এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  কাব্য  তর্জমা

  • রুবাইয়াৎ, হরিবংশরায় বচ্চন ও মধুশালা

    Lipikaa Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    কাব্য | তর্জমা | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৩৬ বার পঠিত
  • অরুণ কুমার রায়ের ‘মধুশালা’ বইটি হাতে পেয়ে রুবাইয়াৎ সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ল। হরিবংশরায় বচ্চনের হিন্দি ভাষায় লেখা রুবাইয়াৎ এর বাংলা অনুবাদ করেছেন অরুণবাবু। শুধু হরিবংশরায় বচ্চনের রুবাই এর অনুবাদ নয়, সেই সঙ্গে রুবাইয়াৎ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও রয়েছে। ওমর খৈয়ামের ফার্সি ভাষায় রুবাইয়াৎ লেখা, পরে তার ইংরাজি অনুবাদ, সেখান থেকে ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ। মূল ফার্সি থেকে নজরুলের বাংলা ভাষায় অনুবাদের কথা পাঠককে অনেক বেশি আগ্রহ জাগাবে।

    তরুণ হরিবংশরায় বচ্চনের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া আন্দোলনের ব্যর্থতার জ্বালা সওয়া, ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা, স্ত্রীর মৃত্যু বচ্চনের তরুণ বয়সের আদর্শ ও স্বপ্নের ভগ্নাবশেষের মধ্যে দাঁড় করিয়েছে, তখন রুবাইয়াৎ ই তাঁকে শান্তি দিয়েছিল।

    “বাজেনি মন্দিরে কাঁসর ঘন্টা,
    প্রতিমায় নেই কোনো মালা,
    নিজ গৃহে বসে থাকে মুঅজ্জিন
    মসজিদে দিয়ে রেখে তালা,
    রাজার সম্পদ লুণ্ঠিত হয়,
    ভেঙে পড়ে দুর্গ প্রাচীর,
    আনন্দ হও হে পিপাসু,
    খোলা থাক এই মধুধালা।’’

    হরিবংশরায় বচ্চনের সম্পূর্ণ মৌলিক রচনা মধুশালায় স্থান পেয়েছে এমন কিছু অনুভবের কথা।
    এই হরিবংশরায় বচ্চন ইংরাজির অধ্যাপক হওয়া সত্বেও কেন হিন্দিতে রুবাইয়াৎ লিখলেন তা সুন্দর করে আলোচনা করা আছে বইটিতে।

    রুবাইয়াৎ বললেই যাঁর নাম মনে পড়ে তিনি হলেন ওমর খৈয়াম। তিনি গিয়াসুদ্দিন আবুল ফাতাহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল খৈয়াম, সংক্ষেপে ওমর খৈয়াম। ইরানের উত্তর খোরাসনের নিশিপুরে জন্ম গ্রহণ করেন একাদশ শতাব্দীতে। দ্বাদশ শতাব্দীর পারস্যের বিখ্যাত গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক। বীজগণিত ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই নাকি আবিষ্কার করেন। মধ্যযুগের বিখ্যাত মুসলিম মনীষা তাঁকে ‘বিশ্ব দার্শনিক’ বলেছেন। ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, গণিতের কঠিন তত্ত্বের সমাধান করেও শান্তি পান নি। হতাশা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়েছে। তাঁর হৃদয়ের গভীরে থাকা অনুভূতিগুলি তাঁর রুবাইয়ের মধ্যে লিখেছেন ফার্সি ভাষায়। লিখেছেন কয়েক হাজার রুবাইয়াৎ।

    ফার্সিতে ‘রুবাই’ শব্দের অর্থ কবিতা। একবচনে রুবাই আর বহুবচনে রুবাইয়াৎ বলে। রুবাই সাধারণত চৌপদী বা চতুষ্পদী। চার চরণের মধ্যে একটি ভাবকে ধরে রাখতে হয়। রুবাইয়াৎ লেখার একটি পদ্ধতি আছে। চার লাইনের ছোট কবিতায় প্রথম দু’লাইনে অন্তমিল থাকবে। তৃতীয় লাইনের শেষে অন্ত্যমিল থাকবে না। আবার চতুর্থ চরণে অন্তমিল থাকবে। প্রথম দুলাইনে মূল বিষয় অবতারণা করা থাকবে, তৃতীয় লাইনে কবি দার্শনিক ভাবনা তুলে ধরবেন আর অন্তমিলে সেই বিষয়ে কবি নিজের কথা বলবেন। তাঁর রুবাইয়ের সঙ্গে অনেকে চিনা চতুষ্পদী, জাপানের হাইকুর মিল খুঁজেছেন।

    ফার্সি ভাষায় আবার নির্দিষ্ট কবিতার জন্য নির্দিষ্ট ধরন আছে। দীর্ঘ প্রেমকাহিনি যুক্ত কবিতাকে বলে 'মাসনবী' যা লিখেছেন মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি। প্রেমে-বিরহ নিয়ে লিখলে 'গজল' বলে। কারো প্রশংসা করে লিখলে 'কাসিদা' আর দর্শন নিয়ে লিখলে হয় 'রুবাই'। রুবাইয়াৎ এর চরণে চরণে থাকে প্রেম দ্রোহ, আনন্দ, বিষাদ, মানবহৃদয়ের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
    ওমর খৈয়ামের ফার্সি রুবাইয়াৎ এ আছে আশাবাদ, মরমিবাদ, নিয়তিবাদ, সুফিবাদ, নৈরাশ্যবাদের মতো ভিন্ন দার্শনিক তত্ত্ব।

    তিনি এই রুবাইয়াৎ এ জীবনের অর্থ হীনতার মধ্যে অর্থের খোঁজ করেছেন। হতাশ জীবনে জীবনতৃষ্ণার ছবি এঁকেছেন। বিশিষ্টরা বলেছেন তাঁর কবিতার দর্শন, অসুখী মানুষের দর্শন। তা সুখী মানুষের নয়। এই দার্শনিক রুবাইয়াৎ এর মত অমর সৃষ্টি রেখে ওমর খৈয়াম ৮৬ বছর বয়সে ১১৩১ সালে ৪ ডিসেম্বর নিশাপুরেই মারা যান।

    জেমস রাসেল লোয়েল বলেছেন ওমরের রুবাই হল চিন্তা উদ্দীপক পারস্য উপসাগরের মণিমুক্তো।

    দ্বাদশ শতকে লেখা হলেও বহুদিন সকলের অগোচরে ছিল তাঁর রুবাইয়াৎ। ষোড়শ শতকে এক ব্রিটিশ ওরিয়েনটালিস্ট টমাস হাইড নামে এক ব্যক্তি যিনি এই রুবাইয়াৎ আবিষ্কার করেন ও ইউরোপের ইন্টারটেক্সচুয়াল মহলে পরিচিতি দান করেন। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তা অনূদিত হয়। অধ্যাপক কাওয়েল কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটিতে খুঁজে পেয়েছিলেন ৫১৬টি ওমর খৈয়াম এর রুবাইয়াৎ। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও অনুবাদক বন্ধু ফিটজেরাল্ড এর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর বোডলিয়ান লাইব্রেরিতে পাওয়া গেল ১৫৮টি রুবাইয়াৎ। মোট ৬৭৪টার মধ্যে ৭৫টি রুবাইয়াৎ বেছে নিয়ে অনুবাদ করেন এডওয়ার্ড ফিটসজেরাল্ড নামে এক ব্রিটিশ সাহিত্যিক ১৮৫৯ সালে। বইটির নাম দেন ‘Rubaiyat of Omar khayyam’।

    তাঁর অনূদিত ওমর খৈয়াম এর রুবাই -

    “Here with a Lof of bread beneath the Bough,
    A flask of wine, A book of verse- and thou
    Side me singing in the wilderness And wildness
    Is Paradise now.”

    এদিকে ঊনবিংশ/বিংশ শতাব্দীতে ভারতে ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াৎ জনপ্রিয় হলে কাজি নজরুল ইসলাম সরাসরি ফার্সি ভাষা থেকে প্রায় দু’শোটি রুবাই বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন। পরে গ্রন্থ রূপে প্রকাশিত হয় ১৯৫৯ সালে।
    নজরুলের অনূদিত রুবাইয়াৎ -

    “আজকে তোমার গোলাপ বাগে ফুটল যখন রঙিন গুল,
    রেখো না পান পাত্র বেকার, পড়ুক সুখ ফজুল।
    পান করে নে, সময় ভীষণ অবিশ্বাসী, শত্রু ঘোর,
    হয়ত এমন ফুল-মাখানো দিন পাবি না আজকে তুল।’’

    এছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষাতেও অনূদিত হতে থাকে। সুমিত্রা নন্দন পন্ত, জগদীশচন্দ্র গুপ্ত হিন্দিতে, ফিরাক গুরকপুরী, মজনু গুরকপুরী, আসী গাজিপুরী, তাঁর ভাবধারা ও আঙ্গিকে রুবাইয়াৎ লিখতে লাগলেন। হিন্দিতে হরিবংশরায় ছাড়া আরো যাঁরা অনুবাদ করেছেন তাঁরা হলেন গিরিধর শর্মা, পণ্ডিত বলদেব প্রসাদ মিশ্র, মৈথিলি শরণ গুপ্ত, মুনশি ইকবাল শর্মা প্রমুখ।

    বাংলায় ওমর খৈয়াম এর অনুবাদের প্রয়াসে মগ্ন হয়েছেন অক্ষয় কুমার বড়াল, হেমেন্দ্রকুমার রায়, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, মহম্মদ শহিদুল্লাহ, সৈয়দ মুজতবা আলী, নরেন্দ্র দেব, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সিকান্দার আবু জাফর প্রমুখ।

    ফিটজেরাল্ড এর অনুবাদের সূত্র ধরে হরিবংশরায় বচ্চনের হিন্দি ভাষায় অনুবাদ করেন ‘খৈয়াম কি মধুশালা' ১৯৩৫ সালে।
    ওমর খৈয়ামের রুবাইটি হরিবংশরায় এর কলমে হল -

    “ঘণী সির পর তরুবর কি ভালো, হরি পাঁওকে নিচে ঘাস,
    বছর মে মধু মদিরা কা পাত্র,
    সামনে রোটি কা দো গ্রাস,
    সরস কবিতা কি পুস্তক হাত,
    আউর সবকে উপর তুম, প্রাণ,
    গা রহী ছেড় সুরিলি তান,
    মুঝে অব মরু নন্দন উদ্যান।“

    হরিবংশরায় বচ্চন ওমর খৈয়াম এর রুবাই অনুবাদ করেও মানসিক শান্তি পাচ্ছিলেন না। ভারতের ত্রিশের দশকের অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাঁকেও অশান্ত করে তুলেছিল। জগৎ সিং, গান্ধিজি তাদের আন্দোলন কে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। কত তরুণ যুবকের প্রাণ যাচ্ছে। এই হতাশাজনক মানসিক অস্থিরতা সাতাশ/আঠাশ বছরের যুবকের ভাবিয়ে তুলেছিল। ওমর খৈয়াম এর রুবাই আবারও পড়লেন। হতাশার মধ্যে খুঁজে পেলেন জীবনের অর্থ। দেশ প্রেমের পান পেয়ালায় মগ্ন হতে হবে। ঠিক করলেন ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে দেশ উদ্ধারে। নতুন ভাবনায়, নতুন উদ্যমে এবার লিখলেন নতুন আঙ্গিকে রুবাইয়াৎ। ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হল তাঁর মধুশালা। ঠিক যেভাবে ফিটজেরাল্ড অসুখী বিবাহিত জীবনের জ্বালা থেকে মুক্তির খোঁজ পেয়েছিলেন ঐ ৭৫টি রুবাইয়াৎ এর মধ্যে তেমনি হরিবংশরায় পেলেন জীবনের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে।

    এই হরিবংশরায় বচ্চন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ইংরাজি বিষয়ে ১৯৪১ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত এগারো বছর অধ্যাপনা করেন ১৯৫৫সালে কেমব্রিজে যাবার আগে। রচনা করেন বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থ ও আত্মকথা। ১৯৬৮ সালে ‘দো চট্টানে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পান। ১৯৯১ সালে কে কে বিড়লা ইনস্টিটিউট থেকে সরস্বতী সম্মান পান।

    বিগত একশো বছর ধরে রুবাইয়াৎ অনূদিত হয়ে চলেছে। এবছর হরিবংশরায় বচ্চনের মধুশালা থেকে অরুণ কুমার রায় অনুবাদ করলেন ১৩৯টি রুবাইয়াৎ। যা কিছু নিজের মত করে লিখলেন হরিবংশরায় বচ্চন তা আত্তীকরণের মাধ্যমে অনুবাদ করলেন এলাহাবাদবাসী অরুণ কুমার রায়।

    হরিবংশরায় বচ্চনের রুবাইয়াৎ জয়দেবের সুরে গেয়েছেন মান্না দে সহ আরো অনেকে। তাঁর ভাবনা অরুণ কুমার রায় এর কলমে-

    “ইহা মদিরালয়ের অশ্রু,
    নহে-নহে কোনো মাদক হালা,
    ইহা মদিরালয়ের চক্ষু,
    নহে-নহে মধুর পেয়ালা---",

    “ কত মর্ম জানিয়ে যায়
    বার বার এসে হালা,
    কত ভেদ বলে যায়
    বার বার এসে পেয়ালা,
    কত অর্থকে ইশারায় বলে যায় সাকী,
    তবুও পীনেওয়ালাদের কাছে একটি ধাঁধা রেখে যায় মধুশালা।’’

    এই ধাঁধায় পড়েই রুবাইয়াৎ পড়ে যেতে হয়। কিছুটা বোঝা যায় না আর কিছুটা বোঝা যায়। কখনো আমার কখনো আমার নয় মনে হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • কাব্য | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:১০523856
  • দুটো কথা।  
     
    এক, 
    বাংলায় নজরুল ছাড়াও কান্তিচন্দ্র দে এবং আরও অনেকে রুবাইয়াৎ এর চমৎকার সব অনুবাদ করেছেন। 
    একটি উদাহরণঃ
    "উপুড় করা পাত্রটা ওই  আকাশ মোরা বলছি যাকে,
    তার নীচেতেই কুঁকড়ে বেঁচে আঁকড়ে আছি মরণটাকে।
    হাত পেতে  কেউ  ওর কাছেতে  হয়োনা আর মিথ্যে হীন,
    তোমার আমার মতই ওটা অক্ষমতায় পংগু দীন"। 
     
    সে হিসেবে অরুণ কুমারের অনুবাদ বেশ খারাপ। এমনকি ছন্দ  এবং অন্ত্যমিলের মানও তেমনই। 
     
    দুই, 
     আর আপনার 'গুরকপুরী', 'গাজিপুরী' --এসব কী কোন ভাষা? বা হিন্দির উপভাষা? 
    পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রাপ্ত কবি রঘুপতি সহায়ের পেননেম হল ফিরাক। উনি গোরখপুরের বাসিন্দা তাই ফিরাক গোরখপুরী। উনি উর্দু সাহিত্যের খুব বড় শায়র এবং হিন্দিতেও কবিতা লিখেছেন। তেমনি গাজিপুরের বাসিন্দা হন গাজিপুরী। এগুলো কোন ভাষা বা উপভাষার দ্যোতক নয়। 
     আর বিখ্যাত শায়র এবং ফিল্ম সংগীতের গীতিকার মজনু সুলতানপুরী, যেহেতু উনি ইউপির সুলতানপুরের বাসিন্দে।
     
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪৯523892
  • খুব সমৃদ্ধ একটি লেখা পড়লাম। 
     
    ''চার লাইনের ছোট কবিতায় প্রথম দু’লাইনে অন্তমিল থাকবে। তৃতীয় লাইনের শেষে অন্ত্যমিল থাকবে না। আবার চতুর্থ চরণে অন্তমিল থাকবে। প্রথম দুলাইনে মূল বিষয় অবতারণা করা থাকবে, তৃতীয় লাইনে কবি দার্শনিক ভাবনা তুলে ধরবেন আর অন্তমিলে সেই বিষয়ে কবি নিজের কথা বলবেন।'' - এত অল্পে রুবাইয়াৎ এর গঠন রীতি ও ভাবের প্রকাশ। 
     
    ''“আজকে তোমার গোলাপ বাগে ফুটল যখন রঙিন গুল,
    রেখো না পান পাত্র বেকার, পড়ুক সুখ ফজুল।
    পান করে নে, সময় ভীষণ অবিশ্বাসী, শত্রু ঘোর,
    হয়ত এমন ফুল-মাখানো দিন পাবি না আজকে তুল।’’
    - নজরুলের মধ্যে গজলের মত রুবাইয়াৎও ছিল এ চরণগুলিই তার নিদর্শন। 
     
    পরিশেষে, লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ লেখিকাকে। 
  • যোষিতা | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৫৬523911
  • চমৎকার লেখা। খুঁটিয়ে বারংবার পড়বার মতো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন