এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • পাউরুটি ও প্রেমের মৃত্যু

    gargi bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ২৩ জুলাই ২০২০ | ৩৯৭৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •       পাউরুটি আমি ভালবাসি। না বেসে থাকা যায়? যার অমন নরম তুলতুলে গা! কিন্তু মুশকিল হল পাউরুটি আমায় মোটে পছন্দ করে না।

    টিভিতে দেখায় না, বড় ডাইনিং টেবিলে বসে পাউরুটি, মাখন, ডিম আর ফলের রস (থুড়ি, ব্রেড, বাটার, এগ, ফ্রুট জুস) সহযোগে জলখাবার (থুড়ি ব্রেকফাস্ট) খাচ্ছে, আর তারপরই অফিস যাচ্ছে পেল্লাই গাড়ি করে, অমনটা আমারও খুব শখ। তাহলেই মনে হয় যেন স্পোকেন ইংলিশটা শিখে যাব। আটার রুটি আর আলু-কুমড়োর ছেঁচকি খেয়ে বেরোলে মুখ  দিয়ে 'নরঃ নরৌ নরাঃ' ছাড়া আর কিছু বেরোবে কেন? ওই জন্যই ক্লাশ নাইনে ইংরেজিতে পঁয়ত্রিশ পেয়েছিলুম - আমি নিশ্চিত জানি।



          তা, সে আমি পাউরুটি খেতেই পারি, কিন্তু ওই যে, প্রেম বেশিরভাগ সময়েই একতরফা হয়। আর সে প্রেমের দুঃসহ জ্বালা "বুকে যার বাজে সেই বোঝে"। আবার এরকম প্রেমের একটা অমোঘ আকর্ষণও থাকে বুঝলেন। বারে বারে তার কাছেই ফিরে যেতে হয়, তারপর যথানিয়মে যৎপরনাস্তি হেনস্থা হতে হয়। আমিও প্রাতঃকালে  শুদ্ধ দেহে-চিত্তে যতবার পাউরুটিকে আপন করতে গিয়েছি, ততবারই সে আমাকে গ্যাসবেলুন করে সিলিং-এ ঠেলে  তোলার চেষ্টা করেছে। তারপর রই রই কাণ্ড। ঠান্ডা জল, ফেনাওয়ালা-ঝাঁজওয়ালা ওষুধ-টষুধ খেয়ে নিজের সঙ্গে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানটা কোনমতে বজায় রাখতে পেরেছি আর কি। 



          এইরকমই চলছিল। হয়ত এমনই একতরফা প্রেমের টানাপোড়েনে কেটে যেত দাম্পত্য, কিন্তু বাদ সাধল দিল্লি। অপমানেরও তো একটা সীমা আছে!!!



          তখনও ছাত্রাবস্থা পুরোপুরি ঘোচে নি। পাছে কেউ পদমর্যাদায় অবহেলা করে, তাই নাম জিগ্যেস করলে নামের সঙ্গে গম্ভীর মুখে যোগ করি 'রিসার্চ স্কলার'। দিল্লিতে সেবার একখান ভারিক্কি চালের কনফারেন্স হয়েছিল। তাও আন্তর্জাতিক। কত লোক, কত সাহেবসুবো। আর কত ইংরেজি। আমি কোনমতে এককোণে সিঁটিয়ে জায়গা পেয়েছি। আমার সাথে সতীর্থ, সমব্যথী ও সম-সিঁটিয়ে আরো চারজন আছে। আমি বয়সে জ্যেষ্ঠ, আমিই তাদের পালের গোদা। আমি যা করি, তারা দেখে দেখে টুকে দেয়। 


          উঠেছি এলাহি এক হোটেলে। গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে। সে দুঃখ সুদে আসলে উসুল করে নেব এই শপথ নিয়ে ডাইনিং হলে ঢুকলাম৷ ব্রেকফাস্ট কম্পলিমেন্টারি। তাই যেখানে যা আছে সব খাব। ছাড়ানছোড়ন নেই। ঢুকে দেখি আদ্দেক খাবারের নামই শুনি নি। সাতহাত লম্বা একটা নাম পছন্দ হলে প্লেটে নিয়ে দেখলাম স্রেফ বেগুন সেদ্ধ। আরে রামোঃ! কোথায় স্বর্গীয় লুচি-তরকারি, বা নিদেনপক্ষে তদ্দেশীয় রেওয়াজ মেনে গরগরে ঘি-ওয়ালা আলুর পরোটা, কিংবা রগরগে পেঁয়াজ রসুন দেওয়া ছোলে ভটুরে? তাও নয়? এদিক সেদিক নজর ঘোরাতেই দেখি ওই কোণে পুরাতন প্রেমিকার মতো আড়চোখে চাইছে একজন। হৃদযন্ত্রটা গলার কাছে উঠে এল। দুর্বার আকর্ষণে সেদিকে ধাবিত হলুম। আহা, কী রূপ কী রঙ। আয়তনে রকমারি। চৌকনা, গোল, লম্বা, সাদা, খয়েরি - সাজানো থরে থরে। আমার আবার গোল বান পাউরুটি দারুণ পছন্দ। কিন্তু সেঁকবো কী করে? ভাববেন না, আমি ততটাও অর্বাচীন। টোস্টার আমি বিলক্ষণ চিনি। ওই তো সেঁকা হয়ে গেলে পাউরুটি 'পপ' শব্দ করে লাফিয়ে ওঠে - ওটার নাম  তাই 'পপ আপ'। 


          কিন্তু তেমনধারা তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না আশেপাশে। কাউণ্টারও ফাঁকা। তবে অবশ্য বেশ বড় কম্পিউটারের প্রিন্টারের মতো দেখতে যন্ত্র একখান বসানো আছে বটে। তার ওপরে চৌকো মতন কালো একটা প্লেটের মতন কিছু। তার ওপরে একটা স্লাইস পাউরুটি রাখা। আচ্ছা, বেশ তবে৷ এটাই তাহলে চাটু, রাজধানীর ভাষায় বলতে গেলে 'তাওয়া'। তা বাপু, এত কায়দা মারার কী আছে? এদিকে আমার অনুসরণকারীরা জুলজুল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে নির্দেশের অপেক্ষায়। প্রেস্টিজের পুরো ফালুদা হয়ে যাচ্ছে দেখে দিলুম দুখান স্লাইস পাউরুটি তাওয়ার ওপর চাপিয়ে। 


          দাঁড়িয়েই আছি। দুই, তিন, পাঁচ....সময় চলেছে। পাউরুটি যে কে সেই। যন্তরটা নির্ঘাত খারাপ হয়ে গেছে, নাকি ইলেক্ট্রিসিটি নেই -- এইসব সাতপাঁচ ভাবছি, এমন সময় এক সাহেব ছোকরা গ্যাটম্যাট করে এসে তার নির্বাচিত স্লাইসটা সেই যন্ত্রের মধ্যে অবলীলায় ঢুকিয়ে দিলে। কয়েক সেকেন্ড বাদে সেটি অবিকল প্রিন্টারের কায়দাতেই লালচে আভা সমেত কড়কড়ে হয়ে বেরিয়ে এল। আচ্ছা, ফাণ্ডাটা তাহলে এই। 


          আমি নিজের মূর্খতা প্রাণপণে ঢেকে যেন কিছুই হয় নি এমন ভাব করে ওই 'তাওয়া' বলে ভুল বোঝা জিনিষটার ওপর  থেকে সেই অপরিবর্তিত পাউরুটির স্লাইসটা নিয়ে নিলাম স্মার্টলি, ততোধিক স্মার্টলি ঢুকিয়ে দিলুম যন্তরটার মধ্যে সাহেবকে নকল করে। এবং বলাই বাহুল্য সফল হলুম পুরোদস্তুর।


          কিন্তু কপালে দুর্ভোগ থাকলে আটকাবে কে? সাফল্য থেকে আমার আত্মতেজ বেড়ে গিয়েছিল। আমি আরো একখান পাউরুটির স্লাইসের সাথে আস্ত একটা গোল বান বা গোল পাউরুটি ঢুকিয়ে দিলুম। যেই না দেওয়া, অমনি যন্তরটা খ্যাঁক ম্যাঁক ঘ্যাঁক প্রভৃতি বিচিত্র শব্দ সহযোগে দাঁড়িয়ে পড়ল। আমি চম্পট দিলুম।


          একেবারে কোণের টেবিলের উল্টো দিকে বসে ভালোমানুষের মত মুখ করে আগের সেঁকা দুখান চিবুতে লাগলুম। আমার অনুসরণকারীরা আমার চারধারে গোল হয়ে বসে লাইভ ধারাভাষ্য দিতে থাকল।


    - তোমার গোল বান আটকে গেছে। (ওটা মোটেই আমার বান না। আমি চিনিই না। গোল বান কাকে বলে জানিই না।)


    - আর কোন পাউরুটি বেরোচ্ছে না। (তো আমি কী করব? যন্তরটাই খারাপ। প্রিন্টার দিয়ে কখনো পাউরুটি সেঁকা যায়?)


    - পাউরুটির কাউন্টারে লাইন পড়ে গেছে। (ডিসিপ্লিন মেন্টেন করা ভালো) 


    - এক সাহেব সেটা ঠুকছে। (আর কীই বা করবে?)


    - তোমার গোল বানে আগুন ধরে গেল- যাহ। (ইসসসসস....অত সাধের...)


    - হোটেলের লোকজন এসে পড়েছে। (সব্বোনাশ করেছে।)


    - তারাও ঠোকাঠুকি করেছে। (কী কাণ্ড!!!আমার দিকে তাকাচ্ছে না তো?)


    -ওই বোধহয় ম্যানেজার এল। ( নির্ঘাত টাকা চাইবে। ওটার দাম কত? ওরে বাবা, ভাঁড়ে তো মা ভবানী।)


          পেটে প্রচণ্ড ব্যথা করতে লাগল। আর সহ্য করতে পারলাম না। পাউরুটির কাউন্টারের দিকে পেছন করে উল্টো পায়ে বেরিয়ে এলুম। সোজা গিয়ে সেমিনার হলে ঢুকে হাঁফাতে লাগলাম। সেখানে শাস্ত্রীয় খাদ্যাখাদ্যের চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণে ব্যস্ত সবাই।


          বিবাগী হয়ে যাবো, নাকি ছদ্মবেশ নেব - ভাবতে ভাবতে পরদিন আবার সেই জায়গাতেই পুনরাগমন। সেই ডাইনিং হল, সেই কোণের টেবিল, সেই বেগুন সেদ্ধ। আরে সেই টোস্টার কাম প্রিন্টারটাও তো দেখছি রয়েছে। দিব্যি তাগড়া। নতুন নাকি? খালি তার পাশে একটা নোটিশ ঝুলছে। ইংরেজিতে লেখা - "দয়া করে গোল বান টোস্ট করবেন না"।


    অনুসরণকারীরা সেই থেকে আমায় আর অনুসরণ করে না। ফিকফিকিয়ে হাসে। আমিও প্রিয়া কে ছেড়েছি। এখন দোকানে সাজানো দেখলে তার নরম তুলতুলে গায়ের কথা মনে পড়ে না, বরং তার মুখের অসংখ্য ছিদ্রের কথা মনে পড়ে। 


    একটি প্রেমের নিদারুণ মৃত্যু হল।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অপর বাংলা | ২৩ জুলাই ২০২০ | ৩৯৭৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    দরজা - gargi bhattacharya
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rumela Saha | ২৪ জুলাই ২০২০ ১০:২২95457
  • দারুন

  • AP | 2401:4900:1043:d29f:31ba:d2fa:7ccf:***:*** | ২৪ জুলাই ২০২০ ১৫:০৮95459
  • সেঁকা পাউরুটির মতই মুচমুচে ও সুস্বাদু !
  • বিপ্লব রহমান | ২৪ জুলাই ২০২০ ১৬:৩৪95463
  • হা হা হা :))  অনেকদিন এমন সরল রম্য পড়িনি। ব্রেভো      

  • de | 59.185.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২০ ১৯:১৮95612
  • ঃ-))))))
    দারুণ!
  • S | 2001:bc8:1840:1519::***:*** | ২৯ জুলাই ২০২০ ০৩:৫৬95646
  • আহা। আটার রুটি আর আলু-কুমড়োর ছেঁচকি শুনে চোখে জল এসে গেল। এই খাবার সারা দুনিয়ার লোক খেলে যুদ্ধ দাঙ্গা সব বন্ধ হয়ে যেত।
  • বিতস্তা ঘোষাল | 150.129.***.*** | ০১ আগস্ট ২০২০ ০১:৫৮95777
  • বেশ মজার। ভালো লেখা 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন