এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শেষ ঘোড়্সওয়ার

    I লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ জুলাই ২০১৮ | ১৯৯৮ বার পঠিত
  • সঙ্গীতা বেশ টুকটাক, ছোটখাটো বেড়াতে যেতে ভালোবাসে। এই কলকাতার মধ্যেই এক-আধবেলার বেড়ানো। আমার আবার এদিকে এইরকমের বেড়ানোয় প্রচণ্ড অনীহা; আধখানাই তো ছুটির বিকেল--আলসেমো না করে,না ঘুমিয়ে, বেড়িয়ে নষ্ট করতে ইচ্ছে করে না। তো প্রায়ই এই টাগ অফ ওয়ারে আমি জিতে যাই, কিম্বা সঙ্গীতা আমাকে জিতিয়ে দেয়।
    কখনো কখনো ওরও অবশ্য জিততে ইচ্ছে করে। সেইরকম এক রোববার সন্ধ্যায় আমাদের ইকো পার্ক যেতে হল। ইকো পার্ক বাড়ি থেকে তেমন বেশি দূর না, কিন্তু যাতায়াত একটু ঝঞ্ঝাটে।তেঘরিয়া মোড় পৌঁছে সেখান থেকে অটো করে হলদিরাম, সেখানে রাস্তা পেরিয়ে চিনার পার্কগামী যানবাহনের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকা। মনোমত গাড়িঘোড়া কিছুই তেমন আসছে না বেশ খানিকক্ষণ। এমন সময় গাড়িটাড়ি নয়, একখানা ঘোড়া-হ্যাঁ, সত্যি ঘোড়া এসে হাজির হল। বেঁটেমত একটা টাটুঘোড়া একটি ঘোড়ার গাড়িকে টেনে নিয়ে আসছে। আর চালকের আসনে ছপটি হাতে বসে আছেন বেঁটেমত এক ভদ্রলোক, লম্বা দাড়ি, চোখে চশমা, মাথায় টুপি। অনেকটা ছোটবেলায় দেখা স্বপনবুড়োর ছবির মত দেখতে।চেঁচিয়ে বলছেন-রাইড! রাইড ! দেখলেই অভাবে-পড়া প্রাক্তন নকশাল বলে মনে হয় (অবশ্য দাড়ির প্রতি আমার একটা আলাদা দুর্বলতা আছে, সেকথা মানছি। আমার নিজের যদিও দাড়ি রাখা হল না; তবে সে অন্য প্রসঙ্গ)।
    এখন, সঙ্গীতার অনেক ইচ্ছের মধ্যে একটা ইচ্ছে হল কলকাতায় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বেড়ানো। অনেকদিন ধরে সে প্ল্যান করে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে থেকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়বে,গড়ের মাঠের খোলা হাওয়ায় চুল উড়িয়ে কুলফি খেতে খেতে কলকাতার বুকের ওপর দিয়ে টগবগ করে ঘুরে বেড়াবে। আমাদের অজস্র প্ল্যানের মতই এটাও বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে। তো, এখন যখন সুযোগ পাওয়া গেছে ঘোড়ার গাড়ি চড়বার, তখন তার সদ্ব্যবহার করলে মন্দ কী ! না হয় এটা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-গড়ের মাঠ নয়, না হয় সেসব গাড়ির মত এই গাড়ি তেমন বাহারে নয় (খোলা একটা বাক্স প্যাটার্নের জিনিষ, সামনে চালকের বসবার সিট, তার পেছনে রিক্সার মত অংশ, তাতে আরো তিন-চারজনের বসার মত ব্যবস্থা, ব্যাস!), আর কুলফিরও বন্দোবস্ত নেই; তাই বলে দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে না কারো? মিটতে নেই? বিশেষ করে ঘোড়া দেখে উজানও যখন বেশ উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। আমরা আর দেরী না করে উঠে বসলাম। ভদ্রলোক দুশো টাকা চাইলেন, তাও আবার 'কাফে একান্তে' অবধি যেতে পারবেন না বলেই দিলেন(বেশ পষ্ট কথায় কষ্ট নেই ধরণের হাবভাব);টাকাটা একটু গায়ে কড়কড় করতে লাগল, তবে শখ বলে কথা !
    গাড়িতে উঠেই উজানের উঁকিঝুঁকি মারা শুরু হয়ে গেল। সে একটু বেশিই ছটফটে, বিশেষ করে জন্তুজানোয়ার দেখলে। ঘোড়া কিভাবে চোখের পাতা ফেলছে, কান নাড়াচ্ছে, কেমন করে চার-পা ফেলে সে চলে,ল্যাজের ঝাপট দিয়ে মাছি তাড়ায়, এসবই তার দেখা চাই। এতে করে সেই অপরিসর গাড়িতে একটা অশান্তি ঘনিয়ে আসে, ব্যাপারটা খুব একটা সেফ থাকে না আর, গাড়ির ভারসাম্য থেকে থেকে বদলে যেতে চায়। বেগতিক দেখে ভদ্রলোক উজানকে বলেন- তুমি সামনে এসো, আমার পাশে এসে বসো। উজানকে আর পায় কে, সে মুখভর্তি হাসি নিয়ে তখুনি সামনে গিয়ে বসে।
    চলতে চলতে ভদ্রলোক উজানকে বোঝাতে থাকেন- ঘোড়া কতরকম ভাবে চলে জানো? এই যে টগবগিয়ে ছুটছে, এটা হল গ্যালপ। এই, এই দ্যাখো, আর একটু স্লো হয়ে গেলো, তিনটে বিটে দৌড়োচ্ছে, এর নাম ক্যান্টার। এই যে দু বিটের দুলকি চালে চলা, এর নাম ট্রট। আরো আছে, ওয়াকিং, পেসিং, ফক্সট্রট...। পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে তিনশো রকমের ঘোড়া আছে, জানো তুমি?
    আমরা হাঁ হয়ে যাই ভদ্রলোকের জ্ঞানের বহর দেখে। বোঝাই যায়, ইনি সাধারণ ঘোড়ার গাড়ির চালক নন। বাইরে বেরোলে সাধারণতঃ স্পিকটি নট আমি পর্যন্ত উৎসাহিত হয়ে কথা বলতে শুরু করি।
    -আপনার এই ঘোড়াটা কী ধরণের ঘোড়া?
    -এটা? এ একধরণের মিনিয়েচার হর্স। এ পুরুষ ঘোড়া।
    -কোথায় পেলেন একে?
    -বেলডাঙা চেনেন? মুর্শিদাবাদ বেলডাঙা? সেখানে গিয়েছিলাম একটা কাজে। সেখানেই দেখি একে। একটা গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল। জিজ্ঞেস করলাম-আমার সঙ্গে যাবি? ও মাথা নেড়ে বলল-হ্যাঁ। তখন নিয়ে এলাম।
    -নিয়ে এলেন !!
    -হ্যাঁ। ছোটবেলা থেকে আমার পশুপাখির শখ তো। রাজ্যের কুকুর-বেড়াল, সব রাস্তার-বুঝলেন? এনে এনে পুষতাম(উজান এবার উৎকর্ণ হল)। বাসা ভেঙ্গে পড়ে যাওয়া পাখি পুষতাম। পাড়ার লোকেরাও ডেকে ডেকে জন্তুজানোয়ার দিয়ে যেত।
    -পালতে পয়সা লাগতো না? অনেক খরচ তো !
    -আমরা গরীব মানুষ, অত খরচা কি করে করবো। চেয়েচিন্তে আনতাম।আমি যা খাই, তাই খেতে দিতাম ওদের।
    -কিনে এনে রাখলেন কোথায়?
    -ঐ ! একটা আস্তাবল মত ছিল। তাতে অন্য পশুপাখিরা থাকতো। সেখানেই রেখেছি। একটা ঘোড়ীও কিনে দিয়েছি। কথায় বলে-কচ্ছপের কামড় আর ঘোড়ার কাম....। তিনটে বাচ্চা হয়েছিল। দুটো মরে গেছে। আগে-আগে ঘোড়ীটাও গাড়ি টানতো। এখন আর টানাই না।
    - রোগ-ব্যধি হলে চিকিৎসা করেন কোথায় এদের?
    -বেলগাছিয়ার পশু-হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওখানে সবাই আমার চেনা। আমায় খুব ভালোবাসে। ছোটখাটো রোগের চিকিৎসা আমি নিজেই করি। দেখতে দেখতে শিখে গিয়েছি।...হ্যাঁ, হাত বের করবেন না বৌদি... মাথা বাইরে বের করবেন না। পেছন থেকে গাড়ি এসে মেরে দেবে।

    বস্তুতঃ ব্যাপারটা স্বস্তিদায়ক হচ্ছিল না মোটেই। নিউটাউনের রাস্তায় অজস্র গাড়ি-বাস-অটো; তারা বেশ বিপজ্জনক ভাবে কাছ দিয়ে হুসহাস করে বেরিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যে কোনো মুহূর্তে ধাক্কা লেগে যাবে বুঝি। খোলা গাড়ি, কোনো প্রোটেকশন নেই। ঘোড়া এই বড় রাস্তায় পড়ে একটু বুঝভুম্বুলমত হয়ে গেছে; হয়তো এত গাড়ি কখনো একসঙ্গে দেখে নি। ওর চলায় জট পাকিয়ে যাচ্ছে প্রায়শঃ। যেখানে দাঁড়ানোর কথা , সেখানে একটু এগিয়ে গেলো।যেখানে চলতে হবে, সেখানে কখনো দাঁড়িয়ে পড়ছে। মোড় ঘুরতে গেলে অন্য রাস্তায় ঢুকে পড়ছে। দাড়িবাবু আবার ধমকে তাকে পথে আনছেন।পাতি বাংলায় ধমক। বাংলায় সব নির্দেশ। 'চল', 'দাঁড়া', 'দৌড়ো'-এইসব। ঘোড়া দেখলাম বাংলা বেশ বোঝে। হাতির মত নয় যে বর্মী কিম্বা আর কোনো বিজাতীয় ভাষায় বকতে হবে।

    ঘোড়াটিকে দেখে মায়া লাগে খুব। রোগামত। এতগুলো মানুষকে টানতে ওর নিশ্চয়ই কষ্ট হচ্ছে খুব। বেঁটে ঘোড়া। ফ্যালফ্যাল করে তাকায়। দীর্ঘ আঁখিপল্লব। মনে হয় , নেমে যাই; বলি-থাক আর তোকে টানতে হবে না। এই ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে ঘোড়া চলতে দেখে লোকজন অবাক হয়। যেন পুরনো কলকাতার দৃশ্য দেখছে। সাদা-কালো কিম্বা সিপিয়া টোন। কেউ কেউ যানজটে রাগ করে। দাড়িবাবুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। রাস্তার পাশে দাঁড়ানো কোনো চ্যাংড়া ছেলে টিটকিরি দেয় 'এ খচ্চর ! এ খচ্চর ! 'বলে। দাড়িবাবু রেগে বলেন-তোমার মতন নয় ! ঘোড়াকে বেশ ভালোবাসেন, বোঝাই যায়।

    চলতে চলতে আমরা রাজারহাটের নিরালা এক রাস্তায় এসে পড়ি। এই স্ট্রেচটা আমার বেশ চেনা লাগে। দুপাশে উঁচুনিচু জমি। কোথাও নলবন; কোথায় চাষ হয়ে যাওয়া মাঠে কাটা খড়ের মাথা জেগে আছে। দূর থেকে ইকো পার্কের আলো দেখা যায়। এইরকম একটা জায়গায় গত শীতে পাখির ছবি তুলতে এসেছিলাম। ওপেন বিল স্টর্কের একটা বড় কলোনি আছে। জিটিং সিস্টিকোলা দেখেছিলাম। মুনিয়া দেখতে পাই নি। চারিদিক নিরালা, নিরিবিলি। গ্রাম্য। এই মুহূর্তে শুধু ঘোড়ার পায়ের আওয়াজ। আর কিছু না।

    নীরবতা ভেঙে আমাদের চালক বলেন-এখানে আগে খুব সাপ বেরোতো,বুঝলেন? বর্ষাকালে ব্যাঙ খেতে বেরোতো। অনেক সোনা ব্যাঙ জন্মাতো। সব চালান করে দিয়েছে। সাপও মেরে ফেলেছে লোকে। গাড়ির চাকার তলায় মারা পড়ে অনেক।
    -হ্যাঁ, ওপেন বিল স্টর্কও আছে অনেক।
    -কী জিনিষ? (বুঝতে পারেন নি)
    -ঐ, শামুকখোল পাখি।
    -অ!
    -আর শেয়াল আছে না অনেক? আমি একবার দিনের বেলায় শেয়াল দৌড়ে যেতে দেখেছি।
    -শেয়াল আর কই? সব শেষ। মানুষ সব মেরে ফেলেছে।
    বিষণ্ণ শোনায় ওঁর গলা।

    চরাচর-এর সেই পাখমারার কথা মনে পড়ে। বাঁচতে হলে যাকে পাখিদের ধরতে হবে। জাল পেতে, ফাঁদ পেতে, আঠাকাঠি দিয়ে। কিন্তু যে মানুষ পাখিদের ধরতে চায় না। খোলা আকাশে উড়িয়ে দিতে চায় যে পাখিদের। অথচ পাখি না ধরলে যার রোজগার হবে না। খাঁচা ফেলে পাখি উড়ে গেলে যার মুখে অন্ন ওঠে না।পাখি আর মানুষ আর গাছপালা; জন্তুজানোয়ার আর নদীর জল-যে সবাইকে বাঁচাতে চায়। সবাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সে বোকা নয়। সেও জানে-পাখি না মারলে, বাঘ-হরিণ না মারলে, গাছ না কাটলে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। এমনই মানুষের বেঁচে থাকার কুহক। বেঁচে থাকার কালো কৌতুক।

    মানুষ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও পৃথিবী ঘুরে যাবে। মানুষ যখন মরবে তখন তার সাথে বেঁচেবর্তে থাকা বাকি প্রাণী আর উদ্ভিদজগতটুকুকে নিয়েই মরবে। কিন্তু প্রাণের নাকি অসীম ক্ষমতা। আবার নাকি পৃথিবীতে গাছ গজাবে, প্রণীরা ফিরে আসবে একে একে। এই ইকো পার্কের এলাকা জুড়ে জলাভূমি গজাবে, ঝিঁঝিঁ আর ব্যাঙের আওয়াজ রি রি করবে। সাপেরা ফিরবে। শেয়ালরাও।হঠে যাওয়া সুন্দরবন আবার এসে কলকাতা অধিকার করবে। ভাঙা ট্রামের কামরা বাঘ এসে চেটে যাবে।

    হয়তো মানুষ আর ফিরবে না। যে রিক্সাচালকটি রাস্তার কুকুরদের চেয়েচিন্তে খাওয়াতেন, এমনকি সপ্তাহে একদিন মাংসও; ডাঁটি-ভাঙা চশমা-পরা তুবড়োনো গালের যে মানুষটি রাগী, ঘেয়ো কুকুরের গলায় হাত বুলিয়ে বলতেন -তোর বুঝি খুব রাগ, বাবু? তিনি আর ফিরবেন না। আমার যে মেদিনীপুরের রোগী পথের জন্তুজানোয়ারদের বাড়িতে এনে রাখেন, তাদের জন্য র‌্যাশনের চাল ভিক্ষা করেন, তাদের জন্য পাড়ার লোকের কাছে মারধোর খান, তিনি আর ফিরবেন না। ফিরবেন না আমাদের ঘোড়ার গাড়ির চালক। চরাচরের সেই পাখমারা আর ফিরবে না।

    নিউটাউন যাওয়ার এই রাস্তা তখন হাতিশুঁড় আর বনকলমির লতায়, ল্যান্টানা ঝোপে ঢাকা পড়ে যাবে।উঁচু উঁচু গাছ গজাবে।সমুদ্র তখন কাছে এগিয়ে আসবে। দক্ষিণসমুদ্রের ঝোড়ো হাওয়ায় গাছেরা দুলে দুলে হাসবে।

    শুধু কখনো কখনো মাঝরাত্তিরে এক অশরীরী পিচরাস্তায় অশরীরী ঘোড়ার গাড়ির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যাবে। ঘোড়ার খুরের আওয়াজ শোনা যাবে। কখনো গ্যালপ, কখনো ক্যান্টার, কখনো ট্রট।

    আর থেকে থেকে একটা মোটা, ভারী,ভাঙা গলা হেঁকে বলবে-রাইড! রাইড !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ জুলাই ২০১৮ | ১৯৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | ***:*** | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৯:২২65006
  • বাঃ
  • π | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০১:৩২65007
  • কী চমৎকার "
  • dd | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৫65008
  • বাঃ বাঃ বাঃ
  • শিবাংশু | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৫65013
  • বাহ....
  • গবু | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪৯65009
  • বড় মায়া রয়ে যাবে !!

    শেষের দিকটা প্রফেটিক। তবে বাঘ না হয়ে অন্য কোনো প্রাণী... মানুষ বাকি সবাইকে মেরেই মরবে।
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৬65010
  • অনবদ্য।
  • Shn | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৬:২৭65011
  • আহা
  • anandaB | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৬:৩৫65014
  • ভিনটেজ, তবে অতি অল্পই হইলো
  • শঙ্খ | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৬:৫২65012
  • বড় মায়া!
  • | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৬65016
  • 0 | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ১২:২৯65015
  • লেখক আর ঘোড়া এ'দুটো কমন্‌ বলেই বোধ'য় আমার 'নিহ্ত অশ্বের স্বরলিপি' মনে পড়ল।
  • Du | ***:*** | ১৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:২৮65017
  • হয়তো বা সেবার টূথ
  • i | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩৪65018
  • এই সব লেখা খুব কম পড়তে পাই আজকাল। লেখক একটু ঘন ঘন লিখবেন-আশায় থাকব।
  • avi | ***:*** | ২০ জুলাই ২০১৮ ১০:০০65019
  • সবচেয়ে অনবদ্য লাগলো এ গল্পের পরিমিতি। কতটা সংযম থাকলে এমন জায়গামতো লাগাম টানা যায়, গ্যালপের লোভ সংবরণ করে...
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৪ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩৩65020
  • "মানুষ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও পৃথিবী ঘুরে যাবে। "

    যাবেই তো! আবার সব হবে মানুষ বাদ দিয়ে, অনিবা। এমনকি তার অশরীরী ঘোড়সওয়ারকেও চাই।

    লেখাটি স্বনামে এলো না, খেদ রইল। :/
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৪ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩৪65021
  • *টাইপো/ অনিবার্য
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন