এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arindam Basu | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৪528176
  • দেশে একটি ভাষাতেই শিক্ষা চালু হয়ে গেলে একটাই আইন, একটাই সরকার আনতে বিশেষ অসুবিধে হবার কথা নয় | ডাইভারসিটির বারোটা এমনিতেই বেজে গেছে, এবার সেটাকে শিশুবয়স থেকে মজ্জায় ঢুকিয়ে দেবার মগজ প্রক্ষালন টুকু সমাপ্ত হলেই সমবেত হাততালি। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৩৪528187
  • এখন যা বকচ্ছপ শিক্ষার কবলে পড়েছে গোবেচারা ছাত্র গণ, তাতে ইংরেজিও শিখছে না, হিন্দিও শিখতে পারছে না, আর বাংলা তো দুরস্থান। বইমেলায় একজন ছাত্র তার বন্ধুকে বিভিন্ন দার্শনিকদের নিয়ে লেখা একটি ইংরেজি বই দেখিয়ে বলল, এর মধ্যে নিটশে বলে যে ব্যক্তি আছে তার কথা সে কোনোদিন ভুল করে কোন ভিডিওতে শুনে ফেলেছে, তাতে তার বন্ধুর উত্তর, তো এই নিটশে ব্যাটা করেছে কি ? প্রথম ছাত্র জানায়, পুরোনো ইউটিউবার সম্ভবত, বইও লিখে থাকতে পারে। বন্ধুর সচকিত প্রশ্ন, সেকি, এদের আবার বইও থাকা সম্ভব ? এরা লেখালিখিও করে নাকি ! 
    এটা হোয়াতে পাওয়া চুটকি নয়, স্বচক্ষে দেখেছি, প্যাভিলিয়নে ঢুকে।
     
    আরেকটা বলি, এই সন্ধের দিকে দেজ এর স্টলে এক সরু ফ্রেমের চশমা পরা, মোটামত ভদ্রলোক, দেখে বেশ শিক্ষিতই মনে হল, স্মার্টলি ঢুকে জিজ্ঞেস করলেন, বাচ্চাদের ইংরেজি গ্রামারবুক আছে ? কাউন্টারে বসা ব্যক্তি সবিনয়ে জানালেন, এসব বই এখানে রাখা হয় না।তাই শুনে ভদ্রলোক একটা তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, তো রাখেন টা কি ? কাউন্টার থেকে জানানো হল বাংলা সাহিত্যের বই পত্র রাখা হয় মূলত। ভদ্রলোক ফোঁস করে নিশ্বাস ছেড়ে, যত সব সময় নষ্ট ! এই বলে গটমট করে বেরিয়ে গেলেন। 
  • এলেবেলে | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৩528188
  • লেখাটার মূল বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও নতুন কথাই বলার নেই, কিন্তু সৈকতবাবু হিসাবে সামান্য গণ্ডগোল করেছেন। উনি কেবল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত বিদ্যালয়গুলোকে আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করার কারণে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের সংখ্যাটা বিশাল দেখাচ্ছে। বাস্তব চিত্র তেমনটা নয়। 
     
    কারণ এ রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৭১ টা। তার সঙ্গে যদি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে থাকা ২ হাজার ৯৭৯টা বিদ্যালয় যুক্ত করা হয়, তাহলে এ রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার বিদ্যালয় থেকে ছেলেমেয়েরা ফি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। অর্থাৎ ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়গুলোর থেকে ১০ গুণ বেশি।
     
    এই বছরে এ রাজ্য থেকে মাধ্যমিক দিচ্ছে মোট ১০ লক্ষ ২৬ হাজার পরীক্ষার্থী। গত বছরে এই সংখ্যাটা কম হলেও (তার অন্য কারণ বর্তমান) ২০২২ সালে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার জন। এখন সাদা চোখে হিসাব করলে মাত্র ৩ হাজার বিদ্যালয় থেকে ১১ লাখ ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলে স্কুলপিছু গড়ে ৩৫০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যাটা গড়পড়তা প্রতি বছরে থাকে ১০০ জনের আশেপাশে। কাজেই সে হিসাবেও সরকার পোষিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হাজার দশেকই হওয়ার কথা, ৩ হাজার নয়।
     
    ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের সংখ্যা যেমন সরকারি বিদ্যালয়ের এক-দশমাংশ, ঠিক তেমনই তাদের মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও মেরেকেটে গড়ে এক লাখ অর্থাৎ সরকারি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এক-দশমাংশই। সেটা এক-চতুর্থাংশ হবে কি না বা কবে হবে সেটা সময়ই বলবে। কিন্তু সব মিলিয়ে বলা যায়, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে সরকারি বিদ্যালয়ের হাল অতটা কোণঠাসা নয়।
  • বকলম -এ অরিত্র | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:৩৩528211
  • এলেবেলে হিসেবটি দিয়েছেন, আমারও শতাংশ নিয়ে ধারণা ছিল না, কিন্তু মোট স্কুলের সংখ্যাটা কম মনে হচ্ছিলো। তবে তিনি শেষে যে কথা লিখেছেন "এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে সরকারি বিদ্যালয়ের হাল অতটা কোণঠাসা নয়।" এইটা শুধু সংখ্যার দিক থেকে বিচার করে বলা। যদি সাম্প্রতিক খবর দেখা যায়, প্রায় দেখা যাবে বলা হচ্ছে বহু প্রান্তিক স্কুলে হয় মাস্টার খুবই কম বা ছাত্রছাত্রী নেই। এগুলো খুব শীঘ্রই বন্ধ করার পরিকল্পনা চলছে।

    যদিও ব্যাপারটা সেটা নয়, আমার মনে হয় এসবি যে দিক থেকে ভেবে লিখছেন, সেখানে শুধু সংখ্যাটা শেষ কথা বলবে না। ভারতে কোন বোর্ড থেকে পড়াশোনা করছি তা স্থির করে দেয় কেমন মানসিকতা, ইতিহাস-রাজনীতি-সংস্কৃতি-সমাজ চেতনা হবে। পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের স্কুলে এখন উচ্চ বা মধ্যশিক্ষিত পরিবারের ছেলেমেয়ে পড়ছে না। এদের একেবারে একশো শতাংশ ইংরেজি মাধ্যম এবং দিল্লি বোর্ড। পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের শিক্ষা সাহিত্য নাটক সিনেমা মিডিয়া ইতিহাস ধারণা এবং এই ক্ষেত্রগুলোয় এই পরিবারের ছেলেমেয়েরা অনেক অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে, সাহিত্যে তো প্রায় পুরোটাই। এই অংশ থেকেই বড় মাইনের বড় পদের চাকরি প্রশাসনিক পদ গুলো দখল হয়। আমাদের সময়ে এরাই বাংলা মাধ্যমে বা পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডে পড়ে জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, এসবি নিজেই উদাহরণ, সেই জিনিসটা এখন আর হবে না, গত এক দেড় দশক থেকেই আর হচ্ছে না। তাছাড়া গত দেড় কি আড়াই দশকে এই অংশ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে চলে গেছে, বড় অংশ না চেয়েও। সেই জায়গাটা ভরাট হয়েছে হিন্দুস্তান থেকে। পশ্চিমবঙ্গের ডেমোগ্রাফি অনেক বদলে গেছে। এই নতুন ডেমোগ্রাফিতে বাংলা মাধ্যমে পড়ার আগ্রহ বা কার্যকারিতা আরও কোমর দিকে যাবে। এর স্ট্যাটস আমার কাছে নেই, কাজেই আমি জানি না মানার অবকাশ থাকছে, আমি নিজের চোখে দেখা বাস্তব থেকে কনফিডেন্ট হয়েই বলছি।
     
    ফলে সাধারণভাবে শহরে ও শিক্ষিত মহলে এবং মিডিয়া টিভিতে যে সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে উঠবে, যে সাহিত্য সংস্কৃতি (মানে তথাকথিত উচ্চাঙ্গ চর্চার) ইতিহাস চেতনা থাকবে (বা অভাব) তার ওপর পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বিদ্যালয়ের তথা বাংলার প্রভাব সামান্যই থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের জমিতে যে ডোমিন্যান্ট সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডল বিরাজ করবে তা দিল্লি ধারার।

    আর গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষের কথাও যদি বলি, মনে থাকতে পারে, কিছুদিন আগেই সিভিক পুলিশ পুরুলিয়ায় সান্ধ্য স্কুল চালাবে খবর এসেছিল। মিডিয়ায় যেটা এলো না, যে সেখানে "হিন্দি ভাষা" শেখানোর পরিকল্পনা হচ্ছিল। সেখানকার পুলিশ আধিকারিক যারা টিভিতে কথা বলছিলেন সবাই হিন্দিভাষী। অর্থাৎ ফাঁকফোকর দিয়েও চেষ্টা চরিত্র চলছে। জল কতটা ঘোলা করেছে তা আমি শহরে বসে জানতে পারি না।

    তবে এসব প্রায় নব্বই এর গল্প আমার মনে হল যার অনেকটাই এখনই হয়ে উঠেছে আমি কলকাতায় যা দেখছি। অন্তত কুড়ি বছর আগে আমাদের যা বোঝা উচিত ছিল সেটাই এখনো বোঝা হয়ে ওঠেনি। ফেবুতে এই পোস্টের যা দেখলাম, অনেকে ভেবেছেন রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থার হাল নিয়ে এই লেখা – যেন রবীন্দ্রনাথের অসন্তোষের কারণ বা তোতাকাহিনী। সেটা তো নয়। অর্থাৎ স্পষ্ট লিখে দিলেও ধরা যাচ্ছে না। সেখানে চোখের সামনে নিজেদের ভাঙতে দেখেও আমাদের নীরব থাকা (সমর্থনই বলতে হবে), খারাপ লাগলেও আশ্চর্য হওয়ার কী আর আছে। মানুষের চেতনা তৈরী হয় লেখাপত্র পড়েই। আমাদের, নাম বলতেই হচ্ছে, আনন্দবাজার  যার প্রভাব অত্যন্ত বেশি বাঙালি শিক্ষিত অংশের ওপর, তারা এইখানে তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছে কি? আমি যদি এমন উচ্চতায় উঠি (অন্তত যুগান্তর ও স্টেটসম্যান উঠে যাওয়ার পরে, নব্বই থেকে দুই দশক এদেরই একছত্র রাজত্ব) যেখানে আমি হয়তো না চেয়েও একটা গোটা জাতিকে একা হাতে প্রভাবিত করার ক্ষমতা পেয়ে যাই, তাহলে আমি না চাইলেও আমার কাঁধে এক গুরুদায়িত্ব আসে। আমি যদি তা পালন না করি তাহলে ইতিহাসের পাতায় তারও মূল্যায়ন হওয়া উচিত যদি আমাদের অস্তাচল যাত্রার ইতিহাস লেখা হয় কখনো ঠিক করে।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৬528216
  • হ্যাঁ, আমার হিসেবে গোলমাল আছে। উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলো ধরার কথা। আমি ভেবেছিলাম, সকল উচ্চমাধ্যমিকই যেহেতু মাধ্যমিক, তাই ওর মধ্যেই থাকবে।  যাহোক আরেকটা তথ্য গুঁজলে ব্যাপারটা আরও কৌতুহলোদ্দীপক হবে। পবতে কলেজ শিক্ষিত মোটামুটি ১০% । আর কেন্দ্রীয় বোর্ডও মোটামুটি ১০% ।
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৯528227
  • বোর্ড নিয়ে সমস্যা নেই। তামিলনাড়ু , মহারাষ্ট্র , কর্নাটকে সমস্ত বোর্ডের জন্যই তাদের ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক। এই সব রাজ্যে ভাষা ভোটের একটা বড় ইস্যু। পশ্চিমবঙ্গে ভাষা ভোটের ইস্যু নয় , সেজন্য কোনো দল বাংলা ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করতে চায় না। ভোট হলে বহিরাগত তাস খেলা হয় কিন্তু কারুর ইস্তাহারে বাংলা ভাষা বিষয়ে একটা বাক্যও থাকেনা।

    গোটা রাজ্য , শিক্ষা তো অনেক বড় ব্যাপার। কলকাতা কর্পোরেশনের মত স্বশাসিত সংস্থা ইচ্ছে করলেই ট্রেড লাইসেন্সে ক্লজ রাখতে পারে বাংলায় সাইনবোর্ড / দোকানের/ হোটেলের নাম লেখার জন্য। করে না কারণ সদিচ্ছা নেই। ওটা না করলে যেদিন ভোট পাবে না , সেদিন করবে , তার আগে নয়।
  • এলেবেলে | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১৩528230
  • আরেকবার ফিরে এলাম। 
     
    বকলম-এ অরিত্র-কে বলার যে আমি আদৌ ইংরেজি মাধ্যম নিয়ে শঙ্কিত হচ্ছি না। শুধু সংখ্যাগত কারণেই নয়, গুণগত কারণেও। মাত্র ৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রী যে শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্গত, তাকে অত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। প্রথমত, কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন শহরতলি কিংবা বর্ধমান-আসানসোল-শিলিগুড়ির শিক্ষাচিত্রই সামগ্রিক পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাচিত্র নয়। দ্বিতীয়ত, ইমিতে ভর্তি করানোই সব নয়, সেই মাধ্যমে পড়া চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আর্থিক হ্যাপা পোহানোর সঙ্গে আরও নানা হ্যাপা পোহাতে হয়। অনেক সময় জেলা শহরে ভাড়া করে পর্যন্ত থাকতে হয় এবং সেটাও প্রায় চার বছর। আমার জেলাশহরে মাত্র দুটি ইমি এবং তার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাকুল্যে ৩০০ জন। এবং ওই একই শহরে বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়া ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তার অন্ততপক্ষে ১০ গুণ কিংবা তারও বেশি। তৃতীয়ত, হিন্দি মাধ্যম নিয়ে অযথা আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত হিন্দি মাধ্যম বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৯৭৯টির মধ্যে মাত্র ১১৬টি (৪ শতাংশেরও কম), উচ্চ মাধ্যমিকে নির্দিষ্টভাবে হিন্দি মাধ্যম বিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও তার সংখ্যা ৪ শতাংশের কম বই বেশি হবে না। কাজেই হিন্দি মাধ্যম বা ভাষা বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রকে গ্রাস করে নিচ্ছে, এমনটা বলতে পারছি না। পরিশেষে বলি, মাত্র ১০০ বা তার কম ছাত্রবিশিষ্ট প্রায় ৮২০৩টি বিদ্যালয় সরকার বন্ধ করার কথা বলেছে। সেখানে শিক্ষক স্বল্পতা নয়, ছাত্রস্বল্পতার কারণেই তা করা হচ্ছে। অবশ্য একটি বিষয়ে তাঁর সঙ্গে সহমত। সেটি হল বিগত ১০ বছরে নতুন শিক্ষক নিয়োগ না করার ফলে সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলিতে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে।
     
    দীমু পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোতে বাংলা ভাষাশিক্ষা বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছেন। সম্ভবত তিনি বাংলার সরকারি স্কুলগুলিতে ভাষাচিত্রের যথাযথ চিত্রটি সম্পর্কে ওয়াকিনহাল নন। কারণ এই ধরণের দাবিদাওয়ার ক্ষেত্রে আবেগ যতটা কাজ করে, প্রকৃত তথ্য তার চরম বিরোধিতা করে থাকে। এ বিষয়ে গুরুর পাতায় এর আগেও লিখেছি। আর লিখতে ভালো লাগে না।
     
    মূল লেখায় সৈকতবাবু মেকলেকে কেন ছাড় দিলেন, সেটা বোধগম্য হয়নি। তিনি নিশ্চিতভাবেই জানেন যে তাঁর বিখ্যাত মিনিটটি পেশ করার পরেই বেন্টিঙ্ক শিক্ষাখাতে বরাদ্দ এক লাখ টাকার পুরোটাই ইংরেজি শিক্ষায় ব্যয় করার সরকারি ঘোষণাটি করেন। তার মাত্র ৯ বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ১৮৪৪ সালে লর্ড হার্ডিঞ্জ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিতদের অগ্রাধিকারের কথা বলেন। কাজেই "তাঁরাও কিন্তু মাতৃভাষাটা সম্পূর্ণ তুলে দিয়ে ভদ্রজনের জন্য কেবল ইংরিজি শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সাহস পাননি।" বাক্যটা ইতিহাসসম্মত নয়। আর ১৮২০ সালে মাসে পাঁচ টাকা বেতন দিয়ে হিন্দু কলেজে ভর্তি হওয়া ছাত্রদের বাংলা ভাষার হাল কতটা খারাপ হয়েছিল, সে বিষয়ে মেকলের ভাবশিষ্য রাজনারায়ণ বসুর লিখিত মন্তব্য আছে। আছে ইয়ং বেঙ্গলদের বক্তব্যও। কাজেই উচ্চবিত্ত বাঙালিদের বাংলাকে বিসর্জন দিয়ে ইংরেজি শিক্ষার ল্যাল্যাপনার বয়স ২০০ বছরেরও বেশি (ফারসিকে হিসাবে ধরলে সেটা অনায়াসে ২৫০ বছরে পৌঁছে যাবে)।
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩২528231
  • না না বাকি রাজ্যগুলোর মত সব বোর্ডের জন্যই বাধ্যতামূলক করতে বলেছি। বাস্তব চিত্র অবশ্যই অন্যরকম হতে পারে , কিন্তু বাকি রাজ্যেরা যেরকম করছে , সেরকম করতে নিশ্চয় সংবিধানে বাধা নেই। 
  • এলেবেলে | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪২528232
  • পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোর ভাষাচিত্রটা না-ই জানতে পারেন কিন্তু হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হলে আপনারা হিন্দি আগ্রাসনের কথা বলে তার চূড়ান্ত বিরোধিতা করবেন, আবার আপনারাই বাংলা বোর্ডে বাংলাকে বাধ্যতামূলক করার জন্য গলা ফাটাবেন? কী মারাত্মক স্ববিরোধিতা লুকিয়ে আছে এই দাবিটির পেছেনে, তা উপলব্ধি করতে পারছেন কি?
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:২৭528234
  • ব্যাপারটা দুরকম হয় - মাধ্যম হিসেবে বাংলা অথবা একটা বিষয় হিসেবে বাংলা ভাষা। আমি দ্বিতীয়টার কথা বলেছি। মাধ্যম বা পরিবার যাই হোক, বাংলায় থাকে আঠেরো বছরের নীচে এমন সবাই যেন বাংলায় একটু লিখতে / পড়তে / বুঝতে / বলতে পারে। আমি সবাইকে কলনবিদ্যা বা রসায়ন বাংলায় পড়াতে বলিনি। বাকি রাজ্যগুলো যখন এই দ্বিতীয় ব্যাপারটা করছে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের অনুকরণ করলেই পারে। বাংলা বোর্ডে হিন্দি/ইংরেজি মাধ্যম তো হতেই পারে, সেটা নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কে কোন স্কুলে যাবে সেটা নিয়েও নেই। 
     
    আমাদের দেশে ভাষা ভুলভাবে শেখানো হয়, সম্ভবত মেকলেদের সময় থেকেই ব্যাপারটা শুরু হয়েছে। ওটা নিয়ে আমার অন্য কিছু কথা আছে, পরে আলাদা করে লিখব। 
  • এলেবেলে | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৭528235
  • আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে সরকারি স্কুলের প্রচুর পড়ুয়া বাংলা ভাষার বিন্দুবিসর্গ না শিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক - দুটোই পাস করতে পারে। কারণ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত ২৯৭৯টি স্কুলের মধ্যে ২৭৬৮টি বাংলা মাধ্যম স্কুল ছাড়াও আছে ১১৬টি হিন্দি, ৪৫টি ইংরেজি, ৩৭টি উর্দু, ৬টি নেপালি, ৪টি সাঁওতালি, ২টি তেলুগু ও ১টি ওড়িয়া মাধ্যম স্কুল। এরা মাতৃভাষা হিসাবে শেখে তারা যে মাধ্যমের পড়ুয়া সেই ভাষাটি এবং সমস্ত মাধ্যমের জন্য বাধ্যতামূলক দ্বিতীয় ভাষা হল ইংরেজি। অর্থাৎ কেবল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত ২১১টি বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২১১*৭০০ জন মানে প্রায় দেড় লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভাষা হিসাবে বাংলা পড়ে না। রাজ্য সরকারের এই ভাষানীতি বহু পুরনো এবং এটা যে খুব অবান্তর একটা নীতি, এমনটা বোধহয় নয়। কারণ ছাত্ররা কোন ভাষা পড়বে - তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত। এবং এই স্বাধীনতাটা দেয় খোদ এই রাজ্যের সরকার। এর সঙ্গে যদি উচ্চ মাধ্যমিকের স্কুলগুলোকে ধরা হয়, তবে সংখ্যাটা ৫ লাখ ছাড়ানো আশ্চর্য কিছু নয়। 
     
    বাকি রইল ইংরেজি মাধ্যমের প্রসঙ্গ। সেখানেও অগ্রাধিকার থাকা উচিত ছাত্র ও তাদের অভিভাবকদের। অর্থাৎ তারা ইংরেজি বাদে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে কোন ভাষাটিকে বেছে নিতে চাইছে। যেখানে খোদ সরকারি স্কুলেরই ৫ লাখ পড়ুয়া বাংলা না জেনে-পড়ে-শিখে দিব্যি পাস করে যাচ্ছে বছরের পর পর, সেখানে বেসরকারি স্কুলে এই ধরণের 'খবরদারি' তারা কোন মুখে করবে? হ্যাঁ, আদর্শগতভাবে এই রাজ্যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরই বাংলা ভাষার সঙ্গে পরিচিতি কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু সমস্ত আকাঙ্ক্ষাই কি আর বাস্তবে প্রতিফলিত হয়? সে তো উনিজির গদিত্যাগও কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু তেমন আশা তো দেখছি না।
     
    আর শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত। কাজেই একতরফা সংবিধান সংশোধন করলে হবে না। রাজ্য ও কেন্দ্র - দু তরফেই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হবে। কেন্দ্র সরকার সেটা করবে বলে মনে হয় না। রাজ্য সরকারও যে করবে না তা শিক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:০০528236
  • "সরকারি স্কুলের প্রচুর পড়ুয়া বাংলা ভাষার বিন্দুবিসর্গ না শিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক - দুটোই পাস করতে পারে। " - অবাক হব কেন? এটাই তো বাস্তব পরিস্থিতি আমি জানি। সেজন্যই তো বলছি সংবিধান সংশোধন না করেও মাধ্যম নির্বিশেষে রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক করা যায়। এক রাজস্থানী মেয়েকে চিনতাম যে ছোটবেলায় লুরুতে এসেছিল , তারপর স্কুলের কারণে ঝরঝরে কন্নড় লিখতে /পড়তে /বুঝতে /বলতে পারে। হিন্দি লিখতে বা পড়তে পারে না, কিন্তু আমাদের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলত। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন উদাহরণ নয়। অনেক বাঙালিও দ্বিতীয় প্রজন্ম হয়ত এরকম পাবেন। ডিসিও এই ব্যাপারটা ভালো বলতে পারবেন। কর্ণাটক পারলে পশ্চিমবঙ্গেরও পারা উচিত।
     
    "কারণ ছাত্ররা কোন ভাষা পড়বে - তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত। এবং এই স্বাধীনতাটা দেয় খোদ এই রাজ্যের সরকার" - এখানে আবার মনে হয় মাধ্যম আর ভাষা মিশে যাচ্ছে। মাধ্যম বাছার স্বাধীনতা তো থাকাই উচিত। প্রথম দ্বিতীয় ভাষার বিভেদটা নিয়েই তো আমার অন্য বক্তব্য আছে , যেটা পরে লিখব। ভাষা এরকম প্রথম দ্বিতীয় ভাবে শেখানোই উচিত নয়। 
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:০৬528237
  • ইংরেজি তো বলতই। মানে বাড়িতে বাবা মার সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলার জন্য হিন্দি বলতে /বুঝতে পারত। স্কুলে হিন্দি পড়েনি , ইংরেজি ও কন্নড় এই দুটো পড়েছিল। 
  • এলেবেলে | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৬528238
  • //মাধ্যম নির্বিশেষে রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক করা যায়//
     
     বর্তমান পরিস্থিতিতে যায় না। হিন্দি মাধ্যমের পড়ুয়ার প্রথম ভাষা হিন্দি এবং দ্বিতীয় ভাষা বাধ্যতামূলকভাবে ইংরেজি। কাজেই তার ইচ্ছে থাকলেও বাংলা ভাষা পড়ার উপায় নেই। মাধ্যম বাছার স্বাধীনতাকে মেনে নিলে এটাকেও মেনে নিতে হবে।
     
    //ভাষা এরকম প্রথম দ্বিতীয় ভাবে শেখানোই উচিত নয়।//
     
    সেটা আপনার ব্যক্তিগত অভিমত, তার সঙ্গে সহমত হই বা না হই আপনার সেই অভিমতকে আমি সম্মান করি। কিন্তু এই জিনিসটা সেই কোঠারি কমিশন থেকেই চলে আসছে মানে মোটামুটি ১৯৬৬ সাল থেকে। সেখানে ত্রিভাষা নীতির কথা বলা হয়। ছাত্রছাত্রীদের প্রথম ভাষা হবে তাদের মাতৃভাষা, দ্বিতীয় ভাষা হবে ইংরেজি (সেটা কেন প্রাথমিক থেকে শেখানো হবে না তাই নিয়ে এই রাজ্যে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছিল যার অধিকাংশটাই ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত) এবং সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে তারা তৃতীয় ভাষা হিসাবে কোনও ধ্রুপদী ভাষা শিখবে। 
     
    প্রায় ৬০ বছর ধরে চলে আসা ভাষানীতির বদল করতে হলে অনেক খোলনলচে বদলের প্রয়োজন আছে।
  • lcm | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১৯528240
  • অন্ধ্রপ্রদেশে রাজ্য সরকার চাইছে তেলুগু মিডিয়াম স্কুল তুলে দিতে।

    In November 2019, the Andhra government issued an order making English medium compulsory for all government schools from classes I to VI in primary, upper primary and high schools under all managements from 2020-21.

    এই ডিসিশন অন্ধ্র হাইকোর্ট আটকে দেয়, এখন সুপ্রিম কোর্টে পেন্ডিং।

    শুধু তাই নয়, সরকার সমস্ত কলেজও ইংলিশ মিডিয়াম করার পরিকল্পনা করে,

    A notification issued by the Andhra Pradesh State Council of Higher Education (APSCHE) said all private unaided and aided degrees colleges offering Telugu medium courses should submit proposals for conversion of all Telugu-medium courses into English medium between June 18 and 28.
    However, the colleges can continue to have Telugu as a language course in the curriculum, the notification said.
     
    ইন্টারেস্টিং হল বিজেপি কি বলছে -
    The opposition Bharatiya Janata Party (BJP) has been alleging that the move is an attempt by the Jagan government to wipe out Telugu culture.  
  • Arindam Basu | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:১৪528242
  • "ভাষা এরকম প্রথম দ্বিতীয় ভাবে শেখানোই উচিত নয়।"
     
    সমস্যা , বা বলা যাক সংকট, যেখানে এক শ্রেণীর মানুষের কাছে বাংলা ভাষা শেখার বা জানার গুরুত্ব কমছে, যেটির বর্ণনা এই আলোচনার সূত্রে রমিত লিখেছেন, আমার মনে হয় তার সূত্রপাত এইভাবে ভাষাকে প্রথম, দ্বিতীয় ক্যাটেগরিতে ভাগ করে শেখানো নিয়ে। এতে করে ছাত্র এবং অভিভাবকদের একটা আপেক্ষিক গুরুত্বের ব্যাপার এমন বার্তা আসে, যে অমুক ভাষাটা দ্বিতীয় বা কম গুরুত্বপূর্ণ, সেটা শিক্ষাবিভাগ বা শিক্ষক নিজে যদি নাও মনে করেন, তাহলেও হয়। 
    এই অ(ন)ভিপ্রেত বিভাজন না করা হলে পরিস্থিতি অন্য রকম হয়ত হত। সেক্ষেত্রে ভাষা বা সাংসকৃতিক আগ্রাসনের প্রসঙ্গটি অন্যরকম ভাবে বিচার করা যেত। 
    কোন মাধ্যমে কতজন শিক্ষিত হচ্ছে সেটা একটা ব্যাপার‌, তাতে ভাষার প্রতি attitude বা পরবর্তী জীবনে তাকে নিয়ত ব্যবহারের সঙ্গে সে কতটা সংস্লিষ্ট তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।  এই নয় যে স্কুলজীবন থেকে ভাষাটিকে শেখা এবং আয়ত্ত করার ব্যাপারে ছাত্রের মনে অনুরাগ তৈরি হচ্ছে। যারা ইংরেজি ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন, তাদের একটা বড় অংশ ভাষাটা শেখা কতটা অর্থকরী তার নিরিখে বলছেন, হিন্দির ক্ষেত্রেও একই ধরণের তর্ক করেন। 
     
    বহু ইশকুলে বাংলা ভাষা প্রধান হওয়া সত্ত্বেও যদি এই ব্যাপারটা সমাজে প্রচলিত হয়, তাহলে ছাত্র এবং বৃহত্তর সমাজে বাংলা ভাষার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলা মাধ্যমের ইশকুলগুলো যে খুব সফল সেই কথাটা মনে হয় বলা যাবে না।
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫১528258
  • আলাদা করে না , এখানেই লিখি। 
     
    ভাষা মূলত যোগাযোগের মাধ্যম। কখনো কখনো মনের ভাবপ্রকাশের মাধ্যমও। ভাষার অনেক রকম লিখিত রূপের মধ্যে একটা ছোট সাবসেট হল সাহিত্য। কিন্তু শিক্ষা পদ্ধতিতে আমাদের এটা শেখানো হয় না। জোর দেওয়া হয় সাহিত্য পড়ার ওপর। ফলে পড়ুয়ারা নোট মুখস্ত করে পরীক্ষা দিয়ে ভাষাটা ভুলে যায়। এই দুটো আলাদা ভাবে শেখানো উচিত। সাহিত্য সবার জন্য নয় , যার ভাল লাগবে সে নেবে। কিন্তু ভাষাটা সবার জন্যই শেখাতে হবে। 
     
    রাজ্যের ভাষা শেখানো উচিত ইউরোপের ভাষাগুলোর CEFR অনুসরণ করে। এই পদ্ধতিতে নানারকম লেভেল হয় , সোজা থেকে কঠিনের দিকে যায় এবং পড়া / শোনা / বলা / লেখা চারটে জিনিসেরই ওপর সমান জোর দেওয়া হয়। এবং ভাষাশিক্ষা শেষ হলে ক্লাস এইট/টেনের পর একটা পরীক্ষা নিয়ে সেই লেভেলের সার্টিফিকেট পড়ুয়াকে দেওয়া উচিত। যেটা পরে সরকারী চাকরির পরীক্ষা ইত্যাদিতে দেখা হবে। 
     
    এখানকার বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতিতে সঠিক ভাষা শোনা এবং বলার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়না। ফলে 'কেন কি' , 'হাত ছুটে গেল' , 'আমি একটা ভাল লোক নয়' ইত্যাদি ভুলভাল জিনিস কানে আসে। কালকে সিবিএসি, আইসিএসইর বাংলা পাঠক্রম খুলে দেখলাম একই ব্যাপার - বেশি জোর দেওয়া হয়েছে সাহিত্য পড়ার ওপর। জিনিসটা ইংরেজির ক্ষেত্রেও এক। ব্যবহারিক ইংরেজি বা ব্যবহারিক বাংলা শেখানোর ওপর জোর দেওয়া উচিত, যেমন খবরের কাগজ থেকে আনসিন তুলে দেওয়া , ক্লাসে ভাষাটা ঠিকঠাক শোনা এবং বলতে পারা, ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ লেখা, ছোট ছোট কথোপকথন। যে ক্লাস এইটের পড়ুয়া বাংলায় জটিল বাক্যই হয়ত পড়তে বা লিখতে পারেনা তাকে মেঘনাদবধ , কপালকুণ্ডলা এসব পড়ালে বুঝবে কি করে।
     
    বাইরে পড়তে যেতে চাইলে যে আইএলটিএস , জিআরই , টোয়েফল দিতে হয় সেগুলোর সঙ্গেও থমাস হার্ডি বা ওয়ার্ডসওয়ার্থ পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যবহারিক দিকটা দেখা হয়। একই কথা UPSC র জন্যেও। ইংরেজি এবং বাইশটি ভারতীয় ভাষার মধ্যে যেকোনো একটি ভাষার পেপারে পাস করা বাধ্যতামূলক। সেই পরীক্ষার প্রশ্নে এলিয়টের ওয়েস্ট ল্যান্ডের সারসংক্ষেপ লিখতে দেওয়া হয় না। ক্লাস টেন স্ট্যান্ডার্ডের প্রবন্ধ , প্যারা অনুবাদ , ব্যাকরণ ইত্যাদির ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। 
     
    ভাষা চর্চার বিষয়। পিথাগোরাসের উপপাদ্য নয় যে একবার পড়লে সূত্রটা সারাজীবন মনে থাকবে। চর্চা না করলে ভাষা ভুলে যাবেন। ওই বাইরে যাবার পরীক্ষাগুলোও যেমন দু বছর বাদে বাদে তামাদি হয় , আবার পরীক্ষাটা দিতে হয় লেভেলটা বোঝার জন্য। অন্য কোনো ভাষার আগ্রাসন আটকাতে গেলে প্রথমে বুঝতে হবে ওই ভাষাটা কিভাবে ছড়াচ্ছে। হিন্দির ব্যাপারটা এরকম না যে প্রেমচাঁদ আর কমলেশ্বরের বই ঘরে ঘরে রাখা হচ্ছে , জিনিসটা তো ছড়াচ্ছে সিনেমা গান ইত্যাদির মাধ্যমে। সেগুলো কিন্তু শোনা / বলার ব্যাপার। সাহিত্যের ব্যাপার নয়। অতএব যে রাজ্যে কেউ থাকে তাকে সেই রাজ্যের ভাষাটা বাধ্যতামূলক খেলাচ্ছলে , ওয়ার্কশপের মত শেখাতে হবে যাতে ভাষা শেখানো আরো ইনক্লুসিভ হয়। কিন্তু আমরা জানি এসব কিছু হবেনা , অতএব ...
     
  • বকলম -এ অরিত্র | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫১528264
  • এলেবেলে আপনি আমায় যে উত্তর দিয়েছেন তা আমার বক্তব্যের অনুসারী হয়নি বলে আমার মনে হয়েছে, তাই আবার লিখছি। আপনার বক্তব্য তথ্যসমৃদ্ধ। কিন্তু আপনি গুণগত কারণের কথা বললেও এখানেও সংখ্যাভিত্তিক দিক থেকেই বক্তব্য রেখেছেন। সেটা খারাপ নয়, কিন্তু যে প্রেক্ষিতে আমি কথাগুলো বলেছি তার থেকে আলাদা। আমি জানি না গুণগত বলতে আপনি ঠিক কি বুঝিয়েছেন। আমি স্কুল-বোর্ড-মাধ্যম সম্পর্কে সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান ও ততজনিত তাদের সমাজে গুণগত প্রভাবের কথা বলছিলাম (অবশ্যই পব বোর্ডের আজকের ছাত্রছাত্রীদের অসম্মান করা আমার উদ্দেশ্য নয়)। এখন, পব বোর্ড এই জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তা বাংলার ভাষা-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য থেকে ইতিহাস-রাজনীতিকে বহন করে চলে, দিল্লির বোর্ড করে না। তো দুটো বোর্ডের মধ্যে তুলনায় শুধু ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা নয়, তাদের মান এবং সেইসূত্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের আসন্ন প্রভাব কতটা সেটাও হিসেবে আনতে হবে। যদি ভাষার দিক থেকে দেখি তাহলে, যাদের অনেকে মাধ্যমিকের আগেই পড়াশোনা শেষ করেন বা করতে বাধ্য হন, কলেজ অবধি খুব কমই পৌঁছন, তাদের মধ্যে থেকে একজন দুজন ভাষা বা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখতে পারেন, কিন্তু খুব বেশি হবে না। বাংলা মৌখিক ভাষা হিসেবে দিব্বি টিকে থাকবে কিন্তু তার সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে যে উচ্চতা ও গরিমা অর্জন হয়েছিল তার আর বহন বা পুনরুদ্ধার করা হবে না। যারা প্রভাব রাখার ক্ষমতা রাখবে তারা হিন্দি ও ইংরেজিই মাধ্যমের দিল্লি বোর্ডেই পড়ছে, তাই হিন্দি ইংরেজি ভাষা-সংস্কৃতিরই সার্বিক প্রসার ভবিষ্যতের পশ্চিমবঙ্গের ভবিতব্য। সেইটিই আমার আশংকা, এবং তাই "কোনঠাসা নয়" বক্তব্যের সঙ্গে একমত হইনি।

    এরপর, দীমু ও এলেবেলের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে সেই প্রসঙ্গেও দুটো মন্তব্য আমি করতে চাই।

    (১) এলেবেলে বলেছেন – "হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হলে আপনারা হিন্দি আগ্রাসনের কথা বলে তার চূড়ান্ত বিরোধিতা করবেন, আবার আপনারাই বাংলা বোর্ডে বাংলাকে বাধ্যতামূলক করার জন্য গলা ফাটাবেন? কী মারাত্মক স্ববিরোধিতা লুকিয়ে আছে এই দাবিটির পেছেনে, তা উপলব্ধি করতে পারছেন কি?"

    শুধু বাংলা না হয়ে তার সঙ্গে অন্য ভূমিজ ভাষা থাকলে এতে তো আমি স্ববিরোধিতা দেখছি না। একটা আঞ্চলিক ভাষা হিন্দিকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর গোটা দেশের সমস্ত অংশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া আর নিজ রাজ্যে নিজের ভাষা (বাংলা, গোর্খা, সাঁওতালি ইত্যাদির একটি) শেখাটা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারটা এক নয়। বাংলায় অন্যান্য ভাষার কোনো মানুষ বহুদিন থেকে এসে থাকলেও এই রাজ্য তাদের ভাষা-সংস্কৃতির ভূমি নয়, কাজেই এখানে এসে বসবাস করতে বাধা না থাকলেও, ভাষা সংস্কৃতির দিক থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনা পাওয়ার দাবি থাকে না (কোনো রাজ্যের পোষালে তা দিতে বাধা নেই)। বাংলার বাইরে থাকা বাঙালিরও সে ধরণের দাবি থাকতে পারে না। আরও একটি ভাষা, যেমন আমরা সংস্কৃত পড়েছিলাম, পড়ার একটা ব্যবস্থা রাজ্যের বোর্ডে থাকতে পারে স্কুল লেভেল অবধি কিন্তু বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে না, তাহলে সেটা অন্য ছাত্রদের ওপর অযথা ভার হয়ে দাঁড়াবে। রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষায় একমাত্র ইংরেজি ও ভূমিজ ভাষাগুলোরই থাকা কাম্য। সেটাই রাজ্যের দায়িত্ব বলে আমার মনে হয়। দিল্লির বোর্ড পরীক্ষাতেও ভূমিজ ভাষার একটি আবশ্যিক হওয়া কাম্য, এবার তারা দুটি ভাষা রাখবে নাকি তিনটি সেটা তাদের ওপর, কিন্তু ভূমিজ বাদে কোনো ভারতীয় ভাষা বাধ্যতামূলক করা কাম্য নয়।

    (২) দীমু বলেছেন – মাধ্যম নয়, তিনি ভাষার কথা বলেছেন। বলেছেন পশ্চমবঙ্গ বোর্ডে হিন্দি মাধ্যম হতেই পারে। আমি এখানেও মনে করি বাংলায় পড়াশোনার মাধ্যম হিসেবে একমাত্র বাংলা, নেপালি, সাঁওতালি ইত্যাদি ভূমিজ ভাষাই একমাত্র থাকা উচিত। ইংরেজি মাধ্যম নেহাত রাখতে হয় কারণ ইংরেজিটা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই প্রায় মাতৃভাষার মতন ভালো করে শিখতে হয় নিজেদেরই ভবিষ্যতের জন্য। সেটা বদলে গেলে ইংরেজির দরকার হবে না। এছাড়া আর কোনো মাধ্যমে পড়ানোর দায়িত্ব রাজ্যের কেন হবে? কেউ বেসরকারি স্কুল খুলতে পারেন তেলেগু, মারাঠি মাধ্যম, কিন্তু সেই মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া ও খাতা দেখার ব্যবস্থা করা রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়, দায়িত্বও নয়। এমন ক্ষেত্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে তাদের link/universal langiage ইংরেজিতে দিতে হবে বা পারলে অন্য গুলোর একটায়।

    এই আলোচনার প্রসঙ্গে বলছি, বাংলায় হিন্দুস্তান (পশ্চিম ধরে বলছি) অংশ থেকে এসে যারা থাকেন তাদের একটা ভীষণ বড় অংশের জীবন যাত্রা ও ভাবভঙ্গীর মধ্যে এই মাটির ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে এড়িয়ে চলার প্রবণতা প্রকট। দিল্লির শাসনের পরিধির ব্যাপকতার সুবাদে তারা রাজ্যের সরকারকেও যতটা সম্ভব উপেক্ষা করেন। এটি শুধু নিজের ভাষা সংস্কৃতি ঐতিহ্যের প্রতি টান নয়, এর মধ্যে একটা রাজনীতি আছে সেটা হলো, এই ভূমির ওপর এখানকার মানুষ ও তাদের ভাষা সংস্কৃতির অধিকার ও স্বাতন্ত্রের জায়গাটা অস্বীকার করা। এমন নির্দিষ্ট করে বলতে হচ্ছে বলে দুঃখিত কিন্তু পরিষ্কার করা দরকার যে এই ভাবটি অন্য অঞ্চল যেমন পার্শবর্তী উড়িষ্যা, পাঞ্জাব (শিখ সম্প্রদায়) বা দাক্ষিণাত্য থেকে আসা মানুষদের মধ্যে পাওয়া যায় না। তাই এটিকে দিল্লির তথা হিন্দুস্তানের আগ্রাসনবাদী ঔপনিবেশিক মনোভাবেরই সম্প্রসারণ হিসেবে দেখতে হয়। এখানেই ভাষা একটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

    বাধ্যতামূলক কথাটা নিশ্চয় আপত্তিজনক। পূর্বের যে বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে বাংলা এই উদারনৈতিক ভাবধারা রেখেছিলো, যে এই মাটিতে যে কেউ নিজের সর্বোচ্চ স্বাধীনতায় থাকতে পারবে, আজকের ভারতের বাংলার সেই স্থান এখন নেই। হিন্দুস্তানের সামগ্রিক আগ্রাসন ও প্রান্তিক অংশগুলোর ওপর ঔপনিবেশিক আচরণের কাছে তার ভাষা ও জাতি বিপজ্জনকভাবে কোনঠাসা। এই পরিস্থিতে ভূমিজ ভাষাশিক্ষা বাধ্যতামূলক করার চিন্তা একান্তই একটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা উচিত, বসবাসকারী অন্য ভাষার মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করা এখানে উদেশ্য নয়, বাস্তবতাজনিত বাধ্যতা। দিল্লির তথা হিন্দুস্তানের  ক্ষমতার সামনে অতীতের ঔদার্য কার্যক্ষেত্রে এই ভাষা ও জাতির ওপর হয়ে চলা অন্যায়েরই সহায়ক হবে। ঔদার্য একটি দর্শন হিসেবে দুর্বলের প্রতি সবলের দ্বারা সংগঠিত সম্ভাব্য অন্যায়কে প্রতিহত করার ভাবনা থেকে আসে। কিন্তু দুর্বলের ঔদার্য যদি সবলের তার প্রতি ঘটে চলা অন্যায়ের সহায়ক হয়ে ওঠে, ততক্ষন সেই আত্মঘাতী ঔদার্য কোনো কর্তব্য হতে পারে না।

    সমস্যার সমাধানের প্রকৃত উপায়, অন্যের স্বাধীনতা হরণ না করে আত্মরক্ষা করার উপায়, হলো রাজ্যভিত্তিক স্বাতন্ত্র লাভ, শিক্ষা ও অন্যান্য সব প্রযোজ্য ক্ষেত্রে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা। এলেবেলে শেষে যে "খোল নলচে" বদলে ফেলা পরিবর্তনের কথা বলছেন সেটা এই পথেই সবচেয়ে সহজ হবে। তবে আশা আর বাস্তবতার দূরত্ব নিয়ে তার কথার সঙ্গে মতভেদের কোনো জায়গা নেই।
  • lcm | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩৩528265
  • বারো বছরের স্কুল শিক্ষার, এবং পরবর্তী কলেজ শিক্ষার (৩-৪ বছর) মূল উদ্দেশ্য কী?

    - ধাপে ধাপে জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সামগ্রিক মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ
    - একটা প্রশিক্ষণ পাওয়া যা জীবিকা অর্জনে সহায়ক হবে

    যদি উদ্দেশ্য দ্বিতীয়টি হয়, বা, উপরের দুটি একসঙ্গেও হয়, তাহলেও তো ইংরেজি মাধ্যম প্রেফারেবল হওয়া স্বাভাবিক।

    সমস্ত স্কুল ইংলিশ মিডিয়াম করে দেওয়ার আইডিয়া খারাপ না। কারণ, ইংরেজি হল ক্ষমতার ভাষা। ক্ষমতা কেন কুক্ষিগত হয়ে থাকবে। সবাই সুযোগ পাক।

    দলিত নেতা চন্দ্রভান প্রসাদ বলেছিলেন, সমস্ত দলিতের উচিত ইংরেজি শেখা।

    "Ambedkar said English was the milk of a lioness, he said only those who drink it will roar," Chandra Bhan Prasad says.

    He says with the blessings of Goddess English, Dalit children will not grow to serve landlords or skin dead animals or clean drains or raise pigs and buffaloes. They will grow into adjudicators and become employers and benefactors.

    An 'English goddess' for India's down-trodden ( https://www.bbc.com/news/world-south-asia-12355740
  • ??? | 2a12:5940:53e4::***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৩০528267
  • পশ্চিম্বঙ্গ পাঞ্জাব এইগুলো হিন্দুস্তানের বাইরে নাকি? পাকিস্তানে বুঝি?
  • pokai | 2402:3a80:198f:55ff:891a:e64c:56da:***:*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০৮528514
  • প ব তে icse চিত্র আলাদা একটু !
    আমার ছেলে ক্লাস এইট - ওর হিন্দী তৃতীয় ভাষা হিসেবে সিলেক্টেড (দ্বিতীয় বা তৃতীয়  চয়ন করার সুযোগ আছে), ওদের ৫, ৬, ৭ হিন্দী পড়িয়েছে। ওদের দ্বিতীয় ভাষা বাংলাতে ক্লাস সেভেন e জীবনানন্দ দাসের রূপসী বাংলা ছিল এই ক্লাসে অন্নপূর্ণা ও  ঈশ্বরী পাটনী !
    আমি সরকারি বাংলা মাধ্যমে পড়েছিলাম, এতো নীচু ক্লাসে বাংলায় এগুলো আমরা পড়িনি !
    ইংরেজি তো ছেড়েই দিন - আমাদের ইলেভেনে পড়ানো ওয়াল্টার দে লা মেয়ার এর কবিতা ওদের সেভেনে পড়িয়েছে, জুলিয়াস সিজার আছে ক্লাস নাইন টেনে !
  • pokai | 2402:3a80:198f:55ff:891a:e64c:56da:***:*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৩০528515
  • দীমু হয়ত অবহিত নন  icse ইংরেজি বাংলা দুটি বিষয়েই শুধু সাহিত্য নয় ব্যবহারিক ভাষা জ্ঞান ( যেমন চিঠি , সংক্ষিপ্তকরণ , পক্ষে বিপক্ষে মতামত লেখা ইত্যাদি আছে ) 
  • দীমু | 182.69.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৮528531
  • শুধু icse কেন সব বোর্ডেই ইংরেজি বাংলা দুটি বিষয়েই শুধু সাহিত্য নয় ব্যবহারিক ভাষা জ্ঞান আছে। আমি লিখেছি জোর দেওয়ার কথা। ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০/৮০ নম্বর সাহিত্যের থাকে, তাই লেখাতেও ব্যবহারিক জ্ঞানের ওপর ওয়েটেজটা সব বোর্ডেই কম। আর ভাষা বলা , শোনা বা আনসিন প্রবন্ধ পড়ে বিশ্লেষণের ওপর জোর কোনো বোর্ডের পাঠ্যক্রমেই দেওয়া হয় না। 
  • pokai | 117.24.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০১528533
  • আনসিন থেকে কম্প্ৰীহেনশন সেই ৫-৬  ক্লাস থেকে আছে , অদ্ভুত লাইন দিয়ে গল্প রচনাও আছে | নির্জন রেল স্টেশনে একরাত রচনা লিখ বা সম্পাদক কে জল সমস্যা নিয়ে চিঠি তা ও আছে | স্কুল স্টুডেন্ট দের কাছে এর বেশি কি ব্যবহারিক জ্ঞান আশা করেন ? কোন পন্ডিত রা সিলেবাস বানিয়েছে জানিনা , বঙ্কিম  রেখেছে কিন্তু বয়সোপযোগী ফেলুদা টেনিদা নেই , বাংলা ব্যাকরণ বাংলা মাধ্যমে ক্লাস এইটে আমরা যা যা পড়েছিলাম সন্ধি বচন বাচ্য ইত্যাদি সব আছে ! দ্বিতীয় ভাষার এই সিলেবাস ধন্য icse ! 
  • দীমু | 182.69.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:১২528534
  • আমার সব মন্তব্যই CEFR কে ভিত্তি ধরে করা হয়েছে। ওই ফ্রেমওয়ার্কে ভাষা পড়া / শোনা / লেখা / বলা এই চারটে আঙ্গিকের ওপর সমান জোর দেওয়া হয়। 
     
    আপনি যা বলছেন - অদ্ভুত লাইন দিয়ে গল্প রচনা , নির্জন রেল স্টেশনে একরাত রচনা লিখ বা সম্পাদক কে জল সমস্যা নিয়ে চিঠি এসব শুধুই লেখার মধ্যে পড়ে। 
     
    আনসিন থেকে কম্প্ৰীহেনশনের একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারব। আবাপর সম্পাদকীয় বা গুরুর বুবুভা থেকে তুলে ৫ -৬ ক্লাসে আনসিন দেয়?
  • pokai | 2402:3a80:198d:bc4f:853b:80c4:7984:***:*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩৮528536
  • বিভূতিভূষণ চাঁদের পাহাড় থেকে দিয়েছে সেভেনে ।ওদের বয়সে আবাপ সম্পাদকীয় কেন দেবে ? আমাদের ওই বয়সে কি দিতো বাংলা মাধ্যমে ? 
    গুরুর লেখা পরীক্ষায় দেবার মতো গুরুত্ব দাবী করছেন বুঝি ?
  • দীমু | 182.69.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৪৪528537
  • laughlaugh
    চাঁদের পাহাড় ও তো সেই কিশোর সাহিত্য হচ্ছে। আমি বুঝতে চেয়েছিলাম সাহিত্য ছাড়া সাম্প্রতিক খবরের ওপর প্রবন্ধ বা নিদেনপক্ষে খবরের প্রতিবেদন জাতীয় কিছু ওরকম বয়সে দিচ্ছে কিনা। এই ধরুন কলকাতা বইমেলার ওপর একটা খবরের প্রতিবেদন। দিচ্ছে না , বুঝতে পেরেছি।
  • pokai | 117.2.***.*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৩528585
  • আমাদের সময়ে স্কুলে সপ্তম অষ্টম শ্রেণীতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রথম ভাষা বাংলায় আবাপ-র সাম্প্রতিক প্রতিবেদন দিতোনা , কিশোর সাহিত্য দিতো | ফুটবল বিশ্বকাপের খবরের প্রতিবেদন এসেছিলো বৈকি সপ্তম শ্রেণীতে | 
    যে বয়সে যেটা মানায় |
     
  • Arindam Basu | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৩:৩৪528599
  • "সাম্প্রতিক খবরের ওপর প্রবন্ধ বা নিদেনপক্ষে খবরের প্রতিবেদন জাতীয় কিছু ওরকম বয়সে দিচ্ছে কিনা'
     
    না দিয়ে মনে হয় ভালই হয়েছে। 
    আমাদের সময়ে (সে প্রায় সৌরমণ্ডল সৃষ্টির সময়ে) দাদুরা বলতেন স্টেটসম্যান পড়লে নাকি ইংরিজি শেখা যায়। 
    বাংলা ভাষায় সত্যিকারের সিরিয়াস খবরের কাগজ কিছু আছে কি? যেকটা পড়ি সবই তো ট্যাবলয়েড গোছের কাগজ, এমনকি উত্তর সম্পাদকীয় গুলো অবধি খাজা, প্রচুর ভুলভাল তথ্য থাকে, তেমন ইনটারপ্রিটেশন। 
    তার তুলনায় গুরুতে উঁচুমানের প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন