এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বিতীয় দিন! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ আগস্ট ২০২৪ | ৪১৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সরকারহিন অবস্থার সময়ের একটা ঘটনা শুনলাম আজকে। দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে। দোকানের পাশেই দোকান মালিক পরিবার নিয়ে থাকে। আগুন বাড়ছে, সবাই তাদেরকে ডাকছে, নাম ধরে চিৎকার করে ডাকছে। কেউ গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। আর যারা ভিতরে আছে তারা ভাবছে তাদেরকে মারার জন্য ডাকছে। কেউ বের হয় না, সাড়াশব্দও করে না। কি ভয়ানক অবস্থা একবার ভাবুন! বাঁচাতে চাচ্ছে তাদেরকে কিন্তু কোন উপায় নাই। কারণ তারা এমন ভয় পেয়েছে যে মরে গেলেও দরজা খুলবে না! শেষে দোকানের এক কর্মচারি গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিছে, বলছে যে খুলেন আমি অমুক। নিচে আগুন লাগছে, এখন বের না হলে সবাই এক সাথে মরবেন! এইটা শোনার পরে তারা নামছে। দোকানদারের স্ত্রী একজন গাইনি ডাক্তার, আমাদের সম বয়সই, আমরা এসএসসি একই ব্যাচের। আমার সাথে সরসরি পরিচয় নাই। কিন্তু ও এত ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রী ছিল যে ওকে সবাই চিনত। চোখের সামনে এমন একজন নারী বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে জাস্ট পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছিল! ও প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে, কবুতরের বাচ্চার মতো থরথর করে কাঁপছিল। না, ওর স্বামী আওয়ামীলীগ করত না, সংখ্যালঘুও না যে রাস্তার পাশের বাড়ির কলিং বেলের মতো যার যখন ইচ্ছা গুঁতা মেরে যাবে কেউ! দুইজনে ভালো কামাই করত এইটা যা দোষ!

    অরাজকতার শেষ নাই। বরিশালে বাড়ি আমার এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা হল আজকে। ও আবার সংখ্যালঘু পাপে পাপিস্ট এই দেশে। তো গণ্ডগোলের পরে এক বিএনপি নেতা ওদের কাছে গিয়ে হাজির। কী হইছে? ওদের দোকান এই নেতা এক সময় ভাড়া নিয়ে চালাত। নয় মাস আগে এই দোকানে চুরি হয়, দোকান থেকে ৩০ হাজার টাকা চোর চুরি করে নিয়ে যায়। এখন, এতদিন পরে এই লোক এসে বলছে তার চুরি যাওয়া ত্রিশ হাজার টাকা আমার বন্ধুদের দিতে হবে! মানে কিসের সাথে কী মিলানো হচ্ছে তার কোন ঠিক নাই। নয় মাস আগে কে চুরি করছে না করছে ওইটার দায় এখন দোকান মালিকের মিটাতে হবে? মানুষ মামা বাড়িতেও সম্ভবত এমন আবদার করে না! কিন্তু এখন এমনই চলছে।

    আমি খুব চেষ্টা করছি যে ভালো কিছু বলার। ছাত্ররা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের কাজ করছে, ভাবছি এইটাই লিখব। কিন্তু একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখি সবাই খুব প্রশংসা করছে এই কাজের কিন্তু তা শুধু অনলাইনেই। অফলাইনে গালি দিতে বাদ রাখছে শুধু। আমার এই বরিশালের বন্ধুর সাথে কথা বলার সময়ই জানতে পারলাম। ও ঢাকায় চাকরি করে। বলল কেউ কিচ্ছু বলছে না ওদের, এখন ওদেরকে একটু ভয়ই পাচ্ছে সবাই। সবাই বুঝছে যে এরা রাস্তা সামাল দিতে পারছে না, প্রচণ্ড জ্যাম তৈরি করছে। কিন্তু কেউ কিচ্ছু বলছে না। ও বলল যে রাস্তা ১৫/২০ মিনিটে যাই ওইটা এক ঘণ্টা ধরে বসে আছি! আমি ভালো কিছু বলতে পারছি কই? চট্টগ্রামে বিশাল মানুষের ঢল নেমেছিল গতকাল। সনাতন ধর্মীরা সবাই মনে হয় রাস্তায় নেমে আসছিল। আর অত্যাচার নিতে পারছিল না। কিছু হলেই কোন কারণ ছাড়াই তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে আর সবাই তা মেনে নিবে, এবার তা হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ইউনুস সাহেব এখন পর্যন্ত এগুলা বন্ধের ব্যাপারে কার্জকরি কোন উদ্যোগ নেয় নাই। হাওয়া দিয়া থামবে? সব এমনে এমনেই হয়ে যাবে?

    আজকে এক জেন জি উপদেষ্টা তো ইতিহাস করেই ফেলছে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে ফেলছে। এখন পদত্যাগ করতে হবে! এখন একে কে বুঝাইতে যাবে যে সে এখন আর ছাত্র বা সাধারণ কোন মানুষ নাই। সে একজন মন্ত্রী। নির্বাহী বিভাগের কেউই বিচার বিভাগের কে পদত্যাগ করবে না বসে ঘুমাবে তা নির্ধারণ করতে পারে না। এই ক্ষমতা আমাদের দেশের সংবিধান তাকে দেয় নাই। কিন্তু কিসের সংবিধান কিসের কি! মনে চাইছে বলে দিছে। এবং অবাক কাণ্ড, কিছুক্ষণ পরে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে বলেছেন তাকে নামানোর জন্য আবার আন্দোলন হবে, জ্বালাও পোড়াও হবে, দেশের বিভিন্ন আদালতে হামলা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হামলা হবে, এগুলা যেন না হয় তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

    হুট করেই প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ কেন জরুরি হয়ে গেল? এইটাই গতকালের সবচেয়ে মজার ও উল্লেখ যোগ্য ঘটনা। মহা পণ্ডিতেরা মিলে সরকার তৈরি করে ফেলেছে। এখন রয়টার্সে জয় বলছে যে তার মা শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে নাই! আমি প্রথমে শুনে ভাবছি আরে, এই লোকের মাথা গেছে। সবাই জানে পদত্যাগ করেছে, ও এখন বলছে করে নাই, এইটা হইল কিছু! কিন্তু এই কথার পরে উপর মহলে যে নড়াচড়া শুরু হল, এই আন্দোলনের থিংক ট্যাংকেরা যা বলা শুরু করল তা আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করল। ফরহাদ মজহার বলেই দিল এইটা মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে! কোনটা ভুল? রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়ে সরকার গঠন করা। এর অর্থ হচ্ছে এই সংবিধানকে মেনেই সরকার গঠন করা হয়েছে। এখন এই সংবিধান কী বলে? প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ব্যাপারে কী বলা আছে এতে?

    সংবিধান থেকেই তুলে দিচ্ছি - সংবিধানের ৫৭ নাম্বার ধারায় বলা আছে -

    (১) প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি -
    (ক) তিনি কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন; অথবা
    (খ) তিনি সংসদ-সদস্য না থাকেন।

    (২) সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাংগিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শদান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শদান করিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোন সংসদ-সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নহেন এই মর্মে সন্তুষ্ট হইলে, সংসদ ভাংগিয়া দিবেন।

    (৩) প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই অযোগ্য করিবে না।

    এখানে তিন নাম্বারটা আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক না। বাকি দুইটা খেয়াল করেন। এর কোনটাই ঘটে নাই। যদি ধরেও নেই যে জয় মিথ্যা বলছে তাহলেও পদত্যাগ সাংবিধানিক ভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। তাহলে কেন এই সরকার অবৈধ হবে না? আর এখানেই গতকাল সকালের কাহিনী শুরু। গতকাল প্রধান বিচারপতি ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছিলেন। এইটাতে অনেকের টনক নড়ে। দ্রুত বুঝে যায় হয়ত প্রধান বিচারপতি এই সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে কোন একটা আদেশ দিবেন। এইটা যেন না করতে পারে এই জন্য মুহূর্তেই ছাত্ররা সুপ্রিম কোর্ট ঘিরে ফেলে। জোর করেই পদত্যাগ করানো হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা এটাকে জুডিশিয়াল ক্যু বলে ডাকছেন।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে এইটাই যদি হয়, তাহলে না হয় বুঝলাম আজকে জোর করে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করানো হল। কিন্তু যা অবৈধ তা কি এতে বৈধতা পেল? এই প্রশ্ন কী হারিয়ে যাবে? তড়িঘড়ি করে বিএনপির আমলের যে বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হল তাকে দিয়েই কী এই জিনিসকে শুদ্ধ করা সম্ভব? অধিকতর আইন বিশেষজ্ঞ যারা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমার বুঝে যা আসে তা হচ্ছে এইটা একটা কেওয়াস থেকে গেল। কোনদিন যদি কোন সরকার এইটা নিয়ে আগ্রহী হয় তাহলে এই সরকারের খবর আছে। যদি সঠিক প্রক্রিয়ায় পদত্যাগ করাইতে পারত তাহলে আজকে এই সংকট তৈরি হত না। কিন্তু তাদের বড়ই তাড়াহুড়া!

    এবার জয়ের কথায় আসি। রয়টার্সের মতো জায়গায় জয় এই কথা বলল কেন? এত পাগল হয়ে গেছে? আর যদি পাগল হয়েই থাকে তাহলে বর্তমান সরকারে তো আর তাদের প্রতি সহানুভূতি সম্পন্ন কেউ নাই, তারা কেউ পদত্যাগ পত্রটা বের করে দেখায় দেয় না কেন? সব কিছুর ছবি আসে, সংসদ ভেঙ্গে দিছে এইটার যে প্রজ্ঞাপন তার ছবিও সবার দেখা শেষ। যত প্রজ্ঞাপন আসছে সবই পাওয়া যাচ্ছে। তো এই ঐতিহাসিক পদত্যাগ পত্র কেউ কেন দেখায় না? দেখায় দিলেই তো জয় এক্কেরে শেষ! কেউ তো দেখাচ্ছেই না বরং সবাই এইটা নিয়ে এখন উসখুস শুরু করেছে। এমন কী এইটাও মানতে হবে যে যদি শেখ হাসিনা কোথাও সাক্ষর দিয়েও তাহকে সেটাকেও অগ্রাহ্য করা যাবে, যদি তিনি বলেন তাকে বন্দুক ধরিয়ে এই সাক্ষর নেওয়া হয়েছে। আর পুরো প্রক্রিয়ার কথা তো লিখলামই, যা সম্পন্ন করা হয় নাই।
    তো দেখা যাচ্ছে শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটা প্যাচ ঠিকই খেলে গেছেন যা এত এত মহা পণ্ডিতের বুঝতে চার পাঁচদিন সময় লেগে গেছে!

    এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ফরহাদ মজহার শুরু থেকেই বলে আসছিলেন এই সংবিধানের ভিতরেই যাওয়া যাবে না। একটা বিপ্লব হয়েছে, বিপ্লব পরবর্তী সরকার নতুন করে শুরু হবে। আগের সব ছুঁড়ে ফেলা হবে। রাষ্ট্রপতিকেও বাতিল করা হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যত সহজে বলা যায় তত সহজে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া সম্ভব? সংবিধানের প্রস্তবনাটা যতবার পড়ি ততবার গর্ব অনুভব করি। এইটা ছুঁড়ে ফেল দিবেন? মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকারের এই অসাধারণ অর্জনটাকে চাইলেই ছুঁড়ে ফেলা যায়? কয়জন মানুষ এইটা সহ্য করবে? এই সাহস এই আন্দোলনকারীদেরও নাই। কিন্তু এই সাংবিধানিক প্যাচ থেকে বাঁচতে এইটা ছাড়া আর কোন রাস্তাও নাই। কিন্তু ভুল যা হওয়ার তা হয়েই গেছে।

    মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস নিয়ে যা হচ্ছে তা আমার বুক দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে। টানা কতদিন ধরেই তো অসহায়ের মতো সব দেখে যেতেই হচ্ছে। অনেকেই নানা নারকীয় অত্যাচারের ভিডিও দেখতে পারে। আমি পারি না। দুম করে গুলি করে মানুষ মেরে ফেলছে এমন ভিডিও সবার দেখা শেষ। আমি এখন পর্যন্ত একটাও দেখতে পারি নাই। এগুলা কীভাবে দেখে মানুষ? পুলিশের এই সব কাণ্ডের কোন ব্যাখ্যা নাই। অনেকেই এগুলার সাথে ষড়যন্ত্রকে মিশাচ্ছে। বলছে পুলিশের হুট করেই প্রো একটিভ হয়ে যাওয়াটার পিছনে অন্য কারণ আছে। সরকারের তরফ থেকে এত লাশ ফেলার কোন অর্ডারই ছিল না। যাই হোক, মানুষ এগুলা দেখেছে, দেখে বিক্ষুব্ধ হয়েছে। আমি পারি নাই। এইটা সিনেমা না যে দেখলাম কিন্তু কোন দাগ কাটল না মনে। সব গুলো জীবন্ত মানুষ। জীবন্ত মানুষের উপরে এমন গুলি দেখা সম্ভব না। আমি ৩২ নাম্বারে যে তাণ্ডব চলেছে তাও দেখতে পারি নাই। কিছু ছবি দেখছিলাম। দেখেই মাথায় ঘণ্টা বাজা শুরু হয়ে গেছিল। এবার গতকাল একজন হুট করেই একটা ভিডিও আমার সামনে ধরল। একটা মুহূর্তও লাগে নাই আমার জায়গাটা চিনতে। ঐতিহাসিক মুজিব নগর। মেহেরপুরের এই জায়গায়ই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। এখানেই শপথ পাঠ করে বাংলাদশের প্রথম সরকার। এখানে পুরো বিষয়টাকে ভাস্কর্যের দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। সাত মার্চের ভাষণ থেকে নিয়াজির আত্মসমর্পণ পর্যন্ত সব ভাস্কর্য আকারে ছিল। এই বরাহ শাবকেরা সব ভাঙ্গেছে! বিশ্বাস করেন আমার চোখ দিয়ে সমানে পানি পড়া শুরু হয়ে গেল। এইটা কেন দেখলাম আমি! বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমণটাই অকারেন, এর সাথে বর্তমান আন্দোলন, শেখ হাসিনার রাষ্ট্র চালনা এগুলার কোন সম্পর্ক নাই। তবুও না হয় মানা গেল যে শেখ হাসিনা নিজের পিতাকে প্রচুর ব্যবহার করেছেন। এতে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে এমন করেছে। মেহেরপুরের ঘটনার কী ব্যাখ্যা দিবে? এইটা তো সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধের উপরে হস্তক্ষেপ, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা! এরপরে কিছু অদ্ভুত কিছিমের মানুষ ব্যাখ্যা দিতে আসছে যে রাগের মাথায় অনেক কিছু হয়েছে, সব আবার ঠিক করা হবে! মানে কালকে কেউ রাগের মাথায় স্মৃতিসৌধ ভেঙ্গে দিল, পরে সোনা দিয়ে বাধাই করে দিল পুরো স্মৃতিসৌধ! সব ঠিক যাবে? এমনও মগজে তালা লাগানো আপনাদের?

    এই লেখা যখন শুরু করছি তখন আমার মেজোবোন আমাকে নক দিয়ে বলল তাদের মহল্লায় ডাকাত পড়েছে! ডাকাত পড়া এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। বলল সবাই হইহই করে বের হয়েছে। পাহারা বসানো হয়েছে। তারা সহ সবাই এখন ডাকতের পিছনে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে আর কিছু বলার আছে? গতকাল গোয়ালপট্টি এলাকায় মোবাইলে চাঁদাবাজি হয়েছে। কল করে টাকা চাওয়া হয়েছে। একজন গেছে, সবাই তার হাতে দিয়ে দিয়েছে। কেউ ক্যাশ কেউ চেক! নীরবে হয়েছে সব। তো আমরা কীভাবে জানলাম? যারা চাঁদা দিয়েছে তারা তো ভয়েই কাওকে জানায় নাই। আমরা জানলাম ভিন্ন ভাবে। ভাগাভাগি নিয়ে তুমুল মারামারি! মারামারির খবর থেকে বের হয়ে আসছে সাত লাখ টাকার চাঁদাবাজির খবর!

    এইটুকু লিখতে লিখতে মনে হল আরে ডাহাতি! আমাদের মহল্লায় আমরা কোন পাহারা বসাই নাই। এত আত্মবিশ্বাস কই থেকে আসল আমাদের? সবাই যে দিব্যি ঘুমাচ্ছে, এখন ডাকাত যদি আসে, আমরা তো ঠাইত জায়গায় মইরা যামু! কালকে এইটা নিয়া আলাপ চালাইতে হবে এলাকায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ আগস্ট ২০২৪ | ৪১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:8fbd:a343:79a4:***:*** | ১১ আগস্ট ২০২৪ ০৪:৪৩536151
  • শুনলাম বন্যার স্কুল ভেঙে দিয়েছে এরা। সত্যি কিনা জানিনা।
  • | 146.196.***.*** | ১১ আগস্ট ২০২৪ ০৮:২০536155
  • কোন দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রবিপ্লব নিয়ে কিছু লেখা থাকে কি ?
  • NRO | 165.124.***.*** | ১১ আগস্ট ২০২৪ ১০:১৩536157
  • Obviously, these Bangladeshi revolutionaries have no concept of ‘Rule of law’. Western countries are so successful because they all believe in ‘rule of law’ and not ‘rule of men’. Bangladesh will remain hopeless until and unless the ‘rule of law’ is established there and everybody agrees to live by it.
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন