের মতে বুদ্ধ পালিভাষা ব্যবহার করতেন। কিন্তু এঁদের কারও দাবির সমর্থনে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই।”
মানব বুদ্ধকে দেবতা-বুদ্ধে রূপান্তরিত করার প্রয়াসকে শিবাংশুবাবু যথার্থই ‘নিয়তির পরিহাস’ বলেছেন। “সারনাথে ধর্মচক্র প্রবর্তনের পর থেকে বুদ্ধের জীবনযাপনের বিশদ বিবরণ বহু গ্রন্থেই উল্লেখিত হয়েছে। যদিও তাদের মধ্যে অধিকাংশ স্থানেই ‘মানব বুদ্ধের’ জীবনী রচনার কাজটি উপেক্ষা করে ‘দেবতা বুদ্ধ’কে প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপক প্রয়াস দেখা যায়। ‘প্রিয়’কে দেবতা করে তোলার সংস্কৃতিটি আমাদের প্রবল হলেও, ‘দেবতা’ সচরাচর প্রিয় হয়ে থেকে যেতে পারেন না। ভালোবাসা থেকে, ভক্তি থেকে, ভয় থেকে, প্রত্যাশার অনন্ত আবিল চক্র মানুষকে ক্রমশ দুর্বল করে দেয়। শেষে তার মনেই থাকে না ঠিক কী জন্য সে একজন শ্রেষ্ঠ মানবকে ভালোবেসেছিল।
ব্যাংককে ওয়াৎ ফো মন্দিরে সোনায় আচ্ছাদিত শায়িত বুদ্ধমূর্তি
‘ধর্মভীরুতা’ নামের এক ব্যাখ্যাহীন কালো পর্দার আড়াল তাকে মূল উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। বুদ্ধও আমাদের ঐতিহ্যে ওতপ্রোত এই বিড়ম্বনার লক্ষ্য হয়েছেন দীর্ঘকাল ধরে। নিয়তির পরিহাস ছাড়া একে আর কিছু বলা যায় না। কারণ আমাদের ইতিহাসে বুদ্ধই সেই আদিতম যোদ্ধা, যিনি অন্ধ, ধী-রহিত, যুক্তিহীন ‘ধর্মে’র আলখাল্লা ছিন্ন করে মানুষের মুক্ত বোধিকে স্বাগত জানিয়েছেন। মহাপরিনির্বাণ সূত্রে (পালি মহাপরিনির্বাণ সুত্ত) তাঁর জীবনের শেষ পর্বটি বিশদে সংকলিত হয়েছিল। মানব বুদ্ধকে উচিত পরিপ্রেক্ষিতে জানার জন্য সেটি একটি মূল্যবান দলিল। তাঁর জীবনকালের সেই অধ্যায়টি নিয়ে পৃথকভাবে আলোচনা করেছি। আড়াই হাজার বছর আগের একটি জীবনকাল ও আরাধ্যযাপনের ইতিবৃত্তটি জানার পর এ যুগের একজন ইতর মানুষের একটাই শ্লোক মনে পড়ে—
“বড়ো বিস্ময় লাগে হেরি তোমারে
কোথা হতে এলে তুমি...”
উপসংহার:
১) ‘বুদ্ধ—এক অনন্ত অডিসি’ একটি সর্বাঙ্গসুন্দর উপভোগ্য গ্রন্থ হতে পারত যদি না এতে উদ্ধৃত বহু পালি গাথা এবং পালি শব্দ ভুলভ্রান্তিতে পূর্ণ না হত। এ কথা সহজেই অনুমেয় যে গ্রন্থকার শিবাংশুবাবু পালি ভাষা বিষয়ে নিতান্তই অনভিজ্ঞ। আমার তো মনে হয় দুদিন পরে যদি গ্রন্থখানি প্রকাশিত হত—পালি ভাষায় অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে পালি গাথা ও শব্দগুলি শুদ্ধ করে নিয়ে—তাহলে গ্রন্থখানি সর্বাঙ্গসুন্দর হত এবং গ্রন্থকারও সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকতে পারতেন। আমরা যারা পালি ভাষার শিক্ষক, গ্রন্থখানি পাঠ করার সময় পদে পদে হোঁচট খেয়েছি। অদূর ভবিষ্যতে এই প্রামাণ্য ও মূল্যবান গ্রন্থখানির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি গ্রন্থকার ও প্রকাশকের উচিত পালি অংশগুলো শুদ্ধ করে দেওয়া।
২) গ্রন্থখানির ইংরেজি Title ব্যক্তিগতভাবে আমার মনঃপূত হয়নি। আমার মতে ‘An Anlytical View on Buddha’ না করে ‘A Long Adventerous Journey of Buddha’ করলে বোধহয় ঠিক হত।
৩) শতাধিক রঙিন ছবি সংগ্রহ ও প্রকাশিত করার জন্য গ্রন্থকারকে অজস্র ধন্যবাদ। এগুলি তাঁর দেশে-বিদেশে অক্লান্ত পরিশ্রম করার ফলেই সম্ভব হয়েছে।
৪) যিনি গ্রন্থের প্রচ্ছদ বিন্যাস করেছেন—তিমিরবরণ রায়—তিনি সকলের ধন্যবাদার্হ। আমার তো মনে হয় ‘বুদ্ধ’ শব্দটি অঙ্কন করার ক্ষেত্রে তাঁর যথেষ্ট মুনশিয়ানা আছে। যে সকল দেশে বুদ্ধের সদ্ধর্ম প্রচারিত হয়েছে সেই সকল দেশের লিপির অংশবিশেষ এখানে ব্যবহৃত হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। অবশ্য তিমিরবাবুর মনে কী ছিল তা একমাত্র তিনিই জানেন। প্রকাশক ঋতবাককে অজস্র ধন্যবাদ। তাঁরা অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল একটি বিষয়কে মোটামুটি সুন্দরভাবে মুদ্রিত ও প্রকাশিত করেছেন আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ এবং উন্নতমানের কাগজ ও বাঁধাই সহকারে।
৫) গ্রন্থের মলাটে গ্রন্থকারের যে রঙিন ছবি মুদ্রিত হয়েছে তা যেন কথা বলছে—
“আমি নির্ভীক, বিনা অনুসন্ধানে কিছুই মেনে নেবার পক্ষপাতী নই। বল বীর, বল উন্নত মম শির।”
৬) মহাবোধি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতার শুদ্ধ নাম হবে ‘অনাগারিক ধর্মপাল’ (যিনি নাগারিক নন), ‘অনাগরিক ধর্মপাল’ (যিনি নাগরিক নন) নয়।
৭) পরিশেষে গ্রন্থকারের দীর্ঘ জয়মঙ্গল কামনা করি—
“জয়ন্তো বোধিয়া মূলে সক্যানং নন্দিবড্ঢনো
এবং জয়্হং জয়ো হোতু জঅস্সু জয়মঙ্গলে।”
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
ভাল সমীক্ষা। বুক রিভিউ এমনই হওয়া উচিৎ।
বইটি আগে পড়েছি বলেই বলছি যে সমীক্ষাটি আমার পঠনে অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করেছে। আমি খালি যোগ করতে চাই বাংলার সহজিয়া সাধনার সঙ্গে বৌদ্ধতন্ত্রের সংযোগ এবং বোধগয়া নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও সিস্টার নিবেদিতার মধ্যের টানাপোড়েনের এপিসোড নিয়ে বইয়ের শেষের দিকে দুটি চমৎকার অধ্যায়ের কথা।
ভালো লাগলো রিভিউ। আগ্রহী হলাম। যেহেতু পালি জানিনা, উল্লেখিত সীমাবদ্ধতাটুকু ব্যাঘাত ঘটাবেনা আপাতত।
বইখানি নিজের সংগ্রহে থাকার জন্য গর্বিত। এই সমালোচনা পড়বার পর শুধু নয়, আগে থেকেই, সীমিত পঠন অভিজ্ঞতাতেও।
পাঠকের সযত্ন আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠুক বইটি।
আমার কাছেও আছে ।একটি সুন্দর বই।