এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মৎস্যজীবীরা এখনো জম্বুদ্বীপ ফিরে পাবার অপেক্ষায়

    শশাঙ্ক দেব লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ জুলাই ২০১০ | ৯৩৯ বার পঠিত
  •     আমাদের টইপত্তর বিভাগে এখন চলছে জম্বুদ্বীপ নিয়ে আঁখো দেখা হালের ধারাবিবরণী। (http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1278275454248) । পাশাপাশি এবারের বুলবুলভাজায় রইলো পুরানো কিন্তু প্রাসঙ্গিক একটি লেখা, 'বন' পত্রিকা থেকে, লেখকের অনুমতিক্রমে।



    ভারত সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের কাছে অধ্যাপক এম এস স্বামীনাথন ভারতের ঊপকূলের পরিবেশ রক্ষা বিষয়ে গত বছরের ১৬ জুলাই একটি রিপোর্ট পেশ করেন। ' ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার' (Final Frontier) নামে এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে জম্বুদ্বীপ নামে বঙ্গোপসাগরের ছোটো দ্বীপটি প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেল। সেই সঙ্গে আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল পরিবেশ ও মানুষের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক।
    বকখালির কাছে ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দর থেকে ৮ কি মি দূরে জম্বুদ্বীপের অবস্থান। ২২৫০ হেক্টর আয়তনের এই দ্বীপ বালিতটের উপরে ৪২ টি মৎস্য খটিতে (Fishing Camp) প্রায় ১০০০০ মৎস্যজীবী বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে-- অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি-- কাজ করতে যেতেন। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে এই দ্বীপে তারা মাছ শুকোতেন। আনুমানিক ৩০০ হেক্টর জায়গা তাঁরা মাছ শুকোবার জন্য ব্যবহার করতেন। বাকি অংশে ছিল বাদাবন।
    জম্বুদ্বীপ যেহেতু তুলনায় নতুন দ্বীপ, তার ভাঙা গড়া এখনও চলছে। এখনও পলি জমছে দ্বীপের চার পাশে, তৈরি হচ্ছে কাদামাটির আচ্ছাদন। দ্বীপের মধ্যভাগে বাদাবন সবথেকে গভীর। উত্তরদিকে ক্রমশ: হাল্কা হয়েছে। দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ পর্যন্ত একটি খাঁড়ি আছে। মৎস্যজীবীদের কাছে এই খাঁড়ির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এই খাঁড়িতে জোয়ারের জল ঢুকলে সমুদ্র থেকে মাছ ধরে আনা নৌকাগুলি খাঁড়িতে ঢুকত। মাছ নামিয়ে আবার জোয়ারের জল ঢুকলে নৌকাগুলি বেরোত। খাঁড়ির দুপাশে সারি দিয়ে ছিল হোগলা এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি খটিগুলি। খাঁড়ির উত্তর পাড় থেকে দ্বীপের উত্তর পর্যন্ত ছিল ঘন বাদাবন। আবার দক্ষিণ পাড় থেকে দ্বীপের দক্ষিণ পর্যন্ত ছিল বাদাবন। ফলে উত্তর এবং দক্ষিণে বাদাবনের আচ্ছাদ্‌ন পাওয়ায় মাছ শুকোবার অঞ্চলটুকু সমুদ্রের লবণাক্ত ঝোড়ো বাতাস থেকে রক্ষা পেত। দ্বীপের ভিতরে হাওয়ায় খাঁড়ির দুপাশে জমিতে বালি ও মাটির ভারসম্য ভালভাবে মাছ শুকোবার জন্য আদর্শ ছিল। এছাড়া এই দ্বীপে মিষ্টি জল পাওয়ার সুবিধা ছিল।

    ১৯২৭ সালের ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অ্যাক্ট -এর ২০ নং ধারায় ২৯ শে মে ১৯৮৩ এ এই দ্বীপকে তদানীন্তন বাংলার গভর্ণর সংরক্ষিত বন (Reserved Forest) হিসেবে ঘোষণা করেন। প্রামাণ্য তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৫ থেকে ঐ দ্বীপে মৎস্যজীবীদের উপস্থিতি এবং এই কাজের কথা জানা যায়। প্রসিদ্ধ নৃতঙ্কÄবিদ ড: বিকাশ রায়চৌধুরী ঋতুভিত্তিক মাছ শুকোবার ঘটনা নথিবদ্ধ করতে ১৯৬৭-৬৮ সালে এই দ্বীপে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে টানা চার মস থাকেন। তাঁর গবেষণা 'দ্য মুন অ্যান্ড নেট' (The Moon and Net, Study of a Transient Community of Fishermen at Jambudwip) অ্যা®¾থ্রাপলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া ১৯৮০ সালে প্রকাশ করে।

    এই মৎস্যজীবীরা মুলত: পূর্ব পাকিস্থানের (অধুনা বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালি থেকে উদ্বাস্তু হিসাবে এসে দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুর অঞ্চলে বসবাস করেন। মৎস্যজীবীরা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে নৌকা নিয়ে জম্বুদ্বীপে যেতেন। এক একটি খটির মালিক বা পরিচালকদের বলা হত বহরদার বা খটিদার। এই বহরদাররা মূলত: কাকদ্বীপে থাকতেন। এক একজন বহরদারের অধীনে এক বা একাধিক দল থাকত। আনুমানিক ৪৮০০ মৎস্যজীবী সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে নিযুক্ত হ'ত। আরও ৪৭০০ মৎস্যজীবী খটিতে থেকে মাছ শুকনো করার কাজে নিযুক্ত হ'ত। কৈবর্ত্ত সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবী ছাড়াও আনুমানিক ১০০০ মানুষ দৈনিক মজুরীতে নিয়োজিত হ'ত। জম্বুদ্বীপের এই কাজে সরাসরি দশ হাজার মানুষ ছাড়াও মাছ ঝাড়াই বাছাই, মজুত এবং বাণিজ্যের কাজে আরো অন্তত: দশ হাজার মানুষ যুক্ত ছিল।



                                              জম্বুদীপে মাছ শোকানো

    Q¡l j¡®p Be¤j¡ÏeL 15 q¡S¡l Ve j¡R HC ࣮f e¡j¡®e¡ q'az f§hÑ i¡l®a öL®e¡ j¡®Rl hªqšj c¤C h¡ÏZSÉ ®L¾cË Em¤®hÏsu¡ Hhw ®nJs¡g¤Ïm®a HC j¡R öÏL®u Ïe®u k¡Ju¡ qaz ®pM¡e ®b®L T¡sMä, Ïhq¡l, c¡ÏSÑÏmw-Hl f¡hÑaÉ A’m Hh, pjNË f§hÑ-i¡l®a hR®l A¿¹ax 50 ®L¡ÏV V¡L¡l hÉhp¡ q'az HC j¡®Rl HL¡wn j¤lÏN ®f¡mÏVÌl SeÉJ hÉhq¡l q'az j¡R dl¡l SeÉ ÏQl¡QÏla , nËjÏeÏhs fËk¤Ïš² hÉhq©a q'az 70-Hl cn®Ll B®N q¡®a V¡e¡ ®e±L¡l hÉhq¡l b¡L®mJ d£®l d£®l ®j¡Vl Cϔe m¡N¡®e¡ ®e±L¡l fËQme quz a®h a¡ ®L¡eJ A®bÑC VÌm¡l euz 40 ®b®L 50 g¤V HC ®e±L¡¬Ïm®a 40 ®b®L 60 AnÄnϚ²l ( 4 ®b®L 6 ÏpÏmä¡l) Cϔe m¡N¡®e¡ q'az p¡d¡lZÚa k¡Ï¿»L ®e±L¡ hm®a k¡ ®h¡T¡u H¬Ïm a¡ euz ÏhouÏVl HLV¤ hÉ¡MÉ¡ fË®u¡Sez JuÏLhq¡m ®k ®LE S¡®ee ÏeRL üÒf pj®ul fË®j¡c ïjZ R¡s¡ AeÉ ®L¡eJ fË®u¡S®e pj¤®â h¡ ®j¡qe¡u ®a¡ c§®ll Lb¡ ec£®aJ q¡®a V¡e¡ ®e±L¡ HMe Bl ®L¡b¡J Q®m e¡z a¡C Lj nϚ²l Cϔe m¡N¡®e¡ ®e±L¡C ÏQl¡QÏla jvpÉS£h£®cl ®e±L¡ Ïqp¡®h ü£Lªaz Be¤j¡ÏeL 10 ÏpÏmä¡®ll ®hÏn nϚ²l Cϔe b¡L®m a¡®L k¡Ï¿»L ( Mechanised) নৌকা এবং আনুমানিক ২২-২৪ সিলিন্ডারের বেশি হলে তা ট্রলার হিসাবে স্বীকৃত। যান্ত্রিক নৌকা সমুদ্রের ৩০ কি মি পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারে কিন্তু ছোট নৌকাগুলি ছয়-সাত কি মি এর বেশি যেতে পারে না। জম্বুদ্বীপের মৎস্যজীবীরা তুলনায় অনেক ছোট নৌকায়, বিন্দিজাল ( Bag Net) দিয়ে জোয়ার-ভাঁটার উঅপর নির্ভর করে মাছ ধরতেন, দ্বীপ থেকে তিন-চার কি মি দূরে। ট্রলারের মতো মাছের ঝাঁক তাড়া করে আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে মাছ ধরা বা সমুদ্রের তলদেশে চেঁচে জলজপ্রাণীর বাসস্থান এবং খাদ্যের উৎস ধ্বংস করে মাছ ধরার ক্ষমতা এঁদের ছিলনা। জোয়ারের সময়ের উপরে নির্ভর করেই নৌকাগুলি দ্বীপের ভিতরে খাঁড়িতে ঢুকতে এবং বেরোতে পারত। বড় যান্ত্রিক নৌকা এমনকি জোয়ারের সময়ও খাঁড়িতে ঢুকতে পারত না কেননা খাঁড়ির গভীরতা কোথাও ৫ মিটারের বেশি ছিলনা। খাঁড়ির দুপাশে বাদাবনে ( Mangrove) আচ্ছাদন মৎস্যজীবীদের হ'ত ঝড় ঝঞ্ঝা থেকে বাঁচবার এবং ভালভাবে মাছ শুকোবার জন্য। এই প্রাকৃতিক সুযোগ থাকার ফলে উৎপাদন অনেক উন্নত মানের হ'ত, ভাল দামও পাওয়া যেত।


                                            জম্বুদ্বীপের খাড়ি , যেখানে মৎস্যজীবীদের নৌকা থামতো

    Sð¤à£®f j¡R ö®L¡h¡l L¡®S ®k®a q®m fËÏaÏV ®e±L¡®L l¡SÉ plL¡®ll hecç®ll m¡C®p¾p Ïe®a q'az HjeÏL ࣮f eɧeaj fË®u¡S®el SeÉ SÄ¡m¡e£ L¡W pwNË®ql S®eÉJ he cçl m¡C®p¾p Ïcaz HC m¡C®p¾p fËb¡ 1980 -l A®eL B®N ®b®LC Q¡m¤ ÏRm Hhw 1980 -l f®lJ Na na¡ë£l ®no hRl fkÑ¿¹ kb¡l£Ïa Q¡m¤ ÏRmz ah¤ 1980-l Ïh®no ¬l¦aÄ B®Rz 1980 p¡®m AlZÉ pwlrZ BCe ( Forest Conservation Act 1980) চালু হয়। জম্বুদ্বীপ সংরক্ষিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়। আইনানুযায়ী,সংরক্ষিত অঞ্চলে নতুন ভাবে বসতি স্থাপন ও বাধাহীন যাতায়াত নিষিদ্ধ কিন্তু যে সমস্ত বাসস্থান এবং জীবন জীবিকা ১৯৮০ -র আগে থেকে চালু , সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের দায়িত্ব ছিল সেগুলি ভারত সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের অনুমোদন নিয়ে " নিয়মিতকরণ" করিয়ে নেওয়া। জম্বুদ্বীপের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সে দায়িত্ব পালন করে নি। অন্যদিকে বনদপ্তর যথারীতি লাইসেন্স পাশ ইস্যু করে প্রতি বছরে ঋতু ভিত্তিক এই কাজটি চালু রাখতে সাহায্য করে ছিল। ফলে মৎস্যজীবীরা আইনের প্রয়োজনে নিয়মিতকরণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন নি। আইনের জটিলতা সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ছিলনা। এছাড়া তাঁদের জীবন জীবিকা ১৯৮০-র দীর্ঘদিন পরেও যথারীতি চালু থাকায় তাঁরা কোনো সমস্যা অনুভব করেন নি।

    সমস্যা তৈরি হল গত শতকের শেষ থেকে। সুপ্রিম কোর্টে ভারতের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলির পরিবেশ রক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন একটি মামলা চলছিল। এই বিখ্যাত গোধা বর্মন মামলায় , বেশ কিছু " বিশুদ্ধ পরিবেশবাদী" সংগঠনের উদ্যোগে বা চাপে জম্বুদ্বীপে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হল। অভিযোগ উঠল জম্বুদ্বীপে পরিবেশ, বাদাবন মৎস্যজীবীরা ধ্বংস করে দিচ্ছে। সেখানে অলিভ রিডলে কচ্ছপের প্রজনন স্থান মৎস্যজীবীদের কাজের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর কিছু অদ্ভুত অভিযোগ পাওয়া গেল। বাংলাদেশ ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদীরা ঐ দ্বীপে যাতায়াত করে, নিরাপত্তার পক্ষে ঐ দিক বিপজ্জনক হয়ে যাচ্ছে, ইত্যাদি।

    সুপ্রিম কোর্ট জম্বুদ্বীপের বিষয়টিকে খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট দেবার জন্য একটি কেন্দ্রীয় ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটিকে ( Central Empowered Committee-CEC) দায়িত্ব দিলেন। যে সমস্ত পরিবেশবাদীরা সুন্দরবন থেকে মৎস্যজীবীদের তাড়াতে চাইছিলেন , তাঁদের কেউ কেউ এই কমিটির অন্তর্ভুক্ত হলেন, আবার কেউ কেউ কমিটির উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারলেন।

    সি, ই, সি রিপোর্ট জমা দিল জম্বুদ্বীপের মৎস্যজীবীরা জঙ্গল ধ্বংস করছে। এর সমর্থনে একগুচ্ছ উপগ্রহ ছবি যুক্ত করা হল অথচ সেগুলি বছরের কোন সময়ের বা দিনের কোন সময় তোলা হয়েছে তার উল্লেখ থাকল না। অথচ আগেই বলা হয়েছে জম্বুদ্বীপ মূলত: একটি নতুন চর, এর চারপাশে অনেকটা অঞ্চল বালি এবং অগভীর তলায়। এই চরের ভৌগোলিক প্রকৃতি বছরের নির্দিষ্ট সময়, জোয়ার-ভাঁটা, পূর্ণিমা অমাবস্যার উপর নির্ভর করে।

    রাজ্যের বন দপ্তরও রায় দিল মৎস্যজীবীরা জঙ্গল ধ্বংস করছে অতএব তাদের আর ওখানে যেতে দেওয়া হবেনা। ১৯৮০ সালের পর ২২ বছর ধরে বন দপ্তরে পাশ নিয়ে যাঁরা ওখানে গেছেন , হঠাৎ তাঁরা বেআইনি হয়ে গেলেন। এতদিন ধরে তাঁরা যদি জঙ্গল ধ্বংস করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা বা এফ আই আর করা হল না কেন? কোনো জবাব পাওয়া গেল না।

    অন্যদিকে একই রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তর মৎস্যজীবীদের পক্ষ নিল। মৎস্যজীবীদের দ্বারা জঙ্গল ধ্বংসের অভিযোগ অস্বীকার করল। অবস্থা এমন হল, সুপ্রিম কোর্টের কাছে একই রাজ্য সরকারের দুই বিভাগের দুটি রিপোর্ট জমা পড়ল। এই অবস্থায় মূখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ঘটল। অনেক বিবাদ বিসংবাদের পর সমন্বয়ের উদ্যোগ নেওয়া হল। এই অবস্থায় মৎস্যজীবীদের উপর বন দপ্তরের লাগাতার চাপ, পাশ ইস্যু বন্ধ করে দিয়ে তাদের জীবিকার থেকে উচ্ছেদ করার কার্যক্রম চলতেই থাকল।
    অবশেষে ২০০২-এর ৯ আগস্ট মৎস্য দপ্তর এবং বন দপ্তরের মধ্যে বিষয়টির মীমাংসার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হ'ল। চুক্তিতে বাদাবন সংরক্ষণ এবং মাছ শুকোবার জন্য কিছু বিধি নিষেধ এবং শর্ত আরোপিত হ'ল যেমন ---
    * অক্টোবার থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাছ শুকোবার জন্য দ্বীপের মধ্যে নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করা হবে

    * মৎস্যদপ্তর মৎস্যজীবীদের জন্য পরিচয় পত্র চালু করবে এবং পরিচয় পত্র ছাড়া কাউকে দ্বীপে যেতে দেওয়া হবে না

    * দ্বীপে কোনো স্থায়ী নির্মাণ করা চলবে না

    * মাছ শুকোবার চর নির্দিষ্ট করে বেড়া দিয়ে ঘেরা হবে যাতে দ্বীপে অন্যত্র যাতায়াতের সুযোগ থাকবে না।

    এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর মনে করা হয়েছিল সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু একেবারেই তা হলনা। অক্টোবার মাসে মৎস্যজীবীরা দ্বীপের খাঁড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখলেন খাঁড়ির মুখে বন দপ্তর কংক্রীটের থাম বসিয়ে দিয়েছে। কোস্টাল রেগুলেশন জোন বিজ্ঞপ্তি (১৯১১) -এর বিধিনিষেধ অনুযায়ী কোনো উপকুলে এভাবে কংক্রীট নির্মান করা সম্পূর্ণ বেআইনী। কিন্তু বন দপ্তর আইন লঙ্ঘন করেই তা করেছিল। ফলে মৎস্যজীবীদের খাঁড়িতে ঢোকা বন্ধ হয়ে গেল। ১২ নভেম্বর ২০০২ ভয়াবহ সামুদ্রিক ঝড়ে খাঁড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও বন দপ্তরের বাধায় না পেরে তিনটি নৌকা ডুবে গেল। ১০ জন মৎস্যজীবী ডুবে মারা গেলেন। ঐ মৎস্যজীবীদের আর জ্‌ম্বু¤দ্বীপে ঢোকাই হলনা।
    ২৫ আগস্ট ২০০৩ সুপ্রিম কোর্টের রায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে খুশির হাওয়া বয়ে নিয়ে এল। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলেন , কোনো যান্ত্রিক ট্রলার বা মাছধরার নৌকা জম্বুদ্বীপের ভেতর বা তার সন্মিহিত অঞ্চলের জলে যেতে পারবে না। তবে চিরাচরিত মাছ ধরার নৌকাগুলিই সেখানে মাছ শুকোতে যেতে পারবে কেননা তারা বাদাবনের পরিবেশের তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো ক্ষতি করে না।
    অক্টোবর ২০০৩-এ মৎস্যজীবীরা বনদপ্তরে লাগানো কংক্রীটের থাম ভেঙে খাঁড়িতে ঢুকলেন কেননা সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের সেখানে কাজের অধিকার দিয়েছিল। কিন্তু ১৬ অক্টোবর এস ডি পি সুজিত কুমার সরকারের নেতৃত্বে এক পুলিশ বাহিনী এবং বনরক্ষীরা মৎস্যজীবীদের ওপর নির্দয় ভাবে লাঠি চালালো। খটির হোগলা ও বাঁশের অস্থায়ী কাঠামোগুলি পুড়িয়ে , কাজের যন্ত্রপাতি জলে ফেলে দিয়ে তাদের সম্পূর্ণ উৎখাত করা হল। সেই শেষ। মৎস্যজীবীরা আজও জম্বুদ্বীপে যেতে পারেন নি। কোথায় গেল বন দপ্তর-মৎস্য দপ্তরের চুক্তি, কোথায় গেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ! পেশী ক্ষমতা জয়ী হল।

    জম্বুদ্বীপে মৎস্যজীবীদের অন্দোলন পরিচালনা করছিল ন্যাশানাল ফিশ ওয়ার্কার্স ফোরাম, কাকদ্বীপ ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশান, জম্বুদ্বীপ ড্রাই ফিশার্মেন অ্যাসোসিয়েশান যৌথ নেতৃªত্ব ।এগুলির কোনওটাই কোনও রাজনৈতিক দলের লেজুড় না হওয়ায় তাঁদের স্বার্থরক্ষায় কোনো দলকে এগিয়ে আসতে দেখা গেলনা। ক্ষমতাশীল দলের পক্ষে না থাকাটাই হয়ত তাঁদের অযোগ্যতা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল, রাষ্ট্রশক্তির খাঁড়া তাই সরাসরি নেমে আসে। ন্যাশনাল ফিস ওয়ার্কার্স ফোরামের চেয়ারপার্সন, উপকূলীয় মৎস্যজীবী আন্দোলনের প্রবাদ প্রতিম নেতা হরেকৃষ্ণ দেবনাথ ব্যক্তিগতভাবে জম্বুদ্বীপে থেকে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৎস্যজীবীরা উৎখাত হবার পর তিনি সারা ভারতের বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠনে বিষয়টি ব্যাপক প্রচার করে সমর্থন সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে বারবার ডেপুটেশন দেন। কিন্তু চিঁড়ে ভেজেনি। কোন পুনর্বাসন ছাড়াই ১০০০০ মানুষ তাদের জীবিকা থেকে উৎখাত হলেন।

    হরেকৃষ্ণ দেবনাথ মারা যাবার আগে অন্তত: একটা স্বান্তনা পেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রক সারা ভারতে উপকূল অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ণের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক এম.এস.স্বামীনাথনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ২০০৮ সালে গঠন করে। সেই কমিটির রিপোর্ট "ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার'-র কথা লেখার শুরুতেই বলা হয়েছে। এই রিপোর্টে কমিটির অন্যতম সদস্য সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর পরিচালিকা প্রখ্যাত পরিবেশবাদী সুনীতা নারায়ণের মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে রাখা হয়। সেই মন্তব্যে জম্বুদ্বীপের ঘটনাকে ""মানুষকে বাদ দিয়ে সংরক্ষণের"" এক নেতিবাচক উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয় - ""জম্বুদ্বীপের মৎস্যজীবিকা ছিলো প্রকৃতির অনুযোগী অভ্যাস - তাঁদের জাল হাতে বোনা হতো। জালের এমন ব্যবস্থা ছিলো যাতে শুধু বয়স্ক মাছ ধরা পড়তো, শিশু মাছ ধরা হতো না। তাঁরা সূর্যের আলোয় মাছ শুকোতেন। তাঁরা প্রকৃতির থেকে ঠিক ততটুকুই নিতেন, যতটুকু তাঁদের প্রয়োজন ছিলো""। এই কথাটাই তাঁদের পাশে থাকা পরিবেশবাদীরা বলতে চেয়েছিলেন। জম্বুদ্বীপের বাদা বন সমুদ্রের লবণাক্ত ঝড় থেকে মৎস্যজীবীদের পেশাকে রক্ষা করত বলেই মৎস্যজীবীরা এই বাদাবনের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। এ তাঁদের বই পড়ে বক্তৃতা শুনে প্রকৃতি রক্ষা করার প্রয়াস নয়। একেবারে জীবিকার প্রয়োজন থেকে পরিবেশ রক্ষার চেতনা। দু:খের কথা "বিশুদ্ধ পরিবেশবাদীরা" একথা বুঝলেন না। মৎস্যজীবীদের উৎখাত করার অতি উৎসাহে তারা এমনকি বাংলাদেশ থেকে আসা দুষ্কৃতীদের চোরাচালান ইত্যাদির অভিযোগ তুললেন। অথচ জম্বুদ্বীপের অবস্থান বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের যেকোন অঞ্চল বা দ্বীপের তুলনায় সবথেকে দূরে, পশ্চিম প্রান্তে। আর সীমান্ত থেকে ৯৬ কি.মি. দূরে এই দ্বীপে কোন চোরাচালান বা সাধারণ অপরাধের একটি অভিযোগও কখনও কোনোদিন পুলিশের খাতায় ওঠেনি। অথচ শুধু অনুমানের ভিত্তিতে এরকম অভিযোগ মৎস্যজীবীদের উচ্ছেদের যুক্তিকে সবল করেছিলো।

    কিন্তু আসলে উচ্ছেদের যুক্তি কি ছিলো? সত্যি কি রাজ্যের বনদপ্তর বন সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে তাঁদের উৎখাত করেছিলো? সমান্তরাল ঘটনা কিন্তু অন্য কথা বলে। যাঁরা ঐ সময়ে সংবাদপত্র পড়তেন তাঁরা সবাই নিশ্চই মনে করতে পারবেন - যে সরকার ' জঙ্গল রক্ষার জন্য' মৎস্যজীবীদের উৎখাত করছেন, সেই সরকার কর্পোরেট সংস্থা সাহারা গ্রুপকে আহ্বান করছেন সুন্দরবনে মেগাট্যুরিজম চালু করার জন্য। পরিকল্পনা ছিলো ৭০০ কোটি টাকার এই ট্যুরিজম প্রকল্প সুন্দরবনের বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। সমুদ্রে ভাসমান পাঁচতারা হোটেল (ফ্লোটেল), হেলিপ্যাড, বোটিং, র‌্যাফটিং, খাঁড়িতে স্পিডবোট ভ্রমণ ইত্যাদি চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো। ৩০০ বর্গ কি.মি. জুড়ে এই প্রমোদনগরী গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে ২০০৩-এর প্রথমে 'মৌ' স্বক্ষরিত হয়েছিলো। সেই প্রকল্প পরবর্তীকালে পরিবেশবাদীদের চাপে এবং সম্ভবত: লাভের তেমন নিশ্চয়তা না থাকায় নি:শব্দে গুটিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের মামলা এবং 'বিশুদ্ধ পরিবেশবাদীদের' আকাঙ্খার অজুহাতে পুঁজি আনার এক মরিয়া প্রচেষ্টা, উচ্ছেদ প্রক্রিয়াকে বাস্তব করে তোলার অন্যতম কারণ হয়েছিলো - এ কথা নিশ্চয়ই বলা যায়। আর সেই উচ্ছেদ যে অরণ্য সংরক্ষণের জন্য নয় একথা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না।

    স্বভাবতই পাঠক জানতে চাইবেন, এতদিন পর স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্টে সত্য উদ্‌ঘাটিত হওয়ায় রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার কি মৎস্যজীবীদের জম্বুদ্বীপ ফিরিয়ে দেবেন? একথা সময়ই বলতে পারে। তবে মৎস্যজীবীরা তেজেন্দ্র লাল দাস, পরিতোষ দাস, সুখলাল দাসের নেতৃত্বে জম্বুদ্বীপ ফিরে পাবার লড়াই জারি রেখেছেন।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১১ জুলাই ২০১০ | ৯৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | ***:*** | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৩০89288
  • ভাটে আজ কেলোদার পোস্টগুলো পড়ে এটা তোলার কথা মনে হল।
  • Manish | ***:*** | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:১৯89289
  • জম্বুদ্বীপ এখন কি অবস্থায়। মাছ শোকনো হয়।
  • কল্লোল | ***:*** | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৩৯89290
  • অ মনীশ - এ যে সীতে কার বাপ হয়ে গেলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন