এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সংখ্যালঘুরা কোথায় দাঁড়িয়েঃ দুই পড়শির গপ্পো

    রাম পুনিয়ানি লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ৩০ আগস্ট ২০১২ | ৬৯৬ বার পঠিত
  • ১৯৪৭ সালে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান আর ভারত, এই দুই পড়শি দেশ স্বাধীন হল। আজ, স্বাধীনতার পঁয়ষট্টি বছর পর, উপমহাদেশের এই দুই দেশ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবস্থানের নিরিখে টিক কোথায় দাঁড়িয়ে, গণতন্ত্রের স্বার্থেই এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।

    দু হাজার বারো সালের আগস্ট মাসে, প্রায় পঞ্চাশহাজার মানুষের এক জমায়েত, যারা মূলত মুসলিম, মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে এক হল আসাম আর মায়ানমারে মুসলিমদের ওপর হয়ে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদে। উস্কানিমূলক কিছু ভাষণ আর ততোধিক উস্কানিমূলক কিছু পোস্টার আগুনে ঘি ঢালল। জমায়েত হিংস্র হয়ে উঠল এবং তাদের রাগ গিয়ে পড়ল মিডিয়ার গাড়িগুলোর ওপর, কারণ মিডিয়া নাকি জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া আসামের বড়ো-মুসলিম সংঘর্ষের ঘটনা তেমন গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে নি। এ কথা আজ সবাই জানে যে প্রায় আশি জনের মৃত্যুর কারণ হয়েছে সেই সংঘর্ষ, আর অন্তত চার লক্ষ মুসলিম-বড়ো মানুষ গৃহহীন হয়েছেন, প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে। তো, তার প্রতিবাদে নেমে মুম্বাইয়ের এই জনতা কিছু ওবি ভ্যান পোড়াল, কিছু পুলিশও তাদের হিংসার শিকার হল, মহিলা পুলিশদের যথেচ্ছ শ্লীলতাহানিও করল তারা। উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সামলাতে পুলিশকে শেষমেশ গুলি চালাতে হল, যার পরিণতিতে দুজন যুবক মারা গেল। খণ্ডযুদ্ধে প্রচুর পুলিশও আহত হয়েছিল। এর পর রাজা অ্যাকাডেমি, এই জমায়েতের আহ্বায়ক, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইল এবং জানাল, বেশ কিছু “বহিরাগত’ ঢুকে পড়েছিল এই জমায়েতে। মূলত তাদের উস্কানিতেই হিংসা ছড়ায়। কিন্তু আহ্বায়ক হিসেবে তারা এই মর্মান্তিক ঘটনার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ সর্বদাই হবে অহিংস, এবং ভাষণে থাকবে না কোনও রকমের উত্তেজনার সুড়সুড়ি। এই ধরণের হিংসায় উস্কানি দেওয়া কাজকর্ম সবসময়েই নিন্দার যোগ্য।

    একই সপ্তাহে আরও একটা খবর দেখা গেল, প্রায় তিনশো হিন্দু পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে তারা “তীর্থ” করতে এসেছে, কিন্তু আসার পর জানা যাচ্ছে তাদের অনেকেই আর পাকিস্তানে ফিরতে চায় না, পাকিস্তানে তারা নিরাপদ বোধ করছে না। বেশির ভাগ হিন্দুই সিন্ধ আর বালুচিস্তান প্রদেশের বাসিন্দা। হিন্দু মেয়েদের অপহরণ এবং জোর করে ধর্মান্তরকরণ সেখানে সাধারণ ঘটনা, সংখ্যালঘুরা সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। আর এই সংখ্যালঘু বলতে পাকিস্তানে কিন্তু শুধুই হিন্দু, শিখ বা খ্রিস্টান বোঝায় না, বোঝায় শিয়া আর আহমদীয়াদেরও, যারা মুসলিমদের মধ্যেই একটা গোষ্ঠী।

    স্বাধীনতার ছয় দশক বাদে, গণতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজা ওড়াতে ওড়াতে, আজ আমরা ঠিক কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি? ভারত জন্ম থেকেই ছিল ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, আর পাকিস্তান, যার সৃষ্টি হয়েছিল ইসলামের নামে, ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানপ্রধান অংশগুলোকে কেটে নিয়ে, ১১ই আগস্ট ১৯৪৭-এ কায়েদ-এ আজম জিন্নার ভাষণ অনুযায়ী তারও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে চলার কথা হয়েছিল। ভাষণে তিনি বলেছিলেন, রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের কোনও বিরোধ নেই, মানুষ তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস এবং পছন্দমত মন্দিরে, মসজিদে বা গির্জায় যাবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে পাকিস্তানের পতাকায় সাদা রঙ সংখ্যালঘুদের জন্য উৎসর্গীকৃত। তবুও, ধর্মীয় ভেদাভেদের বীজ আগে থেকেই বোনা ছিল সে-দেশের সিস্টেমে। যতই সেকুলার ভাষণ দেওয়া হোক না কেন সমাজের অচলায়তন তাতে একচুলও নড়ে না। সাম্প্রদায়িকতা ধীরে ধীরে তাই ছড়িয়ে পড়ল পাকিস্তানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এবং সত্তরের দশকের শেষ দিকে, জিয়া-উল হক এবং মৌলানা মাউদুদির নেতৃত্বে ধর্মান্ধ মোল্লারা ক্ষমতার অলিন্দে আসতে শুরু করল। এই মোল্লা আর মিলিটারির আঁতাত, সঙ্গে আমেরিকার ইন্ধন, সমস্ত একসাথে লঙ্ঘন করতে লাগল জিন্নার সেই ধর্মীয় স্বাধীনতার বাণী, এতটাই লঙ্ঘন করল যে আজ মুসলিম ধর্মের মধ্যেই শিয়া বা আহমদীয়া গোষ্ঠীর মত সংখ্যালঘুরাও সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হতে লাগল পাকিস্তানে, যার সরাসরি প্রভাব পড়তে থাকল পাকিস্তানের আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে।

    অন্যদিকে ভারতে, গান্ধী আর নেহরুর অভিভাবকত্বে ধর্মনিরপেক্ষতার স্তম্ভগুলি সময়ের সাথে সাথে মজবুত হতে শুরু করল। গান্ধির মত ঘোষিত হিন্দু আর নেহরুর মত ঘোষিত নাস্তিক, দুজনেরই দৃষ্টিভঙ্গী ছিল এক সুরে বাঁধা, রাষ্ট্রের প্রতিটা ধর্মকে সমান সম্মান দেওয়া, এবং সমস্ত ধর্মবিশ্বাস থেকে রাষ্ট্রযন্ত্র আর রাজনীতিকে সমদূরত্বে রাখা। এই কাজ করতে গিয়ে নেহরু প্রধানত দুটি বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। প্রথমত, যদিও আমাদের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে, কিন্তু হাজারো ধর্মীয় নিয়মকানুনের নিগড়ে বাঁধা ভারতীয় সমাজ সেই সংবিধানের কাছে এক দুস্তর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দ্বিতীয়ত, তাঁর নিজের পার্টি, যা একদিন ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে গড়ে তোলা হয়েছিল, হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাম্প্রদায়িক ভেদনীতির আঁতুড়ঘর। কেউ এসব বিষয়কে তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখে নি, এবং ফলস্বরূপ যথাসময়ে কিছু কংগ্রেস নেতার কীর্তিকলাপ সাম্প্রদায়িক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, যাঁদের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল দেশকে এক ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের পথে নিয়ে যাওয়া।


    যে কোনও দেশেই গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের পরিমাপ করা হয় সে দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং তাঁদের প্রতি সেই দেশের সাম্যবাদী ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে। সময়ের সাথে সাথে রাজনীতির কুম্ভীপাকে এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তিরা গত তিন দশকে ক্ষমতার শিখরে গিয়ে পৌঁছেছে। দুই পড়শি দেশের ইতিহাসে এইখানেই তফাৎ। এক দেশে যখন সাম্প্রদায়িকতা অবাধে বেড়ে ওঠার জন্য যথেচ্ছ স্পেস পেয়েছে, তখন তাকে আরও অবাধে বাড়তে দিয়ে গেছে মিলিটারি একনায়কতন্ত্র। আফগানিস্তানে আমেরিকা এবং মার্কিনী নীতির অবৈধ নাকগলানো সেই আগুনে সময়মত আরও ইন্ধন জুগিয়েছে।

    ভারতে, এই ছবিটা তৈরি করে সুযোগসন্ধানীদের দল, নির্বাচনপদ্ধতির ফাঁকফোঁকর দিয়ে, সমাজের বিভিন্ন স্তরে উদ্বেগ বাড়িয়ে, ক্ষুদ্রতম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী থেকে বৃহত্তম সংখ্যাগুরু গোষ্ঠীর মনে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আগুন ঢেলে, রামমন্দিরের নামে জনগণের ধর্মীয় ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে। আজ যেখানে ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ১৩.৪ শতাংশ মুসলমান, উন্মত্ততা আর হিংসার বলির পরিসংখ্যানে তাদের সংখ্যা নব্বই শতাংশ। আজ দেশের আর্থসামাজিক পরিকাঠামোর সবচেয়ে নিচের স্তরে তাদফের অবস্থান। সাচার কমিটির রিপোর্টে না সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। পাকিস্তানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরে কমে এসেছে, আর তাদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা এসে ঠেকেছে তলানিতে। এক দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অবিচার কখনোই অন্য দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারকে বৈধতা দেয় না। কিন্তু রাজনীতি তার আপনার প্রয়োজনেই প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করে চলে। ভারতের সাম্প্রদায়িক শক্তি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দুদের দুরবস্থাকে, আসামের দাঙ্গাকে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের তকমা লাগায়। অন্যদিকে পাকিস্তান তার দাঁত নখ শানিয়ে সে-দেশের হিন্দুদের ছিন্নভিন্ন করে, ভারতে মুসলমানদের ওপর অবিচার অত্যাচারকে অজুহাত করে। ভারতে এক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে গুঁড়িয়ে যায় অসংখ্য মন্দির।

    অথচ, এতদ্‌সত্ত্বেও পাকিস্তান আর ভারতের পরিস্থিতির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েই যায়। এত সাম্প্রদায়িক হিংসার মধ্যেও সেগুলো দাবিয়ে ফেলা যায় মূলত ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোটার জোরেই, যদিও গণতন্ত্রের কাঠামো নিজেই অনেক পালটে গেছে, গত কয়েক দশকের ভারতে। কিন্তু অন্যদিকে, পাকিস্তানে গণতন্ত্র নিজেই কোণঠাসা, তার বিশেষ কোনও অস্তিত্ব নজরে আসে না। সেখানে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলে নিরন্তর, কিন্তু উপর্যুপরি বাধার সম্মুখীন হতে হয় সেই প্রচেষ্টাকে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার দু দেশেই হয় কিন্তু সেই অত্যাচারের মাত্রা দুই দেশে দুই রকম।

    এই সমস্ত সামঞ্জস্য এবং পার্থক্য, আমাদের কোথায় নিয়ে চলেছে? সাম্প্রদায়িকতা যে কোনও দেশের উন্নতির পক্ষেই এক সুবিশাল বাধা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সদর্থক কিছু করার প্রচেষ্টা, তাদের সুরক্ষা দেবার জন্য প্রয়োজনের থেকেও বেশি ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের বৃহত্তর সমাজের মূলস্রোতে নিয়ে আসাই হওয়া উচিত দেশের প্রধান কর্তব্য। ঔপনিবেশিকতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার পঁয়ষট্টি বছর পরে আজ আমাদের নতুন করে বুঝতে হবে স্বাধীনতা আমরা কী মূল্যে পেয়েছি, সাম্য কথাটার প্রকৃত মানে কী, আর বৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়। এইগুলোই কিন্তু ছিল আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের মুখ্য চালিকাশক্তি। ভারতের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় একটা বড় ধরণের রদবদল দরকার যাতে তা আজকের সময়ের নিরিখে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটগুলির দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে সাহায্য করতে পারে। সাম্প্রদায়িকতা এবং সংখ্যালঘু-নিপীড়ন দুটিই দেশের জাতীয় স্বাভিমান এবং মানবতার পক্ষে এক অপূরণীয় ক্ষতি। এটা আমাদের বুঝতে হবে এবং আমাদের দৈনিক জীবনচর্যায় এই বোধ সম্পৃক্ত করে ফেলতে হবে, তবেই আমরা সত্যিকারের ভারতীয় হতে পারব। আর পাকিস্তানের আজ ফিরে শোনা দরকার ১১ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে জিন্নার সেই ভাষণ। সুকৌশলে সংখ্যালঘুদের পরিসংখ্যান কমিয়ে আনা আর তাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা, এ আসলে স্বয়ং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতার অপমান।


    অনুবাদঃ শমীক মুখোপাধ্যায়


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩০ আগস্ট ২০১২ | ৬৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:১৩90276
  • হ্যাঁ এটা পজিটিভ। ডেফিনিটলি। তবে ঐ আরকি দেখা যাক। কাসাভ এর ব্যাপারে লেবরিয়াস মামলা ও পজিটিভ, তবে প্রথম বা দ্বিতীয় উকিলের মৃত্যু টা ছাড়া। ভালো হত যদি কাশ্মীরে সিভিলিয়ান কিলিং গুলোর তদন্ত হত, একজন ক্যাপ্টেন ছাড়া বিশেহ্হ কারো শাস্তিমূলক কিছু হয় নি। তবে ঐ আর কি, ২০১৪ র তো বিশেষ দেরি নেই। প্লাস আসাম এর নতুন ফ্রন্ট খুলেছে। কর্ণাটক আর উড়িষ্যা তো আপাতত কিছুটা পুরোনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতির এগিয়ে থাকা ফ্রন্ট।

    তবে কিছু মনে করবেন না, আজকাল কোরাপশন জিনিশ টার উপরে আমার একটা কৌশিক বসু সুলভ শ্রদ্ধা জন্মেছে। জিনিস টা অদতে সেকুলার;-) সেই শিন্ডলার'স লিস্টের অমোঘ বাক্যের মত, 'কাম অন, এভরিথিং হ্যাজ আ প্রাইস।' সম্ভবত সেই কারণেই লোকপাল ওয়ালা দের বিশুদ্ধীকরণ অভিযান টা কিরকম একটা লাগে, শান্তি পাই না।
  • h | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:৫৭90272
  • শোনা গল্প সত্যি মিথ্যে জানি না, এক পাকিস্তানি উকিল বন্ধুর কাছে শোনা, অ্যাপারেন্টলি, স্বাধীনতার পরেও, কায়েদ ই আজম নাকি প্রায় ই 'রিটায়ারমেন্ট' এর কথা বলতেন। তো একদা এক সাংবাদিক সাহস করে জিজ্ঞাসা করেই ফ্যালেন, স্যার আপনি একটা আস্ত দেশের প্রতিষ্ঠাতা, রিটায়ার করবেন? করে কি করবেন। তো উনি নাকি খুব তাচ্ছিল্য ভরে জবাব দেন, ভাবটা যেন, এটাও জানে না ছোকরা, কেন বম্বে তে গিয়ে থাকবো?

    সাহেবী এই ব্যারিস্টারের কাছে বম্বে তখন ও একমাত্র সিভিলাইজ্ড প্লেস টু রিটায়ার। 'রিটায়ার' করা হয় নি, ভাগ্যিস বেশিদিন বাঁচেন নি।

    আরেকটা মজার গল্প হল, কোলাপুর স্টুডিও র বিখ্যাত ডাব্লিউ এ আহমেদ, যিনি তিরিশ-চল্লিশের দশকে প্রচুর 'মীরাবাই প্রার্থনা' ইত্যাদি সিনেমা বানিয়েছিলেন, তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার অল্প পরে লাহোর চলে যান, মান্তো র বই , স্টার্স ফ্রম অ্যানাদার স্কাই তে অথবা অন্য কোনো রেফারেন্স এ এইটুকু জানতাম। মজাটা হল বিলেতে গিয়ে এঁর নাতনীর সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়। একটা হিলারিয়াস গল্প শুনি। খুব বেশি দিন আগে না, হয় মুশারফ অথবা নওয়াজ শরিফ এর আমলে, এঁকে সরকার থেকে কিছু সম্মান দেওয়া হয়, তো সেই অনুষ্ঠান এর লাইভ টেলিকাস্ট চলছে, সকলে পাকিস্তানের ফিল্ম টেলিভিসন ইন্ডাস্ট্রি র সেলিব্রেশন করছে, এমন আবহাওয়ায়, বক্তৃতার অনুরোধ আসার পরে, নব্বই পেরোনো বৃদ্ধ বলে ওঠেন, লাহোর কা ইন্ডাস্ট্রি কেয়া ইন্ডাস্ট্রি ইয়ে তো নৌটংকী কোম্পানী হ্যায়। তো এ কথাটা র প্রথম বাক্যের প্রথম অংশের পরেই টেলিভিসনে, রুকাবট কে লিয়ে খেদ হ্যায় টাইপের, মেসেজ দিয়ে সেতার বা গান শুরু হয়ে যায়। এবং বাড়িতে নাতনি কে নিয়ে টিভি দেখছিলেন, দিদিমা, তিনি প্রচন্ড ননচ্যালান্টলি , বিরস বদনে বলে ওঠেন, তুম্হারে নানাজি নেই কুচ উল্ট সিধা বোলা হোগা, আদত হ্যায়, ইনকে লিয়ে তো টিভি দেখনা ভি মুশকিল হ্যায়, এবং বলে রুটিন মাফিক খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়েন। গোটা পরিবার তখন টেনশনে, বুড়ো বাড়ি ফিরলে হয়, তো দেখা যায়, বুড়োকে হাত ধরে ধরে কয়েকজন বাড়ি নিয়ে আসছেন। এবং আসার পরে, সাদাহাস্য মুখে তিনি এই গল্পটি বলে, পুনরায় রুটিন মাফিক খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়েন।
    গল্প গুলো জাস্ট শোনা, বিন্দু মাত্র সত্যতা না থাকারি সম্ভব।
  • h | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:৫৯90273
  • ৮৯ পরবর্তী ভারতবর্ষ দেখলে, আমার কেন জানি মনে হয় দুজনেই দুঃখ পেতেন।
  • h | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:০৩90274
  • তবে আগে ভাগে ক্ষমা চেয়ে রাখি, এই গল্পটা নানা প্রসঙ্গে আমি অন্তত ২০ বার আগে লিখেছি। বা বলেছি। এবং সেতো যাকে বলে 'নিত্যই নূতন, প্রতি প্রাতে আলোকিত পুলোকিত' ;-)
  • Shovon | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:২১90275
  • হা হা! তবে, কথাটা সত্যই বলেছিলেন বুড়ো!
    ৮৯ এর পরের ভারত আর ২০১২ এর ভারতের মধ্যে কিন্তু অনেক ফারাক! মায়া কোদনানির ২৭ বছরের জেল হয়, বাবু বজরঙ্গীর যাবজ্জীবন জেল - মানে না মরা পর্যন্ত জেল হয়।
  • Shovon | ***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:৪৩90277
  • ঠিক! কাশ্মীরের সিভিলিয়ানদের মরার ঘটনার মাঝে আশাকরি পণ্ডিতদের কথাও বলা হবে।
    আন্না কোম্পানির নাট্ক অনেক দিন ধরেই চলছে! সব নাটক!
  • Shovon | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০২:৫০90280
  • রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে ব্যক্তি পর্যায়ে নিয়ে আসা দরকার। কোনো রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকবে না- ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে ব্যক্তিগত; রাষ্ট্রের থাকবে কেবল রাষ্ট্রীয় জাতীয় অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রই সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দেয় নানা পন্থায়।
    @শনিবারের চিঠি - এই একই কথা বলতে বলতে গলা ব্যথা হয়ে গেলো, আর এর বদলে জুটলো "মনুবাদী", "ব্রাহ্মণ্যবাদী", "বিবাদী" ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের খেতাব! :P
  • Shovon | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০২:৫৬90281
  • @h - পণ্ডিতদের যারা ডিস্প্লেসড করেছিলো তাদের পেছনে যাদের মাথা কাজ করছিলো, আজকের ঢিল ছোড়ার পেছনেও সেই একই লোকেদের উস্কানি আর মগজ ধোলাই আছে। ফারাকটা হলো, মূলতঃ সেদিনকার টেররিজম ছিলো আমদানিকৃত, আর আজকেরটা লোকাল। ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ছাড়া প্রথমদিককার সব সংগঠনই পাকিস্তানে তৈরী হওয়া এবং ভাড়াটে জিহাদিতে ভর্তি ছিলো।
  • h | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:২১90282
  • হাজার হাজার সিভিলিয়ান ডেথ এ কাদের উশ্কানি আছে, আপনি বলবেন বলছি না, সাধারণতঃ যেটা বলা হয়, যারা মরে তাদের মরার পেছনে তাদের নিজেদেরি উশ্কানি থাকে।
    ভারতবর্ষে সেকুলারিজম বরাবরি ডিবেটেড, প্রশাসন ব্যাপারটাও ডিবেটেড, তাই কতগুলো কন্ট্রাডিকশন, আপনার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শার্পনেস দিয়ে ঢাকা যাবে না। বাংলাদেশ থেকে হিন্দু এলে হয় রিফিউজি, মুসলমান এলে হয় অনুপ্রবেশ কারী, কেউ যে কারো উপরে রাগ করে বলছে তা নয়, শব্দ গুলো প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, কোন ব্যক্তির ইচ্ছে অনিচ্ছে র ঊর্ধে গিয়ে। কিন্তু পেয়েছে এটা অস্বীকার করার জায়্গা নেই। বাংলাদেশ যুদ্ধের হিউমিলিয়েশন থেকে মুক্তির জন্য একদল লোক, সরকারি এজেন্সীর মদতে কাশ্মীরে ট্রাবল্স শুরু করার পেছনে ছিল। তো দেশপ্রেমী লবি থেকে পাকিস্তান আক্রমণ এর দাবী মাঝে মাঝেই তোলা হয়, তখনো তোলা হয়েছিল। তার পরে কার্গিল এর আগে পরে, কখনো এসকালেশন কখনো সমঝোতা গেছে।
    জুডিশিয়াল ইকুইটি সময় নেয় তবু প্রতিষ্ঠা হয়, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইকুইটি কে প্রতিষ্ঠা করবে? কোর্ট মার্শাল অবশ্য কোনো স্ট্যান্ডার্ড সিভিলিয়ান কোর্ট ই না, তবু তর্কের খাতিরে একটা বা দুটো উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ভারতে সম্প্রতি হয়েছে, কিন্তু হোয়াট অ্যাবাউট দ্য আনরিজল্ভড?
  • শনিবারের চিঠি | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:০৮90278
  • বেশ ইনফরমেটিভ। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো- রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে ব্যক্তি পর্যায়ে নিয়ে আসা দরকার। কোনো রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকবে না- ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে ব্যক্তিগত; রাষ্ট্রের থাকবে কেবল রাষ্ট্রীয় জাতীয় অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রই সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দেয় নানা পন্থায়।
  • h | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:০৫90279
  • পন্ডিত রা মারা গেছেন বা মূলতঃ ডিসপ্লেসড হয়েছেন টেররিস্ট দের হাতে, সেই টেররিস্ট বিরুদ্ধে ৮৬ সাল থেকে ভারত সরকার অভিযান চালাচ্ছেন, কখনো সাফল্য এসেছে , কখনো আসে নি। দিল্লী বা দেশের অন্যত্র পন্ডিত দের ঠিক মত রি হ্যাবিলিটেশন হয়েছে কিনা দেখা দরকার। কিন্তু সিভিলিয়ান বা কাস্টডিয়ান ডেথ এর প্রতিবাদ হলে, স্রেফ ঢিল ছোঁড়ার অপরাধে শতাধিক টিনএজার রা গুলি খেয়ে মরবে পুলিশের হাতে, এই যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হয়, এবং সেটার ডিফেন্স যদি হয় এদের যে কেউ কাসভ হতে পারে, তাহলে বলতে হয়, হতে হয়তো পারতো না, এখন হয়তো পারে। ডিলিপ পাদগাওনকর দের রিপোর্ট টা রেফার করেই বলছি।

    লাস্টলি, হ্যাঁ ধর্মাচরণ ব্যক্তিগত থাকলেই ভালো হত, কিন্তু সবসময়ে সেটা হয় না। লিখিত পড়িত থাকলেও হয় না। সর্কারি উদ্বোধনে নারকেল ফাটানো, সরকারী বিদ্যালয়ে সরস্বতি মন্ত্র উচ্চারণের মত কন্ট্রোভারসিয়াল না হলেও পক্ষপাতের চিহ্ন নির্মাণে সাহায্য করে না, এটা বলা কঠিন।
  • শোভন | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৩০90283
  • @হ-বাবুঃ যদ্দূর জানি, দ্বিজাতিতত্বের মাধ্যমে যখন দুটো দেশ সৃষ্টি হয়েছিল, তখন একটা জিনিস স্থির করা হয়েছিল। Status of the minorities moving to the other country. সেই হিসেবেই, পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা যখন ভারতে আসেন, তখন তাদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব সাথে সাথেই দিয়ে দেওয়ার কথা। সেটা কি হচ্ছে? না! হচ্ছে না!
    মুসলিমরা যখন আসছেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে। কিন্তু ground reality হলো যে তারা খুব সহজেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মদতে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাচ্ছেন। আর হিন্দুদের ঠাঁই হচ্ছে ডি-ভোটার লিস্টে!
    কাশ্মীরে তথাকথিত ট্রাবলস বাংলাদেশ যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে আসছে। ১৯৬৫-র যুদ্ধের পেছনে কোন কারণ ছিলো, সেটা তো সবাই জানেন। আর আজকের দিনে যখন কাশ্মীর ভ্যালি পুরোপুরি যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে পড়েছে, তখনও লাদাখ বা জম্মু কিন্তু মনেপ্রাণে ভারতীয়। হ্যাঁ লাদাখের মোট জনসংখ্যার ৪০%+ শিয়াদেরকে ধরেই কথাটা বলছি। আর কাশ্মীরের অশান্তি ওয়াহাবি মতের প্রচার এবং প্রসারের সাথে directly proportional।
  • π | ***:*** | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ০৬:৫৭90284
  • এনিয়ে আলাদা করে তেমন কোন টই পেলাম না। এখানেই থাক, আজকের এই রিপোর্টটা। বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে স্টিং অপারেশনের রিপোর্ট।

    An elaborate sting operation, conducted on 23 key people of the Ram Janambhoomi movement, claims that the demolition of the Babri Masjid on December 6, 1992, was elaborately planned by the various wings of the Sangh parivar and executed with precision by trained volunteers. It wasn't, as it is claimed, a case of mob frenzy going out of control, leading to the fall of the disputed 16th century structure.
    ...

    If what they claim is true, the Ram Janambhoomi leaders and activists toiled secretly for months on a plan codenamed 'Operation Janmabhoomi' and executed it with military precision. Volunteers were trained, logistics painstakingly put in place and the assault on the disputed shrine launched using large surging crowds with volunteers skilled in demolishing structures embedded in it.

    Not only do those interviewed spell out details of the planning, they also allegedly reveal how enthusiastic young participants were deliberately used as cannon fodder by provoking a police firing on kar sevaks in 1990 because of the belief of some leaders that the movement would not gather steam unless 'some Hindus die'...

    পুরোটাঃ http://timesofindia.indiatimes.com/india/Babri-demolition-planned-Advani-P-V-Narasimha-Rao-knew-of-plot-Cobrapost-sting/articleshow/33202922.cms
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন