সঞ্জীব মাথুর থাকেন মুম্বাই, জুহু বীচে। ফিল্ম প্রোডিউসার তিনি। বিশাল তিনতলা বাংলো তাঁর, যার মুল্য প্রায় ২০০ কোটি। ব্যালকনি থেকে সমুদ্র দেখা যায় স্পষ্ট। বাড়িতে ৫টা দামী গাড়ি – রোলস রয়েস, ল্যাম্বরঘিনি, মার্সিডিজ, বেন্টলে - এরকম সব। পরিবারে আছেন স্ত্রী সুনীতা, আর দুই ছেলে আর এক মেয়ে – আরিয়ান, আরভ ও কিয়ারা। সঞ্জীবের বয়স এখন ৫৫। বাড়িতে কাজের লোক ১৫ জন। তাঁদের নানা দায়িত্ব। কেউ রান্নাঘর সামলান, কেউ লন্ড্রি, কেউ ঝাড়া-মোছা, কেউ বাগানের দেখভাল, কেউ কুকুরের দেখাশোনা আর কেউবা গাড়ির ড্রাইভার। বাড়িতেই সুইমিং পুল আছে ছাদের একপাশে। বাড়ির সদস্যরা সেখানে সাঁতার কাটেন অবসর সময়ে। এছাড়া সঞ্জীবের প্রাইভেট জেট আছে যাতে চড়ে তিনি সপরিবারে মাঝে মাঝে লন্ডন, নিউইয়র্ক, প্যারিস, জেনেভা, রোম –এসব জায়গায় বেড়িয়ে আসেন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা। শেয়ার বাজারে নিয়মিত কেনাবেচা করেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বিখ্যাত মানুষ তিনি। বহু নামি দামি অভিনেতার সঙ্গে বন্ধুত্ব। মাঝে মাঝেই পার্টিতে দেখা হয়। আলোচনা হয়, কোন কোম্পানির শেয়ার এখন ভাল করছে বা পরের ফিল্মটাতে কত কোটি টাকার বাজার হবে অথবা লন্ডনে একটা বড় বাড়ির এখন কত দাম ইত্যাদি। এইসব পার্টির বাকি মানুষজনও সমগোত্রীয়। তাদেরও প্রচুর সম্পত্তি, তাদেরও ভাবনা চিন্তা এইসব বিষয়কে ঘিরেই আবর্তিত হয়।
সুনীতার একজন গুরুদেব আছেন উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে। সুনীতা বছরে দুবার গুরুদেব দর্শনে যান সপরিবারে। সঞ্জীবের বিশেষ আগ্রহ নেই এই সব আধ্যাত্মিক বিষয়ে। স্ত্রীকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য তিনি যান গুরুদেবের আশ্রমে। অনেক দান-ধ্যান করেন সেখানে, আর আশ্রমের নিত্যপূজা ও আরতির সময় উপস্থিত থাকেন চার–পাঁচ দিন।
এবারে সুনীতারা গেলেন এপ্রিল মাসে গুরুদেবের কাছে। আগে থেকে চিঠি লিখে জানিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা আশ্রমে। আশ্রমের পরিবেশ অতি সাধারণ। সাধারণ ঘরে সাধারণ মানুষের মত থাকতে হয়। এসি বা আর কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেই সেখানে। সুনীতারা চার-পাঁচ দিন কাটিয়ে যান প্রতিবার যখন আসেন। পুজোর সাদামাটা ভোগ গ্রহণ করতে হয় তাঁদের সেখানে। সুনীতার কোনও অসুবিধে হয় না সেখানে। কিন্তু সঞ্জীব ও তাঁর ছেলেমেয়েরা খুব অসুবিধে বোধ করেন। বিলাস-বহুল জীবনে অভ্যস্ত তাঁরা। আশ্রমের এই অনাড়ম্বর জীবনে অসুবিধে তো হবেই।
সুনীতাদের সঙ্গে আলাপ হল বর্ধমানের জামুরিয়া থেকে আসা এক বাঙালি পরিবারের এই আশ্রমে। বিশ্বনাথবাবু এসেছেন তাঁর স্ত্রী ছন্দা ও মেয়ে গুঞ্জাকে নিয়ে। ওঁরা সপরিবারে গুরুদেবের কাছে দীক্ষিত প্রায় ১০ বছর ধরে। ওদের মেয়ে গুঞ্জার বয়স এখন ১৮ বছর। ওঁরা খুব ভক্ত মানুষ। বিশ্বনাথবাবুর একটা মুদির দোকান আছে জামুরিয়াতে। আর আছে একটা পৈতৃক ভিটে, যেখানে দুটো মাত্র টালির ঘর। একফালি বারান্দার একপাশে রান্নার ব্যবস্থা। উঠোনে একটা কুয়োতলা আর একটা বাথরুম। দুটো টালির ঘরের একটা ঘর তাঁদের শোবার ঘর আর অন্যটা পুজোর ঘর। ছন্দা ঘরকন্না সামলান আর গুঞ্জা পড়ে স্কুলে, দ্বাদশ শ্রেণি। বিশ্বনাথবাবুর মুদির দোকান মোটামুটি চলে। যা আয় হয় তাতে তিনজনের কষ্টেসৃষ্টে চলে যায় কোনমতে। সঞ্চয় একেবারেই নেই। কিন্তু কোন উদ্বেগও নেই বিশ্বনাথবাবুর ভবিষ্যৎ নিয়ে। বলেন, ‘ঠাকুর চালিয়ে নেবেন ঠিক। আমি শুধু শুধু ভেবে কী করব’? প্রতিদিন সকাল-সন্ধে তিনজনে ঠাকুর ঘরে বসে পুজা-আচ্চা, ধ্যান-জপ করেন। বাকি সময় যে যার মতো কাজে ব্যস্ত থাকেন।
বিশ্বনাথবাবুর পরিবারের সঙ্গে আলাপ হয়ে সুনীতা ও সঞ্জীব খুব অবাক হয়ে যান। ওঁরা ভাবতে থাকেন এত সামান্য অর্থে এঁরা কীভাবে জীবনধারণ করে আছেন। সঞ্জীব ভাবেন, ‘আমার এত টাকা থেকেও মনে হয় যথেষ্ট নয়। সর্বদা চিন্তা আরও রোজগার কীভাবে করা যায়। আর বিশ্বনাথবাবু কীভাবে এত নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছেন নামমাত্র অর্থ নিয়ে? রহস্যটা কী?’
পরদিন সঞ্জীব গুরুদেবকে জিজ্ঞাসা করেন এই রহস্যের কথা। গুরুদেব বলেন, ‘অভাব ব্যাপারটা আপেক্ষিক। অভাব আর অভাব বোধ দুটো ভিন্ন জিনিষ। তোমার অভাব নেই, কিন্তু অভাব বোধ রয়ে গেছে। আর বিশ্বনাথের অভাব বোধ নেই, অভাব থাকা সত্ত্বেও। তোমাদের দুজনের জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি খুব আলাদা। বিশ্বনাথ অল্পেই সন্তুষ্ট। ওর লোভ নেই। জীবন থেকে ওর চাওয়ার কিছু নেই। আর তোমার লোভ অসীম। জীবন থেকে চাওয়া তোমার কখনো শেষ হয় না। তুমি শুধু অর্থের পেছনে ছুটে চলেছ, যা আসলে মায়া। এই মায়ার বন্ধন না কাটাতে পারলে তোমার মুক্তি নেই। বিশ্বনাথ এই মায়া থেকে অনেক মুক্ত। তাই আধ্যাত্মিক জীবনে ও অনেক এগিয়ে গেছে’।
গুরুদেব বলে চলেন, ‘বিশ্বনাথের মেয়ে আর একটু বড় হলে আরও কঠিন সাধনপথে অগ্রসর হবে। ওর জন্য ভেবে রেখেছি আকাশবৃত্তির কথা। আকাশবৃত্তি হল সেই সাধনা যেখানে সব কিছু ত্যাগ করে ঈশ্বরকে আশ্রয় করে দিন কাটাতে হয়। ঈশ্বর যেদিন যেমন দেবেন তাই নিয়েই দিন কাটাতে হয়। কোনও নির্দিষ্ট রোজগার থাকবে না এই পথে, থাকবে না কোনও সঞ্চয়। শুধু ঈশ্বরের চিন্তায় দিন যাপন আর তাঁর সাধন ভজন নিয়ে মেতে থাকতে হয় এতে। অনেক সাধক এই পথের পথিক হয়েছেন আগে। দেখা গেছে, ঈশ্বরের ওপর যখন পূর্ণ বিশ্বাস এসে যায়, ঈশ্বর তাঁর ভক্তের দায়িত্ব নিজ হাতেই তুলে নিয়েছেন’।
‘ঈশ্বরে পূর্ণ বিশ্বাস এসে গেলে এই মায়ার সংসার তুচ্ছ হয়ে যায়। অর্থের পেছনে আর দৌড়ে বেড়াতে হয় না। যা তোমার প্রয়োজন, ঈশ্বর ঠিক সেটা যুগিয়ে দেবেন। সঞ্জীব তুমি মায়ার আবরণ থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে এসো এবার। বিশ্বনাথকে দেখে শেখো। কত অল্প অর্থ লাগে জীবনযাপনের জন্য, একবার ভেবে দেখো। তুমি গরিব মানুষের জন্য তোমার অর্থ দান করো। শুধু নিজের ভোগের জন্য অর্থব্যয় কোরো না। পরকালের জন্য একটু চিন্তা কর। ইহসর্বস্ব জীবনযাপন কোরো না। মৃত্যুর পরে তোমার কোনও সম্পত্তি সঙ্গে যাবে না। কিন্তু তুমি মানুষের উপকার করলে তোমার সুনাম পৃথিবীতে থেকে যাবে চিরকাল’।
সুনীতা ও সঞ্জীব ভাবতে থাকেন গুরুদেবের কথাগুলো। জুহুর বাংলোতে ফিরে এসেও ওঁদের ভাবনার মধ্যে থেকে থেকেই উদয় হয় গুরুদেবের কথাগুলো। সঞ্জীব ভাবে, ‘টাকার চিন্তা ছেড়ে কীভাবে বাঁচব? আমি তো বিশ্বনাথের মত দীনহীন হয়ে বাঁচতে পারব না’।
এমন সময় খবর আসে রিলায়েন্স পেট্রোলিয়ামের শেয়ার দর তিনগুণ হয়ে গেছে। সঞ্জীব ঐ শেয়ারগুলো কিনেছিলেন ১২০ টাকা দরে প্রতিটি, দুবছর আগে। সঞ্জীবের কাছে ২০০০০ শেয়ার ছিল ঐ কোম্পানির। ব্রোকারকে বলে সঞ্জীব তাড়াতাড়ি সেগুলি বিক্রি করে দেন। মনে মনে হিসাব করেন সঞ্জীব কত লাভ হবে এবার। এছাড়া আরও কয়েকটা কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রচুর লাভ হয় সঞ্জীবের। ভাবতে থাকেন, ‘একটা ফেরারি কিনতে হবে আরিয়ানের জন্য। ছেলেটার অনেকদিনের শখ এই গাড়িটার’। সঞ্জীব ভাবতে থাকেন, ‘এখনও অনেক টাকা রোজগার করতে হবে। এখনও অনেক স্বপ্ন পূরণ বাকি আছে। সুনীতার গুরুদেবের কথায় বেশি মন দেওয়ার দরকার নেই। জীবন একটাই, একে পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করতে হবে। ঈশ্বর, যাঁকে দেখা যায় না, তাঁর কথা ভেবে বিশ্বনাথবাবুর মত সর্বত্যাগী হওয়াটা বোকামি। আমার আরও চাই, আরও চাই, আরও অনেক চাই। এই মায়ার সংসারেই মগ্ন হয়ে আমি বাঁচতে চাই। আমাকে উজাড় করে দাও, হে ঈশ্বর! হে ঈশ্বর, তুমি কে আমি জানি না। তোমার এই মায়ার সংসারে আকণ্ঠ পান করে আমি তৃপ্ত হতে চাই। আমাকে তৃপ্ত কর, মুক্ত কোরো না। আমার আকাঙ্ক্ষা আমাকে এগিয়ে নিয়ে চলুক সেই স্বর্গে যেখানে কুবেরের ধন সঞ্চিত আছে। আমায় বিভ্রান্ত কোরো না, হে ঈশ্বর। আমার প্রার্থনা পূর্ণ করো হে সর্বশক্তিমান’।
কিন্তু সুনীতা মাঝে মাঝেই অন্য কথা বলতে থাকেন উত্তরকাশী থেকে ফেরার পরে। সুনীতা বলে্ন সঞ্জীবকে, ‘তোমার নেশা ধরে গেছে টাকা রোজগারের। মানুষের জীবনে একটা নেশা থাকা দরকার বেঁচে থাকার জন্য। অনেকেরই নেশা খ্যাতি অর্জন। লেখাপড়ার জগতে পণ্ডিত হিসেবে খ্যাতি, কারোর নেশা সঙ্গীতের জগতে শ্রেষ্ঠ হওয়া, কারোর নেশা রাজনীতিতে নাম করা। এই নেশা মানুষকে ঠেলা দেয় সামনে এগিয়ে চলার। বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম ওঁর নেশা হল ঈশ্বরলাভ এই জীবনেই। এটাকে মনে হতে পারে পাগলামি বলে। কিন্তু আমার মনে হয় বিভিন্ন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাই আমার কাছে বিশ্বনাথবাবুর উদ্দেশ্যটা অর্থহীন মনে হয় না। আমি তোমার এই বিশাল সম্পত্তি আর অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাই না আজকাল। আমার থেকে থেকে মনে পড়ে আমার বাবার ছোটবেলার কথা। কী কষ্ট করে পড়াশোনা করেছিলেন আমার বাবা। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর গ্রামে বাবারা থাকতেন। সেখান থেকে শ্রাবস্তি যেতেন দশ মাইল সাইকেল চালিয়ে একটা স্কুলে পড়তে। বাড়িতে এত অভাব যে দুবেলা পেট ভরে খেতে পেতেন না। কতদিন খিদে পেলে শুধু জল খেয়ে পেট ভরাতেন। চার-ভাইবোনের সংসারে আমার দাদু খেত মজুরের কাজ করে কোনমতে তাদের দুমুঠো খাবার যোগাতেন। কিন্তু বাবার অদম্য উৎসাহ ছিল লেখাপড়ায়। গ্রামের স্কুল থেকে পাশ করে শহরে এসে কলেজে পড়লেন, তারপর ইউনিভার্সিটিতে পড়লেন। তারপর একটা কোম্পানির সুপারভাইসারের চাকরি দিয়ে জীবন শুরু করলেন। নিজের দক্ষতায় ম্যানেজার হলেন কিছুদিন পরে, ক্রমে উন্নতি করে ডিরেক্টর হলেন সেই কোম্পানির। বাবার এই লড়াইটা আমাকে ভাবায়। মনে হয় গ্রামের ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু একটা করা দরকার। তোমার এত টাকা, তার একটা ছোট অংশ যদি আমি খরচ করি বাবার গ্রামের ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুলবাসের ব্যাবস্থা করে, আর কিছু শিক্ষক রেখে, তাতে কি তোমার সম্মতি থাকবে? আমার খুব ইচ্ছে হয় এরকম কিছু করার জন্য। আমার মনে হয় টাকা রোজগার আর নিজেদের বিলাস-ব্যসনে তা খরচ করার মধ্যে একটা স্বার্থপরতা আছে। সমাজের গরিব মানুষের জন্য একটু কিছু করা দরকার আমাদের। গুরুদেবের কথাগুলো আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে ভেতর থেকে। আমার বাবার ওই অভাবের মধ্যে থেকে লড়াই করে বড় হয়ে ওঠার মধ্যে আমি খুঁজে পাই আমার শিকড়। আজ ঈশ্বর আমাদের এত দিয়েছেন, তার কিছুটা অন্তত ফিরিয়ে দেওয়া দরকার গরিব মানুষের কল্যাণে। তোমাকে আমি এই কাজে পাশে পেতে চাই। তুমি থাকবে না আমার পাশে?‘
সঞ্জীব কখনও সুনীতার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। সঞ্জীব বলেন, ‘তোমার যদি এরকম ইচ্ছে থাকে তাহলে আমরা একটা ট্রাষ্ট তৈরি করি যার মাথার ওপর তুমি থাকবে। আরও অন্যান্য কিছু বিশ্বস্ত মানুষকে রাখব সেই ট্রাষ্টে। তোমরা তোমার বাবার গ্রামের স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য কাজ শুরু করো। দরকারমতো স্কুল বিল্ডিং সম্প্রসারণ করো, ভাল শিক্ষক নিয়োগ করো, আর স্কুলবাসের ব্যবস্থা কর ছেলেমেয়েদের জন্য। এই ট্রাষ্টটা হবে সুনীতা তোমার বাবার নামে, তাঁর লড়াইকে শ্রদ্ধা জানাতে’।
‘সুনীতা, তুমি আমাকে নতুনভাবে বাঁচতে শেখার পথ দেখালে। তোমার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বনাথবাবুর মত সর্বত্যাগী হয়ে ঈশ্বরের খোঁজে যেতে পারব না। কিন্তু গরীব মানুষের জন্য কিছু একটা করে যদি ঈশ্বরের কাছাকাছি যাওয়া যায়, তার চেষ্টা করব। সুনীতা, তুমি টাকার জন্য ভেবো না। তোমার ট্রাষ্টের টাকার ব্যবস্থা আমি করে দেব। আমি টাকার নেশায় মশগুল ছিলাম। জীবনের উদেশ্য নিয়ে ভাবিনি কখনো। সুনীতা, তুমি আমার অন্তরাত্মার চেতনা জাগিয়ে তুললে। তোমার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ‘।
দু’বছর পরে.........।
বলরামপুর গ্রামে মাধব মেমোরিয়াল স্কুল চালু হল গ্রামের ছেলেমেয়েদের জন্য। বলরামপুর উত্তরপ্রদেশের খুব পিছিয়ে পড়া একটি গ্রাম। গ্রামবাসীরা বেশিরভাগই খেটে খাওয়া মানুষ। বেশিরভাগ মানুষেরই সেখানে নিজস্ব জমি জায়গা নেই। গ্রামে স্কুল হওয়াতে তাঁরা খুব খুশি। গ্রামবাসীরাও তাদের সামান্য রোজগারের অংশ দান করতে থাকলেন মাধব মেমোরিয়াল ট্রাষ্টে। চোখে তাদের অনেক স্বপ্ন ছেলেমেয়েদের নিয়ে। অনেক আশা নতুন দিনের জন্য। আরব সাগরের ঢেউ ভাসিয়ে দিল এক প্রত্যন্ত গ্রামের পথচলা সুদূর দিগন্তের পানে, যেখানে আকাশকে ছোঁয়া যায় হাত বাড়িয়ে, যেখানে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ফিরে ফিরে হাঁকে, ‘আয় রে ভোলা খেয়াল-খোলা, স্বপনদোলা নাচিয়ে আয় ..................
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।