এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • স্বরাজিয়া সাধন নয় সহজিয়া সাধন

    অর্পিতা ব্যানার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ আগস্ট ২০১১ | ১০৭২ বার পঠিত
  • স্বাধীনতা এখন সিনিয়র সিটিজেন। তার ৬৪ তম জন্মদিন উপস্থিত। আর প্রতিবছর তার জন্মদিন পালনে গোটা দেশ খুব উৎসাহের সঙ্গে যোগ দেয়। নানান প্রতিষ্ঠানে পতাকা তোলা, কেন্দ্রে আর রাজ্যে সরকারি উদ্যোগে নানান বাহিনীর (মিলিটারি, পুলিশ থেকে শুরু করে ইশকুল পর্যন্ত) আর অস্ত্রের চলমান প্রদর্শনী, পাড়ায় পাড়ায় গান্ধী-নেহেরু-সুভাষ-ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মালা দিয়ে দেশাত্মবোধক গান-বাজনা কিম্বা রক্তদান শিবির, সব মিলিয়ে জমজমাট ব্যাপার হয় এই দিনে। কেউ যেন বলতে না পারে যে আমি বা তুমি যথেষ্ট দেশপ্রেমী নই। তবে সবসময় যে অন্য কেউ আমার উপর নজরদারি করছে তা তো নয়, এই "কেউ' আমার বা তোমার নিজের মনও হতে পারে।

    তা স্বাধীনতা মানে কী? ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট দিনটিকে আমরা এমন আবেগমথিত হয়ে স্মরণ করি কেন? সারা বছরের মধ্যে আর যেকোনো দিন আমি বা তুমি ভুলে যেতে পারি, কিন্তু এই দিনটিকে ভুলে গেলে তা স্বীকার করতে লজ্জা পাই অথবা মনে মনে বিবেক-দংশনে ভুগি কেন? ভেবে দেখতে গেলে ঐ দিনটিতে সরকারি গদিতে ভারতীয় পদবীধারীরা প্রথম বসেছেন (২০০ বছর আগেও বসেছিলেন, কিন্তু সে গদি সরকারি ছিলো না, ছিলো রাজার গদি। তাছাড়া তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে যে ভৌগোলিক বাউন্ডারি "আমাদের' আজকের দেশ সাহেবরা আসার আগে তার অস্তিত্ব ছিলো না)। নানান সরকারি প্রতিষ্ঠানের "কর্তা' হয়েছেন ভারতীয়রা।

    এছাড়া আর কী হয়েছে? স্বরাজ তার নাম বদলে হয়ে গেছে স্বাধীনতা। ১৯৪৭ এর আগে যদিও বা স্বাধীনতা শব্দটির ব্যবহার খুঁজে পাওয়া যায়, তার পরবর্তীতে স্বরাজ শব্দটির ব্যবহার খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। "স্ব'-এর অর্থ স্বরাজ থেকে স্বাধীনতায় পৌঁছে যে বিস্তার পেয়েছে তা লক্ষ্যণীয়। স্বরাজ শব্দটির "স্ব' নির্দিষ্টভাবেই "ভারতীয়' বোঝায় (ভারতীয়দের দ্বারা রাজত্ব – একথা বলা যায়), আর স্বাধীনতার "স্ব' যেকোনো পরিচয়কেই বোঝাতে পারে, এমনকি আমার ব্যক্তি-পরিচয়কেও (আমরা ব্যক্তি-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে একথা শুনেছি যে, "আমরা কি স্বাধীন দেশে বাস করি না?')। স্বরাজ লাভের দিনটি আমাদের স্বাধীনতার জন্মদিন হয়ে গেছে, অর্থাৎ "স্ব'-এর রাজ থেকে আমরা "স্ব'-এর অধীন হয়ে গেছি। আর "আমরা' সকলেই এই জন্মদিন পালনে যেকোনো প্রকারে যোগ না দিতে পারলে আত্মগ্লানিতে ভুগি।

    আরো একটি ব্যাপার হয়েছে। দূরের ঘটনা হিসেবে প্রাক-স্বরাজ সময়টি আমাদের কাছে কতকটা যেন polemic-হীন সময় হিসেবে প্রতিপন্ন হয়। যেন তারই প্রমাণ হিসেবে আমরা বিনা চিন্তা-ভাবনায় গান্ধী-ক্ষুদিরাম-রবীন্দ্রনাথ-সুভাষ-নেহেরুদের ছবিকে মালা পরিয়ে এক লাইনে বসিয়ে দিতে পারি। অবশ্য তৃতীয় ব্যক্তিটিকে আমরা সচরাচর স্বাধীনতার জন্মদিনে মনে করি না (তাঁর "জনগণমন' বা "ও আমার দেশের মাটি' ছাড়া)। আমরা প্রাক-স্বাধীনতা যুগের কথা ভাবি অনেকটা গোটা মহাদেশের ম্যাপ দেখার মত করে, উঁচু-নীচু বন্ধুরতা সব কেমন সমান মাপের মনে হয়। মনে হয় স্বাধীনতা নামের আগুনের কুন্ডের চারপাশে সবাই একই মাপের চামচ দিয়ে ঘি ঢেলে ঢেলে যজ্ঞ করেছেন। আমাদের এই ঝাপসা উত্তরাধিকার স্বাধীনতার জন্মদিন পালনের ব্যাপারেও এক সমালোচনা-হীন দেশপ্রেমী "নাগরিকবৃন্দ' বানিয়ে দিয়েছে।

    প্রাক-স্বরাজ যুগের একটু কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করলে দেখা যায়, কী পরিমাণ বিতর্ক, আলোচনা, মত-বিরোধ স্বরাজ-সাধকদের মধ্যে ছিল। তার মধ্যে গান্ধী আর রবীন্দ্রনাথের মতান্তর (মনান্তর নয় কিন্তু) সম্পর্কে আমরা সবচেয়ে কম জানতে পারি। জাতীয়তাবাদের কর্মস্রোতের এক বড় সমালোচক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বার বার তাঁর গানে, কবিতায়, প্রবন্ধে, উপন্যাসে, চিঠিপত্রে জাতীয়তাবাদী হুজুগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়। স্বদেশ পর্যায়ের গানে বলছেন, ""ওরে, তোরা নেই বা কথা বললি,/দাঁড়িয়ে হাটের মধ্যিখানে নেই জাগালি পল্লী।।/মরিস মিথ্যে বকে ঝকে, দেখে কেবল হাসে লোকে,/নাহয় নিয়ে আপন মনের আগুন মনে মনেই জ্বললি।।'' আবার চার অধ্যায়ের অতীন দেশের মানুষের উপর দেশপ্রেমের বন্যার বিধ্বংসী প্রভাব সম্পর্কে সচেতন। ভূরি ভূরি প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ এই (দেশ)প্রেমে অন্ধ জাতির প্রতি কখনও শ্লেষ, কখনও হতাশা আবার কখনও ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন। আত্মশক্তির সাধনা রবীন্দ্রনাথের কাছে এক জরুরি শর্ত, তা সে নিজের বা দেশের বা দশের, যারই "ভালো করা'র জন্যে হোক না কেন। চরকার মাতামাতি ও তার স্বরাজ এনে দেবার প্রতিশ্রুতি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঘোরতর সন্দিহান। "ছেলে-ভোলানো ছড়ায় বাংলাদেশে শিশুদেরই লোভ দেখানো হয় যে, হাত ঘুরোলে লাড়ু পাবার আশা আছে কিন্তু কেবল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাত-চালানোর দ্বারা মনের নিশ্চলতার অভাব পূর্ণ হয়ে দৈন্য দূর হবে, স্বরাজ মিলবে, এমন কথা বয়:প্রাপ্ত লোকদের বলা চলে না। বাইরের দারিদ্র্য যদি তাড়াতে চাই তা হলে অন্তরেরই শক্তি জাগাতে হবে বুদ্ধির মধ্যে, জ্ঞানের মধ্যে, সহযোগিতা-প্রবর্তক হৃদ্যতার মধ্যে।' (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,কালান্তর সংকলনের "চরকা' প্রবন্ধ থেকে)।

    বলা বাহুল্য চরকা বা এই ধরণের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের [ফক্ষতশধ ড়ষরয়ঢ়ভষশ ]হয়ে ওঠার সমালোচনা করার জন্যে রবীন্দ্রনাথকে কম তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়নি। সব যুগেই কর্মকান্ডের উপরে জ্ঞানকান্ডকে (কিম্বা কান্ডজ্ঞানকে) বসাতে গেলেই তাকে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বইতেই হয়, রবীন্দ্রনাথকেও হয়েছে। কালান্তরেরই আরেক রচনা "স্বরাজসাধন'-এ রবীন্দ্রনাথ এই তিরস্কারের অবশ্যম্ভাবিতাকে চিনতে পারছেন, "বহুকাল থেকে আমাদের ধারণা ছিল স্বরাজ পাওয়া দুর্লভ এমন সময়ে যেই আমাদের কানে পৌঁছল যে, স্বরাজ পাওয়া খুবই সহজ এবং অতি অল্পদিনের মধ্যেই পাওয়া অসাধ্য নয় তখন এ সম্বন্ধে প্রশ্ন তুলতে বিচার করতে লোকের রুচি রইল না। তামার পয়সাকে সন্ন্যাসী সোনার মোহর করে দিতে পারে এ কথায় যারা মেতে ওঠে তারা বুদ্ধি নেই বলেই যে মাতে তা নয়, লোভে পড়ে বুদ্ধি খাটাতে ইচ্ছে করে না বলেই তাদের এত উত্তেজনা।' প্রত্যাশিতভাবেই (রবীন্দ্রনাথের কাছে, আমাদের কাছে এই সময়ে দাঁড়িয়ে "রবি ঠাকুরের' সম্পর্কে অপ্রত্যাশিতই বলতে হবে) আনন্দবাজার পত্রিকা, অমৃতবাজার পত্রিকা, বম্বে ক্রনিক্‌ল্‌ ইত্যাদি খবরের কাগজে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে রবীন্দ্রনাথের এই আপাত রাষ্ট্রদ্রোহী অবস্থান নিয়ে নিয়মিত সমালোচনা, তিরস্কার বা তার সমাজ-দেশ বিষয়ে জ্ঞান সম্বন্ধে কটাক্ষ করা হত। বলা হত, রবীন্দ্রনাথ এই ব্যাপারটা বোঝেন না, যুক্তির ধার ধারেন না, শিশুসুলভ কথা বলেন, অযথা শক্তির অপব্যয় করছেন, কবিতায় তাঁর যত খ্যাতি সমাজ-বিশ্লেষণে সেই পরিমাণ খ্যাতি পান না বলে অন্যের শ্রম, ভাবনা, চেষ্টাকে বিদ্রুপ করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

    রবীন্দ্রনাথের রচনা থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলি জড়ো করার একটি কারণ হলো, আমাদের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারের উপর থেকে বিস্মৃতির ধূলো সরিয়ে পলেমিকাল/ক্রিটিকাল হবার দায় সম্পর্কে নিজেদেরই একটু মনে করিয়ে দেওয়া। স্বাধীনতার বাৎসরিক রিচুয়াল পালনের ফাঁকে একথা মনে রাখা ভালো যে প্রাক-স্বরাজ যুগের বাদ-বিতর্ক সম্পর্কে জানা, চর্চা করা আজকেও সমান জরুরি। কারণ স্বরাজের চেহারা বদলে স্বাধীনতা হয়ে ওঠার সুযোগে কর্তা ভূত হয়ে আমাদের ঘাড়ে চেপে আছে কিনা সে নিয়েও আমাদের সচেতন থাকা দরকার।

    ""মোদ্দা কথাটা হচ্ছে, বুড়ো কর্তা বেঁচেও নেই, মরেও নেই, ভূত হয়ে আছে। দেশটাকে সে নাড়েও না, অথচ ছাড়েও না। দেশের মধ্যে দুটো-একটা মানুষ, যারা দিনের বেলা নায়েবের ভয়ে কথা কয় না, তারা গভীর রাত্রে হাত জোড় করে বলে, "কর্তা, এখনো কি ছাড়বার সময় হয় নি।' কর্তা বলেন, "ওরে অবোধ, আমার ধরাও নেই, ছাড়াও নেই, তোরা ছাড়লেই আমার ছাড়া।' তারা বলে, "ভয় করে যে, কর্তা।' কর্তা বলেন, "সেইখানেই তো ভূত'।'' (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লিপিকা সংকলনের "কর্তার ভূত' গল্পে)

    আমাদের স্বরাজিয়া সাধন ১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট সম্পন্ন হয়নি, এমনকি আজও হয়নি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ আগস্ট ২০১১ | ১০৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন