এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  সমোস্কিতি

  • রাজনীতির পাকচক্রে সত্যজিতের সিকিম 

    Lipikaa Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    সমোস্কিতি | ০৩ মে ২০২২ | ২০৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • রাজনীতির পাকচক্রে সত্যজিতের সিকিম -

    সত্যজিৎ রায়ের প্রথম দিকের ছবিতে রাজনৈতিক প্রভাব একেবারেই অনুপস্থিত, তাঁর ছবি রাজনীতি থেকে বহূ দূরে অবস্থান করে, সমকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতা তাঁর ছবিতে ধরা পড়ে না - এমন অভিযোগ অনেকেই করেছেন। 

    বাধ্য হয়ে তিনি ষাটের দশকের শেষে রাজনৈতিক ছবি করার কথা ভাবলেন। তবে পথের পাঁচালী, অপরাজিত, অপুর সংসার ছবিতেও যে চরম রাজনীতি লুকিয়ে ছিল গরিব মানুষের দুঃখ আর জীবন যন্ত্রণার মধ্যে, না পাওয়ার মধ্যে তা বুঝতে সময় নিয়েছিল সমালোচক-বাঙালি। শুধু মুষ্টিবদ্ধ ঊর্ধগামী হাতের ছবিই যে রাজনীতি বোঝায় না, নিম্ন রাখা ভিক্ষাপ্রার্থনাকারী হাতও যে চরম রাজনীতির ছবি হতে পারে, বড়সড়ো জিজ্ঞাসা চিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে রাষ্ট্রের সামাজিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

    এমনই রাজনীতি লুকিয়ে ছিল সিকিম ছবির একটি দৃশ্যে - সিকিমের রাজপরিবারের মহাভোজের পর তাঁদের উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে নিতে গরিব মানুষের ভিড়। যেন রাজতন্ত্রের উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে গণতন্ত্রের বেঁচে থাকার চেষ্টা। দৃশ্যটি বুঝতে একেবারেই অসুবিধা হয়নি এবং পছন্দ হয়নি সিকিমের রাজার, যে রাজা নিজে এই ছবি করতে পরিচালককে অনুরোধ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালে সত্যজিৎ রায় উত্তর বঙ্গের পাহাড়ে ছবির শুটিংয়ে গেলে  সিকিমের রাজা পাল্ডেন মন্ডুপ নামগিয়াল ও রানি হোপকুক সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করে সিকিম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করতে অনুরোধ করেন।

    স্বাধীনতার পর স্বাধীন রাষ্ট্র (রাজতন্ত্র) হিসাবে জন্ম নেওয়া সিকিমের রাজার উদ্দেশ্য ছিল সিকিমের প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্যকে সত্যজিৎ রায়ের মত বিশ্ববিখ্যাত পরিচালকের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। তার ফলে সিকিম স্বাধীন রাজতন্ত্র হিসাবে বিশ্বের দরবারে দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে সেই সঙ্গে পর্যটন বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। যেহেতু রাণী হোপকুক পরিচালকের পরিচিতা তাই গররাজি হতে পারেন নি পরিচালক। 

    কিন্তু সিকিমে তখন গণতন্ত্র ও রাজতন্ত্রের মধ্যে তুমুল চাপান উতোর চলছে। সিকিম মূলত তিতালিয়া (১৮৪৯) চুক্তির পর থেকে ব্রিটিশ শাসিত ভারতের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত স্বাধীন হবার পর সিকিম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু রাজতন্ত্রের বিরোধী ‘সিকিম স্টেট কংগ্রেস’ ভারতের সঙ্গে প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হিসাবে থাকতে চেয়েছিল। এই স্টেট কংগ্রেসের চাপে সিকিমের রাজা ১৯৫৯ সালে ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে বাধ্য হলেও সিকিমের ওপর রাজতন্ত্রের প্রাধান্য ও স্বশাসন বজায় রাখতে পেরেছিল। আভ্যন্তরীন আইনকানুনে সিকিমের রাজার অধিকারে ছিল, শুধুমাত্র পররাষ্ট্র, যোগযোগও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভারতের নিয়ন্ত্রণ রইল। তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে রাজতন্ত্রের পুরোপুরি অবসান চেয়ে ‘সিকিম স্টেট কংগ্রেসে’র শীর্ষনেতা কাজি লেন্ডুপ দর্জি ও নেপালি বংশোদ্ভূতরা সিকিমে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে গেলো। ঠিক এর পরই ১৯৬৯ সালে সত্যজিৎ রায়কে সিকিম ছবিটি করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। 

    সত্যজিৎ রায় সিকিমের শুটিং করতে গিয়ে ছবি তুলেছিলেন সম্পূর্ণ নিজের মত করে। নেপালি গানের সুরে মন ভিজিয়ে সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ছবিটি। পরিচালক ১৯৭১ সালে নির্মিত ছবিতে সিকিমে অবস্থিত নেপালি অভিবাসীদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়েছেন, রাজসভার মহাভোজের পর ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট গরিবের কুড়িয়ে খাওয়ার ছবি দেখিয়েছেন। সিকিমের প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনের সুখ দুঃখও ফুটে উঠেছিল ছবিতে। তবে রাজার অপছন্দ হওয়ার কারণে আরো দু একটি দৃশ্যের সঙ্গে  গরিবের খাবার কুড়িয়ে খাওয়ার দৃশ্য কেটে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন অনিচ্ছা থাকা সত্বেও। কিন্তু এতদ্সত্বেও ছবিটির প্রদর্শন করা হয়নি। তার অন্যতম কারণ ছবিটি তৈরি হওয়ার পর পরই (১৯৭১) সিকিমে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। ১৯৭৩ সালে সিকিমের চোগিয়াল রাজপ্রসাদে দাঙ্গা হয় এবং পরে পর পর দুবার গণভোট হলে কাজি লন্ডুপ দর্জির পার্টি জয়ী হয় এবং সেই সঙ্গে রাজতন্ত্রেরও অবসান হয়। আর সিকিম ছবিটি রাজ প্রাসাদের এক কোনায় পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হয়ে যায়।

    সিকিম ভারতের সঙ্গে যুক্ত হলেও ভারত সরকার এই ছবিটি প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি। ভারত সরকার চায়নি এই ছবি প্রদর্শনের ফলে বিশ্বের দরবারে সিকিম বিশেষ ভাবে পরিচিত হোক। কারণ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে পর্যটকরা এলে অর্থনৈতিক দিক থেকে সিকিম অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে, স্বাধীনকামী হয়ে ঊঠবে। যেহেতু সিকিম ভারতের আশ্রিত রাজ্য হলেও আভ্যন্তরীণ সকল স্বাধীনতা বজায় ছিল আর ভারত কেবল পররাষ্ট্র, নিরাপত্তা আর যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করত সেহেতু এই  সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারে নি সরকার। এছাড়াও চীন তখন উত্তর ভারত বিশেষ করে সিকিম অধিগ্রহণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল। সুতরাং সিকিম চীনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং সমস্যা বাড়তে পারে এসমস্ত রাজনৈতিক কারণে ভারত সরকার ছবিটিকে প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি। অবহেলায় পরে থাকে ছবি। হয় ব্যস্ততায় নয় অভিমানে পরিচালকও বিমুখ হয়ে যান। ১৯৯২ সালের ২৩শে এপ্রিল সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর সমস্ত নির্মাণশিল্প সংরক্ষণ করতে 'সত্যজিৎ রায় সোসাইটি’ এবং সান্তাক্রুজ-এর ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফিল্ম অ্যান্ড স্টাডি কালেকশন’ নামে দুটি সংস্থা গড়ে ওঠে। অনেক অনুসন্ধানের পর সিকিম ছবির তিনটি প্রিন্ট পায় তারা। একটি সিকিমের রাজপ্রাসাদে, একটি ‘ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট’এ এবং অন্যটি ‘আমেরিকার অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস’এ খুঁজে পাওয়া যায়। সিকিমের রাজপ্রাসাদে ছবিটি তাদের নির্লজ্জ অবহেলাতেই নষ্ট হয়ে যায়। বিশ্ববিখ্যাত পরিচালকের ছবিটি তাদের কাছে তখন আবর্জনা, অথচ সে দেশের রাজা একদিন চেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ের খ্যাতি ও মেধাকে ব্যবহার করে সিকিমকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে। তবে বিদেশে যে দুটি প্রিন্ট ছিল তার একটিকে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে প্রদর্শনযোগ্য করা সম্ভব হয়। ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের অনুরোধে বিখ্যাত চলচ্চিত্র সংরক্ষক যোসেফ লিন্ডয়াল এবং অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্সএর টেকনিশিয়ানরা মিলে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন যোগ্য করে তোলেন। এরপরই ছবিটির প্রদর্শন করানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফিল্ম সংগঠন থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার জন্য অনুরোধ আসে।

    যোগাযোগ করা হল সিকিমের  শিল্প ও সংস্কৃতি বিভাগের সঙ্গে। ভারত সরকার ২০১০ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, কারণ তখন ১৯৭৫ সালের সে রাজাও নেই আর সে রাজ্যপাটও নেই।  ২০১০ সালে কোলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল দেখানোর পর আবার  নিষেধাজ্ঞা আসে। পরে ২০১১ সালের ২রা মে পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ৯০তম জন্মদিনে ছবিটি জনসমক্ষে প্রদর্শন করা সম্ভব হয়। এখনও সোস্যাল মিডিয়া সম্পূর্ণ ছবিটি দেখাতে ব্যর্থ হয়। ভাবুন,  সত্যজিৎ রায়ের এমন সুপ্ত রাজনীতির ছবিও প্রখর রাজনৈতিক পাকচক্রের শিকার হয়। অথচ সারাটা ছবিতে কোথাও কোনোভাবে রাজনীতির বিষয় উল্লেখ নেই।

    তথ্যসূত্র- 
    তথ্যচিত্র সিকিম।
    শতবর্ষে সত্যজিৎ - পুরশ্রী, কলকাতা
    সত্যজিৎ ১০০ - দেশ
    সত্যজিতের নিষিদ্ধ ছবি - সুবীর ভূমিকা, বি বি সি।
    উইকিপিডিয়া
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • সমোস্কিতি | ০৩ মে ২০২২ | ২০৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Lipikaa Ghosh | ০৩ মে ২০২২ ১৭:০৮507170
  • আগে একবার দেখেছিলাম । এখন আর দেখছি না।
  • Kishore Ghosal | ০৩ মে ২০২২ ১৯:০৫507174
  • খুবই যুক্তিযুক্ত সুন্দর লেখা। 
    এ প্রসঙ্গে একটু স্মৃতিচারণ করি, সত্যজিৎ রায় যখন বিখ্যাত হয়েছেন বা হচ্ছেন, তখন আমি নেহাতই বালক - বয়স্ক গুরুজনদের মুখে বহুবার শুনেছি - "সত্যজিৎ আমাদের দেশের দারিদ্র্য ভাঙিয়ে নাম কিনছে..."। আসলে এই মানুষ দুজন (রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ)  এতই বড়ো, আর আমরা এতই লিলিপুট - অন্ধের হাতি দেখার মতো - কেউ দেখে সরু সাপের মতো, কেউ দেখে মোটা থাম, কেউ আবার দেখে মোটা অজগর... 
     
    "এটাই আমাদের ভবিতব্য " জয়বাবা ফেলুনাথে  জটায়ু বলেছিলেন। 
  • Lipikaa Ghosh | ০৩ মে ২০২২ ২০:১৫507180
  • মতামত প্রদানের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
  • santosh banerjee | ০৩ মে ২০২২ ২০:৩২507185
  • সিকিম তথ্য চিত্র টির যে সি ডি ভার্সন টা আমরা পাই , সেটা যে নির্মম ভাবে অস্ত্রাপোচার করে প্রকাশ করা হয়েছে তা পরিষ্কার অনুমেয়।একটা উল্লেখযোগ্য তথ্য চিত্র কিছু মাথা মোটা গরুদের জন্য হারিয়ে গেল। এদেশে কি আশা করা যায়? 
  • Lipikaa Ghosh | ০৪ মে ২০২২ ১৩:১০507217
  • দুঃখের বিষয় হল ছবিটা আগে সোস্যাল মিডিয়ায় দেখা যেতো , এখন ট্রেলার দেখা যায় । সম্পূর্ণ ছবিটা আর দেখা যায় না ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন