ক-বাবু ঘড়ি দেখলেন। আব্বাসের ইন্টারভিউটা শেষ হয়েছে ঘন্টাখানেক হয়ে গেল। এইবার কিছু একটা উত্তর নামাতে হয়। লোকজন ইতিমধ্যেই আব্বাসের গোঁড়ামি নিয়ে শঙ্কিত। তিনি নিজেও যে নন, এমন নয়। কিন্তু দলের দায় বড় দায়। জোটটা যখন হয়েইছে তখন ডিফেন্ড তো করতেই হবে। কিন্তু কেউ যদি স্টুডিওতে বসে অন ক্যামেরা বলে হিন্দুদের মসজিদ আর মুসলিমদের মন্দিরে যাওয়া ঠিক নয়, একে ডিফেন্ড করা খুব চাপের। ভাবলেন, আজ থাক। কাল সকালে উঠে দেখা যাবে।
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে ফোনটা হাতে নিলেন। লিখলেন, "বাঙালি ভদ্রলোকের মুখোশ খুলে গেছে। লুঙ্গি পরা তথাকথিত ছোটলোক সাবঅল্টার্ন আজ প্রথমবার নিজের হকের পাওনা বুঝে নিতে এসেছে বলে গেল গেল রব উঠেছে।" পোস্ট করতে যাবেন, এমন সময় মনে হল, আজ প্রথমবার লিখলে লোকে প্রশ্ন করবে তাহলে এতদিন পার্টি তাহলে কী করল? তারা কী তবে এতদিন গরীবের কথা বলে নি?
সাত-পাঁচ ভেবে "আজ প্রথমবার" কথাটা কেটে দিলেন। তারপর পোস্টটা করে দিয়ে বাজারের দিকে রওয়ানা দিলেন। রবিবার, একটু পাঁঠা না কিনলেই নয়।
দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরে আবার ফোন হাতে নিয়ে বসলেন। জনাকতক চেনা লোককে ট্যাগ করে লিখলেন, "লুঙ্গি খুবই স্বস্তির পোষাক। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। লুঙ্গি আমার বাবাও পরতেন। লুঙ্গি আর ধর্মকে এভাবে জুড়ে দেওয়া নিতান্তই শহুরে এলিটিজম"।
এরপর স্নান সেরে পাঁঠার ঝোল দিয়ে একথালা ভাত খেয়ে একটু গড়িয়ে নিলেন। রোববারের এই আয়েসটুকু তাঁর চাইই চাই।
বিকেলে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে আবার ফেসবুক খুললেন। এইবার খ-বাবুকে ট্যাগ করে লিখলেন, "যখন দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা বিপদের মুখে, যখন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি পোষাক চিহ্নিত করে বিভাজনের তাস খেলছেন, তখন পোষাকের রাজনীতি শুধু নিন্দনীয়ই নয়,ঘৃণার্হও বটে"।
খানিকবাদে খ-বাবু উত্তরে লিখলেন, "কিন্তু আমি তো একবারও লুঙ্গির কথা লিখি নি। আমি তো আব্বাসের সমস্যাজনক কথাবার্তা নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম"।
ক-বাবু একটু থতমত খেলেন। খ-বাবুর টাইমলাইনে ওলটপালট করেও মুসলিমবিরোধী বা লুঙ্গিবিষয়ক কিছু পেলেন না। ফিরে এসে নিজের দেওয়ালে লিখলেন,
"এই বাঙালি হিন্দু ভদ্রলোকেদের আব্বাস বিরোধিতার আসল কারণ তার লুঙ্গি ও টুপি হলেও, তারা কখনো সে কথা প্রকাশ্যে লেখেন না। এই যে আব্বাস ও তাঁর মত মেহনতী জনতার পোষাক লুঙ্গি নিয়ে না লেখা, সেই প্রসঙ্গ না তোলা, কথা না বলা, এই স্নবারিই এঁদের সুপ্ত ইসলামোফোবিয়াকে প্রমাণ করে"।
লে হালুয়া!!!
দেবাংশুর কমেনটা দেখেন নি তা তো নয়। দেখে শুনেও এই অখাদ্য হ্যাজ
প্রথম লাইনে সিপিআইএম পচা, দুষ্টু বলে দিলেই এত বড় গল্প লিখতে হয়না। নাকি বড় রচনা ছাড়া প্রশান্ত কিশোর পয়সা দেবেনা বলেছে?
দেবাংশু র কমেন্ট পড়েছে কিনা জানতে চাইবেন না । ওসব বললে হবেনা। দিদিমনির দলের সব ভালো।
"লোকজন ইতিমধ্যেই আব্বাসের গোঁড়ামি নিয়ে শঙ্কিত। ......কিন্তু কেউ যদি স্টুডিওতে বসে অন ক্যামেরা বলে হিন্দুদের মসজিদ আর মুসলিমদের মন্দিরে যাওয়া ঠিক নয়, একে ডিফেন্ড করা খুব চাপের।"
ভারতে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ যেসব হিন্দু মন্দিরে তার একটি তালিকা। এই তালিকার সত্যতা যাচাই করেনি পিটি।
https://lifeinsaudiarabia.net/9-hindu-temples-in-india-where-non-hindus-are-not-allowed-to-enter/
"A report is being prepared as to why were president Kovind and his wife shoved when they visited the Jagannath temple in Puri in March."
https://www.news18.com/news/india/not-just-president-kovind-even-mahatma-gandhi-and-indira-were-stopped-at-jagannath-temple-1792257.html
এমনকি এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টকেও নাক গলাতে হয়েছে।
https://economictimes.indiatimes.com/news/politics-and-nation/sc-urges-jagannath-temple-to-allow-entry-of-non-hindus/articleshow/64877985.cms
কেউ কোনদিন এই সব ঘটনাকে চাপের বলে মনে করেছে? তাও গুরুর পাতায়? নাকি ভাইজান ঘুম ভাঙালো ?
আব্বাস সিদ্দিকীর বক্তব্য ছিল যে সাধারণ মানুষ কখনও যায় তাতে অসুবিধা নেই বরং ভোটের আগে নেতারা এইভাবে ধর্মকে ব্যবহার করার জন্য মসজিদে বা মন্দিরে যায় তাতে তার আপত্তি আছে।
সেকুলার, লিবারাল ভাইজান দেখলাম একসময় মাত্র ৫০ কোটি ভারতীয়-কে মারার জন্য খোদাতালার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। যাক সে কথা, সামান্য ব্যাপার।
এখন নিশ্চয়ই পুরো পালটে গেছেন, কাউকে আর মারতে চান না
৫০ কোটি?????
ফেবু থেকে টুকে দিলামঃ
আহা সোনা গো খুব কষ্ট হচ্চে বলো