সেদিন পড়েছিলাম এক ক্ষ্যাপাটে ঝড়ের পাল্লায়। ওজু করে আছরের নামাজে যাবো, বাতাস ওঠা দেখে গন্তব্য বদলে উঠে পড়লাম ছাদে। ঘুড়িটা লাটাইসহ ছাদে ইট-চাপা দেওয়া ছিল। এমন ফুরফুরে বাতাস না হলে আমি ঘুড়ি ওড়াতে পারি না। পাড়ার অন্য ছেলেরা এ ব্যাপারে ওস্তাদ। বাতাস একফোঁটা না থাকলেও কি করে যেন ওরা ঘুড়িকে হেলেপড়া আকাশের গায়ে ঠিকই দাড় করিয়ে ফেলে! হিংসা করার মতো ঘুড়িবিদ্যা ওদের। আমার ভরসা এই বাতাসটুকুই। ঘুড়িটা কেবলই ছেড়েছি, বাঁশবাগান ডিঙিয়ে পুকুরটার ওপর উদোম মাঠে কচি বাবলাগাছের মতো ডানে-বামে দুলছে। বাতাসের বেগটা বাড়ার সাথে সাথে লেজটা গেল খসে, ঘুড়িটা চক্কও খেতে খেতে খানিকটা নেমে পড়লে সুতোটা বাঁশঝাড়ের কঞ্চিতে গেল আঁটকে। বাতাসের যে গতি, টান দিই আর না দিই সুতোটা কাটবেই। লাটাইটা ইটের সাথে পেঁচিয়ে বেঁধে রেখে দিলাম ছাদের কার্নিশে। বাড়িতে অনেকগুলো ক্যালেন্ডার আছে, ঝাঁটার খিল আর পুটা বাবলার আঠা দিয়ে নতুন একটা বানানো ওয়ান-টুর ব্যাপার। পুটা বাবলা না পাড়তে পারলে ভাত ডলে ডলে বা সজনে গাছের আঠা দিয়ে অস্থায়ীভাবে কাজ চালিয়ে নেয়া যাবে। আর সুতোর জন্য আছে মায়ের সেলাইয়ের বাকশো। মিলা বু তো আর এমনি এমনি আমাকে সুতোচোর বলে ডাকে না! তাই ঘুড়ি আর সুতোর জন্যে কোনো আফসোস না করে নেমে এলাম সিঁড়ির তলের ছোট্ট কক্ষটিতে। এমন ঝড় উঠলে আমি সেখানে বাবার টর্চটা নিয়ে চুপচাপ বসে থাকি। একটা ভাঙা চৌকি আছে, কেলে পাটিপাড়া ওপরে।
আমি ভয়ে জড়সড় হয়ে বসে থাকি যেন সমস্ত ঝড়ের কারণ আমি। আমাকে খুঁজতেই প্রকৃতির এই তাণ্ডব! অথচ এই ঝড় সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না আমার। জানতাম কেবল, এই ঝড় সৃষ্টির পেছনে আমার কোনো হাত নেই। জানতাম, আমাকেই খোঁজা হচ্ছে এখন। যতক্ষণ ঝড়ো বাতাস বইতো, ততক্ষণ আমি ঘামতে থাকতাম এই জানালাবিহীন গুমোট কক্ষে। এত ঝড় বাইরে অথচ এখানে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো বাসাটুকুও কষ্ট করে সঞ্চয় করতে হয়। মাথার ওপর দিয়ে কয়েকটি চামচিকা অনবরত যায়-আসে। ভয় হয়, ওরা শেষমেশ এই গোপন আস্তানার খবরটা ঝড়ের কাছে ফাঁস করে না দেয়। টিকটিকিটাকেও চোখ শাসিয়ে বারণ করে দিই।
মাকড়সা দেখলেই মনে পড়ে যায় স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুসের কথা। আচ্ছা, ব্রুস যদি ঐ মাকড়সার প্রচেষ্টাকে গুনুত্ব দিয়ে না দেখতেন, কিংবা মাকড়সা যদি সত্যি সত্যি সেদিন না থাকতো ওখানে, তাহলে কি তিনি জয়ী হতে পারতেন? একটা মাকড়সার কারণেই কি তিনি তার রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে পারলেন--বদলে গেল একটা দেশের ইতিহাস? বিজ্ঞানী নিউটনের কথাও মনে পড়ে। আপেল সবসময় নিচেই পড়েছে; কতজনের মাথায় যে পড়েছে তারও ইয়ত্তা নেই। কিন্তু নিউটনের সামনে পড়ার পরপরই ঘটে গেল বিজ্ঞানের ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা। আপেলটা আকাশে না গিয়ে মাটিতেই পড়ল কেন--নিউটন যদি না ভাবতেন তাহলে কি কোনোদিন মাধ্যাকর্ষণ বলের তত্ত্ব আবিষ্কৃত হতো? হলে কিভাবে হতো? সেই সম্ভাব্য গল্পটা কি ভাবা যেতে পারে এখন? ভাবতে ইচ্ছে করে কিন্তু কিছুই ভাবতে পারি না। কেবলই মনে হয়-- আমার সামনে এমন কোনো মোক্ষম আবিষ্কার ওঁত পেতে নেই তো? আমি কি তবে এড়িয়ে যাচ্ছি কোনো ব্যাপক বিস্ময়কর সম্ভাবনাকে? আমি কি নিউটনের আসনে বসে আপেলটা কুড়িয়ে নিয়ে খেতে খেতে অন্যবিষয় ভাবছি? কিংবা রবার্ট ব্রুসের সেই মাকড়সার কাণ্ড দেখে হেসে চলেছি বোকার হাসি। অথবা আদৌ ভাবনাতেই নেই এই মাকড়সা কিংবা আপেল? আমি এখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করি সবকিছু। নিশ্চয় আমারও কিছু আবিষ্কার করার আছে। হুজুর গত জুম্মার খুতবায় বলেছেন, ‘প্রত্যেক মানুষ পৃথিবীতে আসে একটা মকছদ নিয়ে।’ বড়ভাই তার প্রাইভেট ছাত্রদের পড়াচ্ছিলেন কোনো এক রবিবারে--‘এভরি ম্যান ইজ ডেসটাইন্ড টু বি সামথিং।’
কিন্তু কি সেটা আমি কেমন করে বুঝবো? নিউটন কি আপেলটা হাতে তুলে নেওয়ার সময় ভেবেছিলেন, এটাই তাকে ভাবতে হবে? এটাই তার মকছদ? ডেসটিনি?
চারিদিকে যা কিছু দেখি, কেবলই সন্দেহ হয় আজকাল। সবকিছু বাইরে জানাজানি হওয়ার ভয়ে। ওরা কেউ আর শেষপর্যন্ত বলে দিত না আমার গোপন অবস্থানের কথা। তবে একদিন সত্যি সত্যি কেউ একজন ফাঁস করে দিয়েছিল। সম্ভবত টিকটিকির দলের কেউ। আমি ওদের কোনোদিন তেমন পাত্তা দিইনি। ওরা আমাকে সবসময় সন্দেহের চোখে দেখত, এই কারণেই হয়ত একদিন ওদের দলনেতাকে ইচ্ছে করেই খুন করেছিলাম। গুরুতর কোনো কারণ ছিল না; সম্পূর্ণ সন্দেহের বশে। আরও একজন ছিল আমার সন্দেহের তালিকায়--আমার বছর তিনেকের বড় বোনটা। ও সবকিছুতেই খালি আমাকে সন্দেহ করতো। একদিন, ওই দেখেছিল, চুপিচুপি গোপন আস্তানায় আমার অভিসারের ঘটনাটা। সেদিন তুমুল বৃষ্টি। সারাদিন ধরেই। আমিও দিনমান বের হই না আমার আস্তানা থেকে। এমন বৃষ্টি কিংবা ঝড়ে স্বভাবতই আমার ডাক পড়ে না। সেদিন পড়েছিল। বৃষ্টি থেমে এলে মা নিচে চালডাল রাখার গোডাউন ঘরে আত্মহত্যার জন্য কপাট দিয়েছিল। কারো অনুরোধ শুনছিল না। খুঁজে খুঁজে আমাকে বের করা হল। আমি তখন সবে প্যান্টের ভেতর হাতটা ঢুকিয়েছি। বোনটা তখনই এলো ভেতরে। আমি বাড়ির ছোট ছেলে। আমাকে শিখিয়ে দেওয়া হল--‘মা, বের হও। আমার প্যাট জ্বলছি। ক্ষুধা পেয়িছে।’--এইটুকুই। মাকে ফেরাতে পৃথিবীর কোনো সন্তানেরই এর চেয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না হয়ত। আমার তখন ভরা পেট। একটু আগে মেজভাইয়ের টেবিলে রাখা পাউরুটিটা গোপনে খেয়ে এসেছি। সাথে একটা কলাও। তবুও মিথ্যাটা আমাকে বলতে হবে। আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। যদি শেখানো কথা গুলিয়ে ফেলি আর মা সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করে বসে? কিছুক্ষণের জন্য আমার ওপর যেন মায়ের বাঁচা-মরা নির্ভর করছে। আমি অতিরিক্ত মানসিক চাপে কিছু বলার আগেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেললাম। মা বেরিয়ে আসল ভেতর থেকে। তখন বুঝলাম, মাকে ফেরাতে কিছু বলার প্রয়োজন নেই, একটু কাঁদলেই হয়। পৃথিবীর সব মা সন্তানের কান্না শুনে ফিরে আসেন এমনি করেই। মা আমার মাথায় হাতটা রেখে বললেন, ‘ভয় করিসনি, এ জীবন খুয়িছি, আত্মহত্যা করি পরকালটাও খুয়াবো না। খালি একটু একা থাকতি চেয়িলাম।’ একা থাকতে চাওয়া এ বাড়ির মানুষগুলোর এত খায়েশ কেন বুঝি না। বড়ভাইয়ের ঘরে গেলেই বলে, ‘একটু একা থাকতি দে-তো!’ সেজো বোনেরও একই কথা। সদ্য স্বামীহারা হয়ে ও এ বাড়িতে উঠেছে। মিলা বুর ঘরে মেঝেতে ঘুমায়। মিলা বু আর একা থাকতে পারে না বলে মনখারাপ করে আমার মতো নিজের জন্য গোপন আস্তানা খুঁজছে বলে জানি। বাবা তো মসজিদে একা একাই থাকেন সবসময়। একা থাকবেন বলে জামাতে নামাজ আদায় করেন না। সবাই নামাজ পড়ে বের হয়ে এলে তিনি ওজু করতে বসেন। বাড়িভর্তি মানুষ বলেই কি সবার একা থাকার অসুখ?
সেদিন সন্ধ্যায় খানিক পর ঝড়টা থামল। আমি বের হয়ে দেখলাম অন্য একটা ঝড় শুরু হয়েছে বাড়ির উঠোনে। বাবা-মায়ের ভেতর বেঁধে গেছে তুমুল। বাবা শোওয়ার ঘরের হুড়কোটা হাতে নিয়েছেন। এই হুড়কোটাই বাকি আছে ভাঙতে। কোনোদিন ভাঙবে বলে মনেও হয় না। আমি লুকিয়ে লুকিয়ে কয়েকবার চেষ্টা করেছি। খুব শক্তপোক্ত-পিচ্ছিল--করাতের দাঁতগুলো কেবলই বেঁকে যায়। আজও মা হয়ত চিলের ছোবলে আহত কবুতরের মতো ঝাপটাকে ঝাপটাতে গোডাউন ঘরে খিল দিয়ে একা করবে নিজেকে। আত্মহত্যা করবে বলে ভয় পেয়ে ডাক পড়বে আমার। আমার গোপন এই আস্তানাটা কারোরই আর অজানা নয়। হুড়কোটা শক্ত করে ধরেন বাবা। আমি ছুটে ফিরে আসি আমার একান্ত স্থানে। এখানে থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধাটা হলো বাইরের কোনো আওয়াজ আসে না। নৈঃশব্দ্যের ভেতর দ্রিম দ্রিম করে আমার কানের মধ্যে বাড়ি মারে কেউ একজন। আমি তাকে অন্যকথা বলে ভোলাতে চেষ্টা করি। সকালে ছাদের ওপর শুয়ে শুয়ে স্বপনের মায়ের, মানে বড়চাচির কাপড় বদলানো দেখেছি। শায়াটা বদলাতে গিয়ে একঝলক চোখে পড়েছে। দূর থেকে অস্পষ্ট। মনে মনে একটু ডিটেইলে ধরার চেষ্টা করি। একটা হাত চলে যায় প্যান্টের ভেতর। পিঁপড়েগুলো টের পেয়ে দেয়ালের ওপাশ থেকে সারিবদ্ধভাবে যাত্রা করে। ওদের দলনেতাকে চোখে পড়ে বাবার টর্চের ফুরিয়ে আসা আলোয়।
মানুষ কি শ্রদ্ধায় কোনো পিঁপড়েকে পথ ছেড়ে দাঁড়িয়েছে কখনো?
আমার তখন আমগাছে ওঠার বয়স। উঠোনের ডাবগাছের সিকি অংশ উঠতে পারি। মাগরিবের ওয়াক্ত, পেছনের বাঁশবনে ঘরে-ফেরা পাখিদের ঝড়ো-উল্লাস। মা কণ্ঠে বাঁশির সুর তুলে কোরান পাঠ করছেন মাঝের ঘরে। উঠোনে গোলার আড়ালে বেশ্যা নারী বলে এ-পাড়ায় নিষিদ্ধ অসুস্থ সফেলা বসা। মা কোরানপাঠ শেষ করে বাবাকে লুকিয়ে ওকে খেতে দেবে। চাল-ডাল দেবে শাড়ির আঁচলে বেঁধে। আমি সিঁড়িঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে প্রকাশ্যে বিদায়ী আলোর অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার শিল্পটা রপ্ত করার চেষ্টা করছি। তখন আমি খুব মনে হত, কোনো একদিন আমিও আলোর মতো আস্তে করে নিঃশব্দে সরে যেতে পারবো, আবার ফিরেও আসতে পারবো তেমন শব্দহীন। আবছা আলোয় দেখলাম, পিঁপড়ের একটা ঝাঁক ঘরে ফিরছে। মুখে দিনের সঞ্চয়। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সবার চেয়ে স্বাস্থ্যবান পিঁপড়েটা। ওদের গোত্রপ্রধান। রাজা। আমি সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে ওকে পথ ছেড়ে দিলাম। ওই মুহূর্তে কয়েক হাজার পিঁপড়ের নেতার কাছে নিজেকে খুব নগণ্য-সামান্য বলে বলে মনে হয়েছিল। আজ যখন সেইরকম দলনেতাকে সামনে করে দলধরে ওরা এলো, আমার ইচ্ছে হলো সবকটাকে ধরে ধরে পিষে মারি। সবুর বলেছে, ওরা যেহেতু আমার ঘন হয়ে উঠতে থাকা বীর্জপান করে রোজ রোজ, ওদের পেটে যাদের জন্ম হয় তারা আমারই সন্তান। আমি তখন মজা পেয়ে হেসেছি। এখন মনে হচ্ছে সবুরের কথা ঠিকও হতে পারে। আজ সবগুলোকে একটা একটা করে টিপে মেরে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হন্তাকারী হতে চাই। প্যান্টের ভেতর থেকে হাতটা বের করেছি তখনই ন’বুউন এলো ল্যাম্প হাতে করে। আমি বুঝে গেলাম কি করতে হবে। আজ জখমটা সাংঘাতিক। বিল্লাহ ডাক্তারকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু গোডাউনের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ আসছে না। আমি গিয়ে দাঁড়ালাম দরজার এ-পাশে। আজ আর কান্না আসছে না ও-পাশ থেকে। বলতে ইচ্ছে করছে না মা খিদে লেগেছে কিংবা সামান্য মা ডাকটিও বের হচ্ছে না আমার ভেতর থেকে। সেজোবুউন পিঠে সজোরে একচাপড় মারল। ওতে যদি আমি কেঁদে ফেলি তো ভালো। গাছের মতো শক্ত শরীর এঁটে দাঁড়িয়ে রইল আমি। একদল পিঁপড়ে আমার দুপায়ের মাঝখান দিয়ে দলনেতাকে অনুসরণ করে দরজার সামান্য এক ছিদ্র দিয়ে চলে যাচ্ছে ভেতরে।
‘এই ঘরেই তুমার আগের তিন মা!’--এইটুকু বলে বিল্লাহ ডাক্তার থামে।
‘এজন্যিই তো এত ভয় চাচা!’ সেজোবোন ভেজাচোখে উত্তর করে। ‘আমার মাকে যেদিন আপনি দড়ি কেটি নামালেন, তেকুন আমার বয়স কত চাচা?’
‘উর মতোই।’ আমাকে দেখিয়ে উত্তর দেয় বিল্লাহ ডাক্তার।
‘আমার সব মনে আছে। মার তেকুন মুখ দি ফেনা উঠছিল।’ পেছন থেকে চোখ মুছতে মুছতে বলে মেজোবোন।
‘ভরা প্যাটে বিষ খেইলো তুমার মা। বাঁচাতি পারতাম। তুমার দাদি বুলল, মাগি ফের তো মেয়ি পয়দা করবি। আমার কি নাতিছেলির মুখ দেখা হবে না? এরপর কেউ একজন ঘর থেকি বের করি দিলু আমাকে। তুমার বড়ফুফা। তুমার মার কাছ থেকি কাউকি না বুলি কাপড়ের কারবার করবি বুলি মেলা ট্যাকা ধার নিলো। লোকটা আমার তাশ লেখার সঙ্গী ছেলো বুলি তুমার মা আমাকে জানিলো। আমি চেষ্টা করছিলাম আদায় করি দিতি। তার মধ্যিই ঘটনাটা ঘটলু।’
‘ক’টাকা চাচা? আর দিইনি?’ প্রশ্ন করে ন’বুউন।
পিঁপড়েগুলো সব চলে গেছে ভেতরে। ওদিকে টাকার অংক নিয়ে আলাপ হচ্ছে। আমি মা বলে এক চিৎকার দিতে গিয়ে টের পাই অদৃশ্য কোনো হাত গলা টিপে ধরেছে আমার।