এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রিসেশনের গল্পগুচ্ছ

    আর্য্য ভট্টাচার্য্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ | ৭৬৯ বার পঠিত
  • দুনিয়া কাঁপানো রিসেশনের খুব ধারেকাছে দিন কাটালাম। প্রথম প্রথম যা ছিল দূরের বজ্রনিনাদ আস্তে আস্তে তাই খুব কাছের টর্নেডো হয়ে উঠল। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতার খানিকটা এই গল্পগুচ্ছে। সব ঘটনাই সর্বৈব সত্য, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রাখার জন্য নাম ধাম বদলে দিলাম।

    গল্প-১

    রবার্ট আর আমি দুইজনে এক কেলাসে বুলি আওড়াই। কখনো রবার্ট আমার দলে, কখনো আবার অন্যদলে। কাজে, কথায়, 'স্টারবাক্সের কফিতে' রবার্ট কখন যে বেশ বন্ধু হয়ে উঠল কে জানে। কদিন আগে প্রোজেক্টের কাজের ফাঁকেই জানাল যে তার চাকরিটি গেছে। 'রিসেশনে' সেই প্রথম আমার কোন বন্ধুর চাকরি গেল। খুব চিন্তায় পড়লাম, আর মনের মধ্যে রবার্টের জন্য খুব দু:খ। বেচারি এখন কি করবে? এই যে সেদিন বললে 'গার্ল ফ্রেন্ড'এর বাবার সাথে দেখা করবে, বিয়ের কথা পাড়তে হবে। আটলান্টার যানজটে আটকে, ব্যাংক অফ আমেরিকা বিল্ডিংয়ে পড়ন্ত বিকেলের সূর্য্যের দিকে তাকাই আর ভাবি রবার্ট সম্বন্ধে। বেকার ছেলের সাথে কি আর কেউ বিয়ে দেবে? না মনটা খুবই ভারি হয়ে গেল। পরের দিন 'স্টারবাক্সের কফি'র দামটা দিলাম, সাথে একটা বিস্কোটিও। সেমিস্টারের মাঝামাঝি রবার্ট ঘোষণা করল এক সপ্তাহর জন্য তাকে যোগাযোগ করা যাবে না। কেন? রবার্ট তার গার্ল ফ্রেন্ড আর তার বাবা একসাথে যাচ্ছে আল্পসে স্কিই করতে। হবু জামাই আর শ্বশুরের আলাপও হবে, ছুটিও কাটানো হবে, সব ঠিকঠাক চললে বিয়ের দিনও ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন আর কফি খেলাম না, আগের দিনের কফি আর বিস্কোটির দামটা তো তুলতে হবে।

    গল্প-২

    কেন্টের খানিকটা বয়স হয়েছে, মানে আমার থেকে বুড়ো। কমবয়সী ছেলেদের ভীড়ে যেখানে আমাকেই বেশ ভারিক্কি লাগে সেখান কেন্টকে যে প্রায় বুড়ো লাগবে সে আর বলতে। প্রথম দিনেই বলল তার বছর খানেক হল চাকরি নেই, তাই স্কুলে ফিরে এসেছে। 'ডিগ্রি'টা নিলে যদি চাকরি পাওয়া যায়। একদিন কেন্ট তার বাড়িতে ডাকলে, আটলান্টার উত্তর দিকে অনেক সুন্দর দেখতে বাড়ির মধ্যে কেন্টেরও একটা। অনেকটা বড় লন যাতে কুকুর দুটো খেলতে পারে। লনে বসেই আমাদের আড্ডা চলল। খানিক বাদে অনেক খাবার দাবার আর অনেকগুলো বিয়ারের বোতল এল। কেন্ট আক্ষেপের সুরে জানাল যে আজকাল আর সে 'স্কচ' 'অ্যাফোর্ড' করতে পারে না। তাই বিয়ার খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। খুব ইচ্ছে হল জিগ্যেস করতে যে এই বাড়ি, দুটো কুকুর, দুটো নতুন গাড়ি কি করে 'অ্যাফোর্ড' করে। আমি কিন্তু খুব তীক্ষ্ণ নাসিকা নই, আসলে দুজনের চাকরিতেও এই জিনিষ করতে গেলে কি লাগে সে বোধ ততদিনে হয়ে গেছে। এই 'ফাইনান্স ম্যানেজমেন্ট'এর গূঢ় তঙ্কÄ নিজ জীবনে লাগাতে পারলে কি ভালই না হত সেকথা ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরে এলাম। কেন্ট এখনও চাকরি পায় নি। অপেক্ষা করছে কবে 'রিসেশন'টা সম্পূর্ণ ঘুচবে, ততদিন খানিক বিশ্রামও হল, আবার ডিগ্রিটাও করে নেওয়া যাচ্ছে। গাড়ি, বাড়ি, কুকুরের রহস্য? আজও অধরা, হতে পারে পৈতৃক সম্পত্তি, হতে পারে শেয়ার কেনা বেচা, জানা নেই।

    গল্প-৩

    মাঝে মাঝেই বিভিন্ন চাকরির সাইটগুলো ঘুরে ফিরে দেখি। আর কি করে এই বাজারে নতুন চাকরি পাওয়া যায় সেইসব মূল্যবান পরামর্শ গুলো ঝালিয়ে নিই। সেদিন একটা আর্টিকল হাতে এল চাকরি পেতে হলে কি কি করতে নেই। সেখানে একটা গল্প পড়লাম। লোকটি বেশ বড়সড় কোম্পানির বড়সড় 'এক্সিকিউটিভ' ছিল। প্রায় মাস ছয়েক হল কোন চাকরি নেই। একটি সেলস রিপ্রেসেন্টেটিভের চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে। কিন্তু সেলসের কাজে যেমন হয় আর কি প্রচুর ঘুরেফিরে বেড়াতে হবে। সেটা শুনে সে খুবই নাকি চিন্তিত হয়ে পড়ল। তার আসলে দুটো নোনা জলের মাছ আছে। সে যদি খুব ঘুরেফিরে বেড়ায় তাহলে সেই মাছেদের কে নোনা জল দেবে? এইসব শুনে যখন যারা 'ইন্টারভিউ' নিচ্ছিল তারা যখন হাসি হাসি মুখে তার দিকে তাকিয়েছে তখন সে খুব অসন্তুষ্ট হয়ে বলেছে এতে হাসার কিছু নেই। এটা একটা জ্বলন্ত সমস্যা, নইলে সে আদৌ বলত না। বলাই বাহুল্য লোকটি চাকরি পায় নি।

    গল্প-৪

    আমরা বর্তমানে যে রাজ্যে থাকি সেখানকার অবস্থা ক্যালিফোর্নিয়ার থেকে একটু ভালো। তার ওপর আমরা দুজনেই রাজ্য সরকারের চাকুরে। গত দুই বছর ধরে প্রতি চার মাসে চার শতাংশ বাজেট কমছে। সব মিলিয়ে এখনো অবধি ২৪ শতাংশ বাজেট কমেছে। সব মিলিয়ে দশ জনের চাকরি গেছে, কুড়ি জন মতন আর্লি রিটায়ারমেন্ট প্যাকেজে রিটায়ার করে গেছে, কিছু 'ফারলো ডে' (বিনা মাইনের ছুটির দিন) হয়েছে। আর প্রতি চার মাসে আমাদের কয়েকদিনের টেনশন গেছে। দুজনের একজনের চাকরি গেলেও কি দূরবস্থা হবে সেকথা ভাবতে ভাবতে আয়ু খানিক কমেছে। খুবই আশ্চর্য্যের বিষয় হল যে ২৪ শতাংশ বাজেট কমার পরেও আমার চাকুরি জীবনে কোন পার্থক্য দেখলাম না। মানে যেখানে বসতাম সেখানেই বসি, কম্পিউটারের মেমরি বেড়েছে, অল্পস্বল্প যা ট্রাভেল, কনফারেন্স ইত্যাদি ছিল তাও আছে। তাহলে এই ২৪ শতাংশ শুধু ত্রিশ জনের মাইনে? নাকি কয়েকদিনের বিনা মাইনের ছুটি? নাকি ঐ ২৪ শতাংশের কোন দরকারই ছিল না? ভাবি, ভাবি কিন্তু কিনারা পাই না। হ্যাঁ গত দুই বছরে কারুর কোন মাইনে বাড়ে নি। তাতে কয়েকজনের সত্যিই সমস্যা হয়েছে, কারণ তাদের পরিবার বেড়েছে। আবার দু একজনের সমস্যা খুব অদ্ভূত, যেমন একজন বললেন এবছর 'সামারে' তাঁর কষ্টের কথা। 'বীচে' যেতে না পেরে সুইমিং পুলেই রোদ পোহাতে হচ্ছে। সত্যই সমস্যা বটে।

    গল্প-৫

    তখন 'রিসেশনে'র সবে শুরু, রোজই নিত্য নতুন খবর, 'শেয়ার' বাজার পড়তে শুরু করেছে সেই সময়ে হেনরি পলসন ঘোষণা করে দিয়েছেন 'টার্ফ' (troubled asset relief fund) এর কথা। এক মোটামুটি বিখ্যাত 'ফাইনান্সে'র প্রফেসর ক্লাসে যা বললেন তার মর্মার্থ হল 'এই হল আমেরিকা, বুঝলে বালকেরা। বড় 'রিসেশন' থেকে বেরনোর উপায় বের করতে জাপানের সময় লেগেছে পুরো এক যুগ। আর আমাদের সময় লাগল বারো ঘন্টা'। তা এখন শোনা যাচ্ছে আমেরিকার অর্থনীতি নাকি 'ডিফ্লেশন'এ ঢুকতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে খুব ছোট করে বলে নেওয়া যায়, আমরা জানি 'ইনফ্লেশন' খারাপ তাহলে 'ডিফ্লেশন' তো ভাল, কিন্তু আদতে তা নয়, কেন? ব্যপারটা এইরকম আজ যদি ১০০ টাকা কোথাও খাটান তাহলে ডিফ্লেশনের ফলে এক বছর পরে ৯৫ টাকা ফেরত পাবেন। কেউই তা চায় না, অতএব কেউই টাকা খাটাতে রাজী হবে না। ফলত, বাজারে 'ক্রেডিট' পাওয়া মুশকিল হবে। বা দোকানী ১০০ টাকা দিয়ে জিনিষ কিনে দেখল সেই জিনিষের দাম কমে ৯০ টাকা হয়ে গেছে। তাই দোকানীর পক্ষেও কিছু কিনে বিক্রি করার থেকে টাকাটা রেখে দেওয়া বেশি লাভজনক। সব মিলিয়ে খুবই গোলমেলে ব্যপার। সবথেকে গোলমেলে ব্যপার হল এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে বেরনো খুব শক্ত, কোন নির্দিষ্ট পথ নেই। সে যাইহোক সেই প্রফেসরের সাথে ইতিমধ্যে বাক্যালাপের সুযোগ হল। এবারে তিনি বললেন 'What do you want to hear? Now I am humble'

    গল্প-৬

    এই গল্প গুলো রেডিওতে শোনা। একটি মেয়ে বিজনেস স্কুল থেকে পাস করে এক্সিকিউটিভ চাকরি খুঁজছিল, তার আশা ছিল প্রাথমিক মাইনে হবে বছরে ৯০-১০০ হাজার ডলার। পাস করার ছয় মাসের মধ্যে সে ব্যাংকরাপ্ট ঘোষণা করে এবং আরও দুই মাসের মধ্যে সে হোমলেস হয়। রেডিওতে শুনছিলাম যাঁদের এই বাজারে রিটায়ার করতে হয়েছে তাঁদের অনেকেরই অবস্থা খুব খারাপ। কারুর কারুর রিটায়ারমেন্ট ফান্ডের এমনই অবস্থা যে তাঁদের নাকি আরও চাকরি করে যেতে হবে, নইলে জীবন চলবে না। আবার রেডিওতেই শুনছিলাম গ্রেট ডিপ্রেশনের কথা। একজন বলছিলেন তাঁর মনে আছে সেই সময়ে তাঁদের নতুন জামাকাপড় হত না, ভালো মন্দ খাওয়া দাওয়া কমে গিয়েছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।

    সব মিলিয়ে খুব কাছ থেকে দেখা এই 'রিসেশন' সম্বন্ধে আমার অভিজ্ঞতা মিশ্র। কখনো খুব করুণ, আবার বেশির ভাগ সময়েই আমার ভারতীয় কানে 'রিসেশন'এর দুর্দশাও বিলাসিতা মনে হয়, মনে মনে হাসি। তবে এই নিয়ে ভুল ভাবার কারণ নেই। 'আনস্কিলড লেবার', বা যাঁরা 'রিটায়ারমেন্টে'এর খুব কাছে দাঁড়িয়ে বা একেবারে সদ্য পাশ করা যুবকের কাছে এই 'রিসেশন' ভয়ংকর। অধিকাংশ 'রিটায়ারমেন্ট ফাণ্ডে'র অবস্থাই এমন যে এই অবস্থায় 'রিটায়ার' করা অসম্ভব। অভিজ্ঞ বেকারের সংখ্যা বাজারে এত বেশি যে সদ্য পাশ করাদের দেওয়া মাইনেতেই তারা কাজ করতে রাজী। অভিজ্ঞ লোক একই মাইনেতে পেলে কে আর সদ্য পাশ করা যুবকদের নেয়। তবে এত কিছু বুলি আওড়ানোর অর্থ একটাই যে এখনো অবধি কোনরকমে বেঁচে রয়েছি। নিন্দুকে বলছে এই নাকি শেষ নয়, সবে শুরু। কেজানে, আমি শুধু চোখকান খোলা রাখি আর বাকিটা অমৃতলালদের উপরে ছেড়ে দিই। দেখা যাক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ | ৭৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন