এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  গপ্পো

  • তিনটি গল্প

    উর্জা চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১৭ নভেম্বর ২০১০ | ৯৯৫ বার পঠিত
  • পুরোনো বাড়ীটা

    নরেশ, লীনা, সোমা, কালোনা, মেসা আর মাস্তিয়া তাদের পাঁচ তুতোভাইবোনদের (পুল্ফা, সিলভেরি, অ্যানজেল,ইয়েড আর নেহি) সঙ্গে একটা পুরোনো বাড়ীতে থাকত। তারা বাংলাদেশ বলে একটা দেশে থাকত। ঐ বাড়ীর জানালা ছিলো ভাঙা, ধূলোভর্তি ছাতের তলা, বড় বড় সিঁড়ি, মরচে পড়া পুরাতন একটা গেট আর মাকড়সার জালেভরা দরজা। বড় বাড়ীটা ছিলো অন্ধকার। সাথে ছিলো বিরাট বাগান আর খোলা দরজা।

    এক রোদঝলমলে দিনে ওরা ঠিক করলো মাঠ ছাড়িয়ে, বনের মধ্যে দিয়ে বেড়াতে যাবে। যেতে যেতে একটা রাস্তায় এসে ওরা থেমে গেল। কেন? কারণ তারা একটা বিশাল অন্ধকারাছন্ন বাড়ীর সমনে এসে পড়েছে। আর জায়গাটা ইঁদুরের মত স্তব্ধ। তাই তারা ধীরে ধীরে ভিতরে ঢুকল যদি কাউকে পাওয়া যায়। কিন্তু না। আসলে ওখানে একটা কুকুর ছিলো কিন্তু অন্ধকার বলে কিছু দেখা যাচ্ছিলো না।

    ওরা ১১ মিনিট ধরে হাসিঠাট্টা করতে লাগলো যতক্ষণ না ওরা একটা কুকুরের ডাক শুনতে পেল। সোমা ভাবল, "এটা কোন আওয়াজ হতে পারে?' অ্যানজেল ও সিলভেরি একসঙ্গে বলে উঠলো, "এটা একটা কুকুরের আওয়াজ কিন্তু এটা বেশ অন্ধকার দেখতে'। তাই ওরা দৌড়ে পালাল আর যে মলটাতে যাবার প্লান ছিলো সেই মলটাতে চলে গেল।

    ওরা আর কক্ষনো কোনো অন্ধকার, বড়, পুরোনো, অদ্ভুত, ভয়ঙ্কর বাড়ীতে যায়নি।
    নীতি: কক্ষনো অন্যের অজানা বাড়ীতে যেও না।


    তিন বুদ্ধিমতি বোন


    একদিন তিন বুদ্ধিমতি বোন, অ্যানজেল কাকারু, গোল্ডি কাকারু আর পিঙ্কি কাকারু বেড়াতে যাবার প্লান করছিলো। বেড়াতে বেড়াতে পিকনিক করবে ঠিক করলো। পিকনিকের ঝুড়িতে মিস্টি, রুটি, মাখন, জুস, চিনি মেশানো চা আর কিছু চিপস ছিলো।

    ওরা এই খাবারগুলো খুব পছন্দ করত। যাবার পথে ওরা একটা বেড়াল, মাছ আর কুমিরের সংগে দেখা পেল। অ্যানজেল ভাবল একটা বেড়াল আর একটা মাছ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু পিঙ্কি আর গোল্ডি বলল, 'আমরা অনেকসময় পশুদের মিট করি কিন্তু আমরা গন্ধ পাই আর বুঝতে পারি যে ওদের ইভিল কিং মাহাৎসারু পাঠিয়েছে আমাদের মেরে ফেলার জন্য।' তখন অ্যানজেল বুঝতে পারল যে তাকে ঐ জন্তুগুলোর সংগে লড়তে হবে। তাই গোল্ডি বেড়ালটাকে মাটিতে আছাড় দিল।

    বেড়ালটা মারা গেল। অ্যানজেল মাছটার সংগে একই জিনিস করল। মাছটাও মরে গেল। পিঙ্কি কুমিরটাকেও একইভাবে মেরে ফেলল। তখন তিন বোন নিজেদের বীরত্বের জন্য একে অন্যেকে ক্ল্যাপ দিলো। তারপর খুশিমনে পিকনিকে চলে গেল।
    নীতি: মনে মনে চিন্তা কর তাহলে তুমি সবসময় ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।


    রুশ মেয়েটা ও সমুদ্রসৈকত

    অনেকদিন আগে আরাবা বোকাকো নামে এক রুশ শিশু থাকত। যেহেতু ওর বাবা মারা গেছিল, ওর মা ওর দেখাশুনা করত। আরাবার বয়স ছিল সাড়ে সাত বছর। ওর মায়ের নাম ছিলো ব্যোবোকো কিন্তু ও মাকে মাম, মাদার, মামা, মা, মাথা বা ম্যামি বলে ডাকত না। ও মাকে ডাকত মামাই বলে। ব্যোবোকো ওকে অনেক মজার জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেত কিন্তু সি বীচ দেখাতে কখনো নিয়ে যেত না। আরাবা সবসময় বীচে যেতে চাইত।
    তারপর একদিন একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটল। সে আর তার মা একটা অন্য জায়গায় পৌঁছাল। আরাবা চারিদিকে দেখল, আর কি আশচর্য। ওটা একটা বীচ ছিলো। ও তো আনন্দে লাফঝাঁপ শুরু করল। ও ওখানে একটা স্যান্ডক্যাসলও বানাল।


    উর্জার লেখা গল্প বাংলায় অনুবাদ করে দিয়েছেন উর্জার বাবা
    ছবি : লেখিকা ( উর্জা চক্রবর্তী (বয়েস ছয়))
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • গপ্পো | ১৭ নভেম্বর ২০১০ | ৯৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন