এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ  গুরুচন্ডা৯ পাঁচ

  • লন্ডন, বারোই জুলাই

    দীপ্তায়ন সেন
    আলোচনা | বিবিধ | ১০ জানুয়ারি ২০০৬ | ৯৮২ বার পঠিত
  • বিস্ফোরণোত্তর লন্ডন শহরের একটি সন্ধ্যা। একটি চোখে দেখা ঘটনার বিবরণ দিচ্ছেন দীপ্তায়ন সেন।

    লন্ডন, বারো ই জুলাই, সন্ধে ছ'টা

    আমি ভীষণ ক্লান্ত,অফিস থেকে ফিরছি,হাঁটু ব্যথা করছে,মন্থর পায়ে আমাদের বাড়ির কাছের টিউব স্টেশনে নামছি ...

    বিকেলবেলা এমনিতেই মন খারাপ লাগে। ক্লান্তও লাগে খুব। এখানে,লন্ডনে,আবহাওয়ার কোনো মাথামুন্ডু নেই। বেশীরভাগ সময়ই কালো করে মেঘ করে থাকে। আমাদের চেনা মেঘ নয়,কাজল-কালো বলা চলে না,কেমন যেন ছাড়া ছাড়া,ধোঁয়াটে,ধূসর। তার সাথে যদি বৃষ্টি হয়,তাহলে তো কথাই নেই,জোরে হাওয়া দেয়,একেবারে হাড় কাঁপিয়ে দেয়। অফিসফেরতা ভিড় একমুখী,কোনো দিকে তাকাবার ফুরসত নেই,ছিন্নভিন্ন, কিন্তু লক্ষ্যহীন নয়। বাসে ভিড়,রাস্তায় ভিড়,টিউবে ভিড়,সবাই ছুটছে। রাস্তায়, ভারতীয়,পাকিস্তানি,আফ্রিকান,পূর্ব ইউরোপিয়ান,লাতিন আমেরিকান,চীনে,জাপানী সব মিলিয়ে চূড়ান্ত সাড়ে বত্রিশ ভাজা। সবাই নিজের মতো চলে,কেউ কারুর দিকে তাকায় না,নিতান্ত চোখে চোখ পড়ে গেলে মুখটাকে হাসি হাসি করে। ট্রেনে বসে থাকতে হলেও বসে থাকে নির্বিকল্প,নির্বিকার,নিস্পৃহ মুনি ঋষি র মত।

    ট্রেনে আসল ভিড়টা হয় বিকেলবেলা। সাহেবরা খুব ঘড়ি ধরে চলে,পাঁচটা বাজতে না বাজতেই অফিস ফাঁকা। তাই সন্ধে নামার আগে ট্রেনে পা রাখাই দায়। আর মেঘও করে সাধরনত বিকেল-সন্ধ্যার মাঝামাঝি,যাকে বলে গোধূলি। এই রকমই একটা বিকেলবেলা, ক্লান্ত, গৃহাভিমুখী জনতা, ঝিরঝিরে বৃষ্টি, অক্লান্ত,ভেজা-ভেজা, রেশমের মত। আকাশ আলো হলদে হয়ে যাওয়া, ক্ষয়াটে, পান্ডুর অথচ স্বচ্ছ, বাইরে ভিতরে দেখতে পাওয়া যায়।

    মাথা ধরেছে খুব। আমার সাথে যে দুটো লোক যাতায়াত করে একটা মালায়লী আরেকটা মারাঠী। তাদের ইন্টারেস্ট গুলোও বিচিত্র। এখানে একটা খবরের কাগজ পাওয়া যায় সকালে,নাম মেট্রো,বিনি পয়সায়। প্রায় চল্লিশ পাতার কাগজ,অথচ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খবর খুঁজে বের করতে হয়।সারা দুনিয়ার উদ্ভট খবরে ভর্তি।কোথায় কার একসঙ্গে ৫ টা বাচ্চা হলো,কোথায় কে একবারে ৬৫ টা বার্গার খেয়ে ফেলেছে,এইসব।সেদিন ও তাই চলছে।ফলে বিরক্তির একশেষ।আমি কয়েকবার প্রসঙ্গ পাল্টাবার চেষ্টা করে ফেল মেরে গেছি।

    এদিকে স্টেশনে কাজ চলছে।এখানে কাজ মানে সে এক ভীষণ কর্মকান্ড।কমলা জামা পরা বিশালাকায় সব লোক,এক একজন মস্ত বড় বড় লোহার বীম ঘাড়ে করে চলেছে,আর কিছু লোক সেগুলোকে পিটছে,দুম দুম করে। ভাবলুম,আজ একটা স্যারিডনে হবে না,পেছনে ঘুরে আমার রুমমেট কে জিগ্গেস করি,"তোর কাছে কটা স্যারিডন আছে রে'। বলাই বাহুল্য,আমার ওরিজিনাল হিন্দীতে। আমার এই রুমমেট,আমাকে হিন্দীবাচনে পারঙ্গম করে তোলা যার জীবনের ব্রত,সে তখন আমাকে সেই বিষয়ে ভাষণ দিতে লাগল। আমিও বাংলায় গালাগালি দিতে লাগলুম।

    ছ'টা বেজে পাঁচ মিনিট

    খানিক আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে,তাই প্ল্যাটফর্মটা ভিজে। একটা লোক,নিতান্তই অসভ্য,ধাক্কা মেরে গেলো,সরি ও বললো না। দশাশই লোক,আমি পড়েই যাচ্ছিলুম,কোনোক্রমে সামলালুম। পা টিপে টিপে সিঁড়ির দিকে এগোলুম,একটা গোঙানি মেশানো আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলুম মনে হচ্ছিল। কে জানে কি রে বাবা। অবশ্য ভাবার সময়ও নেই,জনতার ভিড় পিছনে। উপরে গিয়ে এক্সিটের দিকে চললুম। এখানে টিউব স্টেশনে এক্সিটগুলো আমাদের কলকাতা মেট্রো র মতই অনেকটা। খালি মান্থলি টিকিট,আমার যেরকম,সেলো কনট্যাক্টলেস স্মার্ট কার্ড। অভ্যেস মতো পকেটে হাত ঢুকিয়েছি,সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি যে বেরোবার জায়গাটায় বেশ ভিড়। সাধারনত সেটা হয়না। বেরোবার জন্য চারটে দরজা আছে। কিন্তু দেখলুম সবাই দুটোতেই গোঁতাগুঁতি করছে। আর ওপাশের দুটো দরজার পাল্লা হাট করে খোলা,খান তিনেক পুলিশ হুমড়ি খেয়ে বসে কি যেন করছে। এখানে পুলিশ বা কোন সার্ভিসেস এর লোকেদের গায়ে একরকম সবুজ জামা থাকে,অন্ধকারেও দিব্যি দেখা যায়। আমি বিশেষ খেয়াল করিনি,কিন্তু তখনই আবার সেই গোঙানিটা শুনতে পেলাম,এবার অনেক স্পষ্ট।

    এবার ভালো করে তাকালুম। পুলিশগুলোর ফাঁকে একটা কালো মাথা দেখা যাচ্ছে মনে হলো,ঝোপের মত চুল। পুলিশ গুলোর মধ্যে একজন তার পেটে ব্যাটন দিয়ে খোঁচা মারছে আর খুব খারাপ কিছু গালি দিচ্ছে(সারা পৃথিবীর পুলিশ ই দেয়),আরেকজন নির্বিচারে লাথি,ঘুসি চালিয়ে যাচ্ছে। ধরাশায়ী লোকটা দুর্বোধ্য,বিজাতীয় ভাষায় কী যেন বলছে চিৎকার করে,আমার যেটাকে গোঙানি মনে হয়েছিল। একটু খেয়াল করতে বুঝতে পারলুম লোকটা অনেক কথার ফাঁকে বলছে 'হেল্প হেল্প'। মুখ দিয়ে ফেনা উঠছে,গাল কেটে গেছে,মেঝেতে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত। পুলিশগুলো কিছু একটা জিজ্ঞেস করছে ওকে আর লোকটা না বলার ভঙ্গিতে দু'পাশে মাথা নেড়ে চলেছে। সাহেবগুলোর ইংরেজীটাও এতো জড়ানো যে আমি ছাই বুঝতেই পারছিলুম না কি জানতে চাইছে। পাশে যে সিকিউরিটির লোকটা দাঁড়িয়েছিল,হাতে ওয়াকি-টকি নিয়ে,তাকেই গিয়ে অগত্যা জিগ্গেস করলুম - কি হয়েছে মশায়?

    লোকটা খুব উদাস গলায় বললো - ঐ লোকটা বোধহয়(মে বি) টেররিস্ট।

    আমি হতভম্ব হয়ে গেলুম,একটা "মে বি' র বশে এইরকম মারছে। আমার কৌতূহল বেড়েই চলে,আবার জিজ্ঞাসা করি,কেন মশায়, আপনার এমন মনে হবার কারণ? তা বললে,"হি লুকস লাইক দ্যাট' আর "হি ডিড নট স্টপ ওয়েন উই আস্কড হিম টু'।

    ততক্ষণে আমার কলিগরা দাঁড়িয়ে পড়েছে,আর আমায় বলছে,"চলে আয় ভাই,কী দরকার....'। এর মধ্যে একটা পুলিশ উঠে দাঁড়িয়ে আমায় প্রশ্ন করল,আমি এতো কিছু জিজ্ঞাসা করছি কেন? আমি লোকটাকে চিনি কি না,এইসব। আমি না বলাতে,খুব ভদ্রভাবে আমায় যা বললো তার মানে দাঁড়ায়,"নিজের চরকায় তেল দেগে যা...'।আমিও আর কথা না বাড়িয়ে হাঁটা দিলুম।এইসব কথার মাঝে,মার দেওয়ার একটু বিরতি হয়েছিল,আর লোকটা গোঙানি থামিয়ে আমাদের দিকে চেয়েছিল,যদি ছাড়া পাওয়া যায়। কিছু একটা বলছিলও,আর আমরা সরে যেতেই আবার শুরু হলো প্রহার। আমরা স্টেশন থেকে বেরিয়ে এলুম।

    ছটা পনেরো

    স্টেশন থেকে বেরিয়ে রাস্তাটা কিছুটা চড়াই। ভাঙতে রোজই বিরক্ত লাগে। তার ওপর মারাঠীটা শুরু করেছে টেকনিক্যাল কথা। ওয়েবসার্ভার টা আপগ্রেড হলে কি কি জিনিস আমাদের হিসেবে রাখতে হবে,ব্যাক আপ স্ক্রিপ্ট গুলো কোথায় আছে,কোয়েরী অপটিমাইজ করার জন্যে কি কি করা দরকার,এই সব নানাবিধ কথা। সেখান থেকে খানিক বাদে শুরু হল,নতুন জয়েন করা সুন্দরী এইচ আর এর দেহবল্লরীর পর্যালোচনা, সেখান থেকে ওদের যার যার মা এর হাতের মসলা ধোসা,আর সম্বর ডাল। ইচ্ছে করছিল ওখানেই চড়িয়ে দিই। একদম শেষে এসে কয়েকটা সিঁড়ি ভাঙতে হয়,সেখানে এসে আমার জুতোর ফিতেটা আবার খুলে গেল। ওরা ঢুকল ASDA তে,টক দই কিনবে বলে,আর আমি শেষ পথটুকু হেঁটে চললুম ,একা।

    আমার মাথার ভিতর ঘুরতে লাগলো ঐ লোকটার বাণবিদ্ধ,যন্ত্রনাকাতর,ক্ষতবিক্ষত চেহারা,আর আমরা সরে আসার সময় আমাদের দিকে তাকিয়ে ওর হয়ে তক্কো করার জন্য অনুরোধ।কিন্তু ও তো আর জানে না ,যে ও ভুল মুরুব্বী পাকড়েছো,আমাদের তো কিছুই করার নেই।

    রাত নটা

    সেদিন আর রান্না করার উৎসাহ দেখলো না কেউই,অতএব,ম্যাগী র প্যাকেট বেরোল। সেটাও বিস্বাদ,নুন দিয়ে গিলে ফেললুম,ক্ষুন্নিবৃত্তি।অন্যদিন খাওয়ার পরই কোনরকমে সিগারেট টেনেই লেপের তলায়,কিন্তু সেদিন সিগারেট শেষ হলে আরেকটা ধরালুম,তারপর আরেকটা।ফিল্টার উইলস এর স্টক লিমিটেড,কম খাই এখানে,তবু সেদিন অনেকগুলো খেয়ে ফেললুম।

    রাত্রি নামলো। আমি জেগে দাঁড়িয়ে রইলুম। অন্ধকার,চোখ বন্ধ করে ফেলা গাঢ়,অসীম আকাশে ছড়িয়ে পড়া, নিশ্চুপ,বিহ্বল। সবাই ঘুমলো,আমি বসে রইলুম,ট্রেন ফেল করে বসে থাকার মত,জঙ্গম প্রস্তরের মত,অসহায় অবিশ্বাসে চুপ।খালি আকাশ ভরা তারা,বিলেতের দূষণহীন আকাশে ফুটতে লাগলো একটা একটা করে,আর নীচে চলতে থাকল ঐ লোকটা চাপা গোঙানি।খুব জোরে হাওয়া দিতে লাগলো আর তাতে আমাদের জানলায় রাখা টবের অনাম্নী লতাটাও মৃদু-মৃদু কাপতে লাগল। বয়ে চলল রাত।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১০ জানুয়ারি ২০০৬ | ৯৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন