এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  ভ্রমণ

  • গন্তব্য চড়িদা - ৪

    Sara Man লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ভ্রমণ | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৬৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • আমরা মহিষাসুর মর্দিনীর সঙ্গে ছবি তুলতে গেলাম। মা দুর্গা লজ্জা পেয়ে চট করে ভিতরে চলে যাচ্ছিলেন, তাঁকে ডেকে নিয়ে আসা হল। গণেশদাদা কিন্তু বেশ ফ্রি, ঘুরে ফিরে ছবি তুললেন। আমি ব‍্যাগ খুলে টাকা মেটানোর চেষ্টা করতেই, হোটেল মালিক বাধা দিলেন। বললেন, আমি ওদের টাকা দিয়ে দিয়েছি। হোটেলের বিল একসঙ্গে হবে, আপনি তখনই পেমেন্ট করবেন। আপাত দৃষ্টিতে একটি নিরীহ কথা, কিন্তু সত‍্যিই কি নিরীহ? শিল্পীদের টিফিন আমাদের ট‍্যুর অপারেটরই দিলেন। হোটেলের হেলদোল দেখা গেলনা। ঐ কয়েক হাজার টাকার মধ্যে শিল্পীরা কত পেলেন ধোঁয়াশা থেকে গেল। হোটেল মালিকের আগের কথা (ভাগে পঞ্চাশ একশো টাকা) অনুযায়ী যদি সকলের একশো টাকা করেও ধরি, কুড়ি গুণিতক একশো হয় দুহাজার টাকা। সঙ্গে সাইকেল ভ‍্যানভাড়া বাদ দিলে পুরো টাকাটাই হোটেলের গর্ভে। কিন্তু আমরা হোটেল মালিকের কথা বিশ্বাস করে টাকাটা শিল্পীদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলাম, আসল গেম বুঝতে পারিনি। নিজেকে প্রতারিত মনে হচ্ছিল। শিল্পীদের পক্ষেও এ এক ধরণের শোষণ। ছৌনাচ বাংলার প্রাচীন ঐতিহ‍্যবাহী নৃত্য। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে হোটেলগুলি তাদের ন‍্যূনতম দক্ষিণায় হোটেল নর্তক বানাচ্ছে, এটা বুঝতে পেরে ভালো লাগলনা। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা কিছু করেছে। একেবারে শিশুকাল থেকে শিল্পীরা এই নাচ শিখছেন এবং নিয়মিত অভ‍্যেস করেন, তাই শান বাঁধানো মেঝেতে আছড়ে পড়েও আঘাত লাগেনা। পরে সকলে ভাবলাম, যদিও শিল্পের দাম টাকা দিয়ে হয়না, তবুও এই অনুষ্ঠানে কতটাকা পেলেন, এই প্রশ্নটা লজ্জার মাথা খেয়ে করে ফেললেই হত। তাহলে কল্পনা করতে হত না, কংক্রিট তথ্য পাওয়া যেত। আসলে এই শিল্পীদের চাহিদা কম, এঁরা অল্পেই সন্তুষ্ট। সেই সুযোগটাই গ্রাহক আর শিল্পীদের মাঝে মধ‍্যসত্বভোগীরা পুরোদমে ভোগ করে। পঁচিশ বছর শিক্ষকতার জীবনে অভিজ্ঞতা তো কম হলনা। বাঁকুড়ার বিকনায় ডোকরা শিল্পীরা কিছুতেই তাঁদের তৈরি, পশুপাখি, গয়নাগাঁটি আমাদের কাছে বিক্রি করতে চাননি, কারণ যা কিছু তাঁদের রেডি ছিল, সবই মহাজনের অর্ডারি। বেশি দাম দিলেও আমাদের দিতে পারবেন না। তাঁরা আমাদের হাতজোড় করে বলেছিলেন, আজ যদি বেশি পয়সার লোভে জিনিসগুলি আপনাদের বিক্রি করে দিই, মহাজন আর অর্ডার, কাঁচামাল কেনার দাদন কিছুই দেবেনা।আমাদের নিজেদের সামর্থ্য নেই নতুন কাঁচামাল কেনার টাকা যোগাড় করার। সারাবছর তো আপনারা থাকবেন না, তখন খাব কী? আমরা উত্তর দিতে পারিনি। বিষ্ণুপুরের তাঁতীদেরও দেখেছি, ক্লাস্টার চলছেনা, কোঅপারেটিভ চলছে না, সরকারি খাতায় নাম আছে, কিন্তু নিরুপায় হয়ে কাজ করেন মহাজনের কাছে। এই ব‍্যাপারগুলো আজকাল অনেকেই জানেন। সরকার ব‍্যবস্থাও নিচ্ছেন কিছু কিছু, মেলার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তাতেও শিল্পীদের সুবিধে হচ্ছে। কিন্তু এইসব মেলাতে তো নৃত‍্যশিল্পীদের সুযোগ নেই। এর আগে সুন্দরবন আর উত্তর বঙ্গে চালসার হোটেলেও সাঁওতালি নাচ দেখেছি। পর্যটকদের নিয়ে আধঘণ্টাটাক নাচ হয়। এর ভাড়া হোটেলের প‍্যাকেজের মধ‍্যেই ধরা থাকে। ছৌনাচের ব‍্যাপারটা এগুলোর থেকে অনেক আলাদা। বড় দল, সাজসরঞ্জাম বেশি। এই ঘটনাটা না ঘটলে ঐতিহ‍্যবাহী প্রাচীন নৃত‍্যগুলির ক্ষেত্রে  হোটেলগুলোর এই মহাজন রূপটির বিষয়ে সচেতন হতামনা। কিন্তু যদি এটিকে শোষণ ধরে নিই, এর থেকে মুক্তির উপায় কী? আমার মনে হয়েছে দুটো উপায়, প্রথম দরকার পর্যটকদের সচেতনতা। পর্যটক যে টাকা দেবেন, তাতে হোটেলের শেয়ার কত, আর শিল্পীদলের শেয়ার কত, সেটা স্বচ্ছ হওয়া দরকার। দ্বিতীয় প্রয়োজন হল এ বিষয়ে স্পষ্ট সরকারি নীতি লাগু করা। এইসব অভিজ্ঞতা জীবনের সঞ্চয়, হাতে কলমে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া তো শিক্ষকের এক্তিয়ারে নেই, তাই কলম ধরাই একমাত্র উপায়। 

    আমাদের বাগমুন্ডিতে থাকার দিন ফুরিয়ে এল। শেষদিন অযোধ‍্যা পাহাড়ের নানা ট‍্যুরিস্ট স্পট ঘুরে দেখলাম। প্রথমেই লহরিয়া বাঁধ আর সংলগ্ন শিবমন্দির। জায়গাটা প্রশস্ত, চৈত্র মাসে বড় করে গাজনের মেলা বসে। মেলায় ছৌনাচের আসরও থাকে। বর্ষায় সবুজ অযোধ‍্যা পাহাড়ের সৌন্দর্যকে মান্ডুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। পাহাড়ের কোলে আপার ড‍্যাম, লোয়ার ড‍্যামের জলাশয়ে শীতকালে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা শুরু হয়েছে। অযোধ‍্যা পাহাড়ের প্রাচীন নাম নাকি অঝোইদা। অঝোই অর্থাৎ অঝোর, আর দহ হল হ্রদ বা জল। পুরো অযোধ‍্যা পাহাড় জুড়ে অসংখ্য ঝরনা বর্ষার জল পেয়ে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। আর তার মধ‍্যে সবচেয়ে সুন্দর দুটি জলপ্রপাত হল বামনী আর তুর্গা। তুর্গা সংলগ্ন বাঁধও আছে, সেখানে টুসু উৎসবে টুসুর ভাসান ঘিরে মেলা বসে।  আরও আছে মার্বেল লেক। সব জায়গাতেই স্থায়ী বা অস্থায়ী যে কোন দোকানে ছৌয়ের মুখোশ বিক্রি হতে দেখলাম। শেষ গন্তব্য ছিল পাখি পাহাড়। এই পাখি পাহাড় বাগমুন্ডির রোজগার মানচিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখানেই জানতে পারলাম, পুরুলিয়া জুড়ে তৈরি হচ্ছে পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ছৌশিল্পীরাও এর মধ্যে আছেন। কোন গোষ্ঠী তৈরি করেন পলাশের আবির, কেউ বানান কাঠের পুতুল ও অন‍্যান‍্য হস্তশিল্প। কেউ আবার তৈরি করেছেন হোম স্টে। একটা জিনিস খেয়াল করেছিলাম, পুরো অযোধ‍্যা পাহাড়ে যেখানেই পর্যটকদের জন্য দোকান আছে, সব দোকানেই উত্তর বঙ্গের মতো কাঠের পুতুল পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু দাম কম। পরে জানলাম স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠী এগুলো বানায়। পাখি পাহাড়ও চালাচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, তবে এর বিষয়টা একটু স্বতন্ত্র। নিজের কিছু ছাত্র এবং স্থানীয় আদিবাসী শিল্পীদের নিয়ে পাখি পাহাড়টি তৈরি করেছিলেন কলকাতার শিল্পী চিত্ত দে। ১৯৯৪ সাল থেকে কাজ শুরু করে পাথরের গায়ে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন পাখির ভাস্কর্য। পাথর খোদাই করে একেকটি পাথরে একেক রকম পাখির অবয়ব তৈরি করা হয়। তিন বছর সময় লেগেছিল তাঁর এই স্বপ্ন পূরণ করতে। রক কার্ভিং করে তৈরি করা হয় একেক রকম পাখির পাহাড়। শাল-পিয়ালের জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ট্রেক করে ঘুরতে হয় সেই পাখি পাহাড়ে। জঙ্গলের মধ্যে এমন একটি শিল্পসৃষ্টি মুগ্ধ করল আমাদের সকলকে। দূর থেকে এই পাহাড়ের পাখি দেখা যায়। এখন কোথাও রং নষ্ট হয়ে গেলে বা খোদাই ভোঁতা হয়ে গেলে পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা রক কার্ভিং করে আবার ভাস্কর্য পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেন। আর মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস‍্যরা এন্ট্রি ফি জমা নিয়ে গাইডের কাজ করেন। যাই হোক বাগমুন্ডি আমাদের বহুরকম অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ করেছে। ফেরার পথে রাতে আবার বরাভূম স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে হবে। রেলগাড়ি লেট আছে। ছেলেমেয়েরা দেখলাম একজায়গায় প্ল‍্যাটফর্মে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে খুব হৈচৈ করছে। আড়চোখে তাকিয়ে দেখি প্রীতম ও সুকেশ নামের ছেলে দুটি ময়ূর ও মহিষাসুর হয়ে নাচছে আর বন্ধুরা যথাসম্ভব উৎসাহ দিচ্ছে। বুঝলাম ছৌশিল্প ছেলেমেয়েদের মনে খুবই দাগ কেটেছে। ভবিষ্যতে কলেজ পেরিয়ে এরা সমাজের নানা ভাঁজে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেদিন এই শিল্প ও শিল্পীদের জন্য ওরা যেন কিছু করতে পারে, মনে মনে এই প্রার্থনাই করি। 

    সমাপ্ত।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১২:১৭525402
  • চড়িদা আর ছো নিয়ে সংক্ষিপ্ত , অথচ সামগ্রিক একটি লেখা। ভালো লাগলো। জামশেদপুরের লোক হবার সুবাদে মানভূমী সংস্কৃতির সঙ্গে আজন্ম ওঠাবসা। ও তল্লাটে যাতায়াত  প্রায় আধ শতক জুড়ে।  শ্রদ্ধেয় আশুতোষ ভট্টাচার্য ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের ঘনিষ্ট ছিলেন। বাবার পিএইচডি পরীক্ষক ছিলেন পঞ্চাশ-ষাট  বছর আগে। মাঝে মাঝেই আসতেন জামশেদপুরে। ১৯৭২ সালে বিদেশযাত্রার আগেই তিনি বাড়ির পাশের সেরাইকেলা এবং বাগমুন্ডির ছো নিয়ে আলোচনা করতেন বাবার সঙ্গে, দেখেছি। ষোলো-সতেরো বছর বয়স থেকেই আমরা এই দুই জায়গায় ছো-এর সঙ্গে পরিচিত। সম্প্রতি চড়িদা গিয়েছিলুম বহুদিন পর। একেবারে পাল্টে গেছে। এখন তো তার নাম 'মুখোশ-গ্রাম'। তবে মুখোশ শিল্পের স্বচ্ছলতা দেখলে ভালো লাগে। আগে আমরা পুরুলিয়া গেলেই নানা রকম 'মুয়া'(মুখোশ) নিয়ে আসতুম । নিজেদের জন্য, উপহারের জন্যও। এবার গিয়ে তাদের দাম দেখে রীতিমতো চমক লাগলো। আনন্দও হলো শিল্পীদের অর্থাগম দেখে। 
     
    তবে ছো-এর নৃত্যশিল্পীদের অবস্থা সত্যিই করুণ। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে কদ্দিন তার আয়ু বলা মুশকিল।  
  • Sara Man | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:২০525408
  • আসলে হস্ত চালিত তাঁত আর অন‍্যান‍্য হস্তশিল্প যতটা সচেতন চোখের সামনে এসেছে, লোকগান ও লোকনৃত‍্য ততটা আসেনি। পারফর্মিং আর্ট হিসেবে কীর্তন ওপরে কিন্তু গাঁ গঞ্জের পালাগান নিচে। সাঁওতালি নাচগান ওপরে, ছৌনাচ নিচে - এইরকম অনেক স্তর তৈরি হয়েছে। ছৌনাচের অবস্থা ভালো করার, জনপ্রিয় করার জন্য নাচের মধ‍্যেই অনেক মালমশলা আছে। পুনরুজ্জীবনের জন্য লীডারশিপের অভাব হচ্ছে। 
  • kk | 172.58.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৪525415
  • ভালো লাগলো এই সংক্ষিপ্ত সিরিজটা। লোকনৃত্য, লোকগান, লোককথা এসব নিয়ে লেখা বা আলোচনা আমার খুবই ভালো লাগে। মিডলম্যানদের কারণে আসল শিল্পীরা অনেক জায়গাতেই ঠিকমত টাকাপয়সা পান না, এটা খুব বাস্তব সমস্যা। কোনোভাবে এই শিল্পগুলোকে ফেয়ার ট্রেডের আওতায় নিয়ে আসা যায় কিনা তাই ভাবি।
  • Sara Man | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৪৩525424
  • আদিবাসী নৃত‍্যশিল্পীরা নিজেরা একজোট হয়ে দাবী না জানালে সমস্যা। এবার ধরুন স্থানীয় শিল্পীরা একজোট হলে, বাগমুন্ডির হোটেলগুলোর পক্ষে কি ঝাড়খণ্ডের দল আনা পড়তায় পোষাবে? মনে হয় না। তখন দলগুলোকে ন‍্যায‍্য টাকা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন