এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • মেট্রো গল্প : কুমাতা

    Mahua Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ৩০ নভেম্বর ২০২০ | ৩৫৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • কুপুত্র যদি বা হয় কুমাতা কভুও নয় — মহিলার দৃষ্টি যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেতো, তাহলে এমনিই কিছু দাঁড়াতো। আসলে সানন্দা তখন সদানন্দময়ী কালীর মতো মুখ করে খসখস করে নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখছে আর ওর মেয়ে পিউকে একগাদা খবরের কাগজ দিয়েছে কুটি কুটি করে ছিঁড়বে বলে। সেই মহিলা বয়সজনিত কারণে বর্তমানে বেশি নড়াচড়া করতে পারছেন না বটে, কিন্তু ঘরের সংক্ষিপ্ত পরিসরে অবাধে ছড়িয়ে দিচ্ছেন মিলিটারি দাপট। যেন দুপুর বারোটার প্রখর রোদ। অথচ সানন্দা আড়চোখে মহিলার দিকে চেয়ে খসখস করে লিখছে আর পিউ  কাগজ ছিঁড়ে বলছে, ‘মা পুষ্পবৃষ্টি!’ আর ওই মহিলা বজ্রকন্ঠে বললেন, 'মায়ের কি ছিরি!'

    সানন্দা ব্যানার্জী! পেশায় স্ক্রিপ্ট রাইটার আর একটা টিভি চ্যানেলের ঘোষিকা। আট বছরের পিউ এর মা। আর ওই রাগী মহিলার মেয়ে। বর বিদেশে থাকে। সংসার ধর্ম চলছে অনলাইনে, ভিডিও চ্যাট আর ফোনে। বছরে দুবার দেখা হয়। বেশ একটা রোম্যান্টিক আবহ থাকে তখন। একটাই কমপ্লেক্সে দুটো মুখোমুখি ফ্ল্যাটে শাশুড়ি আর মাকে নিয়ে মাঝে হাইফেনের মতো পিউকে নিয়ে সানন্দার সোনার সংসার। একসঙ্গেই খাওয়াদাওয়া ওঠাবসা। দুই বেয়ানের হেব্বি ভাব। সানন্দা অর্ধেক রাত জেগে কাজ করে । পিউকে নিয়ে দিদান আর ঠাম ব্যস্ত সমস্ত। বর্তমানে যিনি রোষকষায়িত দৃষ্টি নিক্ষেপ করছিলেন, তিনি সানন্দার জরায়ুতুতো মা। সানন্দার জন্মের আগের বাড়িওয়ালি। আর আরেকজন পুজো করছেন। তাই সানন্দা হাফ ভস্ম হতে হতে কাজটা শেষ করলো। তারপর পিউকে ট্যাঁকে গুঁজে বাইরে আইসক্রীম খেতে চললো। মা বেয়ানকে ডেকে বললো, ‘মেয়েটাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। ঠান্ডা লাগিয়েই আনবে। নিজের আইসক্রীম খেতে ইচ্ছে হয়েছে বলে, মেয়েটাকেও গেলাবে।  আপনি সহ্য করেন কীভাবে?’  সানন্দার শাশুড়ি তখন সজল চোখে তেত্রিশকোটি দেবদেবীর সামনে মাথা খুঁড়ছে, বলছে, 'ওই সাংঘাতিক মায়ের হাত থেকে বাচ্চাটাকে বাঁচাও তোমরা।' এদিকে পিউ আর সানন্দা তখন পাড়ার মোড়ে আইসক্রীম খাচ্ছে আর দুইবুড়িকে নিয়ে তামাশা করছে। সানন্দা জানে, ঘরে ঢুকলে একটা ঝাড়ও বাইরে পড়বে না। সানন্দা পুরনো সিনেমার নিরূপা রায়ের মতো মুখ করে বলে, ‘পিউ আমি সত্যিই তোর কুমাতা’। পিউ আইসক্রীমটা প্রাণপনে চাটে আর বলে, ‘অঅঅ! আচ্ছা!’

    ছোটোবেলায় মা কত যত্নে কত খেয়াল করে ওকে বড় করেছে। কিন্তু ও এসব কিছুই করে না। কোনোমতে খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে লিখতে বসে। না খেলে একটি বারও সাধে না। পরে আবার কিছু দিয়ে দেয়। রোজ ভিটামিন  ওষুধ খাওয়াতে ভুলে যায় আর যখন মনে পড়ে তখন খাইয়ে দেয়। ঠাকুরঘরের কাজ থাকলে নিজের কাজ শেষ করে ঠাকুরকে জল ফুল দেয় আর বলে, 'তুমিই তো সবাইকে খাওয়াও, আমার দেরি হলে রাগ কোরো না প্লিজ'। পিউকে নিয়ে সিনেমা থিয়েটার কবিতা পাঠ গল্পপাঠ টিভি শো সবেতেই ছুট লাগায়। সঙ্গে বাদাম নিয়ে যায় কয়েক প্যাকেট। অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে পিউ  ঝামেলা করলেই হাতে দেয় বাদামের প্যাকেট যাতে একটা একটা করে খেতে খেতে সময় চলে যায়। পিউর যখন দশদিন বয়স, ডিসেম্বরের শীত! সানন্দা ওই দশদিনের বাচ্চার লেপ কেড়ে নিজের গায়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছিলো। কুমাতা ছাড়া কী? বর বাইরে বলে শাশুড়ি আর মাকে নিয়েই উইক এন্ডে বেশ ঘুরতে যায় সানন্দা। সেখানেও ওদের চোখে ও ভিলেন! কুমাতা! সেবার মায়াপুরে ব্রেকফাস্ট টেবিলে পিউ ঘুমিয়ে পড়ে। ওর আলুর পরোটাটা পরে খাওয়াবে ভেবে টিফিন কৌটোয় রেখে দিয়েছিলো সানন্দা। দুপুরবেলায় লাঞ্চ আসতে দেরি হবে শুনে অবলীলায় সেই ঠান্ডা আলুর পরোটা মেয়েকে খাইয়ে দিয়েছিলো সানন্দা। ওর শাশুড়ি ফিসফিস  করে ওর মাকে বলেছিলো, ‘টিফিনকৌটোয় আগের দিনের বিস্কুটের গুঁড়ো লেগে বেয়ান। বিস্কুটের গুঁড়ো মাখা পরোটা খাইয়ে দিলো’। পিউর দিদান প্রবল গ্লানিতে বলেছিলো, ‘আমাকে ক্ষমা করবেন বেয়ান। এমন মেয়ে গর্ভে ধরেছি’। 

    সানন্দার উপায় নেই। কাজ আর বাড়ি সমান্তরালভাবে চলছে চলবে। ওর থিয়োরি বাচ্চার সঙ্গে সব মজা করো, পড়াও, হুল্লোড় করো, অতো নিটপিট করে বাচ্চা মানুষ করার সময় কই? মানুষের বাচ্চা! ঠিক বড়ো হয়ে যাবে। আর আহ্লাদের জন্য তো আছেই দিদান আর ঠাম। বাবাও উদয় হয় আদর নিয়ে। ও মানে, আরো একটু গোছানো হলে তো জীবনটা সুন্দর হতো। কিন্তু তাহলে ওর পিউর সঙ্গে বৃষ্টিতে ভেজা হতো না, লুঙ্গি ডান্স করা হতো না, রাতে চাদর মুড়ি দিয়ে মুভি দেখা, ওকে স্টেজের পাশে দাঁড় করিয়ে আবৃত্তি করা হতো না। এসব ছাড়াই পিউ বড়ো হয়ে যেতো। তখন?

    অপরাধবোধ একটু সামান্য হয়। কিন্তু উপায় নেই। পিউ এখন ঝপাঝপ দাঁত মেজে ওকে খোঁচা দিয়ে বলে, খাবারটা দাও। নিজেই চান করে চুল আঁচড়িয়ে পারলে ওর চুলটাও আঁচড়িয়ে দেয়। ট্যাক্সি থেকে নামলে রিনরিনে গলায় বলে, ঘড়ি ছাতা মোবাইল? সানন্দা খুশি মনে বলে, 'আছে আছে'। খুদে অভিভাবক খুশি। দিদান ঠাম বলে, 'তোর মা যদি তোকে দেখে কিছু শেখে'। তার উপর গত সপ্তাহে পিউ দুই বুড়িকে বাটি করে চালভাজা দিয়েছে, দুজন হেসে কেঁদে অস্থির, মেয়ে বা ছেলের বৌয়ের ভূমিকায় ডাহা ফেল পিউর মা ভাগ্যিস এই দয়ালু কচিটার জন্ম দিয়েছে। নাহলে ওদের বুঝি বৃদ্ধাশ্রমে সিট বুক করতে হত। 

    সানন্দা হাসেও না কাঁদেও না। কাজও করে না। বেসিক্যালি ওর কিছু করতে ভালো লাগে না। মেয়ের সঙ্গে আচরণটা ঠিক সুমাতা সুলভ হয় না । কিন্তু স্যাঙাতের মতো হয়। অসমবয়সী বন্ধু যেন!পিউও গিন্নিমার মতো মাকে সামলায়। পিঠে চাবির গোছা নেওয়াই বাকি থাকে ওর। কিন্তু ওর মায়ের বদল হয় না। বাড়িতে তিন প্রবল অ্যাকটিভ সদস্যের মধ্যে ওইই একা ঘরের কাজে  ইন অ্যাকটিভ মোডে থাকে। কাজের লোকটোক আছে। তবু ওর আর সংসারী হওয়া হয় না। বরকে বলে, ‘তুমি চলে এসো’। বর খুশি হয়ে বলে, ‘মনকেমন করছে?’ সানন্দা বলে, ‘না, আমার মশারি টাঙাতে ভালো লাগে না।’ আতঙ্কিত প্রবাসী খাবি খায়। 

    পিউর স্কুল থেকে ফোন আসে সেদিন! ক্লাস টিচার বলেন, ‘আপনার বই উপহার চাই’। সানন্দা বলে, ‘বই তো এখনো কিছু বেরোয় নি। আমি স্ক্রিপ্ট লিখি’। তখন রহস্য উন্মোচন হয়। ক্লাসে একটা গল্পে পড়ানো হচ্ছিল, কবিরা কতটা কেয়ারলেস হয়। তারপরেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল কার বাবা মা কী করেন, পিউ বলেছে ওর বাবা বিদেশে চাকরি করে আর মা কীসব লেখে, মনে হয় কবি। কারণ পিউকে উল্টো জামা পরায়। জ্বরের বদলে পেটখারাপের ওষুধ নিয়ে তাড়া করে আর পড়তে বসিয়ে ওর হাত থেকে পেন্সিল কেড়ে ছবি আঁকে। তারপর নাকি বুক ফুলিয়ে বলেছে, 'আমার মা কুমাতা নয়, কবি।'  সানন্দার কান গরম হয়ে যায়। ওই প্রান্তে ক্লাস টিচার তার ছাত্রীর বাকপটুত্বে মুগ্ধ। সানন্দা কোনোমতে ম্যানেজ করে ঠিক করে আজ থেকে সুমাতা হতেই হবে। বাড়ি ফিরে কপালে টিপ পরে ঢিপ করে ঠাকুর প্রণাম করে তিন মহিলাকে  বলে, 'আজ আমি তোমাদের  তিনজনকে যত্ন করে খাওয়াবো'। তিনজনে মুখচাওয়াচায়ি করে। সানন্দা তখন রান্নাঘরে ঘেমে নেয়ে রাঁধছে আর বলছে, কোনো চিন্তা নেই পিউ, মা সব করে দেবে। দুই বুড়িতে কিছু একটা বলতে চাইছে অথচ সানন্দার প্রবল উৎসাহে হতবাক। 

    ঘন্টা দুইয়েকের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর খাবার টেবিলে একটা মোমবাতি আর চারটে প্লেটে চিকেন ফ্রায়েড রাইস আর চিলি ফিস দেখে তিনজনের চোখ কপালে। সানন্দার মা বললো, ‘কেমন মা রে তুই? জানিস না তোর মেয়ের পেটগরম করেছে? ওর তো পাতলা ঝোল আছে’। সানন্দা সুমাতার মতো মুখ করে বললো, ‘খেয়ে নিক এটা। তারপর এই যে মেট্রোজিল খাইয়ে দেবো!’ শাশুড়ি বলে, ‘সে কী? বিষ দিয়ে অমৃত?’ পিউ তখন পরম তৃপ্তিতে খাচ্ছে আর বলছে, ‘মা খুউউউব ভালো!’ বাকি দুজনও খাওয়া শুরু করলো গজগজিয়ে। সানন্দা মেট্রোজিলের শিশিটা সামনে রেখে বললো, ‘এটাও খেয়ে নিস পিউ সোনা। পেট সেরে যাবে’। পিউ হেসে বললো, ‘সেরে গেছে মা। আর ওটা ক্রোসিন মা, জ্বর হলে খায়’। দুই বৃদ্ধা হাঁইমাই করে ওষুধ কেড়ে নিলো আর বললো, ‘স্বভাব যাবে না!’ সানন্দা চিকেনটায় আলতো কামড় দিয়ে বললো, ‘আমি রান্নাটা ভালোই করেছি। আর শোনো, আমি কুমাতা নই, আমি কবি’।

    বাইরে একটা ভুলো উদাসী বাতাস হো হো করে হেসে উঠলো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ৩০ নভেম্বর ২০২০ | ৩৫৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • chaitali chattaraj | ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:৫২101399
  • এক কথায় দারুন 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন