এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • একটি প্রায় বিলুপ্ত আদিবাসী উৎসব

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ০৩ মে ২০২০ | ৩৬৭৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)


  • [ওই ছ্যাড়া তুই কই যাস, কালা গেঞ্জি গতরে?/ছেমড়ি তুই চিন্তা করিস না, আয়া পড়ুম দুপুরে/ হা রে রে, হা রে রে, হা রে রে…ভাবানুবাদ, গারো লোকসংগীত “রে রে”।]

    আমি ইতিহাসের কথা বলছি…
    বাংলাদেশের নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুরের গারো পাহাড়ের পাদদেশে এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরের বিস্তৃর্ণ শালবনে গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বাস। তারা অনেকেই নিজেদের “আচিক মান্দি” বা “পাহাড়ি মানুষ” পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। ভিন্ন ভাষাভাষী গারোদের রয়েছে সমৃদ্ধশালী ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য। প্রাচীন ইতিহাস বলছে, জুম চাষ (পাহাড়ের কোলে বিশেষ চাষাবাদ), শিকার, যুদ্ধ-বিগ্রহ, বিভিন্ন উৎসব, নাচ-গান, বয়ন শিল্প, লোককথা, ভেষজ চিকিৎসা ইত্যাদি গারো সংস্কৃতির এক সময়ের গৌরবের বিষয় হলেও কালক্রমে সবই এখন প্রায় ধূসর অতীত।

    কিছুদিন আগে গারো আদিবাসী লেখক সঞ্জিব দ্রং আলাপচারিতায় এই লেখককে জানাচ্ছিলেন, প্রায় ১২৫ বছর আগে গারোরা আদি ধর্ম প্রকৃতিপূজা (সাংসারেক) ছেড়ে দলে দলে খ্রিস্টান হতে শুরু করেন। সে সময় গারোদের হাজার বছরের প্রাচীন সাংসারেক ধর্মটি বিপন্ন হয়ে পড়ে, একই সঙ্গে গারোদের ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা উৎসবও পড়ে হুমকির মুখে।

    সঞ্জিব দ্রং এর এই বক্তব্যকে সমর্থন করে প্রকৃতি ও আদিবাসী গবেষক, বন্ধুজন পাভেল পার্থ জানান, ১৯৫০ সালে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ত্ব আইন কার্যকর করলে সে সময় সব খাস জমি, জলা ও জঙ্গলের ওপর সরকারি দখল কায়েম হয়, সমস্ত প্রাকৃতিক বনাঞ্চলকে বন বিভাগ সংরক্ষিত বন হিসেবে অধিগ্রহণ করে। একই সময় বন বিভাগ গারো পাহাড়ের পাদদেশে জুম চাষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
    পাভেল বলেন. জুম চাষ নিষিদ্ধ ঘোষণা ও কাছাকাছি সময়ে ধর্মান্তরিত হওয়ার ঝোঁক গারো সমাজের প্রাচীন রীতি-নীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেই ফেলে হুমকির মুখে। গারোদের প্রধান দুটি পরব– জুম চাষের বীজ বাছাই উৎসব “রংচুগালা” ও জুমের ফসল তোলার নবান্ন উৎসব “ওয়ানগালা”ও বিলুপ্তির মুখে পড়ে।



    মধুপুরের শেষ সাংসারেকরা…
    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মধুপুর ও বৃহত্তর ময়মনসিং অঞ্চলে কোনো রকমে এখনো অল্প কয়েক ঘর সাংসারেক বা আদি ধর্মের অনুসারী গারোরা টিকে আছেন। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, খ্রিষ্ট রাজার প্রবল প্রতাপ, দাতাগোষ্ঠী গির্জা ও আধুনিকতার আগ্রাসনের ভেতরেও প্রাচীণ উৎসব, রীতি-নীতি ধরে রাখার।

    মধুপুরের তরুণ গারো সংগঠক, বন্ধুবরেষু আন্তনী রেমা নিজেও সাংসারেক ধর্মের অনুসারী। আদিবাসী গানের দল “মাদল” এবং পাঠচক্রগ্রুপ “চানচিয়া” (চিন্তা)-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

    বেশ কিছুদিন আগে এসব নিয়ে আন্তনীর সাথে আলাপচারিতা হয় মধুপুরে ওদের গ্রাম জালিচিড়ার আঙিনায়। সেটি ছিল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ, সাংসারেক ধর্মাবলম্বী গারোদের প্রায় বিলুপ্ত কৃষি উৎসব “রংচুগালা”র সকাল। আন্তনীর কথোপকথনের ভেতরেই শালবনের কোলে শান্ত ফসলের ক্ষেত, পারিপাটি মাটি ঘর-দুয়ার, আদিবাসী গ্রামের পর গ্রাম, ছোট্ট পাহাড়ি ছড়া, গাছ-গাছালি পেরিয়ে দূর থেকে ভেসে আসে সম্মিলিত ঢোল, সিঙ্গা, ঘন্টা আর উল্লাস ধ্বনী। …

    আন্তনী রেমা বলেন, “রংচুগালা হচ্ছে গারোদের বীজ বাছাইয়ের উৎসব। আর কিছুদিন পরেই শাক-সব্জি লাগানোর সময়। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে রংচুগালা শুরু হচ্ছে। এখন যে বীজ বপন করা হবে, তা প্রত্যেক বাড়ি থেকে বাছাই করা হবে। এটি সাংসারেক গারোদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। আর প্রথম বৃহত্তম উৎসব হচ্ছে, নবান্ন উৎসব, ওয়ানগালা। এই বীজ বপন করার পর প্রথম যে ফসল ঘরে উঠবে, তা শষ্য দেবতাকে উৎসর্গ করা হবে ওয়ানগালা উৎসবে।”

    “এই পূজা, উৎসব, আচার ইত্যাদি কতো হাজার বছরের প্রাচীন, তার কোনো লিখিত ইতিহাস নেই। আর শুধু মধুপুরেই গারোদের বসবাস ৭০০ বছরের বেশী সময় ধরে।…এক সময় রংচুগালায় যে বীজ বাছাই করা হতো, তা সবই ছিল জুম চাষের উপযোগী। কিন্তু বহু বছর জুম চাষ নাই, তাই এখন রংচুগালা করা হয় প্রতীকি উৎসব রূপে। বন বিভাগ জুম চাষ নিষিদ্ধ করার পরেও কিছু কিছু জুমচাষ কিন্তু হয়েছে। যেমন, খুব ছোটবেলায় গ্রামের ক্ষেতেই আমি জুমের ধান চাষ হতে দেখেছি। যতদূর মনে পড়ে, দু-তিন বছর আমরা জুম ধান চাষ করতে পেরেছি। ব্যক্তি জীবনে এ-ও এক সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ গারো জীবনের জুম ইতিহাসের শেষ সময়টা অন্তত আমি পেয়েছি। আর খুব কষ্টের বিষয় এই যে, আমার পরের প্রজন্মের কারো আর জুম চাষ দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে না।”…

    আন্তনী বলে চলেন, “রংচুগালার আয়োজন ক্রমেই কমে আসছে, সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। এর কারণ, সাংসারেকরা ধর্মান্তরিত হচ্ছেন, বা খ্রিস্টান হচ্ছেন, এমন নয়. সাংসারেকদের যে প্রবীন প্রজন্ম এই রীতিনীতি পালন করেন, তারা প্রত্যেকেই অনেক বয়স্ক, তাদের বয়স ৭০ বা ৮০ বছর। প্রতি বছরই একজন-দুজন করে তারা মারা যাচ্ছেন। সাংসারেক ধর্মটি এমন নয় যে, কাউকে দীক্ষা দেওয়া যায়। তাকে আসলে জন্মগতভাবেই সাংসারেক হতে হয়। আবার অনেকে নতুন করে খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। শিক্ষিত নতুন প্রজন্মের অনেকেই মনে করেন, সাংসারেক ধর্মের পাহাড় পূজা, প্রেত পূজা, দেবতা পূজা ইত্যাদি রীতিনীতি কুসংস্কার, অবিজ্ঞান, তাই এ ধর্মের প্রতি তাদের অবজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এর পরেও ঐতিহ্য হিসেবে রংচুগালার সংস্কৃতি এখনো আচার হিসেবে টিকে আছে।”।



    যীশুর ক্রস যীশুকেই বহন করতে হয়েছে

    “আবার দেখুন, ওয়ানগালা উৎসব, সেটিও খুব সীমিত পরিসরে পালন করা হচ্ছে। আবার দেখুন, ঢাকায় বড় আয়োজন করে যে ওয়ানগালা হয়, আমি বলবো, একটি গোষ্ঠি, খ্রিস্টান ধর্মের অংশ হিসেবে ওয়ানগালা পালন করে। এখন সেটির নাম দেওয়া হয়েছে, খ্রিস্ট রাজার পরব!”, যোগ করেন আন্তনী রেমা।…

    “কিন্তু এর সঙ্গে খ্রিস্ট রাজার কোনো সম্পর্কই নাই। প্রশ্ন আসে যে, এক ধর্মের জন্য যে পূজা বা প্রার্থনা, সেটা আরেক ধর্ম প্রধানের জন্য কিভাবে হতে পারে? ঈদ কখনো যীশুর জন্য হতে পারে না, দুর্গা পূজা কখনো মোহাম্মদের জন্য হতে পারে না। …নেত্রকোনার দুর্গাপূরে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ানগালার আয়োজন করেন একজন গারো ফাদার। খ্রিস্টিয় ধর্মগুরুরা নতুন করে এটি চালু করলেও তারা আসলে চেয়েছিলেন, আদিবাসী সংস্কৃতিটুকু টিকে থাক। কিন্তু সেটি করতে গিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভুল ব্যাখ্যাটিই গেল যে, এটি খ্রিস্ট রাজার পরব। মিসিসাল জং নামক শষ্য দেবতার পরবটি এখন ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলে ওয়ানগালায় এভাবেই উপস্থাপিত হচ্ছে।…”



    আন্তনী আরো বলেন, “ওয়ানগালা হচ্ছে শষ্য দেবতা মিসিসালের নামে শষ্য উৎসর্গ করার উৎসব, নাচগান, পানাহার। আমি নানি-নানাদের কাছে শুনেছি, ওয়ানগালা ছিল সব বয়সীদের মিলন মেলা। অনেক তরুণ-তরুণীরা সে সময় ওয়ানগালায় সমবেত হতেন। গানে গানে পরিচয়, আবার প্রনয়ও হতো। দেখা যেত, বেশীরভাগ সময় গারো তরুণ-তরুণীরা ওয়ানগালার সময় নিজের পছন্দের মানুষকে বেছে নিত।”

    রংচুগালার পর্বগুলো কী? এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তনী রেমা বলেন, “সংনকমা (গ্রাম প্রধান) এর বাড়িতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপর গ্রামের যে সব সাংসারেক পরিবার আছে, সেখানে বীজ বাছাইয়ের মন্ত্রপ্রাপ্ত ওঝা ও বাদক দল সে সব পরিবারে একে একে যাবেন। আর সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এই দলটিকে সাংসারেক পরিবারটি চু (ঐতিহ্যবাহী গারো পানীয়, ভাতের রস) এবং সাথে মোরগের মাংস বা শুকরের মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করবে। এসব পানাহারের পরে বাদক দল যুদ্ধের একটি নৃত্য করবে। বাজনার তালে তালে সেই নৃত্য করা হবে। তারপর বীজ বাছাইয়ের ছোট্ট একটি আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপর ওঝা ও বাদক দল একের পর এক সাংসারেক ধর্মের সব বাড়িতে যাবেন, একই আচার-রীতি পালিত হবে। আর বীজ বাছাই পর্বে লা্উ বা কুমড়ো ফেড়ে দেখা হয় যে, বীজের মান কেমন। বর্ষিয়ান ওঝারা বলে দেবেন, বীজ কোনটা ভাল বা ভাল নয়।”


    সেই রাম নাই, অযোধ্যাও নাই

    এরপর আন্তনী কথিত ওঝা ও বাদক দলের সাথে ঘুরে ঘুরে এ গ্রাম সে গ্রাম রংচুগালা উৎসব দেখা হয়। বিভৎস গরমে ঘেমেনেয়ে মাটির ঘরের বারান্দায়, খড়ো ছাউনি বা কাঁঠাল গাছের ছায়ায় বেণ্চ ও চেয়ার পেতে প্লাস্টিকের গ্লাসে চু, কলা পাতায় ভাত, সব্জি, শুকরের মাংস ও ডাল হচ্ছে উৎসবের আপ্যায়ন। দেখা যায়, রান্নার স্বাদ ষোলআনা বাঙালিয়ানা থেকে যথেষ্টই ভিন্ন। আবার চাকমাদের রান্নার সঙ্গে অনেক মিল, তেল-মশলা প্রায় নাই, সেদ্ধই বেশি, শুটকি/সিঁদোলের উপস্থিতি নাই একেবারেই।

    তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর এই যে, রংচুগালা উৎসবেও ওঝা, বাদক দল ও উৎসবের মানুষ সাংসারেকরা কেউই ঐতিহ্যবাহী সাজ-পোষাক পরেননি (পাহাড়ে আবার চাকমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব “বিঝু”তে ঠিক এর বিপরীতটিই দেখা যায়)!

    আরো বিস্ময়কর ওঝাদের সঙ্গে যে বাদক দল ঘুরে ঘুরে যুদ্ধের নাচগান করেন, তারা ইস্পাতের তলোয়ার ও বেতের ঢালের অভাবে দুই থণ্ড লাকড়ি দিয়ে যুদ্ধের নাচটি সারেন! গারো বা মান্দিদের সহস্র বছরের প্রাচীন যুদ্ধের নাচ আগে দেখার সৌভাগ্য হওয়ায় ঘাটতিটুকু সহজেই চোখে পড়ে। …

    এরকম ছোটবড় মারাত্নক ত্রুটির ভেতরেও আন্তনী রেমার মত তরুণ বুদ্ধিজীবীর দল আদিবাসী ঐহিত্য নিয়ে ভাবেন, মিছিলে, শ্লোগানে, গানে আদিবাসী অধিকারের সংগ্রাম করেন, এ-ও বা কম কী?



    *আন্তনী রেমার পুরো কথোপকথনের ভিডিও ক্লিপ এখানে :

    ছবি ও ভিডিও ©: লেখক

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অপর বাংলা | ০৩ মে ২০২০ | ৩৬৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | 162.158.***.*** | ০৩ মে ২০২০ ২১:৪৮92960
  • বিপ্লব একটা অসাধারণ কাজ করছ। এইসব অনুষ্ঠান, রীতিনীতিগুলি ডকুমেন্টেড করে রাখাটা খুব জরুরী। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তোমার কাছে ঋণী থাকবে
  • কিংবদন্তি | ০৩ মে ২০২০ ২১:৫৬92961
  • ভাই, সঞ্জীব দ্রঙের বাড়ি আমাদের শেরপুর শহর থেকে একটু দূরে। ঘুরতে ঘুরতে গেছিলাম একবার উনার বাড়িতে। বাড়িতে ছিল না তাই দেখা করতে পারি নাই। শেরপুরের গারোদের অবস্থা খুব খারাপ এই করোনার সময়ে। ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক, আমার পরিচিত এক ছোট ভাই একটা প্রতিবেদন করতে গেছিল ওদের ওখানে।ও গিয়া তো হতবাক!  কেউ ওদের কিচ্ছু জানায় নাই এই ব্যাপারে। কিসের করোনা কিসের কি! কিছুই জানে না ওরা। এখন তো কেউ যাইতেও পারছে না। ত্রাণ পাচ্ছে কিনা কে জানে! 

  • বিপ্লব রহমান | ০৩ মে ২০২০ ২২:৩৯92966
  • রৌহিন দা, 

    পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।  ঋণের বিষয় জানি না,  মানবিক দায় শোধের চেষ্টা বলতে পারো। 

    আগামীতেও সাথে  থেক। 

    সাদেকুজ্জামান, 

    জেনে মন খারাপ হলো।

    জেনেছি, বাগাছাস (বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংসদ), মাদল -- এ জন্য  কিছু চাঁদা সংগ্রহ করছে।

    অন্যান্য সংগঠনগুলো দেশের সব আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলেও চাঁদা সংগ্রহ করে দুস্থদের ত্রাণ সাহায্য করছে। 

    তবু  শেরপুরের বিষয়ে নিজস্ব সূত্রে খবর নেব।  আপনাকে ধন্যবাদ      

  • Prativa Sarker | ০৩ মে ২০২০ ২৩:১৮92970
  • রৌহিণের সঙ্গে সহমত। এই লেখাগুলো আদিবাসী সংস্কৃতির দলিল, রীতিনীতির অসাধারণ ছবি। বিপ্লব রহমানকে অনেক ধন্যবাদ ! 

  • ইশরাত তানিয়া | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০২:১২92985
  • কত অজানারে জানছি। আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী কত উৎসব, লোকাচার হারিয়ে যাচ্ছে। পূজা পার্বণের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বদলে যাচ্ছে।  তবু লেখায় আর ভিডিও লিঙ্কে যদি কিছুটা এর টিকে থাকে। সেটাও এক মহৎ উদ্যোগ। লেখককে ধন্যবাদ। কলম চলুক।

  • বিপ্লব রহমান | ০৪ মে ২০২০ ০৪:৪৩92987
  • প্রতিভা দি, 

    তোমারই আদর্শের পথে এই যাত্রা।  একদিন  নিশ্চয়ই তোমার মতো করে লিখবো।  আশির্বাদ রেখ। 

    করোনা শহীদ না হলে আগামী কলকাতা বইমেলায় দেখা হবে দিদি।     

    ইশরাত, 

    আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। নিশ্চয়ই আপনারও সরেজমিন এই সব অভিজ্ঞতা হবে। তখন হয়তো আরো অনেক প্রান্তজনের সুখ, দুঃখ, অধিকারের কথা উঠে আসবে ধারালো লেখনিতে।  শুভেচ্ছা 

    ** 

    লেখায় অনেক চেষ্টা করেও তিনটি ছবির মধ্যে দুটিই প্রকাশ্য হলো না!                        

  • ধীমান মন্ডল | ০৪ মে ২০২০ ১৯:০৯93020
  • জুম চাষ সম্পর্কে শুনেছি আগে  বিস্তারিত জানার লোভ হচ্ছে। 

  • ঝর্না বিশ্বাস | ০৪ মে ২০২০ ২১:১৩93024
  • অনেক কিছুর সাথে পরিচয় হলো। অসম্ভব ভালো একটি তথ্য সম্পূর্ণ লেখা। ভিডিও গুলোর যোগ আলাদা মাত্রা এনেছে। 

    খুব ভালো লাগলো। 

  • বিপ্লব রহমান | ০৪ মে ২০২০ ২১:৫৫93027
  • ধীমান, 

    খুবই স্বাভাবিক, এমন প্রাচীন সামাজিক চাষবাস আদিবাসী সমাজেই আছে। একদা জুম চাষের আদ্যপ্রান্ত  নিয়ে গুরুতে সরেজমিন নোট  লিখেছিলাম,  অনুগ্রহ করে চণ্ডালের নামের ওপর ক্লিক করে খুঁজলেই লেখাটি পেয়ে যাবেন আশাকরি। শুভ 

    ঝর্ণা,

    আগ্রহের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।    

                 

  • বিপ্লব রহমান | ০৬ মে ২০২০ ১৪:০৫93062
  • পুনশ্চঃ অনেক কসরতে লেখায় তিনটি ছবিই সংযুক্ত করতে পেরেছি।  :)

  • Dipen Bhattacharya | ১১ মে ২০২০ ১২:০৮93179
  • লেখাটি পড়ে ভাল লাগল, বিপ্লব রহমান। আপনি বহুদিন ধরে এই কাজটি করে আসছেন। ধন্যবাদ। 

  • বিপ্লব রহমান | ১১ মে ২০২০ ১৬:৫০93186
  • দীপেন দা, 

    আপনার বিনীত পাঠে আমি সন্মানিত।  শুভ     

  • বাহহ | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২০:০৭93220
  • কত অজানারে...

    বাংলাদেশে জুম চাষ নিষিদ্ধ?
  • বিপ্লব রহমান | ১৪ মে ২০২০ ১১:৫২93305
  • আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।     

    বৃহত্তর ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর অঞ্চলে গারো পাহাড়ের এপারে এবং টাংগাইল মধুপুর হয়ে গাজীপুর ভাওয়াল গড় অঞ্চলে বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জুম চাষ ও শিকার নিষিদ্ধ অনেক বছর।

    ফলে এসব অঞ্চলের পাহাড়ে, টিলায় ও বনাঞ্চলে বসবাসরত  গারো, কোচ, হাজং, বর্মনসহ অন্যান্য আদিবাসীরা জুম ও শিকারের ঐতিহ্য হারিয়েছেন।  এ লেখাতেও সে কথা বলা হয়েছে। 

    আবার দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বনভূমির বাইরে আদিবাসী পাহাড়িদের জুম চাষ ও সীমিত পরিসরে শিকারের অনুমতি আছে। বলা ভাল,  পার্বত্যাঞ্চলের প্রধান উৎপাদনই হচ্ছে জুম চাষ। 

    ভাল থাকুন                   

                          

  • আসমা বীথি | 103.***.*** | ২২ মে ২০২০ ২২:১৪93566
  • এ-অঞ্চল খুব চেনা। আপনার লেখা-ছবির মধ্য দিয়ে আবার নতুন করে দেখলাম। ভাল প্র‍য়াস নি:সন্দেহে। একটা ব্যাপার বুঝতে পারিনি। জন্মগতভাবে সাংসারেক না হলে কি কেউ সাং সারেক ধর্মের অনুসারী হতে পারে না?  কৌতূহল মেটাবেন আশা করি।

  • বিপ্লব রহমান | ২৩ মে ২০২০ ১৭:২৬93580
  • বীথি, 

    আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আমি সন্মানিত। মধুপুরেই আরেকবার গারোদের নবান্ন উৎসব "ওয়ান গালা" য় বোধহয় ক্ষণিকের জন্য দেখা।  

    যতদূর জানি, সাংসারেক ধর্ম কেউ নিতে পারেন না, যদি না তিনি জন্ম সূত্রে সাংসারেক (এবং অবশ্যই আচিক মান্দি) না হন,  এই ধর্মে কাউকে দীক্ষা দেওয়ার বিধান নেই। এটি অনেকটি সনাতন ধর্মের মতো,  যা হিন্দু ধর্ম নামে বেশী পরিচিত। 

    আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। মধুপুরের ওপর আপনার ভিডিওগ্রাফি ও ডকুমেন্টশন দেখার বাসনা রাখি।  শুভ       

                    

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন