এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  বিবিধ  শনিবারবেলা

  • কিসসা মুর্শিদাবাদী - কিস্তি চার

    সুপর্ণা দেব
    ধারাবাহিক | বিবিধ | ০৮ মে ২০২১ | ৩৩৪৮ বার পঠিত
  • ~~~~

    খাজনার ফাঁস, রায়তের নাভিশ্বাস ও বিদ্রোহের জলোচ্ছ্বাস


    ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে যখন আসেন তখন তাঁর বয়স খুব কম। পাতলা রোগা, যুবক বয়সেই মাথায় টাক। চূড়ান্ত গরিবির মধ্যে মানুষ। বাপ মা নেই। লন্ডনে লেখাপড়া শিখছিলেন বেশ। কিন্তু তার অভিভাবক, তার দাদু মারা গেলে নিতান্ত অল্প বয়সে লেখা পড়ার পাট চুকিয়ে কোম্পানির কেরানি হয়ে জাহাজে চেপে সোজা বাংলায়।

    পলাশীর যুদ্ধের ঠিক আগে সিরাজ কাশিমবাজার কুঠি দখল করে সেখানকার সবাইকে গ্রেপ্তার করেন, সেই বন্দি বাহিনীর মধ্যে হেস্টিংসও ছিলেন। রেশমের ব্যাবসার কাজ দেখতে দেখতে এ দেশের অনেক কিছুই রপ্ত করে ফেললেন। গড়গড়িয়ে বাংলা আর উর্দু বলতে শিখলেন। ফারসিও। এদেশটাকে তিনি ভালোই বেসেছিলেন। স্বদেশের থেকে একটু বেশি, এমনটা নিজেই বলেছেন। ওয়েস্ট মিনিস্টারে লেখাপড়া করেছেন, স্বনামধন্য ঐতিহাসিক গিবনের সঙ্গে ব্যাট বলে ঠোকাঠুকি মুলতুবি রেখেই পলাশীর যুদ্ধের পর কোম্পানির বুনিয়াদ শক্ত করতে খুব পরিশ্রম করেছেন।

    দেখা যাক পরিশ্রম করে কী হাল করলেন দেশের !

    আসল প্রাণ ভোমরাটি তো সেই অর্থনীতি। রুপি রুপি। অর্থই অনর্থের মূল। একেবারে আপ্ত বাক্য। দেশী বণিকের দল অবাধে বাণিজ্য করবে এ কখনোই কোম্পানি বরদাস্ত করবে না। দিশি কেন বিদেশীও কেউ থাকবে না। তারাই হবে সর্বেসর্বা অর্থাৎ একচেটিয়া। এই নিয়ে মিরকাশিমের সঙ্গে কোম্পানির খিটিমিটি লেগেই থাকত। শেষে মিরকাশিম বাংলা ছেড়ে চলেই গেলেন। মীরজাফর আবার বসলেন মসনদে। এরমধ্যে জগৎ শেঠ সমেত শেঠ সরাফদের দল ব্যাবসা থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে ফেলছিল দ্রুত। খাজনা আদায়েও শেঠরা তাদের ক্ষমতা হারাল। সাহেব আর গোমস্তারা তখন জান লড়িয়ে দিচ্ছে খাজনা আদায়ের জন্য। অথচ দেশের বাণিজ্যের যে বুনিয়াদটি ছিল তা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছিল ক্রমশ। রুপোর আমদানি কমে কমে ভাঁড়ার প্রায় শেষ। খাজনা আদায় পরিণত হল অমানুষিক অত্যাচারে।

    দুঃসহ খাজনার চাপে অনেক ছোটছোট জমিদারেরা এইসময় জমিদারি হারায়। একটা বিষয় হল জমিদারিব্যবস্থা ভালো মন্দ মিশিয়ে যাই হোক না কেন একটা পৃষ্ঠপোষক আর পোষ্যবৃন্দের সম্পর্ক যাকে বলে Patron client relationship এর ওপর দাঁড়িয়ে ছিল, সেটা একেবারে ভেঙে দিল ইংরেজ কোম্পানি। ডারলিম্পল সাহেব যাকে বলেছেন কর্পোরেট লুট, সেটার সূত্রপাত তখন থেকেই। বাণিজ্যের পণ্য ছাড়া প্রতিদিনের চাল গম তেল তামাক হলুদ চুনে কোম্পানি ঢুকতে শুরু করল। রেজা খাঁ এর খাজনা আদায়ের জুলুম তখন বিভীষিকা!



    রেজা খাঁর অত্যাচার নিয়ে লোকগান বাঁধা হয়েছে বিস্তর কিন্তু রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি, সেই আড়ালে থাকা কোম্পানিরাজকে ছেড়ে মানুষ তখন রাগ উগরে দিত দিশি গোমস্তা আর ইজারাদারদের ওপর। এই জুলুমবাজির ইতিহাসে এবারে বাজল দেবী সিংহের দামামা। শাসন ব্যবস্থা গুছতে এসে গেছেন হেস্টিংস। দেবী সিংহ পানিপথ থেকে এসেছিল, কোম্পানির রাজস্ব বিভাগে কাজ করে হাত মাথা পাকিয়ে রেজা খাঁ কে ধরে হেস্টিংসকে ভজিয়ে ইজারাদারি মুলুকে তার পদার্পণ। দেবী সিংহের অত্যাচার লাগাম ছাড়া হয়ে ওঠে হেস্টিংস এর আমলে। হেস্টিংসের পাঁচশালা দশ শালা বন্দোবস্তের সুবিধা নিয়ে দেবী সিংহ বহু জমিদারি আত্মসাৎ করেছিল।

    পূর্ণ কলি অবতার দেবী সিংহ রাজা
    দেবীসিংহের অত্যাচারে প্রজা ভাজা ভাজা।

    দেবী সিংহ নানা অভিনব উপায়ে অত্যাচার করত। তার আমল কুখ্যাত হয়ে আছে মেয়েদের ওপর অকথ্য নির্যাতনের জন্য। দেবী সিংহের নারী নির্যাতনের কথা লিখতে গিয়ে আজ আর একেবারেই হাত সরছে না। কী কদর্য! এবং কতদূর কদর্য হতে পারে পাঠক হয়তো তা অনুমানও করতে পারবেন না। হিন্দু মুসলমান সমস্ত প্রজারাই এই অমানুষিক জঘন্য নারকীয় বীভৎস লীলার শিকার। দেবী সিংহের অত্যাচার কোম্পানির কোষাগার ভরে দিয়েছে। তাই সাত খুন মাফ!

    ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এডমন্ড বারক দেবী সিংহের অত্যাচারের কথা যখন বর্ণনা করছিলেন অনেক ইংরাজ মহিলা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন সেই ভাষণ শুনে। মোটের ওপর এই সব ঢিলে ঢালা লোকদেখানি পদক্ষেপে কিছুই হয়নি দেবী সিংহের। নশিপুরে দালান কোঠা বানিয়ে তিনি দিব্যি রাজা হয়ে বসেন!



    কাঞ্চনের সঙ্গে আসবে কামিনী। অনেক কামিনীমধ্যে মধুপ রাজের মত কদাকার দেবী সিংহ বিরাজ করত আর সেই মধুর ভাগ দিত এদেশে আগত নবিশ ব্রিটিশ ছোকরাদের। দেবী সিংহের নশিপুর রাজবাড়িতে একটি দীরঘাঙ্গী শ্বেতাঙ্গী ইউরোপীয় মহিলার ছবি টাঙানো আছে। ছবিটি নাকি হীরাবাঈ এর। সেকালের বিখ্যাত নচ গার্ল। পাঁচ হাজার স্বর্ণ মুদ্রা দিয়ে তার নাচ দেখতেন পাষণ্ড দেবী সিংহ। ছবিটি আদতে হীরাবাই এর কি না তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ থাকলেও আরেকটু পরবর্তী সময়ে খোদ কোলকাতায় নিক্কী, সুপনজান, নান্নিজানের মত যাবনী বা অ্যাংলো নাচিয়ের খুব কদর ছিল।



    বর্গি আক্রমণ আসত ঘূর্ণি ঝড়ের মত। লুঠমার করে কেড়েকুড়ে নিয়ে ধাঁ করে সটকে পড়ত। কিন্তু ইংরেজদের লুঠ ছিল রীতিমত লুঠনীতি। নৌকো বোঝাই করে করে মুর্শিদাবাদ থেকে ধারাবাহিক চালান। ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা শয়ে শয়ে কুঠি। কুঠিয়াল গোমস্তা আর ইজারাদারের দাপটে বাংলার জমিদার আর সওদাগরদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেল।

    আগের বছর প্রচণ্ড খরায় ফসল ফলে নি। জমি ফেটে চৌচির। ঘরে যা ফসল ছিল খাজনা মেটাতেই বেরিয়ে গেছে। সবচেয়ে যে থুত্থুড়ে বুড়ো সেও মনে করতে পারল না এমন খরা সে আগে কোনোদিন দেখেছিল কি না! এলো মন্বন্তর। বাংলা ১১৭৬ সন। পায়ে পায়ে এলো মড়ক। হান্টার সাহেবের অ্যানালস অফ রুরাল বেঙ্গল তার জীবন্ত দলিল। সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ।



    হান্টার যা লিখেছিলেন, লোকে প্রথমে ভিক্ষা করত। ভিক্ষে দেবার লোক নেই! তখন উপোস করা শুরু হল। তারপর বাধল অসুখ। সব বেচল হতভাগা, গোরু বেচল, লাঙ্গল বেচল। ঘরবাড়ি জমিজমা। তারপর মেয়ে, তারপর ছেলে, তারপর স্ত্রী কে বেচে দিল। কিন্তু কিনবে কে? খরিদ্দার নেই। তখন সে ঘাস পাতা আগাছা খায়। কুকুর ইঁদুর বেড়াল ধরে ধরে খায়।

    মুর্শিদাবাদে লাগল ভয়াবহ গুটি বসন্ত। রাস্তায় ঘাটে লোক মরে পড়ে থাকত। মুর্শিদাবাদে প্রচুর লোক মারা গিয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন নবাব নাজাবত আলি খান। তার ভাইও মসনদে বসার দুই সপ্তাহের মধ্যে গুটি বসন্তে প্রাণ হারালেন। বর্ষায় জমে ওঠা মৃতদেহ পচে গিয়ে মহামারী শুরু হল। তখন মুর্শিদাবাদ বিষিয়ে গেছে। গ্রাম কে গ্রাম, ঘর কে ঘর উজাড় করে সব মরে গেল। সেই সব জায়গা ঢেকে গেল জঙ্গলে। গজিয়ে উঠল এক নতুন শ্রেণি, বাংলার ডাকাত।



    ইংরেজ কাউন্সিল একটু আধটু তদন্ত ইত্যাদির গলা খাঁকারি দিলেও তা ধোপে টেকেনি কারণ ওয়ারেন হেস্টিংস জানতেন কাকে ফেলে কাকে ধরবেন তিনি! তিনি নিজে তো ধোয়া তুলসী পাতা বা জর্ডনের পবিত্র জল নন।

    দেশজোড়া জুলুম আর দুর্ভিক্ষের দিনগুলোতে মুর্শিদাবাদের বড় নগরের রানি ভবানীকে তার প্রজারা ভোলে কী করে? তিনি নিজে কোম্পানির হাতে যথেষ্ট নাস্তানাবুদ হয়েও আদেশ দিয়েছিলেন তার জমিদারিতে না খেয়ে বা চিকিৎসা না পেয়ে কেউ যেন না মরে!



    “ভবানীর সম কীর্তি কেহ নাহি করে”। এই হল প্রাচীন জমিদার রায়ত সম্পর্ক। যা সম্পূর্ণ তছনছ করে দিয়েছিল কোম্পানি। ফলে ওপর থেকে নেমে আসা শোষণ ও দুর্নীতি একেবারে নিচের স্তর পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল।



    উত্তরভারত থেকে দুটি দল বাংলায় এইসময় ঘোরতর অশান্তি নিয়ে এসেছিল।

    ওয়ারেন হেস্টিংস এদের 'হিন্দুস্থানের যাযাবর' ও 'পেশাদার ডাকাতদের উপদ্রব' বলতেন। এরা দশনামী সন্ন্যাসী ও মাদারি ফকিরের দল। দশনামীদের গোঁসাই ও মাদারিদের মজনু শাহ। এরা বাংলায় প্রতিবছর এসে জমিদারদের কাছ থেকে বেশ কিছু অর্থসাহায্য পেত। এই ছিল তাদের উপার্জন। কিন্তু পলাশীর যুদ্ধের পরে পরিযায়ী ফকির ও সন্ন্যাসীদের এই অর্থ সংগ্রহে বাগড়া দিতে এলো কোম্পানি। কার কাছ থেকে কতটুকু পাওয়া যাবে এই অঙ্ক কষতে গিয়ে এদের ওপরে তীর্থকর চাপান হল। দরগায় বা অন্যত্র তাদের যাতায়াত ও গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু হয়। নতুন ভূমি আইনে এই সন্ন্যাসী ফকিরের দল যেখানে সেখানে বসতি গড়তে পারত না।

    দেশের এই টালমাটাল অবস্থায় মজনু শাহ, ফকিরদের নেতার সঙ্গে ইংরেজদের খটাখটি শুরু হয়। গোলাগুলি চলে। ১৫০ জন ফকির সন্ন্যাসীকে মেরে ফেলা হয়। মন্বন্তরের শেষে নিরন্ন প্রজা কৃষকের অনেকেই এদের সাথে জুটে গিয়েছিল। এমনকি মজনু শাহ রানী ভবানীর কাছে আবেদন রেখে ছিল যে আপনি তো দেশের মালকিন। আপনি আমাদের ভরসা।

    তখন ঘোর অরাজকতা। ক্ষিপ্ত ক্ষুধার্ত প্রজা রায়ত, বহিরাগত সন্ন্যাসী ফকিরদের রোষ, উৎপাটিত জমিদারের দল, কোম্পানির সেপাইদের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ, জঙ্গলে জঙ্গি দলের গা ঢাকা দেওয়া, তাদের গেরিলা কায়দায় আক্রমণ,এই সব তাণ্ডবের মধ্যেই অনেকেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত রাগের প্রথম অভ্যুত্থানের ছবি দেখেছেন। দেখেছেন হিন্দু মুসলমান এক হয়ে কৃষক বিদ্রোহের প্রথম আগুন। সাব অল্টারন স্টাডির একটি অধ্যায় এখন চার দশক জুড়ে সন্ন্যাসী আর ফকিরদের জ্বলন্ত অসন্তোষ। অনেক সময় ভাগ্যচ্যুত জমিদারেরাই দল চালনা করেছেন। কথাপ্রসঙ্গে বলা যায়, রানী ভবানী ছাড়া এইসময় বাংলায় বেশ কিছু মহিলা জমিদার ছিলেন। তাঁরা খুব দাপটের পরিচয় দিয়েছিলেন সেই সময়ে। বিদ্রোহ বা কোনো অভ্যুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ফেউয়ের মত এসে পড়ে চুরি চামারি, ডাকাতি রাহাজানি। যত রকমের নৈরাজ্য আর বদমায়েশি! ইতিহাসে এর অন্যথা কোনো দেশেই ঘটেনি।



    মুর্শিদাবাদ মাদারি ফকিরদের বড় আখড়া ছিল। মাদারি পীর নিয়ে বাঁধা হয়েছিল অনেক লোকগান। সন্ন্যাসীরাও আসত। তারা কিনত রেশম। এই রেশম তারা ফেরত যাবার সময় উত্তর ভারতে বিক্রিও করত। হ্যাঁ, ঠিক ই, তারা ধর্মেও ছিল, ব্যাবসাতেও ছিল। মহাজনি কারবারও করত, অস্ত্রও রাখত।

    সে সব ইতিহাস এখন মুর্শিদাবাদের ধুলোবালিতে চাপা পড়ে গেছে।

    নশিপুর রাজবাড়ি এখন শুনশান। ওখানে যাবার পরে মনে হল দেওয়ালে দেওয়ালে ঘরে ঘরে কদর্যতার বিষ যেন এখনো লেগে আছে। সারা বাড়ি জুড়ে জবা ফুটেছে। কাঠগোলাপও।

    ফাঁক ফোকরে কড়ি বরগায় এখন পায়রা বসে থাকে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৮ মে ২০২১ | ৩৩৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 2402:3a80:135c:8bb7:a6da:a7a:2c3e:***:*** | ০৮ মে ২০২১ ১৩:৫০105705
  • যাহ! এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে! 

  • b | 14.139.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ১৪:২৫105708
  • বিলেতের পার্লামেণ্টে ইম্পিচমেন্ট কার হয়েছিল ?ক্লাইভ না হেস্টিংস? 

  • | 2402:3a80:135c:8bb7:a6da:a7a:2c3e:***:*** | ০৮ মে ২০২১ ১৪:৫১105709
  • হেস্টিংসের ইমপিচমেন্ট হয়েছিল।

  • Santosh Banerjee | ০৮ মে ২০২১ ২০:২২105718
  • এই ভূভাগের পুরো ইতিহাস টাই হলো অত্যাচার প্রজা পীড়ন ধর্ষণ ইত্যাদির ইতিহাস !!মনেহয় বাবরের আমল থেকে শুরু করে ( তার আগের ইতিহাস টাও খুব যে ""সোনার ভারতের "" ইতিহাস , বলা যাবে না ) একেবারে এই সময়ের নরেন্দ্র বাবুর জমানা অবধি ।.....শোষণ , নিপীড়ণ সবই চলছে , চেহারা গঠন পাল্টেছে হয়তো , কিন্তু নিষ্পেষণ হচ্ছেই !!

  • Shantanu Mandal | 45.25.***.*** | ০৯ মে ২০২১ ০৮:০০105727
  • ছবিগুলির ক্যাপশন থাকলে ভালো হত। লেখাটি ভালো।

  • দেবাশিস চক্রবর্তী | 103.75.***.*** | ১০ মে ২০২১ ১০:৪৮105812
  • খুব ভালো লেখা, মন ভরে গেল।

  • Ipsita Mukherjee | 2409:4060:211c:959e::28a2:***:*** | ১০ মে ২০২১ ২০:৫৯105834
  • সিরাজদৌল্লা সম্পর্কে  একটু  বললে ভালো হতো 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন