এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বইপত্তর

  • পাঠ প্রতিক্রিয়া

    Chayan Samaddar লেখকের গ্রাহক হোন
    বইপত্তর | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১০১৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পাঠআলোচনা

    রাজর্ষি গুপ্ত
    অপর ছায়া
    চয়ন সমাদ্দার

    প্রকাশক – শপিজেন বাংলা

    বইখানা ভূতের গল্পের সংকলন। বারোটি ইংরেজি ভূতের গল্পের — না, বাংলায় অনুবাদ নয় — সাংস্কৃতিক প্রতিস্থাপন। ইংরেজি অলৌকিক সাহিত্যের সমুদ্র থেকে বারোটি প্রবাল ও মুক্তা তুলে এনে তাই দিয়ে গৌড়ীয় ছাঁদের গহনা গড়ার চেষ্টা করেছেন শ্রীচয়ন সমাদ্দার এবং বইয়ের ভূমিকায় বলেই দিয়েছেন, “আমি দেখতে চেয়েছি, ছায়াবলম্বন করে, এক ধরনের সাংস্কৃতিক অনুবাদ, বিলিতি হররের শিহরনকে কী রূপ দেয় পাঠকের মনে।” অর্থাৎ এ বইয়ের সাহিত্যমূল্যের বিচার করতে গেলে দুটি দিকে খেয়াল রাখতে হয়। প্রথমতঃ, লেখকের অলৌকিক রসের ভিয়েন বসিয়ে কেমন পাক দিয়েছেন; দ্বিতীয়তঃ, ইংরেজি বাবুর্চিখানা থেকে বাঙালি হেঁসেলে সেই অলৌকিক পদ কতখানি ঘরোয়াভাবে আমদানি করেছেন। দুটি দিকই পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সোজা বাংলায়, এই গল্পগুলিকে অনুবাদ সাহিত্য হিসেবে দেখার পাশাপাশি মৌলিক গল্প হিসেবেও দেখতে হবে। একই সঙ্গে একদল গল্পকে অনুবাদ এবং মৌলিক সাহিত্য হিসেবে বিচার করা— অবাক হওয়ার মতো কথা না? ঠিক এইখান থেকেই, এই ‘অ্যাম্বিশাস’ লাফ মেরে দৌড় শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই, ‘অপর ছায়া’ আর পাঁচটা ভূতের গল্পের সংকলনের থেকে আলাদা হয়ে উঠতে শুরু করে।

    ওয়াল্টার ডে লা মেয়ারের ‘সিলভার’ কবিতাখানা একসময়ে বাংলার মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী-মহলে খুব জনপ্রিয় ছিল। চাঁদনী রাতের রুপোলি জ্যোৎস্নায় কেমন করে দিনের বেলায় আমাদের খুব চেনা পৃথিবীই এক অচেনা গা-ছমছমে অদ্ভুতুড়ে রূপ ধরে আর চেনা-অচেনার মাঝে এক আধচেনা স্বপ্নমায়ালোক তৈরি হয়, সেই হল কবিতার বিষয়বস্তু। শ্রীচয়ন সমাদ্দার ‘অপর ছায়া’ বইতে সেই মায়ালোক তৈরির চেষ্টাই করেছেন, তবে তিনি ওই একই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছেন উল্টোদিক থেকে। তাঁর সাধনা হল বিলিতি ভয়-শিহরনকে দিশি সাজে ঢেলে সাজানোর এক্সপেরিমেন্টের। ভালোবাসা-প্রেম-ঔদার্য-ভক্তি ইত্যাদি ‘পজিটিভ’ অনুভূতির মতোই শাশ্বত হল ভয় (অতিলৌকিকের ভয় সেই সামগ্রিক ভয়ের একটি অংশমাত্র)। মানব-অস্তিত্বের সচেতনতার প্রথম মুহূর্ত থেকে এই অনুভূতি মানুষের সঙ্গী। কিন্তু সংস্কৃতিভেদে, মানসিকতা ও মনস্তত্ত্বভেদে ভয়েরও রূপবদল হয়। তাই বিলিতি ভূতের গল্পের ‘ডেমনিক পজেশন’ আর গ্রামবাংলার ‘ভূতে পাওয়া’-র ভয়মূল এক হলেও উপরিতলে তাদের রূপ আলাদা, ‘এক্সরসিজ্‌ম’ আর ‘ভূত ঝাড়ানো’-র ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক তাইই। এই মূলগতভাবে এক কিন্তু রূপগতভাবে আলাদা বা ‘অপর’ যে ভয়, তারই ‘অপরত্ব’-কে বাঙালি সংস্কৃতির কষ্টিপাথরে যাচিয়ে দেখে নিতে চেয়েছেন চয়ন সমাদ্দার বারোটি সাহিত্যরূপের মধ্যে দিয়ে। এবং এই বারোটি গল্পের সময়কাল কিন্তু উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে একুশ শতকের মুখ পর্যন্ত বিস্তৃত। অতএব লেখককে এই গল্পগুলি একুশ শতকের বাংলায় ভাষান্তরিত করার সময় এটাও খেয়াল রাখতে হয়েছে যে তাঁর মূল অবলম্বন যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি সেই পাশ্চাত্য সংস্কৃতিও কিন্তু এই বিপুল কালখণ্ডে আমূল পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে এই গল্পগুলির উপর সেই পরিবর্তনের ছাপ রাখতে রাখতে। এবং অনুবাদক হিসেবে যে তিনি সেই পরিবর্তনের ছাপের কাছেও হাত-বাঁধা সে সম্পর্কেও শ্রীসমাদ্দার বিলক্ষণ অবহিত। মূলের প্রতি অনুগত থেকেও তাঁকে নতুন সাহিত্য সৃষ্টি করতে হয়েছে যার সঙ্গে।

    কিন্তু গা থেকে কোট-প্যান্ট ছাড়িয়ে ধুতি-পাঞ্জাবি পরালেই সাহেব যে বাঙালি হয়ে যায় না, তার মুখের বাংলার আড় যে ভাঙে না, সে আমরা জানি। শ্রীসমাদ্দারও জানেন, এবং জেনে এক্সপেরিমেন্ট করতে এসেছেন বলেই তিনি বলেন, “আমি জেনেশুনে হেমেন্দ্রকুমার রায় নির্দেশিত পথের পথিক হয়েছি। মিসেস এমওয়র্থ যে কারণে কুমুদিনী চৌধুরী রূপ ধরেন, কাউন্ট ড্রাকুলা হয়ে ওঠেন মহারাজা রুদ্রপ্রতাপ,সেই একই কারণে আমার গল্পেট্রুমান কাপোটের মিরিয়াম হয় মিনতি, টু বটলস্‌ অফ রেলিশ রূপ নেয় অজীর্ণনাশকের।” বিদেশী গল্পের ছায়ানুসরণে গল্প লেখা বাংলায় নতুন ঘটনা নয়, বিশেষ করে আজও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত গল্প সংগ্রহগুলির একটা বড় অংশই হল এই ধরনের ‘অ্যাডাপ্টেড’ গল্প, কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই বাংলা গল্পের মৌলিক রূপটিকে তুলে ধরতে গিয়ে মূল লেখকের ঋণ আর স্বীকার করা হয় না। ফলে যা হতে পারত সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের এক সুন্দর চিহ্ন তা পর্যবসিত হয় নিছক কুম্ভীলকবৃত্তিতে। এইখানেই ‘অপর ছায়া’ আবার আলাদা হয়ে পড়ে। লেখক সজ্ঞানে এক্সপেরিমেন্ট করছেন ইংরেজি গল্পের আত্মার খোলনলচে বদলের এবং প্রতিটি গল্পের শেষে মূল গল্পের নামধাম জানিয়ে পাঠককে অনুরোধ করছেন যেন তিনি চয়ন সমাদ্দারের লেখা এই নতুন ‘ট্রান্সক্রিয়েটেড’ সাহিত্যকর্মগুলি পড়ার পর মূল গল্পগুলি পড়ে সেই মূলের রসটিও অবশ্যই চেখে দ্যাখেন। এই আকাঙ্ক্ষা যে কোনও সৎ অনুবাদকই পোষণ করেন।

    গল্পগুলিতে স্বচ্ছ নির্ভার বাংলা ঝরঝর করে এগিয়েছে। যাঁরা চয়ন সমাদ্দারের লেখার সঙ্গে পরিচিত তাঁরা জানবেন যে তিনি দাঁত-নখ খিঁচানো ‘ফিজিকাল হরর’-এর চেয়ে মনের অন্তঃশায়ী অন্ধকার দিয়ে গড়া যে ভয় মানুষের সুসভ্য অস্তিত্বের মূল ধরে টান মারে সেই ভয়কে গল্পের মধ্যে তুলে আনতে পছন্দ করেন বেশি। এখানেও তিনি ঠিক সেটাই করার চেষ্টা করেছেন। এবং সেটা করতে গিয়ে তাঁকে বহু ক্ষেত্রেই অনুবাদকের বজ্রসংযম শিথিল করে লেখকের স্বাধীনতা নিতে হয়েছে। ভাবানুবাদ, রসানুবাদ, কল্পানুবাদ ইত্যাদি সব পথেই হাঁটতে হয়েছে লেখককে, কখনও কখনও পন্থাগুলি একে অপরের হাত ধরে কাহিনিকে বিভিন্ন দুরূহ বাঁক পার করিয়ে দিয়েছে। এই স্বাধীনতা নেওয়াটুকুকে বিন্দুমাত্র দোষার্হ মনে করছি না যেহেতু তিনি ঘোষিতভাবেই বিদেশী গল্প অবলম্বনে দেশী ভয়ের গল্প লিখছেন। তিনি দরকার মতো মূল গল্পের ডালপালা ছেঁটেছেন বা চরিত্রে সামান্য দরকারী বদল এনেছেন (‘অজীর্ণনাশক’), কথককে তৃতীয় পুরুষ থেকে প্রথম পুরুষ করেছেন (‘নিকুঞ্জ সদন’) কিংবা দরকারে গল্পের কলেবরবৃদ্ধিও করেছেন (‘দখিনমুখো বাড়ি’)। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয় আরও স্বাধীনতা নিলে বাংলার পরিপ্রেক্ষিতে রস আরও বেশি জমত। যেমন ‘দখিনমুখো বাড়ি’-র ক্লাইম্যাক্স মূল গল্প ইডিথ নেসবিটের ‘দ্য মিস্ট্রি অফ দ্য সেমি-ডিট্যাচ্‌ড্‌’-এর ক্লাইম্যাক্সের প্রতি অনুগত থেকেও আর একটু বেশি নাটকীয়তা ও বৃহত্তর পরিসর দাবী করতে পারে। আমেলিয়া এডওয়ার্ডসের বিখ্যাত গল্প ‘দ্য ফ্যান্টম কোচ’ অবলম্বনে লেখা ‘শেষ বাস’-এর যথাসাধ্য বঙ্গীকরণ করার চেষ্টা করলেও সংলাপের মধ্য দিয়ে প্রাচীন ইংরেজির গন্ধ সামান্য হলেও রয়ে গিয়েছে, তবে তার জন্য লেখকের চেয়ে মূল লেখক এডওয়ার্ডসের সেকেলে গল্প বলার ভঙ্গী আর ভাষারীতিই মূলত দায়ী। আবার পাশাপাশি নিল গেইম্যানের ‘ক্লিক ক্ল্যাক দ্য র‍্যাট্‌ল্‌ব্যাগ’ যখন ‘খুটখাট খটমট’ হয়ে উঠেছে, তা হয়ে উঠেছে সাংস্কৃতিক সব প্রতিবন্ধকতা ছাড়িয়েই। লেখক নিজেও সম্ভবতঃ স্বীকার করবেন যে এই গল্পের এতটুকু রসবৈগুণ্য না ঘটিয়েও পৃথিবীর যে কোনও ভাষায় একে অনুবাদ করা যায়, ‘অ্যাডাপ্টেশন’-এর দরকার পড়ে না।

    কিন্তু চয়ন সমাদ্দার যে জিনিসটি সবচেয়ে ভালো পারেন এবং করেন সেটি হল গল্পের মধ্যে দিয়ে সমাজ আর মানুষের বিবেককে প্রশ্ন করা। আর এই বইয়ের অধিকাংশ গল্পই সেই বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল দ্যুতিময় হয়ে উঠেছে। ট্রুমান কাপোটের ‘মিরিয়াম’ এক অদ্ভুত পরজীবী সত্ত্বার হাড়-হিম-করা গল্প বলে। কিন্তু চয়ন সমাদ্দারের ‘মিনতি’ সেই সত্ত্বার হাতে এক বৃদ্ধার নাকানিচোবানি খাওয়ার গল্প তো বলেই, তার সঙ্গে সল্ট লেকের বাসিন্দা একাধিক প্রবীণ নাগরিকের একাকিত্বের রূঢ় বাস্তব ছবিটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। রোজমেরি টিমপার্লির ‘ক্রিসমাস মিটিং’ এখানে ‘সেতু’ নাম নিয়ে সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া কলকাতার সঙ্গে হিন্দু পেট্রিয়ট রমরম করে চলা কলকাতার সেতুবন্ধ নির্মাণ করে। এবং এই সাংস্কৃতিক অনন্যতার নিরিখে লেখক যে গল্পটিতে ছক্কা মেরেছেন সেটি হল ‘জম্বুক’। চয়ন সমাদ্দারের লেখার সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা জানবেন যে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস হল, “দ্য সাবঅল্টার্নস ক্যান স্পিক!” অন্তেবাসীদেরও কণ্ঠস্বর আছে এবং সেই কণ্ঠস্বরের কোরাস তিনি নিজের গল্পে ধ্বনিত করেন। ‘জম্বুক’-এও সেই কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হয়েছে, যদিও ঘোরতর ‘ব্রিটিশ রাজ অ্যাটিটিউড’-এর চিহ্নবাহী অ্যালিস পেরিনের ‘কলফিল্ড’স ক্রাইম’-এ তার গন্ধটুকুও নেই। যাঁরা পড়েছেন তাঁরা জানেন যে ‘কলফিল্ড’স ক্রাইম’ পশুবেশী প্রেতাত্মার প্রতিশোধের নিতান্ত সাধারণ এক গল্প— যাঁরা পড়েননি তাঁরা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রক্তখদ্যোৎ’ আর রুডিয়ার্ড কিপলিংয়ের ‘মার্ক অফ দ্য বীস্ট’-এর মাঝামাঝি কিছুএকটা ভেবে নিতে পারেন। এহেন গল্পটির কথক একজন ইংরেজ সামরিক অফিসার যে তার বন্ধু আর এক অত্যাচারী ইংরেজ সামরিক অফিসারের শাপগ্রস্ত হয়ে পড়া নিয়ে চিন্তিত। অর্থাৎ মূল গল্পটি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি ভয়ে রীতিমতো পূর্ণ। কিন্তু ‘জম্বুক’ গল্পের পটভূমিকা হিসেবে চয়ন সমাদ্দার শুধু নীল বিদ্রোহের সমসাময়িক বাংলাকে বেছে নেননি, তাঁর কথক একজন ইংরেজ শাসনের প্রতি অনুগত বাঙালী জমিদার। কিন্তু একজন ভারতবাসী হিসেবে সেই মানুষটির দ্বিধাদীর্ণ হৃদয়, তার মনে ধর্মাধর্মের দ্বন্দ্ব যেভাবে ফুটিয়েছেন তিনি তা অতুলনীয়। এই অনুষঙ্গ অ্যালিস পেরিনের গল্পে ছিল না, আর থাকা সম্ভবও ছিল না।

    এইখানেই ‘অপর ছায়া’-র সার্থকতা। কেবল মাত্র ভয়ের দিশি-বিলিতি আত্মীয়তার বিভিন্ন পরতকে আবিষ্কার করা নয়, ভয়ের শাশ্বত মূল্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা নয়, সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধ তৈরি করাও নয়, চয়ন সমাদ্দারের ‘অপর ছায়া’ সব চেয়ে বেশি সার্থক হয়েছে মানুষের নিজের জীবন থেকে উঠে আসা গল্প বলায়।

    সাহিত্যের অনুরাগী এবং ভূতের গল্পের রসিক পাঠক যিনি, আরও বিশেষ করে যিনি পাশ্চাত্য সাহিত্যের রস গ্রহণে উৎসাহী, তাঁর এ বই ভালো না লেগে পারে না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বইপত্তর | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১০১৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    রণছোড় - Chayan Samaddar
    আরও পড়ুন
    মালিক - Chayan Samaddar
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন