SB কে একটু ডিটেলে, ৫০০ গ্রাম মাংসের জন্য আমি যা যা দিই,
তিনটে পেঁয়াজ, চার-পাঁচ কোয়া রসুন, দেড় ইঞ্চি আদা, চার-পাঁচটা কাঁচালংকা, একটা শুকনো লংকা। দেড়খানা পেঁয়াজ একটু মিহি করে কুচিয়ে রাখুন। বাকি রসুন, পেঁয়াজ, আদা, ইত্যাদী বড় বড় পিসে কেটে অল্প একটু তেলে ভেজে নিন। ঠান্ডা করে বেটে ফেলুন মিক্সিতে। মাংস আগে থেকে অল্প একটু টক দই,নুন-হলুদ, অল্প টোম্যাটো-পিউরি, দেড় tsp করে জিরে-গুঁড়ো আর ধনে-গুঁড়ো আর অল্প সর্ষের তেল মেখে রাখবেন। তারপর যদি হাতে এট্টু বেশী টাইম থাকে তাইলে ঐ যে মসলাটা বেটে ফেল্লেন ওটা মাংসের মধ্যে মাখিয়ে দিয়ে খানিকক্ষণ টাইম ম্যারিনেশনের জন্য রাখুন। না থাকলে অবশ্য ডাইরেক্টও করতে পারেন।
প্যানে তেল গরম করে, কুচনো পেঁয়াজ ভেজে ফেলুন, তারপরে মাখা মাংসটা দিয়ে কষে জল বেড়োলে কম আঁচে চাপা দিয়ে দিন। জল শুকিয়ে মাংসের গা ছেড়ে যখন তেল বেড়োবে, একবার দেখে নিন সিদ্ধ হলো কিনা মাংস। মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে এলেই চলবে, কারণ আরেকবার চালের সাথেও সিদ্ধ হবে। তবে ডাউট থাকলে পুরো ই সিদ্ধ করুন। পুরো মসলাটা শুকনো শুকনো হয়ে মাংসের গায়ে লেগে যাবে, এইভাবে নামিয়ে রেখে দিন পাশে। (আমার যখন তাড়া থাকে আমি মাংস অল্প কষে মাইক্রো-তে চালিয়ে দি, মিনিট দশ/পনেরো পরে হয়ে যায়, তবে ভালো ভাবে করতে হলে গ্যাসে/হিটারে অল্প আঁচে করাই ভালো)
এরপর তেল/ঘি (হৃদয়ে ভয় না থাকলে) গরম করুন। তেজ্পাতা, চারটে লবংগ, চারটে ছোট এলাচ, একটু দারচিনি আর অল্প এক পিস জয়িত্রী ফোড়ন দিন। কাজু-কিসমিস ভেজে নিন। এরপর চাল দিয়ে অল্প ভেজে, মাংসটা দিয়ে একটু নেড়ে নেবেন, সাবধানে, যেন চাল ভেঙ্গে না যায়! অল্প একটু জায়ফল গুঁড়ো দিতে পারলে ভালো হয়। পুরো ব্যাপারটা বেশ মাখা-মাখা হবে, ঝোল-ঝোল নয়। তারপর এটাকে বোলে ঢেলে, জাফরান মেশানো দুধ্টা দিন, গরম-মসলা গুঁড়ো দিন, বিলাসিতা চাইলে অল্প একটু কেওড়া এসেন্সও দিতে পারেন। এরপর জল দিন মেপে, মোটামুটি পুরো চাল ডুবিয়ে, চালের উপর থেকে এক ইঞ্চি-খানেক। জলের ব্যাপারটায় একটু অপ্টিমাইজেশনের ব্যাপার আছে। ওটা কয়েকবার করলে ঠিক হবে! তারপর একটু-খানি লেবুর রস দিন (আধখানা দিলেই হবে)। এরপর মাইক্রোতে দশ/পনেরো মিনিট। একটু নজর রাখতে হবে, জল শুকিয়ে আসছে মনে হলে মাঝখানে একবার একটু গরম জল অ্যাড করা যেতে পারে। তাই আগে থেকে একগাদা জল না দেওয়াই ভালো।
নামিয়ে নিয়ে ওপরে পেঁয়াজ-ভাজা ছড়িয়ে পরিবেশন করা যায়। মোটামুটি এই একই পদ্ধতিতে বহু কিছু করা যায়। চিংড়িমাছের পোলাও, বা পনিরের পোলাও করতে চাইলে, ঐ আগের কষানোর ঝামেলাও নেই। ডাইরেক্ট ফোর্থ প্যারায় চিংড়ি ভাজা বা ভাজা পনির অ্যাড করুন। ও হ্যাঁ, চিনির কথা লিখিনি, পছন্দ হলে ওটাও একটু দেওয়া যায়।
দেখেছিলেন কিনা দেখিনি। কড়ে আঙুলের পাশেরটা পটাং করে পুরো উল্টোমুখো হওয়ায় অন্য দিকে চোখ যায়নি। কাজেই কিসু হবার নয়। আর এমনিতেই এই বিয়ে ব্যাপারটিতে আমার অ্যান্টিপ্যাথি আছে। খুব কী দরকার?
byaang | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৪৭ | 122.178.229.224
কুমুদি, হ্যাঁ, তিনি লুরুতে। আমার ভাই তো মাস খানেক হল দিল্লিতেই থাকছে। প্রথমে জে এন ইউর হোস্টেলে আর এখন মালবীয়নগরে একটা ছাদের ঘরে। একদিন তিনি সিকিদাদার পাড়ায় গিয়ে সিকিদাদাকে জ্বালিয়ে অতিষ্ঠ করে এসেছেন।
বিভীষণ কোথায়?লুরুতে? তোমার ভাই দিল্লী আসবে বলেছিলে না?
kumu | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৪৩ | 122.176.32.39
ভিসি,আপনি/তুমি সাইকেল বেয়ে যেতে যেতে যাঁকে দেখে আঙুল ভেঙে ফেল্লে/ন,তিনি কি তোমার/আপনার দুরবস্থা দেখতে পেয়েছিলেন? উত্তর হ্যাঁ হলে, তার্পর কী কী হোলো? উত্তর না হলেও,তার্পর কি কিছু হবে?
byaang | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৮ | 122.178.229.224
কুমু দি থ্যাংকিউ। আজ সারাদিন ধরে এসব ভালোমন্দ খাবারের কথা মনে পড়বে আর মনটা হুহু করবে। তবে টেনশনবিহীন দিনরাত্রিগুলো আমার সত্যি সত্যিই খুব দরকার।
vc | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৬ | 121.241.218.132
মাইরি এসব দেখেও যে বে করে তার ভবিষৎ অন্ধকার। দিল্লীর লাড্ডু এরকম হলে খাবো না, ধুস।
kumu | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৫ | 122.176.32.39
সুচেতনা,আনন্দভরা জন্মদিন খুব খুব শুভ হোক,অনেকবার ফিরে আসুক। এইযে,রাত জেগে বানালুম-ইলিশ ভাপা,চিংড়ীর মালাইকারী,পুলিপিঠে,নতুনগুড়ের পায়েস। উপহার-অনেক রংগন ফুল আর অনেক টেনশনবিহীন দিনরাত্রি।
kc | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৩ | 178.61.96.29
ওদের বাড়িতেতো আবার পায়েসে নঙ্কা দ্যায়। তা জন্মদিনে ক্ষি আর ঝাল খাওয়া ভাল? বরঞ্চ কিছু ডার্ক চকোলেটই খাক।
byaang | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩২ | 122.178.229.224
ঘোড়াড্ডিম। তেনার মনে আছে ঠিক-ই, তবে হঠাৎ করে উইশ করতে এলে প্যাঁচালো কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, সেই ভয়ে তিনি উইশটুকু শুদ্ধু করেন নি। আমি অবিশ্যি সবই নোট রাখছি। এই এস্কেপিজমের শেষ দেখে ছাড়ব।
Bratin | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩০ | 122.248.183.1
বর কে বল পায়েস রেঁধে খাওয়াতে।
kc | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৫ | 178.61.96.29
বেঙি, বিভীষণ কি দিল?
siki | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২১ | 123.242.248.130
চিংড়ির চপটা আমি আগেই দিয়ে দিয়েছি না?
byaang | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২১ | 122.178.229.224
ভেটকির ফ্রাইও ভালোবাসি অবিশ্যি। ও দে, তোমার সেই একটা ফাঁকিবাজির মাইক্রো বিরিয়ানির রেসিপি ছিল না, সর্ষেবাটার টইয়ে একটু লিখে দেবে? বা আগে থেকেই লেখা থাকলে একটু খুঁজে দেবে? তা বলে কেউ যেন না ভাবে, আমি নিজের জন্মদিনে নিজে বিরিয়ানি বানিয়ে খাচ্ছি, আজ আমি কড়ে আঙুলটিও নাড়াচ্ছি না। সন্ধ্যেবেলায় ছেলে অঙ্ক করবে, আর আমি শীর্ষেন্দু পড়ব। খুব খিদে পেলে দোকান থেকে আনিয়ে নেব।
byaang | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১৮ | 122.178.229.224
পাই, চাইবটা কী, তাই তো ভেবে পাচ্ছি না।
byaang | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১৭ | 122.178.229.224
ছিঃ, কী স্বভাব, জন্মদিনেও বক দেখাচ্ছে! মোটেও থ্যাংকিউ বলব না ওটার জন্য। তবে চিংড়ির বড়া পেয়ে খুশি হলাম।
byaang | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১৬ | 122.178.229.224
লুরুবাসীদের জন্য একটা খবর। রেসিডেন্সি রোডের ক্রসোয়ার্ড থেকে একটু আগে ফোন করে বলল, রেসিডেন্সি রোডের দোকানটা উঠে মালেশ্বরমের মন্ত্রী স্কোয়ার মলে চলে যাচ্ছে।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন