এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • ভারতীয় যাদুঘরের ইতিকথা

    প্রদীপ কুমার সেনগুপ্ত
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১২ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫৮৬ বার পঠিত

  • ৭৫ সালের প্রথম দিক। আমার কয়েকজন বন্ধু তখন একটা সরকারি ট্রেনিং এর ভাতা পাচ্ছে। তাদের নিয়োগকর্তা ভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বেক্ষণ বা জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও কর্মস্থল ভারতীয় যাদুঘরের শিবালিক গ্যালারি। আমি তখনও বেকার। আমাকে ওরা প্রায়ই বলে, “চলে আয়। গরমের দিনে গ্যালারিতে বসে আড্ডা মারা যাবে”। তাই একদিন গেলাম। এই গ্যালারীটা কলকাতার ভারতীয় যাদুঘরের ঢোকার মুখে বাঁ দিকে পড়ে। যাদুঘরের বিশাল ইমারতের মোটা মোটা দেয়ালের ভিতর দিয়ে গ্রীষ্মের দাবদাহ ঢুকতে পারেনা। গ্রীষ্মের দুপুরে লোকজনের আনাগোনাও নেই।
    যাদুঘরের শিবালিক গ্যালারী তে ওরা তখন ক্যাটালগ তৈরির কাজ করছিল । ওদের সাথে আমিও হাত লাগালাম। ভারত তথা এসিয়ার প্রকৃতির ইতিহাসের বিশাল সংগ্রহের সাথে আমার সেই প্রথম ঘনিষ্ঠ পরিচয় হল। নিজের হাতে স্পর্শ করলাম পিকিং ম্যানের খুলি, স্টিগোডনের দাঁত। ভূতাত্বিক প্রত্নবস্তুর সংগ্রহও কম নয়। শুধু ভূতাত্বিক গ্যালারিরই বিভিন্ন খোপে প্রায় ২৮০০০ ফসিল, ৭০০ উল্কাপিন্ড এবং প্রায় এক লক্ষ শিলা ও খনিজের সংগ্রহ রয়েছে। উল্কাপিন্ডগুলি এখন জিওলজিকাল সার্ভের অন্য একটি ভবনে সাজিয়ে রাখা আছে। কিছু কিছু ভারতীয় জীবাশ্ম, যেমন স্টিগোডন গনেশ নামক ম্যামথের কঙ্কাল, ইংরেজরা তাদের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিয়ে গিয়েছে। এখানে তার প্লাস্টার কাস্ট রাখা আছে।
    শিবালিক গ্যালারিতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে যাদুঘরের বিভিন্ন অংশ দেখার সুযোগ ঘটেছিল। বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে সংগ্রহ করা মানব ইতিহাস ও প্রকৃতির ইতিহাসের এই বিশাল সংগ্রহশালাটি দেখে আমি সত্যিই বিষ্ময়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। এই যাদুঘরটি সম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনার আগে যাদুঘরের চত্তরের প্রতিবেশীদের কথা একটু বলি। এই চত্তরটিতে এক দিকে রয়েছে জিএস আই বা জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, অ্যান্থ্রোপলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, বোটানিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং কলকাতার সরকারি আর্ট কলেজ। এই সব কটি জ্ঞান ও বিদ্যাচর্চার কেন্দ্রগুলির যাবতীয় সংগ্রহের মহাফেজখানা হল এই ভারতীয় যাদুঘর।
    ভারতীয় যাদুঘরের ইতিহাসের কথা বলতে গেলে যে তিনটি সংস্থার কথা আগে বলতে হয় সেগুলি হল এসিয়াটিক সোসাইটি, সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া নবীনতম হলেও ভারতীয় যাদুঘরের ইতিহাসে এই সংগঠনটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আজ আমি যে প্রসংগ নিয়ে এসেছি তার মধ্যে অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীর ভারতের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসও কিছুটা ঢুকে পড়বে। সেই সাথে চলে আসবে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির কথাও, কারণ চারশ বছরের পুরোনো এই প্রতিষ্ঠান সারা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছিল। কেউ ভাবতেই পারেনি যে একটা কম্পানি কীভাবে সারা পৃথিবীকে গ্রাস করবে। শুধু তাই নয় সারা বিশ্বের জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাকে শুধুমাত্র সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে ব্যবহার করার ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
    ১৭৭৮ সালে লন্ডনে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির সদর দপ্তরে খুব ঘটা করে একটি আট ফুট বাই দশ ফুট আকারের বিশাল তৈল চিত্র টাঙানো হয়। এই ছবিটি শুধুমাত্র একটি শিল্পকর্ম ভাবলে ভুল হবে। এর মধ্যে রয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির মূল ভাবনার প্রকাশ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রাচ্যের মানুষ সিংহবাহিনী ব্রিটানিয়ার হাতে তাদের সমস্ত সম্পদ তুলে দিচ্ছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির মূল উদ্দেশ্য ছিল এটাই এবং এই একটি মাত্র উদ্দেশ্যে কম্পানি ও ব্রিটিশ সরকার প্রাচ্য দেশে জ্ঞানচর্চাকে সমর্থন যোগাতে সম্মত হয়। অনেক গবেষক তৎকালিন বিজ্ঞানচর্চাকে সাম্রাজ্যবাদী বিজ্ঞান বা ইম্পিরিয়াল সায়েন্স নামে অভিহিত করেছেন। ইম্পিরিয়াল সায়েন্সের হাত ধরে যে ইউরোপীয় বিজ্ঞানচর্চা আমাদের দেশে প্রবেশ করল তার পরিণতি হিসাবে আমরা পেলাম ভারতীয় যাদুঘর এবং অনেক ভারতীয় বিজ্ঞানী যাঁদের হাত ধরে ভারতের স্বদেশী আন্দোলন দানা বেঁধে উঠল। যাঁরা মনে করেন স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু মাত্র একটি রাজনৈতিক কার্যক্রম তাঁরা ভুল করবেন। স্বদেশের জন্য জ্ঞানচর্চাও যে স্বাধীনতার দিকে একটা বড় পদক্ষেপ তার প্রমাণ ভুতাত্বিক প্রমথনাথ বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় প্রমুখ।




    চিত্র ১ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির বাণিজ্য বিস্তার



    চিত্র ২ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির অফিসের দেয়ালের তৈলচিত্র



    ভারতবর্ষে ইম্পিরিয়াল সায়েন্স হিসাবে যে বিজ্ঞান প্রথম পদার্পন করে, তাকে একরকম বাধ্য হয়েই পথ ছেড়ে দিয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি। সেই বিজ্ঞানের নাম জরিপ বিজ্ঞান বা সার্ভেয়িং। তার আগে মানচিত্র রচনা খুবই স্থানীয় ব্যাপার ছিল। আকবরের সময় টোডরমল খাজনা আদায়ের জন্য জমির মানচিত্র রচনার কাজ প্রবর্তন করেন। জুনাগড়ের রাজা, বরোদার মহারাজা, এঁরাও অনেকে তাদের রাজ্যের কিছু মানচিত্র তৈরি করেছেন। আসলে ভৌগোলিকভাবে ভারতবর্ষের অবস্থান থাকলেও রাজনৈতিকভাবে ভারতবর্ষ একটি একক শাসনের অধীনে ছিলনা। ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি মুঘল শাসক ও দেশীয় রাজাদের হাত থেকে খাজনা আদায়ের ভার তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে সমগ্র ভারতবর্ষকেই তাদের গ্রাসে নিয়ে এল ছলে বলে ও কৌশলে। সম্রাট ও দেশীয় রাজারা তাদের অধীনে রইল।
    ভারতের এই অধিকৃত এলাকাগুলি সম্বন্ধে সঠিক ধারণা তৈরি করার জন্য জরিপ অপরিহার্য হয়ে পড়ল। তাই ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি ১৭৬৭ সালে মেজর জেমস রেনেলকে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির সার্ভেয়র জেনারাল হিসাবে নিযুক্ত করে। তখন রেনেলের বয়স মাত্র ২৪ বছর। লর্ড ক্লাইভের শাসনের মেয়াদ সেই বছরই শেষ হয়।
    সমগ্র ভারতবর্ষকে জানতে এবং বুঝতে এবং বিশেষ করে বনসম্পদ আহরণ ও সেনা ছাউনির স্থান নির্বাচন ও পথঘাট তৈরির জন্য জরিপ অপরিহার্য হয়ে পড়ল। এছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টও চাপ দিচ্ছিল। তাই কলকাতায় স্থাপিত হল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ১৮১২ সালের দশই এপ্রিল সারা ভারত জুড়ে গ্রেট ট্রিগোনমেট্রিকাল সার্ভের সূচনা হ। বলা চলে বিশ্বের জরিপের ইতিহাসে সবথেকে বড় কর্মকান্ড এটি। এর জন্য সবথেকে আধুনিক থিওডোলাইট যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
    রেনেল ব্রিটিশ সেনাবাহিনির কাছ থেকে এবং দেশীয় রাজাদের কাছ থেকে অনেক মানচিত্র জোগাড় করেন। ১৭৬৫ সালে রেনেল প্রকাশ করেন মুঘল সাম্রাজ্যের মানচিত্র। যার নাম দেন ম্যাপ অফ হিন্দুস্তান। এখানে মোগল সাম্রাজ্যকে কয়েকটা সুবা বা প্রদেশে ভাগ করে দেখানো আছে।




    চিত্র ৩ রেনেলের মানচিত্র



    যাদুঘরের কথা বলতে গিয়ে সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কথা কেন টেনে আনছি তা বুঝিয়ে বলছি। এই জরিপের সূত্র ধরে সার্ভেয়ররা ভারতে এমন অনেক জায়গায় পা রেখেছে যা সম্বন্ধে মানুষের কোন ধারণা ছিলনা। তা সে রাজস্থানের দূর্গম মরু অঞ্চলই হোক আর হিমালয়ের শিবালিক পাহাড়ই হোক। এই সব জায়গায় তারা অনেক প্রত্নবস্তু এবং জীবাশ্বের ভান্ডার খুঁজে পান। যা পরে জিওলজিকাল সার্ভে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে সঠিকভাবে চিহ্নিত হয়েছে এবং ভূতাত্বিক সংগ্রহে স্থান পেয়েছে।
    ভারতীয় জাদুঘরের ইতিহাস বাংলার নবজাগরণের সাথেও সংযুক্ত। উনবিংশ শতাব্দির মধ্যভাগে বাংলার বুকে শিক্ষা ও সংস্কৃতির পরিবর্তন ও তার বহুমুখী বিস্তারের যে জোয়ার এসেছিল তাকে অনেকটা সমর্থন যুগিয়েছিল তৎকালিন যাদুঘর আন্দোলন, যা আজ প্রায় বিস্মৃত। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে এবং বলতে গেলে কলকাতাকে কেন্দ্র করে জ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চার যে ঢেউ এসেছিলো তার অন্যতম পথিকৃত এসিয়াটিক সোসাইটি। যদিও সেখানে প্রথম দিকে ভারতীয়দের অন্তর্ভুক্তি নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু পরবর্তিতে অনেক ভারতীয় এর সদস্য হন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম রাজা রামমোহন রায়।
    ভারতীয় যাদুঘরের সূচনা এবং বিকাশের ইতিহাসকে উপলব্ধি করার জন্য আমাদেরকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে ফিরে যেতে হবে যখন স্যার উইলিয়াম জোনস ভারতের সেবায় তাঁর জীবন উত্সর্গ করেছিলেন। ১৭৮৪ সালে তাঁর উদ্যোগে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা হয়। এশিয়াটিক সোসাইটির ভূমিকা ছিল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কিত শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশের জন্য একটি শিক্ষণ কেন্দ্র গঠন করা, মানুষের বিনোদন করা, জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া এবং মানবজাতির সাংস্কৃতিক পাশাপাশি প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ যার ভৌগলিক সীমার মধ্যে রয়েছে সমগ্র এশিয়া। যদিও এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোনস অবশ্য তার উদ্বোধনী ভাষণে সমাজের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জাদুঘরের ভিত্তির কথা উল্লেখ করেননি। ১৭৯৬ সালে এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্যরা মানুষের দ্বারা নির্মিত বা প্রাকৃতিক বিষ্ময়কর এবং চিত্তাকর্ষক বিস্তুর সংরক্ষণের জন্য একটি উপযুক্ত স্থানে একটি জাদুঘর স্থাপনের কথা ভেবেছিলেন। ১৮০৮ সালে পার্ক স্ট্রিটের এক কোণে একখন্ড জমির উপর একটা সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়।




    চিত্র ৪ এসিয়াটিক সোসাইটির প্রথম ভাবন (উইকিমিডিয়া, পাবলিক ডোমেন)



    এর ছয় বছর পরে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ভাবনাকে কার্যকর করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। এর মূলে ছিলেন ড. নাথানিয়াল ওয়ালিচ, একজন ডেনিশ উদ্ভিদবিজ্ঞানী, যিনি হুগলির শ্রীরামপুর অবরোধে বন্দী হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর বিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি মুক্তি পান। তিনি এসিয়াটিক সোসাইটির কাছে একটা চিঠি লেখেন। তাতে তিনি বলেন যে যদি একটা যাদুঘর গঠিত হয় তবে তিনি তাকে সব রকমভাবে সাহায্য করবেন এবং তাঁর নিজের সমস্ত সংগ্রহ সেখানে দান করবেন। এছাড়া অনারারি কিউরেটর হিসাবেও কাজ করতে তিনি রাজি আছেন। তাঁর এই প্রস্তাব এসিয়াটিক সোসাইটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ও একটা ভারতীয় যাদুঘর স্থাপনের স্বপক্ষে সভা একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এইভাবে ডাঃ নাথানিয়াল ওয়ালিচের নির্দেশনায় এশিয়াটিক সোসাইটিতে ১৮১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির ওরিয়েন্টাল মিউজিয়ামের অনারারি কিউরেটর হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর তুত্বাবধানে এই সংগ্রহশালা দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
    ১) প্রত্নতাত্বিক, সামাজিক ও কারিগরি
    ২) ভূতাত্বিক ও জীবতাত্বিক
    এই সংগ্রহশালায় জমা করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আকর্ষণীয় এবং কৌতূহলী বস্তু সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৮১৬ সালে ২৭ জন ইউরোপীয় দাতা ১৭৪ টি প্রত্নবস্তু ও কিউরিও এই সংগ্রহশালায় দান করেন। এই সংগ্রহকারীরা বেশিরভাগই হলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির সেনা অফিসার। তাদের মধ্যে কর্নেল স্টুয়ার্ট, ডঃ টাইটলার, জেনারেল ম্যাকেঞ্জি, মিঃ ব্রায়ান হজসন ও ক্যাপ্টেন গিলনের নাম উল্লেখযোগ্য। তাদের দেখাদেখি অনেক ভারতীয় রাজা ও জমিদার ভারতীয় যাদুঘরে তাদের সংগ্রহের বস্তু উপহার দিতে শুরু করে। এই তালিকার ৪৯ জন দাতার মধ্যে ছয়জন দাতা হলেন বাবু রাম কমল সেন, কালীকৃষ্ণ বাহাদুর, মহারাজা রাধাকান্ত দেব, মথুরানাথ মল্লিক, শিবচন্দ্র দাস এবং হার হাইনেস বেগম সামব্রু। ১৮৩৭ সালে, সোসাইটির সেক্রেটারি জেমস প্রিন্সেপ রাজ্যের খরচে একটি জাতীয় জাদুঘর গঠনের জন্য সোসাইটির প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য সরকারকে চিঠি দেন।
    এই সময় ভারতীয় জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার জন্ম হয়নি। কিন্তু সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি কয়েকজনকে জিওলজিকাল সার্ভেয়র হিসাবে নিযুক্ত করেছিল। তাদের মধ্যে ভারতীয় ভূতত্বের পিতা হিসাবে যার নাম উল্লেখযোগ্য তিনি হলেন ডক্টর হেনরি ওয়েসলি ভয়েসে। ভারতবর্ষের ভূতত্বকে চেনা ও জানার জন্য মাত্র পাঁচ বছরে তিনি যা কাজ করেছেন তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ১৮২৪ থেকে ১৮৪৪ পর্যন্ত এসিয়াটিক সোসাইটির জার্নালে তিনি একের পর এক পেপার প্রকাশ করেছেন যাঁর মধ্যে ভারতের বিপুল শিলা ও খনিজ সম্পদের ভান্ডারের সন্ধান তিনি রেখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগয হল প্রাণহিতা গোদাবরি উপত্যকায় গন্ডওয়ানা স্যান্ডস্টোনের অবস্থান ও মানচিত্র, অন্ধ্র প্রদেশে গারনেট ও কায়ানাইট খনি, এবং দক্ষিণ ভারতের হিরের খনির বিস্তারিত বিবরণ।
    এর পরে যার নাম উল্লেখ করতে হয় তিনি হলেন ক্যাপ্টেন জে ডি হারবার্ট। তিনি ছিলেন বম্বে নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির অফিসার। তাকে নিযুক্ত করা হয় হিমালয় পাহাড়ে ভূতাত্বিক অনুসন্ধানের কাজে। লর্ড হেস্টিংসের আদেশে তিনি শতদ্রু ও কালী নদীর অববাহিকাতে ভূতাত্বিক অনুসন্ধান চালান। বস্তুত সরকারিভাবে ভূতাত্বিক অনুসন্ধানের সেটাই প্রথম নজির। ১৮২৫ থেকে ১৮৩৫ পর্যন্ত তিনি এসিয়াটিক সোসাইটির জার্নালে হিমালয়ের ভূতত্ব সম্পর্কে অনেক মানচিত্র ও প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। তার প্রতিবেদনগুলি ভবিষ্যতে ভারতে ভূতত্ব শিক্ষার পথ প্রসারিত করে।
    কাটলে নামে একজন ক্যানাল সুপাইনটেন্ডেন্ট দেরাদুনের দোয়াব অঞ্চলের খাল পরিদর্শনে গিয়ে বেশ কিছু ফসিল খুঁজে পান এবং তার তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট উইলিয়াম বেকার ও হেনরি ডুরান্ট শতদ্রু নদীর ধারে প্রচুর জীবাশ্ম খুঁজে পান। সেগুলি ছিল শিবালিক জীবাশ্ব যা নিয়ে একটা প্রদর্শনীও হয়।কাতলে এবং ফ্যালকন ১৮৩৬ সালে হিমালয়ের দক্ষিণের পর্বতশ্রেণির নাম রাখেন শিবালিক। এখানেই ভারতের গরু এবং হাতির পূর্বপুরুষের জীবাশ্ম তারা চিহ্নিত করেন।
    ১৮১৭ থেকে ১৮৩৫ পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির অনেক কর্মচারি অনুরূপ কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। কয়েকজনকে কম্পানি জিওলজিকাল সার্ভেয়ার হিসাবে নিযুক্ত করেছিল। তাদের মধ্যে ডক্টর লাস ক্যাম্বে উপসাগরে জীবাশ্বসমৃদ্ধ স্তর আবিষ্কার করেন। ১৮৩৭ সালে ড়েভারেন্ড হিসপ মধ্যপ্রদেশের মালেরি স্যান্ডস্টোনে স্তন্যপায়ী ও সরিসৃপের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। তার হাত ধরে ভারতে পুরাজীবতত্বের গবেষণার সূচনা হয়।
    ১৮৩৬ সালে পামার অ্যান্ড কম্পানির ব্যাঙ্ক ফেল হওয়ায় এসিয়াটিক সোসাইটি আর্থিক সমস্যার মুখে পড়ে। তখন সোসাইটি ভারত সরকার তথা ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির কাছে হাত পাতে। ১৮৩৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি কিউরেটারের মায়না এবং যাদুঘরের রক্ষোনাবেক্ষনের জন্য মাসিক ৩০০ টাকা করে দিতে সম্মত হয়। সেই সময় একজন সামরিক ডাক্তার জন ম্যাকলিল্যান্ড ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানিতে ছিলেন। ভূতত্ব ও জীববিজ্ঞানে তার প্রভূত আগ্রহ ছিল। ১৮৩৬ সালে তাকে কোল কমিটিতে সচিবের পদে নিযুক্ত করা হয়। এটিকে বলা চলে জিওলজিকাল সার্ভের উত্তরসূরী। তিনি প্রথম ভারতে কয়লা খোঁজার জন্য পেশাদার ভূতাত্বিক নিয়োগ করেন। সেই সাথে ভারতের বনাচলের জরিপও শুরু করান। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারতের বনবিভাগের সূচনা হয়।



    চিত্র ৫ ১৮৫০ সালের কলকাতা



    ডঃ হেলফার এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা কলকাতায় অর্থনৈতিক ভূতত্ত্বের একটি জাদুঘর খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেন; এই জাদুঘরটি প্রকৃতপক্ষে ১৮৪০ সালে খোলা হয়েছিল। এইভাবে গঠিত অর্থনৈতিক ভূতত্ত্বের জাদুঘরটি ১৮৫৬ সাল পর্যন্ত সোসাইটির প্রাঙ্গণ দখল করে চলেছিল।
    ১৮৫৬ সালে, সমিতির সদস্যরা কলকাতায় একটি ইম্পেরিয়াল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত সরকারের কাছে একটি স্মারক জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুই বছর পর ভারত সরকারের কাছে একটি প্রতিনিধিত্ব পেশ করা হয় যাতে সমাজ কলকাতায় একটি ইম্পেরিয়াল মিউজিয়ামের ভিত্তি স্থাপনের জন্য চাপ দেয়। ভারত সরকার প্রাকৃতিক ইতিহাস, ভৌত, অর্থনৈতিক এবং ঐতিহাসিক ইত্যাদির নমুনা সংগ্রহ ও প্রকাশের জন্য মেট্রোপলিসে একটি ইম্পেরিয়াল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
    ডঃ হেলফার এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা কলকাতায় অর্থনৈতিক ভূতত্ত্বের একটি জাদুঘর খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেন; এই জাদুঘরটি প্রকৃতপক্ষে ১৮৪০ সালে খোলা হয়েছিল। এইভাবে গঠিত অর্থনৈতিক ভূতত্ত্বের জাদুঘরটি ১৮৫৬ সাল পর্যন্ত সোসাইটির প্রাঙ্গণ দখল করে চলেছিল যখন ভারত সরকারের মালিকানাধীন সংগ্রহের অংশটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং ১ নম্বরে রাখা হয়েছিল।
    ১৮৫৬ সালে, সমিতির সদস্যরা কলকাতায় একটি ইম্পেরিয়াল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত সরকারের কাছে একটি স্মারক জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুই বছর পর ভারত সরকারের কাছে একটি প্রতিনিধিত্ব পেশ করা হয় যাতে সমাজ কলকাতায় একটি ইম্পেরিয়াল মিউজিয়ামের ভিত্তি স্থাপনের জন্য চাপ দেয়। ভারত সরকার প্রাকৃতিক ইতিহাস, ভৌত, অর্থনৈতিক এবং ঐতিহাসিক ইত্যাদির নমুনা সংগ্রহ ও প্রকাশের জন্য মেট্রোপলিসে একটি ইম্পেরিয়াল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
    ১৮৫৮ সালে, জিওলজিক্যাল মিউজিয়ামকে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সাথে একত্রীভূত করা হয়েছিল।
    ১৮৬২ সালে, ভারত সরকার কলকাতায় একটি পাবলিক মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় যা বাস্তবিক উপলব্ধির সাথে বিবেচনা করা যেতে পারে।
    ভারত সরকার এবং এশিয়াটিক সোসাইটির মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল তা ১৮৬৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়েছিল এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে সোসাইটি প্রাণীবিদ্যা, ভূতাত্ত্বিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবিত যাদুঘরের জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করবে এবং এই ক্ষেত্রে ভারত সরকার তাদের জন্য উপযুক্ত ভবনের ব্যবস্থা করবে।
    পরে এটি উপলব্ধি করা হয় যে বিল্ডিংটি পরিকল্পনা অনুযায়ী এশিয়াটিক সোসাইটির জন্য ঠিক আছে। কিন্তু জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম জায়গা খুঁজে পাবে না, সোসাইটি এমন একটি বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিল যেখানে স্থান অপর্যাপ্ত এবং কাজকর্মের স্বাধীনতাও কম।
    ১৮৬৭ আসালে ভারতীয় জাদুঘরের বর্তমান ভবনটির ভিত্তি ছোট জজ কোর্টের সামনে চৌরঙ্গীর সর্বোত্তম স্থানে স্থাপন করা হয়। ১৮৭৫ সালে, ডব্লিউ.এল. গ্র্যান্ডভিলের নকশাকৃত চৌরঙ্গীর বর্তমান জাদুঘর ভবনটির নির্মান সম্পন্ন হয়। ১৮১৪ থেকে ১৮৭৮ সাল পর্যন্ত যাদুঘরটি এশিয়াটিক সোসাইটি অফ পার্ক স্ট্রিটে, কলকাতায় ছিল। চৌরঙ্গী রোডে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর, সোসাইটি মিউজিয়াম এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে বর্তমান ভবনে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ১৮৭৮ সালের ১লা এপ্রিল এর দুটি গ্যালারি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব গ্যালারি এবং পাখির গ্যালারি।
    যদিও শুরুতে ভারতীয় জাদুঘরটি দুটি গ্যালারি দিয়ে খোলা হয়েছিল, পরে এটি একটি বহুমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয় যেখানে ছয়টি বিভাগে সংগ্রহগুলি প্রদর্শিত হয়েছে, যেমন: শিল্প, প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, প্রাণিবিদ্যা, ভূতত্ত্ব এবং উদ্ভিদবিদ্যা। যাদুঘরটি শুরুতে "এশিয়াটিক সোসাইটি মিউজিয়াম" নামে পরিচিত ছিল পরবর্তীকালে "ইম্পেরিয়াল মিউজিয়াম" নামে পরিচিতি লাভ করে যা পরে "ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম" নামে পরিচিত হয়। যাদুঘরটি দর্শনার্থীদের কাছে জাদুঘর বা আজবঘর নামেই বেশি পরিচিত।




    চিত্র ৬ ১৯০৫ সালে যাদুঘর (উইকিপিডিয়া, পাবলিক ডোমেন

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এই | 14.139.***.*** | ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১২518568
  • লেখাটার দ্বিতীয়াংশের অনেকটাই এখান  থেকে সরাসরি অনুবাদ । তথ্যসূত্র দেওয়া উচিৎ ছিলো । 
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন