*
বইটা কি নেশনের স্বার্থে শেয়ার করা যায়?
আরেকটা কথা, উত্তর কলকাতা তো ধরুন মারোয়াড়িদের পীঠস্থান । মারোয়াড়ি খাবার/ভুজিয়া/ কচুরি/ মিষ্টি ইত্যাদির ভালো ঠেক (তেওয়ারীর কথা বাদ দিলে ) কি আছে?
আমিনিয়ার বিরিয়ানি আর চাঁপ, গোলবাড়ির কষামাংসর সাথে ছোট ছোট পরোটা, তারই উল্টোদিকের দোকানের বোঁদে, পার্ক সার্কাসের বিফ পরোটা, আর যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডের উল্টোদিকে সারি দেওয়া দোকানগুলোর এগরোল/চিকেন রোল। এসব কতোদিন খাইনি, আর কখনো খাবো কিনা তাও জানিনা। তবে এসবের স্বাদ কখনো ভুলবো না। জিভে নিয়েই মরবো।
পদ্ম রেস্তোরাঁর আর একটি বিখ্যাত জিনিষ ভেজিটেবিল চপ। যদিও চিকেন কাটলেটের পাশে ভেজিটেবিল চপের উল্লেখ নেহাতই বাতুলতা। কিন্তু ওমন হাইক্লাস ভেজিটেবিল চপ আর কোথাও পাইনি। সে বস্তু আটের দশকে যেমন ছিল আজও তাই আছে।
ন্যাড়াদা, সাবিরের রেজালা বহুদিন হল মারা গেছে। সেম উইথ গোলবাড়ি। সেম উইথ অনাদির কেবিন। তবে বিরিয়ানিতে আলিয়া আর রয়াল আর চাঁপে শুধুই রয়াল এখনো অনেকটাই ধরে রেখেছে নিজেদের। এটা বেশ রেগুলার বেসিসে যাবার ভিত্তিতে বলছি। সাবিরে গেলে শুধু ওদের দুটো কাবাব নেওয়া যায়ঃ চিলি আর গার্লিক কাবাব। ব্যস।
আর বি দা, মহাভোজ রাজভোজ বাংলাবুকে আছে, শুধু অ্যাড ব্লকার ডিসেবল করে নামিয়ে নিলেই হলো।
আলিয়া কোথায়?
সম্বিৎ, প্রতাপ রায় পরে দীর্ঘকাল বর্তমান সাপ্তাহিক পত্রিকাতেও লিখতেন। আমার তাঁর লেখা কলামের নামটা এইমুহূর্তে মনে নেই, তবে সে লেখাতেও কলকাতার সাবেকী খাবারের বর্ণনা থাকত। এ ব্যাপারে আরেক গুরুস্থানীয় শাঁটুলবাবু (রাধাপ্রসাদ গুপ্ত)।
"আটের দশকের গোড়ার কথা বলছি। বাংলা ভাষায় তখনও আনন্দবাজারের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে যুগান্তর। "
আপনি হয়ত সত্তরের দশকের শেষের কথা বলছেন। ১৯৮০ সালে অমৃতবাজার এবং যুগান্তর পত্রিকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
না না। যদ্দুর মনে পড়ছে, ১৯৮০ -র মাঝামাঝিও যুগান্তর পড়েছি।
এই চণ্ডালের দৌড় নিউ মার্কেট পর্যন্ত, নিজামের মাটন বিরিয়ানি এখনো খুব মিস করি ❤️
এই সবের সাথে আরেকটা জিনিস খুব মিস করি, সেটা হলো ওলি পাবের বিফ স্টেক আর বিয়ার। বেশ কয়েকবার গেছি বন্ধুদের সাথে, সেই আড্ডাটা মিস করি।
এইরে ন্যাড়াদার প্রশ্নটা মিস করে গেছলুম, আলিয়া হল বেন্টিংক স্ট্রিটে, কেসি দাসকে বাঁ হাতে রেখে পাশের রাস্তাটায় সোজা এগিয়ে যেতে হবে, প্যারাডাইস পেরিয়ে আলিয়া, যেখানে সিরাজদৌল্লা সরণি বা ওয়ারটারলু স্ট্রিট অ্যাম্বারের দিকে থেকে এসে মিশেছে বেন্টিংকে। উল্টোদিকেই সেই বিখ্যাত চা দোকান, ব্রিটিশ আমলের পেল্লায় পেতলের ট্যাংকিতে চা বানায়।
বিপ্লবদা, নিজাম গ্যাসে গিয়া, জানি না কতোদিন আগে খেয়েছিলেন, তবে রোল, কুলপি-ফালুদা আর বিরিয়ানি সবই এখন মাঝারি মানের। এবারে এলে আলিয়া আর রয়ালের বিরিয়ানি চাঁপ খেয়ে দেখবেন।
অম্বর তো আমার প্রতিবারের ঠেক - অন্ততঃ একদিনের জন্যে। আলিয়ার কথা জানতামই না। পরের বা ঢুঁ লাগাব।
নিজামের কাঠি কাবাব বছর চারেক আগে খেয়ে কিন্তু বেশ পুরনো দিন ফিলিং হল। যদিও ছাগলাদ্য, বড়া গোশত আর করে না।
বড়া গোশত খাবেন তো কোয়েস্ট মলের উল্টোফুটে জমজম। ছোট্ট খাসা দোকানটি, বিরিয়ানি আর ভুনা, আর মালাই। ওফ, তোফা তোফা। রোল চাইলে নিউ মার্কেটে ইউপি বিহার আছে, এখনো ড্যাঞ্চি।
ভাই শঙ্খ, সব নোট কইরা রাখতেছি, মহামারী পার হইয়া আবারও কইলকাত্তা দেখনের বাসনা রাখি!
শক্তিদির আঙ্গুল ছুইয়াও দেখতে হইব, তুমি কেমন কইরা পইদ্য করো কবি! ❤️
শঙখ খিদিরপুরে ইন্ডিয়া হোটেলে খেয়েছেন? আমি বার দুয়েক খেয়েছি। খুব সম্ভবত কলকাতার সেরা গালৌটি কাবাব। ওদের বিরিয়ানিও ভাল বলে শুনেছি, আমি খাইনি। খুব পরিচ্ছন্নও।
গলৌটি চিনার পার্কের আমিনিয়ারও বেশ ভাল। আর শুনেছি অওধেরও। তবে ওইটা আমি খাই নি। সাদার্ন অ্যাভিনিউ শরৎ বোস রোড এলাকায় ইন্ডিয়াজ লস্ট রেসিপি'তে শুয়োরের আইটেমগুলোও খাসা। বেশ রেওয়াজি শুয়োর যাকে বলে।
ন্যাড়াদা আমায় আবার আপনি করে লেখেন ক্যান?
খিদিরপুরের ইন্ডিয়া থেকে বিরিয়ানি আনিয়ে খেয়েছি কিন্তু দোকানটায় যাওয়া হয়নি সামহাউ। ওদের গালাউতি বেশ ভালো লেগেছে, করিম আর অউধের ততটা লাগে নি, এদের দামও সাঙ্ঘাতিক। ইচ্ছে আছে মনজিলাতের গালাউতি আর বিরিয়ানি খাবার, তবে এদের সব সময়েই ভিড় লেগেই থাকে।
মনজিলাত আবার কোথায়? শঙখ একটা করে এন্ট্রি দিচ্ছে আর একটা করে নতুন দোকানের নাম জানছি।
এই যাহ ন্যাড়াদা মঞ্জিলাৎ ফতিমার কথা জানেন না? ভদ্রমহিলা যাকে বলে খানদানির হদ্দমুদ্দ।
https://www.hindustantimes.com/india-news/fatima-and-fatima/story-abpJ85mOQAJEyiY0VfDaON.html
ও উনি কি সেই রুবির কাছে নিজের বাড়ির ছাতে অল্প কয়েকজনের জন্যে রান্না করেন, ওয়াজিদ আলী শাহর পরিবার?
ইয়েস স্যার।
বিঙ্গো, ইনিই মনজিলাত। লকডাউনের আগে একবার যাবার প্ল্যান হয়েছিলো, সে কবে হবে কেজানে।