এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • লাল মানুষের চিঠি

    রোয়াক, ভূমধ্যসাগর লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ১১৬৯ বার পঠিত
  • ১৮৫৪ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি সিয়াটল উপজাতির লোকদের লোকদের নির্দেশ দেন তাদের বসতি এলাকা ছেড়ে চলে যেতে। কেননা সেখানে তৈরি হবে আধুনিক শহর। তার উত্তরে উপজাতি প্রধান "বড় সাদা সর্দার' আমেরিকার রাষ্ট্র পতিকে যে চিঠিটি দেন, ইংরিজি থেকে তার একটি যথাসম্ভব মূলানুগ অনুবাদ এখানে প্রকাশ করা হল।

    রাষ্ট্র সংঘ এই চিঠিটিকে জাতিসমূহের অধিকারের প্রতীক বলে গ্রহণ করেছে। কূটকচা৯ বিভাগে একে জায়গা দেওয়া হচ্ছে নিতান্তই স্থানাভাবে। কারণ এই দলিলে বিন্দুমাত্র কূটকচালি নেই।


    কি করে তোমরা বেচাকেনা করবে আকাশ, ধরিত্রীর উষ্ণতা? আমরা তোমাদের চিন্তা বুঝতে পারিনা।

    বাতাসের সতেজতা, জলের ঝিকিমিকি -- আমরা তো এগুলোর মালিক নই, তবে তোমরা (আমাদের থেকে) এগুলো কিনবে কেমন করে?

    এই ধরিত্রীর প্রতিটি অংশই আমার লোকদের কাছে পবিত্র। পাইন গাছের প্রতিটি চকচকে ডগা, বালুকাময় প্রতিটি সমুদ্রতট, অন্ধকার বনভূমিতে জমে থাকা কুয়াশা, প্রতিটি প্রান্তর, প্রত্যেকটি পতঙ্গের গুণাগুণ আমার লোকেদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিতে পবিত্র। প্রতিটি বৃক্ষের ভিতর দিয়ে যে বৃক্ষরস প্রবাহিত হচ্ছে তারা লালমানুষদের স্মৃতি বয়ে নিয়ে চলেছে।

    সাদা মানুষদের মৃতেরা তাদের নিজেদের দেশকে ভুলে দূর আকাশের তারার কাছে চলে যায়, আমাদের মৃতেরা এই সুন্দর পৃথিবীকে কখনও ভোলেনা, কেননা এ লালমানুষের মা।

    আমরা এই ধরিত্রীর অংশ, এও আমাদের অংশ।

    সুগন্ধ ফুলগুলি আমাদের বোন, হরিণ ঘোড়া বিশাল সব ঈগল পাখি -- এরা আমাদের ভাই।

    পাহাড়ের পাথুরে সব গহ্বর, সরস মাঠ, ঘোড়ার বাচ্চার গায়ের যে উষ্ণতা আর মানুষ -- সবকিছু মিলে একই পরিবার।

    ওয়াশিংটনের বড় সাদা সর্দার যখন বলে পাঠায় যে সে আমাদের দেশ কিনতে চায় তখন সে আমাদের কাছ থেকে অনেক বেশি কিছুই চায়। বড় সর্দার আমাদের জানিয়েছে সে আমাদের বাস করবার জন্য একটা রিজার্ভ অঞ্চল দেবে যেখানে আমরা আরামে থাকব। সে আমাদের পিতার মতো হবে আমরা তার সন্তানের মতো। আমরা তার কথা বিবেচনা করে দেখব।

    কিন্তু এটা এত সহজ নয়। এই ভূমি আমাদের কাছে পবিত্র। এই যে নদীর জল ঝিলমিল করে বয়ে যাচ্ছে এ শুধু জল নয়, এ আমাদের পূর্বপুরুষের রক্ত।

    যদি আমরা এই ভূমি তোমাদের দিয়ে দিই তাহলে তোমাদের মনে রাখতে হবে যে এই ভূমি পবিত্র। তোমরা তোমাদের ছেলেমেয়েদেরও নিশ্‌চয় করে শেখাবে এর পবিত্রতার কথা। তাদের শিখিও যে এখানকার হ্‌দগুলির পরিষ্কার জলের মধ্যে দেখতে পাওয়া যেকোনো রহস্যময় ছায়াই আমাদের মানুষদের জীবনের কোনো না কোনো ঘটনার স্মৃতি, ঝরণাগুলোর জলের মর্মরে আমার বাবার ও তার পিতৃপুরুষদের স্বর শোনা যায়।

    নদীরা আমাদের ভাই, তারা আমাদের তৃষ্ণা মেটায়। নদীরা আমাদের বয়ে নিয়ে যায়, আমাদের ছেলেমেয়েদের মুখে খাবার যোগায়। যদি আমরা আমাদের দেশ তোমাদের দিই তাহলে তোমরা মনে রেখ, তোমাদের ছেলেমেয়েদের শিখিও যে, নদীরা মানুষের ভাই। সুতরাং তোমরা নদীদের সেরকমই যত্ন কোরো যেমন তোমরা তোমাদের ভাইদের কর।

    আমরা জানি সাদা মানুষরা আমাদের ধরণধারণ বোঝেনা। তার কাছে পৃথিবীর এক অংশের সঙ্গে অন্য অংশের কোনো তফাত নেই কেননা সে ভিনদেশী -- রাত্রির অন্ধকারে আসে, নিজের যা দরকার মাটির কাছ থেকে কেড়েকুড়ে নিয়ে চলে যায়। এই ধরিত্রী তার আত্মীয় নয়, তার শত্রু। সে এক জয় করে, তারপর ফেলে দিয়ে যায়।

    সে পিছনে ফেলে যায় তার পিতার কবর, নিজের সন্তানদের কাছ থেকে পৃথিবীকে সে চুরি করে, তাদের এতে কিছুই এসে যায়না।

    তার পিতৃপুরুষের কবর, তার সন্তানদের অধিকার সে ভুলে যায়। তার মা এই ধরিত্রী, তার ভাই আকাশ -- এসবকে সে মনে করে ভেড়া কিংবা রঙিন পুঁতির মতো কেনাবেচা করার, লুঠ করার জিনিস।

    তার লোভ এই পৃথিবীকে খেয়ে ফেলবে, পড়ে থাকবে কেবল এক মরুভূমি।

    আমরা এসব বুঝতে পারিনা। আমাদের ভাবনা অন্যরকম তোমাদের শহরগুলি লালমানুষদের চোখে ব্যথা দেয়। অবশ্য আমরা লালমানুষরা তো জংলি, তাইজন্যই হয়ত এমন হয়।

    সাদা মানুষদের শহরে কোথাও শান্ত নিরিবিলি জায়গা নেই -- যেখানে বসে বসন্তকালে পাতার কুঁড়িগুলোর খুলে যাবার শব্দ শোনা যায়।

    অবশ্য হয়ত আমরা জংলি বলেই এরকম মনে হয়। এত গোলমাল, মনে হয় যেন তা মানুষের কানকে অপমান করছে। জীবনের কি মূল্য আছে একজন লোক যদি জলের ঘূর্নির আপনমনে একা গুনগুন করার শব্দ না শুনতে পায়? কিংবা রাত্রে ব্যাঙেদের বকবকানি? আমি একটা লাল মানুষ, এসবের কিছু বুঝতে পারিনা।

    আমরা লাল মানুষেরা ছোট পুকুরের জল ছুঁয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসের হালকা শব্দ শুনতে ভালবাসি,ভালবাসি দুপুরের বৃষ্টিতে ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যাওয়া বাতাসের নিজস্ব গন্ধ, পাইনবনের গন্ধ।

    লাল লোকেদের কাছে বাতাস পবিত্র আর মূল্যবান কেননা জন্তু গাছ মানুষ সবার নি:শ্বাস এই একই বাতাসের মধ্যে ধরা আছে।

    সাদা মানুষেরা যে বাতাসে নি:শ্বাস নেয় তার দিকে মন দেয়না। অনেকদিনের বাসি মৃতদেহের মত হয়ে আছে তারা, তাদের আশেপাশে বাতাসের দুর্গন্ধ তারা আর বোধ করেনা।

    আমরা তোমাদের দিয়ে দেব আমাদের জমি, কিন্তু মনে রেখ এই বাতাস আমাদের কাছে মূল্যবান। বাতাস যে জীবনকে বাঁচিয়ে রাখে তার সঙ্গেই মিশে থাকে। যে বাতাস আমাদের পূর্বপুরুষের বুকে প্রথম নি:শ্বাসটি দিয়েছিল, সেই তার নি:শ্বাসটিকে ধরে রেখেছে।

    যদি আমাদের জমি আমরা তোমাদের দিই তাহলে একে আলাদা এবং পবিত্রই রাখতে হবে তোমাদের, যাতে এমনকি সাদা মানুষদেরও জায়গা থাকে কখনও মাঠের ফুলের মিষ্টি গন্ধে ভরা বাতাসে নি:শ্বাস নেবার।

    প্রেইরি জুড়ে আমি দেখেছি অগণিত মহিষের পচতে থাকা শব, চলন্ত ট্রেন থেকে যাদের গুলি করে মেরেছে সাদারা। আমি জংলি লোক, আমি বুঝতে পারিনা এই ধোঁয়া ওঠা লোহার ঘোড়া কিকরে বেশি জরুরি ও মূল্যবান হয় সেই সব বুনো মহিষের থেকে, যাদের দু একজনকে আমরা কখনও সখনও মারি নিজেদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে।

    জীবজন্তু ছাড়া মানুষ কি! যদি পৃথিবীতে কোন জানোয়ার না থাকে তার আত্মার একাকীত্বে মানুষ নিজেও মরে যাবে।

    জন্তু জানোয়ারদের যা হবে কিছুদিন পর মানুষেরও তাই হবে। সবকিছুই একে অন্যের সঙ্গে জড়ানো।

    তোমাদের সন্তানদের শিখিও যে তাদের পায়ের তলায় যে মাটি তাতে আছে তাদের পিতৃপুরুষদের দেহাবশেষ, তাই মাটিকে যেন তারা শ্রদ্ধা করে। তোমার সন্তানদের শিখিও যে এই মাটিতে আছে তার পূর্বজদের ছাই। আমাদের স্বজনদের প্রাণ মাটিতে মিশে একে সমৃদ্ধ করেছে।

    তোমার ছেলেমেয়েদের শিখিও যা আমরা আমাদের সন্তানদের শেখাই -- এই ধরিত্রী আমাদের মা। যা মায়ের হবে সন্তানদেরও তাই হবে। যদি কেউ মাটিতে থুতু ফেলে সে তার নিজের গায়েই তা ফেলছে।

    এ কথা আমরা জানি যে, এই পৃথিবী মানুষের সম্পত্তি নয়, মানুষই পৃথিবীর।

    প্রতিটি জিনিস একে অন্যের সঙ্গে বাঁধা, যেমন রক্তের সম্পর্ক একটা পরিবারের লোকেদের বেঁধে রাখে। সবকিছুই একে অন্যের সঙ্গে বাঁধা।

    এই পৃথিবীর যা হবে পৃথিবীর সন্তানদেরও তাই হবে। জীবনের এই যে ছড়ানো জাল, মানুষ একে বোনেনি, সে কেবল একটি সুতো মাত্র। এই জালটিকে সে যা করবে তার নিজেরও ঠিক তাই হবে।

    এমনকি সাদা লোকেরা, যাদের ঈশ্বর বন্ধুর মত তাদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, কথা বলেন, তারাও সকলেই সাধারণ নিয়তির বাইরে নয়।

    শেষ অবধি হয়ত দেখা যাবে যে আমরা সকলেই একে অন্যের ভাই, যেকথা আমরা জানি হয়ত একদিন সেকথা সাদারাও বুঝতে পারবে -- আমাদের ঈশ্বর আসলে একই।

    আজ তোমরা ভাব ঈশ্বর তোমাদেরই। যেমন তোমরা আমাদের দেশকে দখল করে নিতে চাও তোমাদের নিজেদের বলে, কিন্তু তা তোমরা পারবেনা। তিনি সব মানুষের ঈশ্বর, তাঁর দয়ার কাছে সাদা এবং লাল মানুষ একই রকম।

    এই পৃথিবী তার কাছে অতি মূল্যবান, এর ক্ষতি করা মানে সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাচ্ছিল্য দেখানো।

    সাদা মানুষেরাও চলে যাবে পৃথিবী থেকে, হয়তো অন্যদের থেকে একটু তাড়াতাড়িই যাবে। একদিন রাতে নিজের আবর্জনাতেই দম আটকে মরে যাবে তুমি।

    হয়ত ধ্বংস হয়ে যাবার সময়েও তোমাদের দেখাবে উজ্জ্বল, ঈশ্বরের শক্তির আগুনে দীপ্যমান, কেননা ঈশ্বর তোমাদের এই দেশে এনেছেন, লাল মানুষদের উপরে আধিপত্য দিয়েছেন কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। সেই নিয়তি আমাদের কাছে এক রহস্য কেননা তাকে আমরা বুঝতে পারিনা। যখন সমস্ত মহিষ নিহত হবে, সব বুনো ঘোড়াকে পোষ মানানো হয়ে যাবে, অরণ্যের প্রতিটি কন্দর ভারি হয়ে উঠবে ভিড়ের গন্ধে, প্রবীণ পাহাড়গুলি আড়াল করে ফেলবে কথা বলতে থাকা তার ঝোপজঙ্গলগুলো -- কোথায়? নেই। ঈগলগুলো কোথায়? নেই।

    অনুবাদ ও সৌজন্য: রোয়াক, ভূমধ্যসাগর।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ১১৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন