এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পাহাড়ের পথে অভিযানের অসুস্থতা ও প্রাপ্তি - পর্ব ১

    Gautam Mistri লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ মার্চ ২০১৮ | ২১৬৭ বার পঠিত
  • কেন যেতে চাইবঃ

    পাহাড় পর্বতের নীচের দিককার ও মাঝারি উচ্চতার কিছু কিছু অংশে শহরের মানুষ গাঁটের কড়ি ফেলে পৌঁছে যায় খেয়াল খুশি মত। পাহাড়ের দেওয়াল কেটে, ডিনামাইট দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে, পাহাড়ি ঝর্নার উপরে সেতু বেঁধে নয়নাভিরাম সব জায়গা গুলিতে ক্যামেরা নিয়ে পৌঁছে যাবার সুবন্দোবস্ত করা আছে। কিন্তু সেই ভাবে পাহাড় চড়ার একটাই সমস্যা। যে শব্দ ও দৃশ্য দূষণ এবং তার আনুষঙ্গিক বাতাবরণের বিষ-বাষ্প থেকে মুক্তি পাবার আশে পাহাড়ে যাওয়া, বাসে-ট্রাকে-এরোপ্লেনে চেপে সেই দূষণ পাহাড়েও পৌঁছে যায়। নিভৃতে ধ্যানমগ্ন হবার শিখর-চূড়া, গিরি-কন্দর, গুহা বা গাছতলা মেলে না। হয়ত দার্জিলিং-সিমলার ম্যালের বেঞ্চিতে বসে শহরে দুষ্প্রাপ্য শীতের পরশ নিচ্ছেন, পাশের বেঞ্চিতে গড়িয়াহাট ও বেহালার বাজারের বেনারসি শাড়ির দাম ও মানের আলোচনা চক্রের ভাষণ কানে প্রবেশ করছে। হয়ত স্থানীয় খাদ্য সংস্কৃতির নমুনা পরখ করতে ইচ্ছে করছে, কন্ডাক্টেড ট্যুর অপারেটর জনপ্রিয় আবদার মেনে আপনাকে আলু পোস্ত আর ডিমের ডালনাই কেবল খাইয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আপনার মন চাইছে একদম পাহাড়ের কোলে খাঁটি পাহাড়ের সুরে ও ছন্দে নেচে বেড়াতে, শহরের ভেজালের ভিড় আপনার শরীরকে আস্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। গাড়ির রাস্তার শেষে পৌঁছে গিয়েও দেখলেন, আপনার যাবার কথা 'হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোথা, অন্য কোনো খানে!' সেই অন্য কোনো খানে গাড়ির চাকা পৌঁছায় না। নশ্বর জীবনের অনেক কিছু অধরা স্বপ্নের মত দূরের অস্পষ্ট পাহাড়ের শিখর চূড়ার দিকে পিছন ফিরে সাঁঝ বেলায় একটা সেলফি তুলে নিয়ে মনের সাধ মেটাতে হয়। সেই ছবিতে আপনার পিছনের পাহাড়টা কেবল আপনিই মনশ্চক্ষে দেখতে পান। অন্যেরা পায়না, কারণ পেছনের পাহাড়টা যে অনেক দূরে! ক্যামেরা আলোক-বিজ্ঞানের নিয়মে চলে, আমার আপনার মনের চাহিদার তোয়াক্কা করে না।

    মনের সাধ মেটানোর অদম্য ইচ্ছে ওয়ালা নাছোড়বান্দা কিছু মানুষের পাহাড়ে ভ্রমণ শুরু হয় অন্য ভাবে। এই শ্রেণির মানুষদের যাত্রা শুরু হয় সেখান থেকে যেখানে মোটর গাড়ি রাস্তা শেষ হয়েছে, যেখানে প্রথম হোটেলটি সবে নির্মিত হচ্ছে। এই ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো ঐ অবধি এক দৌড়ে পৌঁছে তারপর ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বার করে, মুখে সান-স্ক্রিন মেখে,পায়ে দামি এক জোড়া খানদানি স্নিকার পরে, পিঠে তার ঘনিষ্ঠ তম সঙ্গী ব্যাক-প্যাক চাপিয়ে যাত্রা শুরু করে। আগামী দিনগুলোতে সে উপভোগ করবে শহুরে সভ্যতার অন্তরালের সোনালি মুহূর্তগুলো। দিনশেষে কোনো এক গহীন হিমালয়ের প্রান্তরের তাঁবুতে ভূমিশয্যা যে কোনো পাঁচতারা রিসর্টের চেয়েও তার কাছে দামি। মাঙ্কি-ক্যাপ-মাফলার পরিহিত দার্জিলিং-সিমলা-মানালি-লেহ-লাদাখ ভ্রমণ করে ও বিস্তর ক্যামেরার ক্লিক-বাজি করে ঘরে ফিরে যারা অনুভব করেন, ক্যামেরা একটি অতি বিশ্বাসঘাতক যন্ত্র, তারা সবিস্ময়ে চোখ ছানাবড়া করে দেখেন পাহাড়টা তবে কাছে থেকে এমন সুন্দরও লাগে! প্রতিটি ছবিই যেন ক্যালেন্ডারের পাতার পাতে দেবার যোগ্য। তবে ছবি তো কেবলই ছবি। পটে আঁকা ছবিরও পেছনে যেমন গল্প থাকে, গহীন হিমালয়ের অন্দরমহলে অবহেলায় ক্যামেরার ক্লিক এমন আশ্চর্য সব মুহূর্ত বন্দি করে আনে, সেই ভ্রমণের গল্পের কাছে সব ছবিই জোলো হয়ে যায়। আমার সাধ্য কী শব্দে তার আভাস দেব! তার চেষ্টা না করে বরং আমরা ট্রেকিং-এর স্বাস্থ্য নিয়ে দু’চার কথা আলোচনা করে নেই। পাহাড়ে বেড়াতে গেলে, তা সে মোটরে-এরোপ্লেনে চেপে বা পায়ে হেঁটেই হোক না কেন, কিছু বিশেষ শারীরিক সমস্যা হতে পারে। আবার পাহাড়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস থাকলে সমতলের মানুষজনদের কিছু দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও মানসিক সুবিধাও হয়ে থাকে। প্রথমে পাহাড়ের উচ্চতা-জনিত বিশেষ শারীরিক সমস্যার কথা দিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

    মাউন্টেন সিকনেসঃ
    সমতলের মানুষ পাহাড়ে গেলে তাৎক্ষনিক কিছু শারীরিক সমস্যা হয়। এটাকে অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেস বলে। এইখানে ‘তাৎক্ষনিক’ বা ‘অ্যাকিউট’ কথাটা লক্ষণীয়। আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন। দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা না থাকলে আবার তাৎক্ষনিক বলে শব্দ অপচয় করা কেন? বেশিদিন ধরে অধিক উচ্চতায় ( সমুদ্রতল থেকে ১০০০০ ফুটের বেশি উচ্চতায়) থাকলে ফুসফুসের প্রধান রক্তনালীর চাপ বৃদ্ধি পায় ও হৃদপিণ্ডের ডান দিকের প্রকোষ্ঠ গুলো আয়তনে বাড়ে ও তার দেওয়ালগুলো মোটা হয়ে যায়। এইজন্য সিয়াচেনে সৈন্যদের একনাগাড়ে বেশিদিন রাখা হয় না। আমরা সেই আলোচনায় তত আগ্রহী হব না এই মুহূর্তে। আমরা শখের ভ্রমনার্থী। কষ্টে-শিষ্টে ছুটি জোগাড় করে, বেড়াতে যাবার জন্য লক্ষ্মীর ঘটে জমিয়ে রাখা পয়সাকড়ি কুড়িয়ে বাড়িয়ে জোগাড় করে হাতে গোনা কয়েকদিনের জন্য পাহাড়ে যাই। অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেসের মাথা ব্যথা নিয়েই আমাদের মাথা ব্যথা বেশি। মাথা ব্যথা অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেসের একটা অন্যতম লক্ষণও বটে। অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেস সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০০০ থেকে ১০০০০ ফুট উপরের উচ্চতায় পৌঁছানো সমতলের মানুষদের আক্রান্ত করে।

    অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেসঃ
    অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেস আবার দুই ধরনের হয়, মামুলি ও মারাত্মক। মামুলি সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মাথার ব্যথায় ভোগেন। এছাড়া আছে খাবার অনিচ্ছা, বমি ভাব আর অনিদ্রা। পৃথিবীর ধুলা-মাটির নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে আমরা যত উপর-পানে যেতে থাকব বাতাসের প্রাণবায়ু বা অক্সিজেন তত কমতে থাকবে। এ ছাড়া উচ্চতায় বাতাসের চাপও কমে যায়। হিমালয়ের হাল্কা হাওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের অনুপাত কমে যায়, বাতাস অপেক্ষাকৃত শুষ্ক হয়ে পড়ে। আর থাকে অতি-বেগুনী (আলট্রা-ভায়োলেট) রশ্মির রোষানল। অপরিচিত পরিমণ্ডলের প্রভাবে আমাদের শারীরিক কর্মকাণ্ড বিগড়ে গিয়ে ঘটে অ্যাকিউট মাউটেন সিকনেস, যেটা কিনা অল্পবিস্তর সবাইকেই বেকায়দায় ফেলে। তবে এই সমস্যাগুলো ক্ষণস্থায়ী, ধীরে ধীরে উচ্চতা অর্জন করলে, বেশি করে জল পান করলে এই সমস্যাগুলো এড়ানো যায় অথবা সমস্যা হলেও এক-দু’দিনের মধ্যে নিজের থেকেই সেরে যায়। মাথা ব্যথা অসহ্য হলে এক দু’বার প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মাথা ব্যথা আবার মারাত্মক ‘হাই অল্টিচ্যুড সেরিব্রাল ইডিমা’ নামে আর এক ভয়ঙ্কর রোগের প্রাথমিক লক্ষণও বটে। এ ব্যাপারে পরে আসছি। অল্প-স্বল্প মাথা ব্যথা ক্লান্তিহরা এক রাতের নিশ্ছিদ্র ঘুম (যাকে বিলিতি কায়দায় “সাউন্ড স্লিপ” বলে) সারিয়ে দিতে পারে। এজন্য বিচার-বিবেচনা করে ছোট্ট একটি ঘুমের বড়ি রাতে শোবার আগে খাওয়া যেতে পারে। তবে ঐ যে বললাম, ‘হাই অল্টিচ্যুড সেরিব্রাল ইডিমা’ নেই সেটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। ভয়ঙ্কর সমস্যাগুলো শেষের দিকে বলাই ভাল, কারণ ওগুলো তত বেশি দেখা যায় না শখের পাহাড়-প্রেমীদের কাছে। খাবার অনিচ্ছা সাথে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেয় পাহাড়ের শিবিরের অল্প-পরিচিত ও আধ-সিদ্ধ খাবার দাবার। পাহাড়ের উচ্চতায় একশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচেই জল স্ফুটনাঙ্কে পৌঁছে যায় বলে প্রেশার কুকার ছাড়া খাবার-দাবার সিদ্ধ হয় না। রান্না করার চাল-ডাল-তেল-নুন, স্টোভ-কেরোসিন, হাড়ি-কড়াই-প্রেশার কুকার সবই তো নীচের বাজার থেকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। আজকাল অবশ্য নেপালের এভারেস্ট বেস ক্যাম্প অবধি মাল্টি-কুজিন ওয়ালা হাই প্রোফাইল হোটেল গজিয়ে গেছে। সতেরো-আঠারো হাজার ফুট উচ্চতার সেই সব বিলাসবহুল হোটেলের চান-ঘরে জলের কলের চাবি খুললেই চব্বিশ-ঘণ্টা গরম জল মেলে। আমরা শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত ডলার-ইউরো পূজিত ঐ রাস্তার কথাও বলব না। ভেতো বাঙালির সাধ্যের মধ্যে এখনও পড়ে থাকা পাহাড়ি পথের সমস্যা ও তার সমাধানের রাস্তা খুঁজব যে পথের রোমাঞ্চ ডলার-ইউরোর কাছে বিকিয়ে যায় নি।

    পরের পর্বে হ্যাপো (হাই-অল্টিচ্যুড পাল্মোনারি ইডিমা) আর হ্যাকো (হাই-অল্টিচ্যুড সেরিব্রাল ইডিমা ) ও অভিযান থেকে জাগতিক জীবনে ব্যবহার্য প্রাপ্তিঃ

    ( রচনাটি উৎস মানুষ পত্রিকার বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশিত)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ মার্চ ২০১৮ | ২১৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Gautam Mistri | ***:*** | ০২ মার্চ ২০১৮ ০৫:৪০64084
  • চলুক।
  • | ***:*** | ০২ মার্চ ২০১৮ ০৫:৪৮64085
  • ভীষণ পছন্দের বিষয়
  • i | ***:*** | ০২ মার্চ ২০১৮ ০৯:৩৮64086
  • এভারেস্ট বেস ক্যাম্প অবধি হাই প্রোফাইল হোটেলের কথা জানতামনা তো-আমার অতি নিকটজন সদ্য এভারেস্ট বেস ক্যাম্প অবধি ট্রেক করে এলো-'টী হাউজে' থাকা-গরম জল বা মাল্টিকুইজিনের কোনো প্রশ্নই নেই-ডাল ভাত খওয়া স্রেফ আর ডিসেম্বর/জানুআরিতে এমনকি বাথরুমে ব্যবহারের জলও জমে বরফ।
  • সিকি | ***:*** | ০৩ মার্চ ২০১৮ ০১:০৪64087
  • এইতো গৌতমদা খুব বিস্তারিত ভাবে এএমএস বুঝিয়ে দিয়েছে। দারুণ লিখেছো।
  • Blank | ***:*** | ০৩ মার্চ ২০১৮ ০৭:৪৬64088
  • নামচে বাজার, লুকলা সাইডে মনে হয় বেশ কিছু বড় হোটেল হয়েছে। আর সেগুলো গৌতম যেমন বলছেন, সেরকম ই। এছারা ঐ প্যাঙ্গবোচে তেও আছে।
  • সুতপা | ***:*** | ০৫ মার্চ ২০১৮ ০৫:১৩64090
  • গতবছর গুরুদোংমারের ১৭৮০০ ফিট উচ্চতাতেই ঠোঁট নীল হয়ে কথা জড়িয়ে গেছিলো। সেটা কি মাউন্টেন সিকনেসের লক্ষণ ছিলো? খুব ইন্টারেস্টিং , পরের কিস্তির অপেক্ষায় রইলাম ।
  • প্রতিভা | ***:*** | ০৫ মার্চ ২০১৮ ০৬:৫৫64089
  • পরের কিস্তির অপেক্ষায়।
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৬:১৯64091
  • কি কাণ্ড! এতসবের অজ্ঞাতেই যে বাংগাল বিপ্লব যে গিরি লংঘিয়া চলিয়াছে!

    তারপর? ✌
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন