এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী: স্মৃতির আঁচড়ে দু-চার কথা -- অশোক মুখোপাধ্যায়

    বকলমে লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ১১৮০ বার পঠিত
  • আমার মতবাদিক অবস্থান কট্টর গান্ধীবাদ বিরোধী — দর্শন, কর্মপন্থা, সর্ব ক্ষেত্রেই। তবু আজ তাঁর মৃত্যু দিবসে তাঁকে স্মরণ করে দুচারটে প্রীতি ও অপ্রীতির কথা বলতে চাই।

    তাঁর সৌভাগ্যই বলতে হবে, হিন্দু ধর্ম নিয়ে অনেক কুসংস্কার চর্চা, দৃশ্যত অনেক বাড়াবাড়ি করা সত্ত্বেও তিনি যে মনের গভীরে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ছিলেন না, নৃশংস মরণে সেটা প্রমাণ করার সুযোগ পেলেন। ভারতের প্রথম (হিন্দু) জঙ্গি নাথুরাম গদসের বন্দুক মোহনদাসকে শুধুই মারে নি, তাঁর সম্মানকে বাঁচিয়েও দিয়েছে।

    গান্ধীর চিন্তায় ও আচরণে মধ্যে প্রচণ্ড স্ববিরোধ ছিল। ভালো মন্দের। ভুল ঠিকের। জাতিবাদ বনাম উদারতার। ধর্মীয় রক্ষণশীলতা আর প্রশস্ততার। নীতি গ্রহণ ও বর্জনের। জেদ ও শোধনের। না, স্বামী বিবেকানন্দের মতো নয়। একই কালে দুই দেশে দুরকম বক্তব্য নয়। শ্রোতা অনুযায়ী বক্তব্যের সুর পালটানো নয়। এ ছিল এক ধরনের দোলাচল। মানসিক দৃঢ়তার অভাব। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাব। শেষ বিচারে ইতিহাসে সমাজে অচেতনে শ্রেণিগত ভূমিকা পালনের বাধ্যতা বনাম সজ্ঞান অনিচ্ছা। অমোঘ শ্রেণিস্বার্থ আর অবাস্তব সদিচ্ছার দ্বন্দ্ব নিরসনে বাস্তবিক অপারগতা।

    ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর যোগদান যথেষ্ট বিলম্বিত। টাকা রোজগারের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় গমন করে তিনি নিজেকে স্বেচ্ছায় এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞ থেকে বহু কাল সরিয়ে রেখেছিলেন। জোহানেসবার্গ স্টেশনে সেই সাদা সাহেব তাঁকে রেল গাড়ির প্রথম শ্রেণির কামরা থেকে কালা নেটিভ ভেবে নামিয়ে না দিলে ভারতীয়দের কিন্তু জাতি হিসাবে পিতৃহীন হয়েই থাকতে হত। আজও। সেই সাহেবকে মরণোত্তর ধন্যবাদ দিই আমি, না জেনে এই একটা ভালো কাজ করে ফেলার জন্য!

    স্বাধীনতা আন্দোলনে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর অন্তত দুটো বড় অবদান আমাদের অবশ্য স্বীকার্য।

    এক, তিনি এই আন্দোলনকে তিন দশক ব্যাপী ইংরেজি শিক্ষিতদের সীমাবদ্ধ প্রতিবাদী অভিভাষণ ও স্মারকলিপি নিবেদন থেকে বের করে এনে বৃহত্তর গণ আন্দোলনের আকার দিতে সক্ষম হন। তাঁর চরকা, তাঁর বিশ্বাস যাই হোক, এবং তা নিয়ে শরৎচন্দ্র নজরুল যতই হাসাহাসি করুন, স্বাধীনতার পক্ষে কোনো বড় হাতিয়ার না হলেও আম জনতার হাতে দেশের কাজের একটা রূপক কর্ম হিসাবে স্থায়ী আসন পায়। ঘরের মহিলারাও আধ ঘন্টা চরকায় সুতো কেটে মনে মনে স্বদেশপ্রেমে যুক্ত হয়ে যেত। তিনি অহিংসার নাম করে যে সমস্ত আন্দোলন পদ্ধতি নির্বাচন করেন – সত্যাগ্রহ, আইন অমান্য, অনশন, ধর্না, ইত্যাদি—অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য সহজপাচ্য কর্মসূচি হয়ে ওঠে। সকলেই অক্লেশে সানন্দে যোগদান করতে পারে। সেই থেকে আজ অবধি আমরা বামপন্থীরাও একই ক্রিয়াপন্থা ব্যবহার করে চলেছি। ইউরোপ থেকে পাওয়া ধর্মঘটের বাইরে একটাও নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে বের করতে পারিনি। যদিও, সময় হয়েছে গণ আন্দোলনের নতুন পদ্ধতি অনুসন্ধানের।

    দুই, তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত সার্বক্ষণিক সর্বস্বত্যাগী কংগ্রেস সেবকদের জন্য আশ্রমের পরিকল্পনা করেছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্থাপনও করেছিলেন বেশ কয়েকটি আশ্রম। সেই সব গান্ধী আশ্রম আজও নিবু নিবু হয়ে টিকে আছে। এমনকি বাংলাদেশেও আছে। অথচ প্রায় একই সময়ে গড়ে ওঠা বামপন্থী দলগুলির প্রতিষ্ঠিত অনেক কমিউন পার্টিমেস উঠে গেছে।

    বিপরীতে, স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধী ক্ষতি করেছেন তিন জায়গায়।

    এক, “অহিংসা”কে একটা কৌশল হিসাবে গ্রহণ করার বদলে একে তিনি একটা মৌল নীতি হিসাবে চালু করতে চান। বাস্তবে তাঁর এই অহিংসা ছিল কেবলমাত্র ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য। অন্যদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের ব্যবহৃত হিংসাকে তিনি সর্বান্তঃকরণে সমর্থন ও সাহায্য করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানীয় আদিবাসীদের বিরুদ্ধে, চিনের বিরুদ্ধে আফিম যুদ্ধে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও। টাকাপয়সা তুলে দিয়েছেন, মাল সরবরাহ করেছেন, সেনা নিয়োগে সহায়তা করেছেন। এমনকি স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। সেই সব ক্ষেত্রে অস্ত্রের ব্যবহারে তাঁর প্রাণ মন বিবেক কাঁদে নি। সেই সব কাজ যে তাঁর বহুপ্রচারিত অহিংসার সঙ্গে যায় না — তা নিয়ে তাঁকে কেউ কোনো দিন আক্ষেপ করতেও দেখে নি। তার পরেও যে তিনি বিশ্বে অহিংসার পূজারী হিসাবে গণ্য ও বন্দিত হয়েছেন, সে নিতান্তই পরাধীন ও স্বাধীন ভারতের ক্ষমতাশীল ও ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যপূর্ণ নিরন্তর তথ্যবর্জিত ফাঁপা স্তুতিমূলক প্রচারের গুণে। আর সেই সুযোগে হিংসা অহিংসার প্রশ্নটা আন্দোলনের মূল লক্ষ্যের চাইতেও বড় হয়ে উঠেছে। মূল লক্ষ্যকে গৌণ করে ফেলা সম্ভব হয়েছে।

    দুই, অহিংসাকে নৈতিক ও মানসিক শক্তি হিসাবে প্রচার করলেও রাজনীতিতে বিরোধীদের ক্ষেত্রে এই অহিংসার পূজারী বরাবরই দৃশ্যকটুভাবে অত্যন্ত অনৈতিক অবস্থান নিয়েছেন। সে গোপীনাথ সাহার ঘটনায় হোক, যতীন দাস-এর আত্মাহুতি বা ভগৎ সিং-দের ফাঁসির ঘটনায় হোক, অথবা সুভাষ বসুর দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময় হোক। কিন্তু শুধু মাত্র অর্থ উপার্জনের সময়কার কোটপ্যান্ট ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে যোগী বেশ পরে থাকার দরুন ভারতীয় জনমানসে সেই সব অনৈতিক কার্যাবলি ইতিহাসে অনায়াসে চাপা পড়ে গেছে এবং চাপা দেওয়া গেছে।

    এর একটা বিষময় ফল হয়েছে এই যে কংগ্রেসি তথা ঘরোয়া রাজনীতিতে দ্বিচারিতা অনৈতিকতা একটা প্রামাণ্য আচরণ বিধি হিসাবে বেশ মর্যাদা পেয়েছে।

    তিন, পারিবারিক ভাবে জৈন হলেও এক রামাশ্রিত বৈষ্ণব ধর্মীয় ভাবাবেগ থেকে তিনি এক দিকে স্বাধীনতা আন্দোলনকে হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে প্রায় একাত্ম করে দিতে চেয়েছেন। এটা করতে গিয়ে তিনি হিন্দু ধর্মের সমস্ত আচার বিচার কুপ্রথাগুলিকে বিভিন্ন ভাবে সমর্থন যুগিয়েছেন, সম্মান বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করেছেন। অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে অনেক কথা বললেও, হরিজন শব্দের আমদানি করলেও, ব্রাহ্মণ্যবাদ সৃষ্ট ও পুষ্ট জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে কার্যকরীভাবে একটি কথাও বলেন নি, বরং নানা কায়দায় তাকে যুক্তিসম্মত প্রমাণ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা চালিয়েছেন। ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত হিন্দুত্ববাদীদের সবচাইতে প্রতিক্রিয়াশীল শ্লোগান ও কার্যক্রম গোরক্ষা আন্দোলনের একজন উচ্চবাক প্রবক্তা ছিলেন তিনি।

    ফলে তিনি যখন মুসলমান সম্প্রদায়কে স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর কর্মসূচিতে টেনে আনতে চান, সেও মুসলিম সমাজের অগ্রসর সংস্কারমুক্ত অংশকে সঙ্গে নিয়ে নয়, তাদের মধ্যে পিছিয়ে পড়া চেতনাকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়েই। খলিফাতন্ত্র নামক এক মধ্যযুগীয় ধর্মাশ্রিত সামন্তরাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে তিনি আধুনিক স্বাধীন ভারত গড়ার স্বপ্নের সাথে তালগোল পাকাতে গিয়ে না পারেন তিনি তাদের মেলাতে, না পারেন তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে সামনের দিকে তাকাতে বলতে। রাম কাম খলিফা মিলে সাম্প্রদায়িক “সম্প্রীতি”র যে স্বপ্ন তিনি খাড়া করেন, তা যত দিন গেছে স্বাধীনতা আন্দোলনকে বিভক্তই করেছে, ঐক্যবদ্ধ করেনি। মুসলিম লিগের স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন তাই স্বাধীনতা আন্দোলনের সমান্তরালে তারই হাত কেটে বাড়তে থাকে, এবং শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের দাবিতে পর্যবসিত হয়।

    তিনি যে হিন্দু ধর্মের সুর ভাঁজতে থাকেন তা শেষ বিচারে ব্রাহ্মণ্যবাদেরই গুনগুনানি হয়ে উঠতে থাকে। তথাকথিত নিম্নবর্গের মানুষ তাঁর প্রকল্পিত আসন্ন রামরাজত্বে শূদ্রত্ব প্রাপ্তির যে নিশ্চিতি পান তাতে তাদের দুশ্চিন্তা জেগে ওঠে। তাই তারাও শেষ অবধি যে স্বতন্ত্র দলিত মুক্তির আন্দোলন গড়ে তোলেন তা স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশ হিসাবে নয়, তার সমান্তরালে এক অন্য পক্ষ হয়ে ওঠে।

    পক্ষান্তরে, ব্রাহ্মণ্যবাদীরা যথার্থই অনুভব করে, গান্ধীর আন্দোলনে তাদের চাহিদা মতো ব্রাহ্মণ্যবাদের স্পষ্ট ঘোষণা ও পক্ষপাতিত্ব নেই। সনাতন ধর্মকেই একমাত্র প্রতিষ্ঠা করার সংকল্প নেই। এক উদার সর্ব ধর্মের সমন্বিত ভারতের স্বপ্নই তাতে দুর্বলভাবে হলেও বন্দিত। মুসলমান তাঁর শত্রু নয়। সুতরাং তারাও আর এক ভিন্ন ধারায় পূর্ণাঙ্গ ব্রাহ্মণ্যবাদের দাঁত নখ সহ নিজস্ব ইন্দ্রপ্রস্থ স্থাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

    গান্ধীর শক্তিশালী নেতৃত্বের আবেশেই স্বাধীনতা আন্দোলন এই ভাবে চতুর্ধারায় বিভক্ত হয়ে যায়।

    মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী তাঁর জীবনের একেবারে প্রান্তে পৌঁছে নিজের এই ভুলগুলি অনেকটাই বুঝতে পেরেছিলেন। আজাদ হিন্দ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীন সাফল্য ও বাহ্যিক ব্যর্থতার টুকরো টুকরো খবর থেকে। সেই একই গান্ধী তারপর রাজনীতি থেকে ধর্মকে ছেঁটে ফেলতে আগ্রহী হয়ে পড়েন। সেই গান্ধীই অহিংসার ঠুন্‌কো চুরিগুলি ফেলে দিয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনীর আটক শস্ত্রধারী সেনাদের নানা ভাবে সাহায্য করতে ব্যস্ত হন। তাঁকে সক্রিয় হতে দেখেই নেহরুও হঠাৎই সুভাষ প্রেমিক হয়ে জনপ্রিয়তার মাছ ধরতে আইএনএ-এর সেনানীদের পক্ষে মামলা লড়তে নেমে পড়েন। সেই গান্ধীই তখন গোরক্ষার আওয়াজকে কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে সরিয়ে দিতে, সংবিধানের পাতায় লেখার বিরুদ্ধে কলম তুলে নেন। তখন তিনি যেন এক অন্য চরিত্র।

    দুঃখের কথা হল, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। একমাত্র তখনই তিনি আবিষ্কার করলেন, তিনি ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো গান্ধীবাদী নেই। ভারতীয় বুর্জোয়াদের ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনায় কিংবা নেহরু প্যাটেলদের গদি আদায়ের কৌশলে তাঁর প্রয়োজন তখন ফুরিয়ে গেছে। তাঁর পদপ্রান্তে এযাবত ভিড় জমিয়ে বসে থাকা গান্ধীটুপি পরিহিত নেতারা তাঁকে তখন রাজনীতির গুদামে বা শোকেসে পুরে ফেলতে চান। তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। দেশ ভাগের পরিকল্পনায় কীভাবে তাঁকে প্যাঁচে ফেলে রাজি করানো যায় তার অঙ্ক কষেন! এবং সফলও হন।

    ভারতের বুর্জোয়াদের গান্ধী নির্ভর কাজ তখন প্রায় হাসিল হয়ে গেছে। জনরোষ জাগিয়ে ইংরেজকে ঠেলে গণবিপ্লবকে আপাতত (এখন আমরা জানি, বেশ অনেক দিনের জন্য) ঠেকিয়ে দেওয়া গেছে। দেশের বাজার, প্রাকৃতিক সম্পদ আর শাসকীয় কুর্সি হাতের নাগালে এসেই গেছে। ফলে “রঘুপতি রাঘব ...” গানের ধুনে গলা মেলাতে তারা আর গান্ধীর পেছন পেছন হাত জোড় করে ঘোরে না।

    গান্ধীকে তখন মর্ত্যধাম থেকে সরিয়ে দেওয়া সহজ হয়ে যায়! নানা তরফে। হত্যা গদসেই করে, কিন্তু গুজব সত্ত্বেও তাদের জন্য অনেকটা খোলা নিরাপদ খেলার জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়। আজকের দিনে। তিয়াত্তর বছর আগে।

    রঘুপতি রাঘব রাজারাম পতিত . . . – এইখানে এসে সেই ধুন থেমে গেছে! তাঁর শেষ উচ্চারিত “হে রাম” তখন এক হা-রামের অভ্যুত্থানের তুর্যধ্বনি হয়ে ওঠে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ১১৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন