৬
~~~~
সহস্র সুরের গান, একটি সুরের কাছে ঘুরে ঘুরে আসে
গাছের পাতার থেকে বৃষ্টি ফোঁটার ওই ঝরে পড়া দেখে
মনে মনে ভাবি তুমি বাড়িতেই আছো
এখনো ওষুধ ছুঁচ পাইপের ভিতরে ভরে তোমাকে লিখছি চিঠি
"বেঁচে থাকো"
চোখ খুলে অমলিন হাসিটি সাজিয়ে দাও ভাতের থালায়
যদি ও সহজে তুমি মিশে গেছো আগুনে ধোঁয়ায়
গাছের পাতায় জল
বৃষ্টি আরো কিছু দীর্ঘস্থায়ী হয়
৭
~~~~
এখন আমার ঘরে বসে আছি একা
তোমায় অভ্যেসে ভাবি বেজে ওঠে ফোন
অনেক অনেক আগে শরীর খারাপে
মাথায় রেখেছ হাত ঘুমের ভিতর
চলে গেছি যত দুর হেঁটে আসা যায়
নাভির গোপন দাগে মনে পড়ে শোক
কেবলই অভ্যেসে ভাবি বেজে ওঠে ফোন
মাথায় রেখেছ হাত ঘুমের ভিতর
৮
~~~~
সকল শোকের কাছে পড়ে থাকে পাথরের হাত
একটি বিষণ্ণ গাছ ছায়া নামে সূর্য ডুবে যায়
কোথা যায়, কার কাছে নামিয়ে রেখেছে তার
সারা দিন ভার
একটুকি জল খায়? এসব মলিন মুখ
ঘরে ফিরে পাথরের হাতে রাখে ঠোঁট
বিষণ্ণ তাহার মুখ হয়েছে পাথর
৯
~~~~
শ্মশানের গায়ে কারা যেন লিখে গেছে নাম
তরু ও অরুণ
আমি দেখি বৃক্ষ পরে রৌদ্র পড়িয়াছে
কলস ভাসিয়ে ফিরি কে আমায় টেনে ধরে পায়ে
কেন আমি বার বার নিষেধ না মেনে আজ তাকিয়েছি ফিরে
বৃক্ষে বৃক্ষে দুরে আগুন জ্বলেছে
এত এত জনতা কোলাহল মাঝে, শ্মশানে এসেছিল তরু ও অরুণ
তাদের প্রেমের কথা ঘোষণা করেছে ওই দেয়ালের গায়ে
কলস ভাসিয়ে ফিরি, ভাঙ্গা ঘট
তরু ও অরুণ শুধু মাথার ভিতরে লেখা থাকে